পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Geography 3rd chapter question in bengali

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় নবম শ্রেণির ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Geography 3rd chapter question in bengali pdf

 

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি  নবম শ্রেণির ভূগোলের তৃতীয় অধ্যায় পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় প্রশ্ন উত্তর PDFClass IX Geography third chapter question Pdf in bengali | WB Class Nine Geography question in bengali | WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে | নবম শ্রেণি ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Geography 3rd chapter important Question in Bengali Pdf  ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।


পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় নবম শ্রেণির ভূগোলের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।


পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় mcq প্রশ্ন

1.



নবম শ্রেণি ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]

নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর

1.





নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর

1নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত (Great Circle) বলে কেন?

পৃথিবীর ওপর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর মাঝ বরাবর ও সমদূরত্বে পূর্ব-পশ্চিমে যে রেখাটি কল্পনা করা হয়েছে, তাকে রক্ষরেখা বলে। এটি একটি পূর্ণবৃত্ত এবং সবচেয়ে বড়াে পরিধির বৃত্ত। সেইজন্য নিরক্ষবৃত্তকে মহাবৃত্ত বলে। মহাবৃত্ত বরাবর পৃথিবীকে কাল্পনিকভাবে কাটলে পৃথিবী সমান দুইভাগে বিভক্ত হবে।মহাবৃত্তের অক্ষাংশ ০° |


2.নিরক্ষরেখা অপর নাম বিষুবরেখা কেন?

উত্তর বিষুব’ কথাটির অর্থ সমান। নিরক্ষরেখার ওপর বছরের প্রতিটি দিন সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্বভাবে পড়ে বলে।দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয়। তার্থাৎ, 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি সেই কারণে এই রেখাটির অপর এক নাম বিষুবরেখা।


3.সমাক্ষরেখা কাকে বলে?

উত্তর ভূগােলকের ওপর একই অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থান বিন্দুগুলিকে পরপর যুক্ত করে যে রেখাটির সৃষ্টি হয়, তাকে সমাক্ষরেখা বলে। অর্থাৎ, সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট রেখাকে সমাক্ষরেখা বলা হয় এবং একই

সমাক্ষরেখার ওপর অবস্থিত প্রতিটি স্থানের অক্ষাংশ একই (সমান)।


4.অক্ষাংশ (Latitude) কাকে বলে? * * [ME 09, 05]

উত্তর। উভয় গােলার্ধে নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে বা দক্ষিণে পৃথিবীর কোনাে স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের অক্ষাংশ বলে। অর্থাৎ,নিরক্ষরেখার উত্তর বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনাে স্থান পৃথিবীর

নিরক্ষরেখাকেন্দ্রে নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে, তাকে অক্ষাংশ বলে। 


উদাহরণস্বরূপ-কলকাতার অক্ষাংশ 22°34'উত্তর বলতে বােঝায় কলকাতা

নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে 22°34' কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।


9  দ্রাঘিমা (Longitude) কাকে বলে?

উত্তর মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও সুমেরু পশ্চিমে কোনাে স্থানের নিরক্ষীয়তল বরাবর কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা (Longitude) বলে। তার্থাৎ, পৃথিবীর কেন্দ্রে মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে ও পশ্চিমে কোনাে স্থানের কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের দ্রাঘিমা বলে। উদাহরণস্বরূপ

কুমেরু কলকাতার দ্রাঘিমাংশ ৪৪°30' পূর্ব চিত্র 3.27 » কৌণিক দূরত্বের বলতে বােঝায় কলকাতা নিরক্ষীয় সাহায্যে দ্রাঘিমা নির্ণয় তল বরাবর মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্বে ৪৪°30' কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত।


10 180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখাকে কেন একই দ্রাঘিমারেখা বলা হয়? *

180° পূর্ব ও 180° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা দুটি একই স্থানে অবস্থিত বলে এই দ্রাঘিমারেখা দুটিকে একই দ্রাঘিমারেখা বলে।পৃথিবীর আয়তাকার মানচিত্রে এই রেখা দুটি অঙ্কন করা যায়, কিন্তু

ভূ-গােলকে একটি দ্রাঘিমারেখার দ্বারাই উভয় রেখাদ্বয়কে বােঝানাে হয়।


11 রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) কাকে বলে?

উত্তর কোনাে সমতল জায়গায় দুটি স্থানের দূরত্ব সােজাসুজি ফিতে বা দড়ি দিয়ে মাপার পর ওই মাপটিকে সেন্টিমিটার, মিটার,কিলােমিটার ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এইভাবে দূরত্ব

প্রকাশ করাকে রৈখিক দূরত্ব (Linear Distance) বলে।


12 কলকাতার অক্ষাংশ 22°34’ উত্তর বলতে কী বােঝায় ?

উত্তর কলকাতার অক্ষাংশ 22°34' উত্তর বলতে বােঝায় কলকাতা পৃথিবীর কেন্দ্র ও নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে 22°34' কোণ উৎপন্ন করে এবং কলকাতা উত্তর অক্ষাংশে অবস্থিত।


13 কলকাতার দ্রাঘিমা ৪৪°30° পূর্ব বলতে কী বােঝায়? +

উত্তর কলকাতা থেকে নিরক্ষীয় তল বরাবর পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত অঙ্কিত সরলরেখা, মূলমধ্যরেখা থেকে পৃথিবীর কেন্দ্র পর্যন্ত বিস্তৃত সরলরেখার সঙ্গে ৪৪°30' কোণ উৎপন্ন করে এবং কলকাতা পূর্ব

দ্রাঘিমায় অবস্থিত।


14 ভৌগােলিক জালক (Grid) কাকে বলে? *

উত্তর দুটি স্থির মেরুবিন্দু (উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু) সংযােগকারী কাল্পনিক রেখাটিকে অক্ষ বলে। গ্লোবের মধ্যে পূর্ব থেকে পশ্চিমে কাল্পনিক অক্ষরেখা এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে কাল্পনিক দ্রাঘিমারেখা জালের মতাে বেষ্টন করে থাকে, একে ভৌগােলিক জালক (Grid) বলে। এই রেখাগুলির মাধ্যমে কোনাে

স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।


15. ক্রোনােমিটার (Chronometre) কী ? *

উত্তর ক্রোনােমিটার হল সময় নির্ণয়কারী এক বিশেষ ধরনের ঘড়ি,যা জাহাজের নাবিকদের কাজে লাগে। এই ঘড়ি গ্রিনিচের সময়কেই সূচিত করে, তবে এটি যে-কোনাে দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময় অনুসারে ঠিক করা যায়। সাধারণত নাবিকরা এর সাহায্যে গ্রিনিচের সময় জেনে জাহাজের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন।


 16 সেক্সট্যান্ট কী?

