নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি বাংলা প্রবন্ধ নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর PDF | নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর
নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর : আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির বাংলা প্রবন্ধ নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর PDF।, নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর, class 9 Bengali Prabandha question Pdf | WB Class nine Bengali question pdf | WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি বাংলা প্রবন্ধের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর, নবম শ্রেণি বাংলা প্রবন্ধ নব নব সৃষ্টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Bengali Prabandha Question Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
নব নব সৃষ্টি গল্পের প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি বাংলা প্রবন্ধ নব নব সৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর PDF - নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধর প্রশ্ন উত্তর
‘নব নব সৃষ্টি’ নবম শ্রেণির বাংলা প্রবন্ধের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
নব নব সৃষ্টি mcq প্রশ্ন
File Details:-
File Name:-
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download
নবম শ্রেণি বাংলা প্রবন্ধ 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
১. ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে কোন্ কোন্ ভাষাকে লেখক সৈয়দ মুজতবাআলী বলেছেন ‘আত্মনির্ভরশীল?
উত্তর: ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে লেখক প্রাচীন যুগের হিব্রু, খ্রিক, আবেস্তা,সংস্কৃত এবং আরবি ভাষাকে ‘আত্মনির্ভরশীল’ বলেছেন।
২. কোনাে নতুন চিন্তা বা অনুভূতি বােঝানাের জন্য নবীন শব্দের প্রয়ােজনহলে সংস্কৃত ভাষা কী করে?
উত্তর: নতুন চিন্তা বা অনুভূতি বােঝাতে সংস্কৃত তার নিজের ভাণ্ডারেইকোনাে ধাতু বা শব্দের সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন শব্দ তৈরির চেষ্টা করে।
৩.সংস্কৃতকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলতে লেখকের আপত্তি নেই কেন?[জেনকিন্স স্কুল)
উত্তর:: সংস্কৃত ভাষা অন্য ভাষার ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের ভাণ্ডারেখোঁজ করার মাধ্যমে নতুন শব্দ তৈরির চেষ্টা করে।
৪. “প্রাচীন যুগের সব ভাষাই তাই |”—প্রাচীন যুগের কোন্ কোন্ ভাষার কথা লেখক উল্লেখ করেছেন?[হিন্দু স্কুল]
উত্তর: লেখক প্রাচীন যুগের সংস্কৃত, হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা এবং কিছুটা পরবর্তীযুগের আরবি ভাষার কথা বলেছেন
৫. লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বর্তমান যুগের কোন্ কোন্ ভাষাআত্মনির্ভরশীল নয়?
উত্তর: লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বর্তমান যুগের ইংরেজি এবংবাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নয়।
৬, পাঠান-মােগল যুগে আরবি ও ফারসি থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হয়েছিল কেন?
উত্তর: পাঠান-মােগল যুগে আইন-আদালত, খাজনাখারিজ নতুন করে দেখা দেওয়ায় আরবি-ফারসি ভাষা থেকে শব্দ গ্রহণ করতে হয়।
৭. নব নব সৃষ্টি' রচলাংশে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী কোন্ প্রশ্নকে অবার বলেছেন?
উত্তর: ভাষায় বিদেশি শব্দগ্রহণ ভালাে না মন্দ—এই প্রশ্নকে লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী অবান্তর বলেছেন।
৮, “সে সম্বন্ধেও কারও কোনাে সন্দেহ নেই।'—কোন্ বিষয়ে সন্দেহ নেই?
উত্তর: শিক্ষার মাধ্যমরূপে ইংরেজির বদলে বাংলা গ্রহণ করলে প্রচুর পরিমাণে ইউরােপীয় শব্দ বাংলায় প্রবেশ করবে। এ বিষয়ে কারও কোনাে সন্দেহ নেই।
১. ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে লেখক রান্নাঘর থেকে কী কী তাড়ানাে মুশকিল বলেছেন?
উত্তর: ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে রান্নাঘর থেকে আলুকপি এ জাতীয় বিদেশি সবজি তাড়ানাে মুশকিল বলেছেন লেখক।
10.“হিন্দি উপস্থিত সেই চেষ্টাটা করছে'—হিন্দি কোন্ চেষ্টা করছে?[রামকৃয় মিশন বিদ্যালয়, নরেন্দ্রপুর)
উত্তর: হিন্দি থেকে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দ তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টার কথা এখানে বলা হয়েছে |
১১, “নূতন আমদানিও বন্ধ করা যাবে না|”—কোন্ প্রসঙ্গে লেখক এরূপ বলেছেন?
