ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Geography 4th chapter question
ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ নবম শ্রেণির ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Geography 4th chapter question in bengali pdf
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির ভূগোলের চতুর্থ অধ্যায় ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ প্রশ্ন উত্তর PDF । Class IX geography fourth chapter question Pdf in bengali | WB Class Nine Geography question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে | নবম শ্রেণি ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Geography 4th chapter important Question in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ নবম শ্রেণির ভূগোলের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ mcq প্রশ্ন
1.
2.
নবম শ্রেণি ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর
1.
2.
নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর
1.অ্যাসথেনােস্ফিয়ার বা ক্ষুধমণ্ডল কাকে বলে?
উত্তর অর্থ : Asthenosphere' শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ As thenica থেকে, যার অর্থ দুর্বল' এবং 'Sphere'-এর অর্থ মণ্ডল। অর্থাৎ, অ্যাসথেনােস্ফিয়ার হল দুর্বলমণ্ডল।
সংজ্ঞা : ভূত্বকের নীচে গড়ে 150 – 200 কিমি পুরু ঊর্ধ্ব গুরুমণ্ডলের অন্তর্গত সান্দ্র, দুর্বল ও নমনীয় প্রকৃতির পরিবর্তনশীল স্তরকে অ্যাসথেনােস্ফিয়ার বলে। পাতগুলি এই স্তরের উপর
ভাসমান অবস্থায় আছে। এখানকার ম্যাগমার পরিচলন স্রোতের কারণে পাতের চলন ঘটে, অগ্ন্যুৎপাত হয়, ভূমিকম্প হয়। তাই এই স্তরকে ক্ষুন্ধমণ্ডল বলে।
2 সমস্থিতিক আলােড়ন (Isostatic Movement) বলতে কী বােঝাে? *
উত্তর গ্রিক শব্দ ‘lso' = সম এবং Static = স্থির। অর্থাৎ, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত বিভিন্ন উঁচু-নিচু স্থান যেমন পর্বত, মালভূমি, সমভূমি প্রভৃতি পরস্পরের মধ্যে উচ্চতাগত সাম্য অবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করে, তাকে সমস্থিতিক আলােড়ন বলে।
3 ইউস্ট্যাটিক আলােড়ন (Eustatic Movement) বলতে
উত্তর সমুদ্রবক্ষের জলধারণ ক্ষমতার হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটলে সমুদ্রপৃষ্ঠের যে উত্থান ও অবনমন ঘটে, তাকেই সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিবর্তন বা ইউস্ট্যাটিক আলােড়ন বলে। যেমন প্রতিসারী পাতসীমান্তে সমুদ্রবক্ষের বিস্তার ঘটে ও জলধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়, ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠ নেমে যায়। আবার, অভিসারী পাতসীমান্তে সমুদ্রবক্ষ
সংকুচিত হওয়ায় জলধারণ ক্ষমতা কমে যায়, ফলে সমুদ্রবক্ষ উখিত হয়
6 পর্বতের বৈশিষ্ট্য লেখাে।
উত্তর 0 পর্বতের উচ্চতা সাধারণত 1000 মিটারের বেশি হয়।
@ পর্বতগুলি বহুদূর বিস্তৃত হয়। @ পর্বতের ঢাল খুব খাড়া হয়।
এ পর্বতগুলি সুউচ্চ শৃঙ্গবিশিষ্ট ও গভীর গিরিখাতবৃত্ত
® পর্বতের ভূমিরূপ অত্যন্ত বন্ধুর প্রকৃতির।
7 পাত (Plate) কী ? *
উত্তর অ্যাসথেনােস্ফিয়ারের উপর ভাসমান ও চলনশীল শিলামণ্ডলের শক্ত ও কঠিন খণ্ডগুলিকে পাত বলে। 1956 খ্রিস্টাব্দে কানাডার ভূ-পদার্থবিদ জে. টি. উইলসন প্রথম পাত বা Plate শব্দটি
ব্যবহার করেন। ভূত্বকে 7টি বড়াে পাত, ৪টি মাঝারি পাত ও 20টিরও বেশি ছােটো পাত আছে।
উদাহরণ :ইউরেশীয় পাত, প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত প্রভৃতি।
8 অপসারী বা প্রতিসারী পাতসীমানা কাকে বলে ?
উত্তর সংজ্ঞা : যে সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পর থেকে ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে, তাকে অপসারী বা প্রতিসারী পাতসীমানা বলে। এই পাতসীমানায় নতুন ভূমিরূপের উৎপত্তি হয় বলে একে গঠনকারী পাতসীমানা বলা হয়।
9.অভিসারী পাতসীমানা কাকে বলে ?
উত্তর সংজ্ঞা : যে সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পরের দিকে। অগ্রসর হতে থাকে, তাকে অভিসারী পাতসীমানা বলে। এই । পাতসীমানায় ভূত্বকের কিছুটা অংশ ধ্বংস হয় বলে একে ধ্বংসাত্মক।
\ পাতসীমানা বলা হয়।
> উদাহরণ : উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকান পাত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত সীমানা।
10 নিরপেক্ষ বা ট্রান্সফর্ম পাতসীমানা কাকে বলে?
উত্তর সংজ্ঞা : যে সীমানা বরাবর দুটি পাত পরস্পরের সমান্তরালে পাশাপাশি সরিত হয়, তাকে নিরপেক্ষ বা ট্রান্সফর্ম পাত সীমানা বলে।
: ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত সান-আন্দ্রিজ চ্যুতি’ এই পাত সীমানার উদাহরণ।
11.অধঃপাত মণ্ডল (Subduction Zone); পাত-সংস্থান তত্ত্ব অনুযায়ী অভিসারী অর্থাৎ, বিনাসকারী পাত সীমানায় কোনাে ভারী মহাদেশীয় পাত যখন অন্য একটি হালকা মহাসাগরীয় পাতের সীমানায় প্রবেশ করে, তখন ভারী পাতের সেই নিমজ্জিত অংশকে অধঃপাত মণ্ডল বলে।
12 বেনিঅফ মণ্ডল Beni-off Zone) :
পাতসংস্থান তত্ত্ব অনুযায়ী, অভিসারী পাত সীমানায় কোনাে ভারী মহাসাগরীয় পাত কোনাে অপেক্ষাকৃত হালকা মহাদেশীয় পাত বরাবর ঢালু হয়ে অ্যাসথেনােস্ফিয়ারে প্রবেশ করে 45° কোণে নত হয়ে যে
অধঃপাত মণ্ডল গঠন করে, তাকে বেনিঅফ মণ্ডল বলে।
L) পাতসংস্থান তত্ত্ব অনুযায়ী বিভিন্ন ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি প্রক্রিয়া :
@ রকি ও আন্দিজ পর্বতের উৎপত্তি আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।
@ আল্পস পর্বতের উৎপত্তি উত্তরদিকে ইউরেশিয়া ও দক্ষিণদিকে আফ্রিকা পাতের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়েছে।
3 ও গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্যে সৃষ্টি হয়েছে।
ও হিমালয় পর্বত ভারতীয় পাত ও এশিয়া পাতের মধ্যে সংঘর্ষে সৃষ্টি হয়েছে।
11 সূচার লাইন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর সূচার লইিল (Suture Line) : দুটি অভিসারী পাত প্রথম যে রেখা বরাবর মিলিত হয় তাকে সূচার লাইন বলে।
উদাহরণ – হিমালয় পার্বত্য অঞলের সিল্ক সীবনরেখা সূচার লাইনের নিদর্শন।
12 চ্যুতি কাকে বলে ?
