রাধারাণী গল্প প্রশ্ন উত্তর | রাধারাণী নবম শ্রেণি বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির বাংলা গল্প রাধারাণী প্রশ্ন উত্তর PDF
রাধারাণী নবম শ্রেণির বাংলা গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির বাংলা গল্প রাধারাণী প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Bengali Golpo question in bengali pdf
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির বাংলা গল্প রাধারাণী প্রশ্ন উত্তর PDF। class 9 Bengali Golpo question Pdf | WB Class nine Bengali question pdf |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি বাংলা গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি বাংলা গল্প রাধারাণী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Bengali Golpo Question Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
‘রাধারাণী’ নবম শ্রেণির বাংলা গল্পর প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
রাধারাণী mcq প্রশ্ন
File Details:-
File Name:-
File Format:- Pdf
পিডিএফ ডাউনলোড করতে আমাদের whatsapp গ্রুপে যুক্ত হয়ে যাও। ওখানে পিডিএফ পেয়ে যাবে। join now
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download
নবম শ্রেণি বাংলা গল্প 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির বাংলা গল্প রাধারাণী 1 নং প্রশ্ন উত্তর
১. রাধারাণী কোথায় গিয়েছিল?
উত্তর: রাধারাণী মাহেশে রথের মেলায় গিয়েছিল।
২ ... বিধবা হাইকোর্টে রিল |" এখানে কোন মামলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে রাধারাণীর মায়ের যে মামলা হয়েছিল এখানে সেই মামলায় কথাই বলা হয়েছে |
3.হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে রাধারাণীদের কী অবস্থা হয়েছিল?
উত্তর: হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে ডিক্রি জারি করে রাধারাণীদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
৪. হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীদের দিন কীভাবে কাটত?
উত্তর: হাইকোর্টে হেরে গিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে রাধারাণীর মা কুটিরে থাকেন এবং দৈহিক পরিশ্রমে কোনােরকমে তাদের দিন কাটে।
৫. “সুতরাং আর আহার চলে না”-এই না চলার কারণ কী বলে তােমার মনে হয়?
উত্তর: রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে খাবার জোগাড়ের অবস্থা আর থাকে না।
৬. 'রাধারাণী' গল্পে কোন্ মাসের উল্লেখ আছে?X[বারাসাত এম জি এম হাই স্কুল]
উত্তর: রাধারাণী' গল্পে শ্রাবণ মাসের উল্লেখ আছে।
৭, রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য কী করেছিল?
উত্তর:: মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল ।
৮, রাধারাণী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন? [পান্নালাল ইন্সটিটিউশন]
উত্তর: রাধারাণী বনফুলের মালা বিক্রি করে মার পথ্য সংগ্রহ করবে বলে মাহেশের রথের মেলায় গিয়েছিল।
৯, “রথের হাট শীঘ্র ভাঙিয়া গেল|--কেন?
[রামকৃয় মিশন বিদ্যালয়, নরেন্দ্রপু
]উত্তর:রথের হাট প্রবল বৃষ্টির কারণে শীঘ্রই ভেঙে গিয়েছিল।
১০, “মালা কেহ কিনিল না” --মালা না কেনার কারণ কী ছিল?
[নবদ্বীপ তারাসুন্দরী গার্লস হাই স্কুল; টাকি গভঃ হাই স্কুল]
উত্তর: রথের দড়ির টান অর্ধেক হতে না হতেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে
গেলে মালা কেনার লােক থাকে না।
১১, “তদপেক্ষাও রাধারাণীর চক্ষু বারিবর্ষণ করিতেছিল।”—কী সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: শ্রাবপের মুশলধারে বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তুলনা করে রাধারাণীর চোখের জল ঝরার কথা বলা হয়েছে।
১২. “এক্ষপে উচ্চৈঃস্বরে কঁাদিল।'—কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: অন্ধকারে বাড়ি ফেরার সময় কোনাে একজন রাধারাণীর ঘাড়ের। উপরে পড়ায় রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে।।
১৩, “কিন্তু কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাপীর রােদন বন্ধ হইল।”—কেন এমন হয়েছিল?
উত্তররাধারাণী সেই অপরিচিত কণ্ঠস্বরের মধ্যে একজন দয়ালু মানুষকে।| আবিষ্কার করেছিল বলে তার কান্না বন্ধ হয়েছিল।
১৪, “রাধারাণী রােদন বন্ধ করিয়া বলিল..."-রাধারাণী কী বলেছিল?
