ভারতের সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি ভূগোল সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Geography 7th chapter question in bengali pdf
ভারতের সম্পদ নবম শ্রেণির ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Geography 7th chapter question in bengali pdf
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির ভূগোলের সপ্তম অধ্যায় ভারতের সম্পদপ্রশ্ন উত্তর PDF। Class IX geography seven chapter question Pdf in bengali | WB Class Nine Geography question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি ভূগোল সপ্তম অধ্যায় ভারতের সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Geography 7th chapter important Question in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
‘ভারতের সম্পদ’ নবম শ্রেণির ভূগোলের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
ভারতের সম্পদmcq প্রশ্ন
1.
নবম শ্রেণি ভূগোল সপ্তম অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর
1.
নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর
1. জৈব সম্পদ (Biotic Resource) কাকে বলে?
উত্তর। জীবজগৎ অর্থাৎ প্রাণী ও উদ্ভিদ জগৎ থেকে যেসব সম্পদ পাওয়া যায়, সেগুলিকে জৈব সম্পদ বলে।
উদাহরণ : মানুষ, অরণ্য সম্পদ, মৎস্য সম্পদ, পশুজাত দ্রব্য (যেমন দুগ্ধ, চর্ম, পশম প্রভৃতি)।
2. অজৈব সম্পদ (Abiotic Resource) কাকে বলে?
উত্তর প্রাণহীন জড় বস্তু থেকে সৃষ্ট সম্পদগুলিকে বলা হয় অজৈব সম্পদ।
উদাহরণ : জল, বায়ু, ধাতব খনিজ প্রভৃতি।
3. বস্তুগত বা স্পর্শযােগ্য সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর যেসব সম্পদের বস্তুগত অস্তিত্ব আছে এবং যাদের প্রত্যক্ষ করা যায় ও স্পর্শ করে অনুভব করা যায়, তাদের বস্তুগত বা স্পর্শযােগ্য সম্পদ বলে।
উদাহরণ : সমস্ত খনিজ সম্পদ, কৃষিজ ফসল প্রভৃতি।
4.অবস্তুগত বা অস্পর্শযােগ্য সম্পদ কাকে বলে?
উত্তর যেসব সম্পদের বস্তুগত অস্তিত্ব নেই এবং যাদের স্পর্শ করা যায় না, প্রত্যক্ষ করা যায় না, তাদের অবস্তুগত বা অস্পর্শযােগ্য সম্পদ বলে।
উদাহরণ : শিক্ষা, বুদ্ধি, জ্ঞান, উদ্ভাবনী ক্ষমতা, আইন প্রভৃতি।
5.) সম্পদের বাধা কাকে বলে?
উত্তর পৃথিবীর সমস্ত বস্তু ও অবস্তুকে সম্পদ, বাধা এবং নিরপেক্ষ উপাদান – এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে সম্পদ সৃষ্টির ক্ষেত্রে যারা বাধা দান করে, মানুষের ক্ষতিসাধন করে, তাদের সম্পদের বাধা (Resistance of Resources) বলে। যেমন – ঘূর্ণিঝড়, যুদ্ধ, ধর্মীয় কুসংস্কার প্রভৃতি।
6 সম্পদের উপযােগিতা (Utility) কাকে বলে?
উত্তর মানুষের অভাব মােচন বা চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতাকে সম্পদের উপযােগিতা (Utility) বলে। সম্পদের উপযােগিতা মানুষের অভাব মিটিয়ে পরিতৃপ্তি দান করে। সম্পদের কার্যকারিতা বাড়লে সম্পদের উপযােগিতা বৃদ্ধি পায়। যেমন – এক গ্লাস ঠান্ডা জল তৃষার্ত মানুষের পিপাসা মিটিয়ে তাকে তৃপ্ত করে, এটাই জলের উপযােগিতা।
7.প্রবহমান বা অফুরন্ত সম্পদ কাকে বলে?
উত্তরযে-সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের পরও নিঃশেষিত হয় না কিংবা যাদের জোগান অব্যাহত থাকে, তাদের প্রবহমান বা অফুরন্ত সম্পদ (Flow or Inexhaustible Resources) বলা হয়। যেমন – বাতাস, জল, সূর্যালােক প্রভৃতি।
৮ পুনর্ভব সম্পদ কাকে বলে?
যে সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে ও সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যায় না বা j সম্পদ সাময়িকভাবে কমে গেলেও মানুষের চেষ্টাও সদিচ্ছায় পুনরায় ফিরিয়ে আনা যায় তাকে প্রবহমান ba পুনর্ভব ba পূরণশীল সম্পদ বলে
10.সম্পদের ব্যবহারযােগ্যতা বা সুগমতা (Accessibility) বলতে কী বােঝাে?
উত্তর কোনাে বস্তুর ব্যবহারযােগ্যতা না থাকলে তাকে সম্পদ বলা হয় না। দুর্গম এবং বিপদসংকুল মরু অঞ্চল ও পার্বত্য অঞ্চলের খনিজদ্রব্য, দুর্ভেদ্য অরণ্যের কাঠ এবং জনহীন সমুদ্র উপকূলের
জলসম্পদ ব্যবহার করা যায় না বলে তাদের সম্পদ বলা হয় না। কাজেই, সম্পদ হতে হলে তার ব্যবহারযােগ্যতা বা সুগমতা থাকা। প্রয়ােজন।
11* সংস্কৃতির শ্রেণিবিভাগ করাে।
উত্তর। সংস্কৃতিকে দুটি পৃথক ভাগে ভাগ করা যায়। যথা
বস্তুগত সংস্কৃতি এবং গু ভাবগত সংস্কৃতি। নানারকম কলকবজা, মেশিনপত্র, যন্ত্রপাতি, যানবাহন ইত্যাদি হল বস্তুগত সংস্কৃতিn(Material Culture)। আর বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা, উন্নত কলা-কৌশল, ভাবনা-চিন্তা ইত্যাদিকে ভাবগত সংস্কৃতি (Thematic Culture) বলা হয়।
2.2 ধাতব খনিজ কাকে বলে? *
উত্তর সংজ্ঞা : যেসব খনিজ দ্রব্য গলালে ধাতু পাওয়া যায়, তাদের। ধাতব খনিজ বলে।
উদাহরণ : আকরিক লােহা, তামা, বক্সাইট, ম্যাঙ্গানিজ প্রভৃতি।
বৈশিষ্ট্য : 0 ধাতব খনিজ অবিশুদ্ধ প্রকৃতির; © ধাতব খনিজ ওজন হ্রাসশীল কাচামাল রূপে শিল্পে ব্যবহৃত হয়।
3 .অধাতব খনিজ কাকে বলে? *
উত্তর সংজ্ঞা : যেসব খনিজ গলানাে বা শােধন করার সময় নানা অধাতব পদার্থ বা উপজাত দ্রব্য পাওয়া যায়, তাকে অধাতব খনিজ বলে।
> উদাহরণ : কয়লা, খনিজ তেল, চুনাপাথর, গন্ধক, ইউরেনিয়াম প্রভৃতি।
বৈশিষ্ট্য : 0 অধাতব খনিজ সাধারণত বিশুদ্ধ প্রকৃতির হয়; @ এই খনিজ সরাসরি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়।
4 জ্বালানি খনিজ কাকে বলে? *? *
উত্তর সংজ্ঞা : যেসব খনিজ দহন করলে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় বা যার থেকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বের হয়, তাকে জ্বালানি খনিজ বলে।
> উদাহরণ : কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, ইউরেনিয়াম প্রভৃতি।
5.আকরিক কাকে বলে? *
উত্তর সংজ্ঞা : যেসব খনিজে অপ্রয়ােজনীয় অপদ্রব্যের তুলনায়।
ধাতব মৌলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং যেগুলি থেকে সহজেই ধাতু। নিষ্কাশন করা যায়, তাদের আকরিক বলে।
> উদাহরণ : হেমাটাইট, ম্যাগনেটাইট প্রভৃতি।
6 পিগ আয়রন (Pig Iron) কাকে বলে ?
