প্রাচীন ভারতের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 11 Education 8th chapter question in bengali pdf
প্রাচীন ভারতের শিক্ষা একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর |একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 11 Education 8th chapter question in bengali pdf
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞানের অষ্টম অধ্যায় প্রাচীন ভারতের শিক্ষা প্রশ্ন উত্তর PDF। class 11 Education eight chapter question Pdf in bengali | WB Class eleven Education question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে | শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রাচীন ভারতের শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class 11 Education important Question in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
‘প্রাচীন ভারতের শিক্ষা’ একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞানের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
প্রাচীন ভারতের শিক্ষা mcq প্রশ্ন
1.
2.
একাদশ শ্রেণি শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর
1প্রাচীন ভারতের শিক্ষাকে ক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কীকী ?*
উত্তর। প্রাচীন ভারতের শিক্ষাকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হল- আদি বৈদিক যুগের শিক্ষা, পরবর্তী বৈদিক বা ব্রাত্মণ্য শিক্ষা, ii) মহাকাব্যের যুগের শিক্ষা, (iv) বৌদ্ধ শিক্ষা।
2 প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার মূলভিত্তি কী ছিল?
উত্তর। প্রাচীন শিক্ষাব্যবস্থার মূলভিত্তি ছিল ধর্ম।
3 প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য লেখাে।*
উত্তর। অমৃতকে জানা ও মােক্ষ বা অমৃতত্বকে অর্জন করাই ছিল প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার মূল কথা।
4.বৈদিক শিক্ষার পাঠক্রম কসের উপর ভিত্তি করে রচিত হত?*
উত্তর। বৈদিক শিক্ষার পাঠক্রম বেদের উপর ভিত্তি করে রচিত হত।
5 মধ্যযুগীয় শিক্ষার পর্বগুলি কী কী?
উত্তর। মধ্যযুগীয় শিক্ষার পর্বগুলি যথাক্রমে-0সুলতানি আমলের শিক্ষা, (i) বাদশাহি আমলের শিক্ষা।
আধুনিক যুগের শিক্ষার পর্বগুলি কী কী ?
উত্তর। আধুনিক যুগের শিক্ষার পর্বগুলি যথাক্রমে ব্রিটিশআমলের শিক্ষা, ) স্বাধীন ভারতের শিক্ষা।
7 ব্রাত্মণ্য শিক্ষাকে কোন শিক্ষার উন্নত রূপ বলা হয়?
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষাকে বৈদিক শিক্ষার উন্নত রূপ বলা হয়।
প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার লক্ষ্যে ক-টি ধারা লক্ষ করা যায় ও কী কী ?*
উত্তর। প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষার লক্ষ্যে দুটি ধারা লক্ষ করা যায়। এগুলি হল—আত্মােপলব্ধি এবং আধ্যাত্মিক বিকাশ।
8.ব্রাত্মণ্য শিক্ষার লক্ষ্য কার মধ্যে নিহিত ছিল ?*
উত্তর। পরম সত্তাকে উপলদ্ধি করা, আত্মজ্ঞান ও আত্মােপলব্বির মধ্যে ব্রাত্মণ্য শিক্ষার লক্ষ্য নিহিত ছিল।
10 প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষায় গুরুকুল কাকে বলা হত?*
উত্তর | প্রাচীন ভারতে ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় গুরু-শিষ্যের মধ্যে মধুর সম্পর্ককে কেন্দ্র করে যে আবাসিক বিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল তাকে বলা হত গুরুকুল।
11 চতুরাশ্রম প্রথা কী ?**(WBCHSE (XI) '15]
উত্তর। বৈদিক আর্যদের জীবনধারা যে চারটি পর্বে বিভক্ত ছিলতাকে চতুরাশ্রম প্রথা বলা হয়। এই চতুরাশ্রমের চারটি পর্বহল-ব্ৰত্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ এবং সন্ন্যাস। তবে পরবর্তী বৈদিক যুগে ও জীবনযাপনের এই চারটি পর্যায়কে বলা হত চতুরাশ্রম।
12চতুরাশ্রমের কোন্ স্তরটিকে ব্রাত্মণ্য যুগে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কাল বলা হত?*
উত্তর | ব্ৰত্মচর্য পর্বকে ব্রাম্মণ্য যুগে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কাল বলা হত।
13ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় শিষ্যের আবশ্যিক কৰ্তব্য ক ছিল?
