জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়। মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়। মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর। Maddhaymike Life science Question answer
মাধ্যমিক জীববিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF 2021 |
জীব জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়
📚উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা এবং সাড়াপ্রদান:-
📚◼️ সংবেদনশীলতা -কোন নির্দিষ্ট বাহ্যিক বা অভ্যন্তরিন পরিবর্তন এর প্রভাবে জীবের সাড়া প্রদানের ক্ষমতা বা ধর্ম কে বোঝায় । 📚⚫⏺️◼️⬛📌🔹
🔹উদাহরণ:-লজ্জাবতী লতার পাতাকে স্পর্শ করলে এই উদ্ভিদের পত্রফলকগুলি নুয়ে পড়ে ।
◼️ উদ্দীপক -পরিবেশের যেসব পরিবর্তনগুলি জীবের দ্বারা শনাক্ত হয় এবং যাদের উপস্থিতিতে জীব সাড়া প্রদান বা তার ধর্ম বা আচরণ দেখায় তাদের উদ্দীপক বলে ।
উদ্দীপক প্রধানত দুই প্রকার হয়-------
Ø বাহ্যিক উদ্দীপক- জীবদের বাইরে বা বাহ্যিক পরিবেশে উৎপন্ন উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় । যেমন -
Ø অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক- জীবদেহের ভিতরে বা অভ্যন্তরীণ পরিবেশে উৎপন্ন উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদেহে উদ্দীপনা সৃষ্টি হয় যেমন - উদ্ভিদের মধ্যে অবস্থিত বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে ঘটে ।
📚উদ্ভিদের চলন:-
◼️চলন- যে প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপকের উপস্থিতিতে দেহের অঙ্গ পতঙ্গের বা কোন অংশের সঞ্চালন ঘটায় কিন্তু কোনরকম স্থান পরিবর্তন করে না।
উদ্ভিদের চলনের প্রকারভেদ-
· ট্যাকটিক চলন
· ট্রপিক চলন
· ন্যাস্টিক চলন
⚫ট্যাকটিক চলন:- পরিবেশের কোন উদ্দীপকের প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ।
বৈশিষ্ট্য:-
ü উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে ।
ü পরিবেশের কোন উদ্দীপক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।
ü সিলিয়া বা ফ্ল্যাজেলা ট্যাকটিক চলনে সহায়তা করে ।
ট্যাকটিক চলন বিভিন্ন প্রকারের হয়---
· ফোটোট্যাকটিক-আলোর অভিমুখে চলন
· কেমোট্যাকটিক-রাসায়নিক পদার্থের অভিমুখে চলন
· থার্মোট্যাকটিক-উষ্ণতার অভিমুখে চলন
· হাইড্রোট্যাকটিক-জলের অভিমুখে চলন
Ø ফোটোট্যাকটিক চলন-আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন কে ফোটোট্যাকটিক চলন বলে
🔹উদাহরণ- ক্ল্যামাইডোমোনাস,ভলভক্স ।
Ø কেমোট্যাকটিক চলন-রাসায়নিক পদার্থের উদ্দীপকের প্রভাবে সামগ্রিক চলন কে কেমোট্যাকটিক চলন বলে ।
Ø থার্মোট্যাকটিক চলন-উষ্ণতার উদ্দীপকের প্রভাবে উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন কে থার্মোট্যাকটিক চলন ।
Ø হাইড্রোট্যাকটিক চলন-জলের অভিমুখে উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন কে বলা হয় হাইড্রোট্যাকটিক চলন ।
⚫ট্রপিক চলন: উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন বহিস্থ বা বাহ্যিক উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন তাকে ট্রপিক চলন বা ট্রপিজম বলে ।
বৈশিষ্ট্য:-
ü ট্রপিক চলনের ফলে উদ্ভিদের অঙ্গে বক্রতা বা বাঁকের সৃষ্টি হয় ।
ü ট্রপিক চলন পরিবেশের যেকোনো বহিঃস্থ উদ্দীপক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।
ü উদ্ভিদের বৃদ্ধি প্রাপ্ত যুক্ত অঞ্চল বা বর্ধনশীল অঞ্চলে ঘটে ।