উত্তর খনি থেকে তােলা আকরিক লােহায় যে অপ্রয়ােজনীয় পদার্থ মিশে থাকে তা বাদ দেওয়ার জন্য এর সঙ্গে চুনাপাথর ও ডলােমাইট মিশিয়ে বাতচুল্লিতে গলানাে হয় এবং পরিসুত গলিত তরল লােহা ছাঁচে ফেলে যে লৌহপিণ্ড প্রস্তুত করা হয়, তাকে পিগ আয়রন বলে।
7 স্পঞ্জ আয়রন (Sponge Iron) কাকে বলে?
উত্তর ছাঁট লােহা (Scrap) থেকে ইলেকট্রিক আর্ক ফার্নেস (Electric Arc Furnace) ও ইনডাকশন ফার্নেস (InductionFurnace)-এর মাধ্যমে সরাসরি যে লােহা উৎপাদন করা হয়,তাকে স্পঞ্জ আয়রন বলে। স্পঞ্জ লােহা উৎপাদনে ভারত পৃথিবীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে।
৪ জীবাশ্ম জ্বালানি কাকে বলে?
উত্তর সংজ্ঞা : উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ শিলাস্তরের মধ্যে চাপা পড়ে প্রস্তরীভূত হলে, তাকে জীবাশ্ম বলা হয়। এই জীবাশ্ম সৃষ্টির সময় জীবদেহাবশেষ ভূঅভ্যন্তরের চাপ ও তাপে এবং রাসায়নিক
বিক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে যখন জ্বালানি খনিজে পরিণত হয়, তখন তাকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।
> উদাহরণ : কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস।
৪ কোর্ককয়লা বলতে কী বােঝাে?
উত্তর বিটুমিনাস কয়লাকে কোক চুল্লিতে প্রসেসিং করে কয়লাস্থিত অপদ্রব্য, জলীয়বাষ্প পরিস্তুত করে কার্বন উপাদান(%) বাড়িয়ে যে উকৃষ্ট কয়লা তৈরি করা হয়, তাকে কোক কয়লা বলে। লৌহ-ইস্পাত শিল্পে এই কয়লা অধিক ব্যবহৃত হয়।
11 ভারতের প্রধান চারটি কালাখনি অঞ্চল ও তাদের একটি করে খনির নাম লেখাে।
উত্তর ভারতের চারটি কয়লা খনি অঞ্চল হল -
i.দামােদর উপত্যকা অঞ্চল। পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ।
ii.শােন উপত্যকা অঞ্চল - ছত্তিশগড়ের ঝিলিমিলি।
iii.মহানদী উপত্যকা অঞ্চল ওড়িশার তালচের।
iv.গােদাবরী উপত্যকা অঞ্চল অপ্রদেশের তাণ্ডুর।
12 কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড (Coal India Limited) কী ?
উত্তর। কয়লা উত্তোলনের ক্ষেত্রে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হল কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড। 1975 সালে বিশ্বের বৃহত্তম এই কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থাটি স্থাপিত হয়, এর সদর দপ্তর কলকাতায় অবস্থিত। বর্তমান ভারতে এই সংস্থার অধীনে মােট 18টি সংস্থা কয়লা উত্তোলনে। নিযুক্ত আছে। যেমন – @ সেন্ট্রাল কোল ফিল্ডস্ লিমিটেড (CCL),@ ভারত কোকিং কোল লিমিটেড (BCCL) প্রভৃতি।
13 ভারতের চারটি লিগনাইট কয়লা খনির নাম লেখাে।r
উত্তর ভারতের চারটি লিগনাইট কয়লা খনি হল
i.তামিলনাড়ুর নেভেলি (ভারতের বৃহত্তম লিগনাইট কয়লা খনি)
ii.রাজস্থানের পালানা,
iii.কেরালার ওয়ারকালা,
Iv.গুজরাটের উমরসর।
: 14 ক্রুড অয়েল (Crude Oil) ও অয়েল ট্র্যাপ (Oil Trap) কী ?
উত্তর ভূগর্ভের শিলাস্তর থেকে যে তেল উত্তোলন করা হয়, তা ঘন, ভারী ও মালিন্যযুক্ত, একে ক্রুড অয়েল বা অপরিশােধিত তেল বলে। এই তেল শােধন করে ব্যবহার করা হয়।
> বাণিজ্যিক তেল উত্তোলনের উপযােগী তেল ভাণ্ডারকে অয়েল ট্র্যাপ বলে।
15 ONGC কী ? * *
> স্থাপনকাল : 1956 সালের 14 আগস্ট এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
> সদর দপ্তর : এর সদর দপ্তর উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে অবস্থিত।
উদ্দশ্য : ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে খনিজ তেলের অনুসন্ধান করা ও উত্তোলন করা।
16) সাগর সম্রাট ও সাগর বিকাশ কী ? ** [ME - 08]
উত্তর ভারতের বৃহত্তম তৈলক্ষেত্র আরবসাগরে যে দুটি ভাসমান প্লাটফর্ম বা জাহাজ বা রেগ-এর সাহায্যে তেল উত্তােলন করা হয়, তাদের নাম হল সাগর সম্রাট ও সাগর বিকাশ।
20) কালাে হিরে’ কাকে বলে? কেন বলে ? * *
উত্তর কয়লাকে কালাে হিরে’ বলে। কারণ, বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনে কয়লা এবং তা থেকে প্রাপ্ত উপজাত দ্রব্যগুলি অত্যন্ত অপরিহার্য হয়ে গেছে এবং সর্বোপরি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ও কলকারখানার বিভিন্ন কাজে কয়লা ব্যবহৃত হয়। হিরে যেমন মূল্যবান পদার্থ ঠিক তেমনি ব্যবহারগত দিক থেকে কয়লাও অত্যন্ত মহার্ঘ বস্তু এবং কয়লার রং কালাে। তাই হিরের সঙ্গে তুলনা করে কয়লাকে কালাে হিরে’ বলে।
21.রট আয়রন (Wrought Iron) কাকে বলে ?
উত্তর। লৌহ আকরিক থেকে লােহা নিষ্কাশন করে ইস্পাত তৈরি করার প্রথম পর্যায়ে বাতচুল্লিতে আকরিক লােহা, চুনাপাথর ও ডলােমাইটের মিশ্রণকে কোক কয়লার সাহায্যে 1600°C তাপমাত্রায়
গলিয়ে উত্তপ্ত গলিত কাঁচা লােহাকে শূকরের আকৃতি বিশিষ্ট ছাঁচে ঢেলে যে লােহা প্রস্তুত করা হয় তাকে পি আয়রন বা ঢালাই লােহা বলে। এরপর একটি বিশেষ ধরনের বাতচুল্লিতে পিগ আয়রনকে গলিয়ে যে লােহা পাওয়া যায় তাকে রট আয়রন (Wrought Iron) বলে।
ব্যবহার : আকরিক লােহা গলিয়ে প্রাপ্ত রট আয়রন নাট, বন্টু, পেরেক, গ্রিলের রড, শিকল প্রভৃতি তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে এই আয়রনের বাণিজ্যিক গুরুত্ব অনেক বেশি।
22. কয়লাকে জৈব শিলা বলে কেন?