[ হিন্দু স্কুল]
উত্তর: রাধারাণী কান্না বন্ধ করে বলেছিল সে দুঃখী লােকের মেয়ে এবং তার মা ছাড়া কেউই নেই।
১৫, “তুমি আমার হাত ধরাে'—এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর: বক্তা এ কথা বলেছিল কারণ, হাত না ধরলে পিছল পথে রাধারাণীর পড়ে যাবার সম্ভাবনা ছিল।
১৬, “রাধারাণী বড়াে বালিকা।'--কীভাবে এই ধারণা হয়েছিল?
[যাদবপুর বিদ্যাপীঠ]
উত্তর: পথিক প্রথমে রাধারাণীর গলার আওয়াজে এবং পরে তার হাতের ছোঁয়ায় বুঝতে পারেন রাধারাণী খুবই ছােটো একটি মেয়ে।
১৭, রাধারাণীকে বয়স জিজ্ঞাসা করলে সে কত বলেছিল?
[তারকেশ্বর হাই স্কুল]
উত্তর: রাধারাণী প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল যে, তার বয়স দশ-এগারাে বছর।
১৮, “এক্ষণেও বালিকার হৃদয়মধ্যে লুক্কায়িত আছে।”—কী লুক্কায়িত
আছে?[হুগলি কলেজিয়েট স্কুল)
উত্তর:: যে বনফুলের মালা রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল তা-ই রাধারাণীর মনের মধ্যে লুকানাে ছিল।
১৯. “আমি একছড়া মালা খুঁজিতেছিলাম”—পথিক চরিত্রটি মালার সন্ধান করছিল কেন?
[কন্টাই হিন্দু গার্লস স্কুল]
উত্তর: পথিক চরিত্রটি তার গৃহদেবতাকে পরানাের জন্য মালার সন্ধান করছিল।
২০. পথিক চরিত্রটি তার মালা কিনতে না পারার পক্ষে কী যুক্তি দিয়েছিল?
উত্তর: পথিক চরিত্রটি বলেছিল যে রথের হাট তাড়াতাড়ি ভেঙে যাওয়ায় সে মালা কিনতে পারেনি।
১.এ যে বড়াে বড়াে ঠেকচে |’—কীসের সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: রাধারাণীকে মালার দাম হিসেবে পথিক চার পয়সা দিলে তা
অন্ধকারে তার কাছে অনেক বড়াে মনে হয়।
২, “তুমি ভুলে টাকা দাও নাই তাে?''—কেন বক্তা এ কথা বলেছে?
উত্তর: মালার দাম হিসেবে দেওয়া পয়সার আকৃতি এবং অন্ধকারেও তার ঔজ্জ্বল্য দেখে বকা রাধারাণী প্রশ্নোপ্ত মন্তব্যটি করে।
3.তাই চকচক করEে|--বক্তা এই চকচক করার কী কারণ বলেছিল?
উত্তর:| বক্তা পথিক চরিত্রটি বলেছিল যে নতুন কলের পয়সা হওয়ায় মুদ্রা
দুটি চকচক করছে।
৪, '...তখন ফিরাইয়া দিব।”—কখন ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ঘরের আলােয় ভালােভাবে দেখে পথিকের দেওয়া মুদ্রাটি টাকা হলে
তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
৫. “তারপর প্রদীপ জ্বালিয়াে।'—তারপর’ বলতে বক্তা কীসের পর প্রদীপ
জ্বালাতে বলেছেন?
উত্তর: রাধারাণী’ রচনাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে বক্তা ‘তারপর’ বলতে
ঘরে গিয়ে রাধারাণীর ভেজা কাপড় ছাড়ার পর বুঝিয়েছেন।
৬. “আমি ভিজা কাপড়ে সর্বদা থাকি।”—কেন বক্তা সর্বদা ভিজে কাপড়ে
থাকে?
উত্তর: বক্তা রাধারাণীর মাত্র দুটি কাপড় থাকায় সে সবসময় ভিজে কাপড়ে
থাকে |
৭, “আমার ব্যামাে হয় না। কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: মাত্র দুটি কাপড় থাকায় রাধারাণীকে সবসময় ভিজে কাপড়ে থাকতে হয়। এই প্রসঙ্গেই এ কথাটি বলা হয়েছে |
৮, “আগুন জ্বলিতে কাজে কাজেই একটু বিলম্ব হইল।''—এই বিলম্ব
হওয়ার কারণ কী?
