দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর PDF|তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ|Class 10 history 3rd chapter suggestion 2022 pdf
দশম শ্রেণীর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর|তৃতীয় অধ্যায় প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ|Class 10 history 2nd chapter suggestion 2022 pdf
1.প্রথম ভারতীয় অরণ্য আইন পাস হয়-
A ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে
B ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে
C ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে
D ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে
2.দ্বিতীয় ভারতীয় অরণ্য আইন পাস হয়-
A ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে
B ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে
C ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে
D ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে
3. রংপুরের ইজারাদার ছিলেন—
A নুরুলউদ্দিন
B দেবী সিংহ
C দয়ারাম শীল।
D জগন্নাথ সিংহ
4.রংপুর স্বাধীন সরকারের ‘নবাব’ ছিলেন--
A দয়ারাম শীল।
B দেবী সিংহ
C তিতুমির
D নুরুলউদ্দিন
5.কোন্ বিদ্রোহে কৃষকরা ‘ডিং খরচা’ নামে চাঁদা আদায় করত?
A বারাসাত
B নীল
C পাবনা
D রংপুর
6. প্রথম পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন।
A নুরুলউদ্দিন
B তিতুমির
C জগন্নাথ সিংহ
D দিগম্বর বিশ্বাস
7. দুর্জন সিং কোন্ বিদ্রোহের নেতা ছিলেন?
A রংপুর
B চুয়াড়
C পাবনা
D নীল
8.. শিরােমণি কোন্ বিদ্রোহের নেতা ছিলেন?
A পাবনা
B নীল
C চুয়াড়
D রংপুর
9 ‘দামিন-ই-কোহ’-তে বসবাস করত।
A ওয়াহাবিরা
B ফরাজিরা
C সাঁওতালরা
D সন্ন্যাসী ও ফকিররা
10‘কেনারাম’ ও ‘বেচারাম’ নামে বাটখারা ব্যবহার করত
জমিদাররা
ব্যবসায়ীরা
মহাজনরা
ইংরেজরা
11.সিধু ও কানু কোন্ বিদ্রোহের নেতা ছিলেন?
সাঁওতাল
কোল
ভিল।
মুন্ডা
12. কোন্ বিদ্রোহে বলা হয়েছে যে, ‘পাপী’ মহাজন ও ইংরেজদের বন্দুকের গুলি বিদ্রোহীদের কোনাে ক্ষতি করতে পারবে না?
A পাবনা
B রংপুর
C সাঁওতাল
D কোল
13.সাঁওতালদের বিদ্রোহ কী নামে পরিচিত?
A হুল,
B উলঘুলান
C দার-উল-হারব।
D দিকু
14.মুন্ডা বিদ্রোহ কী নামে পরিচিত?
A উলঘুলান
B দার-উল-হারব
C হুল
D দিকু
15. মুন্ডা সমাজে জমিতে যৌথ মালিকানাকে কী বলা হত?
A হুল প্রথা
B উলঘুলান প্রথা
C খুঁৎকাঠি প্রথা
16. ভিল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন-
A সেওয়ারাম
B বিরসা
C সিধু
D কানু।
17 ‘আনন্দমঠ' উপন্যাসে উল্লেখ আছে-
A কোল বিদ্রোহের
B ভিল বিদ্রোহের
C সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের
D মুন্ডা বিদ্রোহের
18. ‘বাংলার নানাসাহেব’ নামে পরিচিত।
A দিগম্বর বিশ্বাস
B বিশ্বনাথ সর্দার
C মেঘাই সর্দার
D রামরতন রায়
মাধ্যমিক ইতিহাস 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
১..কে কবে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন?
উত্তর:- লর্ড কর্নওয়ালিস ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু করেন।
২.কারা বাংলার ওয়াট টাইলার' নামে পরিচিত?
উত্তর:- নীল বিদ্রোহের নেতা দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ‘বাংলার ওয়াট টাইলার’ নামে পরিচিত।
৩.. ‘দামিন-ই-কোহ' কথার অর্থ কী?