উত্তর আজ থেকে প্রায় (30–35) কোটি বছর আগে কার্বোনিফেরাস যুগে এবং (710) কোটি বছর আগে টার্শিয়ারি যুগে প্রবল ভূ-আলােড়নের ফলে সেই সময়কার গভীর, বিস্তীর্ণ অরণ্ অঞল দুটি পৃথক সময়ে মাটির তলায় চাপা পড়ে যায়। কোটি কোটিবছর ধরে মাটির তলায় চাপা পড়ে থাকার কারণে অভ্যন্তরীণ চাপ, তাপ ও রাসায়নিক বিক্রিয়ায় উদ্ভিদদেহে যে সৌরশক্তি প্রচ্ছন্নরূপে স্থিতিশক্তিরূপে জমা ছিল সেই শক্তি অঙ্গারীভূত হয়ে কয়লায় পরিণত হয়। উদ্ভিদদেহ যেহেতু জৈব পদার্থ এবং সেখান থেকেই শিলারূপী কঠিন কয়লা সৃষ্টি হয়, তাই কয়লাকে ‘জৈব শিলা’ বলে।
3.6 NTPC
উত্তর NTPC-এর পুরাে কথাটি হল National Thermal Power Corporation। ভারতের বিভিন্ন অংশে কয়লার সাহায্যে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে দ্রুত উন্নতির জন্য 1975 সালে নভেম্বর মাসে এই সংস্থাটি স্থাপিত হয়। এই সংস্থা সারা ভারতব্যাপী 16টি কয়লাভিত্তিক ও 7টি গ্যাসভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এই সংস্থার মােট উৎপাদন 30,644 মেগাওয়াট (2011 সাল অনুযায়ী)।
8 কাকে এবং কেন সাদা কয়লা’ বলা হয়। * * *
উত্তর জলবিদ্যুৎ শক্তিকে সাদা কয়লা বলা হয়। কারণ, কলা থেকে যেমন তাপবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়, তেমনি সুম থেকে জলবিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা হয়। কেবল কয়লার রং কালো এবং জল স্বচ্ছ বা বর্ণহন। তাই বয়লার সঙ্গে তুলনা করে রূণ স্বার্থে জলবিদ্যুৎ শক্তিকে সাদা কালা’ বলা হয়
14) ভারতের চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেদের নানা লেখে।
উত্তর ভারতের চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম হল
মহারাষ্ট্রের তারাপুর; তারাপুর;
রাজস্থানের রাওয়াতভাট্টা;
গুজরাটের কাকরারা
উত্তরপ্রদেশের নারােরা।
15 ভারতের কোথায় ইউরেনিয়া ও থােরিয়াম পাওয়া যায়?
উত্তর। ইউরেনিয়াম : ভারতের ঝাড়খণ্ডের সিংভূম জেলার যদুগােড়ায় সবচেয়ে বেশি ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া তুরামডিহি, ভাটিন প্রভৃতি স্থানে ইউরেনিয়াম পাওয়া যায়। (থারিয়াল : থােরিয়াম উৎপাদনে ভারত বিশ্বে প্রথম। কেরল ও তামিলনাড়ুর সমুদ্র সৈকতের মােনাজাইট বালির মধ্যে থােরিয়াম পাওয়া যায়। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যে থােরিয়াম সতি আছে।
4.
ভারতের সম্পদ 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায় 3 নং প্রশ্ন উত্তর
[1] :1.অবরুদ্ধ প্রবহমান সম্পদ কাকে বলে ?
উত্তর অবরুদ্ধ প্রবহমান সম্পদ : যে সম্পদ ক্রমাগত ব্যবহার
করলেও নিঃশেষিত হয় না, তাকে প্রবহমান সম্পদ বলে। যেমন সৌররশ্মি থেকে উৎপন্ন সৌরশক্তি।
কিন্তু, পুনর্ভব সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে অদূর ভবিষ্যতে এই সম্পদ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হতে পারে নতুবা গচ্ছিত বা অপুনর্ভব সম্পদে পরিণত হবে। এ ধরনের রূপান্তরিত প্রবহমান সম্পদকে জিমারম্যান অবরুদ্ধ প্রবহমান সম্পদ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
উদাহরণ : অরণ্যভূমি প্রবহমান বা পুনর্ভব সম্পদ হলেও এর যথেচ্ছ ব্যবহার, বৃক্ষচ্ছেদন বৃদ্ধি পেলে এই সম্পদ ক্রমশ হ্রাস পেয়ে বিলুপ্ত হতে পারে।
2.সম্পদের পুনরাবর্তন কাকে বলে ? অথবা, আবর্তনীয় সঞ্জিত সম্পদ কাকে বলে ?
উভর গচ্ছিত বা অপুনর্ভব সম্পদ-এর পরিমাণ নির্দিষ্ট এবং এটি ক্রমাগত ব্যবহারের ফলে নিঃশেষিত হতে থাকে। যেমন – বক্সাইট, আকরিক লােহা প্রভৃতি। কিন্তু বক্সাইট থেকে উৎপাদিত অ্যালুমিনিয়াম
বা আকরিক লােহা থেকে উৎপাদিত ইস্পাতজাত সামগ্রী একবার ব্যবহারের পর অকেজো হয়ে গেলেও তাকে গলিয়ে অর্থাৎ, পুনরাবর্তন (Recycling) করে নতুন দ্রব্য তৈরি করার পদ্ধতিকে সম্পদের পুনরাবর্তন (Recycling of resources) বলে এবং এইভাবেসতি সম্পদও প্রবহমান সম্পদে পরিণত হবে। একইভাবে অব্যবহার্য ধাতব আবর্জনা (scrap) থেকে সম্পদের পুনরাবর্তন প্রক্রিয়ায় সিসা, তামা, নিকেল প্রভৃতি ধাতু নিষ্কাশন করে তা দিয়ে নতুন ধাতব দ্রব্য তৈরি করা যাবে। এইভাবে সৃষ্ট গচ্ছিত বা সণ্ডিত
সম্পদ, আবর্তনীয় সম্পদে পরিণত হলে, তাকে আবর্তনীয় সতি সম্পদ বলে সম্পদ শাস্ত্রকার জিমারম্যান বর্ণনা করেছেন
3.সম্পদ সংরক্ষণ (Conservation of Resources) কাকে বলে ? *
মানব সমাজের কল্যাণের জন্য সম্পদকে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে হলে সম্পদ সংরক্ষণ করা দরকার।
সম্পদ সংরক্ষাণৰ উদ্দশ্য :
সম্পদকে দীর্ঘদিন ধরেnব্যবহার করার উদ্দেশ্যে সম্পদের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করে তাকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা;
ভবিষ্যতে মানুষের সুবিধার জন্যে বর্তমানে ত্যাগ স্বীকার করা। এর ফলে বহু সংখ্যক মানুষের চাহিদা
মেটানাে সম্ভব হবে;
সম্পদের স্থায়িত্ব বাড়ানাের উদ্দেশ্যে অপচয় নিবারণ করে সম্পদ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা; ও সম্পদের
উৎপাদন এবং অতি ব্যবহার কমিয়ে তাকে সংরক্ষণ করা;
ANS
[2] :
কয়লার বিভিন্ন উপজাত দ্রব্যগুলির নাম লেখাে এবং তাদের ব্যবহার উল্লেখ করাে। *
উওর ;-বিভিন্ন উপজাত দ্রব্য ও তাদের ব্যবহার নিম্নে দেখানাে হল।
উপজাত দ্রব্য ব্যবহার
i.ন্যাপথলিন।কীটনাশক দ্রব্য এবং বার্নিশ তৈরির কাচামাল টেট্রালিন উৎপাদন করা হয়।
ii.বেনজিন ডিডিটি, গ্যামাকশিন প্রভৃতি কীটনাশক দ্রব্য, জ্বালানি তেল উৎপাদন করা হয়।
iii.রং উৎপাদন ও রাবার ভালকানাইজ করার কাজে লাগে।
iv.ফেনল ক্রিসােল , ঔষধ ও অ্যান্টিসেপটিক সামগ্রী উৎপাদন করা হয়।
v.টোলুয়েন বিস্ফোরক দ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
vi,প্যারাজাইলিন কৃত্রিম তন্তু উৎপাদন করা যায়।
vii.অ্যানথ্রাসিন রং উৎপাদনের কাজে লাগে।
viii.পিচ রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
ixআলকাতরা রং করতে কাজে লাগে।
7.জীবাশ্ম জ্বালানি (Fossil Fuel) কাকে বলে? এটি কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর জীবাশ্ম জ্বালানি : বহুবছর আগে প্রবল ভূ-আলােড়নের ফলে উদ্ভিদ ও জীবজন্তু মাটির নীচে চাপা পড়ে ভূগর্ভস্থ তাপ ও চাপের ফলে জীবাশ্মে পরিণত হয়। ওই জীবাশ্ম থেকে উদ্ভূত জ্বালানিকে জীবাশ্ম জ্বালানি বলে।
উদাহরণ : কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস।
সৃষ্টি প্রক্রিয়া : কার্বোনিফেরাস যুগে ভূ-আলােড়নে পৃথিবীর বনভূমি মাটির নীচে চাপা পড়ে যায়। ভূগর্ভের তাপ ও চাপের ফলে ওই চাপা পড়া গাছপালায় সঞ্চিত কার্বন বহু বছর ধরে রাসায়নিক
বিক্রিয়া ঘটিয়ে কয়লায় রূপান্তরিত হয়। আবার, জৈব ও অজৈব পদ্ধতিতে (যেখানে জলের উপস্থিতি ছিল) বিয়ােজন ও রাসায়নিক বিবর্তনের মাধ্যমে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সৃষ্টি হয়েছে।
খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্যগুলি কী কী ? অথবা, খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্যগুলির নাম লেখাে এবং এগুলি কী কাজে ব্যবহৃত হয় তা আলােচনা করাে। [ME 88]
উত্তর খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্যগুলি হল
॥ পিচ বা অ্যাসফল্ট; @ ভেসলিন; ন্যাপথা; প্যারাফিন;v) মােম; @ মিথেন; @ কার্বন ব্ল্যাক; ® ইথিলিন;
প্রােপাইলিন; Dে প্রােপেইন; ॥ বিটুমেন।
খনিজ তেলের বিভিন্ন উপজাত দ্রব্যগুলি মানুষ বিভিন্ন কাজে লাগায়। যেমন
i. প্যারাফিন মােম থেকে সৃষ্ট প্যারাফিন মােমবাতি তৈরি ও পালিশের কাজে ব্যবহৃত হয়;
ii. অ্যাসফল্ট অ্যাসফল্ট রাস্তাঘাট তৈরির ক্ষেত্রে প্রয়ােজন;
iii.বিটুমেন - বিটুমেন থেকে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি দ্রব্য,ভেসলিন, ক্রিম, কীটনাশক ঔষুধ, প্লাস্টিক, ফোম, পলিমার, রাসায়নিক সার, কৃত্রিম তন্তু, ডিটারজেন্ট, সাবান, রং, কৃত্রিম রবার,
পি ভি সি ইত্যাদি বিভিন্ন দ্রব্য তৈরি হয়।
পুল পাললিক শিলাস্তরে উধ্বর্ভাজের উপরিস্তরে খনিজ তেল থাকে আর নিম্নস্তরে জলকাদাযুক্ত পলির মিশ্রণ থাকে। ঊর্ধ্বাংশে যেখানে খনিজ তেলের অবস্থান থাকে সেই স্থানকে পুল বলা হয়।
1.বােম্বে হাই / মুম্বাই দরিয়া কী?
উত্তর ভারতের বৃহত্তম তৈলক্ষেত্র ও সর্বাধিক খনিজ তেল উত্তোলক অঞ্চল হল বােম্বে হাই।
অবস্থান : মুম্বাই উপকূল থেকে 176 কিমি দূরে আরব সাগরের মহীসােপান অঞ্চলে এই তৈলক্ষেত্রটি অবস্থিত।
আবিষ্কার : 1974 খ্রিস্টাব্দে ONGC-এর প্রচেষ্টায় এই খনিজ তেলের ভাণ্ডার আবিষ্কৃত হয়।
আয়তন : এই তৈলক্ষেত্রটি প্রায় 2000 বর্গ কিমি অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত।
উত্তোলন : সাগর সম্রাট’ ও ‘সাগর বিকাশ’ নামে দুটি প্লাটফর্ম বা রেগের সাহায্যে এখানে খনিজ তেল উত্তোলন করা হয়। ভারতের উত্তোলিত খনিজ তেলের ১% অংশ এখান থেকে পাওয়া যায়।
কৃপ : বর্তমানে এখানে 551 টি তেলের কূপ ও 33টি প্রাকৃতিক গ্যাসের কূপ খনন করা হয়েছে।
সঞয় : এই তৈলক্ষেত্রে খনিজ তেলের আনুমানিক সয় প্রায় 12.5 কোটি টন।
প্রধান তৈল খনি : বােম্বে হাই, দমনদরিয়া, হিরা, পান্না,রত্না, নিলম প্রভৃতি।
2. OPEC *
উত্তর সংজ্ঞা : OPEC বা ওপেক হল খনিজ তেলের বাণিজ্য (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) সংক্রান্ত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা যা সদস্য রাষ্ট্রগুলির বিশ্বব্যাপী খনিজ তেলের উৎপাদন, দাম এবং রপ্তানিকে নিয়ন্ত্রণ করে।
OPEC কথাটির পুরো নাম হল Organisation of Petroleum Exporting Countrie6।
1960 সালে সেপ্টেম্বর মাসে ‘ওপেক' নামক সংস্থাটি গঠিত হয়। 1991 সাল পর্যন্ত 13টি
খনিজ তেল উত্তোলনকারী রাষ্ট্র এই সংস্থার সদস্য ছিল। 2007 সালে আফ্রিকার অ্যাঙ্গোলা 14তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। OPEC-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলি হলসৌদি আরব,© U.A.E. (United Arab Emirates আমিরশাহী, ® ইরান, 0 কুয়েত, ও কাতার, ৫ নাইজিরিয়া, @ আলজিরিয়া, ® লিবিয়া, ৩ ইরাক, এ0 ভেনেজুয়েলা, ০ অ্যাঙ্গোলা, ® ইকুয়েডর, ® গ্যাবন, ® ইন্দোনেশিয়া। 1992 সালে ইকুয়েডর, 1994 সালে গ্যাবন, 2009 সালে ইন্দোনেশিয়া ‘ওপেক থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়। বর্তমানে সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা 11টি। এই সংস্থার সদর দপ্তর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ‘ভিয়েনা’-তে অবস্থিত।
[3] অপ্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি উল্লেখ করাে।
উত্তর অপ্রচলিড বা চিরাচরিত শক্তির উৎসুশক্তি উৎপাদনের যেসব উৎসগুলি বহুকাল ধরে প্রচলিত নয় এবং বর্তমানে অল্প পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, তবে ভবিষ্যতে বহুল পরিমাণে ব্যবহারের সম্ভাবনা আছে, তাদের অপ্রচলিত বা অচিরাচরিত শক্তির উৎস বলে) > উদাহরণ : সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, ভূতাপ শক্তি, জোয়ার-ভুট্টা শক্তি, জৈবগ্যাস শক্তি প্রভৃতি।
অপ্রচলিত শক্তির সুবিধাসমূহ :
i.অফুরন্ত উৎস । পৃথিবীতে অপ্রচলিত শক্তি সম্পদগুলি (জল, বায়ু, মৃত্তিকা প্রভৃতি) অবাধ হওয়ায় এগুলি ফুরিয়ে যাওয়ার। সম্ভাবনা থাকে না।
ii. স্বল্প ব্যয় : অপ্রচলিত শক্তি সম্পদগুলি যেমন ক্রয় করতে হয়। তেমন এর উৎপাদন ব্যয়ও যথেষ্ট কম।
iii,পরিবেশমিত্রতা ; পৃথিবীর অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন ও ব্যবহারে পরিবেশের কোনাে ক্ষতি হয় না, কারণ এগুলি পরিবেশবান্ধব।
iv.সর্বত্র প্রাপ্ত : অপ্রচলিত শক্তিগুলির উৎস পৃথিবীর প্রায় সমস্ত স্থানেই পাওয়া যায়।
v,ঝুঁকিহীন : অপ্রচলিত শক্তি সম্পদ উৎপাদনে ঝুঁকির সম্ভাবনা অনেক কম।
vi.ভবিষ্যতের বিকল্প শক্তি : পৃথিবীতে প্রচলিত শক্তি সম্পদের প্রায় সবটাই একসময় শেষ হয়ে যাবে, তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নিকট এটি হল একমাত্র বিকল্প শক্তি।
অপ্রচলিত শক্সির অসুবিধাসমূহ :
০ অত্যধিক প্রাথমিক ব্যয় : অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ব্যয় যথেষ্ট বেশি।
উন্নত প্রযুক্তির অভাব : অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদনের জন্য যে উন্নত প্রযুক্তির প্রয়ােজন সমস্ত দেশে তা পাওয়া যায় না।
স্থানান্তরযােগ্য নয় : অপ্রচলিত শক্তিগুলি পৃথিবীর সর্বত্র সমান মাত্রায় পাওয়া যায় না, কিন্তু একে স্থানান্তর করা যায় না।
স্বল্প উৎপাদনক্ষমতা : অপ্রচলিত শক্তি সম্পদের উৎপাদন মত প্রচলিত শক্তির তুলনায় অনেক কম।
2.প্রচলিত শক্তির সুবিধা ও অসুবিধা উল্লেখ করাে। * *
উত্তর প্রচলিত বা চিরাচবিড গ্রিন উৎস : শক্তি উৎপাদনের যেসব উৎসগুলি মানুষ বহুকাল ধরে ব্যবহার করে আসছে এবং বর্তমানেও যেগুলির ব্যবহার খুব বেশি, সেগুলিকে প্রচলিত বা
চিরাচরিত শক্তির উৎস বলে।
উদাহরণ : কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, খরস্রোতা নদী, ইউরেনিয়াম, থােরিয়াম প্রভৃতি।
প্রচলিত শক্তির সুবিধাসমূহ :
i.সর্বাধিক জনপ্রিয়তা : পৃথিবীতে প্রচলিত শক্তিগুলি (তাপবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ) যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে, তাই এই শক্তি সকলের কাছে খুবই জনপ্রিয়।
ii.স্বল্প প্রাথমিক উৎপাদন ব্যয় : প্রচলিত শক্তি উৎপাদন করার জন্য প্রাথমিক ব্যয় অনেক কম।
iii.থানান্তরযােগ্য : প্রচলিত শক্তি সম্পদ সংগ্রহ করে পৃথিবীর যে-কোনাে স্থানেই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা যায়।
iv.অধিক উৎপাদন ক্ষমতা : বেশিরভাগ অপ্রচলিত শক্তির তুলনায় প্রচলিত শক্তির উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি।
প্রচলিত শক্তির অসুবিধাসমূহ :
i.অধিক উৎপাদন ব্যয় : বেশিরভাগ প্রচলিত শক্তিসম্পদ উৎপাদনে অনেক অর্থ ব্যয় হয়।
ii.অধিক ব্যবহারযােগ্য মাশুল : প্রচলিত শক্তি ব্যবহারের মাশুল অন্যান্য অপ্রচলিত শক্তির চেয়ে অনেক বেশি।