উত্তর: ঘরে তেল না থাকায় চালের খড় পেড়ে চকমকি ঠুকে আগুন জ্বালাতে গিয়ে রাধারাণীর বিলম্ব হয়।
১. “আলাে জ্বলিয়া রাধারাণী দেখিল।”—কী দেখল? [বীরভূম জেলা স্কুল]
উত্তর: আলাে জ্বেলে রাধারাণী দেখেছিল পথিক যা পয়সা বলে দিয়েছিল, তা আসলে টাকা।
১০. তখন রাধারাণী বাহিরে আসিয়া তল্লাশ করিয়া দেখিল যে...” রাধারাণী কী দেখেছিল?
উত্তর: রাধারাণী দেখেছিল যে তাকে যে ব্যক্তি টাকা দিয়েছিলেন তিনি আর দরজার বাইরে নেই, চলে গেছেন।
১১. “বড়াে শােরগােল উপস্থিত করিল।”—এই শােরগােলের কারণ কী?
উত্তর: রাধারাণীদের কুটিরের দরজার ঝাপ ঠেলে ‘কাপুড়ে মিনসে’ পদ্মলােচনের আসার ফলে এই শােরগােল হয়েছিল।
১২. “...তিনিই বুঝি আবার ফিরিয়া আসিয়াছেন।’- কার কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর:: বনফুলের মালার দাম হিসেবে রাধারাণীকে পয়সার বদলে টাকা দিয়েছিলেন যিনি সেই পথিকের কথা এখানে বলা হয়েছে।
১৩. পদ্মলােচনকে পথিক কী বলেছিল?
উত্তর: পদ্মলােচনকে পথিক দুটি কাপড়ের দাম নগদে মিটিয়ে দিয়ে সেগুলি তিনি রাধারাণীকে পৌঁছে দিতে বলেছিলেন।
১৪. রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলােচনের পরিচয় কবে থেকে?
। উত্তর: রাধারাণীর পরিবারের সঙ্গে পদ্মলােচনের পরিচয় রাধারাণীর বাবার আমল থেকে |
১৫. ... প্রসন্ন মনে দোকানে ফিরিয়া গেলেন।''—এই প্রসন্নতার কারণ কী?
উত্তর: পদ্মলােচন রুক্মিণীকুমারের কাছ থেকে চার টাকার কাপড়ের দাম আট টাকা সাড়ে চোদ্দো মানা আদায় করে প্রসন্ন হয়েছিল।
১৬. রাধারাণী প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে কী করেছিল?
[গভঃ গার্লস হাই স্কুল, পুরুলিয়া
উত্তর: রাধারাণী বাজারে গিয়ে প্রাপ্ত টাকা ভাঙিয়ে মায়ের পথ্য তৈরির জিনিসপত্র ও প্রদীপের তেল কিনেছিল।
রাধারাণী 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির বাংলা গল্প রাধারাণী 3 নং প্রশ্ন উত্তর
১কিন্তু আর আহারের সংস্থান রহিল না।” – এই সংস্থান না থাকার কারণ আলােচনা করাে।
অথবা, রাধারাণীর মার দৈন্যদশার কারণ কী? [বাঁকুড়া জেলা স্কুল]
উত্তর: একজন জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে মামলায় রাধারাণীর বিধবা মা হাইকোর্টে হেরে যায়। জ্ঞাতি ডিক্রি জারি করে তাদের পিতৃপুরুষের ভিটে থেকে উচ্ছেদ করে দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তির দখল নেয়। খরচ এবং পাওনা শােধ করতে বাকি সব অর্থ চলে যায়। গয়না ইত্যাদি বিক্রি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করলেও খাবার জোগাড়ের অবস্থা তাদের আর থাকে না।
(১)“রাধারাণীর বিবাহ দিতে পারিল না!'রাধারাণীর বিবাহ দিতে না পারার কারণ আলােচনা করাে।
উত্তর: সম্পত্তির অধিকার নিয়ে এক জ্ঞাতির সঙ্গে মামলায় হেরে যাওয়ায় রাধারাণীর বিধবা মার প্রায় দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি হাতছাড়া হয়। নগদ টাকা যেটুকু ছিল তা পাওনা শােধ ইত্যাদিতে ব্যয় হয়ে যায়। গয়নাগাটি বিক্কি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করায় তারা আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে যায়। এই দারিদ্র্যের কারণেই দৈহিক পরিশ্রম করে কোনাে রকমে বেঁচে থাকা রাধারাণীর মার পক্ষে রাধারাণীর বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