উত্তর প্রবল মহীভাবক ও আলােড়নের ফলে শিলাস্তরে সৃষ্ট যে ফাটল বরাবর একদিকের শিলাপ অপরদিকের শিলাপের তুলনায় উল্লম্ব বা অনুভূমিক বা তির্যকভাবে উর্থিত বা অবনমিত হয়, তাকে চ্যুতি বলে।
4 পামির মালভূমিকে 'পৃথিবীর ছাদ' বলে কেন? * * *
উত্তর উপরিভাগ কিছুটা সমতল ও চারপাশ খাড়া ঢালযুক্ত মালভূমিগুলির গড় উচ্চতা 300 মিটারের সামান্য বেশি হলেও পামির মালভূমির উচ্চতা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি, প্রায় 4,873
মিটার। এত উঁচুতে অবস্থিত হওয়ার জন্য পামিরকে পৃথিবীর ছাদ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
14 তির্যক মালভূমি (Tilt Blocks) বলতে কী বােঝাে?
উত্তর অনেক সময় ভূ-আলােড়নের ফলে ভূপৃষ্ঠের কোনাে বিস্তৃত ভূভাগ একদিকে হেলে পড়ে যে মালভূমি সৃষ্টি হয়, তাকে তির্যক মালভূমি বলে।
| উদাহরণ : দক্ষিণ ভারতের উপদ্বীপীয় মালভূমি এবং আরব মালভূমি পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে ঢালু।
7
15 ডেকাট্রাপ (Decantrap) কী ? *
উত্তর ‘ডেকান’ (Deccan) শব্দের অর্থ দাক্ষিণাত্য এবং সুইডিশ শব্দ ট্রাপ’ (Trap)-এর অর্থ সিঁড়ির ধাপ। ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি বিভিন্ন পর্যায়ে লাভা জমে সৃষ্টি হওয়ার ফলে এবং পরবর্তী
কালে অসম ক্ষয়কার্যের কারণে সিঁড়ির মতাে ধাপযুক্ত মালভূমিতে। পরিণত হয়েছে। তাই দাক্ষিণাত্য মালভূমিকে ডেকাট্রাপ বলা হয়।
16 মেশা (Mesa) ও বিউট (Butte) কী?
উত্তর স্পেনীয় শব্দ 'Mesa'-এর অর্থ টেবিল'। মরুঅঞ্চলে বায়ুর ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট টেবিল আকৃতির মালভূমিকে মেসা বলে।
মেসাগুলি আরও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ছােটো ছােটো ঢিবিতে পরিণত হলে তাকে বিউট বলে। ফরাসি শব্দ ‘Butte'-এর অর্থ ঢিবি। TUর্লাভা মালভূমি (Lava Plateau) কাকে বলে?
17 লাভা মালভূমি বলে
উত্তর ভূত্বকের কোনাে ফাটল বা ছিদ্রপথ দিয়ে ভূগর্ভের উত্তপ্ত ম্যাগমা বিদার অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে ধীরে ধীরে ভূপৃষ্ঠের বাইরে বেরিয়ে এসে লাভারূপে শীতল ও কঠিন হয়ে যে মালভূমি গঠিত
হয়, তাকে লাভা মালভূমি বলে। যেমন – দাক্ষিণাত্য মালভূমি।
1৪বিদার (Fissure) অগ্ন্যুৎপাত কাকে বলে? *
Jodhpur Park Boys' School '16
উত্তর ভূপৃষ্ঠের দীর্ঘ ফাটল বা বিদার (Fissure) বরাবর বিস্ফোরণ ছাড়া শান্তভাবে এবং ধীরে ধীরে ম্যাগমা নিঃসৃত হওয়াকে বিদার অগ্ন্যুৎপাত বলে। এর ফলে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে লাভা সণ্ডিত হয়ে
মালভূমি বা সমভূমি সৃষ্টি হয়। যেমন ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি।
অবস্থিত কঠিন শিলায় গঠিত অনুচ্চ পাহাড়গুলিকে ইলসেলবার্জ বলে।
উদাহরণ : সাহারা মরুভূমিতে ইলসেলবার্জ দেখা যায়।
19মােনাড়ন কী ? **
উত্তর গােলা : সমপ্রায় ভূমির মধ্যে অবস্থিত কঠিন শিলায় গঠিত অনুচ্চ পাহাড় বা টিলাগুলিকে মােনানক বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাউন্ট মােনাড়নক-এর নামানুসারে এর নামকরণ।
উদাহরণ; অযােধ্যা, শুশুনিয়া প্রভৃতি পাহাড় মােনাড়নকের উদাহরণ।
20বাজাদা (Bajada) কী ?