iii.অসম বণ্টন : পৃথিবীতে প্রচলিত শক্তি সম্পদের (কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি) ভৌগােলিক বণ্টন দেশভিত্তিক বিভিন্ন রকমের হয়।
iv.দূষণের সম্ভাবনা : দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত শক্তি উৎপাদন করলে ব্যাপক পরিবেশ দূষণ ঘটে।
v.হস প্রাপ্তি : কালা, খনিজ তেল, স্বাভাবিক গ্যাস প্রভৃতি প্রচলিত শক্তির সঞ্চয় যেহেতু সীমিত, তাই ক্রমাগত ব্যবহারের মাধ্যমে এক সময় ফুরিয়ে যাবে।
11 পারমাণবিক শক্তির সুবিধা ও অসুবিধাগুলি লেখাে।
উত্তর।
পারমাণবিক শস্তির সুবিধাগুলি হল :
কম কাচামালে অধিক বিদ্যুৎ : কম পরিমাণে তেজস্ক্রিয়nকাচামাল ব্যবহার করে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। যেমন, মাত্র এক পাউন্ড ইউরেনিয়াম থেকে 12,000 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া।
যায়। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রায় 6000 টন কয়লার দরকার হয়।
কম খরচ : এই বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে কাঁচামালের পরিবহণ খরচ কম। শ্রমশক্তির ব্যবহার কম এবং কম কাঁচামালে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ায় উৎপাদন ব্যয়ও কম। ফলে এই বিদ্যুৎ অত্যন্ত
সস্তা।
অধিক ব্যাবহারিক গুরুত্ব : গৃহস্থালি থেকে শুরু করে সাবমেরিন, কৃত্রিম উপগ্রহ প্রভৃতি ক্ষেত্রে এই শক্তির ব্যাবহারিক গুরুত্ব অনেক বেশি।
অন্যান্য সুবিধা : (i) এই শক্তিকেন্দ্র স্থাপনে জমি কম লাগে; (ii) ছাইজনিত দূষণ কম হয়; (iii) জীবাশ্ম জ্বালানির সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়।
> পারমাণবিক শণ্ডির অসুবিধাগুলি হল :
কাচামালের সমস্যা : পারমাণবিক শক্তির কাঁচামালগুলি সর্বত্র পাওয়া যায় না।
অধিক প্রাথমিক ব্যয় : এই শক্তিকেন্দ্র স্থাপনে ও যন্ত্রপাতি কিনতে প্রাথমিকভাবে প্রচুর মূলধন বিনিয়ােগ প্রয়ােজন।
তেজস্ক্রিয় দূষণ : এই শক্তিকেন্দ্র থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য জীবজগতের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর। এই বর্জ্য সংরক্ষণও অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা : পারমাণবিক শক্তি দিয়ে তৈরি পারমাণবিক বােমা মুহূর্তের মধ্যে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।
রাখাে : ভারতের বেশিরভাগ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি Nuclear Power Corporation of India Limited | NPCIL 751 পরিচালিত হয়।
6 সৌরশক্তির ব্যবহারগুলি লেখো।
উত্তর ভারতে সৌরশক্তি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যথা --
সৌর হিটার : সৌর হিটার যন্ত্রের মাধ্যমে শীতকালে এবং শীতপ্রধান অঞ্চলে কম খরচে ঘর গরম করা হয়। হাসপাতাল, কলকারখানা, বাড়িতে জল গরম করা হয়।
সৌর ড্রায়ার : সৌর ড্রায়ার (Solar Dryer)-এর মাধ্যমে উৎপন্ন গরম বাতাসের সাহায্যে শস্যের আর্দ্রতা অপসারণ করে শস্য সংরক্ষণ, কাঠ শুকনাে, মাছ শূদ্ধকরণ, লবণ উৎপাদন করা হয়।
সৌর কুকার : সৌর কুকারের সাহায্যে সৌরতাপকে ধরে তার তীব্রতা বাড়িয়ে রান্না করা হয়।
সৌর ডিসটিলেটর : সৌর ডিসটিলেটরের সাহায্যে অপরিশােধিত জলকে বিশুদ্ধ জলে পরিণত করা হয় এবং সমুদ্র দুলকে লবণমুক্ত করা হয়।
সৌরপুকুর : সৌর পুকুরের সাহায্যে জল গরম করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
সৌরকোশ : সৌরকোশের মাধ্যমে সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে তা আলাে জ্বালাতে, পাখা, টিভি, পাম্প, রেফ্রিজারেটার চালাতে, রান্না ব্রতে ব্যবহার করা হয়।
বায়ুশক্তি ব্যবহারের সুবিধা, অসুবিধাগুলি আলােচনা
করা। *
বায়ুশক্তি ব্যবহারের সুবিধা
i.অফুরন্ত সম্পদ : এটি প্রবহমান অফুরন্ত সম্পদ, নিঃশেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই কম উৎপাদন ব্যয় কাঁচামাল কয়জনিত ব্যয় নেই বলে এই শক্তির উৎপাদন ব্যয় খুবই কম।
ii.পরিবেশ বন্ধু : এই বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনাে ধোঁয়া, ধুলাে, বিষাক্ত গ্যাস বের হয় না, ফলে পরিবেশ দূষিত হয় না।
iii.সহজ প্রযুক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।
iv.পর্যাপ্ত বায়ুপ্রবাহ থাকলে দিনে ও রাতে সবসময় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্রা সম্ভব।
v.খুব অল্প সময়ে সহজে স্থাপন করা যায়।
বায়ুশক্তি ব্যবহারের অসুবিধা :
সর্বত্র প্রকল্প গড়ে তােলা যায় না : সারা বছর সর্বত্র বায়ুপ্রবাহ থাকে না বলে সমুদ্র তীরবর্তী বা ফাঁকা জায়গা (মরুভূমি,পার্বত্য অঙুল) ছাড়া প্রকল্প গড়ে তােলা অসুবিধাজনক।
সঞ্চয় হয় না : এই শক্তি ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করে রাখা
© শব্দদূষণ : যন্ত্র চলার সময় কম্পন তরঙ্গের ফলে শব্দদূষণ ঘটে
উৎপাদনে ব্যাঘাত : বাতাসের এলােমেলাে দিক ও গতি পরিবর্তন হলে উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটে।সপ্তম ধ্যায় ভারতের সম্পদ বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর
[1] সম্পদ সংরক্ষণ বলতে কী বােঝো? সম্পদ সংরক্ষণের পদ্ধতিগুলি আলােচনা করাে। * * *
সম্পদ সংরক্ষণ : অধ্যাপক জিমারম্যানের মতে, আগামী প্রজন্মের জন্য বর্তমান প্রজন্মের ভােগের নিয়ন্ত্রণকে সংরক্ষণ বলে।এই অনুসারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা পূরণ ও দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের ।
উদ্দেশ্যে সম্পদকে মিতব্যয়ীভাবে, যথােপযুক্তভাবে ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ব্যবহার করাকে সম্পদ সংরক্ষণ বলে।
