কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে দূর করতে যেসব খাবার খাবেন।কোষ্ঠকাঠিন্য ও প্রতিকারের উপাই

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

                      -:কোষ্ঠকাঠিন্য:-

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ভালোভাবে জীবনযাপন করাটাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই পূথিবীতে প্রায় বহু মানুষই নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা। গর্ভবতী নারীদেরও এটা একটা সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্যের ভয়ে তারা অনেক কিছুই খেতে ভয় পান। কোনটা খেলে যে স্বস্তি পাবেন, আর কোনটা খেলে কষ্ট চরমে উঠবে, বুঝতে পারেন না।




কোষ্ঠকাঠিন্য ঠিক কি ?

অনিয়মিত, অপরিমিত, কষ্টকর, শক্ত ও শুষ্ক মলের নির্গমনকেই বলা হয় কোষ্ঠকাঠিন্য।
**এক-দুই দিন পরপর মলত্যাগের বেগ হওয়া এবং শুষ্ক ও কঠিন মল নিষ্কাশন কোষ্ঠকাঠিন্য বলে পরিচিত। 
 এই রােগের ফলে অনেক সময় মাথার যন্ত্রণা, অপরিষ্কার জিভ, শারীরিক অস্বাচ্ছন্দ্যবােধ ও শ্বাসপ্রশ্বাসে দুর্গন্ধ হতে দেখা যায়।


কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ:-- 

বিভিন্ন কারণে মানবদেহে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
এগুলি হল
1. প্রয়ােজনের তুলনায় কম জল গ্রহণ : আমাদের দেশ (ভারতবষ )নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থিত। তাই এখানে ঘাম হওয়ার প্রবণতা বেশি। ঘামের মাধ্যমে দেহ থেকে যে পরিমাণ জল নির্গত হয়, সেই পরিমাণ জল অনেক সময় গ্রহণ
করা হয় না। ফলে বৃহদন্ত্রে জলের ঘাটতি দেখা যায়। খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে গৃহীত প্রায় সব জলই ওই সময় বৃহদন্ত্র দ্বারা শােষিত হয়। জল সম্পূর্ণরূপে শােষণের ফলে পাচিত খাদ্যের কঠিন অংশ শােষণের পর শক্ত মল হিসেবে মলাশয়ে জমা হয়।

2. অপাচ্য খাদ্যতন্তর পরিমাণ হ্রাস: ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণ, উপবাস, খাদ্যবস্তুতে অপাচ্য খাদ্যতন্তুর পরিমাণ হ্রাস প্রভৃতি হল কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ।
3. অনিয়মিত অভ্যাস, শ্রম ও বিশ্রাম ; সময়মতাে মলত্যাগ না করা, কায়িক শ্রমের অভাব, বিশ্রামের অপ্রতুলতা
ইত্যাদি এর অন্যতম কারণ।
4, ল্যাক্সেটিভের ব্যবহার : দীর্ঘদিন ধরে ল্যাক্সেটিভের ব্যবহার অন্ত্রের স্বতশ্চলতা কমিয়ে দেয়।

6. ভিটামিন B-কমপ্লেক্স-এর অভাব : ভিটামিন Bকমপ্লেক্স-এর অভাবে অন্ত্রের গাত্রথিত পেশিসমূহ দুর্বল হয়ে
অন্ত্রে টানের হ্রাস ঘটায়, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।
7. মানসিক অবস্থা : নিঃসঙ্গতা এবং একাকিত্ব, বয়স্ক ব্যক্তিদের মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, অবসাদ এবং উদরে
কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ।
৪. অন্যান্য কারণ : স্নায়বিক গণ্ডগােল, আধুনিক জীবনের দ্রুতগামী জীবনযাত্রা, গর্ভবতী মায়েদের ক্ষেত্রে কোলনের ওপর জরায়ুর চাপ ইত্যাদির ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়।


কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণঃ


1)শক্ত পায়খানা হওয়া;
2)পায়খানা করতে অধিক সময় লাগা;
3)পায়খানা করতে অধিক চাপের দরকার হওয়া;
4)মলদ্বারের আশপাশে ও তলপেটে ব্যথার অনুভব করা।


কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তির পথ্যতালিকা বা খাদ্যতালিকাই মূল বিবেচ্য বিষয়গুলি হল-
1)সঠিক সময়ে খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।
 2) পরিশােধিত খাদ্যের পরিবর্তে
3)তন্তসমৃদ্ধ জটিল কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।
4.) শাকসবজি, স্যালাড, খােসাসমেত ফল গ্রহণ করা উচিত।

 5)জল বা তরলজাতীয় খাদ্যগ্রহণ করা উচিত।
 6) ল্যাক্সেটিভ ও অ্যান্টাসিডের ব্যবহার পরিহার করা উচিত।
7)ভিটামিন B কমপ্লেক্স ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ করা উচিত
8)  তৈলাক্ত, ভাজাজাতীয় খাদ্য বর্জন করা উচিত।
9) বয়স্কদের ক্ষেত্রে ব্র্যান বা ইশবগুলের ভুসি দুধ সহযােগে রাতে শােওয়ার আগে খাওয়া উচিত।

 কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তির যেসব খাদ্য খাওয়া উচিত এবং যেসব খাদ্য বজন করা প্রয়ােজন:-

1. যেসব খাদ্য খাওয়া উচিত : আটার রুটি, শাকসবজি, মূল ও কন্দ, খােসাসমেত ডাল, বাদাম, অঙ্কুরিত ছােলা,মটর, খােসাসমেত ফল যেমন—পেয়ারা, আপেল, নাসপাতি, খেজুর, স্যালাড, টাটকা ফলের রস, সবজির স্টু বা স্যুপ, প্রচুর পরিমাণে জল, মাছ, মাংস, ডিম, ঈষদুয় দুধ, ব্র্যান বা ইশবগুলের ভুসি।।


2 যেসব খাদ্য খাওয়া অনুচিত: পালিশ করা আতপ চাল, পরিশােধিত শর্করাজাতীয় খাবার, কেক, মিষ্টি,
চকোলেট, তৈলাক্ত বা ভাজাজাতীয় খাবার, সাদা আটার রুটি।

এই পোষ্টটা কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন এবং এরকম আরো ভালো ভালো তথ্য পেতে ও নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের follow করুন🙏
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url