উত্তর সেক্সট্যান্ট হল সূর্যের সর্বোচ্চ উন্নতি কোণ অর্থাৎ, মধ্যাহ্ন (দুপুর 12টা) নির্ণয়কারী অক্ষাংশ পরিমাপক যন্ত্র। এই যন্ত্রে একটি শক্তিশালী দূরবিন লাগানাে থাকে। কোনাে স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয়

করতে হলে ধ্রুবতারা (উত্তর গােলার্ধ) বা হ্যাডলির অকট্যান্ট (দক্ষিণ গােলা) নক্ষত্রের অভিমুখে রাখা হয়। এই দুই নক্ষত্রের উন্নতি কোণ নির্দিষ্ট থানটির অক্ষাংশগত অবস্থান নির্দেশ করে।



7 একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলিতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় কি? যদি না হয় তাহলে লে হয় না? *

উত্তর। একই অক্ষরেখা বরাবর স্থানগুলিতে একই সময়ে দিন ও রাত হয় না। কারণ অক্ষরেখাগুলি পূর্ণবৃত্ত এবং পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে বেষ্টন করে রয়েছে এবং একই অক্ষরেখার উপর 180টি দ্রাঘিমারেখা অবস্থান করছে। সূর্যোদয় পূর্বদিকে আগে হয় এবং পশ্চিমদিকে পরে হয় বলে একই অক্ষরেখার পূর্ব গােলার্ধের স্থানগুলির সময় এগিয়ে থাকে এবং পশ্চিম গােলার্ধের স্থানগুলির সময় পিছিয়ে থাকে।


8 একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলির স্থানীয় সময় এক হয় কেন?

উত্তর পৃথিবী 24 ঘণ্টায় একবার সূর্যকে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে। তাই প্রতিটি দ্রাঘিমারেখাই 24 ঘন্টায় একবার করে সূর্যের সামনে আসে। সূর্য যখন যে দ্রাঘিমারেখার উপর অবস্থান করে তখন সেখানে লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সেই দ্রাঘিমার সর্বত্র মধ্যাহ্ন সূচিত হয়। এই মধ্যাহ্ন অনুসারে ওই দ্রাঘিমার স্থানীয় সময় সূচিত হয়। তাই একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত জায়গাগুলির স্থানীয় সময় এক হয়


3 পৃথিবীতে মােট কটি অক্ষরেখা আছে?

নিরক্ষরেখা থেকে এর সমান্তরালে উত্তর ও দক্ষিণ গােলার্বে 1° অন্তর মােট ৪9 + 89 = 178টি ও নিরক্ষরেখাকে ধরে 178 +1=179টি অক্ষরেখা পৃথিবীতে কল্পনা করা হয়েছে। উভয় গােলার্ধে 90° হল বিন্দু। উত্তর গােলার্ধে এটি সুমেরু বিন্দু ও দক্ষিণ গােলার্ধে কুমেরু বিন্দু বিন্দু বলে একে রেখা হিসেবে ধরা হয় না ]।


24 পৃর্থিবীতে কটি দ্রাঘিমারেখা আছে?

উত্তর মূলমধ্যরেখাকে 0° দ্রাঘিমারেখা ধরে এর 1 অন্তর পূর্ব দিকে 180টি এবং পশ্চিম দিকে 180টি মােট (180 + 180 + মূলমধ্যরেখা) = 361টি রেখা কল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু 180°-পূর্ব ও 180° পশ্চিম অক্ষরেখা পরস্পর মিলিত হয়ে একটিমাত্র দ্রাঘিমারেখারূপে কল্পিত হয়েছে। তাই পৃথিবীতে দ্রাঘিমারেখার

সংখ্যা (361 - 1) = 360টি। 


3) কোনাে একটি স্থানের দ্রাঘিমা 40° পূর্ণ হলে তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা কত হবে ?

উত্তর কোনাে স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থান দুটির মধ্যে দ্রাঘিমার ব্যবধান হয় সর্বদা 180°। সুতরাং, 40° পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত স্থানটির প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা হবে (180° – 40° পূর্ব) = 140° পশ্চিম।


5.কোনাে একটি স্থানের প্রতিপাদ স্থান কীভাবে নির্ণয় করা হয় ?

উওর। ভুপৃষ্ঠে অবস্থিত কোনাে স্থানের প্রতিপাদ স্থান নির্ণয় করতে হলে সেই স্থান বা বিন্দু থেকে একটি কল্পিত ব্যাস পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে বিপরীত প্রান্ত পর্যন্ত প্রসারিত করলে যে স্থান বা

বিন্দুতে তা ছেদ করবে, সেটাই হবে প্রথম স্থানের প্রতিপাদ স্থান।

7.প্রমাণ করাে 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে সময়ের পার্থক্য হয় 4 মিনিট।) '16

উত্তর পৃথিবীর আকৃতি গােলাকার ধরে নিয়ে পৃথিবীতে 1° অন্তর 360টি দ্রাঘিমারেখা কল্পনা করা হয়েছে।

আমরা জানি, গােলাকার পৃথিবীর নিজ অক্ষের চারদিকে এবার আবর্তন করতে সময় লাগে 24 ঘণ্টা।