উত্তর:-‘দামিন-ই-কোহ’ কথার অর্থ পাহাড়ের প্রান্তদেশ।
4. ‘খুঁৎকাঠি’ প্রথা কী?
উত্তর:- মুন্ডা সমাজে কৃষিজমিতে মুন্ডাদের যৌথ মালিকানা প্রচলিত ছিল যা খুঁকাঠি’ প্রথা নামে পরিচিত।
5. ভারতে ব্রিটিশ সরকার প্রথম কোন্ পদক্ষেপের দ্বারা অরণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে?
উত্তর:- ভারতে ব্রিটিশ সরকার ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে অরণ্য সনদ-এর দ্বারা অরণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি করে
৬.‘ডিং খরচা’ কী?
উত্তর:-রংপুর বিদ্রোহের (১৭৮৩ খ্রি.) সময় বিদ্রোহীরা বিদ্রোহের ব্যয় নির্বাহের জন্য চাদা ধার্য করে যা ‘ডিং খরচা’ নামে পরিচিত।
7..ফরাজি কথার অর্থ কী? *
উত্তর:-ফরাজি কথার অর্থ ইসলাম-নির্ধারিত বাধ্যতামূলক কর্তব্য।
৪.ভারতে ঔপনিবেশিক আমলে কবে বনাঞ্চল আইন পাস হয়েছিল?
উত্তর:-ভারতে ঔপনিবেশিক আমলে ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে বনাঞ্চল আইন পাস হয়েছিল।
09. রম্পা বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
উত্তর:-রম্পা বিদ্রোহ হয়েছিল ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে।
10. কোন বিদ্রোহে ‘ডিং খরচা’ নামে চঁাদা সংগ্রহ করা হত?
উত্তর:-রংপুর বিদ্রোহে ‘ডিং খরচা’ নামে চাঁদা সংগ্রহ করা হত।
11. রংপুরের স্থানীয় স্বাধীন সরকারের নবাব নুরুলউদ্দিনের সহকারী কে ছিলেন?
উত্তর:- রংপুরের স্থানীয় স্বাধীন সরকারের নবাব নুরুলউদ্দিনের সহকারী ছিলেন দয়ারাম শীল।
12. রংপুর বিদ্রোহ দমনে কে ব্রিটিশবাহিনীর নেতৃত্ব দেন?
উত্তর:-রংপুর বিদ্রোহ দমনে ম্যাকডােনাল্ড ব্রিটিশবাহিনীর নেতৃত্ব দেন।
১৩.কে ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ' নামে পরিচিত?
উত্তর:-মেদিনীপুরের রানি শিরােমণি ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ নামে পরিচিত।
১৪.হাে-বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
উত্তর:-হাে-বিদ্রোহ হয়েছিল ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে।
১5. হাে বিদ্রোহ কোথায় হয়েছিল?
উত্তর:-হাে বিদ্রোহ হয়েছিল ছােটোনাগপুরের সিংভূম অঞ্চলে।
16. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কবে ছােটোনাগপুর অঞ্চলের শাসনভার হাতে নেয়?
উত্তর:-ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে ছােটোনাগপুর অলের শাসনভার হাতে নেয়।
27. কোল বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
উত্তর:-১৮৩১-৩২ খ্রিস্টাব্দে কোল বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল।
২৮.সাঁওতালদের বসতি অঞ্চলের নাম কী ছিল?
উত্তর:-সাঁওতালদের বসতি অঞ্চলের নাম ছিল ‘দামিন-ই-কোহ’।
23. মহাজনরা সাঁওতালদের ঋণের ওপর কী পরিমাণ সুদ আদায় করত?
উত্তর:-মহাজনরা সাঁওতালদের ঋণের ওপর ৫০ থেকে ৫০০ শতাংশ সুদ আদায় করত।
24. ‘কেনারাম’ নামে বাটখারা কী কাজে ব্যবহার করা হত?