উত্তর কোনাে মরু অঞ্চলে পর্বত পাদদেশীয় নিম্নাংশে জল ও বায়ুপ্রবাহের সম্মিলিত কার্যে টুকরাে টুকরাে পাথর ও বালিকণাসঞ্চিত হয়ে যে সমতল ভূমিভাগ গঠন করে, তাকে বাজাদা বলে।
21 পৃথিবীর প্রধান প্রধান ভঙ্গিল পর্বতগুলির নাম লেখাে।
উত্তর এশিয়ার হিমালয়, ইউরােপের আমেরিকার রকি এবং দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ।
25 পৃথিবীর প্রধান কয়েকটি মালভূমির নাম লেখাে।
উত্তর এশিয়ার পামির, ছােটোনাগপুর; ইউরােপের ফ্রান্সের সেন্ট্রাল ম্যাসিফ, জার্মানির রাইন মালভূমি; উত্তর আমেরিকার- কানাডিয়ান শিল্ড, কলােরাডাে মালভূমি;অস্ট্রেলিয়ার – পশ্চিম ।অস্ট্রেলিয় মালভূমি, বার্কলে মালভূমি প্রভৃতি।
26 পৃথিবীর প্রধান কয়েকটি সমভূমির নাম লেখাে।
উত্তর এশিয়ার গাঙ্গেয় সমভূমি; ইউরোপের পােল্ডারল্যান্ড সমভূমি, নিপার নদী সংলগ্ন ইউক্রেন সমভূমি; উল আমেরিকার মধ্যভাগের হ্রদ তদ্ভুল সংলগ্ন সমভূমি; অস্ট্রেলিয়ার মারে-ডার্লিং সমভূমি প্রভৃতি।
27 ভারতের একটি স্তুপ পর্বত ও পূর্ব উপকূলের একটি উপদের নাম লেখাে।
উত্তর ভারতের একটি স্কুপ পর্বত হল সাতপুরা এবং পূর্ব উপকূলের একটি উপহ্রদ হল চিল্কা।
28 হােস্ট (Horst) *
উত্তর ভূ-আলােড়নজনিত সংকোচন ও প্রসারণের প্রভাবে সৃষ্ট দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ উল্লম্বভাবে উপরে উথিত হলে তাকে হােস্ট বলে। এটি এক ধরনের স্তুপ পর্বত।
উদাহরণ : ভারতের সাতপুরা হল একটি হােস্ট।
ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় 3 নং প্রশ্ন উত্তর
1মহীভাবক ও গিরিজনি আলােড়ন বলতে কী বােঝ? * * *
উত্তর মহীভাবক আলােড়ল (Epeirogenic Movement) :
অর্থ : মহী’ = মহাদেশ এবং ভাবক' = উদ্ভব অর্থাৎ মহীভাবক = মহাদেশের উদ্ভব। মহীভাবকের ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘Epeirogenic' এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Epiros = মহাদেশ’ এবং '''Genesis' = সৃষ্টি বা গঠন থেকে অর্থাৎ Epeirogenic =মহাদেশের সৃষ্টি বা উদ্ভব।
সংজ্ঞা : যে ভূ-আলােড়নের প্রভাবে উত্থান ও অবনমনের মধ্য দিয়ে মহাদেশের গঠন নির্ধারিত হয়, তাকে মহীভাবক আলােড়ন (Epeirogenic Movement) বলে।
বৈশিষ্ট্য : এই আলােড়ন ভূপৃষ্ঠে উল্লম্বভাবে অর্থাৎ, পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বরাবর কাজ করে।
এই আলােড়নে শিলাস্তরের উত্থান বা অবনমন ঘটে, প্রসারণ বা সংকোচন ঘটে না।
এর প্রভাব সাধারণত স্থানীয়ভাবে ঘটে থাকে।
শ্রেণিবিভাগ : মহীভাবক আলােড়ন দুই প্রকার। যথা – @ উর্ধ্বমুখী আলােড়ন এবং ® নিম্নমুখী আলােড়ন।
> সৃষ্ট ভূমিরূপ : ক্রুপ পর্বত, গ্রস্ত উপত্যকা, মালভূমি, সাগর, ভৃগুতট, চ্যুতি প্রভৃতি ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। যেমন ভারতের সাতপুরা স্কুপ পর্বত ও নর্মদা নদী উপত্যকা, উত্তর আমেরিকার । হাডসন উপসাগর প্রভৃতি সৃষ্টি হয়েছে।
গিরিজনি আলাড়ন (Orogenic Movement) :
পর্বত এবং জনি’ = উৎপত্তি বা গঠন। পর্বত গঠন। গিরিজনির ইংরেজি প্রতিশব্দ ।
"Orogenic' এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Oros' = পর্বত এবং Genesis = সৃষ্টি বা গঠন থেকে। অর্থাৎ, Orogenic = পর্বত গঠন।
সংজ্ঞা : যে আলােড়নের প্রভাবে শিলাস্তরে ভাজ পড়ে । গিরি বা পর্বত বিশেষত ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়, তাকে বলে গিরিজনি আলাড়ন।fa (Orogenic Movement)
বৈশিষ্ট্য : 0 এই আলােড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে অর্থাৎ, পৃথিবীর স্পর্শক বরাবর ক্রিয়া করে।
এই আলােড়নে শিলার অনুভূমিক সরণ ঘটে।
সাধারণত, বিশাল অঞ্চল জুড়ে এই আলােড়নের প্রভাব দেখা যায়।
এই আলােড়ন দুই প্রকার। যথা
শ্রেণিবিভাগ : 0 সংনমন বা সংকোচন এবং
@ টান বা প্রসারণ।
