খাদ্য হিসেবে সয়াবিনের গুরুত্ব ও উপকারিতা

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

খাদ্য হিসেবে সয়াবিনের গুরুত্ব ও উপকারিতা

ভারতের অধিকাংশ অঞলেই দ্রারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা প্রচুর লােক বসবাস করে । এদের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটের চাহিদা উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে সহজেই পরণ করা সম্ভব । কিন্তু প্রাণীজ প্রােটিন অর্থাৎ মাছ , মাংস , ডিম ইত্যাদি সকলের সবসময় কেনার ক্ষমতা থাকে না । ফলে উদ্ভিজ্জ প্রােটিন দিয়ে সস্তায় এই চাহিদা পূরণ করলে তা দরিদ্র লোকেদের পক্ষে সহজলভ্য হয় । ডাল একটি প্রােটিনসমৃদ্ধ খাদ্য । ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণ ডাল উৎপন্ন ফলে তুলনামূলকভাবে এটি সস্তা । তাই প্রাণীজ প্রােটিনসমৃদ্ধ খাদ্যের পরিবর্তে অতি স্বচ্ছন্দে দরিদ্র ব্যক্তিদের কালিকায় ডাল রাখা যেতে পারে । দেখা গেছে , ডিম ও দুধের তুলনায় ডালে প্রােটিনের পরিমাণ বেশি থাকে । ডাল । গাঢ় আরও দুটি গুরুত্বপূণ ভাঙজ্জ প্রােটিনসমৃদ্ধ খাদ্য উপাদান হল সয়াবিন ও অঙ্কুরিত ছােলা । এই দুটি সম্পর্কে নীচে বিশদে আলােচনা করা হল ।


সয়াবিন : সয়াবিনে জীবদেহের পক্ষে প্রয়ােজনীয় প্রায় সব ধরনের অ্যামিনাে অ্যাসিড থাকে । এই কারণে রােজকার খাদ্যে সয়াবিন অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে প্রােটিনের চাহিদা অনেকাংশে পূর্ণ হয় । নীচে সয়াবিন সম্পর্কিত বিস্তারিত আলােচনা করা হল । 


 1 .সহজলভ্য খাদ্য হিসেবে সয়াবিনের গুরুত্ব : 


সয়াবিন হল স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত সহজলভ্য প্রােটিন এবং ফ্যাটযুক্ত একটি উত্তম । ক্যালােরিসমৃদ্ধ খাদ্য । প্রতি 100 g সয়াবিনে 446 kcal শক্তি , 30 . 16 g কার্বোহাইড্রেট , 36 . 49 g প্রােটিন এবং 19 . 94 g স্নেহপদার্থ থাকে | এ ছাড়া , 277 mg ক্যালশিয়াম , 15 . 7g লৌহ এবং 1 g ভিটামিন A থাকে । সয়াবিনে প্রােটিনের পরিমাণ অন্যান্য উদ্ভিজ্জ খাদ্যের তুলনায় অনেক বেশি । এতে মিথিওনিন এবং সিস্টিন ছাড়া অন্য প্রায় সকল প্রকার অপরিহার্য অ্যামিনাে অ্যাসিড বর্তমান । তবে সয়াবিনের মধ্যে কতকগুলি পুষ্টিবিরােধী উপাদান থাকে । এই উপাদানগুলিকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য 14 পাউন্ড চাপে 30 মিনিট ধরে সয়াবিনকে ফোটাতে হয় । এ ছাড়া , 125°C উয়তায় প্রায় 2 ঘণ্টা ধরে উচ্চচাপে ভাপের সাহায্যে সয়াবিনকে রান্না করলে , এর মধ্যেকার প্রােটিনের জৈবমূল্য বৃদ্ধি পায় । 


2  সয়াবিন থেকে প্রাপ্ত খাদ্য :


সয়াবিন থেকে বিভিন্ন প্রকারের খাদ্য দ্রব্য পাওয়া যায় যেমন--- 
সয়াবিনের দুধ : সয়াবিন থেকে দুধ পাওয়া যায় । ওই দুধের সঙ্গে কিছু পরিমাণ চিনি , ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ মিশিয়ে নিলে তার পুষ্টিগুণ অনেক বেশি বেড়ে যায় । এই দুধ শিশুদের পক্ষে বিশেষ উপযােগী । 

সয়াবিনের আটা ; সয়াবিন থেকে তিন ধরনের আটা প্রস্তুত করা যায় , যেমন — বেশি স্নেহপদার্থযুক্ত আটা , স্বল্প স্নেহপদার্থযুক্ত আটা এবং স্নেহপদার্থবিহীন আটা । এইসব আটা খাদ্যে প্রােটিনের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্যও ব্যবহূত হয় । সয়াবিনের আটা থেকে কেক ও উন্নতমানের পাউরুটি প্রস্তুত করা হয় । 


 অন্যান্য খাদ্য : সয়াবিন থেকে সয়াসস , মিশাে , ন্যাট্টো , টোফু নামক বিভিন্ন ধরনের খাদ্যও প্রস্তুত করা যায় ।



 3 সয়াবিনের উপকারিতা: 


 সয়াবিন রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ , বিশেষত লাে - ডেনসিটি লাইপােপ্রােটিন এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে । 

 এটি হৃদ্ - সংবহনতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে ।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url