অ্যালার্জির কারন ও প্রতিরোধের উপায়

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

                       -: অ্যালার্জি:-

অ্যালার্জি শব্দটির সাথে পরিচিত নন এমন লোক খুব কমই আছেন। এটি একটি গ্রিক শব্দ। এর অর্থ হলো পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া।
ম্যারাথন চুলকানি! হঠাৎ করেই আরম্ভ হয়। প্রথম কিছু কামড়েছে ভেবে অবহেলা করলেই চুলকানির দাপট দ্রুত বাড়তে থাকে। তখন ক্ষণিকের মধ্যে শরীরের কিছু স্থানে চাকাচাকা ফুসকুড়ি বেরিয়ে যায়। সেই স্থান লাল হয়ে ফুলে ওঠে। কয়েক ঘণ্টার ভোগান্তির পর হঠাৎ করেই সব গায়েব। হাঁফ ছেড়ে নিস্তার। কিন্তু এমন চুলকানির অ্যাটাক মাঝে মধ্যেই যত্রতত্র শুরু হয়ে যায় অনেকেরই। কমে যাচ্ছে ভেবে কিছুক্ষণ চুলকানি সহ্য করে নিলেই সমস্যার সমাধান মনে করেন। এতে আশ্বস্ত না হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া অত্যন্ত জরুরি।

অ্যালার্জি ও চুলকানি এর সম্পক:-

চুলকানি হল লক্ষণ আর অ্যালার্জি হল কারণ। যা অ্যালার্জেন্স ঘটিত। অর্থাৎ কোনও একটি বিশেষ উপাদান শরীর নিতে না পরলে তার প্রতিক্রিয়া অ্যালার্জি। অ্যালার্জিতে তাঁরাই বেশি আক্রান্ত যাঁদের রক্তে ইওসিনোফিলের মাপ বেশি। বেশিরভাগ সময় অ্যালার্জির ক্ষেত্রেও চুলকানিটা একটা লক্ষণ, কারণ শরীরের অ্যালার্জেনের প্রতিক্রিয়া বা বহিঃপ্রকাশ হল ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ জ্বালা-যেটা চুলকানির রূপে প্রকাশ পায়। এই চুলকানি শরীরে যে কোনও স্থানে হতে পারে।

অ্যালার্জি প্রতিরোধের উপায়:-

১. সব সময় সুতির পোশাক পরিধান করা।
2.যেসব খাবারে অ্যালার্জি হয় তা শনাক্ত করা ও বর্জন করা।
3.যেসব স্থানে ধুলো জমতে পারে, সেসব স্থান বন্ধ করে দেয়া।
4.আসবাবপত্র যেমন তুলো বা ছাবড়াযুক্ত আসবাবপত্র, উদ্ভিদ বা প্রাণী সজ্জিত খেলনা, কম্বল, পশমি কাপড়, ভেনেসমীয় খড়খড়ি, কার্পেট, জাজিম, পাপোস- এগুলোকে সাবধানে ও যত্ন সহকারে ধুলোমুক্ত রাখা এবং সম্ভব হলে বর্জন করা
5.বাইরে বেরোনোর সময় সব সময় মাস্ক বা মুখোশ ব্যবহার করা
6.অ্যালার্জিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ধুলোবালু থেকে সরিয়ে রাখা।
7. অ্যালার্জি সৃষ্টি করে এমন ওষুধ পরিহার করা।

অ্যালার্জি আছে এমন ব্যক্তির পথ্য

পরীক্ষানিরীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু কিছু প্রােটিনসমৃদ্ধ খাদ্য ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাদ্যের বিশেষ উপায়ে গুণ পরিবর্তন করে তার অ্যালার্জিক ক্ষমতা নষ্ট করে রােগীকে দেওয়া যেতে পারে।

যেমন—দুধে অ্যালার্জি হওয়া ব্যক্তিকে দুধ ভালােভাবে ফুটিয়ে দিলে,রােগীর অ্যালার্জি সৃষ্টি নাও হতে পারে।
অ্যালার্জি রােগীর পথ্য প্রস্তুতির সব থেকে ভালাে উপায় হল—রােগীর কোন্ কোন্ খাদ্যে অ্যালার্জি আছে তা জেনে নিয়ে সেই খাদ্য খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া এবং তার পরিবর্তে পরিপূরক খাদ্য রােগীকে পরিবেশন করা।
যেমন—দুধে অ্যালার্জি থাকলে দুধ ও দুধ থেকে প্রস্তুত খাদ্য খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। সেক্ষেত্রে
পরিপুরক খাদ্য হিসেবে সবুজ শাকসবজি, ফল, মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি রােগীকে দিতে হবে, যাতে রােগীর ভিটামিন,ক্যালােরি ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ হয়।
কোনাে ব্যক্তির একাধিক খাদ্যে অ্যালার্জি থাকলে, উক্ত খাদ্যগুলিকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে এবং কিছু দিন পর পরীক্ষা স্বরূপ রােগীকে ওই অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাদ্যগুলি আবার অল্প পরিমাণে দিতে হবে। রােগীর তা সহ্য হলে, তার পরিমাণ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে হবে। যদি তা সহ্য না হয়, তবে তা খাদ্যতালিকা থেকে একেবারে বা দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

এই পোষ্টটা কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন এবং এরকম আরো ভালো ভালো তথ্য পেতে ও নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের follow করুন🙏
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url