উত্তর: বিদেশি দ্রব্যের ব্যবহারের মতাে বিদেশি ভাষাও মাতৃভাষায় থাকবে এবং তাদের স্রাসা বন্ধ করা যাবে না—এই প্রসঙ্গে এ কথা বলেছেন লেখক।
১২ “বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন”—লেখক কোন্ ভাষার সাহিত্যিকদের কথা বলেছেন?
উত্তর: লেখক হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকদের কথা বলেছেন।
১৩, “বহু সাহিত্যিক উঠে পড়ে লেগেছেন”ব সাহিত্যিক কোন্ কাজেতৎপর হয়েছেন?
1 উত্তর: হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকরা হিন্দি ভাষা থেকে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি শব্দ দূর করার জন্য তৎপর হয়েছেন।
১৪, “চেষ্টাতার যা আমি হয়তো দেখে যেতে পাৱৰ না'—কোন চেষ্টার কথা বেমানাে হয়েছে?
উত্তর: হিন্দি ভাষা থেকে আরবি, ফারসি বা ইংরেজির মতাে ভাষা দূর করার চেষ্টার কথা বােঝানাে হয়েছে।
১৫. 'নব নব সৃষ্টি' রলাংশে কয়েকজন বাঙালি সাহিত্যিক ও পণ্ডিতব্যক্তির নাম এসেছে। তারা কারা?
উত্তর আলােচ্য রচলাংশে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, বিদ্যাসাগর, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, বঙ্কিমচন্দ্র, আলাল (প্যারীচাদ) ও জুতােম (কালীপ্রসন্ন)-এর নাম পাওয়া যায়।
16. রবীন্দ্রনাথ সংহলে লিখেছেন—বীন্দ্রনাথের কী লেখার কথা বলেছেন সৈয়দ মুজতবা আলী?
উত্তর: বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দ খুব স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, 'আব্রু দিয়ে, ইজ্জৎ দিয়ে' প্রভৃত
১৭. নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষায় আরবি-ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন তার কী কী উদাহরণ দিয়েছেন সৈয়দ মুজতবা আলী?
উত্তরঃ নজরুল ইসলাম ইনকিলাব' এবং 'শহিদ' প্রভৃতি আরবি-ফারসি শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যবহার করেছেন।
১৬ নব নব সৃষ্টি' রচলাংশে ব্যবহৃত 'আলাল' ও 'সুতােম' কাদের লেখা, কী কী গ্রখ?-
অথবা, “ ‘ত্রালাল’ ও ‘তােম'-এর ভাষা"—“আলাল' ও ‘তােম' কী?
উত্তর: আলাল’ হল আলালের ঘরের দুলাল, লেখক প্যারীচাঁদ মিত্র। ‘তােম' হল হুতােম প্যাঁচার নকশা, লেখক কালীপ্রসন্ন সিংহ।
১১, হিন্দি ভাষাসাহিত্যের বঙ্কিম কাকে বলা হয়?[যােধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুল)
উত্তর: হিন্দি ভাষাসাহিত্যের বঙ্কিম বলা হয় বিখ্যাত সাহিত্যিক মুন্সী প্রেমচঁাদকে।
১, “এথলে আর একটি কথা বলে রাখা ভালাে।”—কী কথা বলেছেন লেখক?
উত্তর: রলার ভাষা তার বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে, এ কথা বলেছেন
লেখক।
২ শংকরদর্শন আলোচনায় কোন্ ভাষার ব্যবহার স্বাভাবিক হবে?
উত্তর: শংকরদর্শন আলােচনায় সংস্কৃত ভাষার আধিক্য থাকাটাই স্বাভাবিক সৈয়দ মুজতবা আলী?
৩. কোন্ পত্রিকার সম্পাদকীয় রচনার ভাষায় গাম্ভীর্য আছে বলেছেন
অথবা, বসুমতীর সম্পাদকীয় রচনার ভাষা কেমন ছিল?
উত্তর: লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে, বসুমতী পত্রিকার সম্পাদকীয় রচার ভাষায় গাম্ভীর্য আছে৷
৪, বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ ঢুকেছে তার মধ্যে কোন্ কোন্ ভাষা প্রধান বলেছেন লেখক?