উত্তর | ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় শিষ্যের কায়িক শ্রম ছিল আবশ্যিক কর্তব্য কায়িম শ্রমগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য হল যজ্ঞাগ্নি সংরক্ষণ, গােচারণ, গুরুসেবা প্রভৃতি।
14.ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় ব্যয় নির্বাহ হত কীভাবে?
উত্তর। ব্রাক্ষ্মণ্য শিক্ষা ছিল অবৈতনিক অর্থাৎ শিষ্যদের থেকে কোনাে ।বেতন নেওয়া হত না। সাধারণত গুরুকুলের ব্যয় নির্বাহ হত। রাজাদের অর্থানুকূল্যে। এই উদ্দেশ্যে রাজা আচার্যদেরকে। কয়েকটি গ্রাম দান করতেন।
15.অগ্রহার কী?
উত্তর। প্রাচীন ভারতে শাসকেরা মন্দির বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে যে নিষ্কর জমি দান করতেন তা অগ্রহার নামে পরিচিত।
16অক্ষর স্বীকরণ বা বিদ্যারম্ভ বলতে কী বােঝাে?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষা শুরু করা উপলক্ষ্যে যে প্রথম অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হত তা বিদ্যারম্ভ বা অক্ষর স্বীকরণ নামেপরিচিত। শিশুর পাঁচ বছর বয়সে এই অনুষ্ঠানটি পালিত হত
17.ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় চূড়াকর্ম বা চৌকর্ম বা চূড়াকরণ বলতে কী বোেঝানাে হত?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যারম্ভের পর শিক্ষার্থীদের যে মস্তকমুণ্ডন করা হত তাকে চূড়াকর্ম বলা হত।
18.উপনয়ন’ কী ?** (WBCHSE Sample Question (XI) '14]
উপনয়নের অর্থ হল ‘শিষ্যকে আচার্য সমীপে আনয়ন’অর্থাৎ শিক্ষালাভের জন্য গুরুর কাছে নিয়ে যাওয়া। বিদ্যারম্ভের পর এই অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হত। ব্রাত্মণদের আট বছর, ক্ষত্রিয়দের এগারাে বছর, বৈশ্যদের বারাে বছর বয়সে উপনয়ন হত।শূদ্রদের উপনয়ন হত না। ব্রাত্মণ্য যুগে কোন্ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে 19.আনুষ্ঠানিক বিদ্যাগ্রহণ(WBCHSE (XI) '15]
উত্তর। ব্রাত্মণ্য যুগে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিদ্যাগ্রহণ শুরু হত।
20.দ্বিজ কাদের বলা হয়?
উত্তর। ব্রাক্ষ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় উপনয়ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী যখন ব্ৰত্মচর্য অর্থাৎ গুরুগৃহে শিক্ষালাভের উপযুক্ত হয়ে উঠত এবং তার নবজন্ম হয়েছে এরূপ মনে করা হত তখন তাকে দ্বিজ বলা হত।
21.উপনয়ন পর্বের শেষভাগের অনুষ্ঠানটির নাম কী ?*
উত্তর। উপনয়ন পর্বের শেষভাগের অনুষ্ঠানটির নাম মেধাজনন অনুষ্ঠান।
22.ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় কোন্ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আধ্যাত্মিক জন্ম হত বলে মনে করা হয়?
