দুর্যোগ ও বিপর্যয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Geography 6th chapter question in bengali
দুর্যোগ ও বিপর্যয় নবম শ্রেণির ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Geography 6th chapter question in bengali pdf
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির ভূগোলের ষষ্ঠ অধ্যায় দুর্যোগ ও বিপর্যয় প্রশ্ন উত্তর PDF। Class IX geography six chapter question Pdf in bengali | WB Class Nine Geography question in bengali | WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় দুর্যোগ ও বিপর্যয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Geography 6th chapter important Question in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
‘দুর্যোগ ও বিপর্যয়’ নবম শ্রেণির ভূগোলের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
দুর্যোগ ও বিপর্যয় mcq প্রশ্ন
1.
2.
নবম শ্রেণি ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর
1.
2.
3
নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর
1. তুষার ঝড় বলতে কী বােঝো?ব্লিজার্ড তুষার ঝড় সৃষ্টির কারণ লেখাে।
উত্তর। তুষার ঝড় (BIizard) : সূক্ষ্ম তুর কেল্লাস (ছােটো বরফ কণা) বহনকারী অতি শীতল এবং প্রচণ্ড বেগে প্রবাহিত বায়ুপ্রবাহকে তুষারঝড় বা ব্লিজার্ড বলে। সাধারণত মেরু অঞ্চলে ও উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে তুষার ঝড় ঘটে থাকে। এই ব্লিজার্ডে বাতাসের বেগ থাকে 150 – 200 কিমি/ঘণ্টা।
তুষার ঝড় সৃষ্টির কারণ :উভয় গােলার্ধের মধ্য অক্ষাংশীয় অঞ্চলে (40° উ:/দ: – 60° উ:/দ:) শীতকালে উপকূলভাগ বা মহাদেশের মধ্যবর্তী জলভাগ উত্তর গােলার্ধে মহাদেশের উত্তরভাগ এবং দক্ষিণ গােলার্ধে মহাদেশের দক্ষিণ ভাগের তুলনায় বেশি উয় থাকে। ফলে এখানে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। ফলে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের প্রবল ঠান্ডা বায়ু এই নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে ধেয়ে আসে। এই প্রবল বেগসম্পন্ন ঠান্ডা বায়ুর সঙ্গে তুষার কণা যুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয় তুষার ঝড় বা ব্লিজার্ড।
2. বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলতে কী বােঝো?
উত্তর বিপয়ি ব্যবস্থাপনা ; বিপর্যয়ের সকল স্তরে গৃহীত নীতিসমূহ, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপের সমষ্টিগত রূপকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলে।
3.মহা অগ্ন্যুৎপাত (Super volcano)
উত্তর সংজ্ঞা : যে সমস্ত আগ্নেয়গিরি থেকে 1015 কেজি-এর বেশি ম্যাগমা উদ্গীরণ
হয় তাদের Super volcano মহা অগ্ন্যুৎপাত বলে।
এই Super volcano-গুলি সাধারণত তপ্তবিন্দু (Hot Spot) 1972: চিত্র 6.33 > সুপার ভলক্যানাে
পাত অণ্ডলে (Subduction Zone)-এ সংঘটিত হয়।
4. পশ্চিমবঙ্গের বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলির কয়েকটি উল্লেখ করাে।
উত্তর কোচবিহারে। দিনহাটা, তুফানগঞ্জ, মাথাভাঙা; সালদার,ইংলিশবাজার, কালিয়াচক; ® নদিয়ার
করিমপুর, নাকাশিপাড়া, কালিগঞ্জ; ও পশ্চিম মেদিনীপুর,ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর; 0 উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবরা, বাদুড়িয়া, বনগাঁ প্রভৃতি।
5.মেঘ ভাঙা বৃষ্টি (Cloud burst) বলতে কী বােঝাে?
উত্তর সংজ্ঞা ; দ্রুত ঘনীভবনের কারণে হঠাৎ ভারী বর্ষণ হলে, তাকে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি (Cloud burst) বলে।
ফলাফল। এর ফলে পার্বত্য অঞ্চলে যে বিশাল মাত্রায়। দ্রুতগতি সম্পন্ন জলপ্রবাহ ঘটে, তাকে হড়পা বান (Flash Flood)। বলে, এর ফলে ধস নামে এবং ব্যাপক হারে জীবন ও সম্পত্তিহানি হয়।
উদাহরণ : 2013 সালের জুন মাসে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে উত্তরাখণ্ডের অলকানন্দা অববাহিকা ও হরিদ্বারে ভয়াবহ ধসসহ বন্যা বিকট মাত্রায় বিপর্যয় ডেকে এনেছিল।
6.NIDM কী ?
উত্তর NIDM-এর পুরাে কথা National Institute of Disaster Management। এই জাতীয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানটি।
1995 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা শিক্ষার প্রসার ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতকে বিপর্যমুক্ত দেশে পরিণত করতে সদা সচেষ্ট।
QRT কী?
উত্তর QRT-এর পুরাে কথা হল Quick Response Teamপশ্চিমবঙ্গ সরকার বিপর্যয় মােকাবিলার জন্য প্রতিটি জেলার QRT নামে বিশেষ দল তৈরি করেছে। এই দলে রয়েছে রাজ্যস্তরের 4 পলটন ব্যাটেলিয়ান, ও কোম্পানি এবং 25 জন প্রশিক্ষিত কর্মী।
22 হড়পা বান (Flash Flood) কী? ***
উত্তর হঠাৎ ভারী বর্ষণের ফলে পার্বত্য অণ্ডলে যে বিশাল মাত্রার দ্রুতগতি সম্পন্ন জলপ্রবাহ ঘটে, তাকে হড়পা বান বলে। এর কল পার্বত্য ঢালে জলপ্রবাহের সঙ্গে সব কিছু ধসে নীচের দিকে নামতে
থাকে এবং ব্যাপক হারে জীবন ও সম্পত্তিহানি হয়। 2010 সালে জম্মু-কাশ্মীরের লে উপত্যকায় হড়পা বানে 250 জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
দুর্যোগ ও বিপর্যয় 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় 3 নং প্রশ্ন উত্তর
[1] :ঘূর্ণিঝড় কাকে বলে? ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণ লেখো।
উত্তর ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) : কোনাে অল্প পরিসর জায়গায় উয়তা বৃদ্ধির কারণে হঠাৎ করে বায়ুর চাপ কমে গেলে শক্তিশালী নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় বাইরের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে এই নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে বায়ু প্ৰবলগতিতে ছুটে আসে এবং ঝড়ের সৃষ্টি করে। এই ঝড়ে বায়ু উত্তর গােলার্ধে বামদিকে এবং দক্ষিণ গােলার্ধে ডানদিকে ঘুরতে থাকে বলে একে ঘূর্ণিঝড় বলা হয়।
ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণগুলি হল –i. ভূপৃষ্ঠের উন্নতা বৃদ্ধি, ii.সমুদ্র জলতলের উন্নতা বৃদ্ধি,iii.গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি,iv.আকাশে গাঢ় কিউমুলােনিম্বাস মেঘের সৃষ্টি, বাতাসের দ্রুত উধ্বমুখী প্রবাহ, v.জলীয়বাষ্পের ঘনীভবনের সময় লীনতাপের কারণে বায়ুমণ্ডলের উষতা বৃদ্ধি,vii.চাপের সমতা রক্ষার জন্য
চারদিকের উচ্চচাপের বায়ু নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে কুণ্ডলী আকারে তীব্র বেগে ছুটে যাওয়া,viii. গ্লোবাল ওয়ার্মিং।
2.সুনামি কী ? সুনামি সৃষ্টির কারণগুলি লেখো। **
উত্তর সুলালি (Tsunami) : সুনামি (Tsunarni) একটি জাপানি শব্দ। 'Tsu'-এর অর্থ ‘বন্দর’ ও ‘namj’-এর অর্থ ‘ঢেউ'। অর্থাৎ,সুনামি শব্দের অর্থ ‘বন্দর সংলগ্ন ঢেউ। সাধারণত প্রবল ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্র উপকূল বা বন্দর সংলগ্ন অঞ্চলে যে প্রবল জলােচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়, তাকে সুনামি বলে।
সুনামি সৃষ্টির প্রধান কারণগুলি হল -
সমুদ্র ভূমিকম্প : সমুদ্রগর্ভে পাত সঙ্ালনের ফলে সৃষ্ট ভূমিকম্পের কারণে ভয়াবহ সুনামির সৃষ্টি হয়। যেমন 2004 সালের ভারত মহাসাগরের সুনামি, 2011 সালের জাপানের সুনামি।
অগ্ন্যুৎপাত : সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিতে
অগ্ন্যুৎপাত ঘটলে যে কম্পন সৃষ্টি হয় তার ফলেও সুনামি সৃষ্টি হয়।যেমন। 1928 সালে ক্রাকাতােয়া আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামি।
ধস : সমুদ্র তীরবর্তী পার্বত্য এলাকায় বা বৃহদায়তন শিলায় ধসের ফলে সুনামির সৃষ্টি হয়। যেমন 1980 সালে ফ্রান্স উপকূলে সৃষ্ট সুনামি।
হিমানী সম্প্রপাত : হিমানী সম্প্রপাতে বিশাল বরফের স্তুপ সমুদ্রজলে আছড়ে পড়লে সুনামি সৃষ্টি হয়।
উত্তপাত : সমুদ্রে বড়াে উল্কাপিণ্ডের পতনের ফলে সুনামি সৃষ্টি হয়।
ঘূর্ণিঝড় : প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ফলেও অনেক সময় সুনামির সৃষ্টি হয়।
3.হিমানী সম্প্রপাতের কারণগুলি লেখাে।
উত্তর বিপুলায়তন হিমরাশি পর্বতের খাড়া ঢাল বরাবর মাধ্যাকর্ষণের টানে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে নেমে আসার ঘটনাকে হিমানী সম্প্রপাত বলে।
হিমানী সম্প্রপাতের কারণগুলি হল –
অভিত্তি ভুষারপাত : উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে অতিরিক্ত তুষারপাতের ফলে তুষারের চাপে বিশালাকার বরফের চাই ধসে পড়ে হিমানী সম্প্রপাত ঘটায়।
দিনের উন্নতা : দিনের বেলা তাপমাত্রা বাড়লে বরফগলা শুরু হয় ও তুষারের স্তর দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে হিমানী সম্প্রপাত ঘটে। উত্তর গােলার্ধে পর্বতের দক্ষিণ ঢালে এবং দক্ষিণ গােলার্ধে পর্বতের উত্তর ঢালে এই কারণে হিমানী সম্প্রপাত বেশি হয়।
প্রবল বায়ুপ্রবাহ : তুষার ক্ষেত্রের ওপর দিয়ে প্রবলবেগে প্রবাহিত বায়ু প্রবাহের প্রভাবে উপরের আলগা তুষারস্তর মূল তুষারস্তর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তুষার রাশির স্রোত সৃষ্টি করে হিমানী সম্প্রপাত ঘটে।
ভূমিকম্প : তুষারাবৃত পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রভাবে হিমানী সম্প্রপাত ঘটে থাকে।
মানুষের কার্যাবলি : তুষারাবৃত পার্বত্য ভূমিতে রাস্তাঘাট,বাড়িঘর নির্মাণের জন্য ডিনামাইট বিস্ফোরণ, প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষচ্ছেদন, তুষারক্ষেত্রের ওপর বিনােদনমূলক খেলাধূলার ব্যবস্থা করা প্রভৃতি হিমানী সম্প্রপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে।
10. বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলতে কী বােঝো?
উত্তর বিপয়ি ব্যবস্থাপনা ; বিপর্যয়ের সকল স্তরে গৃহীত নীতিসমূহ, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট কার্যকলাপের সমষ্টিগত রূপকে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা বলে।
বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য ;বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হল বিপর্যয় মােকাবিলা করতে সক্ষম একটি জনগােষ্ঠী গড়ে তােলা, ও দুর্যোগ চিহ্নিতকরণ ও বিশ্লেষণ করা, ও যে-কোনাে বিপর্যয়ের সময়ে দ্রুত কাজ শুরু করা, এ প্রতিবিধানমূলক নানান ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ও সুসংহত উদ্যোগ ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে
বিপর্যয়ের ঝুঁকি ও মানুষের দুর্গতি কমানাে, বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত পূরণে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য গড়ে তােলা।
বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার স্তর : মূলত তিনটি স্তরে বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কাজকর্মকে ভাগ করা হয়। যথা বিপর্যয়ের পূর্ববর্তী কার্যকলাপ এর মধ্যে বিপর্যয়ের ঝুকি মূল্যায়ন, বিপর্যয় সংক্রান্ত গবেষণা, শিক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বিপর্যয় মােকাবিলার সঠিক প্রশিক্ষণ প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত।
বিপর্যয় চলাকালীন কার্যকলাপ ত্রাণ, উদ্ধারকার্য, আশ্রয়দান প্রভৃতি এই স্তরের কার্যকলাপ। ® বিপর্যয় পরবর্তী কার্যকলাপ -এই পর্যায়ের মূল কাজ হল পুনর্বাসন।এই তিন পর্যায়কে একত্রে PMR পর্যায় বলে। অর্থাৎ,(i) Preparedness বা P (প্রস্তুতিকরণ), (ii) Mitigation বাM (প্রশমন) এবং (ii) Recovery বা R (পুনরুদ্ধার)। প্রতি বছর 13 অক্টোবর দিনটিকে বিপর্যয় লঘুকরণ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
11. বিপর্যয় পূর্ববর্তী পর্যায় (Pre-Disaster Stage) বলতে কী বােঝাে?
উত্তর পূর্বজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে বিপর্যয় লঘুকরণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিপর্যয়ের পূর্বে বিভিন্ন ধরনের পন্থা অবলম্বন করা হয়। একে বিপর্যয় পূর্ববর্তী পর্যায় বলে। একে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যেমন O refugt (Preparedness):
এই পর্যায়ে যে কাজগুলি করা হয় সেগুলি হল –
(i) যে-কোনা বিপর্যয়ের ঝুঁকির মূল্যায়ন করা হয়,
(ii) বিপর্যয় সম্পর্কে গবেষণা করা হয়,
(iii) বিপর্যয় মােকাবিলার আনুষঙ্গিক পরিকল্পনা করা হয়,
(iv) বিপর্যয়প্রবণ এলাকার সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়,
(v) বিপর্যয়প্রবণ এলাকায় পর্যাপ্ত সহযােগিতা দেওয়া হয়,
(vi) বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়,
(vii) বিপর্যয় সংক্রান্ত সতর্কীকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ ও তার উন্নতি করা হয়,
(viii) বিপর্যয় সংক্রান্ত শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়,
(ix) বিপর্যয়ের সময়, তার আগে ও পরের সময়ের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়,
(x) জরুরি অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য সঠিক পরিকল্পনা করা হয়,
(xi) বিপর্যয়ের পূর্বে বিপর্যয়প্রবণ এলাকাবাসীদের মহড়া প্রদান করা হয় যাতে বিপর্যয়ের সময় তারা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারে,
(xii) বিপর্যয় মােকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাে যেমন দমকল, আবহাওয়া দপ্তর, সেনাবাহিনী, এনজিও ইত্যাদি গড়ে তােলা হয়। @ প্রশসল (Mitigation) : এই পর্যায়ে যে কাজগুলি করা হয় সেগুলি হল – (i) বিপর্যয়প্রবণ এলাকার মানচিত্র প্রস্তুতি, (ii) সঠিক ভূমি ব্যবহার নীতি প্রণয়ন, (iii) স্থানীয়, আলিক, রাজ্য, কেন্দ্রীয় ও বিশ্ব পর্যায়ে বিপর্যয় মােকাবিলার বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ। ও নিবারণ (Prevention) : মানুষ ও সম্পদ রক্ষার জন্য গৃহীত ব্যবস্থাই হল নিবারণ। ভবিষ্যতে বিপর্যয়
যাতে মারাত্মক আকার ধারণ না করে তার জন্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে বিপর্যয় নিবারণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।
13.বন্যা নিয়ন্ত্রণে পশ্চিমবঙ্গে গৃহীত তিনটি কৌশল লেখাে।
উত্তর বন্যা নিয়ন্ত্ৰাণ পশ্চিমবঙ্গ গৃহীত ভিনটি কৌশল হল—--------
জল ধরাে, জল ভরাে : পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঘােষিত প্রকল্পের মাধ্যমে নদী, খাল, বিল, জলাধার প্রভৃতি খনন করে তার গভীরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এর ফলে যেমন বৃষ্টির জল ধরার সুবিধা হবে তেমনি বন্যার প্রকোপ হ্রাস পাবে।
বন্যা প্রাচীর (Flood wall) নির্মাণ : সুন্দরবন অঞলে নদী বাঁধগুলি কাদা-মাটির পরিবর্তে ইট, পাথর, কংক্রিট, সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। ফলে প্রবল জোয়ারের জল এই বন্যা প্রাচীর ভাঙতে না পারায় বন্যার প্রকোপ কমেছে।
সি-ডাইক (Sea dyke) তৈরি : সামুদ্রিক জলােচ্ছাস প্রতিরােধের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলে স্থানে স্থানে বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। এগুলিকে সি-ডাইক বলা হয়।
1 সুনামি (Tsunami) * *
উত্তর সুনামি (Tsunami) একটি জাপানি শব্দ, যেখানে ‘Tsu'-এর অর্থ বন্দর ও ‘nami' ঢেউকে বােঝায়। কাজেই প্রবল ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্র উপকূল বা বন্দর সংলগ্ন অঞ্চলে যে প্রবল জলােচ্ছাস সৃষ্টি হয়, তাকে সুনামি বলে।
উৎপত্ত : সমুদ্রগর্ভে ভূমিকম্প, পার্বত্য অঞলে ধস, হিমানী সম্প্রপাত, অগ্ন্যুৎপাত বা সমুদ্রে বড়াে উল্কাপিণ্ডের পতনের ফলে সমুদ্রবক্ষে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্রবক্ষে থানচ্যুতি ঘটে উপকেন্দ্রের সব জল অনেক উঁচু হয়ে তরঙ্গের আকারে প্রচণ্ড গতিতে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসে। এর ফলে উপকূল অঞ্চলে প্রবল জলােচ্ছ্বাস অর্থাৎ সুনামির সৃষ্টি হয়। প্রশান্ত মহাসাগরীয় আগ্নেয় মেখলা একটি সুনামিপ্রবণ অঞ্চল।
বৈশিষ্ট্য : সুনামির গতি থাকে 300-1000 কিমি/ঘণ্টা উপকূলের কাছে সুনামির উচ্চতা থাকে 30-40 মিটার।
মনুষ্যকুলের ওপর প্রভাব : এই জলােচ্ছাস সমুদ্র উপকূলে আছড়ে পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। সম্পত্তি ও জীবনহানি ঘটায়।
উদাহরণ : 2004 সালের 26 ডিসেম্বর ভারত মহাসাগরে ঘটে যাওয়া বিশাল সুনামি।
2. ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)
উত্তর শব্দ অথ: ঘূর্ণিঝড় শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ।Cyclone 'Cyclone' শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘Kukloma'. থেকে যার অর্থ সাপের কুণ্ডলী।
সংজ্ঞা : দীর্ঘকালীন উত্তাপের কারণে সৃষ্ট নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে প্রবল বেগে প্রবাহিত বায়ুকে বলে ঘূর্ণিঝড়।
প্রভাবিত রাজ্য : ভারতের পূর্ব উপকূল বরাবর ওড়িশা, অন্ত্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও তামিলনাড়ু হল ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত রাজ্য।
বৈশিষ্ট ;
সাইক্রোনে বাতাসের গতিবেগ থাকে 100–200 কিমি/ঘণ্টা।
সমুদ্র থেকে এই ঘূর্ণিঝড় প্রবল বৃষ্টি সহকারে উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ে।
বেশিরভাগ সময়ই এই ঘূর্ণিঝড় মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রত্যাগমনের সময় সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ : আয়লা, ফাইলিন প্রভৃতি হল কয়েকটি উল্লেখযােগ্য সাইক্লোন।
3. হিমানী সম্প্রপাত (Avalanche) *
উত্তর পর্বতের ঢাল বেয়ে মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে বিপুল পরিমাণ হিমরাশির বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে নেমে আসার ঘটনাকে হিমানী সম্প্রপাত বলে।
সৃষ্টির কারণ : অতিরিক্ত তুষারপাত, উয়তার বৃদ্ধি, প্রবল বায়ুপ্রবাহ, ভূমিকম্প প্রভৃতি কারণে হিমানী সম্প্রপাত হয়ে থাকে।
প্রভাব : হিমানী সম্প্রপাতের ফলে পর্বতারােহণে বিঘ্নতার সৃষ্টি হয়।অনেক সময় পর্বতারােহীদের মৃত্যু ঘটে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
4 ব্লিজার্ড (Blizzard) * *
উত্তর সংজ্ঞা : সূক্ষ্ম তুষার কেলাস (ছােটো বরফকণা) বহনকারী অতি শীতল এবং প্রচণ্ড বেগে প্রবাহিত বায়ুপ্রবাহকে তুষারঝড় বা ব্লিজার্ড বলে। আন্টার্কটিকা, উত্তর আমেরিকার উত্তরভাগ, কানাডা,
ইউরােপ ও এশিয়ার উত্তরাংশে, বরফাবৃত উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে ব্লিজার্ড সৃষ্টি হতে দেখা যায়।
বৈশিষ্ট :
এই ঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় 120 - 160 কিমি হয়;
তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায়;
সামান্য দূরের বস্তুও দৃশ্যমান হয় না;
ঝড়ের স্থায়িত্ব কমপক্ষে 3 ঘণ্টা হয়ে থাকে।
প্রভাব
ব্লিজার্ডের প্রভাবে জমা বরফ পরে গলে গিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে;
কৃষিজমি তুষারাবৃত হয়ে পড়ায় ফসলের ক্ষতি হয়;
রেলপথ, সড়কপথ, বিমানবন্দর তুষারাবৃত হয়ে পড়ে।
উদাহরণ : 188৪ সালে ঘটা ব্লিজার্ড-এর ফলে USA-এর কানেটিকাট এবং ম্যাসাচুসেট্স-এ প্রায় 400 জন মারা যায়।
ষষ্ঠ অধ্যায় দুর্যোগ ও বিপর্যয় বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর
[1] : দুর্যোগ (Hazard) কাকে বলে? এর বৈশিষ্ট্যগুলিলেখাে। * *
উত্তর দুর্যোগ (Hazard) :অর্থ ; প্রাচীন ফরাসি শব্দ ‘Hasard’ থেকে ‘Hazard শব্দটি এসেছে, যার অর্থ দুর্যোগ। আবার, অনেকে মনে করেন আরবি শব্দ ‘az-zahr’ থেকে ‘Hazard’ শব্দের উৎপত্তি, যার অর্থ
‘Chance' (অপ্রত্যাশিত বা দৈব ঘটনা) বা Luck’ (অদৃষ্ট) অর্থাৎ, দুর্যোগ হল অদৃষ্ট বা কোনাে দৈব ঘটনা।
সংজ্ঞা : প্রাকৃতিক ও মানবিক কারণে সংঘটিত যে-সকল ঘটনা দ্বারা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সাময়িকভাবে ব্যাহত হয়, জীবন, স্বাস্থ্য ও সম্পত্তিহানি হয় এবং পরিবেশের গুণগত মানের অবনমন ঘটে, তাকে দুর্যোগ বলে।
উদাহরণ : ভূমিকম্প, বন্যা, ভূমিধস প্রভৃতি।
দুর্যোগের বৈশিষ্ট্য :
উপাদান : দুর্যোগ প্রাকৃতিক ও মানবিক উপাদানের সংযুক্ত ক্রিয়া।
ব্যাপ্তি : দুর্যোগ সাধারণত ক্ষুদ্র স্কেলে সংঘটিত হয়। অর্থাৎ, এর ব্যাপকতা কম।
প্রভাব : মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে একেবারে রুদ্ধ না করলেও সাময়িকভাবে ব্যাহত করে।
ক্ষয়ক্ষতি এবং পরিবেশের গুণগত মান হ্রাস : ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব ব্যাপক মাত্রায় না হলেও সম্পদের অল্পবিস্তর ক্ষতি হয় এবং পরবেশে গুণগত মানের অবনমন ঘটে।
বিপর্যয়ের কারণ :দুর্যোগের পথ ধরেই বিপর্যয় আসে, তাই দুর্যোগ হল বিপর্যয়ের কারণ দুর্যোগ বিপর্যয়ে পরিণত হতে পারে তবু নও হত
2. বিপর্যয় (Disaster) কাকে বলে? বৈশিষ্ট্য লেখো। * *
উত্তর বিপর্যয় (Disaster) : অর্থ ; Disaster শব্দটির উৎপত্তি ফরাসি শব্দ Desasire থেকে বোনে, Des' কথার অর্থ Bad’ বা ‘Evil (খারাপ বা মন্দ) এবং asierথার অর্থ Star (তারা)। সুতরাং, Desasire'-এর অর্থ অশুভ তারা (Evil Star)। প্রাচীনকালে মানুষ বিশ্বাস ত যে, অশুভ তারার প্রকোপেই প্রকৃতিতে বিপর্যয়
সংজ্ঞা : প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট তাৎক্ষণিক বা দীর্ঘমেয়াদি এমন কোনাে বিপজ্জনক ঘটনা যা মানুষের দুর্গতির কারণ হয় এবং বইরের সাহায্য ছাড়া যার মােকাবিলা করা সম্ভব হয় না, তাকেই বিপর্যয় বলা হয়।
Webster অভিধান অনুসারে বিপর্যয় হল – “A grave occurrence having ruinous result"
উদাহরণ : দুর্যোগের চরম পরিণতি হল বিপর্যয়। ভূমিকম্প,বন্যা প্রভৃতি দুর্যোগের কারণে যখন ব্যাপক হারে ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানি ঘটে তখন তা বিপর্যয়ের রূপ নেয়। যেমন – 2004