> সৃষ্ট ভূমিরূপ : সংকোচনের ফলে শিলাস্তরে ভাঁজ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হয় এবং প্রসারণের ফলে চ্যুতি সৃষ্টি হয়। যেমন – হিমালয়, আল্পস্, রকি, আন্দিজ প্রভৃতি ভঙ্গিল পর্বত
সৃষ্টি হয়েছে।
2. ভঙ্গিল পর্বতের বৈশিষ্ট্য লেখাে। **
উত্তর ভঙ্গিল পর্বভৱ (Fold Mountain) বৈশিষ্ট্য :
০ সৃষ্টি :পৃথিবীর যাবতীয় ভঙ্গিল পর্বতগিরিজনি আলােড়নে সৃষ্ট অনুভূমিক পার্শ্বচাপের ফলে পলিস্তরে ভাঁজ খেয়ে সৃষ্টি হয়েছে।
শিলা : প্রধানত পাললিক শিলা দ্বারা ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয়। তবে অনেকসময় ম্যাগমা অনুপ্রবেশের ফলে আগ্নেয়শিলা এবং প্রবল চাপের কারণে কিছু রূপান্তরিত শিলাও দেখা যায়।
ভাজ : প্রবল পাচাপের কারণে এই পর্বতে উভতা, অবােভ, প্রতিসম ভাজ, অপ্রতিসম ভাজ, ন্যাপ প্রভৃতি ভাজ দেখা যায়।
উচ্চতা : অন্যান্য পর্বত অপেক্ষা ভলি পর্বতের উচ্চতা বেশি। এই পর্বতে অসংখ্য সুউচ্চ শৃঙ্গ দেখা যায়।
০ বিস্তৃতি :সুবিশাল অঞ্চল জুড়ে এই পর্বত বিস্তৃত। এর প্রস্থ অপেক্ষা দৈর্ঘ্য অনেক বেশি।
0 জীবাশ্ম : পাললিক শিলা দ্বারা সৃষ্টি হওয়ায় ভঙ্গিল পর্বতে জীবাশ্ম দেখা যায়।
@ বিভাগ : সময়কাল অনুসারে ভঙ্গিল পর্বত দুই প্রকার। যথা - ০ প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত (আরাবল্লি) ও ১ নবীন ভঙ্গিল পর্বত (হিমালয়)।
0 ভূমিকম্প : নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞল ভূমিকম্প প্রবণ।
3.ভঙ্গিল পর্বতের কয়েক প্রকার ভাজের সংজ্ঞা :
ঊর্ধ্ব ভঙ্গ (Articline): অনুভূমিক পার্শ্বচাপের ফলে সঞ্চিত পলিরাশি বা শিলাস্তরে ভাজ খেয়ে পর্বতের যে অংশ উল ভাবে অবস্থান করে, তাকে ঊর্ধ্ব ভঙ্গবলে। উদাহরণ ভঙ্গিল পর্বতের
অর্ধভঙ্গ (Syncline): অনুভূমিক পার্শ্বচাপের ফলে ভাঁজের যে অংশ অবতল হয়ে অবস্থান করে, সেই অংশকে অপােভল বলে। উদাহরণ - ভঙ্গিল পর্বতের উপত্যকা অবােভসের উদাহরণ।
© প্রতিসম ভাজ (Symmetrical Fold): ভঙ্গিল পর্বতের ভাজের দু-দিরে পার্শ্বচাপ সৃষ্টিকারী বল সমান হলে ভাজের দু-দিকের বাহু সমান কোণে দুদিকে হেলে থাকে, এই ধরনের ভাজকে প্রতিসম ভাজ বলে। এক্ষেত্রে ভাজের দুদিকের বাহুর দৈর্ঘ্য সমান হয়।
০ অপ্রতিসম ভাঁজ (Asymmetrical Fofd): অন্যদিকে ভাঁজের দু-দিয়ে পার্শ্বচাপ সৃষ্টিকারী বল একপাশের থেকে অন্য পাশে বেশি হলে অর্থাৎ পার্শ্বচাপ সৃষ্টিকারী বল অসমান হলে ভাজের অক্ষতল
হেলে যায়, একে অপ্রতিসম ভাঁজ বলে। এক্ষেত্রে দুদিকের বাহুর দৈর্ঘ্য অসমান হয়।
ন্যাপ (Nappe): ভঁজের অক্ষতল বরাবর যখন ভাজের একটি বাহু অন্য বাহুর উপর উঠে যায় এবং শায়িত অবস্থায় অবস্থানকরে, তখন তাকে শায়িত ভাজ (Recumbent fold) বলে। পার্শ্বচাপ
বেশি হলে শায়িত ভাজের একটি বাহু অক্ষতল বরাবর বহুদূরে সরে যায়, তখন তাকে ন্যাপ (Nappe) বলে।
4 আগ্নেয় পর্বতের (Volcanic Mountain) বৈশিষ্ট্য লেখাে। *
উত্তর আগ্নেয় পর্বতের বৈশিষ্ট্য :
® সৃষ্টি : মূলত পাতের সঞ্চালন, ভূ-আলােড়ন কিংবা ভূপৃষ্ঠের ফাটল সৃষ্টির দ্বারা ভূ-অভ্যন্তরীণ গলিত পদার্থ উৎক্ষিপ্ত হয়ে আগ্নেয় পর্বত সৃষ্টি হয়।
® অবস্থান : ভূপৃষ্ঠের দুর্বল অংশ বা পাতসীমানা বরাবর আগ্নেয় পর্বত দেখা যায়।
® গাঠনিক উপাদান : আগ্নেয়শিলা, ভস্ম, সিন্ডার প্রভৃতি দ্বারা এই পর্বত গঠিত হয়।
আকৃতি : আগ্নেয় পর্বত সাধারণত শঙ্কু বা মােচাকৃতির হয়। তবে গম্বুজাকৃতিরও হয়ে থাকে।জ্বালামুখএই পর্বতে এক বা একাধিক ম্যাগমা নির্গমন পথ বা জ্বালামুখ থাঙ্গে।
0 উচ্চতা উচ্চতা মাঝারি প্রকৃতির। তবে সক্রিয় আগ্নেয় পর্বতের উচ্চতা ক্রমশ বাড়তে থাকে।
ঢাল ; এই পর্বতের চারপাশের ঢাল বেশ খাড়া হয়।
® ভূমিকম্প : অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
6প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা’ (Pacific ring of fire) বলতে কী বােঝাে? * * *
অথবা, প্রশান্ত মহাসাগরের উভয়পাশে বা মহাসাগরকে ঘিরে আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে কেন?