অর্থাৎ, 360° আবর্তন করতে সময় লাগে 24 ঘণ্টা

সুতরাং, 1° দ্রাঘিমার পার্থকের জন্য সময়ের পার্থক্য হয়

4মিনিট (প্রমাণিত)।



পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় 3 নং প্রশ্ন উত্তর

[1] 

1. অক্ষাংশ (Latitude) ও অক্ষরেখা (Parallel of Latitude) বলতে কী বােঝায় উল্লেখ করাে। 

নিরক্ষরেখা (0) থেকে উ; বা দক্ষিণে অবস্থিত কোনাে স্থানের  কৌণিক দূরত্বকে সেই স্থানের 30° অক্ষাংশ

(Latitude) বলে। প্রসঙ্গত, ভূপৃষ্ঠের কোনাে স্থান থেকে ভূকেন্দ্র পর্যন্ত যদি কোনাে  ব্যাসার্ধ টানা যাই, তাহলে তা নিরক্ষীয় তলের সঙ্গে যে কোণ উৎপন্ন করে কৌণিক দূরত্বই হল ওই

স্থানের অক্ষাংশ|


অক্ষরেখা(Parallel of Latitude) : পৃথিবীতে (নিরক্ষরেখার (0) উভয়দিকে সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থানগুলিকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টিত যে বৃত্তাকার কাল্পনিক রেখা দ্বারা সংযুক্ত রা হয়, তাদের অক্ষরেখা বলে। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর উভয় গােলার্ধে নিরক্ষরেখার সমান্তরালে 1 অন্তর ৪9টি সমান্তরাল অক্ষরেখার বৃত্ত কল্পনা করা হয়েছে।



2. অক্ষরেখা বা সমাক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করাে।

উত্তর একই অক্ষাংশযুক্ত রেখাগুলিকেঅক্ষরেখা বলে। অক্ষরেখা

বা সমাক্ষরেখার বৈশিষ্ট্যগুলি হল -

পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃতি :অক্ষরেখাগুলি পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত।

আকৃতি :অক্ষরেখাগুলি প্রত্যেকেই পূর্ণবৃত্ত।

মনি :অক্ষরেখার সর্বনিম্ন মান 0° এবং সর্বোচ্চ মান 90°।

সমান্তরাল অবস্থান : প্রত্যেকটি অক্ষরেখা নিরক্ষরেখার সমান্তরালে অবস্থিত। সেইজন্য একই অক্ষরেখায় অবস্থিত যে-কোনাে স্থান থেকে নিরক্ষরেখার দূরত্ব সর্বদা সমান থাকে।

পরিধি : অক্ষরেখাগুলির পরিধি, নিরক্ষরেখা থেকে মেরুবিন্দুদ্বয়ের দিকে ক্রমশ ছােটো হতে হতে অবশেষে দুই মেরুতে দুটি বিন্দুতে পরিণত হয়। অর্থাৎ, অক্ষরেখাগুলির পরিধি সমান নয়।

অক্ষাংশ : একই সমাক্ষরেখায় অবস্থিত পৃথিবীর সমস্ত স্থানের অক্ষাংশ সমান।

মধ্যবর্তী দূরত্ব : অক্ষরেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল হওয়ায়

যে-কোনাে দুটি অক্ষরেখার মধ্যবর্তী দূরত্ব সর্বদা সমান হয়।



4 নিরক্ষরেখার গুরুত্ব লেখাে। অথবা, “নিরক্ষরেখা একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অক্ষরেখা ব্যাখ্যা করাে। *,

নিরক্ষরেখার গুরুত্ব  :

গােলার্ধ নির্ণয় : নিরক্ষরেখার সাহায্যে পৃথিবীকে দুটি সমান গােলার্ধে ভাগ করা যায়, যথা- উত্তর গােলার্ধ এবং দক্ষিণ গােলার্ধ। এর ফলে কোন্ স্থান কোন্ গােলার্ধে অবস্থিত এবং কতটা উত্তরে বা দক্ষিণে অবস্থিত তা সহজেই বােঝা যায়।

অক্ষাংশ নির্ণয় :নিরক্ষরেখার সাহায্যে যে-কোনাে জায়গার অক্ষাংশ নির্ণয় করা সম্ভব। 

উয়মণ্ডলের সৃষ্টি : নিরক্ষরেখায় সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে এখানে উয়মণ্ডলের সৃষ্টি হয়েছে। ৩ দিন-রাত্রির

স্থায়িত্বকাল : অভিগত গােলকাকার পৃথিবীর মাঝখান দিয়ে নিরক্ষরেখা পরিবেষ্টিত রয়েছে বলে পৃথিবীর যে-কোনাে অবস্থানে ছায়াবৃত্ত নিরক্ষরেখাকে সমদ্বিখণ্ডিত করে। তাই এখানে সারাবছর 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি বিরাজ করে।



6.দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।

উত্তর দ্রাঘিমারেখার বৈশিষ্ট্য :

বিস্তার : দ্রাঘিমারেখাগুলি পৃথিবীকে উত্তর-দক্ষিণে বেষ্টন করে আছে।

 আকৃতি ও দৈর্ঘ্য : প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা অর্ধবৃত্ত এবং দৈর্ঘ্য সমান। দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়। দুই মেরুবিন্দুতে এগুলি মিলিত হয়েছে।

মান : দ্রাঘিমারেখাগুলির মান মূলমধ্যরেখার পূর্ব ও পশ্চিমে ক্রমশ বৃদ্ধি পায়। দ্রাঘিমারেখার সর্বনিম্ন মান 0°। দ্রাঘিমারেখার সর্বোচ্চ মান 180°। 

কৌণিক যােগফল : প্রতিটি দ্রাঘিমার কৌণিক যােগফল 180°। 

প্রকৃতি :দ্রাঘিমারেখাগুলি পরস্পর সমান্তরাল নয়। দুই মেরুবিন্দুতে এগুলি মিলিত হয়েছে। @ 

অক্ষরেখার সঙ্গে সম্পর্ক : দ্রাঘিমারেখাগুলি অক্ষরেখাগুলিকে সর্বদা লম্বভাবে (90° কোণে) ছেদ করে।