উত্তর:- কেনারাম’ নামে বাটখারা সাঁওতালদের কাছ থেকে পণ্য কেনার জন্য ব্যবহার করা হত।
25. ‘বেচারাম’ নামে বাটখারা কী কাজে ব্যবহার করা হত?উত্তর:- বেচারাম’ নামে বাটখারা সাঁওতালদের কাছে পণ্য বিক্রয়ের জন্য ব্যবহার করা হত।
26. বিদ্রোহের আগে সাঁওতাল কৃষকদের কোন্ ধর্মে দীক্ষিত করার চেষ্টা হত?
উত্তর:-বিদ্রোহের আগে সাঁওতাল কৃষকদের খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করার চেষ্টা হত।
২৭. সাঁওতাল বিদ্রোহ কবে শুরু হয়?
উত্তর:-১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতাল বিদ্রোহ শুরু হয়।
28. কালাে প্রামাণিক ও ডােমন মাঝি কোন্ বিদ্রোহের নেতা ছিলেন?
উত্তর:-কালাে প্রামাণিক ও ডােমন মাঝি সাঁওতাল বিদ্রোহের নেতা ছিলেন।
29. মহেন্দ্রলাল দত্ত কোন্ বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন?
উত্তর:-মহেন্দ্রলাল দত্ত সাঁওতাল বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হন।
24, ‘উলঘুলান’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর:-‘উলঘুলান’ শব্দের অর্থ ভয়ংকর বিশৃঙ্খলা’ বা ‘প্রবল বিক্ষোভ।
20. ‘উলঘুলান' শব্দের অর্থ কী?
উত্তর:-‘উলঘুলান’ শব্দের অর্থ ভয়ংকর বিশৃঙ্খলা’ বা ‘প্রবল বিক্ষোভ।
২১, মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান নেতা কে ছিলেন?
উত্তর:-মুন্ডা বিদ্রোহের প্রধান নেতা ছিলেন বিরসা মুন্ডা।
২. বিরসা মুন্ডা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর:-বিরসা মুন্ডা রাঁচি জেলার উলিহাত গ্রামে (১৮৭৫ খ্রি.) জন্মগ্রহণ করেন।
২৩. মুন্ডা বিদ্রোহ শুরু করার দিন কবে ধার্য হয়?
উত্তর:-মুন্ডা বিদ্রোহ শুরু করার দিন ধার্য হয় ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ ডিসেম্বর।
২৪.কে নিজেকে আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী ‘ধরতি আবা” বলে ঘােষণা করেন
উত্তর:-বিরসা মুন্ডা নিজেকে আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী ‘ধরতি আবা’ বলে ঘােষণা করেন।
২৫. ঔপনিবেশিক ভারতে প্রথম কৃষক বিদ্রোহ কোন্টি?
উত্তর:- ঔপনিবেশিক ভারতে প্রথম কৃষক বিদ্রোহ সন্ন্যাসী ও ফকির বিদ্রোহ (১৭৬৩-১৮০২ খ্রি.)।
২৬.ওয়াহাবি কথার অর্থ কী?
উত্তর:-ওয়াহাবি কথার অর্থ নবজাগরণ।
২৭. বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান নেতা কে ছিলেন?
উত্তর:-বাংলায় ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন তিতুমির।
২৮. তিতুমিরের প্রকৃত নাম কী ছিল?
উত্তর:-তিতুমিরের প্রকৃত নাম মীর নিশার আলি।
২৯. বারাসাত বিদ্রোহে কে নেতৃত্ব দেন?
উত্তর:-বারাসাত বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন তিতুমির।
৩০.তিতুমির কোথায় ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘােষণা করেন?
উত্তর:- তিতুমির বারাসাত ও বসিরহাটের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘােষণা করেন।
৩১. তিতুমিরের সরকারের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর:-তিতুমিরের সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মৈনুদ্দিন।
৩২. তিতুমিরের সরকারের সেনাপতি কে ছিলেন?
উত্তর:- তিতুমিরের সরকারের সেনাপতি ছিলেন গােলাম মাসুম।
৩৩. ফরাজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
উত্তর:-ফরাজি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হাজি শরিয়ৎউল্লাহ।
৩৪.টিপু শাহ কোন্ আন্দোলনের নেতা ছিলেন?