উত্তর: বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে তার মধ্যে আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি অন্যতম।
৫. “সেগুলাে নিয়ে অত্যধিক দুশ্চিন্তা করার কোনাে কারণ নেই।”—কোন্ বিষয়ে দুশ্চিন্তা করা নিষ্প্রয়ােজন?
উত্তর: পাের্তুগিজ, ফরাসি, স্প্যানিশ ইত্যাদি শব্দ বাংলা ভাষায় এত কম এসেছে যে তাদের নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোনাে কারণ নেই বলে লেখক মনে করেছেন।
6.“সে ভাষার শব্দ বাংলাতে ঢুকবেই।”—কোন্ ভাষার? [বীরভূম জেলা স্কুল]
উত্তর: বাংলা ছাড়া অন্য যে-কোনাে ভাষার চর্চা আমরা করি না কেন সে ভাষার শব্দ বাংলাতে ঢুকবেই।
৭. লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশের কারণ কী বলেছেন?
উত্তর: প্রাচীন যুগ থেকেই বাংলাদেশে সংস্কৃত ভাষার চর্চা ছিল। ফলে বিস্তর সংস্কৃত শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে।
৮, “যতদিন থাকবে ততদিন আরও ঢুকবে বলে আশা করতে পারি।' যতদিন কী থাকার কথা বলেছেন লেখক?
উত্তর:বাংলাদেশে যতদিন সংস্কৃত ভাষার চর্চা চলবে ততদিন বাংলা ভাষায় সংস্কৃত শব্দের প্রবেশও চলতে থাকবে।
১. স্কুল-কলেজ থেকে যে আমরা সংস্কৃতচর্চা উঠিয়ে দিতে চাই না তার অন্যতম প্রধান কারণ কী বলেছেন লেখক?
উত্তর: বাংলা অনেকাংশেই সংস্কৃত ভাষার ওপর নির্ভরশীল, তাই শিক্ষাক্ষেত্রেও সংস্কৃত ভাষার চর্চা বন্ধ করা হয়নি।
১০. কোন্ বিশেষ বিশেষ বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশ্যই প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন?
উত্তর: দর্শন, নন্দনশা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যার মতাে বিদ্যাচর্চায় ইংরেজি অবশই প্রয়ােজন বলে লেখক মনে করেন।
১১. “এই দুই ভাষা থেকে ব্যাপকভাবে আর নূতন শব্দ বাংলাতে ঢুকবে।”—কোন্ দুই ভাষা'র কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে সৈয়দ মুজতবা আলী দুই ভাষা বলতে আরবি এবং ফারসি ভাষার কথা বলেছেন।
১২. “একমাত্র আরবি-ফার্সি শব্দের বেলা অনায়াসে বলা যেতে পারে যে'—লেখক কী বলেছেন?
উত্তর: আরবি এবং ফারসি শব্দ বাংলা ভাষায় ব্যাপকভাবে প্রবেশ করবে—এই কথা অনায়াসে বলেছেন লেখক |
১৩. কোন্ কারণে অচলিত আরবি-ফারসি শব্দ নতুন মেয়াদ পাবে বলেছেন লেখক?
উত্তরঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠক্রমে ছাত্রছাত্রীরা বাংলা ভাষার প্রাচীনকালের বই পড়ার ফলেই আরবি-ফারসি শব্দ নতুন মেয়াদ পাবে।
১৪. হিন্দি গদ্যের ওপর কোন্ ভাষার প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন লেখক?
উত্তর: হিন্দি গদ্যের ওপর ফারসি ভাষার প্রভাব পড়ার কথা বলেছেন। লেখক |
১, ভারতীয় আর্যরা কোন্ ভাষার সৌন্দর্যে বেশি অভিভূত হয়েছিল?
উত্তর: ভারতীয় আর্যরা ফারসি ভাষার সৌন্দর্যে বেশি অভিভূত হয়েছিল।
2.উর্দু সাহিত্যের মূলসুর কোন ভাষার সঙ্গে বাঁধা বলেছেন লেখক?
উত্তর: উর্দু সাহিত্যের মূলসুর ফারসির সঙ্গে বাঁধা বলেছেন লেখক।
৩. ইরানে নবীন ফারসি ভাষার উদ্ভব ঘটেছিল কীভাবে?