স্থানীয় সময়ের সঙ্গে সম্পর্ক : একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত। প্রতিটি স্থানে একই স্থানীয় সময় হয়। ® প্রধান রেখা : প্রধান। দ্রাঘিমারেখা হল মূলমধ্যরেখা। এর মান 0°।

জলবায়ুর সঙ্গে সম্পর্ক ; একই দ্রাঘিমারেখার ওপর অবস্থিত বিভিন্ন স্থানের মধ্যে জলবায়ুর পার্থক্য লক্ষ করা যায়।



7 দ্রাঘিমারেখার গুরুত্ব বা ব্যহারগুলি উল্লেখ করাে।

গােলার্ধ নির্ণয় :মূলমধ্যরেখা ও 180° দ্রাঘিমারেখা মিলিত হয়ে পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গােলার্বে ভাগ করেছে।

প্রমাণ সময় গণনা :মূলমধ্যরেখার স্থানীয় সময়কে সমস্ত পৃথিবীর প্রমাণ সময় ধরে বিভিন্ন দেশের প্রমাণ সময় গণনা করা হয়।

স্থানীয় সময় নির্ধারণ : প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার ওপর মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থানের ভিত্তিতে স্থানীয় সময় নির্ধারণ করা হয়।

তারিখ বিভাজন : 180° দ্রাঘিমারেখাকে অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক তারিখরেখা টানা হয়েছে যা পৃথিবীতে তারিখ বিভাজনের কাজ করে।

অবস্থান নির্ণয় : কোনাে স্থান পূর্ব গােলার্ধে না পশ্চিম গােলার্ধে অবস্থিত তা দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে নির্ণয় করা হয়।

সীমানা নির্ধারণ : পৃথিবীর বেশ কিছু দেশ বা রাজ্যের মধ্যে সীমানা নির্ধারণে দ্রাঘিমারেখা ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে 141° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা এবং আলাস্কা ও কানাডার মধ্যে 114° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা সীমানরূপে অবস্থিত।


5.দ্রাঘিমারেখাকে ‘মধ্যাহ্নরেখা’ বলে কেন?

উত্তর দ্রাঘিমারেখাকে ইংরেজিতে মেরিডিয়ান (Meridian)বলে। মেরিডিয়ান' শব্দটি লাতিন শব্দ ‘মেরিডিয়াস’ থেকে এসেছে, যার অর্থ মধ্যাহ্ন'। প্রকৃতপক্ষে মেরিডিয়ান বা দ্রাঘিমারেখার সঙ্গে

মধ্যাহ্ন’ সময়টি বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত। কারণ, সূর্য যখন যে দ্রাঘিমারেখার ওপর আসে, তখন সেটাই হয় সেই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত সব স্থানের সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতা এবং সেই নির্দিষ্ট সময়টিই হয় সেখানকার দিবাভাগের মধ্যকাল বা মধ্যাহ্ন। এজন্যই দ্রাঘিমারেখাকে মধ্যাহ্নরেখাও বলে।


9 মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian) কাকে ?মূলমধ্যরেখার গুরুত্ব উল্লেখ করে। * *

উত্তর মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian) : পৃথিবীতে কল্পিত যে দ্রাঘিমারেখাটি লন্ডনের নিকটবর্তী শহরের

উপর গ্রনিচ উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত হয়েছে তাকে মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian)

বলে। মূলমধ্যরেখাটি পৃথিবীতে স্থলভাগের প্রায় মধ্যভাগ দিয়েসম্প্রসারিত, এবং এই রেখার মান 0°।


মূলমধ্যরেখার গুরুত্ব : i.মূলমধ্যরেখা এবং এর বিপরীত দিকে দ্রাঘিমারেখা যােগ করলে একটি পূর্ণবৃত্ত বা মহাবৃত্ত পাওয়া যায় এবং এর সাহায্যে পৃথিবীকে দুটি গােলার্ধে ভাগ করা যায় পূর্ব গােলার্ধ ও পশ্চিম গােলার্ধ। 

ii.ভূপৃষ্ঠের যে-কোনাে স্থান কোন্ গােলার্ধে অবস্থিত এবং কতটা পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থান করছে তা মূলমধ্যরেখার সাহায্যে জানা যায়। 

iii.অনেকসময় কাজের সুবিধার জন্য মূলমধ্যরেখার স্থানীয় সময়কে সারা পৃথিবীর সময় বা গ্রিনিচ প্রমাণ সময় হিসেবে ধরা হয়।



10 অক্ষরেখাগুলি সমান্তরাল হলেও দ্রাঘিমারেখাগুলি অসমান্তরাল কেন?

নিরক্ষরেখার দুদিকে কল্পিত বৃত্তাকার, পরস্পর সমান্তরাল রেখাগুলিকে অক্ষরেখা বলে। দুটি অক্ষরেখার মধ্যে ব্যবধান সর্বদা সমান, তাই এরা সমান্তরাল। অপরদিকে, মূলমধ্যরেখা থেকে পূর্ব ও পশ্চিম উভয় দিকে। অন্তর 180° কৌণিক দূরত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত যে কল্পিত রেখাসমূহ অর্ধবৃত্তাকারে বিস্তৃত হয়ে উত্তর গােলার্ধে সুমেরুতে (90° উত্তর) এবং দক্ষিণ গােলার্ধে কুমেরুতে (90° দক্ষিণ) মিলিত হয়েছে তাদের

প্রত্যেকটিকে দ্রাঘিমারেখা বলে। প্রতিটি দ্রাঘিমারেখা এক-একটি অর্ধবৃত্ত। একই কৌণিক মানসম্পন্ন দুটি অর্ধবৃত্ত পরস্পর মিলিত হয়ে একটি পূর্ণবৃত্ত হয়েছে বলে কল্পনা করা হয়। তাই দ্রাঘিমারেখাগুলির ব্যবধান নিরক্ষরেখার কাছে সবচেয়ে বেশি হলেও দুই মেরু অঞ্চলে একেবারেই নেই। তাই দ্রাঘিমারেখাগুলির দৈর্ঘ্য পরম্পর সমান হলেও এরা অসমান্তরাল। এই জন্য বলা হয় যে, অক্ষরেখাগুলি সমান্তরাল হলেও দ্রাঘিমারেখাগুলি অসমান্তরাল।