ট্রপিক চলন বিভিন্ন প্রকারের হয়------
v ফটোট্রপিক চলন- উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন আলোক উৎসের গতিপথ অনুসারে ঘটে তখন তাকে ফটোট্রপিক চলন বলে ।
উদাহরণ-অন্ধকার ঘরে লাগানো কোন চারা গাছ আলোর উৎসের গতিবেগ অনুসারে বাড়ির জানালা দিয়ে বা সূর্যের আলো প্রবেশ করে এমন যেকোনো স্থান দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে ।
ফটোট্রপিক চলনে উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা আলোর উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায় বলে, উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা আলোক অনুকূলবর্তী এবং উদ্ভিদের মূল আলোর বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায় বলে, উদ্ভিদের মূল আলোক প্রতিকূলবর্তী ।
v জিওট্রপিক চলন- উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন পৃথিবীর অভিকর্ষের গতিপথ অনুসারে ঘটে তখন তাকে জিওট্রপিক চলন বলে ।
উদাহরণ-উদ্ভিদের মূল সব সময় মাটির নিচে থাকে বা অভিকর্ষর দিকে বৃদ্ধি পায় ।
জিওট্রপিক চলনে উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা পৃথিবীর অভিকর্ষের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায় বলে, উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী। এবং উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষের দিকে বৃদ্ধি পায় বলে, উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষ অনুকূলবর্তী ।
v হাইড্রোট্রপিক চলন- উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন জলের উৎসের গতিপথ অনুসারে ঘটে তখন তাকে হাইড্রোট্রপিক চলন বলে ।
উদাহরণ-উদ্ভিদের মূল জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায় ।
হাইড্রোট্রপিক চলনে উদ্ভিদের কান্ড জলের উৎসের বিপরীত দিকে বৃদ্ধি পায় বলে, উদ্ভিদের কান্ড ও শাখা-প্রশাখা জল প্রতিকূলবর্তী। এবং উদ্ভিদের মূল জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায় বলে, উদ্ভিদের মূল জল অনুকূলবর্তী ।
⚫ন্যাস্টিক চলন:- উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে না ঘটে উদ্দীপকের তীব্রতার প্রভাবে ঘটে তখন তাকে ন্যাস্টিক চলন বলে ।
⬛উদ্দীপকের প্রকৃতি অনুসারে ন্যাস্টিক চলন বিভিন্ন প্রকারের হয়—
Ø ফটোন্যাস্টিক চলন- উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন আলোর তীব্রতার প্রভাবে ঘটে ,তখন তাকে ফোটোন্যাস্টিক চলন বলে । যেমন- পদ্ম সূর্যমুখী ইত্যাদি ফুলগুলি
তীব্র আলোতে ফোটে এবং সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় ।
Ø থার্মোন্যাস্টিক চলন- উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন আলোর তীব্রতার প্রভাবে ঘটে ,তখন তাকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে । যেমন- টিউলিপ ফুল স্বাভাবিক উষ্ণতায়
ফোটে এবং উষ্ণতা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায়।
Ø সিসমোন্যাস্টিক চলন- উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন আঘাত স্পর্শ বা ঘর্ষণ জনিত তীব্রতার প্রভাবে ঘটে ,তখন তাকে সিসমোন্যাস্টিক চলন বলে । যেমন- লজ্জাবতী গাছের
পাতায় সিসমোনাস্টিক চলন দেখা যায় ।
Ø কেমোন্যাস্টিক চলন-উদ্ভিদ অঙ্গের বক্র চলন যখন রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতার প্রভাবে ঘটে তখন তাকে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে ।