উত্তর: আর্য ইরানি ভাষা এবং সেমিতি-আরবি ভাষার সংঘর্ষে ইরানে নবীন ফারসি ভাষার উদ্ভব ঘটেছিল।
৪, ইরানে আর্য-ইরানি ভাষা ও সেমিতি-আরবি ভাষার সংঘর্ষে ভারতবর্ষে কী হয়েছিল?
উত্তর: ইরানে আইরানি ভাষা ও সেমিতি-আরবি ভাষার সংঘর্ষে ভারতবর্ষে সিন্ধি, উর্দু ও কাশ্মীরি সাহিত্যের সৃষ্টি হয়।
৫. “ভারতবর্ষীয় এ তিন ভাষা ফার্সির মতাে নব নব সৃষ্টি দিয়ে ঐশ্বর্যশালী সাহিত্যসৃষ্টি করতে পারল না।”—ভারতবর্ষের এ তিন ভাষা কী কী?
উত্তর: ভারতবর্ষীয় এ তিন ভাষা' বলতে সিদ্ধি, উর্দু এবং কাশ্মীরি ভাষাকে বােঝানাে হয়েছে।
৬. ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে লেখক কোন্ উর্দু কবির কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে লেখক উর্দু কবি ইকবালের কথা উল্লেখ করেছেন|
৭ কে, উর্দুকে ফারসির অনুকরণ থেকে নিষ্কৃতি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন?
উত্তর:
: উর্দু ভাষার কবি ইকবাল উর্দু ভাষাকে ফারসির অনুকরণ থেকে কিৎি নিষ্কৃতি দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
৮, সৈয়দ মুজতবা আলীর মতে বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি কোনটি ?
উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন যে, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যসৃষ্টি হল পদাবলি কীর্তন।
১, “এ সাহিত্যের প্রাগ এবং দেহ উভয়ই খাটি বাঙালি।”—কোন্ সাহিত্যকে বােঝানাে হয়েছে?
উত্তর: ‘নব নব সৃষ্টি' রচনাংশে পদাবলি কীর্তন সম্পর্কে আলােচ্য উধৃতাংশটি ব্যবহৃত হয়েছে।
382 "ধর্ম বদলালেই জাতির চরিত্র বদলায় না।”—লেখক কেন এরকম বলেছেন?
[যাদবপুর বিদ্যাপীঠ]
নব নব সৃষ্টি 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির বাংলা প্রবন্ধ নব নব সৃষ্টি 3 নং প্রশ্ন উত্তর
১. “সংস্কৃত ভাষা আত্মনির্ভরশীল'—কেন সংস্কৃত ভাষা সম্পর্কে এ কথাবলা হয়েছে?
বাঁকুড়া ক্রিশ্চান কলেজিয়েট স্কুল)
উত্তর: লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলেছেন। তার মতে, কোনাে নতুন চিন্তা, অনুভূতির প্রকাশের জন্য নতুন শব্দের প্রয়ােজন হলে সংস্কৃত ভাষা তা অন্য ভাষা থেকে ধার করার কথা কখনােই ভাবে না| পরিবর্তে নিজের শব্দভাণ্ডারে তার খোঁজ করে। সেখানে খোজ করা হয় যে এমন কোনাে ধাতু বা শব্দ আছে কিনা যার সামান্য অদলবদল করে কিংবা পুরােনাে ধাতু দিয়েই নতুন শব্দটি তৈরি করা যেতে পারে। এই কারণেই সংস্কৃতকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আত্মনির্ভরশীল ভাষা
বলা হয়েছে|
2.“বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালাে না মন্দ সে প্রশ্ন অবান্তর"—কেন লেখক কথা বলেছেন আলােচনা করাে।
উত্তর: বাংলা ভাষা কখনােই আত্মনির্ভরশীল নয়। প্রয়ােজনে-অপ্রয়ােজনে আমরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ নিয়েছি এবং সেই প্রক্রিয়া এখনও বজায় রয়েছে। পাঠান ও মােগল যুগে আইন-আদালত ইত্যাদি প্রসঙ্গে প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দ গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তী যুগে ইংরেজি ভাষা থেকেও এই শব্দ নেওয়া হয়েছে | তার পরিমাণ এতটাই বেশি যে, এ নিয়ে প্রশ্ন তােলার অর্থ হয় না। লেখকের মতে, শিক্ষার মাধ্যমরুপে ইংরেজিকে বর্জন করে বাংলা। গ্রহণ করার পরে এই প্রবণতা আরও বাড়বে। ফলে বিদেশি শব্দের আমদানি করার ভাবনা যখন বন্ধ করা যাবে না, সেক্ষেত্রে তার ভালােমন্দ নিয়ে ভাবা নিতান্তই অর্থহীন।
১প্রাচীন যুগের সব ভাষাই তাই"-কোন্ কোন্ ভাষার উল্লেখ করে
লেখক কেন এরূপ বলেছেন? এ প্রসঙ্গে বর্তমান যুগের কোন্ দুটি ভাষা সম্পর্কে তিনি কী বলেছেন?