গ্রিনিচের মধ্যরেখায় অর্থাৎ 0° দ্রাঘিমায় গড় সৌর সময়ের মানকেই বিশ্বজনীন সময়' বা Universal Time বলা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানের কাজকর্মে, অন্যান্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এবং প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে ইউনিভার্সাল টাইম ব্যবহূত হয়। এই সময়কেই গ্রিনিচ মিন টাইম (Greenwich Mean Time) বা GMTও বলে।

11 মহাবৃত্ত বলতে কী বােঝ?[ME 10]


উত্তর সংজ্ঞা : কোনাে গােলকের পৃষ্ঠে অঙ্কিত যে বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু ওই গােলকের কেন্দ্রবিন্দুর সঙ্গে একই বিন্দুতে অবস্থান করে, তাকে বলা হয় মহাবৃত্ত।

বৈশিষ্ট্য : i.মহাবৃত্ত হওয়ার জন্য নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলি থাকা প্রয়ােজন। ii.মহাবৃত্তই হল।

সর্ববৃহৎ বৃত্ত যার তুলনায় বড়াে কোনাে বৃত্ত গ্লোবে আঁকা যায় না।

iii.মহাবৃত্ত বরাবর গােলককে কাল্পনিক ভাবে কাটলে গােলক সমান। দুভাগে ভাগ। হবে।

® ভূগােলকের কেন্দ্র ও মহাবৃত্তের কেন্দ্র সবসময় এক বিন্দুতে অবস্থান করবে।

উদাহরণ : পৃথিবীর অক্ষরেখাগুলির মধ্যে একমাত্র নিরক্ষরেখার এই তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্তমান বলে নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলা হয়। আবার পরস্পর বিপরীত দুটি দ্রাঘিমারেখা যুক্ত করলেও একটি মহাবৃত্ত পাওয়া যায়।

গুরুত্ব : চিত্রে XX' একটি সরলরেখা বলে মনে হলেও XX আরও বেশি বক্রপথ। কোনাে গােলকের গায়ে যে-কোনাে দুটি বিন্দুর মধ্যে সবচেয়ে কম দূরত্ব হল মহাবৃত্তের যে বৃত্তচাপ ওই দুই বিন্দুকে স্পর্শ করে। এই কারণে সমুদ্রে বা আকাশে চলাচলের সময় নাবিকরা বা বিমান চালকরা মহাবৃত্তের পথ ধরেই চলাচল করেন।



12 .ভারতের প্রমাণ সময় বা Indian Standard Time(IST) বলতে কী বােঝো? * *

উত্তর। একটি দেশে অসংখ্য দ্রাঘিমারেখা থাকে, ফলে সেই দেশে একাধিক স্থানীয় সময় (1°-তে 4' সময়ের পার্থক্য অনুসারে) পরিলক্ষিত হয়। ফলে দেশের কাজকর্ম চালাতে খুবই অসুবিধা হয়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য দেশের মধ্যবর্তী একটি নির্দিষ্ট দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময় অনুসারে ওই দেশের সব কাজ চালানাে হয় এবং ওই দ্রাঘিমার স্থানীয় সময়কেই সেই দেশের প্রমাণ সময় ধরা হয়। ভারতের ক্ষেত্রে 82°30' পূর্ব দ্রাঘিমারেখাটি প্রায় দেশের মাঝখান দিয়ে গেছে। তাই ওই দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে ভারতের প্রমাণ সময় বা Indian Standard Time ধরা হয়। 82°30' পূর্ব দ্রাঘিমারেখাটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদ শহরের কোকাদ ও সােনাইটের ওপর দিয়ে প্রসারিত হয়েছে। 82°30' পূর্ব প্রমাণ দ্রাঘিমার স্থানীয় সময় অনুসারে ভারতের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, রেল চলাচল, বেতার ও টেলিভিশন সম্প্রচার ইত্যাদি কাজকর্ম পরিচালিত হয়ে থাকে। ভারতীয় প্রমাণ সময় গ্রিনিচের প্রমাণ সময় থেকে 5 ঘণ্টা 30 মিনিট এগিয়ে আছে। কারণ, ভারতের প্রমাণ দ্রাঘিমা গ্রিনিচের (0) থেকে 82°30'

পূর্বে অবস্থিত।


13 প্রতিপাদ স্থান (Antipodes) বলতে কী বােঝাে? *প্রতিপাদ স্থানের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।


উত্তর সংজ্ঞা : ভূ-পৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত কোনাে বিন্দু বা স্থান থেকে কল্পিত রেখা পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্য দিয়ে প্রসারিত করলে তা বিপরীত প্রান্তে যে বিন্দু বা স্থানে স্পর্শ করে, তাকে প্রথম বিন্দু বা প্রথম স্থানের প্রতিপাদ স্থান বলা হয়।


বৈশিষ্ট্য :

গােলার্ধ : কোনাে স্থানের প্রতিপাদ স্থান সর্বদাই সেই সস্থানের বিপরীত গােলার্ধে অবস্থান করে।

অক্ষাংশ : কোনাে স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশের মান একই হয় কিন্তু, গােলার্ধের পরিবর্তন ঘটে। যেমন কলকাতার অক্ষাংশ 22°34' উত্তর এবং কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের অক্ষাংশ।

হবে 22°34' দক্ষিণ।

দ্রাঘিমা : কোনাে স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য 180°। তাই, প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করতে হলে প্রদত্তস্থানের দ্রাঘিমাকে 180° থেকে বিয়ােগ করতে হয়। যেমন -কলকাতার দ্রাঘিমা ৪৪°30' পূর্ব, অর্থাৎ, কলকাতার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমা (180° - ৪৪°30') = 91°30' পশ্চিম।