উত্তর। ব্রাক্ষ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় উপনয়ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আধ্যাত্মিক জন্ম হত বলে মনে করা হত।
23 ব্ৰত্মচর্য ও উপনয়নের উল্লেখ আছে কোন্ বেদে?*
উত্তর | ব্রম্মচর্য ও উপনয়নের উল্লেখ আছে ঋগবেদে।
24ব্রণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় শিশুরা কত বছর বয়স পর্যন্ত নিজ গৃহে শিক্ষাব্যবস্থায় ব্রাক্ষ্মণ সন্তানগণ আট বছর বয়স পর্যন্ত, ক্ষত্রিয় সন্তানগণ এগারাে বছর বয়স পর্যন্ত এবং বৈশ্য সন্তানগণ বারাে বছর বয়স পর্যন্ত নিজ গৃহে শিক্ষালাভ করত।
25.কোন্ শিক্ষাব্যবস্থায় শিষ্যের কথা শােনা হতনা?ব্রাক্ষ্মণ্য
2উত্তর। ব্রাক্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষেত্রে শিষ্যের কথা শােনা হত না।
কোন ঋতুতে উপনয়ন অনুষ্ঠান হত?*
| ব্রাহূণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় ব্রাক্ষ্মণ শিক্ষার্থীদের বসন্তকালে, ক্ষত্রিয়শিক্ষার্থীদের গ্রীষ্মকালে এবং বৈশ্য শিক্ষার্থীদের শরৎকালে উপনয়ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হত।
27 ব্রাত্মণ্য শিক্ষার একটি উদ্দেশ্য উল্লেখ করাে। [WBCHSE (XI) '14]
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হল প্রতিটি মানুষ পরম সত্তার অংশ নিজেকে জানার মধ্য দিয়ে সত্যকে উপলবি করা। আধ্যাত্মিক চেতনাবােধের বিকাশের মাধ্যমে আত্মাকে উপলদ্ধি করা। ব্রাত্মণ্য 28.শিক্ষার পাঠক্রমকেক-টি ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী ?
ব্রাত্মণ্য শিক্ষার পাঠক্রমকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলি হল-0 পবিদ্যা এবং i) অপরাবিদ্যা।
29 পরাবিদ্যাক?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যক্তিকে ভাবজগতের জন্য প্রস্তুত করতে যে শিক্ষার কথা বলা হয়েছিল অর্থাৎ ব্ৰত্ম বা আধ্যাত্মিকতা সম্পর্কীয় বিদ্যাকে পরাবিদ্যা বলা হত।
30 অপরাবিদ্যা ?** [WBCHSE (XI) "15]
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যক্তিকে বাস্তব জগতের জন্য প্রস্তৃতার জন্য যে শিক্ষার কথা বলা হয়েছিল, তাকে অপরাবিদ্যা বলা হয়।
(3) পরাবিদ্যার পাঠক্রমে ক ক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল?*
পরাবিদ্যার পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি বিষয় যথা বেদ (ঋক্,সাম, যজু, অথর্ব) এবং ছয়টি অঙ্গ(শিক্ষা, ছন্দ, ব্যাকরণ, নিরুক্ত,জ্যোতিষওকল্প)এছাড়াছিল ইতিহাস,পুরাণ,ব্রহ্লাবিদ্যা,ভূতবিদ্যা, নক্ষত্রবিদ্যা।
32 অপরাবিদ্যার পাঠক্রমে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল?*
উত্তর। অপরাবিদ্যা পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল রাজনীতি, অস্ত্রবিদ্যা, নীতিশাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, দণ্ডনীতি, ধাতু শিল্প, পশুপালন, বিজ্ঞান, চিকিৎসাবিদ্যা, কৃষিকাজ, শিল্পকলা প্রভৃতি।
33.পাবিদ্যার লক্ষ্য কী ছিল ?*
উত্তর। পরমন লাভ ও আত্মজ্ঞান লাভ করা ছিল পরাবিদ্যার লক্ষ, যাতে ব্যক্তি ভাবজগতের জন্য প্রস্তুত হয়।
34.পরাবিদ্যার আদর্শ ছিল ?
