পেলেগ্রা রোগের কারন, উপসর্গ ও চিকিৎসাPellagra: Symptoms, Causes, and Treatment
WhatsAp Group
Join Now
Telegram Group
Join Now
পেলেগ্রা রোগের কারন, উপসর্গ ও চিকিৎসা(Pellagra: Symptoms, Causes, and Treatment )
পেলেগ্রা: উপসর্গ,কারন, প্রতিকার |
ভিটামিন B বা নিকোটিনিক অ্যাসিড বা নায়াসিন - এর অভাবজনিত রােগ হল পেলেগ্রা।Pellagra Diseases due to vitamin B3 deficiency)
প্রাত্যহিক খাদ্যে ট্রিপটোফ্যান অ্যামিনাে অ্যাসিড বা নিকোটিনিক অ্যাসিড ( নায়াসিন ) -এর অভাবে যে অপুষ্টি দেখা দেয় , তার থেকে পেলেগ্রা ’ রােগ সৃষ্টি হয় । পেলেগ্রা ’ কথাটির অর্থ হল খসখসে চামড়া চিকিৎসাশাস্ত্র মতে , ‘ পেলেগ্রা ’ - কে চার D- এর অসুখ ’ বলা হয় । এই চারটি D- যুক্ত অসুখ হল —
- Dermatitis বা চর্মরােগ ,
- Diarrhoea বা পেটের রােগ
- Dementia বা মানসিক অবসাদ ।
- Death বা মৃত্যু ।একদম শেষ পর্যায়ে পৌঁছে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে
আমাদের দেশের গুজরাট , উত্তরপ্রদেশ , রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের গরিব মানুষদের মধ্যে Dementia বা মানসিক অবসাদ রােগটির প্রাদুর্ভাব বেশি ।
পেলেগ্রা রোগের কারণ |
পেলেগ্রা রোগের কারণ ( Causes of Pellagra)
- আমাদের দেশের যেসব অঞ্চলে খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বেশি হয় , সেখানে এই রােগটির প্রাদুর্ভাব সর্বাধিক ।
- মূলত ভুট্টার মধ্যে ট্রিপটোফ্যানের অভাবে এই রােগটি ঘটে । ঔ কয়েকটি অঞ্চলে গরিব মানুষের প্রধান খাদ্য ভুট্টা হওয়ার কারণেই এই রােগটি ঘটে ।
পেলেগ্রা রোগের লক্ষণ |
সাধারণ লক্ষণ : (Symptom of Pellagra)
- আক্রান্ত ব্যক্তির দৈহিক ওজন হ্রাস পায় ।
- ত্বক শুষ্ক এবং রক্তাভ হয় । বিশেষ করে ত্বকের যেসব অংশে সূর্যের আলাে পড়ে , সেই অংশগুলি শুষ্ক হয় ।
- ত্বকে ঘা বা প্রদাহ হয় ।
- পৌষ্টিকতন্ত্রের ক্রিয়া ব্যাহত হয় । অনেক সময় পাতলা দাস্ত হয় ।
- জিভে ঘা হয় , দেহে অবসাদ দেখা দেয় ।
- মাথার যন্ত্রণা এবং আবেগজনিত অস্থিরতা ঘটে
- স্বভাব খিটখিটে হয়ে যায় ।
পেলেগ্রা রোগের চিকিৎসা বা প্রতিকার |
প্রতিরােধমূলক ব্যবস্থা : (Treatment of Pellagra)
- পেলেগ্রা রােগ প্রতিরােধ করার জন্য খাদ্যের গুণগত ও পরিমাণগত ঘাটতি দূর করতে হবে ।
- যেসব অঞ্চলের মানুষের প্রধান খাদ্য ভুট্টা , সেইসব অঞ্চলে ভুট্টার পাশাপাশি ভাত , ডাল , দুধ ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে ।
- যথেষ্ট পরিমাণ নায়াসিন বা নিকোটিনামাইডসমৃদ্ধ খাদ্য , খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে ।
- উন্নত মানের প্রােটিন সমৃদ্ধ খাদ্য , যেমন — মাছ , মাংস , ডিম , দুধ ইত্যাদি যাতে সঠিক অনুপাতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় থাকে , সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে ।