মানচিত্র ও স্কেল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Geography 9th chapter question in bengali pdf
মানচিত্র ও স্কেল নবম শ্রেণির ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Geography 9th chapter question in bengali pdf
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির ভূগোলের নবম অধ্যায় মানচিত্র ও স্কেল প্রশ্ন উত্তর PDF। Class IX geography nine chapter question Pdf in bengali | WB Class Nine Geography question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি ভূগোল নবম অধ্যায় মানচিত্র ও স্কেল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Geography 9th chapter important Question in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
‘মানচিত্র ও স্কেল’ নবম শ্রেণির ভূগোলের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
মানচিত্র ও স্কেল mcq প্রশ্ন
1.
2.
3.
4.
5.
নবম শ্রেণি ভূগোল নবম অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর
1 স্কেল (Scale) ★★
উত্তর (স্কল (Scale) : মানচিত্র, লেখচিত্র বা প্ল্যান-এ প্রদর্শিত যে-কোনো দুটি স্থানের দূরত্ব এবং ভূপৃষ্ঠে ওই দুটি স্থানের প্রকৃত দূরত্বের অনুপাতকে স্কেল বলা হয়।
2 মানচিত্র কাকে বলে? মানচিত্রের শ্রেণিবিভাগ লেখো। ★★
উত্তর মানচিত্র : পৃথিবীতে কোনো স্থানের কিংবা কোনো বস্তুসমূহের অবস্থানগত সম্পর্কের দৃষ্টিগ্রাহ্য রূপ হল মানচিত্র। একটি নির্দিষ্ট স্কেলে যে-কোনো সমতল কাগজের উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা দ্বারা পৃথিবীর কোনো অংশকে সঠিক দিক অনুসারে উপস্থাপন করলে, তাকে মানচিত্র (মান + চিত্র) বলে। প্রসঙ্গত, এই মানচিত্রের একমাত্রিক, দ্বিমাত্রিক, ত্রিমাত্রিক রূপ থাকে।
ক্ষুদ্র স্কেল মানচিত্র কাকে বলে? ★★
16 বিভিন্ন প্রকার ছোটো স্কেল মানচিত্রের পরিচয় দাও।
উত্তর ছোাটা স্কেল মানচিত্র : যে-সমস্ত মানচিত্র (পৃথিবীর মহাদেশের মানচিত্র) বিশাল অঞ্চলকে ছোটো করে দেখানোর উদ্দেশ্যে অঙ্কন করা হয়, সেগুলিকে ছোটো স্কেল মানচিত্র বলে।
1 সেমি মানচিত্র দূরত্ব = 250 কিমি বাস্তব দূরত্ব—এই স্কেলে অঙ্কিত মানচিত্র। এই মানচিত্র থেকে খুব বেশি তথ্য পাওয়া যায় না।
ছোটো স্কেল মানচিত্রের প্রকারভেদ : ছোটো স্কেল মানচিত্রগুলি বিভিন্ন ধরনের হয়। যথা –
● অ্যাটলাস মানচিত্র (Atlas Map) : সমগ্র পৃথিবী বা কোনো মহাদেশ বা দেশের বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়গুলিকে ছোটো স্কেলে অঙ্কন করে বই-এর আকারে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়, তাকে অ্যাটলাস মানচিত্র বলে। 'Times Survey Atlas of the world’ সংস্থাটি অ্যাটলাস মানচিত্র প্রস্তুত করে থাকে। এই মানচিত্র
(a) স্কুল অ্যাটলাস, (b) উন্নততর অ্যাটলাস (c) আঞ্চলিক অ্যাটলাস, (d) জাতীয় অ্যাটলাস। চার প্রকার। যথা
দেয়াল মানচিত্র (Wall Map) : দেয়ালে টাঙাবার জন্য সমগ্র পৃথিবী বা বিভিন্ন দেশ মহাদেশের যে মানচিত্র অঙ্কন করা হয়, তাকে দেয়াল মানচিত্র (Wall Map) বলে। এই মানচিত্র প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক হয়ে থাকে। 1 ইঞ্চিতে 100 বা 200 মাইল প্রভৃতি স্কেলে এই মানচিত্র অঙ্কন করা হয়।
3আন্তর্জাতিক মানচিত্র (International Map) : 1 : 1000000 স্কেল অনুসারে আন্তর্জাতিক মানচিত্র অঙ্কন করা হয়। পৃথিবীতে এই মানচিত্রের সংখ্যা 2222টি।
4• বিমান চালনা সংক্রান্ত মানচিত্র (Aeronautical Map) :
পৃথিবীর বিমান পথগুলিকে যে মানচিত্রের সাহায্যে দেখানো হয় তাকে বিমান চালনা সংক্রান্ত মানচিত্র বা অ্যারোনটিক্যাল ম্যাপ বলে।
G নৌ-চালনা সংক্রান্ত মানচিত্র (Navigational Map) : সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচলের সুবিধার জন্য যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে নৌ-চালনা সংক্রান্ত মানচিত্র বলে। এই মানচিত্রের সাহায্যে সমুদ্রপথ, সমুদ্রের গভীরতা, সমুদ্র স্রোত, জোয়ারভাটা, লাইট হাউস, মগ্নচড়া প্রভৃতি তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
4 বড়ো স্কেল মানচিত্র কাকে বলে? ।
উত্তর বাড়া (স্কল মানচিত্র : যে-সমস্ত মানচিত্র পৃথিবীর কোনো ছোটো অঞ্চল (গ্রাম, শহর) দেখানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়, তাকে বড়ো স্কেল মানচিত্র বলে। যেমন 1 সেমি মানচিত্র দূরত্ব = 2 কিমি বাস্তব দূরত্ব
এই স্কেলে অঙ্কিত মানচিত্র। এই মানচিত্র থেকে অনেক বেশি বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।
-
বাড়া স্কেল মানচিত্রের প্রকারভেদ : বড়ো স্কেল মানচিত্রগুলি বিভিন্ন প্রকারের হয়। যথা
● মৌজা মানচিত্র (Cadastral Map) : প্রধানত ভূমির দাগনম্বর অনুযায়ী যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে মৌজা মানচিত্র বা ক্যাডাস্ট্রাল ম্যাপ বলে। এই মানচিত্র সাধারণত 16 ইঞ্চিতে 1 মাইল এই স্কেলে অঙ্কন করা হয়
ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র (Topographical Map) :
কোনো একটি স্থানের সঠিক অবস্থান, আয়তন এবং প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলি বিভিন্ন প্রচলিত প্রতীক চিহ্ন দ্বারা চিত্রায়িত করে তৈরি মানচিত্রকে ভূবৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বা টোপোগ্রাফিকাল ম্যাপ বলে। গ্রিক শব্দ 'Topos’-এর অর্থ ‘স্থান’ এবং ‘Grapho'-এর অর্থ ‘আঁকা’। সাধারণত 1 : 2,50,000, 1: 50,000, 1 : 25,000 স্কেলে এই মানচিত্র অঙ্কন করা হয়।
নীল নকশা (Blue Print Map) : সাধারণত বাড়িঘর, অট্টালিকা, শহর, নগর, শিল্পকারখানা, পার্ক, গ্যালারি প্রভৃতি পরিকল্পিতভাবে নির্মাণের জন্য নীল রঙের কাগজের ওপর যে নকশা তৈরি করা হয় তাকে নীল নকশা বা ব্লুপ্রিন্ট বলে।
এলাকা মানচিত্র (Area Map) : কোনো নির্দিষ্ট এলাকাকে যখন মানচিত্রে দেখানো হয় তখন তাকে এলাকা মানচিত্র বলে।
থানা মানচিত্র (Thana Map) : কোনো থানার অন্তর্গত সমস্ত অঞ্চলকে দেখানোর জন্য যে মানচিত্র প্রস্তুত করা হয় তাকে থানা মানচিত্র বলে।
9ভূ-বৈচিত্র্যসূচক বা টোপোগ্রাফিকাল মানচিত্র কাকে বলে? ★★ Malda CC girls' HS School 16 এই মানচিত্রের বৈশিষ্ট্য লেখো। এই মানচিত্র পাঠের উদ্দেশ্য বা প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করো।
উত্তর সংজ্ঞা : গ্রিক শব্দ ‘Topos’-এর অর্থ ‘স্থান’ এবং ‘Grapho’-এর অর্থ ‘আঁকা”। এই দুই শব্দের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে Topographical অর্থাৎ, কোনো একটি স্থানের সঠিক অবস্থান, আয়তন এবং প্রাকৃতিক (ভূ-প্রকৃতি, নদ-নদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ) ও সাংস্কৃতিক (পরিবহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, জনবসতি প্রভৃতি) বিষয়গুলি বিভিন্ন প্রচলিত প্রতীকচিহ্ন দ্বারা চিত্রায়িত করে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়, তাকে ভূ-বৈচিত্র্যসূচক মানচিত্র বা টপোগ্রাফিকাল মানচিত্র বলে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ভূ-দৃশ্যগুলি হল ভূ-প্রকৃতি, নদ-নদী ও জল নির্গম প্রণালী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ এবং সাংস্কৃতিক ভূ-দৃশ্যগুলি হল যোগাযোগ ব্যবস্থা, জনবসতি, মন্দির, মসজিদ, বাজার ইত্যাদি।
বৈশিষ্ট্য : O স্কেল : এই মানচিত্র কতকগুলি সুনির্দিষ্ট স্কেল অনুসারে আঁকা হয়। যেমন – 1:50000, 1 : 250000 প্রভৃতি।
বিস্তার : এই মানচিত্রের নির্দিষ্ট অক্ষাংশগত ও দ্রাঘিমাগত বিস্তার থাকে। ও প্রতীক চিহ্ন : প্রচলিত নির্দিষ্ট প্রতীক চিহ্ন (Conventional Signs) ও রঙের সাহায্যে এই মানচিত্রের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলি চিত্রায়িত করা হয়। ও সূচক সংখ্যা : প্রত্যেক টোপো মানচিত্রের একটি নির্দিষ্ট সূচক সংখ্যা থাকে। যেমন – - 720, 73 476 প্রভৃতি। ও উপাদান : এই মানচিত্রে ভূ-প্রকৃতি, নদ-নদী, স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রভৃতি প্রাকৃতিক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, জনবসতি প্রভৃতি সাংস্কৃতিক উপাদান উপস্থাপন করা হয়। প্রকাশনা : ভারতবর্ষে Survey of India এই মানচিত্র প্রস্তুত করে ও প্রকাশ করে।
2 মানচিত্রের গুরুত্ব ও ব্যবহারগুলি লেখো। ★★
উত্তর মানচিত্রের গুরুত্ব : প্রাচীনকালে সমুদ্র যাত্রা, নতুন দেশ আবিষ্কার থেকে শুরু করে বর্তমানে কোনো দেশের ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক তথ্য বিশ্লেষণ, দেশের উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণ সব কাজেই মানচিত্র সমান গুরুত্বপূর্ণ।
-
1 অবস্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ : মানচিত্র পাঠের মধ্যে দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবস্থান সম্পর্কে বিশেষভাবে জানা সম্ভব হয়। যেমন – ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে সমগ্র ভারতের
·
বিভিন্ন রাজ্যের কয়েকটি বিশেষ স্থানের অবস্থান সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। সমুদ্রপথ এবং বায়ুপথের দিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রেও অবস্থান নির্ণয়ে মানচিত্র ব্যবহৃত হয়।
2দূরত্ব নির্ণয় : প্রতিটি মানচিত্রই নির্দিষ্ট একটি স্কেল
অনুযায়ী অঙ্কন করা হয়। কাজেই এই নির্দিষ্ট মানচিত্রে অবস্থানরত যে-কোনো স্থানের রৈখিক দূরত্ব থেকে ভূমিভাগের দূরত্ব নির্ণয় করা সম্ভবপর হয়।
3প্রাকৃতিক উপাদানগুলি শলাস্ত্রকরণ ও বিশ্লেষণ : মানচিত্র পাঠের দ্বারা পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলের ভূ-প্রকৃতি, মৃত্তিকা, স্বাভাবিক উদ্ভিদ, নদ-নদী প্রভৃতির বণ্টন সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায়। তাই ওই সকল উপাদানগুলি শনাক্ত করে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা যায়।
4আর্থসামাজিক দিক পরিবেশন : মানচিত্রের মাধ্যমে পৃথিবীর অঞ্চলভেদে কৃষি, শিল্প, জনসংখ্যা, অর্থনীতি, সামাজিক রীতিনীতি প্রভৃতি তুলে ধরা হয় বলে এটি বিভিন্ন অঞ্চল বা দেশের আর্থসামাজিক দিক পরিবেশন করে। ● জরিপে সুবিধা : মানচিত্র গ্লোবের তুলনায় যথেষ্ট হালকা ও বহনযোগ্য হওয়ায় যে-কোনো ভৌগোলিক ক্ষেত্রে জরিপের সময় এটি সহজেই ব্যবহার করা হয়।
● শিক্ষা সহায়ক উপাদান : মানচিত্র পাঠের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিশ্ব সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞানের পরিধি অনেক বৃদ্ধি পায়। শিক্ষাক্ষেত্রে মানচিত্রের ব্যবহার বহুবিধ। এছাড়া, ও পর্যটন শিল্পে এবং পর্যটকদের কাছে ও দেশের প্রতিরক্ষা, প্রশাসনিক এবং সামরিক প্রয়োজনে মানচিত্র অবশ্য ব্যবহার্য।
14 স্কেল (Scale) কাকে বলে?1স্কেলের শ্রেণিবিভাগ করো এবং বিভিন্ন প্রকার স্কেলের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ★★
উত্তর (স্কল (Scale) : মানচিত্রে দুটি স্থানের দূরত্ব এবং বাস্তবে ভূপৃষ্ঠে ওই দুটি স্থানের দূরত্বের অনুপাতকে স্কেল বলে। সূত্র : স্কেল = মানচিত্রের দূরত্ব : ভূপৃষ্ঠের দূরত্ব
মানচিত্রের দূরত্ব ভূপৃষ্ঠের দূরত্ব শ্রেণিবিভাগ : নিম্নে ছকের মাধ্যমে স্কেলের শ্রেণিবিভাগ দেখানো হল -
-
মানচিত্রে স্কেলের ব্যবহারগুলি কী কী? অথবা, মানচিত্র আঁকার জন্য স্কেলের প্রয়োজন হয় কেন? ★
উত্তর মানচিত্রে স্কেলের কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার দেখা যায়,
যেমন কোনো মানচিত্রে ব্যবহৃত স্কেলের দ্বারা ভূমিভাগের দূরত্বের সঠিক পরিমাপ পাওয়া সম্ভব হয়।
সমগ্র মানচিত্রের আয়তন নির্ণয়ে মানচিত্র স্কেলের সাহায্য নেওয়া হয়।
মানচিত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন নদ-নদী, সড়কপথ, রেলপথ প্রভৃতির দৈর্ঘ্য মানচিত্র স্কেলের মাধ্যমে পাওয়া যায়। কোনো স্থানের মানচিত্রকে প্রয়োজন অনুসারে আয়তনে ছোটো বা বড়ো করার কাজে মানচিত্র স্কেলের প্রয়োজন হয়। ← ভূপৃষ্ঠের কোনো স্থানের জরিপ (Survey) কার্যে মানচিত্র স্কেলের সাহায্য নেওয়া হয়।
3 স্কেলের ব্যবহার ও গুরুত্ব লেখো।
উত্তর। স্কেলের ব্যবহার ও গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন পৃথিবী ও তার যে-কোনো অংশের মানচিত্র আঁকতে
স্কেল অপরিহার্য; ও মানচিত্রের আয়তন বা ক্ষেত্রমান পরিমাপ করতে স্কেল ব্যবহৃত হয়; ও মানচিত্রের ওপর বিভিন্ন স্থানগুলির পারস্পরিক দূরত্ব নির্ণয় করে ভূপৃষ্ঠে ওই স্থানগুলির মধ্যেকার প্রকৃত দূরত্ব জানতে স্কেলের ব্যবহার অপরিহার্য; ও মানচিত্রে রেলপথ, সড়কপথ, নদী প্রভৃতির দৈর্ঘ্য নির্ণয়ে স্কেল গুরুত্বপূর্ণ;
● সুবিধা মতো মানচিত্রের আয়তন ছোটো বড়ো করার কাজে স্কেলের ব্যবহার অতি আবশ্যক; 6 জরিপ কাজের সময় স্কেল ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; ও বিভিন্ন ভৌগোলিক তথ্যকে মাপচিত্রের (কার্টোগ্রাম) মাধ্যমে উপস্থাপন করতে স্কেল অপরিহার্য; ও বাড়ি, অফিস, শপিং মল, আবাসন প্রভৃতির নকশা বা ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতে স্কেল অতি গুরুত্বপূর্ণ।
বিবৃতিমূলক স্কেলের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো।★
উত্তর সুবিধাসমূহ : @ এই স্কেলে অঙ্ক কষার জটিলতা নেই। ® এই স্কেল বোঝা খুব সহজ বলে মানচিত্র লোকেরও কোনো অসুবিধা হয় না। ® CGS ও FPS যে-কোনো একটি ইউনিটেই এটি প্রকাশ করা যায়। • গাণিতিক পদ্ধতি দ্বারা ছবি আঁকার জটিলতা নেই। মাপজোখ, ভৌগোলিক যন্ত্রপাতি ইত্যাদির দরকার হয় না এই স্কেল প্রকাশ করার জন্য।
© মানচিত্রের দূরত্ব ও ভূমিভাগের দূরত্বের মধ্যে সহজে তুলনা করা যায়।
সুবিধাসমূহ: ↑ বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের পক্ষে এটি বোঝা কষ্টকর কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন একক থাকে। ও মানচিত্রটি বড়ো বা ছোটো করার সঙ্গে সঙ্গে স্কেলটি বড়ো বা ছোটো হয় না। ® CGS পদ্ধতি থেকে FPS পদ্ধতিতে বা উলটোটা রূপান্তর করা কষ্টকর। @ স্কেলটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় বলে চোখে দেখে স্কেল অনুধাবন করার সমস্যা দেখা দেয়।
6 ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RF স্কেলের সুবিধা ও অসুবিধা গুলি লেখো। ★
উত্তর সুবিধাসমূহ : • এককমুক্ত হওয়ায় এই স্কেলকে বিশ্বের যে-কোনো দেশের দৈর্ঘ্যের এককে প্রকাশ করা যায়। ও পৃথিবীতে এই স্কেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। ® এই স্কেল থেকে সহজে বিবৃতিমূলক অথবা রৈখিক স্কেল তৈরি করা যায়। এই স্কেল ব্যবহার করে অঙ্কনজনিত ত্রুটি দূর করা যায়।সুবিধাসমূহ : • মানচিত্র বড়ো বা ছোটো করতে হলে তার সাপেক্ষে RF-কেও বড়ো বা ছোটো করে নিতে হয়।
ও গাণিতিক হিসাব না জানলে এই স্কেল ব্যবহার করা অসুবিধাজনক। ও স্কেলটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয় বলে চোখে দেখে স্কেল অনুধাবন করা অসুবিধাজনক। ও একক মাত্রাহীন হওয়ায় এক একক থেকে আর এক এককে রূপান্তর করা কষ্টসাধ্য। ও একমাত্র অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাই এই স্কেল ব্যবহার করতে পারেন।
7 রৈখিক স্কেলের সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখো। ★
উত্তর সুবিধাসমূহ: ← মানচিত্র পাঠকরা সহজেই রেখার মাপের সঙ্গে মানচিত্রের তুলনা করে বাস্তব দূরত্ব সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন। ও মানচিত্রের ক্ষুদ্র দূরত্বও সহজে গৌণ বিভাগের দ্বারা নির্ণয় ও প্রকাশ করা যায়। ® মানচিত্রের স্কেল ও ক্ষেত্রফলের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় থাকে। মানচিত্র বড়ো বা ছোটো হলে এই স্কেলও বড়ো বা ছোটো হয়। এই স্কেল বোঝা ও অঙ্কন সকলের পক্ষে সুবিধাজনক।
সুবিধাসমূহ : 0 ★ अजूविधासमूहএই স্কেল অঙ্কন করতে জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের প্রয়োজন হয়। ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দৈর্ঘ্যের বিভিন্ন একক ব্যবহার করা হয় বলে কোনো নির্দিষ্ট এককে
প্রকাশিত স্কেলটি সেই দেশের লোকেরাই বুঝতে পারবে যারা\
2 মুখ্য ভাগ (Primary Division)
উত্তর রৈখিক স্কেলে একটি নির্দিষ্ট মাপের সরলরেখাকে প্রয়োজনমতো কয়েকটি সুনির্দিষ্ট, সমান ও অপেক্ষাকৃত বড়ো ভাগে বিভক্ত করা হয়। প্রত্যেকটি ভাগকে মুখ্য ভাগ বলে।
বৈশিষ্ট্য : মুখ্য ভাগ হল রৈখিক স্কেলের প্রধান বা প্রাথমিক অংশ; ও মুখ্য ভাগগুলির যোগফল সবসময় স্কেলের মোট দৈর্ঘ্যের সমান হয়; ® প্রতিটি মুখ্য ভাগকে 1, 2, 5, 10, 20, 50,
100-এর গুণিতক হিসাবে প্রকাশ করা হয়; ← একটি রৈখিক স্কেলে ন্যূনতম তিনটি মুখ্য ভাগ থাকা উচিত; ← একটি মুখ্য ভাগের দৈর্ঘ্য সবসময় গৌণ ভাগগুলির যোগফলের সমান হয়; ও মুখ্য ভাগে অপেক্ষাকৃত বড়ো দৈর্ঘ্যের একক দ্বারা ভূমিভাগকে চিহ্নিত করা হয়, মাইল, ফার্লং, গজ, কিলোমিটার ইত্যাদি একক বেশি যেমন ব্যবহৃত হয়; ↑ রৈখিক স্কেলের একেবারে বাঁদিকে একটি বিভাগ ছেড়ে শূন্য (0) থেকে সমান ব্যবধানে ক্রমবর্ধমান হারে ডানদিকে মুখ্যভাগের মান দেখানো হয়।
-
3 গৌণ ভাগ (Secondary Division)
উত্তর রৈখিক স্কেলে একেবারে বাঁদিকের প্রথম মুখ্য ভাগটিকে কতগুলি সমান দৈর্ঘ্যের অপেক্ষাকৃত ছোটো ভাগে বিভক্ত করা হয়। এক একটি ভাগকে গৌণ ভাগ বলে।
বৈশিষ্ট্য : গৌণ ভাগ হল মুখ্য ভাগের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ; ও গৌণ ভাগগুলির মোট যোগফল একটি মুখ্য ভাগের দৈর্ঘ্যের সমান; ® মুখ্য ভাগের দৈর্ঘ্য গৌণ ভাগের দৈর্ঘ্যের দ্বারা পূর্ণ বিভাজ্য হবে; ও গৌণ ভাগে অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র মাপের দৈর্ঘ্য একক দ্বারা ভূমি ভাগের দূরত্বকে চিহ্নিত করা হয়। যেমন ইঞ্চি, ফুট, সেমি, ইত্যাদি।
4 বিবৃতিমূলক স্কেল
উত্তর সংজ্ঞা : মানচিত্রের স্কেলকে যখন লিখিত বিবৃতির দ্বারা বা ভাষায় বর্ণনামূলকভাবে প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বিবৃতিমূলক স্কেল বলে।
বৈশিষ্ট্য : এই স্কেলে মানচিত্রের দূরত্বকে সাধারণত সেমি ও ইঞ্জিতে প্রকাশ করা হয়। ও এই স্কেলের লিখিত বিবৃতির বামদিকের মানটি মানচিত্রের দূরত্ব ও ডানদিকের মানটি ভূমিভাগের দূরত্বকে প্রকাশ করে।
উদাহরণ : 1 সেমিতে 1 মিটার, অর্থাৎ মানচিত্রে 1 সেমি =ভূমিভাগে 1 মিটার।
5 রৈখিক সেল (Linear Scale) ★★★
উত্তর সংজ্ঞা : মানচিত্রে সরলরেখার মাধ্যমে ভূমির দূরত্ব প্রকাশ
করে যে স্কেল প্রদর্শন করা হয়, তাকে রৈখিক স্কেল বলে।
বৈশিষ্ট্য : ← এই স্কেলকে দুভাগে ভাগ করা হয় – (i) মুখ্য বিভাগ (Primary Division) এবং (ii) গৌণ বিভাগ @ সমস্ত গৌণ বিভাগের সমষ্টি একটি মুখ্য বিভাগের সমান হয়। © এই স্কেল দুটি পদ্ধতিতে অঙ্কিত হয়
© সরলরৈখিক পদ্ধতি এবং © তুলনামূলক রৈখিক পদ্ধতি।● এই স্কেলের একেবারে বামদিকে গৌণ বিভাগগুলি দেখানো হয়।
মুখ্য ভাগ-
6 ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RFস্কেল ★★★
উত্তর সংজ্ঞা : মানচিত্রের দূরত্ব ও ভূমি দূরত্বের অনুপাতকে যখন ভগ্নাংশে প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RF(Representative Fraction) বলে।
বৈশিষ্ট্য : ← ভগ্নাংশসূচক স্কেল বা RF = মানচিত্রের দূরত্ব ।
ভূমির দূরত্ব ও এই স্কেলকে যে-কোনো এককে প্রকাশ করা যায়। যদিও এই স্কেলে কোনো একক (Unit)
দেওয়া থাকে না। ও মানচিত্রের দূরত্ব ও ভূমির দূরত্বের একক একই ধরা হয়। এই স্কেলের লব সর্বদা 1 হয়।
উদাহরণ : 1 : 50,000 এই কথার অর্থ হল মানচিত্রে 1 সেমি ভূমিতে 50,000 সেমি দূরত্বের সমান।
7 কর্ণিক স্কেল বা ডায়াগোনাল স্কেল (Diagonal Scale)
উত্তর সংজ্ঞা : আয়তক্ষেত্র বা বর্গক্ষেত্রের দুটি কর্ণকে যুক্ত করে সদৃশ ত্রিভুজ গঠনের দ্বারা গৌণ ভাগকে ভগ্নাংশে পরিণত করে সূক্ষ্ম মান পাঠ করার জন্য যে স্কেল তৈরি করা হয়, তাকে কর্ণিক স্কেল বা ডায়াগোনাল স্কেল বলে।
বৈশিষ্ট্য : বড়ো স্কেল মানচিত্র বিশেষত মৌজা মানচিত্রে এই স্কেল বেশি ব্যবহার করা হয়। ও কোনো দৈর্ঘ্যকে মুখ্য, গৌণ ও প্রগৌণ ভাগে ভাগ করা যায় বলে অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম মান পাঠ করা যায় এই স্কেলের মাধ্যমে। ও এই স্কেলের একটি মুখ্য ভাগের মান সকল গৌণ ভাগের সমান এবং একটি গৌণ ভাগের মান সকল প্রগৌণ ভাগের সমান হয়। এই স্কেলের প্রগৌণ ভাগের এক একটি অংশ গৌণ ভাগের আনুপাতিক দৈর্ঘ্যকে নির্দেশ করে।
ব্যবহার : মুখ্য, গৌণ ও প্রগৌণ ভাগ দ্বারা অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভগ্নাংশিক দৈর্ঘ্য নির্ণয় করতে এই স্কেল ব্যবহার করা হয়। ও কোণ পরিমাপ করতে এটি ব্যবহৃত হয়। ও মৌজা মানচিত্রে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। ও ক্ষেত্রফল নির্ণয়ে এই স্কেল ব্যবহার করা হয়। পরিকল্পনাকারী, জরিপকারী ও ভৌগোলিকদের বিভিন্ন কাজে এই স্কেল ব্যবহৃত হয়।
তুলনামূলক রৈখিক স্কেল (Comparative Linear Scale)
উত্তর সংজ্ঞা : পারস্পরিক দুটি ভিন্ন এককে (CGS ও FPS) প্রকাশিত দুটি সরলরৈখিক স্কেলকে একত্রে তুলনামূলকভাবে প্রকাশ করার জন্য একটি সরলরেখার দুদিকে স্কেল দুটি অঙ্কন করা হলে, তাকে তুলনামূলক রৈখিক স্কেল বলে।
বৈশিষ্ট্য : • এই স্কেলকে যৌগিক রৈখিক স্কেলও বলে। ® এই স্কেলে CGS ও FPS পদ্ধতি, দুটি এককেরই তুলনা করা সম্ভব। ® উভয় স্কেলেই একই সংখ্যক মুখ্য ও গৌণ বিভাগ থাকে। ← দুটি স্কেলকেই একই ভগ্নাংশ সূচক স্কেল বা RF দ্বারা প্রকাশ করা যায়। এই স্কেলের সাহায্যে অতি সহজে মাইল-কিমি গত দূরত্বের সাধারণ পার্থক্য নির্ণয় করা যায়।
সুবিধাসমূহ : O এই স্কেল বোঝা ও আঁকা সহজ। ও দুটি ভিন্ন একক ও দৈর্ঘ্যের মধ্যে সহজে তুলনা করা যায়। ও এক সঙ্গে দুটি রৈখিক স্কেল অঙ্কন করা যায়। প্রথমে সামরিক প্রয়োজনে ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যবহৃত হলেও পরবর্তীকালে সব দেশে এর ব্যবহার শুরু হয়।
বৈশিষ্ট্য : O এই স্কেলে মূল স্কেল ও ভার্নিয়ার স্কেল দুটির অংশ একসঙ্গে লাগানো থাকে। ও যে-কোনো দৈর্ঘ্য এই স্কেলে নির্ভুলভাবে পরিমাপযোগ্য। ® এই স্কেল থিয়োডোলাইট, ব্যারোমিটার, সেক্সট্যান্ট, প্লানিমিটার প্রভৃতি যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়। পরিমাপের নিয়ম : মোট দৈর্ঘ্য = প্রধান স্কেলের মাপ +
ভার্নিয়ার স্কেলের মাপ।
ভার্নিয়ার স্থিরাঙ্ক (Vernier Constant) : মূল স্কেলের একটি ক্ষুদ্রতম ভাগ ও ভার্নিয়ার স্কেলের একটি ক্ষুদ্রতম ভাগের মধ্যেকার পার্থক্যকে বলা হয় ভার্নিয়ার স্থিরাঙ্ক।
এখানে VC = ভার্নিয়ার স্থিরাঙ্ক, d = মূল স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের মান, n = ভার্নিয়ার স্কেলের ক্ষুদ্রতম ভাগের সংখ্যা।
1 মানচিত্র (Map) কাকে বলে?
উত্তর। ল্যাটিন শব্দ 'ম্যাপা' (Mappa) থেকে ‘ম্যাপ' (Map) শব্দ উৎপত্তি লাভ করেছে। 'ম্যাপা' শব্দের অর্থ কাপড়। প্রাচীনকালে কাপড়, চামড়া, তুলট কাগজের ওপর ‘ম্যাপ' আঁকা হত। তাই এরূপ নামকরণ করা হয়।
সমগ্র পৃথিবী অথবা এর কোনো অংশ সঠিক দিক অনুসারে নির্দিষ্ট স্কেলে সমতল কাগজের ওপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা দ্বারা সৃষ্ট ছকের ভিতরে উপস্থাপন করা হলে তাকে মানচিত্র বলে।
মানচিত্র = মান + চিত্র, অর্থাৎ নির্দিষ্ট মান বা স্কেলে অঙ্কিত চিত্রকে মানচিত্র বলা হয়।
2 মানচিত্রের (Map) বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর মানচিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলি হল মানচিত্র একটি সুনির্দিষ্ট স্কেলে অঙ্কন করা হয়। ও মানচিত্রে দিক নির্দেশ করা থাকে। সাধারণত মানচিত্রের ওপরের দিকটি উত্তর দিক ধরা হয়।
ও মানচিত্রে বিভিন্ন বিষয়গুলি বিভিন্ন রং, চিহ্ন, সংকেতের সাহায্যে দেখানো হয়।
• মানচিত্র আঁকতে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা অতি প্রয়োজনীয়।
3 লৈখিক স্কেল (Graphical Scale) বলতে কী বোঝো?
উত্তর সংজ্ঞা : মানচিত্রে যখন কোনো স্কেলকে চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে লৈখিক স্কেল বলে।
বৈশিষ্ট্য : সাধারণত সরলরেখার ওপর এই স্কেল প্রকাশ করা হয়; ঔ এই স্কেল ব্যবহারের দিক থেকে সুবিধাজনক; ও মানচিত্র বড়ো বা ছোটো করলে স্কেলও একই অনুপাতে বড়ো বা ছোটো হয়।
শ্রেণিবিভাগ : তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথা
রৈখিক স্কেল
(i) সরল রৈখিক স্কেল এবং (ii) তুলনামূলক রৈখিক স্কেল; ও কর্ণিক বা ডায়াগোনাল স্কেল; ® ভার্নিয়ার স্কেল।
বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র (Thematic Map) কাকে বলে?
উত্তর : প্রাকৃতিক (ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, মাটি প্রভৃতি), অর্থনৈতিক (কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, পরিবহণ), সাংস্কৃতিক (জনসংখ্যা প্রভৃতি) ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের কোনো একটির ওপর ভিত্তি করে যে মানচিত্র তৈরি করা হয়, তাকে বিষয়ভিত্তিক মানচিত্র বা থিমেটিক মানচিত্র বলে। উদাহরণ নদ-নদী মানচিত্র, আবহাওয়া মানচিত্র, জনসংখ্যা মানচিত্র প্রভৃতি।
5 কাটোগ্রাফি (Cartography) কাকে বলে?
উত্তর কার্টোগ্রাফি হল মানচিত্র অঙ্কন বিদ্যা। এই শাস্ত্র দ্বারা বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে প্রাপ্ত তথ্য বা ভূপৃষ্ঠের কোনো বিষয়কে চিত্ররূপে উপস্থাপিত করার কৌশল জানা যায়।
9 সমমানরেখা মানচিত্র (Isopleth Map) কাকে বলে?
উত্তর ‘Isopleth’-এর ‘Iso’ অর্থ ‘সমান এবং ‘pleth' অর্থ ‘মাপ'।
যে মানচিত্রে কোনো ভৌগোলিক বিষয়ের সমমানযুক্ত স্থানগুলিকে রেখার দ্বারা পরস্পর যুক্ত করে উপস্থাপন করা হয়, তাকে সমমান রেখাচিত্র বা আইসোপ্লেথ ম্যাপ বলে। এটি পরিমাণগত মানচিত্র।
উদাহরণ সমচাপরেখা, সমোন্নতিরেখা, সমোয়রেখা, সমবর্ষণরেখা ইত্যাদি মানচিত্র।
10 কোরোপ্লেথ ম্যাপ কাকে বলে?
উত্তর 'Choropleth'-এর ‘choro' অর্থ ‘পরিসর’ বা ‘স্থান’ এবং ‘pleth' অর্থ ‘মাপ। অর্থাৎ, যে মানচিত্রে বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগ, কোনো ভৌগোলিক উপাদানের ঘনত্ব বা পরিমাণ রং বা রেখা দ্বারা
সৃষ্ট ছায়াপাতের মাধ্যমে দেখানো হয়, তাকে কোরোপ্লেথ মানচিত্র বলে। এটি পরিমাণগত মানচিত্র। উদাহরণ মানচিত্র।
11কার্টোগ্রামের (Cartogram) সংজ্ঞা দাও।
উত্তর Cartogram শব্দটি 'Karte' ও 'Diagramma' এই দুটি গ্রিক শব্দের মিলনে সৃষ্টি হয়েছে। 'Karte' অর্থ মানচিত্র এবং 'Diagramma' অর্থ নকশা। সুতরাং, কার্টোগ্রাম হল মানচিত্রে অঙ্কিত নকশা। যখন ভৌগোলিক তথ্যকে রং, বিন্দু, রেখা, বৃত্ত প্রভৃতি চিহ্ন দ্বারা সরলীকৃত চিত্ররূপে মানচিত্রে উপস্থাপন করা হয়, তখন তাকে কার্টোগ্রাম বা মাপচিত্র বলে।
12 বর্তমান মানচিত্র বইকে 'Atlas' নামকরণ করা হয় কেন? অথবা, ‘Atlas' কী?
উত্তর। ষোড়শ শতাব্দীতে (1578 খ্রিস্টাব্দে) হল্যান্ডের ভূগোলবিদ্ মার্কেটর প্রথম মানচিত্র বই গ্রিক পুরাণের দেবতা 'Atlas'-এর নামানুসারে প্রকাশ করেন। সেই থেকেই বর্তমান কাল পর্যন্ত মানচিত্র বইকে mসাধারণত ‘Atlas' নামকরণ করা হয়।
13 উপগ্রহ চিত্র (Satellite Image) কাকে বলে?
উত্তর উপগ্রহ চিত্র কথার অর্থ কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে সংগৃহীত পৃথিবীর কোনো অংশের আলোকচিত্র। অর্থাৎ, মহাকাশে যে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষিপ্ত হয় সেই উপগ্রহ পৃথিবীর যে আলোকচিত্র সংগ্রহ করে পর্যবেক্ষকের কাছে পাঠিয়ে দেয়, তাকে উপগ্রহ চিত্র (Satellite Image) বলে।
32 মানচিত্র অভিক্ষেপ কী ?
উত্তর সমগ্র পৃথিবী বা এর কোনো অংশের মানচিত্র অঙ্কন করার জন্য যে নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট ক্সেল ও সূত্রের সাহায্যে ভূগোলকের অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার জালিকাকে কোনো দ্বিমাত্রিকতলে (কাগজে) যথাযথ ও শ্রেণিবদ্ধভাবে স্থানান্তর করা হয় তাকে মানচিত্র অভিক্ষেপ বলে।
33 ভূমি ব্যবহার মানচিত্র কাকে বলে?
উত্তর যে মানচিত্রে বৃহৎ স্কেলে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভূমি বা জমিকে কী কী প্রকারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তা আলাদা আলাদা রং বা সাংকেতিক চিহ্নের সাহায্যে দেখানো হয় তাকে ভূমি ব্যবহার মানচিত্র বলে।
নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর
মানচিত্র ও স্কেল 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায় 3 নং প্রশ্ন উত্তর
[1] :
[2] :
[3]
নবম অধ্যায় মানচিত্র ও স্কেল বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর
[] :
AN
[2] :
[3] :
[TAG]: মানচিত্র ও স্কেল নবম অধ্যায় pdf,মানচিত্র ও স্কেল mcq,নবম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ভূগোলনবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায়,নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,