2....তাহাতেই যার পৃথ্য হইবে।"--এই ভাবনাসূত্রটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: জ্ঞাতির সঙ্গে মােকদ্দমায় সর্বস্ব হারিয়ে রাধারাণীর বিধবা মা একটি কুটিরে থাকতে করতে শুরু করেন এবং দৈহিক শ্রমের দ্বারা দিন কাটান। কিন্তু গভীর অসুখে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি পরিশ্রমের ক্ষমতা হারান। রথের দিনে মায়ের শারীরিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে তার জন্য পথ্যের প্রয়ােজন হয়। রাধারাণী বন থেকে কিছু ফুল তুলে এনে মালা গেঁথে ভাবে রথের হাটে সেটি বিক্রি করেই মায়ের পথ্য জোগাড় করবে।
3.“কণ্ঠস্বর শুনিয়া রাধারাণীর রােদন বন্ধ হইল।”-কীর কণ্ঠস্বর শুনে কেন রাধারাণীর রােদন বন্ধ হয়েছিল? ১+ ২ [ জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল)
উত্তর: রাধারাণী’ গল্পাংশের উল্লিখিত অংশে পথিকের গলার আওয়াজ শুনে রাধারাণীর কান্না বন্ধ হয়েছিল।
* রথের মেলায় বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ার কারণে মালা বিক্রি না হওয়ায় রাধারাণী যখন কঁাদছে, অন্ধকারে কেউ তার ঘাড়ের উপরে এসে পড়ে। ভয়ে রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে। তখন সেই অপরিচিত ব্যক্তি প্রশ্ন করেন—“কে গা তুমি কাদ?" চেনা লােক না হলেও গলার আওয়াজে
রাধারাণী দয়ালু মানুষের উপস্থিতিই যেন বুঝতে পেরেছিল। তাই তার কান্না বন্ধ হয়েছিল।
(6, “অগত্যা রাধারাণী কাদিতে কঁাদিতে ফিরিল।”—রাধারাণীর কেঁদে কেঁদে ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করাে। [ বহরমপুর কে এন কলেজ স্কুল]
উত্তর: রাধারাণী বুনােফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় গিয়েছিল, তা বিক্রি করে মার পথ্য সংগ্রহ করতে। কিন্তু রথ অর্ধেক টানা হওয়ার পরেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যায়। রাধারাণী তবুও মেলায় ভিড় আরও জমবে এবং তার মালাও বিক্রি হবে এই আশায় বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে। কিন্তু রাত হওয়ার পরেও বৃষ্টি না থামায় তার আশা ভেঙে যায়। মালা বিক্রি না হওয়ায় রাধারাণী অন্ধকারে কাদতে কাদতে বাড়ির পথ ধরল।
7.রাধারাণীর ক্ষুদ্র বুদ্ধিটুকুতে ইহা বুঝিতে পারিল।"—কার বুদ্ধিকে ক্ষুদ্রবুদ্ধি বলা হয়েছে এবং কেন?
উত্তর: রাধারাণীর বুদ্ধিকে ক্ষুদ্র বুদ্ধি বলা হয়েছে। এগারাে বছরও পূর্ণ না হওয়া মেয়েটির বুদ্ধি এমনিতেই অপরিণত। দ্বিতীয়ত বনফুলের মালা বিক্রি করতে গিয়ে সে যে অবস্থায় পড়েছে তা-ও তার পক্ষে যথেষ্ট বিড়ম্বনার। অন্ধকার পথে দুর্যোগের মধ্যে একা রাধারাণী যে পরিণত মানুষের মতাে অভিজ্ঞতার কারণে বুদ্ধিপ্রয়ােগ করতে পারবে না, তা বলাই বাহুল্য। পরিস্থিতির সাপেক্ষে রাধারাণী তাই অতি ক্ষুদ্রবুদ্ধি'।