সালে ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট সুনামি দ্বারা ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশের বিপর্যয়।
বিপর্যয়ের বৈশিষ্ট্য :
উপাদান : বিপর্যয় প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণের ফল।
ব্যাপ্তি ; বিপর্যয় হতে পারে হঠাৎ, অপ্রত্যাশিত ও ব্যাপকতর।
বিপর্যয় বৃহৎ স্কেলে, অর্থাৎ, ব্যাপক হারে সংঘটিত হয়।
প্রভাব : মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে স্তব্ধ করে দেয়।
ক্ষয়ক্ষতি : প্রাকৃতিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সম্পদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটে।
বিপন্নতা : বিপর্যয় অধ্যুষিত এলাকায় মানুষ নিজেকে বিপন্ন বােধ করে।
জীবনযাত্রার অবনতি : এই অবস্থায় সমাজের প্রয়ােজনে লাগে আশ্রয়, স্যানিটেশন, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা ও সামাজিক পরিচর্যা। ফলে বাইরের সাহায্যের প্রয়ােজন হয়।
পরিকাঠামাের অবনতি : বিপর্যয়ের ফলে অত্যাবশ্যক পরিকাঠামাে, যেমন স্বাস্থ্য, পরিবহণ, যােগাযােগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
note : রাষ্ট্রসংঘ (United Nation)-এর মতে, যদি কোনাে কারণে 1 মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয় এবং 100 জনের আধিক মানুষের জীবনহানি হয় ও 100 জনের অধিক মানুষ আহত হয়, তখনই তাকে বিপর্যয় বলা যাবে।
3.খরা কী ? খরা সৃষ্টির কারণগুলি লেখাে। **
উত্তর খৱা (Drought) : ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের সংজ্ঞানুযায়ী কোনাে অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম (75%-এর কম) বৃষ্টি হলে বা বহুদিন ধরে বৃষ্টি না হলে অস্বাভাবিক শুষ্ক অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে খরা বলে। যেমন ভারতের পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বে 300 km বিস্তৃত অঞল খরাপ্রবণ।
খরা সৃষ্টির কারণ : খরা সৃষ্টির পিছনে একাধিক প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণ রয়েছে।
প্রাকৃতিক কারণ :
বৃষ্টিপাতের স্বল্পতা : সঠিক সময়ে বর্ষা না এলে, বর্ষাকালে অনেকদিন ধরে বৃষ্টি না হলে, সঠিক সময়ের আগে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
অতিরিক্ত বাষ্পীভবন : বৃষ্টিপাতের চেয়ে বাষ্পীভবনের পরিমাণ বেশি হলে খরা সৃষ্টি হয়।
বিশ্ব উষ্যায়ন : বিশ্ব উন্নয়নের প্রভাবে ব্যবহাওয়া কনশ উন্নও শুষ্ক হয়ে উঠছে। খরা সৃষ্টির প্রবণতা বাড়ছে।
এল-নিনোর প্রস্তাব ; উঃ এল-নিনো সমুদ্রস্রোত থানায় ,আঞ্চলিক স্তরের আবহাওয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। যেসব বছরগুলিতে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব প্রান্তে এল-নিনাের আবির্ভাব হয় সে বছর ভারতে মৌসুমি বায়ুর অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পায় ও গুরার সম্ভাবনা বাড়ে। এল-নিনাের প্রভাবে 2009 সালে ভারতের 25টি জেলায় খরার সৃষ্টি হয়।
মনুষ্যসৃষ্ট কারণ :
অৱণ্য ধ্বংস ; অরণ্য ধ্বংসের ফলে বাতাসে জলীয়বাপের জোগান কমে যায় এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পায়। ফলে খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