উত্তর। পরাবিদ্যার আদর্শ ছিল আত্মােৎসর্গের আদর্শ অর্থাৎ পিতৃঋণ, ঋষিঋণ, দেবঋণ পরিশােধ করা।
ও5 অপরাবিদ্যার লক্ষ ক ছিল ?*
| অপরাবিদ্যার লক্ষ্য ছিল, বাস্তব জগতের জন্য প্রস্তুত করা। এই বিদ্যায় শিষ্যকে আদর্শ পুত্র, আদর্শ স্বামী ও আদর্শ পিতার। কর্তব্য বিষয়েও শিক্ষা দেওয়া হত।
36.ব্রাকুণ্য শিক্ষায় ব্রাক্ষ্মণদের পাঠক্রমে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত
উত্তর। ব্ৰাহুণ্য শিক্ষায় পাঠক্রমকে প্রধান দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
যথা- পবিদ্যা ও অপবিদ্যা। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় অধ্যয়ন করতে হত। ব্রাক্ষ্মণ্য শিক্ষায় ব্রাক্ষ্মণদেরকে যেসব বিষয় অধ্যয়ন করতে হত সেগুলি হল চতুর্বেদ, ইতিহাস, পুরাণ, সপ বিদ্যা, ব্যাকরণ বা বাক্যম (তর্কবিদ্যা), দেবিদ্যা, ব্ৰহ্ববিদ্যা, ভূতবিদ্যা (পদার্থ ও জীববিদ্যা), দেবজ্ঞান (গান, বাজনা, নাচ), রাষ্ট্রনীতি, নক্ষত্রবিদ্যা ইত্যাদি। এই সমস্ত বিষয় ছাড়াও ব্রাত্ম শিক্ষার্থীদের ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের বৃত্তি সম্পর্কেও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হত। যজ্ঞে উৎসর্গীকৃত পশুর দেহ ব্যবচ্ছেদ করে দেহবিজ্ঞান সংক্রান্ত শিক্ষা গ্রহণ করত ব্রাক্ষ্মণরা।
37.ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় ক্ষত্রিয়দের পাঠক্রমে কী কী বিষয় ছিল ?
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় ক্ষত্রিয়দের পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল। নীতিশাস্ত্র, অর্থশাস্ত্র, কৃষি, গােপালন, বাণিজ্য, দণ্ডনীতি,ইত্যাদি। বৈদিক যুগের প্রথম দিকে ক্ষত্রিয় সন্তানরা উপনয়নের
পর বেদ পড়ত। পরবর্তীকালে খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দী থেকে ক্ষত্রিয়রা বেদবিদ্যা গ্রহণ করত না। এ ছাড়া ক্ষত্রিয়দেরকে অস্ত্রবিদ্যা ও সরমবিদ্যা আবশ্যিকভাবে শিখতে হত।
থাকত।
45.নৈমিত্তিক অনধ্যায় বলতে কী বােঝাে?
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় অধ্যায় দিবসগুলির মধ্যে বিশেষ কারণে পাঠ
বন্ধ থাকলে তাকে নৈমিত্তিক অনধ্যায় বলা হত। নিত্য অনধ্যায় বলতে কী বােঝাে?
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় নিয়মিত পাঠ বন্ধ থাকলে তাকে বলা হত নিত্য অনধ্যায়।
উপক্ৰম কী?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থার সর্বপ্রথম স্তরটি হল উপক্রম। এই সময় গুরুর কাছ থেকে শেখার জন্য শিষ্যর কৌতুহল প্রকাশ পায়, আগ্রহ জন্মায়। শ্রাবণী পূর্ণিমার দিন পাঠ শুরুর অনুষ্ঠান হত।
50ব্রাত্মণ্য শিক্ষার দ্বিতীয় স্তরটিকে কী বলা হত?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষার দ্বিতীয় স্তরটিকে বলা হয় শ্রবণ। এই স্তরে গুরু যে যে শ্লোক শিষ্যদের শােনাতেন সেগুলাে শিষ্যরা মন দিয়ে শুনত।
51 ব্রাত্মণ্য শিক্ষার তৃতীয় স্তরটিকে কী বলা হত?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষার তৃতীয় স্তরটিকে বলা হয় আবৃত্তি। আবৃত্তি স্তরে শিষ্য গুরুর শেখানাে বিষয়গুলি বারংবার আবৃত্তিরমাধ্যমে আত্মস্থ করত।
52 ব্রাত্মণ্য শিক্ষার চতুর্থ স্তরটিকে বলা হত?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষার চতুর্থ স্তর বা অর্থবাদ স্তর হল শিষ্যদের অনুধাবনের সময় অর্থাৎ যা তারা গুরুর কাছ থেকে শিখেছে
