আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থের ভূমিকা। ইতিহাসের ধারনা
আধুনিক ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক রচনা সম্পর্কে আলােচনা করাে ।
উত্তর :-
ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা
ভূমিকা : আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনার যেসব উপাদান রয়েছে সেগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হল বিভিন্ন আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক রচনা ।
[ 1 ] প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ : বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের প্রত্যক্ষ করা বিভিন্ন ঘটনাবলি প্রসঙ্গক্রমে তাদের লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথামূলক রচনায় উল্লেখ করে থাকেন । সরকারি নথিপত্রে উল্লেখ নেই এমন বহু ঘটনার উল্লেখ এসব রচনায় পাওয়া যায় । এসব তথ্য আধুনিক ভারতের ইতিহাস রচনা করতে বিশেষ সহায়তা করে ।
[ 2 ] রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের রচনা : ব্রিটিশ শাসনকালে ভারতের বিভিন্ন জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায় ব্রিটিশ শাসনকালের নানা ঐতিহাসিক তথ্য পাওয়া যায় । এরূপ কয়েকটি উল্লেখযােগ্য আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা হল বিপিনচন্দ্রের পালের ‘ সত্তর বৎসর ’ , মহাত্মা গান্ধির ‘ দ্য স্টোরি অব মাই এক্সপেরিমেন্ট উইথ টুথ ’ , সুভাষচন্দ্র বসুর ‘ অ্যান ইন্ডিয়ান পিলগ্রিম ’ ( অসমাপ্ত ) , জওহরলাল নেহরুর ‘ অ্যান অটোবায়ােগ্রাফি , ড . রাজেন্দ্রপ্রসাদের ‘ আত্মকথা ' , মুজাফফর আহমেদের ‘ আমার জীবন ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ( ১৯২০-২৯ খ্রি . ) , মণিকুন্তলা সেনের ‘ সেদিনের কথা ’ , জ্যোতি বসুর যতদূর মনে পড়ে প্রভৃতি ।
[ 3 ] অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের রচনা : বিভিন্ন অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের লেখা আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথায়ও আধুনিক ভারতের ইতিহাসের বিভিন্ন উপাদান পাওয়া যায় । এরূপ রচনাগুলির মধ্যে অন্যতম হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ জীবনস্মৃতি ’ , সরলা দেবী চৌধুরানির ‘ জীবনের ঝরাপাতা ’ , নিরােদ সি চৌধুরীর ‘ অটোবায়ােগ্রাফি অব অ্যান আননােন ইন্ডিয়া ’ , দক্ষিণারঞ্জন মুখােপাধ্যায়ের ‘ ছেড়ে আসা গ্রাম ’ প্রভৃতি ।