শিল্পায়ন নগরায়ণ :নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে বাতাসের তাপমাত্রা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এই ক্রমবর্ধমান উম্নতা খুরা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে ও অতিরিক্ত ভূ-গর্ভস্থ জলের ব্যবহার : ভূগর্ভস্থ জল অত্যধিক পরিমাণে ব্যবহার করার ফলে মাটির স্তরগুলি শুকোতে শুরু করেছে
যা ভবিষ্যতে খরার ন্যায় পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।
অতিরিক্ত ভৌমজল ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ জলস্তর নীচে নেমে যায় এবং মাটির আর্দ্রতা কমে যায় ফলস্বরূপ খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বায়ুদূষণ : বায়ুদূষণের ফলে বাতাসে অ্যারােসলের(ধূলিকণা, লবণকণা ইত্যাদি) পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জলীয়বাষ্পের শােষণ বেড়ে যায়। ফলে, অধঃক্ষেপণের পরিমাণ হাস পায় এবং খরার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।
দুর্যোগপূর্ণ পৃথিবী আমেরিকার ‘Dust Bowl খরা 1930 খ্রিস্টাব্দে ঘটেছিল, যেটি ইতিহাসে সবথেকে বড়াে বিপর্যয়। উত্তর আমেরিকার গ্রেট প্লেন সমভূমি অঞলের মাটি ধুলােতে পরিণত হয়েছিল।
উত্তর দাবানল (Forest fire) : বনের শুকনাে ডালে ডালে ঘষা লেগে বা শুকনাে পাতায় বজ্রপাতের তীব্র তাপে আগুন জ্বলে অথবা মানুষের ব্যবহৃত কোনাে দাহ্য পদার্থ থেকে আগুন লেগে যখন বিশাল
বনাঞল পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তখন তাকে দাবানল বলে।
দাবানল সৃষ্টির কারণগুলি নিম্নলিখিত
প্রাকৃতিক কারণ :
বজ্রপাত : বজ্রপাতের জন্য বনভূমির শুকনাে পাতা,ডালপালায় অগ্নিসংযােগ ঘটলে দাবানলের সৃষ্টি হয়।
প্রবল ঝােড়াে হাওয়া : সরলবর্গীয় অরণ্যের গাছগুলি খুব দীর্ঘ হয়। প্রবল ঝােড়াে হাওয়ায় গাছের লম্বা ডালপালা পরস্পরের সঙ্গে ঘষা খেতে থাকে। এর ফলে অনেক সময় আগুনের ফুলকি বের হয় যা দাবানল সৃষ্টি করে।
দীর্ঘদিন খরা : দীর্ঘদিন খরা চলতে থাকলে ছােটো বড়াে উদ্ভিদ শুকিয়ে যায়, যা দাবানল সৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে।
অগ্ন্যুৎপাত : আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত থেকে নিকটবর্তী বনভূমিতে আগুন লেগে দাবানল সৃষ্টি হতে পারে।
বিশ্ব উম্নয়নের প্রভাব : বিশ্ব উয়ায়নের প্রভাবে দাবানল সৃষ্টির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পাথরের ঘর্ষণ : শুষ্ক ঋতুতে পার্বত্য ঢাল বেয়ে পাথরের টুকরাে গড়িয়ে নামার সময় ঘষা লেগে আগুনের ফুলকি সৃষ্টি হয় যা পার্বত্য বনভূমিতে দাবানল সৃষ্টি করে।
মনুষ্যসৃষ্ট কারণ :
ঝুম চাষ : পাহাড়ি অঞলে জঙ্গল কেটে পুড়িয়ে আদিম প্রথায় ঝুম চাষ করা হয়। এই সময়ে মাঝে মাঝে বনে আগুন লেগে যায়।
অসতর্কতা : পর্বতারােহীদের রান্নার সময় বা অসতর্কভাবে জ্বলন্ত বিড়ি, সিগারেট নিক্ষেপ থেকেও দাবানল সৃষ্টি হতে পারে।
শর্টসার্কিট থেকে : বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকেও বনে আগুন লাগতে পারে।
[TAG]: দুর্যোগ ও বিপর্যয় ষষ্ঠ অধ্যায় pdf,দুর্যোগ ও বিপর্যয় mcq,ষষ্ঠ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ভূগোল,নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায়,নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,