উত্তর:-টিপু শাহ পাগলপন্থী আন্দোলনের নেতা ছিলেন।
৩৫.. পাগলপন্থী বিদ্রোহের মূল কারণ কী ছিল?
উত্তর:-পাগলপন্থী বিদ্রোহের মূল কারণ ছিল গারােদের ওপর অর্থনৈতিক শােষণ ও অত্যাচার।
৩৬. পাগলপন্থীদের সরকারের বিচারক কে ছিলেন?
উত্তর:-পাগলপন্থীদের সরকারের বিচারক ছিলেন বকসু।
৩৭. পাগলপন্থীদের সরকারের ফৌজদার কে ছিলেন? *
উত্তর:-পাগলপন্থীদের সরকারের ফৌজদার ছিলেন দ্বীপচান।
৩৮.তরিকা-ই-মহম্মদীয়া' কথার অর্থ কী? **
‘?
উত্তর:-‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ কথার অর্থ ‘মহম্মদ প্রদর্শিত পথ।
৩৯. বাংলায় কে ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’র ভাবধারা প্রচার করেন?
উত্তর:-বাংলায় তিতুমির ‘তরিকাই-মহম্মদীয়ার ভাবধারা প্রচার করেন।
৪০.তিতুমিরের অনুগামীরা নিজেদের কী নামে অভিহিত করতেন?
উত্তর:-তিতুমিরের অনুগামীরা নিজেদের ‘হেদায়তী’বলে অভিহিত করতেন।
৪১. কোন সংবাদপত্রের সম্পাদক নীলচাষিদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছিলেন?
উত্তর:-‘হিন্দু প্যাট্রিয়ট পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখােপাধ্যায় নীলচাষিদের সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছিলেন।
৪২. কে ‘বিশে ডাকাত’ নামে পরিচিত?
উত্তর:-নীল বিদ্রোহের নেতা বিশ্বনাথ সর্দার ‘বিশে ডাকাত’ নামে পরিচিত।
৪৩ কবে কৃত্রিম নীল আবিষ্কৃত হয়?
উত্তর:-১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে কৃত্রিম নীল আবিষ্কৃত হয়।
৪৪.‘বিদ্রোহী রাজা’ কাকে বলা হত?
উত্তর:-ঈশানচন্দ্র রায়কে ‘বিদ্রোহী রাজা’ বলা হত।
৪৫.কবে কাদের মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয়?
উত্তর:-১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলার নবাব সিরাজ-উদদৌলা ও ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাপতি রবার্ট ক্লাইভের মধ্যে পলাশির যুদ্ধ হয়।
৪৭. কেন রংপুর বিদ্রোহ বন্ধ হয়ে যায়?
উত্তর:-রংপুরের বিদ্রোহীরা মােগলহাট ও পাটগ্রামের যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনাপতি ম্যাকডােনাল্ডের বাহিনীর কাছে পরাজিত হলে বিদ্রোহ বন্ধ হয়ে যায়।
৪৮.. চুয়াড় বিদ্রোহ কতগুলি পর্বে সংঘটিত হয় ও কী কী?
উত্তর:- চুয়াড় বিদ্রোহ দুটি পর্বে সংঘটিত হয়। প্রথম পর্বের বিদ্রোহ ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে এবং দ্বিতীয় পর্বের বিদ্রোহ ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে শুর হয়।
৪৯. চুয়াড় বিদ্রোহের প্রধান নেতাদের নাম লেখাে।
উত্তর:- চুয়াড় বিদ্রোহের প্রধান নেতা ছিলেন জগন্নাথ সিংহ, দুর্জন সিং, শিরােমণি প্রমুখ।
৫০. কোন্ অঞ্চল নিয়ে জঙ্গলমহল জেলা গঠন করা হয়?
উত্তর:-বিষ্ণুপুর শহরকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া ও মেদিনীপুর জেলার দুর্গম বনাঞ্চল নিয়ে জঙ্গলমহল জেলা গঠন করা হয়।
৫১. কোল উপজাতি কোথায় বসবাস করত?