যেমন- সূর্যশিশির,ডায়োনিয়া প্রভৃতি ।
Ø নিকটিন্যাস্টি চলন -যখন উদ্ভিদ অঙ্গের চলন আলো ও উষ্ণতা উভয় প্রকার উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা প্রভাবিত হয় তখন তাকে নিকটিন্যাস্টি চলন বলে ।
যেমন -প্রখর আলো ও উষ্ণতায় তেতুল পাতা খুলে যায় ।
⚫বৃদ্ধিজ চলন:- উদ্ভিদের বৃদ্ধি প্রাপ্ত যুক্ত অঞ্চল বা বর্ধনশীল বর্ধনশীল অংশে অসমান বৃদ্ধির মাধ্যমে যে চলন সম্পন্ন হয় তাকে বৃদ্ধিজ চলন বলে বৃদ্ধিজ চলন ।
⚫প্রকরণ চলন-কোষের রসস্ফীতির তারতম্যের জন্য উদ্ভিদের পরিণত অংশে যে চলন দেখা যায় তাকে প্রকরণ চলন বলে
⬛ট্যাকটিক চলন ,ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন পার্থক্য
ট্যাকটিক চলন | ট্রপিক চলন | ন্যাস্টিক চলন |
এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সমগ্র দেহের স্থান পরিবর্তন ঘটে | এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সমগ্র দেহের স্থান পরিবর্তন ঘটে | এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সমগ্র দেহের স্থান পরিবর্তন ঘটে না |
এই প্রকার চলন উদ্দীপকের উৎস ও গতিপথ উভয়ের তীব্রতা প্রভাবে ঘটে | এই প্রকার চলন উদ্দীপকের উৎসের দিক অথবা উৎসের বিপরীত দিকে ঘটে | এই প্রকার চলন শুধুমাত্র উদ্দীপকের তীব্রতার উপর নির্ভর করে |
উদ্ভিদের চলন সমগ্র উদ্ভিদের ঘটে | উদ্ভিদের চলন অপরিণত বর্ধনশীল অঙ্গে ঘটে | উদ্ভিদের চলন পরিণত উদ্ভিদে অংশ |
উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে না | উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে | উদ্ভিদ অঙ্গের বৃদ্ধি ঘটে না |
চলনের অভিমুখ হল সরল | চলনের অভিমুখ হল সরল | পালনের অভিভাবক হলো বক্র |
এই চলনে অক্সিন এর কোন প্রভাব নেই | এই চলনে অক্সিন এর প্রভাব আছে | এই চলনে অক্সিন এর কোন প্রভাব নেই |
Ø হরমোন হলো এক প্রকার অভ্যন্তরীণ উদ্দীপক ।
Ø ট্রপিক চলনের অপর নাম হল দিক নির্নীত চলন ।
Ø ট্যাকটিক চলন একমাত্র এককোষী উদ্ভিদের দেখা যায় ।
Ø দিনের বেলায় পুকুরের জল সবুজ দেখায় এটি ফটোট্যাকটিক চলনের জন্য ঘটে
Ø শীতকালীন পর্ণমোচী বৃক্ষ হল ফোরসাইথিয়া ।
Ø লজ্জাবতী বিজ্ঞানসম্মত নাম মাইমোসা পুডিকা ।
Ø বনচাঁড়ল গাছের পাতা হল ত্রিফলকযুক্ত ।
Ø বনচাঁড়ল উদ্ভিদটি 'ভারতীয় টেলিগ্রাফ উদ্ভিদ' নামে পরিচিত ।
Ø উদ্ভিদের পাতা আলোর প্রভাবে তির্যকভাবে বৃদ্ধি পায় এটি আলোক তির্যকবর্তী চলন ।
Ø আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ক্রেসকোগ্রাফ যন্ত্রপ্রভাবে আবিষ্কার করেন ।
Ø ক্রেসকোগ্রাফ এর সাহায্যে উদ্ভিদের সামান্য সাড়াপ্রদানের ঘটনাও পরিমাপ করা যায় ।
Ø বিজ্ঞানী বসু এই যন্ত্রের সাহায্যে লজ্জাবতী লতা ও বনচাঁড়াল উদ্ভিদের সাড়াপ্রদান-সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষা করেন ।
Ø উদ্ভিদের কান্ড শাখা-প্রশাখা হলো আলোক অনুকূলবর্তী ।
Ø উদ্ভিদের মূল হল আলোক প্রতিকূলবর্তী ।
Ø উদ্ভিদের মূল হলো অভিকর্ষ অনুকূলবর্তী ।
Ø উদ্ভিদের কাণ্ড শাখা-প্রশাখা হলো অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী ।
Ø সুন্দরী গাছের শ্বাসমূলের চলন হল অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী ।
Ø উদ্ভিদের কাণ্ড শাখা-প্রশাখা হলো জল প্রতিকূলবর্তী ।
Ø উদ্ভিদের মূল হল জল অনুকূলবর্তী ।
Ø ন্যাস্টিক চলন উদ্দীপকের তীব্রতার প্রভাবে ঘটে ।
Ø লজ্জাবতী গাছের পাতায় সিসমোনাস্টিক চলন দেখা যায় ।