3,“সেই এক পয়সার বনফুলের মালার সকল কথাই বাহির করিয়া লইল।” মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: প্রবল বৃষ্টিতে রথের মেলা ভেঙে যাওয়ায় মালা বিক্রি হয় না। এর ফলে মনের কষ্টে রাধারাণী বাড়ির পথ ধরলে এক পথিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পথিক রাধারাণীকে পিছল পথে হাত ধরে বাড়ি
পৌঁছােতেও সাহায্য করে। কিন্তু এই যাত্রাপথে পথিক রাধারাণীর পরিচয়, অল্পবয়সি রাধারাণীর একলা রথ দেখতে যাওয়া, তার কান্নার কারণ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন করে ‘এক পয়সার বনফুলের মালা’ সম্বন্ধে যাবতীয়
তথ্যই জেনে নেয়।
(১) “তুমি দাঁড়াও, আমি আলাে জ্বালি”—এই আলাে জ্বালার কারণ আলােচনা করাে।
উত্তর: প্রবল বৃষ্টিতে রথের মেলা ভেঙে যাওয়ায় রাধারাণীর মালা বিক্রি হয়নি। এর ফলে রাধারাণী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। অন্ধকার পথে এক পথিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে রাধারাণীর মালাটি চার পয়সা দিয়ে কিনে নেয়। কিন্তু রাধারাণীর সন্দেহ হয় যে তাকে দেওয়া মুদ্রাগুলি বড়াে এবং চকচক করছে| পথিক ‘ডবল পয়সা’, ‘নূতন কলের পয়সা' ইত্যাদি বললেও নির্লোভ রাধারাণী বাড়িতে গিয়ে তা আলােয় পরীক্ষা করে নেওয়ার কথা জানায়।
2.“মা! এখন কী হবে?—এ কথা বলার কারণ কী? [বীরভূম জেলা স্কুল]
উত্তর: রাধারাণী’ গল্পাংশে মালার দাম হিসেবে পথিক রাধারাণীকে চার পয়সা দেওয়ার পরেও রাধারাণীর সন্দেহ হয় পয়সাটি বড়াে বড়াে ঠেকচে'। পথিক পয়সার বদলে টাকা দিয়েছে কিনা এমন সন্দেহ রাধারাণীর মনে আসে। পথিক অস্বীকার করলেও রাধারাণী বাড়িতে গিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে সেটি দেখার কথা বলে এবং পথিককে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে বলে। রাধারাণী চকমকি ঠুকে আগুন জ্বেলে দেখে তার অনুমান ঠিক। পথিক তাকে টাকাই দিয়েছে| কিন্তু বাইরে এসে দেখে যে পথিক চলে গিয়েছে | এই
অবস্থাতে রাধারাণী অসহায় হয়ে মায়ের কাছে জানতে চায় যে সেই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত।
3.“নােটখানি তাহারা ভাঙাইল না৷””—নােটখানি কারা কেন ভাঙাল না?১+ ২ [কন্টাই হিন্দু গার্লস হাই স্কুল]
উত্তর: রাধারাণী’ গল্পাংশে রাধারাণী আর তার মা পথিকের ফেলে যাওয়া নােটটি ভাঙাল না|
| রাধারাণী এবং তার মা পথিক রুক্মিণীকুমার রায়ের ফেলে যাওয়া নােটটি ভাঙায়নি তার কারণ এর আগে মালার দাম হিসেবে তিনি যে টাকা দিয়েছিলেন তাতেই তাদের প্রয়ােজন মিটে গিয়েছিল। নােটটি তাদের প্রয়ােজন ছিল না। বরং নােটটি নিলে তাদের অসততাই প্রতিষ্ঠিত হত। তাই তারা নােটটি তুলে রাখল। কেননা তারা দরিদ্র হলেও লােভী নয়।
৪“তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লােভী নহে।”—মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: রথের মেলা থেকে ফেরার পথে রাধারাণীর সঙ্গে একজনের পরিচয় হয় রাধারাণীকে সাহায্যের জন্য সে তার কাছ থেকে মালা কেনে, তার জন্য কাপড় পাঠানাের ব্যবস্থা করে, এমনকি নিজের ও রাধারাণীর নাম লেখা একটি নােটও তাদের ঘরে রেখে যায়। কিন্তু রাধারাণীরা দরিদ্র হলেও লাে নয়। সেই ব্যক্তি তাদের জন্য যা দিয়েছিল, তাই যথেষ্ট ছিল। এই উপকারীর উপকারের চিহস্বরূপ সেই নােটটি তারা খরচ করেনি।