সংজ্ঞা : ‘মেখলা’ শব্দের অর্থ কোমর বন্ধনী। প্রশান্ত মহাসাগরকে বলয় বা কোমর বন্ধনীর মতাে ঘিরে পৃথিবীর প্রায় 70% আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে। তাই একে ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা’ বলে।
বিস্তার : এই আগ্নেয় মেখলা বা বলয়টি প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণে হর্ন অন্তরীপ থেকে শুরু করে আন্দিজ ও রকি পর্বতমালা হয়ে আলাস্কার মধ্য দিয়ে বেঁকে পশ্চিম উপকূল বরাবর কামচাটকা, শাখালিন, জাপান, ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ ও ইন্দোনেশিয়া হয়ে দক্ষিণে নিউজিল্যান্ড পর্যন্ত বিস্তৃত।
সৃষ্টির কারণ : মূলত প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল বরাবর অভিসারী পাত সীমান্তের অবস্থানের জন্য এই আগ্নেয় মেখলা সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব উপকূলে আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষের কারণে এবং পশ্চিম উপকূলে এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া পাতের সঙ্গে প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্যের কারণে আগ্নেয়গিরিগুলি গড়ে উঠেছে।
উল্লেথযাগ্য আগ্নেয়গিরি : প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলের উল্লেখযােগ্য আগ্নেয়গিরিগুলি হল আকোনকাগুয়া, কটোপ্যাক্সি, পিলি, ওরিজাবা প্রভৃতি এবং পশ্চিম উপকূলের
উল্লেখযােগ্য আগ্নেয়গিরিগুলি হল ফুজিয়ামা, বাটুর, ক্রাকাতােয়া, কিলাউইয়া, ইরেবাস প্রভৃতি।
7 স্তুপ পর্বতের (Block Mountain) বৈশিষ্ট্য লেখাে। *
উত্তর সূপ পর্বতের বৈশিষ্ট্য :
@ সৃষ্টি : দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ উত্থিত হলে কিংবা, দুটি সমান্তরাল চ্যুতির দুই পার্শ্বস্থ অংশ বসে গেলে স্থূপ পর্বত সৃষ্টি হয়।
প্রযুক্ত বল : স্কুপ পর্বত গঠনে অনুভূমিক ও উল্লম্ব বল পরস্পর কাজ করে।
পর্বত শীর্ষ : স্তুপ পর্বতের শীর্ষভাগ চ্যাপটা প্রকৃতির হয়ে থাকে।
@ উচ্চতা : স্তুপ পর্বতের উচ্চতা মাঝারি হয়।
ঢাল : প্রায় প্রতিটি স্কুপ পর্বত খাড়া ঢালবিশিষ্ট হয়।
@ বিস্তৃতি : স্কুপ পর্বত দীর্ঘ অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত হয় না। এজ উপত্যকা ও Uশ উপত্যকা টান বা প্রসারণের ফলে সৃষ্ট দুটি সমান্তরাল স্বাভাবিক চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গিয়ে গ্রস্ত
উপত্যকার সৃষ্টি হয়। কিন্তু অপর দিকে সংকোচন বা সংনমনের ফলে সৃষ্ট দুটি বিপরীত চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ বসে গিয়ে র্যাম্প উপত্যকা সৃষ্টি হয়। যেমন: ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা। গ্রজ উপত্যকা ও গ্রাবেন, গ্রস্ত উপত্যকাকে জার্মানিতে গ্রাবেন (Graben) বলে। তবে, সৃপ পর্বতের যে-কোনো পাশেই সৃষ্ট উপত্যকা
গ্রস্ত উপত্যকা, কিন্তু গ্রাবেন হল দুটি সুপ পর্বতের মাঝে সৃষ্ট উপত্যক। গ্রস্ত উপত্যকার তুলনায় গ্রাবেন-এর গভীরতা কম।
8 ক্ষয়জাত পর্বত বা অবশিষ্ট পর্বতের Residual Hill) বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে। *
বৈশিষ্ট্য।
0 গঠন : বহির্জাত বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কার্যের ফলে এই পর্বত গঠিত হয়।
ও গঠনকারী শিলা । প্রধানত প্রাচীন ও কঠিন আগ্নেয় ও রূপান্তরিত শিলা দ্বারা এই পর্বত গঠিত।
€ উচ্চতা এই পর্বতের উচ্চতা বেশি হয় না। ক্ষয়কার্যের ফলে এর উচ্চতা ক্রমশ হ্রাস পায়।
0 শীর্ষদেশ : এই পর্বতের শীর্ষদেশ ছুঁচোলাে বা তীক্ষ নয়, অনেকটা গােলাকার বা গম্বুজের ন্যায়।
ও বয়স : ক্ষয়জাত পর্বতগুলি বয়সে প্রাচীন। ঢাল ও বন্ধুতা পর্বতের চারপাশের ঢাল ও পার্বত্য
ভূমির বন্ধুৱতা কম হয়।
9 মালভূমির বৈশিষ্ট্য লেখাে। *
উত্তর মালভূমির বৈশিষ্ট্য :
0 উচ্চতা মালভূমি সাধারণত সমুদ্রতল থেকে 300 মিটারের বেশি উচু হয়, তবে পর্বতবেষ্টিত মালভূমির উচ্চতা অনেক বেশি হয়। যেমন - পামির মালভূমির উচ্চতা প্রায় 4,873 মিটার।,
ও ঢাল : মালভূমি চারপাশে খাড়া ঢালযুক্ত হয়।
© শীর্ষদেশ মালভূমির শীর্ষদেশ বা উপরিভাগ অসমতল তরকায়িত প্রকৃতির হয়।
o আকৃতি : মালভূমির আকৃতি অনেকটা টেবিলের মতাে। তাই একে 'টেবিল ল্যান্ড' বলে।
© বিস্তাব : মালভূমিগুলি বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে অবস্থান করে।
0 গঠনকারী শিলা : মালভূমিগুলি সাধারণত আগ্নেয় ও রুপান্তরিত শিলা দ্বারা গঠিত হয়। ও পাহাড় । অনেক মালভূমির উপরে ছােটো ছােটো পাহাড় দেখা যায়। যেমন - ছােটোনাগপুর মালভূমির পরেশনাথ পাহাড়।