সময় : কোনাে স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের দ্রাঘিমার পার্থক্য 180° হওয়ায় সময়ের পার্থক্য হয় (180° x 4 মিনিট);720 মিনিট বা 12 ঘণ্টা।

অন্যান্য অবস্থা : কোনাে স্থান ও তার প্রতিপাদ স্থানের মধ্যে দিন, রাত্রি ও ঋতুর বিপরীত অবস্থা দেখা যায় (ব্যতিক্রম নিরক্ষীয় অঞল ও মেরু অল)।



14) গ্রিনিচ প্রমাণ সময় কাকে বলে? *  গ্রিনিচ প্রমাণ সময় নির্ণয়ের কারণ কী? *

উত্তর গ্রিনিচ প্রমাণ সময় / GMT (Greenwich Mean Time) : লন্ডনের গ্রিনিচে (0) মধ্যাহ্নে সূর্যরশ্মি যখন লম্বভাবে পড়ে, সেখানকার স্থানীয় সময়কে বেল 12টা ধরে সেই সময়কে যখন সারা পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে ধরা হয়, তাকে গ্রিনিচ প্রমাণ সময় (Greenwich Mean Time) বলে।


✉ GMT নির্ধারণর কারণ : পৃথিবীর কোনাে স্থানের 1 পূর্বে বা পশ্চিমে অবস্থিত অন্য স্থানে প্রায় ৭ মিনিট সময়ের ব্যবধান ঘটে। ফলে কাজকর্মে অসুবিধা দেখা যায়। এই অসুবিধা দূর করার জন্য বিভিন্ন দেশের নির্দিষ্ট প্রমাণ সময় ব্যবহার করা হয়।কিন্তু, এর ফলেও পৃথিবীতে আন্তর্জাতিক কাজকর্মে নানা

অসুবিধা দেখা দেয়।এই সমস্যা সমাধানের জন্য মূলমধ্যরেখার (0) স্থানীয় সময়কে সারা পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসেবে ধরা হয়।



কৌণিক দূরত্ব (Angular Distance) 

উত্তর পৃথিবীর কেন্দ্রে কোনাে স্থান এবং নিরক্ষরেখা বা মূলমধ্যরেখা দ্বারা যে কোণ সৃষ্টি করে, সেই কোণের মানকে সেই থানের কৌণিক দূরত্ব বলে।


2 মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian)

উত্তর ভূগােলকের অন্তর্গত 0° দ্রাঘিমারেখাটি মূলমধ্যরেখা (Prime Meridian) নামে পরিচিত।

১ কাল্পনিক অবস্থাল: এই রেখাটি লন্ডনের গ্রিনিচ মানমন্দিরের উপর দিয়ে কল্পনা করা হয়েছে।

> বৈশিষ্ট্য : 0 মূলমধ্যরেখাটি উত্তরে সুমেরু থেকে দক্ষিণে কুমেরু পর্যন্ত বিস্তৃত। ও এই রেখাটি অর্ধবৃত্তাকার। @ প্রতিটি অক্ষরেখাকে মূলমধ্যরেখা প্রায় লম্বভাবে ছেদ করেছে।

গুরুত্ব : 0 পৃথিবীকে পূর্ব ও পশ্চিম গােলার্ধে বিভক্ত করেছে। @ মূলমধ্যরেখার স্থানীয় সময়কে সারা পৃথিবীর প্রমাণ সময় হিসাবে ধরা হয়।


স্থানীয় সময় (Local Time) * * *

উত্তর পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তনের ফলে পৃথিবীর কোনাে-না-কোনাে দ্রাঘিমারেখা সূর্যের সামনে আসে, অর্থাৎ সূর্যরশ্মি প্রতিটি দ্রাঘিমারেখার উপর লম্বভাবে পতিত হয়। এইভাবে কোনাে দ্রাঘিমারেখায় সূর্যের সর্বোচ্চ উন্নতির সময় দুপুর 12টা ধরে দিনের বাকি সময়ের হিসাব করা হয়। এইভাবে আকাশে সূর্যের অবস্থান অনুসারে যে সময় নির্ধারণ করা হয়, তাকে স্থানীয় সময় বলে।


উদাহরণ : কলকাতায় (88°30' পূর্ব) যখন সূর্যের উন্নতি সর্বোচ্চ তখন কলকাতার স্থানীয় সময় দুপুর 12টা। ঠিক সেই মুহূর্তে দিল্লির (77°12' পশ্চিম) স্থানীয় সময় হবে সকাল 11টা ।

14 মিনিট 36 সেকেন্ড।

 আপর নাম : সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী স্থানীয় সময় নির্ধারিত হয় বলে সূর্যকে প্রাকৃতিক ঘড়ি এবং সময়কে সৌরসম বলে।



4) প্রমাণ সময় (Standard Time) * * *

উত্তর পৃথিবীর একই দ্রাঘিমারেখায় অবস্থিত স্থানগুলির স্থানীয় সময় এক হলেও 1° দ্রাঘিমার পার্থক্যে 4 মিনিট সময়ের পার্থক ঘটে। ফলে কোনাে দেশে বহুসংখ্যক দ্রাঘিমারেখার উপস্থিতির দরুন বিভিন্ন স্থানীয় সময় থাকলে রেল, ডাক, বেতার এবং প্রশাসনিক কাজ চালানাে অসুবিধাজনক হয়ে পড়বে। এই অসুবিধা যাতে না হয়, সেজন্য কোনাে দেশের প্রায় মধ্যাঞ্চল দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে প্রসারিত দ্রাঘিমাকে প্রমাণ দ্রাঘিমা ধরা হয় এবং এই দ্রাঘিমার ওপর। নির্ভর করে যখন দেশের বা ওই ভূখণ্ডের সময় নির্ণীত হয়, তখন

তাকে ওই দেশ বা ভূখণ্ডের প্রমাণ সময় বলে।


> উদাহরণ : ভারতের প্রায় মাঝামাঝি স্থানে এলাহাবাদের কাছে অবস্থিত 82°30' পূর্ব দ্রাঘিমারেখার স্থানীয় সময়কে ভারতের প্রমাণ সময় হিসাবে ধরা হয়।