তার অর্থ অনুধাবন করে, যাতে বােধগম্যতা পরিমাপ করতেপারে।
53 ব্রাত্মণ্য শিক্ষার পঞ্চম স্তরটিকে কী বলা হত?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষার পঞ্চম স্তরটিকে বলা হয় উপপত্তি। নিজের যুক্তির সাহায্যে শিষ্য তার শেখার বিষয়গুলি যাচাই করে, জ্ঞানকে দৃঢ় করে।
54 ব্রাত্মণ্য শিক্ষার যষ্ঠ স্তরটিকে কী বলা হত?*
উত্তর। মনন হল ব্রাত্মণ্য শিক্ষার ষষ্ঠ স্তর। এই স্তরে আচার্যের শেখানাে শিক্ষা তারা গভীরভাবে চিন্তা করেও আয়ত্ত করে।
55ব্রাত্মণ্য শিক্ষার সপ্তম স্তরটিকে কী বলা হত?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষার সপ্তম স্তরটিকে বলা হয় নিদিধ্যাস অর্থাৎ একাগ্র মনে ধ্যানের মাধ্যমে সত্যকে উপলব্ধি করা।
56 ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় শিক্ষাদানের পদ্ধতি কীরূপ ছিল?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় আবৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষাদান করা হত। এ ছাড়া প্রশ্নোত্তর, বিতর্ক ও গল্পের মাধ্যমেও শিক্ষাদান পদ্ধতি চালু ছিল।
57ব্রাত্মণ্য শিক্ষার মাধ্যম কোন্ ভাষা ছিল ?*
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষার মাধ্যম ছিল সংস্কৃত ভাষা।
ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় পরীক্ষা পদ্ধতি কীরূপ ছিল?*
58.উত্তর | ব্রাম্মণ্য শিক্ষায় লিখিত পরীক্ষার বন্দোবস্ত ছিল না। পরীক্ষা হত। মৌখিক। বিতর্কমূলক প্রতিযােগিতার মধ্য দিয়ে শিষ্যের জ্ঞান যাচাই করা হত। বৈদিক গ্রম্যানুযায়ী একে ব্রােয় বলা
হত। যাজ্ঞক্ষেত্র, তােবন, রাজসভায় এই সকল বিতর্কসভা অনুষ্ঠিত হত।
65.বিন্যাস্নাতক বলতে কী বােঝাে ?*
উত্তৰ ব্ৰাত্মণ্য শিক্ষায় যেসকল শিক্ষার্থী সমস্ত ব্রত পালন করেনি কিন্তু সম্পূর্ণ বেদ অধ্যয়ন করেছে তাদের বলা হত বিদ্যাস্নাতক।
66 ব্ৰতস্নাতক বলতে কী বােঝাে?
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় যেসকল শিক্ষার্থী সমস্ত ব্রত পালন করেছে কিন্তু সমগ্র বেদ অধ্যয়ন করেনি তাদের বলা হত ব্রতন্নাতক।
67.বিদ্যাব্রত স্নাতক বলতে কী বােঝাে?*
উত্তর। ব্ৰান্য শিক্ষাব্যবস্থায় যেসকল শিক্ষার্থী সমগ্র বেদ অধ্যয়ন করছে ও সেইসঙ্গে সমস্ত ব্রত পালন করেছে, তাদের বলা হত বিদাত স্নাতক।
68 মুল্য শিক্ষায় অশ্বারােহণ বলতে কী বােঝাে?
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষায় শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে প্রবেশ করে অভিষেক হওয়ার পর আরও একটি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হত, তাকে বলা হত অশ্বারােহণ। শিক্ষাজীবনে এক নিষ্ঠাবান প্রতীকরূপে
ব্রয়ারীকে একটি প্রস্তরখণ্ডের উপর দাঁড় করানাে হত। শিক্ষাগ্রহণে শিক্ষার্থীদের দৃঢ়তা, নিষ্ঠা ও অপরাজেয় শক্তিকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য এই অনুষ্ঠান পালিত হত।
81বেদ কী ?*
উত্তর। বেদ হল আর্যদের প্রাচীনতম ধর্মগ্রন্থ। অতীন্দ্রিয় সূক্ষ্ম যােগজ শক্তির গ্রাহ্য জ্ঞানকে বলা হয় বেদ।
82.বেদের অপর নাম কী ?*
উত্তর। বেদের অপর নাম শুতি।
83 বেদকে শ্রুতি বলা হয় কেন?*
উত্তর। বেদকে শুনে শুনে মুখস্থ রাখতে হত বলে এর অপর নাম শুতি।
84 বেদ কয় প্রকার ও কী কী?