উত্তর:-কোল উপজাতি প্রধানত বিহারের ছােটোনাগুপর ও তার নিকটবর্তী অঞ্চলে বসবাস করত।
৫২.আদিবাসীরা কাদের ‘দিকু’ বলত?
উত্তর:-আদিবাসীরা বহিরাগত জমিদার, মহাজন, ব্যবসায়ী প্রমুখকে ‘দিকু’ বলত।
৫৩. কোল বিদ্রোহ কোন্ অঞ্চলে প্রসার লাভ করে?
উত্তর:-কোল বিদ্রোহ সিংভূম, মানভূম, হাজারিবাগ ও পালামৌ জেলার সর্বত্র প্রসার লাভ করে।
৫৪. কোল বিদ্রোহের প্রধান নেতা কারা ছিলেন?
উত্তর:-কোল বিদ্রোহের প্রধান নেতা ছিলেন বুধু ভগত, জোয়া ভগত, সিংরাই, ঝিরাই মানকি, সুই মুন্ডা প্রমুখ।
৫৬.হাজি শরিয়ৎ উল্লাহ কে ছিলেন?
|উত্তর:- হাজি শরিয়ৎ উল্লাহ ছিলেন বাংলার ফরাজি বিদ্রোহের নেতা যিনি ইসলাম ধর্ম সংস্কারের উদ্দেশ্যে ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে ‘ফরাজি’ নামে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করেন।
৫৭.‘ফরাজি আন্দোলন’ কী?
উত্তর:-ইসলাম ধর্ম সংস্কারের উদ্দেশ্যে হাজি শরিয়ৎ উল্লাহের নেতৃত্বে উনিশ শতকে বাংলায় যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তা ‘ফরাজি আন্দোলন’ নামে পরিচিত।
৫৯.পারনা বিদ্রোহের কয়েকজন নেতার নাম লেখাে।
উত্তর:-পাবনা বিদ্রোহের কয়েকজন উল্লেখযােগ্য নেতা ছিলেন ঈশানচন্দ্র রায়, শম্ভুনাথ পাল, ক্ষুদিমােল্লা প্রমুখ।
১.ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন’ কাকে বলে?
উত্তর:-ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর ব্রিটিশ সরকার ভারতের অরণ্য সম্পদের ওপর ভারতীয়দের অধিকার খর্ব করে সরকারি আধিপত্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়ন করে।
এগুলি ‘ঔপনিবেশিক অরণ্য আইন’ নামে পরিচিত।
২. বিদ্রোহ বলতে কী বােঝ? বিদ্রোহের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর:-কোনাে প্রচলিত ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে বিরােধী জনগােষ্ঠীর আন্দোলন সাধারণভাবে বিদ্রোহ নামে পরিচিত।
বিদ্রোহের একটি উদাহরণ হল নীলকরদের বিরুদ্ধে বাংলার কৃষকদের পরিচালনায় ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে সংগঠিত নীল বিদ্রোহ।
৩. ‘অভ্যুত্থান বলতে কী বােঝ? অভ্যুত্থানের একটি উদাহরণ"? দাও।
উত্তর:-কোনাে প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নিজ গােষ্ঠীর একাংশের সংগ্রাম সাধারণভাবে অভ্যুত্থান নামে পরিচিত।
অভ্যুত্থানের একটি উদাহরণ হল ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ভারতের ব্রিটিশ নৌবাহিনীতে সরকারের বিরুদ্ধে সেনাদের একাংশের বিদ্রোহ ঘােষণা।
৪. *বিপ্লব বলতে কী বােঝ? বিপ্লবের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর:-কোনাে প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তনকে বিপ্লব বলা হয়।
বিপ্লবের একটি উদাহরণ হল ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দের ফরাসি বিপ্লব। কেননা, এই বিপ্লবের দ্বারা ফরাসি সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার দ্রুত, ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন ঘটে।
৫."চুয়াড় কারা ছিল? অথবা, কোন্ বিদ্রোহ চুয়াড় বিদ্রোহ নামে পরিচিত?