0 খনিজ সম্পদ : অধিকাংশ মালভূমি খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ হয়।
10 আলাস্কার কাটমাই পর্বতকে 'Valley of thousands Smokes' বলা হয় - এর মানে ? কী
উত্তর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার কাটমাই পর্বতটি একটি শিল্ড বা স্ট্র্যাটো আমেয়গিরি। এই আগ্নেয় পর্বতটি সম্পূর্ণরূপে পাইরােক্লাসটিক শিলা দ্বারা গঠিত। 1912 সালে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে এই আগ্নেয়গিরির কেন্দ্রীয় জ্বালামুখটি অবনমিত হয়ে ক্যালডেরার সৃষ্টি হয়। পরবর্তী পর্যায়ে এই আগ্নেয়গিরির
অসংখ্য ছিদ্রপথ দিয়ে জলীয়বাষ্প, ছাই ও অন্যান্য গ্যাস যেমন কার্বন ডাইঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি ঘন ধোঁয়ার আকারে নির্গত হতে থাকে এবং এই পর্বতের উপত্যকা অঞ্চলটি
প্রায় 40 মাইল বর্গকিলােমিটার জুড়ে আবৃত হয়। ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট চ্যুতিরেখা বরাবর অসংখ্য ফিউমারােল (Fumaroles) অবস্থান করায়, নির্গত হয় ঘন ধোঁয়ার কুণ্ডলী। বহু বছর ধরে এই আগ্নেয়গিরির ফিউমারােলগুলি থেকে লাভার পরিবর্তে বেরিয়ে আসছে ঘন ধোঁয়া – তাই এই অঞ্চলের নাম হয়েছে 'Valley of thousands Smokes'।
12 সমভূমির (Plains) বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।
উত্তর সমভূমির বৈশিষ্ট্য :
® উচ্চতা : সমভূমি সাধারণত সমুদ্র সমতল থেকে 300 মিটারের কম উচ্চতাবিশিষ্ট হয়।
© বিস্তার : বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সমভূমিগুলি অবস্থান করে। পৃথিবীর স্থলভাগের অর্ধেকের বেশি অংশ সমভূমির অন্তর্গত।
ও বন্ধুবতা : সমভূমি বন্ধুর প্রকৃতির নয়। এর উপরিভাগ সমতল প্রকৃতির।
ঢাল : সমভূমি মৃদু ঢালযুক্ত হয়। সমভূমি ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে সমুদ্রতলের সঙ্গে মিশে যায়।
গঠন : পৃথিবীর অধিকাংশ সমভূমি পলি সঞ্জয়ের ফলে
গঠিত হলেও ভূ-আন্দোলন ও ক্ষয়কার্যের ফলেও কিছু সমভূমি গঠিত হয়েছে।
® পরিলক্ষিত অঞল : পৃথিবীর অধিকাংশ সমভূমি অঞল নদী অববাহিকা অথবা সমুদ্র উপকূলে বিরাজ করছে।
3প্রবল পার্শ্বচাপ : প্রবল পার্শ্বচাপে পাললিক শিলায় ভাজ পড়ার সময় শিলার স্থিতিস্থাপকতা বিনষ্ট হলে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়।
@ চ্যুতি সৃষ্টি ; প্রবল পার্শ্বচাপে পর্বতের শিলায় ফাটল ধরে চ্যুতি সৃষ্টির সময় ভূমিকম্প হয়।
ধস ও হিমানী সম্প্রপাত : সুউচ্চ পর্বতে ধস নামার সময় এবং হিমবাহ থেকে বরফের চাই খসে পড়ার সময় ভূমিকম্প ঘটে।
8 ছােটোনাগপুর মালভূমিকে ভারতের খনিজ ভাণ্ডারবলা হয়। *
{ME 08, 06]
উত্তর ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ অঞ্চল হল ছােটোনাগপুর মালভূমি। এখানকার আর্কিয়ান ও টার্শিয়ারি যুগের শিলাস্তরে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন খনিজ সম্পদ রয়েছে, যার পরিমাণ
ভারতের মােট সঞ্চিত খনিজ সম্পদের প্রায় 40%। খনিজতেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ছাড়া প্রায় সমস্ত ধরনের খনিজ সম্পদ, যেমন কয়লা, অভ্র, তামা, বক্সাইট, আকরিক লােহা, গ্রাফাইট, চুনাপাথর,
ম্যাঙ্গানিজ, ইউরেনিয়াম, ডলােমাইট, সিসা, ক্রোমাইট, চিনামাটি, ফেলসপার, ফায়ার ক্লে, অ্যামাটাইট, কায়নাইট প্রভৃতি যথেষ্ট পরিমাণে ছােটোনাগপুর অঞলে পাওয়া যায়। এর মধ্যে ভারতের মােট সঞয়ের প্রায় 70% কয়লা, 95% তামা, 52% অভ্র, 50% বক্সাইট এই অঞলে সঞ্চিত আছে এবং ভারতের মােট উৎপাদনের প্রায় 40% কয়লা, 90% অভ্র, 50% তামা, 30% বক্সাইট, 34% গ্রাফাইট, 15% আকরিক লােহা এই অঞ্চল থেকে উত্তোলিত হয়। এই কারণেই ছােটোনাগপুর মালভূমিকে ‘ভারতের খনিজ ভাণ্ডার’ বলে।
1 মহীখাত বা জিওসিনাইন (Geosyncline) * *
উত্তর সাগর, মহাসাগরের অন্তর্গত সুদীর্ঘ অবনমিত প্রাচীন ভূ-ভাগ মহীখাত নামে পরিচিত।
>> প্রবন্তা : মহীখাত সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন ভূ-বিজ্ঞানী J. Hall, J. D. Dana প্রমুখ।
বৈশিষ্ট : মহীখাত ভূপৃষ্ঠের একটি সুদীর্ঘ, সংকীর্ণ অবনমিত জলভাগ। ® প্রতিটি মহীখাতই প্রাচীন ভূখণ্ড দ্বারা পরিবেষ্টিত। ® মহীখাত সর্বদা পলি সঞ্চয়ের দ্বারা অবনমিত হয়।0 ভঙ্গিল পর্বতের উত্থানে মহীখাতের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
উদাহরণ : টেথিস মহীখাত।
