কীভাবে পড়লে চাকরির পরীক্ষায় মিলবে সাফল্য? জানুন, গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস
আজ আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি চাকরি পরীক্ষায় সাফল্য লাভের সহজ পদ্ধতি বা কৌশল।আজকের এই পোস্টটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে যে কোন চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করা যায়।
6 Success tips in Bengali |
ভয় পাবেন না পরীক্ষার আগে। প্রতি বছর লক্ষাধিক পড়ুয়া চাকরির পরীক্ষায় বসেন। পাশ করেন মাত্র তিন থেকে চার শতাংশ। ভয় পাওয়ার কোনও দরকার নেই।অনেকেই বলে টাকা ছাড়া সরকারি চাকরি পাওয়া প্রায় অসম্ভব । কিন্তু আপনি যদি নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে চাকরি আপনাকে খুজবে । মূল কথা হলো আপনাকে সকল বিষয়ের উপর পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে । সাধারণ যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি চাকুরির জন্য নির্দিষ্ট সিলেবাস আছে । এই সিলেবাস অনুযায়ী বিভিন্ন বই পড়তে হবে ।এই পরীক্ষা কিন্তু খুব কঠিন নয়। কীভাবে পড়াশোনা করলে ভালো ফল পাবেন? তার উত্তর আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।চলুন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
প্রতিদিন পড়াশোনার সঙ্গে লেগে থাকুন।:
আপনাকে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে।এই বিষয়টা মাথায় গেঁথে নিন। রোজ নিয়ম করে পড়াশোনা করাটা জরুরি। ফাঁকি দিলে কিন্তু নিজেই ফাঁকিতে পড়বেন। একটা রুটিন করে নিন। সেই রুটিন মেনে নিয়মিত পড়াশোনা করুন। এই ভাবে পড়তে থাকলে যে কোনো পরীক্ষা ক্র্যাক করে ফেলবেন অনায়াসে।
প্রতিদিন প্র্যাকটিস দরকার:
আপনি প্রথমে যে সব পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছেন সেইসব পরীক্ষার বিগত বছরগুলির প্রশ্নপত্র জোগাড় করুন। বিগত বছরের প্রশ্নপত্র সমাধান করার অভ্যাস থাকলে পরীক্ষার দিন পরীক্ষা দিতে সুবিধা হবে কোন রকম ভয় থাকবে না। আপনি প্রতিদিন প্রশ্নপত্র সমাধান করতে করতে বুঝতে পারবেন আপনি কতটা তৈরি হয়েছেন পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। আপনি যখন দেখবেন আপনি অনেক প্রশ্নই পারছেন তখন আপনার মনোবল বাড়বে। আপনার পরীক্ষার প্রতি যে ভয় তৈরি হয়েছে সেটাও কেটে যাবে।
প্রতি সপ্তাহে রিভিশন করুন:
প্রতিদিন যে কোনো বিষয়ের যতটুকু পড়বেন বা এক সপ্তাহের মধ্যে যতটা পড়া হবে ততটা পড়া পুনরায় সপ্তাহের শেষে রিভিশন করবেন তাহলে পুরনো পড়া অনেক দিন মনে থাকবে এবং যেকোনো পরীক্ষায় ভালো ভাবে পরীক্ষা দিতে অনেক সাহায্য হবে।প্রতিনিয়ত রিভিশন চালিয়ে যান দেখবেন অনেক সাহায্য হবে এবং পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করা সহজ হবে।
পরীক্ষার দিন আপনার মাথায় অনেকটা চাপ পড়তে পারে। যাতে সেটা না হয়, সেই জন্য বিভিন্ন জায়গায় মক টেস্ট দিতে পারেন।আমাদের ওয়েবসাইট থেকেও প্রতিদিন মাত্র দিতে পারেন। আমরা প্রতিটি বিষয়ের উপর প্রতিদিন মক টেস্ট নিয়ে থাকি। নিয়মিত মক টেস্ট দিতে থাকলে পরীক্ষার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যাবে। আপনার যতটা পড়া হবে তার উপর প্রতিদিন মকটেস্ট অথবা যেকোনো মকটেস্ট এ অংশগ্রহণ করবেন তাহলে মক টেস্টের মাধ্যমে অনেক অজানা প্রশ্ন জানতে পারবেন যেগুলো পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।তাছাড়া প্রতিদিন নিয়মিত মক টেস্ট দলে আপনার স্পিড বাড়বে এবং মূল পরীক্ষার জন্য আপনি কতটা তৈরি সেটাও বুঝতে পারবেন।
প্রতিদিন MOCK TEST দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে
অনলাইন পড়াশোনা:
আপনি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বেরিয়ে ইন্টারনেটে আপনি পড়াশোনাও সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন এটা সত্যি কথা। একটি মাত্র ক্লিকেই যখন যা দরকার তখন সেটা মিলবে। কিন্তু পড়াশোনা চলাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশন বন্ধু রাখতে হবে না হলে এতে আপনার মনোযোগ নষ্ট হয়ে যাবে এক মুহূর্তে।অনলাইন থেকে যে সমস্ত নোটপত্র পাবেন সেগুলো পিডিএফ প্রিন্ট আউট অথবা খাতায় লিখে নেবেন । এবং পারলে পড়াশোনা সময়টুকু ফোনটা সুইচ অফ করে রাখুন।এতে আপনার পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ বাড়বে।
বিনামূল্যে যেকোন চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ নোটপত্র ও বইয়ের পিডিএফ পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ভিজিট করুন
পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম :
এই পরীক্ষা ভীষণ কঠিন। এই ব্যাপারটা আপনার মাথায় গেঁথে নিয়েছেন। ফলে নাওয়া -খাওয়া ভুলে সারাদিন সারারাত পড়াশোনা করছেন। এমন করলে কিন্ত্ত শরীর ভেঙে যাবে। একজন সুস্থ স্বাভাবিক ব্যক্তির জন্য দৈনিক 8 ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। যারা অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কমপক্ষে মিনিমাম 6 ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম মানুষের ব্রেইনকে সুস্থ রাখে ও স্মৃতিশক্তি ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। রাতে ৬ ঘন্টা ঘুমাতেই হবে এটা বুঝে নিন। সুস্থ থাকলে তবেই না ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন।
স্বাস্থ্যের যত্ন: আপনাকে ঘুমের মতো খাওয়াদাওর প্রতিও যত্নশীল হতে হবে । আপনাকে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তাছাড়া জল খেতে হবে যথেষ্ট পরিমাণে। এতে দেহ হাইড্রেটেড থাকবে। পড়াশোনার ফাঁকে খাওয়াদাওয়া সেরে নিন। বাদাম , অ্যাভোকাডো কিংবা পপকর্নের মতো স্ন্যাকস কিন্তু বেশ ভালো অপশন। জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলা ভালো।
সব সময় মনে রাখবেন শরীর এবং মন ভাল না থাকলে আমাদের পড়াশোনা বা যেকোনো কাজের প্রতি মনোযোগ থাকবে না
Valo
একদম ঠিক বলেছেন দাদা
ভালো লাগলো দাদা