উত্তর:-চুয়াড় বা চোয়াড় ছিল বাংলার একটি আদিবাসী সম্প্রদায়। তারা বর্তমান মেদিনীপুর জেলার উত্তর-পশ্চিমাংশ ও বাঁকুড়া জেলার দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে বসবাস করত। অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে চুয়াড়রা ইংরেজদের শােষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু করে তা ‘চুয়াড় বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত।
৬.চুয়াড়দের পেশা কী ছিল?
উত্তর:-চুয়াড়রা [কেউ কেউ কৃষিকাজ করত। [2] কেউ কেউ পশুশিকারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। [3 কেউ কেউ স্থানীয় জমিদারদের অধীনে পাইক বা সৈনিকের কাজ করত।
৭. প্রথম পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ সম্পর্কে কী জান?
উত্তর:-প্রথম পর্বের চুয়াড় বিদ্রোহ ১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত হয়। ইংরেজ কোম্পানি মেদিনীপুরের জমিদারের ওপর করের বােঝা বাড়িয়ে দিলে ঘাটশিলার ধলভূমের রাজা জগন্নাথ সিংহ বিদ্রোহ ঘােষণা করেন। জমিদারদের পক্ষ নিয়ে চুয়াড়রা বিদ্রোহে অংশ নেয়।
৮. দুর্জন সিং কে ছিলেন?
উত্তর:-দুর্জন সিং ছিলেন বাঁকুড়ার রায়পুরের জমিদার ও চুয়াড় বিদ্রোহের অন্যতম নেতা। তিনি প্রায় ১৫০০ জন অনুগামী নিয়ে প্রবল আন্দোলন গড়ে তােলেন এবং প্রায় ৩০টি গ্রামে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন।
৯. রানি শিরােমণি কে ছিলেন?
উত্তর:-| রানি শিরােমণি ছিলেন মেদিনীপুরের রানি এবং চুয়াড় বিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী। বিদ্রোহে অসামান্য অবদানের জন্য রানি শিরােমণি ‘মেদিনীপুরের লক্ষ্মীবাঈ’ নামে পরিচিত হন।
১০. চুয়াড় বিদ্রোহের গুরুত্ব কী ছিল?
উত্তর:- চুয়াড় বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও এই বিদ্রোহের বিভিন্ন গুরুত্ব ছিল—[1] নিরক্ষর চুয়াড়দের বিদ্রোহ ভারতের শিক্ষিত সমাজের
1]চোখ খুলে দেয়। [2] এই বিদ্রোহে ব্রিটিশ শক্তির বিরুদ্ধে জমিদার ও কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ হয়। [3] বিদ্রোহের পর সরকার দুর্গম বনাঞ্চল নিয়ে জঙ্গলমহল নামে একটি জেলা গঠন করে।
১১. কবে, কাদের মধ্যে “চাইবাসার যুদ্ধ হয়েছিল? এই যুদ্ধে কারা পরাজিত হয়?
উত্তর:-[1] ১৮২০-২১ খ্রিস্টাব্দে কোল উপজাতি এবং
পােড়াহাটের জমিদার ও সেনাপতি রােগসেস-এর নেতৃত্বাধীন ইংরেজবাহিনীর মধ্যে চাইবাসার যুদ্ধ হয়েছিল। [2] চাইবাসার যুদ্ধে কোলরা পরাজিত হয়।
১২.‘কেনারাম’ কী?
উত্তর:-ছােটোনাগপুরের সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞলে বহিরাগত ব্যবসায়ীরা বেশি ওজনের বাটখারা দিয়ে ওজন করে সাঁওতালদের কাছ থেকে কৃষিপণ্য কিনত। এই বাটখারা ‘কেনারাম’ নামে পরিচিত।
১৩.*‘বেচারাম’ কী?
উত্তর:- ছােটোনাগপুরের সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞলে বহিরাগত ব্যবসায়ীরা কম ওজনের বাটখারা দিয়ে ওজন করে সাঁওতালদের কাছে লবণ, চিনি প্রভৃতি পণ্য বিক্রি করত। এই বাটখারা ‘বেচারাম’ নামে পরিচিত।
১৪. ভিল কারা?