5. am ও pm 

উত্তর পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে কোনাে দ্রাঘিমারেখা যখন সূর্যের সামনে আসে তখন সূর্যকে সেই স্থানের মধ্যাকাশে দেখা যায় এবং তখন সেখানের স্থানীয় সময় হয় মধ্যাহ্ন বা বেলা 12টা। বিপরীত দ্রাঘিমারেখায় তখন সময় হয় মধ্যরাত্রি বা রাত্রি 12টা। অর্থাৎ, কোনাে জায়গায় মধ্যরাত্রি 12টার পর থেকে পরদিন মধ্যাহ্ন অর্থাৎ দুপুর 12টার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে Ante (Before) Meridian বা am এবং মধ্যাহ্ন বা দুপুর 12টার পর থেকে মধ্যরাত্রি 12টার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত সময়কে Post (After) Meridian বা pm বলে। অর্থাৎ, কোনাে জায়গার দ্রাঘিমা বা Meridian-এর উপর সূর্য পৌঁছানাের আগের সময় বােঝাতে Ante Meridian এবং সূর্য পৌঁছানাের পরের সময় বােঝাতে Post Meridian ব্যবহার করা হয়। আর রাত্রি 12টা এবং দুপুর 12টাকে am বা pm না বলে যথাক্রমে মধ্যরাত্রি 12টা এবং মধ্যাহ্ন 12টা বলা হয়ে থাকে।








তৃতীয় অধ্যায় পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় বড় প্রশ্ন উত্তর,

নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর


[1] 

1 পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ অক্ষরেখাগুলির পরিচয় দাও ও তাদের ব্যবহার লেখাে। 

উত্তর সমাক্ষ রেখা /অক্ষরেখা (Parallel of Latitude) : পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ গােলার্ধের সমান অক্ষাংশবিশিষ্ট স্থানগুলিতে পূর্ব-পশ্চিমে বৃত্তাকার যে-সমস্ত রেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাদের অক্ষরেখা বলে।

পৃথিবীতে যতগুলি অক্ষরেখা কল্পনা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অক্ষরেখাকে পৃথকভাবে নামকরণ করা হয়েছে। এই অক্ষরেখাগুলি হল


[A]নিরক্ষরেখা (Equator) : পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণ মেরুবিন্দু থেকে সমান দূরত্বে পৃথিবীর ঠিক মাঝখান দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে কল্পিত বৃত্তাকার রেখাকে নিরক্ষরেখা বলে। এর অক্ষাংশ 0° |

গুরুত্ব / ব্যবহার : (i) পৃথিবীকে সমান দুটি গােলার্ধে ভাগ করেছে। যথা – উত্তর গােলার্ধ ও দক্ষিণ গােলার্ধ। (ii) কোনাে স্থান উত্তর গােলার্ধে কতটা উত্তরে বা দক্ষিণ গােলার্ধে কতটা দক্ষিণে। অবস্থিত তা নিরক্ষরেখার সাহায্যে ওই স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয়ের মাধ্যমে জানা যায়। (iii) নিরক্ষরেখায় সারা বছর সূর্য প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে, এখানে যেমন দিন-রাত্রি সমান হয়, তেমনি উন্নতা বেশি হওয়ায় উষমণ্ডল সৃষ্টি হয়েছে।


[B]কর্কটক্রান্তিরখা (Tropic of Cancer) : নিরক্ষরেখার উত্তরে 23.কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তাকে কর্কটক্রান্তি রেখা বলে। এর মান 23%° উত্তর।

গুরুত্ব / ব্যবহার : (i) 21 জুন এই রেখায় সূর্যের উত্তরায়ণ শেষ হয়, অর্থাৎ সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ সীমা হিসেবে কর্কটক্রান্তি রেখার গুরুত্ব অপরিসীম। (ii) উত্তর গােলার্ধে উয়মণ্ডল ও নাতিশীতােয়মণ্ডলের মধ্যে সীমা রূপেও কর্কটক্রান্তি রেখা গুরুত্বপূর্ণ। 


[C]মকরক্রান্তিরখা (Tropic of Capricorn) : নিরক্ষরেখারnদক্ষিণে 23. কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তাকে মকরক্রান্তি

রেখা বলে। এর মান 23.5°দক্ষিণ ।

গুরুত্ব / ব্যবহার : (i) 22 ডিসেম্বর এই রেখায় সূর্যের দক্ষিণায়ন শেষ হয়। অর্থাৎ, সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষ সীমারূপে মকরক্রান্তিরেখার গুরুত্ব অপরিসীম। (ii) দক্ষিণ গােলার্ধে উয়মণ্ডল। ও নাতিশীতােষ মণ্ডলের মাঝের সীমারূপেও এই রেখা গুরুত্বপূর্ণ।


[D]সুমেরু বৃত্ত (Arctic Circle) : নিরক্ষরেখার উত্তরে 66. কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তাকে সুমেরু বৃত্ত বলে। এরঅক্ষাংশ 66.5° উত্তর।


গুরুত্ব/ ব্যবহার : (i) উত্তর গােলার্ধে এই বৃত্তে নাতিশীতােয় মণ্ডল শেষ হয় এবং হিমমণ্ডল শুরু হয়। (ii) প্রতিবছর 21 জুন থেকে 22 ডিসেম্বর সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল সর্বদা

আলােকিত থাকে এবং 23 ডিসেম্বর থেকে 20 জুন এই অঞ্চল সর্বদা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।


[E]কুমেরু বৃত্ত (Antarctic Circle) : নিরক্ষরেখার দক্ষিণে 66. কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত যে কাল্পনিক বৃত্তাকার রেখা পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রয়েছে, তাকে কুমেরু বৃত্ত বলে। এর অক্ষাংশ 66.5° দক্ষিণ ।

