একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রবন্ধ রচনা ।Ekati siksamulaka bhramanera abhijnata prabandha racana

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রবন্ধ রচনা PDF।

ভূমিকা: ভ্রমণ মানে অচেনাকে চেনা, অজানাকে জানা, আর সেই ভ্রমণ যদি হয় বন্ধুদের সঙ্গে সঙ্গে থাকে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের নির্দেশনা ও সাহচর্য—তাহলে তাে কথাই নেই। কিছুদিন আগে এরকমই একটা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার।


যাত্রা শুরু: ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি মুরশিদাবাদ যাওয়ার জন্য লালগােলা এক্সপ্রেস ধরব বলে আমরা সকলে স্টেশনে জড়াে হলাম। আমরা মানে ক্লাস নাইনের তেতাল্লিশ জন ছাত্র, তিন জন স্যার আর ট্যুর

অপারেটরের লােকজন। আমাদের আনন্দ তখন দেখে কে—পাখি যেন উড়তে শিখেছে | মা-বাবাদের মুখগুলাে দেখে খুব কষ্ট হচ্ছিল—যেন ছেলেরা অনেকদিনের জন্য অনেক দূরে চলে যাচ্ছে। ঠিক ১০.৩০ মিনিটে আমাদের ট্রেন চলতে শুরু করল।


অতঃপর মুরশিদাবাদ: আমরা নির্দিষ্ট সময়েই মুরশিদাবাদ পৌঁছােলাম। ২৮ জানুয়ারি সকালে আমরা দেখতে গেলাম হাজারদুয়ারি, মিউজিয়াম প্যালেস | নবাবি আমলের অজস্র জিনিস দেখলাম মুধ হয়ে | এরপর গেলাম ইমামবাড়া আর ঘড়িঘর দেখতে—ঘড়িটা অবশ্য অচল হয়ে আছে| সিরাজ-উদদৌলার নিজের হাতে তৈরি মদিনা এবং কামানও দেখলাম | অদূরে বয়ে যাচ্ছে গঙ্গা, তার তীরে সিরাজের সমাধি। এই গঙ্গা যেন সেই ইতিহাসের একমাত্র সাক্ষী।পরদিন গেলাম কাটরা মসজিদ। এই মসজিদেই রয়েছে নবাব মুরশিদকুলি খাঁর সমাধি। এখান থেকে গেলাম জাহানকোষার তােপখানা দেখতে। সুজিত স্যার আমাদের বললেন, ‘জাহানকোষা' কথাটির অর্থ বিশ্ববিধ্বংসী। সেখান থেকে মতিঝিল | বিশাল অর্ধচন্দ্রাকৃতি ঝিলের পাশে এক অতি প্রাচীন মসজিদ যেন তার রহস্যময়তা নিয়ে আমাদের ডাকে। মুরশিদাবাদ ভ্রমণের শেষ দিনে আমরা গিয়েছিলাম কাঠগােলা বাগান দেখতে। এটি একটি জৈন মন্দির। পুকুর-গাছপালা দিয়ে ঘেরা এই মন্দিরে মাইকেল এঞ্জেলাের একটি মর্যর মূর্তি রয়েছে। এরপর নূরপুরে গেলাম রেশমচাষ দেখতে। মুরশিদাবাদের স্মারক হিসেবে দু-একটা রেশমগুটিও সংগ্রহ করে নিলাম।

:

অন্যকথা: দেখলাম অনেক, জানলাম অনেক না জানা বিষয়। আর তার সঙ্গেই অনুভব করলাম জীবনের এক অচেনা দিক। এতজন বন্ধু একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, থাকা, ঘুরতে যাওয়া, নতুন কিছু দেখার আনন্দ ভাগ করে নেওয়া—এসব সারাজীবনের সঞ্চয় | স্যারেদের সঙো গুরুগম্ভীর সম্পর্কটা যেন অনেক সহজ মনে হতে লাগল| সুজিত স্যারের মজা করা, প্রদীপ স্যারের আবৃত্তি-এভাবে ক্লাসরুমে তাে পাই না স্যারেদের |তাই ফেরার সময় অনিবার্য মন খারাপ। ট্রেনে ওঠার পর থেকে অনেকদিন পর্যন্ত তা ছিল। হয়তাে এই মন খারাপই আরও মধুর করে রাখে মুরশিদাবাদের স্মৃতি।


অনুসরণে দেখা যায়

॥ মুরশিদাবাদ ভ্রমণ


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url