রাধারাণী বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির বাংলা গল্প 5 নং প্রশ্ন উত্তর
১“রাধারাণী নামে এক বালিকা মাহেশে রথ দেখিতে গিয়াছিল।
রিধারাপীর মাহেশে রথ দেখতে যাওয়ার কারণ কী ছিল? সেখানে তার কী অভিজ্ঞতা হয়েছিল?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী' গল্পাংশের প্রধান চরিত্র রাধারাণী ছিল এগারাে বছরেরও কমবয়সি একটি মেয়ে। জ্ঞাতির সঙ্গে মােকদ্দমায় বিপুল সম্পত্তি বেহাত হওয়ার পরে রাধারাণীর বিধবা মা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শারীরিক পরিশ্রম করে পেটের ভাত জোগাড় করতেন। কিন্তু হঠাৎ তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাধারাণীদের দিন চলা দায় হয়। রাধারাণীকে উপােস করতে হয়। কিন্তু রথের দিন তার মায়ের অসুখ বেড়ে গেলে পথ্যের প্রয়ােজন হয়। এই পথ্য জোগাড়ের জন্য রাধারাণী বন থেকে
ফুল তুলে এনে একটি মালা গাঁথে| মালাটি বিক্রি করে মায়ের পথ্য জোগাড় করার জন্যই রাধারাণী মাহেশে রথের মেলায় যায়।প্রবল বৃষ্টির কারণে মেলা অসময়ে ভেঙে যাওয়ায় রাধারাণীর মালা বিক্রি হয় না। রাধারাণী যখন কঁাদতে কাদতে বাড়ি ফিরছে তখনই অন্ধকার পথে তার ঘাড়ের উপরে একটি লােক এসে পড়ে। সে রাধারাণীর কান্নার কারণ জানতে চায়। লােকটির গলার আওয়াজেই তার দয়ালু স্বভাব উপলদ্ধি করে রাধারাণী। এরপরে রাধারাণীর হাত ধরে সেই অন্ধকার পিছল পথে লােকটি তাকে বাড়ি পৌঁছােতে সাহায্য করে এবং তার রথের মেলায় যাওয়ার কারণনে মালাটি কিনে নেয়।
2.“মােকদ্দমাটি বিধবা হাইকোর্টে হারিল।”—এই বিধবার পরিচয় দিয়ে পরিণতি কী হল সংক্ষেপে লেখাে |
উত্তর: রাধারাণী' গল্পে রাধারাণীর মা ছিলেন এক অবস্থাপন্ন পরিবারের বউ। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পরে একজন জ্ঞাতির সঙ্গে তার মােকদ্দমা হয়। হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীর মা-কে সর্বস্ব হারাতে হয়। ডিক্রিদার সেই জ্ঞাতি ডিক্রি জারি করে তাকে ভিটে থেকেও উচ্ছেদ করে দেন| প্রায় দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায় | নগদ যা ছিল তা-ও ব্যয় হয়ে যায় মামলার খরচ জোগাতে | অলংকার ইত্যাদি বিক্রি করে রাধারাণীর মা প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করে। এইসব মামলা-মােকদ্দমার কারণে রাধারাণীর মা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। তার খাবার জোগারের ব্যবস্থা থাকে না | বিধবা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে কোনাে রকমে শারীরিক পরিশ্রম করে দিন কাটাতে থাকে। দারিদ্র্যের কারণে রাধারাণীর বিয়ে দিতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রথের আগে রাধারাণীর মা ঘােরতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে শারীরিক পরিশ্রম করার
ক্ষমতাও হারায়। খাবার জোগারের ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। আর রাধারাণীকে ভাবতে হয় মার পথ্যের জোগাড় হবে কোথা থেকে
“
2.রাধারাণীর মা কেন তার বিবাহ দিতে পারেনি?