Ø ক্ল্যামাইডোমোনাস ভলভক্স এর ফটো ট্যাকটিক চলন দেখা যায় ।
Ø তেঁতুল গাছের পাতার পত্র ফলক গুলো কম আলোতে বন্ধ হয়ে যায় ।
Ø পদ্ম সূর্যমুখী ইত্যাদি ফুলগুলি তীব্র আলোতে ফোটে এবং সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় ।
Ø টিউলিপ ফুল স্বাভাবিক উষ্ণতায় ফোটে এবং উষ্ণতা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় ।
Ø সিম গাছের পাতা অধিক উষ্ণতায় বন্ধ হয়ে যায় ।
Ø আমরুল,বাবলা প্রভৃতি গাছের নিকটিন্যাস্টিক চলন দেখা যায় ।
Ø কেমোন্যাস্টিক চলন উদাহরণ-সূর্যশিশির ও ডায়োনিয়া উদ্ভিদের ক্ষেত্রে পতঙ্গকে ঘিরে ফেলে খাদ্যরূপে গ্রহন করে।
Ø সিমোন্যাস্টিক চলন উদাহরণ-লজ্জাবতী লতা-কে স্পর্শ করা মাত্রই পাতার পত্রকগুলি সঙ্গে সঙ্গে মুড়ে যায়।
Ø সূর্যশিশির,ডায়োনিয়া প্রভৃতি হল পতঙ্গভুক উদ্ভিদ ।
Ø পতঙ্গভুক উদ্ভিদের কেমোন্যাস্টিক চলন দেখা যায় ।
Ø অক্সিন হরমোন ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে ।
Ø ট্যাকটিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থানান্তর ঘটে ।
Ø ফোটোন্যাস্টিক চলনের উদাহরণ- জুঁই ফুলের পাপড়ি রাতের বেলায় প্রস্ফুটিত হয় ।
Ø পতঙ্গভুক উদ্ভিদের চলন কে বলে কেমোন্যাস্টিক চলন ।
Ø গমনে সক্ষম জীব হল ক্ল্যামাইডোমোনাস ।
Ø বনচাঁড়ালের পার্শ্বপত্রে প্রকরণ চলন দেখা যায় ।
Ø টিউলিপ ফুলের উন্মোচন হল একপ্রকার থার্মোন্যাস্টিক চলন ।
Ø উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা সংক্রান্ত আবিষ্কারের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী হলেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস ।
Ø উদ্ভিদের সাড়া পরিমাপক যন্ত্রটি হল ক্রেসকোগ্রাফ ।
১)সংবেদনশীলতা বলতে কি বোঝ?
উঃ-উদ্দীপকের প্রভাবে জীবদের সাড়া প্রদানের ক্ষমতাকে সংবেদনশীলতা বলে।
২)কোন কোন উদ্ভিদের গমন দেখা যায়?
উঃ-ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলভক্স, ডায়াটম
৩)একটি অভ্যন্তরীণ উদ্দীপকের উদাহরণ দাও?
উঃ-হরমোন
৪)রোটেশন লক্ষ্য করা যায় কোন উদ্ভিদে?
উঃ-পাতা শেওলার পাতার কোষে
৫)সার্কুলেশন লক্ষ্য করা যায় কোন উদ্ভিদে?
উঃ-কুমড়ো গাছের কান্ডের রোমে
৬)প্রকরণ চলন লক্ষ্য করা যায় কোন উদ্ভিদে?
উঃ-বনচাঁড়াল
৭)কোন বিজ্ঞানী উদ্ভিদের সংবেদনশীলতা সংক্রান্ত ঘটনা প্রমাণ করে দেখান?
উঃ-আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
৮) রসস্ফীতির কারণে যে চলন ঘটে তাকে কি বলে?
উঃ-প্রকরন চলন
৯)উদ্ভিদের কয় প্রকার চলন লক্ষ্য করা যায়?
উঃ-ট্যাকটিক, ট্রপিক, ন্যাস্টিক
১০)ট্যাকটিক চলন:-উদ্দীপকের তীব্রতা ও গতিপথ উভয়ের প্রভাবে ঘটে
১১)ট্রপিক চলন:-উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হয়
১২) ন্যাস্টিক চলন:-উদ্দীপকের তীব্রতার উপর নির্ভর করে কিন্তু গতিপথের উপর নির্ভরশীল নয়
১৩)কোন প্রকার চলন হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়?
উঃ-ট্রপিক চলন (অক্সিন হরমোন দ্বারা)
১৪)কোন প্রকার চলনকে সামগ্রিক চলন বলা হয়?
উঃ-ট্যাকটিক চলন
১৫)নিকোটিন্যাস্টি চলন কোন উদ্ভিদে লক্ষ্য করা যায়?
উঃ-তেঁতুল গাছের পাতায়
১৬)ট্রপিক চলন কয় প্রকার?
উঃ-তিন প্রকার (ফটোট্রপিক, হাইড্রোট্রপিক, জিওট্রপিক)
১৭)ন্যাস্টিক চলন কয় প্রকার?
উঃ-পাঁচ প্রকার (ফোটোনাস্টিক, থার্মোন্যাস্টিক, সিসমোন্যাস্টিক, নিকোটিন্যাস্টিক, কেমোন্যাস্টিক)
১৮)নেগেটিভ জিওট্রপিক চলন দেখা যায় কোন উদ্ভিদে?