সম্পদ সংরক্ষণ পদ্ধতি (Various methods of Resource Conservation) : আধুনিক যুগে নানা রকম বিচার-বিশ্লেষণ এবং পরীক্ষানিরীক্ষার পর সম্পদ সংরক্ষণের নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলি আবিষ্কৃত হয়েছে। যথা এ সম্পদের অতিব্যবহার কমানাে ; সম্পদকে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করতে হলে সম্পদের অতিব্যবহার কমানাে দরকার। ইউরােপ ও আমেরিকার মতাে উন্নত দেশগুলিতে মাথাপিছু ধাতব ও
শক্তিসম্পদের ব্যবহার খুব বেশি। এই ব্যবহারের পরিমাণ যথােপযুক্ত হলে সঞ্জিত সম্পদ আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
দ্রব্যের রূপান্তর ঘটিয়ে ব্যবহার : কোনাে কোনাে দ্রব্যকে সরাসরি ব্যবহার না করে রূপান্তর ঘটিয়ে তাদের ব্যবহার করলে কম জিনিস থেকে বেশি কাজ পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,
কয়লা অথবা খনিজ তৈল সরাসরি ব্যবহার করলে যেখানে বেশি খরচ হয় সেখানে বিদ্যুৎ তৈরি করে ব্যবহার করলে খরচ অনেক কম। হয়। ফলে সম্পদের সাশ্রয় হয়ে থাকে।
অপচয় বন্ধ করা : সম্পদ আহরণের সময় একটা বড়াে অংশ প্রথমেই নষ্ট হয়ে যায়। অরণ্য থেকে কাষ্ঠ আহরণের সময় একটা বড় অংশ বনে পড়ে থাকে এবং পরিবহণের সময় নষ্ট হয়। এ ছাড়া, লৌহ আকরিক, কয়লা ইত্যাদি খনিজ সম্পদ উত্তোলনের সময় তাদের বেশ কিছু অংশ ধুলােয় পরিণত হয়ে নষ্ট হয়। এভাবে সম্পদ যাতে নষ্ট না হয় তার দিকে লক্ষ রাখা উচিত
উৎপাদন এবং ভােগের মধ্যে সমতা ; সম্পদের উৎপাদন এবং ভােগের মধ্যে সমতা রক্ষা করা দরকার। যে-কোনাে সম্পদের ক্ষেত্রে উৎপাদন এবং ভােগের মধ্যে সমতা না থাকলে ক্রমশ ওই
সম্পদ নিঃশেষিত হবে। পৃথিবীর কোনাে কোনাে অঞ্চলে কাষ্ঠের উৎপাদন এবং ভােগের মধ্যে সমতা না থাকার দরুন বহু বনভূমি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।
জৈব সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি : জৈব সম্পদ অর্থাৎ, স্বাভাবিক উদ্ভিদ এবং প্রাণীকুলের মােট উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। অরণ্য সৃষ্টি করে, কৃষি ব্যবস্থা ও পশুপালনের প্রসার ঘটিয়ে এবং সামুদ্রিক জৈব সম্পদের উৎপাদন বাড়িয়ে সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়।
খনিজ দ্রব্যের পুনর্ব্যবহার : এমন অনেক খনিজ দ্রব্য আছে যাদের বারবার ব্যবহার করা যায়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, লৌহ-ইস্পাত, তাম্র, সিসা, দস্তা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি ধাতব পদার্থগুলি একবার ব্যবহার করার পর অব্যবহার্য হয়ে পড়লে তাদের গলিয়ে নিয়ে পুনরায় ব্যবহার করা যায়। তবে এক্ষেত্রে প্রযুক্তিবিদ্যা উন্নত হওয়া প্রয়ােজন।
পুনর্ভব সম্পদের সময়ভিত্তিক এবং পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার :পুনর্ভব সম্পদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে সময়ভিত্তিক পরিকল্পনা খুবই দরকার। বনভূমি থেকে কাষ্ঠ সংগ্রহ এবং সমুদ্র থেকে মৎস্য
শিকারের সময় লক্ষ রাখা উচিত যাতে অল্প সময়ের মধ্যে বেশি কাঠ কাটা এবং মাছ ধরা না হয়। তা না হলে ভবিষ্যতে উৎপাদন ব্যাহত হবে।
অপুনর্ভব বা ক্ষয়িষ্ণু সম্পদগুলির বিকল্প ব্যবহার : কয়লা, আকরিক লৌহ, খনিজ তৈল ইত্যাদি অপুনর্ভব বা ক্ষয়িষ্ণু সম্পদের বিকল্প সম্পদগুলিকে ব্যবহার করা উচিত। কয়লার বদলে কাঠকয়লা
এবং খনিজ তৈলের বদলে জলবিদ্যুৎ ব্যবহার করা দরকার। ফলে ওই সব সম্পদের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাবে এবং সংরক্ষণ করা সহজ হবে।
সম্পদের কার্যকরী ক্ষমতাকে পরিপূর্ণরূপে ব্যবহার : সম্পদের কার্যকরী ক্ষমতাকে পরিপূর্ণরূপে ব্যবহার করা দরকার। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মৃত্তিকার উর্বরা শক্তিকে পরিপূর্ণরূপে
কাজে লাগানাের জন্যে শস্যাবর্তন কৃষিপদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়ােজন। এর ফলে সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং সহজেই তা সংরক্ষণ করা যায়।
সম্পদ সংরক্ষণের চেতনা সৃষ্টি : সবশেষে বলা যায়,সম্পদ সংরক্ষণের চেতনা সৃষ্টিই হল সম্পদ সংরক্ষণের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। সেই কারণে সর্বপ্রথম সম্পদ সংরক্ষণের জন্যে সামাজিক চেতনা সৃষ্টি করা প্রয়ােজন। ইউরােপ এবং আমেরিকার মতাে শিল্পোন্নত দেশগুলি আবর্জনার সঙ্গে প্রচুর ধাতব পদার্থ ফেলে দেয়। ফলে ওইসব ধাতব পদার্থ চিরতরে নষ্ট হয়। সুতরাং, যাতে কোনাে রকম ধাতব পদার্থ আবর্জনার সঙ্গে ফেলে না দেওয়া হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখা দরকার।বর্তমানে সম্পদ সংরক্ষণের চেতনা সৃষ্টির ফলে সম্পদের অপব্যবহার বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া, সম্পদ সংরক্ষণের
জন্যে নানারকম বৈজ্ঞানিক কার্যকলাপ ও উন্নত প্রযুক্তিবিদ্যার উদ্ভব হয়েছে। যেমন- পেট্রোল খরচ কমানাের জন্যে বর্তমানে অধিক শক্তিশালী ইঞ্জিনবিশিষ্ট গাড়ি তৈরি হয়েছে। এতে কম জ্বালানি খরচ
করে অধিক পথ অতিক্রম করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে পেট্রোলের খরচ কমার দরুন তার স্থায়িত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ANs
[2] :1.আকরিক লােহার গুরুত্ব ও ব্যবহার লেখে।
উত্তর। আকরিক লােহার গুনুধ : আকরিক লােহা ক্ষয়িষ্ণু, অপুনর্ভব ধাতব খনিজ পদার্থ। এই খনিজ সম্পদ থেকে প্রস্তুত লােহা ও ইস্পাত আধুনিক সভ্যতার ধারক ও বাহক। ছােট্ট উঁচ থেকে শুরু করে ভারী ও বৃহৎ শিল্পে বিভিন্ন ক্ষেত্রে লােহার ব্যবহার অপরিসীম। তাই, সকল শিল্পের মূল বা মেরুদণ্ড হল লােহা। মানুষের জীবনধারণের প্রতিটিnমুহর্তে লােহার ব্যবহার অপরিহার্য। এই কারণে আধুনিক যুগকে ‘লৌহযুগ’ বা আধুনিক সভ্যতাকে ‘লােহা নির্ভর সভ্যতা' বলা হয়।