2 গ্রস্ত উপত্যকা (Rift Valley) * * [ME 01, 99]
উত্তর সংজ্ঞা : দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ নীচে বসেগিয়ে যে অবনত ভূমির সৃষ্টি করে, তাকে গ্রস্ত উপত্যকা বলে।
সৃষ্টির কারণ : 0 প্রবল ভূ-আলােড়নের ফলে সৃষ্ট টান ও সংকোচনের জন্য শিলাস্তরে ফাটল বা চ্যুতির সৃষ্টি হয়। এরূপ দুটি সমান্তরাল চ্যুতির মধ্যবর্তী অংশ মহীভাবক আলােড়নের কারণে নীচে বসে গেলে গ্রস্ত উপত্যকার সৃষ্টি হয় এবং পাশের অংশদুটি স্থূপ পর্বত রূপে বিরাজ করে।
> উদাহরণ : রাইন নদী উপত্যকা হল গ্রস্ত উপত্যকা এবং
দুপাশের স্তুপ পর্বত দুটি হল ভাে
চতুর্থ অধ্যায় ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর
1.পর্বত কাকে বলে? উদাহরণসহ পর্বতের শ্রেণিবিভাগ। করাে ও তাদের সংজ্ঞা দাও। * ()
উত্তর পর্বত (Mountain) : ভূপৃষ্ঠের উপর অবস্থিত, সমুদ্রতল থেকে প্রায় 1000 মিটারেরও বেশি উঁচু, বহুদূর বিস্তৃত খাড়া ঢালযুক্ত শিলাময় ভূমিকে পর্বত বলে।
পর্বতের শ্রেণিবিভাগ : উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে পর্বতকেচারটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা।
ভঙ্গিল পর্বত
উদা; আন্দিজ
আগ্নেয় বা সয়জাত পর্বত
উদা: ভিসুভিয়াস
স্কুপ পর্বত ক্ষয়জাত বা অবশিষ্ট পর্বত
উদা: অ্যাপালেশিয়ান
উদা: ব্ল্যাকফরেস্ট
2.পর্তসংস্থান তত্ত্বের (Plate Tectonic Theory) ভিত্তিতে ভঙ্গিল পর্বতের উৎপত্তি আলােচনা করাে। * * *
উত্তর পাড়সংখান তার ডিভিডে ভঙ্গিল পর্বতের গঠন।পাতসংস্থান তত্ত্ব আবিষ্কার : ভূবিজ্ঞানী জে টি উইলসন (J T Wilson) 1965 খ্রিস্টাব্দে প্রথম পাত' (Plate) শব্দটি ব্যবহার করেন। এরপর ম্যাকেঞ্জি, পার্কার, মান প্রমুখ বিজ্ঞানীগণ এই তত্ত্বের অবতারণা করলেও ফরাসি বিজ্ঞানী লা পিচো (Le Pichon) প্রথম পাত তত্ত্বের সর্বাধুনিক ব্যাখ্যা দেন।
তত্ত্বের মূল বক্তব্য - 0 পৃথিবীর ভূত্বক অনেকগুলি খণ্ডের সমষ্টি। প্রতি খণ্ডকে পাত বলে। @ ভূত্বকে এই ধরনের 7টি বড়াে পাত, ৪টি মাঝারি ও 20টিরও বেশি ছােটো পাত আছে।
@ অ্যাস্থেনােস্ফিয়ারের উপর ভাসমান পাতগুলি তাপের পরিচলন স্রোতের কারণে সারিত হয়। এ এই পাত সঞ্চারণ
@ পরস্পরের দিকে অর্থাৎ, অভিসারী 0 পরস্পরের বিপরীত দিকে অর্থাৎ, প্রতিসারী এবং ঐ পাশাপাশি অর্থাৎ, নিরপেক্ষ - এই তিনভাবে হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন ভূমিরূপ গঠন করে, যার মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল ভঙ্গিল পর্বত।
© পাভ সজ্ঞারণ ও ভঙ্গিল পর্বতের উত্থান :
> অভিসারী পাত সীমান্তে ভঙ্গিল পর্বতের উত্থান :
অভিসারী পাত সীমান্তে চলমান দুটি পাত পরস্পরের অভিমুখে এসে ধাক্কা খায় এবং সংঘর্ষ সীমান্তে ভঙ্গিল পর্বতসহ নানা ধরনের ভূমিরূপ গঠিত হয়। অভিসারী পাত সীমান্ত
মহাদেশীয়-মহাদেশীয় মহাসাগরীয়-মহাসাগরীয়(ভঙ্গিল পর্বত গঠিত হয় না)
মহাদেশীয়-মহাসাগরীয় সদ্যদর্শীয়-সন্যদেশীয় পাড় সীমান্তে ভঙ্গিল পর্বভর
উৎপভি : সাধারণত দুটি মহাদেশীয় পাতের মাঝখানে থাকে একটি অপ্রশস্ত, অগভীর সমুদ্র। একে মহীখাত বা Geosyncline বলে। নদনদীর মাধ্যমে আসা পলি সঞ্জিত হয়ে এই মহীখাত ভরাট হয়।
এদিকে মহাদেশীয় পাত দুটি যত পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসে, ততই মহীখাত সংকীর্ণ হয় ও পলিরাশি ভাজপ্রাপ্ত হয়ে ওপরে উঠে ভঙ্গিল পর্বত (Fold Mountain) গঠন করে।
উদাহরণ : ইউরেশীয় পাত ও ইন্দো-অস্ট্রেলিয়া পাতে পরবে। কাছে আসন্ন হলে টেথিস মহীতে গতি পরিশি ও ‘পড়ে। হিমালয় পর্বত উথিত হয়। ইউরেশীয় ও আফ্রিকান পাতের সংঘর্গে
পলিশি ভাজপ্রাপ্ত হয়ে আল্পস পর্বতের উত্থান হয়েছে।
মহাদেশীয় মহাসাগরীয় পাত সীমান্তে ভঙ্গিল পর্বতের উথাল : যখন একটি মহাদেশীয় পাত ও মহাসাগরীয় পাত পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসে তখন অপেক্ষাকৃত ভারী শিলাগঠিত
মহাসাগরীয় পাতটি হালকা মহাদেশীয় পাতের নীচে প্রবেশ করে, ফলে মহাদেশীয় পাতের প্রান্তে সঞ্চিত পলিরাশি ভাজ খেয়ে উপরের দিকে উঠে ভঙ্গিল পর্বত গঠন করে।
উদাহরণ : উত্তর আমেরিকা পাত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের মাঝে রকি পর্বতের উত্থান ঘটেছে। দক্ষিণ আমেরিকা। (মহাদেশীয়) ও নাজকা (মহাসাগরীয়) পাতের মাঝে আন্দিজ।
পর্বত-এর উত্থান, অস্ট্রেলিয়া পাত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাতের। মাঝে গ্রেট ডিভাইডিং রেঞ্জ-এর উত্থান ঘটেছে।
3.মানবজীবনের ওপর পর্বতের কী প্রভাব দেখা যায় ?