+
উত্তর: সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি' প্রবন্ধের আলােচ্য অংশে
লেখক হিব্রু, গ্রিক, আবেস্তা এবং কিছুটা আধুনিক আরবি ভাষার কথা উল্লেখ করেছেন। প্রাচীন যুগের অধিকাংশ ভাষাই নতুন চিন্তা-ভাবনা, নতুন বস্তু বােঝাতে নতুন শব্দের প্রয়ােজন হলে তা নিজ শব্দভাণ্ডারের ধাতু বা শব্দ দ্বারাই তৈরি করার চেষ্টা করেছে। বিদেশি শব্দ ব্যবহার করলেও তা।
অতিসামান্য। তাই লেখক প্রাচীন ভাষাগুলিকে আত্মনির্ভরশীল ও স্বয়ংসম্পূর্ণ বলেছেন।
ভাষার স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রসঙ্গেই লেখক বর্তমান যুগের ইংরেজি ও বাংলা ভাষার উল্লেখ করেছেন। আধুনিক কালের ভাষা ইংরেজি এবং বাংলা অন্যান্য ভাষা থেকে অতিরিক্ত শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার ও প্রয়ােজন মেটানাের চেষ্টা করে।পাঠান-মােগল যুগে এভাবেই বাংলা। ভাষায় প্রচুর আরবি ফারসি শব্দ আনলাভ করেছে।
নব নব সৃষ্টি বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির বাংলা প্রবন্ধ 5 নং প্রশ্ন উত্তর
২ বাংলায় যেসব বিদেশি ভাষার শব্দ ঢুকেছে তার মধ্যে কোন্ কোন্ ভাষাকে লেখক প্রধান বলেছেন? এই প্রসঙ্গে সংস্কৃত ও ইংরেজি নিয়ে লেখক কী বলেছেন?১+8
অথবা, বাংলা ভাষায় আগন্তুক শব্দ কোনগুলি? প্রসঙ্গক্রমে সংস্কৃত ও ইংরেজি ভাষা নিয়ে লেখকের বক্তব্য স্পষ্ট করাে।১+8
[হাওড়া বিবেকানন্দ ইন্সটিটিউশন]
উত্তরঃ সৈয়দ মুজতবা আলী তাঁর ‘নব নব সৃষ্টি' রচলাংশে জানিয়েছেন যে
বাংলায় যেসব বিদেশি শব্দ প্রবেশ করেছে সেগুলির মধ্যে আরবি, ফারসি ও
ইংরেজি ভাষার শব্দই প্রধান।
একসময়ে ভারতবর্ষ তথা বাংলাদেশে সংস্কৃত ভাষার ব্যাপক চর্চা ছিল |কারপ সংস্কৃতই ছিল আদি ও মূল ভাষা এখনও স্কুল কলেজে সংস্কৃতচর্চা হয়। সংস্কৃত থেকে উৎপন্ন হওয়ার ফলে বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ভাষার প্রভাব থাকবে, এটাই স্বাভাবিক| সংস্কৃত শব্দ এখনও সামান্য হলেও বাংলা ভাষায়।
প্রবেশ করছে। সংস্কৃত ভাষাকে বাংলার মাতৃসম ভাষাই বলা হয়, তাই সংস্কৃতচর্চা বন্ধ করে দিলে বাংলা ভাষা এক স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাষা থেকে বিচ্ছিন্ন হবে| তাই লেখক এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা অন্যতম প্রধান খাদ্য থেকে বঞ্চিত হবাে।
আধুনিক শিক্ষার ধারায় দর্শনশাস্ত্র, নন্দনশা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা এবং বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার বিকল্প নেই। উদাহরণ হিসেবে লেখক বলেছেন যে রেলের ইঞ্জিন কী করে চালাতে হয়, সে বিষয়ে বাংলায় কোনাে বই নেই। ফলে এই বিষয়টা বুঝতে হলে বাঙালিকে ইংরেজি ভাষারই আশ্রয় নিতে হয়। সুতরাং ইংরেজি চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।”— এ কথা বলাই যায়।
৩. ইংরেজি চর্চা বন্ধ করার সময় এখনও আসেনি।”বক্তা কে এরূপ উত্তির কারণ কী?১-8 [বােবপুর পার্ক গার্লস স্কুল
উত্তর: প্রশ্নোবৃত অংশটির বক্তা ‘নব নব সৃষ্টি প্রবন্ধের লেখক সৈমুদ মুজতবা আলী।
> বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল ভাষা নয়| আরবি ফারসির মতোই ইংব্রেজি থেকেও আমরা প্রচুর শব্দ নিয়েছি | ভাষাকে স্বাবলম্বী করে তোমার জন্য অন্য ভাষাকে ত্যাগ করার চেষ্টা একেবারে বিরল ঘটনা নয়! হিন্দিত এ ষ্টা হয়েছে| আবার বিখ্যাত লেখকদেরও দেখা গিয়েছে যে, তারা অন্য পথে হেঁটেছেন। বাংলা ভাষাতেই রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে প্রসাদ শাস্ত্রী এ উদাহরণ | লেখক দেখিয়েছেন যে বাংলা ভাষায় যে শব্দসমূহ এসেই তাৰ মধ্যে। আরবি, ফারসি এবং ইংরেজি প্রধান| এক্ষেত্রে ইংরেজি ভূমিকা কোনােভাবেই এড়ানাে সম্ভব নয় | দর্শন, নন্দলশা, পদার্থ কিংবা রণবিদ্য।ইত্যাদির জন্য প্রয়ােজনীয় শব্দ বাংলায় যথেষ্ট নেই। রেল ইঞ্জিন ডাললোর প্রযুক্তি বিষয়ে বাংলায় কোনাে বই নেই। এখানে ইংরেজির উপর নির্ভর করা
2.“বিদেশি শব্দ নেওয়া ভালাে না মন্দ সে প্রশ্ন অবান্তর।” —মন্তব্যটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।
উত্তর: আলােচ্য উদ্ধৃতাংশটি সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত ‘নব নব সৃষ্টি রচনাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে |
ভাষা তার নিজ শব্দভাণ্ডারের ধাতু বা শব্দ দ্বারা নতুন শব্দ তৈরি করতে পারলেই ভাষার স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রমাণিত হয়৷ কিন্তু বিদেশি শব্দ গ্রহণ করলেও ভাষা অনেকসময় মধুর এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে যদি সেই ভাষা বিষয়কেন্দ্রিক হয়। লেখক নিজেই বলেছেন, “রচনার ভাষা তার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে। প্রাচীন কাল থেকেই বাংলা ভাষায় সংস্কৃত, আরবি, ফারসি প্রভৃতি শব্দ অনায়াসে মিশেছে। ইংরেজি ভাষার বদলে বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে চালু করার ফল হাতেনাতে পাওয়া গেছে। কারণ তারপরই বাংলায় প্রচুর পরিমাণে ইউরােপীয় শব্দ ঢুকেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও আমরা বহু বিদেশি দ্রব্য ব্যবহার করে থাকি। একইরকমভাবে বিদেশি শব্দও প্রবেশ করবে ভাষায়। হিন্দি ভাষাকে আরবি-ফারসি শব্দ মুক্ত করার জন্য চেষ্টা শুরু করেছেন হিন্দি ভাষার সাহিত্যিকরা৷ তার ফলাফল ভালাে না খারাপ হবে লেখক তা ভবিষ্যতের ওপর ছেড়ে দিলেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ আনায়াসেই আরবি- ফারসি ভাষা মিশিয়ে লিখেছেন, “আব্রু দিয়ে, ইজ্জৎ দিয়ে, ইমান দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে। আবার নজরুল ইসলামও ‘ইনকিলাব', ‘শহিদ' প্রভৃতি বিদেশি শব্দ বাংলায় ব্যবহার করেছেন | বিষয়ের গাম্ভীর্য, আভিজাত্য এবং চটুলতার ওপর ভাষার ব্যবহার নির্ভর করে। ফলে বিদেশি শব্দের ব্যবহারও ভাষাকে সমৃদ্ধ করে তােলে যদি তা বিষয়বস্তুর যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারে।
File Details:-
File Name:-
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download