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাধারাণী' রচনাংশে রাধারাণী ছিল। একটি মেয়ে, যার বয়স এগারাে বছরও পূর্ণ হয়নি। বড়ােলােকের মেয়ে হলেও তাদের অবস্থা ভালাে ছিল না। সর্বোপরি রাধারাণীর বাবাও বেঁচে ছিল না। রাধারাণীর মা রাধারাণীর বিয়ে দিতে পারেননি। এককালে অবস্থাপন্ন
হলেও রাধারাণীর পরিবার কুমশ নিঃস্ব হয়ে পড়েছিল। একজন জাতির সঙ্গে সম্পত্তির অধিকার নিয়ে রাধারাণীর মার মােকদ্দমা হয়, এবং হাইকোর্টে তিনি হেরে যান। তার ফলে তাদের বাস্তুভিটে থেকে উচ্ছেদ করা হয় এবং দশ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যায়। নগদ যেটুকু ছিল সেটুকুও
খরচা ও ওয়াশিলাত অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ দিতে চলে যায়। রাধারাণীর মা অলংকার ইত্যাদি বিক্রি করে প্রিভি কাউন্সিলে আপিল করেন। কিন্তু সর্বস্ব হারিয়ে তাদের খাবার জোগাড়ের অবস্থাও থাকে না | রাধারাণীর বিধবা মা একটি কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শারীরিক পরিশ্রমের দ্বারা দিন কাটাতে থাকেন।
কিন্তু এই তীব্র দারিদ্র্যের কারণে রাধারাণীর মা রাধারাণীর বিয়ে দিতে পারেন না।
১তুমি ঘরে আসিয়া দাড়াও, আমরা আলাে জ্বালিয়া দেখি, টাকা কী পয়সা |--বক্তা কখন এই মন্তব্য করেছে? আলাে জ্বালার পরের ঘটনা। উল্লেখ করাে ||
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাধারাণী’ গল্পাংশে রাধারাণীর কাছে তার ফুলের মালার যাবতীয় কথা শুনে সঙ্গী ভদ্রলােকটি সদয় হয় এবং বাড়ির বিগ্রহকে পরানাের জন্য মালাটি কিনে নিতে চায়৷ রাধারাণী দ্বিধা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত মালাটি বিক্রি করে পথিক ভদ্রলােকটি মালার দাম হিসেবে চার পয়সা দেয়। সেই পয়সা হাতে নিয়ে রাধারাণীর বেশ বড়াে লাগে; টাকা বলে মনে হয়। কিন্তু পথিক ‘ডবল পয়সা' বলে রাধারাণীকে আশ্বস্ত করে। কিন্তু রাধারাণী এতে সম্পূর্ণ ভরসা করতে পারে না। তাই সে নিজের
কুটিরের দরজায় উপস্থিত হয়ে পথিককে অপেক্ষা করতে বলে। উদ্দেশ্য ছিল, প্রদীপের আলাে জ্বেলে মুদ্রাগুলি পরীক্ষা করা।। ঘরে তেল না থাকায় রাধারাণী চালের খড় টেনে তাতে চকমকি ঠুকে
আগুন জ্বালায় এবং দেখে যে তার অনুমানই ঠিক। মালার মূল্য হিসেবে তাকে টাকা দেওয়া হয়েছে, পয়সা নয়| রাধারাণী বাইরে এসে পথিকের খোঁজ করে। কিন্তু দেখে যে, সেই ব্যক্তি চলে গিয়েছে| মায়ের কাছে রাধারাণী তার কী করা উচিত জানতে চাইলে রাধারাণীর মা বলেন যে, দাতা ব্যক্তি তাদের দুঃখ শুনে দান করেছে, তাই তারা সেটা গ্রহণ করবে।
2.“আমরাও ভিখারি হইয়াছি, দান গ্রহণ করিয়া খরচ করি।”—বক্তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট গল্পাংশ অবলম্বনে আলােচনা করাে।
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ' রাধারাণী’ গল্পাংশে রাধারাণীর মা এই উক্তিটি করেছেন | রাধারাণীর পরিবার একসময় খুবই সম্পন্ন ছিল। কিন্তু রাধারাণীর বাবার মৃত্যুর পরে এক জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি সম্পর্কিত বিবাদে জড়িয়ে গিয়ে, হাইকোর্টে হেরে মামলার খরচ ও ওয়াশিলাত অর্থাৎ ক্ষতিপূরণ দিতে, প্রিভি কাউন্সিলে আবেদন করতে রাধারাণীর মা নিঃস্ব হয়ে যান। রাধারাণীর মা একটা কুটিরে আশ্রয় নিয়ে শারীরিক পরিশ্রমের মাধ্যমে দিন কাটাতে থাকেন। মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়। উপােস করে দিন কাটানাে শুরু হয়। অসুস্থ মায়ের পথ্য সংগ্রহের উদ্দেশে রাধারাণী বনফুলের মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গেলেও বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যাওয়ায় তার মালা বিক্রি হয় না। ফেরার পথে এক পথিক সব শুনে চার পয়সায় মালাটি কিনে নেয়। কিন্তু বাড়ি ফিরে পথিককে বাইরে দাড়াতে বলে সে আগুন জ্বালিয়ে যখন দেখে তাকে পয়সার বদলে টাকা দেওয়া হয়েছে, তখন বাইরে বেরিয়ে সে পথিককে খুঁজে পায় না | বিভ্রান্ত হয়ে রাধারাণী তার মায়ের কাছে পরামর্শ চাইলে মা বলেন যে, দাতা অর্থ দিয়েছেন এবং দরিদ্র বলেই তাদের তা গ্রহণ করে খরচ করা ছাড়া অন্য উপায় নেই |