আকরিক লােহার ব্যবহার : আকরিক লােহার ব্যবহার মূলত কম, কিন্তু আকরিক লােহা থেকে তৈরি লােহা ও ইস্পাতের ব্যবহার বহুবিধ। যেমন
পিগ আয়রন বা লােহাপিণ্ড তৈরিতে ; খনি থেকে তােলা আকরিক লােহায় যে অপ্রয়ােজনীয় পদার্থ মিশে থাকে তা বাদ। দেওয়ার জন্য এর সঙ্গে চুনাপাথর ও ডলােমাইট মিশিয়ে বাতচুল্লিতে
গলানাে হয় এবং পরিসুত গলিত তরল লােহা ছাঁচে ফেলে পিগ আয়রন প্রস্তুত করা হয়।
কাচামাল রূপে : আকরিক লােহা কাঁচামাল রূপে লৌহ-ইস্পাত শিল্পে এবং রং প্রস্তুতে ব্যবহার করা হয়। পিগ আয়রনের সঙ্গে ম্যাঙ্গানিজ, নিকেল, ক্রোমিয়াম প্রভৃতি মিশিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইস্পাত তৈরি করা হয়।
লৌহ-ইস্পাতের ব্যবহার : (i) গৃহ নির্মাণে - রড, গ্রিল,বিম প্রভৃতি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়; (ii) গৃহস্থলিতে বাসনপত্র, আসবাবপত্র, ছুরি, কাঁচি, উঁচ প্রভৃতি তৈরি হয়; (iii) ভারী যন্ত্রপাতি নির্মাণে - বয়লার, গিয়ার, স্টিম টারবাইন, রেডিয়েটর প্রভৃতি তৈরিতে ব্যবহূত হয়; (iv) পরিবহণে – জাহাজ, রেলপথ, রেল ইঞ্জিন,রেলগাড়ি, সেতু, রিকশা, সাইকেল, বিভিন্ন মােটরগাড়ি,বাস, লরি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়; (v) কৃষি যন্ত্রপাতি – লাঙল, ট্রাক্টর, কোদাল, কাস্তে, হারভেস্টার প্রভৃতি তৈরিতে লােহা ব্যবহৃত হয়; (vi) সমরাস্ত্র – বন্দুক, গুলি, ট্যাঙ্ক, মেশিনগান, বেয়নেট, মিশাইল প্রভৃতি তৈরি হয়; (vii) শিল্পক্ষেত্রে – ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নানা যন্ত্রপাতি, করাত, হাতুড়ি, বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ, কর্নিক, বাটালি, নাট, বন্টু প্রভৃতি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়; (viii) চিকিৎসা ব্যবস্থায় শল্য চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জুাম প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়।
স্পঞ্জ আয়রন উৎপাদনে : বিগালকের সাহায্যে ছাঁট লােহার অপদ্রব্য দূর করে স্পঞ্জ আয়রন তৈরি করা হয়, যা ক্ষুদ্র ইস্পাত শিল্পের কাঁচামাল রূপে ব্যবহৃত হয় উত্তোলক অঞ্চল রাজ্য
[3] :কয়লার গুরুত্ব ও ব্যবহার লেখাে।
উত্তর।
কয়লার গুরুত্ব : কয়লা হল একপ্রকার ক্ষয়িষ্ণু, ওজন হাসকারী অপুনর্ভৰ প্ৰকৃতি জ্বালানি। খনিজ সম্পদ । কয়লা পুড়িয়ে সর্বাধিক তাপশক্তি পাওয়া যায় বলে পৃথিবীর যাবতীয় শক্তি সম্পদের মধ্যে কালার গুরুত্ব সর্বাধিক। এছাড়া, আধুনিক শিল্পক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাচামাল হিসেবে কয়লার বিশেষ গুরুত্ব আছে। কিছুকাল আগে পর্যন্ত পরিবহণ ও শিল্প ছিল সম্পূর্ণভাবে কয়লানির্ভর। তাই কালাকে ‘শিল্প সভ্যতার ভিত' বলা হয়।
কয়লার ব্যবহার : কয়লার ব্যবহার বহুবিধ ও ব্যাপক।
তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে : তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কাচামাল হিসেবে কয়লার ব্যবহার সর্বাধিক। ভারতের উত্তোলিত কয়লার 70 শতাংশের বেশি তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।
ধাতব শিল্পে : কয়লা থেকে উৎপন্ন ‘কোক কয়লা’ -এর সাহায্যে বিভিন্ন লৌহ-ইস্পাত শিল্পে আকরিক লােহা গলিয়ে লৌহপিণ্ড (Pig iron) প্রস্তুত করা হয়।
বাষ্প শক্তি উৎপাদনে : কয়লা পুড়িয়ে যে তাপশক্তি পাওয়া যায় তার সাহায্যে জলকে বাষ্পে পরিণত করে বাষ্প শক্তি উৎপন্নরা যায়। এই বাষ্পশক্তির সাহায্যে স্টিমইনিযুক্ত জাহাজ,
রেলগাড়ি, স্টিমার, কলকারখানার যন্ত্রপাতি প্রভৃতি চালানাে যায়।
গৃহস্থলিতে : কয়লা গৃহস্থলিতে প্রধানত রান্নার কাজে এবং শীতপ্রধান অঞ্চলে ঘর গরম রাখার জন্য ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কয়লা থেকে তৈরি ‘কোলগ্যাস’ জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত হয়।
উপজাত দ্রব্য প্রস্তুতে : কয়লা থেকে কার্বনাইজেশন প্রক্রিয়ায় কোক উৎপাদনের সময় অ্যামােনিয়া, আলকাতরা, স্যাকারিন, ন্যাপথালিন, পিচ, বেনজল, গন্ধক, ফেনল, কৃত্রিমত,
বেনজিন, টলুইন প্রভৃতি উপজাত দ্রব্য প্রস্তুত হয়।
রাসায়নিক শিল্পে : কয়লার উপজাত দ্রব্যগুলি নানা প্রকার রাসায়নিক শিল্পে ব্যবহৃত হয়। যেমন -
(i) বেনজিন – কীটনাশক তৈরিতে, (ii) ব্যামােনিয়া রাসায়নিক সার তৈরিতে, (ili) বেনজল – ঔষুধ তৈরিতে, (iv) কিয়ােজোর্ট ও ন্যাপথালিন - কীটনাশক, সাবান, অ্যান্টিসেপটিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য : এছাড়া, (1) কয়লা কুটির শিল্পে জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত হয়, (ii) রাস্তা তৈরিতে পিচ ব্যবহৃত হয়, (ii) সিমেন্ট শিল্পে কাচামালরূপে কয়লা ব্যবহৃত হয়।পরিশেষে বলা যায়, আধুনিক যন্ত্র সভ্যতার যুগে কয়লার এই সমস্ত নানাবিধ ব্যবহার ও উপযােগিতার জন্যই কয়লাকে কালাে হিরে' (Black Diamond) বলা হয়।
2.ভারতের গন্ডােয়ানা যুগের কয়লার আঞ্চলিক বণ্টন বর্ণনা করাে
উত্তর ভারতের মােট কয়লা সম্পদের প্রায় ৪৪% হল গন্ডোয়ানা যুগের। প্রায় 250 মিলিয়ন বছর আগে ভূগর্ভে এই কয়লার স্তর গড়ে ওঠে।ইলাের বেশির ভাগই বিটুমিনাস প্রকৃতির এবং এর তাপ উৎপাদন ক্ষমতা যথেষ্ট বেশি। ভারতের বেশ কিছু নদী অববাহিকায় গড়েছেন যুগের কয়লা পাওয়া যায়। এদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল –
দামােদর অববাহিকা : এখানকার অন্যতম কয়লাক্ষেত্রগুলি হল – (i) ঝাড়খণ্ডেরঝরিয়া, বােকারাে, গিরিডি,উত্তর ও দক্ষিণনপুর, ব্রানগড়, ডালটনগঞ্জ, হঁতকুরি প্রভৃতি। (ii) পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ, আসানসােল, জামুরিয়া, অন্ডাল, মেজিয়া, কাপাসডাঙা প্রভৃতি।
