অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাচ্ছেন??এই খাবার গুলো খান চিন্তা থেকে মুক্তি পান
WhatsAp Group
Join Now
Telegram Group
Join Now
মেদাধিক্য কমানোর উপায়
ভুঁড়ি বা শরীরের বাড়তি মেদ কেউই পছন্দ করেন না। পেটে জমে থাকা বাড়তি মেদ খুব অস্বস্তিকর একটি সমস্যা। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষ এই সমস্যা শারীরিক সৌন্দর্য কে নষ্ট করে দেয়। সাধারণত খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম ও ব্যস্ত লাইফস্টাইলের জন্য ওবেসিটি বর্তমান সময়ে একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়মিত এই খাওয়ার অভ্যাসের কারণে শরীরে জমছে মেদ। আর এর ফলেই সৃষ্টি হচ্ছে নানা অসুখ-বিসুখের। কর্মব্যস্ত জীবন যাত্রায় অল্প বয়সেই স্থুলতার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই।
শুধু ফ্যাশন বা স্টাইলের জন্য নয় ভুঁড়ি বা মেদবহুল শরীর স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর।
চলুন জেনে নেওয়া যাক মেদাধিক্য রোগটা আসলে ঠিক কি?কি করনে হয় এবং এর প্রতিকার কি ?
মেদাধিক্য জিনিসটা কি?
মানবদেহের অ্যাডিপােজ কলায় অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বি সঞ্জিত হলে, যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে মেদাধিক্য বা
স্থূলতা বলেআদর্শ দৈহিক ওজনের চেয়ে 20% ওজন বেশি হলে ব্যক্তিকে থলকায় বা মেদবহুল বলা হয়।মেদাধিক্যের কারণ :
মেদবাহুল্যের কারণগুলি নিম্নরূপ-
1. পরিবারে বাবা ও মা উভয়েই মেদবহুল হয়ে থাকে, তাদের সন্তানদের মধ্যে 80 শতাংশের মেদবহুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যে পরিবারে শুধু মা বা শুধু বাবা মেদবহুল, তাদের সন্তানদের মধ্যে 50 শতাংশের মেদবহুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।2. বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের পরিশ্রম করার প্রবণতা হ্রাস পায়, ফলে অধিক ক্যালােরিসমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ করলে মেদ বৃদ্ধি পায়।
3 পুরুষদের ক্ষেত্রে 30 থেকে 35 বছর বয়সের মধ্যে এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে 45 থেকে 50 বছর বয়সের মধ্যে মেদ বৃদ্ধি ঘটে।
4. যদি কোনাে ব্যক্তি সারাদিন ধরে কিছু-না-কিছু খাদ্য
খাওয়ায় অভ্যস্ত হয় বা যদি কোনাে ব্যক্তির খুব অল্প সময়ে, খুব তাড়াতাড়ি, বেশি খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা থাকে বা যদি কোনাে ব্যক্তির সুস্বাদু খাদ্যের কাছে
থাকাকালীন অবস্থায় বা কোনাে খাদ্যের রান্নার সময় তার স্বাদ গ্রহণের প্রবণতা বেশি থাকে বা যেসব গৃহিণীর পরিবারের অন্য সদস্যদের দ্বারা নষ্ট করা খাবার ফেলে না দিয়ে বরং তা গ্রহণ করার প্রবণতা থাকে; তাহলে তাদের ক্ষেত্রে মেদবৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রবল।
5. দেহে কতকগুলি হরমােন, যেমন—থাইরক্সিন,
GTH, ACTH উপযুক্ত পরিমাণে নিঃসৃত না হওয়ার কারণে মেদ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
6. খুব কম পরিশ্রম করে বা সেরকম কিছু পরিশ্রম করে না, তারা যদি মিষ্টি বা চর্বিজাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে, তাহলে তাদের মেদবৃদ্ধি ঘটে।
7. অনেক বিত্তবান ব্যক্তি বিভিন্ন হােটেল, রেস্তোরাঁ বা পার্টিতে গিয়ে উচ্চ ক্যালােরিসম্পন্ন অত্যধিক খাদ্য গ্রহণ করে। এর ফলে তাদের মধ্যে মেদবহুলতা দেখা যায়।।
মেদবহুল বালক ও বালিকারা যে সব খাদ্য গ্রহণ করবে এবং বর্জন করবে তা হল----
1)যেসব খাদ্য খাওয়া উচিত ; সবুজ শাকসবজি, টক ফল, আটার রুটি, মাঠাতােলা দুধ, সবজির স্যালাড, ডিম,
কম চর্বিযুক্ত মাছ, মুরগির মাংস, শশা, ফুটি, টক দই।
যেসব খাদ্য খাওয়া অনুচিত : গুড়, মধু, মিষ্টি, জ্যাম, জেলি, পুডিং, কেক, আতা, বাদাম, খেজুর, মিষ্টি ফল,
অ্যালকোহল, ঠান্ডা পানীয়, আইসক্রিম, শরবত, ভাজা খাবার, তেল, ঘি, মাখন, পাঁঠার মাংস, অধিক চর্বিযুক্ত
মাছ।
মেদবহুল প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ক্ষেত্রে গ্রহণীয় ও বর্জনীয় খাদ্যসমূহ নিম্নরূপ-
1. অধিক গ্রহণীয় খাদ্য ; শশা, তরমুজ, ফুটি, গাজর, লাউ, কুমড়াে, মাখন তােলা দুধ, ছানা, চর্বিবিহীন মাংস ও মাছ, টাটকা সবজি ইত্যাদি।
2. স্বল্প-গ্রহণীয় খাদ্য : ভাত, আলু, আম, কলা, বাদাম, মটরশুটি, বিনস্ ইত্যাদি।
3. বর্জনীয় খাদ্য : তেল, ঘি, মাখন, চিনি, গুড়, মিষ্টি, জ্যাম, জেলি, আচার, চকোলেট, আইসক্রিম, পেস্ট্রি, শুকনাে
ফল ইত্যাদি।