গুরুত্ব / ব্যবহার : (i) দক্ষিণ গােলার্ধে এই বৃত্তে নাতিশীতােয় মণ্ডল শেষ হয় এবং হিমমণ্ডল শুরু হয়। (ii) প্রতিবছর 23 ডিসেম্বর থেকে 20 জুন কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল সর্বদা আলােকিত থাকে এবং 21 জুন থেকে 22 ডিসেম্বর এই অঞ্চল সর্বদা অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে।


[F]সুমেরু বিন্দু (Arctic Region) : নিরক্ষরেখা থেকে

উত্তরে 90° কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত মেরুবিন্দুকে সুমেরু বিন্দু বলে। অন্যান্য অক্ষরেখার ন্যায় এটি রেখা নয়, এটি পৃথিবীর অক্ষের উত্তর বিন্দু স্বরূপ।

> গুরুত্ব / ব্যবহার : (i) এখানে বছরে 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত বিরাজ করে। (ii) সুমেরু বিন্দুর মাথার উপর 90° কোণে অবস্থিত ধ্রুবতারার সাহায্যে যেমন উত্তর দিক নির্ণয় করা যায়, তেমনি উত্তর গােলার্ধের কোনাে স্থানের অক্ষাংশও নির্ণয় করা যায়।

(ii) পৃথিবীর উত্তরের শেষপ্রান্ত, জীবমণ্ডলের শেষ সীমারূপেও গুরুত্বপূর্ণ।


[G] কুমেরুবিন্দু (Antarctic Region) : নিরক্ষরেখা থেকে দক্ষিণে 90° কৌণিক দূরত্বে অবস্থিত মেরুবিন্দুকে কুমেরু বিন্দু বলে। এটিও অক্ষরেখা নয়, পৃথিবীর অক্ষের দক্ষিণ বিন্দু স্বরূপ।


গুরুত্ব / ব্যবহার : (i) এখানে বছরে 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত থাকে। (ii) কুমেরু বিন্দুর মাথার উপর 90° কোণে অবস্থিত হ্যাডলির অকট্যান্ট নামক নক্ষত্রের সাহায্যে দক্ষিণ দিক নির্ণয় করা যায় এবং দক্ষিণ গােলার্ধের কোনাে স্থানের অক্ষাংশ নির্ণয় করা যায়। (i) পৃথিবীর দক্ষিণের শেষপ্রান্ত, হিমমণ্ডলের শেষ সীমারূপে গুরুত্বপূর্ণ 





2.অক্ষাংশের ভিত্তিতে পৃথিবীর প্রধান প্রধান তাপ বলয়গুলি চিহ্নিত করে তা আলােচনা করাে। *


উত্তর পৃথিবীতে যাবতীয় তাপের প্রধান উৎস হল সূর্য। বিভিন্ন অক্ষাংশে সূর্যরশ্মির তাপের তারতম্য ঘটে বলে পৃথিবীতে নিম্নলিখিত তিনটি স্থায়ী তাপবলয় গড়ে উঠেছে 


উষ্ণমন্ডল (Torrid Zone):

অবস্থান : নিরক্ষরেখা (0) থেকে 23.5° উত্তর এবং 23.5° দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে উষমণ্ডল অবস্থিত।

বৈশিষ্ট্য : (i) সূর্যরশ্মির পতন - নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্যরশ্মি সম্বভাবে পড়ে। (ii) দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য

নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছরই 12 ঘণ্টা দিন ও 12 ঘণ্টা রাত্রি বিরাজ করে। (iii) গড় তাপমাত্রী উষ্ণমণ্ডলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা 27°C। (iv) ঋতু - এখানে ঋতুবৈচিত্র্য দেখা যায় না, কারণ সারাবছর একটিই ঋতু (গ্রীষ্ম) বিরাজ করে।


নাতিশীতােষ মণ্ডল (Temperate Zone) :

অবস্থান : পৃথিবীর উভয় গােলার্ধের 23.5° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে শুরু করে 66.5°° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে নাতিশীতােষ মণ্ডল অবস্থিত।

বৈশিষ্ট্য : (1) সূর্যরশ্মির পতন নাতিশীতােষ্ণ মণ্ডলে সূর্যরশ্মি মাঝারি তির্যকভাবে (10° 20° কোণে) পড়ে।

(i) প্রকৃতি - নাতিশীতােষ মণ্ডলের ক্রান্তীয় অঞল থেকে 45° অক্ষাংশ পর্যন্ত অঞ্চল কিছুটা উম্ন প্রকৃতির হলেও, 45° থেকে 66.5° অক্ষাংশীয় অঞ্চল শীতল প্রকৃতির হয়ে থাকে। (iii) গড় তাপমাত্রা – নাতিশীতােষ্ণ মণ্ডলের গড় তাপমাত্রা থাকে 27° - 0° সেন্টিগ্রেডের মধ্যে। (iv) শ্রেণিবিভাগ – নাতিশীতােষ মণ্ডল দুই

(a) উয় নাতিশীতােষ্ণ মণ্ডল (23.5°° উ:/দ: -45° উ: দ:) এবং (b) শীতল নাতিশীতােষ মণ্ডল (45° উ:/দ; – 66.5°° উ: দ:)।



হিমমণ্ডল (Frigid Zone):

অবস্থান : পৃথিবীর উভয় গােলার্ধের 66.5°° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে 90° উত্তর ও দক্ষিণ অক্ষাংশের মধ্যে হিমমণ্ডল অবস্থিত।

বৈশিষ্ট্য : (i) সূর্যরশ্মির পতন হিমমণ্ডলে সারাবছর সূর্য অতিতির্যকভাবে ব্রিণ দেয়। (ii) দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য

এখানের কোনাে কোনাে স্থানে সারা বছর 6 মাস দিন ও 6 মাস রাত্রি থাকে। (iii) তাপমাত্রা হিমমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা 0°C-এরও নীচে থাকে।




[TAG]:   পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় তৃতীয় অধ্যায় pdf,পৃথিবী পৃষ্ঠে কোনো স্থানের অবস্থান নির্ণয় mcq,তৃতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ভূগোল,নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায়,নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url