উত্তর। বেদ চার প্রকার। এগুলি হল-O ঋগবেদ @ সামবেদ,(i) যজুর্বেদ, (iv) অথর্ববেদ।
85 প্রতিটি বেদ প্রধানত ক-টি ভাগে বিভক্ত ও কী কী?*
উত্তর। প্রতিটি বেদ প্রধানত চারটি ভাগে বিভক্ত। এগুলি হল— 0 সংহিতা, ) ব্রাত্মণ, (ii) আরণ্যক, (iv)উপনিষদ।
86 ‘উপবেদ’ কাকে বলে ?
উত্তর। ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় বিভিন্ন ধরনের লৌকিক জ্ঞান ‘উপবেদ’ নামক পাঠ্য বলে স্বীকৃত হয়েছিল।
87 যােগদর্শনের প্রবক্তা কে?
উত্তর। পতঞ্জলি হলেন যােগদর্শনের প্রবক্তা। \
88.ন্যায়দর্শন ও বৈশেষিক দর্শনের প্রবক্তা কারা?
উত্তর ন্যায়দর্শনের প্রবক্তা গৌতম এবং বৈশেষিক দর্শনের প্রবক্তা কণাদ।
89 পূর্বমীমাংসা ও উত্তরমীমাংসা দর্শন তত্ত্বের প্রবক্তা কারা?
উত্তর। পূর্বমীমাংসা দর্শনের প্রবক্তা জৈমিনি এবং উত্তর-মীমাংসা দর্শনের প্রবক্তা বেদব্যাস।
90ঋষি কাদের বলা হয় ? উত্তর। ঋগ্বৈদিক যুগে শিক্ষাগুরুদের বা আচার্যকে বলা হত ঋষি।
91বিধি বলতে কী বােঝাে?
উত্তর। বিধি বলতে পূর্বনির্দিষ্ট নিয়মকানুনকে বােঝায়। যেমন ব্রাত্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় ব্রাত্মণদের পাঠক্রমে যাগযজ্ঞ বিধি, গার্হস্থ্য বিধি, ধর্মসূত্র বা জাগতিক ও পারলৌকিক বিধি ইত্যাদি।
92 মনন বলতে কী বােঝায়?
উত্তর। গভীরভাবে চিন্তা করাকে বলা হয় মনন। এই পর্যায়ে আলােচনা ও যুক্তির দ্বারা বিষয়বস্তুকে শিক্ষার্থীরা গভীরভাবে উপলব্ধি করে।
93তপােবন কী ?*
উত্তর। তপােবন হল প্রকৃতির কেন্দ্রস্থলে প্রতিষ্ঠিত গুরুর আশ্রম।
94 উপনিষদ কী?*
উত্তর। উপনিষদ বৈদিক সাহিত্যের চতুর্থ বা শেষ স্তর। উপনিষদের আক্ষরিক অর্থ হল যে বিদ্যা নির্জনে গুরুর সমীপে উপবিষ্ট হয়ে গ্রহণ করতে হয়। উপনিষদে আলােচিত হয়েছে ব্রত্মের প্রকৃতি এবং মানুষের মােক্ষ বা আধ্যাত্মিক মুক্তিলাভের উপায়।
95পাঠশালা কী ?*
উত্তর। পাঠশালা হল কোনাে উন্মুক্ত স্থানে যেমন চণ্ডীমণ্ডপ, গাছতলা, জমিদার বাড়িতে গড়ে ওঠা একটি প্রতিষ্ঠান। যেখানে পেশাগত স্থায়ী কাঠামাে নেই, গুরুমশাই দ্বারা পরিচালিত। সব বর্ণের শিক্ষার্থীরা মাটিতে বসে গুরুমশাই-এর কাছ থেকে ভাষা, ব্যাকরণ, পত্রলিখন, গণিত ইত্যাদি শিখত। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্বতঃপ্রবৃত্ত চাঁদা, লােকহিতৈষী পাড়াপড়শিদের দানে পাঠশালার খরচ চলত।
97বেদের অর্থ কী ?*
উত্তর। বেদের অর্থ জ্ঞান।
98.শ্রুতিধর কাদের বলা হয় ?