উঃ-সুন্দরী গাছে
১৯)ট্যাকটিক চলন লক্ষ্য করা যায় এমন একটা উদ্ভিদের নাম লেখ?
উঃ-ফার্ন গাছ
২০)উদ্ভিদ হরমোনের উৎস কোথায়?
উঃ-বর্ধনশীল অঙ্গের ভাজক কলায়
২১)উদ্ভিদ হরমোন কয় প্রকার?
উঃ-তিন প্রকার (অক্সিন, জিব্বেরেলিন, সাইটোকাইনিন)
২২) উদ্ভিদের নাইট্রোজেন বিহীন হরমোন কোনটি?
উঃ-জিব্বেরেলিন
২৩)উদ্ভিদের অম্লধর্মী হরমোন কোনটি?
উঃ-অক্সিন
২৪)উদ্ভিদের ক্ষারীয় হরমোন কোনটি?
উঃ-সাইটোকাইনিন
২৫)একটি প্রকল্পিত হরমোনের নাম লেখ?
উঃ-ফ্লোরিজেন
২৬)কোন বিজ্ঞানী উদ্ভিদদেহে হরমোনের উপস্থিতি জানতে পারেন?
উঃ-চার্লস ডারউইন,1881সালে (আলোকবৃত্তি পরীক্ষা থেকে)
২৭)অক্সিন হরমোনের আবিস্কারক কে?
উঃ-ভেন্ট(Went,1928)
২৮)উদ্ভিদ হরমোনের পরিবহনের ধরন কি?
উঃ- ব্যাপন প্রক্রিয়ায়, জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে বাহিত হয়
২৯)অক্সিন হরমোনের রাসায়নিক নাম কি?
উঃ-ইন্ডোল অ্যাসিটিক অ্যাসিড (IAA)
৩০)কোন হরমোন অগ্রস্থ প্রকটতা ঘটায়?
উঃ-অক্সিন
৩১)একটি গ্যাসীয় হরমোনের নাম লেখ?
উঃ-ইথিলিন
৩২)জিব্বেরেলিন হরমোনের রাসায়নিক নাম কি?
উঃ- জিব্বেরেলিক অ্যাসিড (GA)
৩৩)জিব্বেরেলিক অ্যাসিডের আবিস্কারক কে?
উঃ-ক্যুরোশোয়া
৩৪)নারকেলের তরল সস্যে কোন অ্যাসিড থাকে?
উঃ-সাইটোকাইনিন
৩৫)পার্থেনোকার্পি কি?
উঃ-বীজবিহীন ফল সৃষ্টি হওয়াকে পার্থেনোকার্পি
৩৬)অক্সিনের রাসায়নিক প্রকৃতি:- ইন্ডোল বর্গযুক্ত
৩৭)জিব্বেরেলিনের রাসায়নিক প্রকৃতি:- টরপিনয়েড বর্গযুক্ত
৩৮)সাইটোকাইনিনের রাসায়নিক প্রকৃতি:- পিউরিন জাতীয়
৩৯)অক্সিনের পরিবহনের প্রকৃতি:- নিম্নমুখী
৪০)জিব্বেরেলিনের পরিবহনের প্রকৃতি:- উভমুখী
৪১)সাইটোকাইনিনের পরিবহনের প্রকৃতি:- সবদিকে
৪২)প্রাণী হরমোনের উৎস কি?
উঃ-অন্তক্ষরা গ্রন্থি
৪৩)প্রানী হরমোনের প্রকৃতি কিরুপ?
উঃ-প্রোটিন, অ্যামাইনো বা স্টেরয়েডধর্মী
৪৪)প্রাণী হরমোন কার মাধ্যমে পরিবাহিত হয়?
উঃ- রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে
৪৫)স্টেরয়েডধর্মী প্রাণী হরমোন কোনগুলি?
উঃ-টেস্টোস্টেরন, প্রোজেস্টেরন
৪৬)TSH এর পুরো নাম কি?
উঃ- Thyroid stimulation hormone
৪৭)TRH এর পুরো নাম কি?
উঃ- থাইরোট্রফিন রিলিজিং হরমোন
৪৮)কতকগুলি অন্তক্ষরা গ্রন্থির উদাহরণ দাও?
উঃ- পিটুইটারি, থাইরয়েড, অগ্ন্যাশয়, অ্যাড্রিনাল, জনন গ্রন্থি
৪৯)কোন গ্রন্থিকে মিশ্রগ্রন্থি বলা হয়?
উঃ-অগ্ন্যাশয়
৫০)জনন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন কোনগুলি?
উঃ- টেস্টোস্টেরন (পুরুষদের); প্রোজেস্টেরন (মহিলাদের)