তরিকা-ই-মহম্মদীয়া। প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ||Tarika-i-Mohammadiya note pdf in bengali
টীকা লেখাে তরিকা-ই-মহম্মদীয়া।
উত্তর:-
তরিকা-ই-মহম্মদীয়া
ভূমিকা: তরিকা-ই-মহম্মদীয়া কথার অর্থ হল মহম্মদ প্রদর্শিত পথ। অষ্টাদশ-ঊনিশ শতকে আরব দেশ তথা ভারতীয় মুসলিম সমাজে যে পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলন শুরু হয় তা তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ নামে পরিচিত। এই ভাবধারার মূল কথা হল ইসলামকে অতীতের পবিত্রতায় ফিরিয়ে দেওয়া,অমুসলিমদের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ ঘােষণা করা।
[1] আরব দেশে সূত্রপাত: অষ্টাদশ শতকে আবদুল ওয়াহাব নামে জনৈক ব্যক্তি আরব দেশে তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ নামক মুসলিম পুনরুজ্জীবনবাদী আন্দোলনের সূচনা করেন। তাঁর নামানুসারে সাধারণভাবে এটি ‘ওয়াহাবি আন্দোলন’ নামেই বেশি পরিচিত।
[2] ভারতে সূত্রপাত: আঠারাে শতকের প্রথমদিকে দিল্লির মুসলিম সন্ত শাহ ওয়ালিউল্লাহ এবং তাঁর পুত্র আজিজ ভারতে ‘তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’ অর্থাৎ ওয়াহাবি আন্দোলনের ভাবধারা প্রচার করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল।ভারতে ইসলামের শুদ্ধিকরণ ঘটিয়ে সমাজকে পবিত্র করা।
[3] ভারতে প্রসার: উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির বাসিন্দা সৈয়দ আহমেদ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে এদেশে তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’র ভাবধারাকে জনপ্রিয় করে তােলেন। তিনিই ছিলেন ভারতে ওয়াহাবি
আন্দোলনের প্রকৃত প্রবর্তক।
[4] বাংলায় প্রসার : উনিশ শতকে বাংলার মুসলিম সমাজেও শুদ্ধিকরণের উদ্দেশ্যে তরিকা-ই-মহম্মদীয়া’র ভাবধারা প্রচারিত হয়। বাংলায় এই ভাবধারার প্রচারে মুখ্য
ভূমিকা নেন তিতুমির বা মির নিশার আলি।