উত্তর। যারা একবার শুনে মন্ত্র মনে রাখতে পারত, তাদের বলা হত শ্রুতিধর।
99 টোল কী ?*
উত্তর। প্রাচীন ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত একটি উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান হল টোল। এখানে বেদ, উপনিষদ, গীতা প্রভৃতি ধর্মপুস্তক শিক্ষা দেওয়া হত শিক্ষার্থীদের।
100 ব্রাহ্মণ্য শিক্ষাব্যবস্থায় সমাপ্তি অনুষ্ঠানকে কী বলা হত?** (WBCHSE (XT) 08/
উত্তর। ব্রাহ্মণ্য শিক্ষায় 'সমাপ্তি' অনুষ্ঠানকে বলা হত সমাবর্তন।
102 বৌদ্ধ শিক্ষার প্রবর্তক কে?*
উত্তর। বৌদ্ধ শিক্ষার প্রবর্তক হলেন গৌতম বুদ্ধ।
103 কোন্ ধর্মকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল?
উত্তর। বৌদ্ধধর্মকে কেন্দ্র করে বৌদ্ধ শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল।
104 বৌদ্ধ শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য কী ছিল ?*
উত্তর। বৌদ্ধ শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য ছিল পরিনির্বাণ লাভ করা।
105 ‘অষ্টাঙ্গিক মার্গ কী ?*
উত্তর। গৌতম বুদ্ধ বলেছেন, মানুষের জীবনে দুঃখ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আটটি উপায় রয়েছে। এই আটটি উপায়কে একসঙ্গে অষ্টাঙ্গিক মার্গ বলা হয়। মার্গ মানে পথ । অষ্টাঙ্গিক মার্গ বা পথ হল- সৎ বাক্য, () সৎ কার্য, (ii) সৎ জীবিকা, (iv) সৎ চেষ্টা, 0 সৎ চিন্তা, (vi) সৎ চেতনা, vil সৎ সংকল্প ও vill সৎ সমাধি।
এই অষ্টাঙ্গিক মার্গ পালন করলে মানুষ দুঃখকষ্টের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করতেন।
108 ‘ত্রিপিটক' কী ? *
পালি ভাষায় রচিত ত্রিপিটক হল বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। সূত্রপিটক, বিনয়পিটক ও অভিধম্মপিটক—এই তিনটি। | ভাগ নিয়ে ত্রিপিটক গঠিত। পিটক মানে ঝুড়ি। এই তিনটি। সংকলনকে তিনটি ঝুড়ির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। সূত্রপিটক। সুত্রপিটক হল গৌতম বুদ্ধ ও তার প্রধান।
বিনয়পিটক । এটি হল বৌদ্ধ সংঘে বৌদ্ধসন্ন্যাসীদের। অভিন্মপিটক । এখানে গৌতম বুদ্ধের প্রধান কয়েকটি। বৌদ্ধ যুগের একটি বিখ্যাত শিক্ষাকেন্দ্রের নাম উল্লেখ । শিষ্যদের উপদেশ সংকলন।
পালনীয় নিয়মগুলির সংকলন। উপদেশ আলােচিত হয়েছে।.
প্রাচীন ভারতের শিক্ষা 8 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় 3 নং প্রশ্ন উত্তর
[1] :
[2] :
[3] :
অষ্টম অধ্যায় প্রাচীন ভারতের শিক্ষা বড় প্রশ্ন উত্তর,
একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় 8 নং প্রশ্ন উত্তর
[1] :
ANS;-
[2] :
[3] :
[TAG]: প্রাচীন ভারতের শিক্ষা অষ্টম অধ্যায় pdf,প্রাচীন ভারতের শিক্ষা mcq,অষ্টম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণি,একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান,একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায়,একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবিজ্ঞান অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,Class 11 Education question in bengali,