উত্তর মানবজীবনে পর্বতের প্রভাব অপরিসীম। যেমন
জলবাযুর পর প্রভাব : সুউচ্চ পর্বতশ্রেণি কোনাে অঞ্চলের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমন- ভারতের উত্তরে হিমালয় । শীতল বাতাসের ভারতে প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
© নদনদীর উৎস বরফাবৃত পর্বতমালা নদনদীর উৎস হিসেবে কাজ করে এবং নদীতে সারা বছর জলের জোগান দেয়।
বজ সম্পাদন চুংf : পার্বত্য অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ থেকে প্রচুর কাঠ, ভেষজ ওষুধ, ফল, মধু, মােম পাওয়া যায়।
পশুচারণ ঘেত : পার্বত্য অঞ্চলের তৃণভূমিতে পশুচারণ করে বহু মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন।
® ধাপ চাষ : পার্বত্য অঞ্চলে কৃষি অনুন্নত হলেও পর্বতের গায়ে ধাপ কেটে চা, কফি, ধান প্রভৃতির চাষ করা হয়।
® শিল্প ; বনজ ও কৃষিজ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে বন্ধুর ভূপ্রকৃতিতেও চা শিল্প, কাগজ শিল্প, প্লাইউড শিল্প গড়ে উঠেছে।
@ পর্যটন শিল্প : পার্বত্য অঞ্চলের মনােরম জলবায়ু ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটনকেন্দ্র স্থাপনে সহায়তা করে থাকে।
® জলবিদ্যুতৰ (জাগান : পার্বত্য অঞ্চলে নদীগুলি খরস্রোতা হওয়ায় জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
বহিঃশতুর আক্রমণ রােধ : দুর্গম পর্বতমালা প্রাচীরের মতাে অবস্থান করে দেশকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
4.মানবজীবনে মালভূমির প্রভাব বা গুরুত্ব আলােচনা করাে। ৪) . , ,
উত্তর মানবজীবনে মালভূমির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব দেখা যায়,
যেমন -
যেমন খনিজ সম্পদ ভাণ্ডারস্বরূপ : মালভূমি অঞ্চলগুলি প্রচুর পরিমাণ খনিজ সম্পদে পরিপূর্ণ থাকে। এখানে সাধারণত কয়লা, আকরিক লােহা, ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, তামা, অভ্র, চুনাপাথর প্রভৃতি
মূল্যবান খনিজ সম্পদ থাকে, যার অর্থনৈতিক গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি। খনিজ সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে ভারতের ছােটোনাগপুর মালভূমি অঞ্চলকে ভারতের খনিজ ভাণ্ডার’ বলা হয়।
© শিল্প স্থাপন : শিল্প গড়ে ওঠার প্রয়ােজনীয় কাঁচামাল (খনিজ বা কৃষিজাত) সহজে পাওয়া যায় বলে এখানে বৃহদায়তন লৌহ ইস্পাত শিল্প, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প, কার্পাস বয়ন শিল্প গড়ে উঠেছে।
© কৃষিকাজ : মালভূমি অঙুলের বন্ধুর ভূপ্রকৃতি ও স্বল্প বৃষ্টিপাত কৃষিকাজের অনুপযােগী হলেও এখানকার নদী উপত্যকার উর্বর মাটিতে তুলাে, ধান, পেঁয়াজ, আখ চাষ করা হয়। আবার, মালভূমির খাড়া ঢালে চা, কফি, রবার চাষ করা যায়। যেমন – ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমির কৃয়মৃত্তিকায় প্রচুর তুলাে চাষ হয়।
জলবিদ্যুভর প্রাচুর্য : বন্ধুর ভূপ্রকৃতির জন্য মালভূমি অঞলের নদীগুলি খরস্রোতা হয় বলে সহজেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। যেমন। দক্ষিণ ভারতের প্রায় সব নদী থেকেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
বনজ সম্পদ : মালভূমি অঞলে উৎপন্ন স্বাভাবিক উদ্ভিদ থেকে প্রচুর মূল্যবান বনজ সম্পদ পাওয়া যায়।
© পর্যটন শিল্পকেন্দ্র : মালভূমি অঞলের মনােরম প্রাকৃতিক পরিবেশ এখানে পর্যটন শিল্পকেন্দ্র গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
5.মানবজীবনে সমভূমির প্রভাব আলােচনা করাে। *
উত্তর
® কৃষিকাজ : সমভূমি অঞ্চল উর্বর পলিমাটি দিয়ে গঠিত বলে। পৃথিবীর অধিকাংশ কৃষিকাজ সমভূমি অঞলেই হয়ে থাকে। এই অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ধান, গম, তৈলবীজ, পাট, ডালজাতীয় শস্য,
আখ, আলু, শাকসবজির চাষ হয়ে থাকে। এখানকার অধিবাসীদের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। যেমন- গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ সমভূমি কৃষিকাজে উন্নত।
@ পশুপালন :কৃষিকাজের পাশাপাশি এখানকার অধিবাসীদের অপর জীবিকা পশুপালন। তাঁরা সাধারণত গবাদিপশু, গােরু, মােষ, ছাগল প্রভৃতি গবাদী পশু পালন করে থাকেন এবং দুধ, চামড়া ও
অন্যান্য পশুজাত দ্রব্য বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন করেন। যেমন— ওশিয়ানিয়ার মারে-ডার্লিং সমভূমিতে পশুপালন খুবই উন্নত।
© শিল্প : শিল্পের প্রয়ােজনীয় কাঁচামালের সহজলভ্যতা, উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা, ঘনবসতি, চাহিদাযুক্ত বাজার সমভূমি অঞ্চলে থাকায় এখানে ধাতব এবং কৃষিভিত্তিক উভয় প্রকার শিল্পই স্থাপিত
হতে দেখা যায়। যেমন- জাপানের কান্টো সমভূমিতে টোকিও-ইয়ােকোহমা শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছে।
ও উন্নত পরিবহণ ও যােগাযােগ ব্যবস্থা : অনুকূল প্রাকৃতিক
পরিবেশের কারণে সমভূমি অঞলে উন্নতমানের সড়কপথ ও রেলপথসহ জলপথ ও বিমানপথ গড়ে উঠেছে। ফলে, সহজেই দেশ-বিদেশের সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করা যায়। যেমন- উত্তর
আমেরিকার হ্রদ অঞ্চলটিতে পরিবহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থার বিশেষ সুবিধা আছে।
© জীবনধারণের জন্য অনুকূল পরিবেশ : পৃথিবীর প্রায় 90% লােক জীবনধারণের পক্ষে অনুকূল প্রাকৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ থাকার জন্য সমভূমি অঞ্চলে বাস করে।
@ শহর পত্তন : সুদূর অতীতকাল থেকেই ব্যাবসাবাণিজ্যের সুবিধাসহ অন্যান্য সুযােগসুবিধা মানুষকে সমভূমি অঞলে শহর পত্তনে উৎসাহী করেছে। যেমন— কলকাতা, বারাণসী, এলাহাবাদ প্রভৃতি।
[TAG]: ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ চতুর্থ অধ্যায় pdf,ভূ গাঠনিক প্রক্রিয়া ও পৃথিবীর বিভিন্ন ভূমিরূপ mcq,চতুর্থ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ভূগোল,নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায়,নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,