শােন অববাহিকা : এই অববাহিকায় অবস্থিত উল্লেখযােগ্য কয়লাক্ষেত্রগুলি হল – (i) ছত্তিশগড়ের চিরিমিরি, তাতাপানি, ঝিলিমিলি,রানকোল, হাসদেও, শেনহাট প্রভৃতি। (ii) মধ্যপ্রদেশের উনারিয়া, সােহাগপুর, সােনাদা, শাহপুর প্রভৃতি।
মহানদী অববাহিকা : (1) ওড়িশার তালাচের, রামপুর,হিঙ্গার এবং (11) ছত্তিশগড়ের কোর প্রভৃতি এই অববাহিকার অন্যতম কয়লাক্ষেত্র।
গোদাবরী অববাহিকা : এই অববাহিকার উল্লেখযােগ্য কয়লাক্ষেত্রগুলি হল – অন্ত্রপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্গও, ভেকটপুর, তার, রানাগান, সিঙ্গারেনি, ইয়েলা, কামরাম প্রভৃতি।
ওয়ার্ধা অববাহিকা : মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর, বল্লারপুর, রাজুরা, নাগপুর, ওয়ানি প্রভৃতি এই অববাহিকার প্রধান কয়লাক্ষেত্র।
অন্যান্য অঞ্চল : এছাড়া ভারতের অন্যান্য কয়লাক্ষেত্রগুলি হল – (i) নর্মদা উপত্যকার ক্যম্পতি ও উমরের; (ii) সিকিমের রংগতি উপত্যকা অঞ্চল; (iii) পশ্চিমবঙ্গের বক্সাদুয়ার; (iv) গুজরাটের ঘুনেরি; (v) উত্তর প্রদেশের মির্জাপুর প্রভৃতি।
3.ভারতের প্রধান 5টি রাজ্যের কয়লার বণ্টন লেখাে। * * অথবা, ভারতের কয়লার আঞ্চলিক বণ্টন চিত্রসহ উল্লেখ করে।
কয়লা উত্তোলনে ভারত পৃথিবীতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। 2012-13 সালে ভারতের কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ 5577.07 লক্ষ টুন। ভারতের প্রধান 5টি রাজ্যের কয়লা উত্তোলক অঞ্চলের বণ্টন নিম্নে ছকের মাধ্যমে দেখানাে হল –
রাজ্য।
ছত্তিশগড় (প্রথম স্থানাধিকারী)
উত্তোলক অঞ্চল
i) সরগুজা জেলার ঝিলিমিলি,সােনহাট, খারসিয়া, বিসরামপুর,
লাখনপুর; (ii) সিধি জেলার সিংগ্রাউলি; (iii) বিলাসপুর জেলার কোরবা; (iv) কোরিয়াগড় জেলার চিরিমিরি প্রভৃতি।
রাজ্য।
ঝাড়খণ্ড দ্বিতীয়স্থানাধিকারী)
উত্তোলক অঞ্চল
(i) ধানবাদ জেলার ঝরিয়া( (ভারতের বৃহত্তম), নিরঘা,চিকুণ্ড; (i) বােকারাে জেলার
বােকারাে, চন্দ্রপুরা; (iii) পালামৌ জেলার ডালটনগঞ্জ, ঔরঙ্গা; (iv) হাজারিবাগের গিরিডি, ইটখেরি প্রভৃতি।
রাজ্য।
ত্তড়িশা তৃতীয় স্থানাধিকারী
উত্তোলক অঞ্চল
তালচের, সুন্দরগড়, সম্বলপুর, ঢেংকানল, রামপুর, হিনগির প্রভৃতি।
খনিজ তেলের ব্যবহার ও গুরুত্ব লেখাে।
খনিজ তেল হল গচ্ছিত, অপুনর্ভব এবং ক্ষয়িষ্ণু প্রকৃতির তরল জ্বালানি। আধুনিক শিল্প সভ্যতায় খনিজ তেলের ব্যবহার ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম।
খনিজ তেলের ব্যবহার
পরিবহন ক্ষেত্রে : খনিজ তেলের বিভিন্ন পরিশােধিত সামগ্রী, যেমন - পেট্রোল, ডিজেল, গ্যাসােলিন, হাইস্পিড অয়েল প্রভৃতি বাস, লরি, মােটরগাড়ি, জাহাজ, নৌকা, রেলগাড়ি, বিমান ইত্যাদির প্রধান চালিকাশক্তি।
কৃষিক্ষেত্রে : কৃষিতে ব্যবহৃত ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার, হারভেস্টার, পাম্প, জেনারেটর ইত্যাদি চালাতে পেট্রোল, ডিজেল, কেরােসিন ব্যবহার করা হয়। এছাড়া নাইট্রোজেন সার, কীটনাশক
প্রভৃতি খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্য থেকে তৈরি হয়।
শিল্পক্ষেত্রে : পেট্রোরাসায়নিক শিল্পের মূল কাচামাল হল খনিজ তেল। খনিজ তেল শােধন করে পাওয়া ন্যাপথা, বুটেন, প্রােপেন, বেনজিন, প্যারাফিন, কেরােসিন, স্পিরিট প্রভৃতি উপজাত দ্রব্যগুলিকে কেন্দ্র করে কীটনাশক, কৃত্রিমত, রান্নার গ্যাস, কৃত্রিম রবার, বিস্ফোরক দ্রব্য, নাইলন, রং ইত্যাদি শিল্প গড়ে উঠেছে। এছাড়া অন্যান্য বিভিন্ন শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি ও মেশিনপত্র চালানাের জন্য খনিজ তেল ব্যবহৃত হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে : ডিজেল পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন রাহয়, যেমন – অসমের ডিগবয়। এছাড়া জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ডিজেল, কেরােসিন ব্যবহৃত হয়।
সামরিক ক্ষেত্রে : বিভিন্ন সামরিক যানবাহন যেমন ট্যাংক, কামানবাহী শকট, যুদ্ধ বিমান ইত্যাদি চালাতে এবং যুদ্ধের নানা অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরিতে খনিজ তেল ব্যবহৃত হয়। গৃহস্থালিতে রান্নার স্টোভে, ল্যাম্প, হ্যারিকেনের আলাে জ্বালাতে, শীতপ্রধান দেশে ঘর গরম রাখতে খনিজ তেল ব্যবহৃত
-
পিচ্ছিলকারক পদার্থ তৈরিতে : খনিজ তেল থেকে মবিল, গ্রিজ প্রভৃতি পিচ্ছিলকারক পদার্থ তৈরি করা হয়, যেগুলি বিভিন্ন যন্ত্রপাতিকে ঘর্ষণজনিত ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
অন্যান্য ব্যবহার :এছাড়া খনিজ তেলের উপজাত দ্রব্য পিচ রাস্তা তৈরিতে, প্যারাকিন নােম তৈরিতে, অ্যাসফল্ট জল নিরােধক বস্তু তৈরিতে
খনিজ তেলের গুরুত্ব মানুষ পৃথিবীর বুকে যে-সকল বহুমুখী উদ্দেশ্য সাধনকারী সম্পদ খুঁজে পেয়েছে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ খনিজ তেল। বহুমুখী ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে খনিজ তেলের গুরুত্ব তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ খনিজ তেল নির্ভর শিল্পগুলি জীবিকার মূল উৎস। তাছাড়া কোনাে দেশে খনিজ তেলের সম্ভার ও ব্যবহার ওই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সূচক। মােটকথা শিল্প, সমাজ-সংস্কৃতি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, রাজনীতি, অর্থনীতি ও দৈনন্দিন জীবনের এমন কোনাে দিক নেই যেখানে খনিজ তেল প্রত্যক্ষ বা পরােক্ষভাবে ব্যবহৃত হয় না। তাই খনিজ তেলের অপরিসীম ব্যবহারিক মূল্যের কথা ভেবে একে তরল সােনা’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
[TAG]: ভারতের সম্পদ সপ্তম অধ্যায় pdf download,ভারতের সম্পদ mcq,সপ্তম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ভূগোল,নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায়,নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,