3.নােটখানি তাহারা ভাঙাইল না—তুলিয়া রাখিল—তাহারা দরিদ্র, কিন্তু লােভী নহে |”—মন্তব্যটির তাৎপর্য গল্পাংশ অবলম্বনে আলােচনা করাে।
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রাধারাণী’ গল্পাংশে রাধারাণীর মা অসুস্থ হয়ে পড়ায় এগারাে বছরেরও কমবয়সি পিতৃহীন রাধারাণীকে মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য ফুলের মালা গেঁথে তা রথের হাটে বিক্রির জন্য যেতে হয়। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে মালা বিক্রি না হলে এক পথিক তার সাহায্যকারীর ভূমিকায় উপস্থিত হন। তিনি যে শুধু মালাটি কিনে নেন তাই নয়, চার পয়সা দাম ঠিক হলেও তার বদলে দুটি টাকা দেন। এই ঘটনাটি রাধারাণী মেনে নিতে না পারলেও মায়ের কথায় তা গ্রহণ করে। এরপরে কাপড় ব্যবসায়ী পদ্মলােচনের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির পাঠানাে দুটি কাপড়ও রাধারাণী বিস্ময়ের সঙ্গে গ্রহণ করে। কিন্তু ঘর ঝাট দিতে গিয়ে পাওয়া নােটটি সে বা তার মা গ্রহণ করতে পারেনি। কারণ তা ছিল তাদের প্রয়ােজনের অতিরিক্ত | তাই নােটটি পাওয়ার পরদিন সেটি ফেরত দেওয়ার জন্য তারা সেই পথিক রুক্মিণীকুমার রায়ের অনেক খোঁজ করেছিল। তাকে খুঁজে না পেয়ে নােটটি না ভাঙিয়ে তারা তুলে রাখে। এই ঘটনা প্রমাণ করে দারিদ্র্য রাধারাণীর পরিবারের সততা ও নির্লোভ মানসিকতা কেড়ে নিতে পারেনি, বরং লােভকে জয় করার মধ্য দিয়ে তারা মহান হয়ে উঠেছে।
(৫)'রাধারাণী’ রচনাংশ অবলম্বনে সেকালের সমাজজীবনের পরিচয় দাও। |
[রামকৃয় মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির, মালদা; রামকৃয় মিশন বিদ্যাপীঠ, পুরুলিয়া]
উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ' রাধারাণী’ রচনাংশটি কোনাে সামাজিক সমস্যা ও সংকটকে অবলম্বন করে রচিত না হলেও কাহিনির প্রেক্ষাপটে সমাজ উঁকি দিয়েছে বারেবারেই রাধারাণীর মার নিঃস্ব হওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ কিংবা মামলা-মােকদ্দমা তখন যথেষ্টই ছিল|রথের মেলা উপলক্ষ্যে লােকের ভিড় গ্রামবাংলারই জীবন্ত ছবি | দারিদ্র্য কত কষ্টকর হতে পারে তার পরিচয় পাওয়া যায় যখন রাধারাণীদের খাবার জোটে না, কিংবা রাধারাণী জানায় তার দুটি ভিন্ন কাপড় নেই—ভিজে কাপড়ে থাকতেই সে অভ্যস্ত। কাপড়ের ব্যবসায়ী পদ্মলােচন সাহা অসৎ ব্যাবসাবৃত্তির প্রতীক হয়ে থাকে, যে চার টাকার কাপড় আট টাকা সাড়ে চোদ্দো আনায় বিক্রি করে। মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার যে চল ছিল তা বােঝা যায় যখন রাধারাণী সম্পর্কে লেখক বলেন—“রাধারাণী বড়ােঘরের মেয়ে, একটু অক্ষরপরিচয় ছিল।”রাধারাণী এবং তার মায়ের রুক্মিণীকুমার রায়ের রেখে যাওয়া নােট তুলে রাখার মধ্য দিয়ে বােঝা যায় পদ্মলােচনের মতাে অসৎ চরিত্রের বিপরীতে সৎ এবং আদর্শবাদী মানুষও তখন সমাজে যথেষ্ট ছিল।
File Details:-
File Name:-
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Location:- Google Drive
[TAG]: নবম শ্রেণি রাধারাণী গল্প pdf,রাধারাণী গল্প mcq,রাধারাণী বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির বাংলা গল্প,নবম শ্রেণির বাংলা গল্প 3 নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির বাংলা গল্প বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির বাংলা গল্প 1 প্রশ্ন উত্তর,Class 9 Bengali Golpo question in bengali,