উত্তর:-ভিল হল ভারতের একটি উল্লেখযােগ্য আদিবাসী বা উপজাতি সম্প্রদায়। পশ্চিম ভারতের বর্তমান গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের খান্দেশ ও তার সংলগ্ন সুবিস্তৃত অঞলে ভিল জাতির একটি অংশ বসবাস করত।
১৫. কোন্ আন্দোলন ‘ওয়াহাবি আন্দোলন' নামে পরিচিত?
উত্তর:-আবদুল ওয়াহাব (১৭০৩-৯২ খ্রি.) নামে জনৈক ব্যক্তি অষ্টাদশ শতকে আরব দেশে ইসলাম ধর্মে যে সংস্কার আন্দোলন শুরু করেন তা সাধারণভাবে ‘ওয়াহাবি আন্দোলন নামে পরিচিত।
১৬. *তিতুমির কে ছিলেন?
উত্তর:-তিতুমির ছিলেন বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রধান। নেতা। তিনি দরিদ্র ও নির্যাতিত মুসলিমদের নিয়ে অত্যাচারী জমিদার, মহাজন ও নীলকর সাহেবদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেনএবং বারাসত বসিরহাটের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্রিটিশ শাসনের অবসান। ঘােষণা করেন। শেষপর্যন্ত ব্রিটিশবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি নিহত হন।
১৭.‘কারা ‘পাগলপন্থী’ নামে পরিচিত?
উত্তর:-উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ফকির করিম শাহ (বা চাদ গাজী) ময়মনসিংহ জেলার সুসঙ্গপুর-শেরপুর অণ্ডলে গারােদের মধ্যে এক নতুন ধর্মমত প্রচার করেন। এই ধর্মের অনুরাগীরা ‘পাগলপন্থী’ নামে পরিচিত।
১৮..নীলকর কারা?
উত্তর:- উনিশ শতকে ইউরােপের বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে আগত কিছু নীল ব্যবসায়ী বাংলাসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের চাষিদের ওপর তীব্র অত্যাচার চালায় এবং তাদের নীলচাষে বাধ্য
করে। অত্যাচারী এই নীল ব্যবসায়ীরা নীলকর নামে পরিচিত।
১৯ ‘এলাকা চাষ’ বা ‘নিজ-আবাদী’ চাষ বলতে কী বােঝ?
উত্তর:- নীলকররা জমিদারদের কাছ থেকে জমি কিনে বা ভাড়া দিয়ে তাতে ভাড়াটিয়া চাষিদের দিয়ে নীলচাষ করাত। এই পদ্ধতি ‘এলাকা চাষ’ বা ‘নিজ-আবাদী’ নামে পরিচিত।
২০ ‘বে-এলাকা’ বা ‘রায়তি’ বা ‘দাদনী’ বলতে কী বােঝ?
উত্তর:-নীলকররা চাষিকে অগ্রিম টাকা দাদন দিয়ে চাষের জমিতে নীলচাষ করাত। এই পদ্ধতি ‘বে-এলাকা’ বা ‘রায়তি’ বা ‘দাদনী’ নামে পরিচিত।
২১.দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস কে ছিলেন?
উত্তর:-কৃয়নগরের নিকটবর্তী চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস ছিলেন বাংলার নীল বিদ্রোহের অন্যতম নেতা। তাঁরাই নীলচাষ বয়কট করে বিদ্রোহের সূচনা করেন।
বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়ে দিগম্বর বিশ্বাস ও বিষ্ণুচরণ বিশ্বাস বাংলার ওয়াট টাইলার’ নামে পরিচিত হন।
২২.বাংলায় নীল বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে কোন্ নাটকটি রচিত হয়? এই নাটকটি কে রচনা করেন?
উত্তর:-বাংলায় নীল বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে নীলদর্পণ
(১৮৬০ খ্রি.) নাটকটি রচিত হয়।