আবহমান কবিতা প্রশ্ন উত্তর | আবহমান নবম শ্রেণি বাংলা কবিতার গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির বাংলা কবিতা আবহমান প্রশ্ন উত্তর PDF।আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর, class 9 Bengali Kobita question Pdf | WB Class nine Bengali question pdf | WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি বাংলা কবিতাের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে নবম শ্রেণি বাংলা কবিতা আবহমান গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । 'আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর' pdf, Class ix Bengali Kobita Question Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
আবহমান কবিতার প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির বাংলা কবিতা আবহমান প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Bengali Kobita question in bengali pdf
‘আবহমান’ নবম শ্রেণির বাংলা কবিতাের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
আবহমান mcq প্রশ্ন
File Details:-
File Name:-
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download
নবম শ্রেণি বাংলা কবিতা 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির বাংলা কবিতা আবহমান 1 নং প্রশ্ন উত্তর
১.আবহমান' কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর: ‘আবহমান' কবিতাটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা অন্ধকার বারান্দা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এটি ওই কাব্যগ্রন্থের তিরিশ সংখ্যক কবিতা।
২. ‘আবহমান' কবিতায় কবি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন?
, উত্তর: ‘আবহমান' কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গ্রামবাংলার গরিবের উঠোনে লাউমাচার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন।
৩, কবি লাউমাচার পাশে কেন দাঁড়াতে বলেছেন?
উত্তর: কবি লাউমাচার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন কারণ পল্লিবাংলার প্রকৃতিলালিত সহজসরল জীবনকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়।
৪, কোন্ ফুল দুলছে?
উত্তর: পল্লিবাংলায় উঠোনের লাউমাচায় ছােট্ট লাউফুল দুলছে।
৫. কোথায় ছােট্ট ফুল দুলছে?
উত্তর: ‘আবহমান' কবিতায় গ্রামবাংলায় গরিবের উঠোনের লাউমাচায় ছােট্ট লাউফুল দোলার কথা বলা হয়েছে।
৬. লাউফুল কখন দোলে?
উত্তর: সন্ধ্যার মৃদুমন্দ বাতাসে লাউফুল দোলে |
৭, ‘আবহমান' কবিতায় অনেক বছর আগে কার আসার কথাবলা হয়েছে?
উত্তর: অনেক বছর আগে বাংলায় আশ্রয়ের খোঁজে মানুষের আসার কথা বলা হয়েছে, যারা এদেশেরই বাসিন্দা হয়ে গেছে।
৮. ‘আবহমান’ কবিতায় বাংলার ভূখণ্ডে এসে মানুষ কী করেছিল বলা হয়েছে?
উত্তর: বাংলার ভূখন্ডে এসে মানুষ এই দেশকে নিবিড়ভাবে ভালােবেসে এখানেই ঘর বেঁধে বাস করতে শুরু করেছে।
১, ‘আবহমান' কবিতায় মানুষের হারিয়ে গিয়েও আবার কেন ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: গ্রামবাংলার মাটিকে, তার জলহাওয়াকে ভালােবাসে বলেই মানুষ হারিয়ে গিয়েও আবার বাংলার বুকে ফিরে আসে।
১০, “এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালোবাসে |”~~-“আবার’ শব্দটি ব্যবহারের যুক্তি কী?
[বেথুন কলেজিয়েট স্কুল
উত্তর: প্রকৃতির বুকে মানুষ একদিন বন কেটে বসতি গড়েছিল। নাগরিক ক্লান্তিতে মানুষ পরে সেই প্রকৃতির কাছেই ফিরে যেতে চেয়েছে। আবার শব্দটিতে তারই ব্যঞ্জনা রয়েছে।
১১. কবির মতে কোন্ গাছ বুড়িয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুড়ােয় না?
উত্তর: কবির মতে নটেগাছ বুড়িয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুড়ােয় না।
১২. “নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।”—“মুড়য় না’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?[হুগলি কলেজিয়েট স্কুল]
উত্তর: ‘মুড়য় না’ বলতে বােঝানাে হয়েছে যে, কখনােই শেষ হয়ে যায় না |
১৩. ‘আবহমান কবিতায় মানুষের কোথায় হারিয়ে গিয়েও আবার কোথায় ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: গ্রামবাংলার নতুন প্রজন্মের মানুষরা নাগরিক যন্ত্রসভ্যতায় হারিয়ে গিয়েও আবার বাঁচার জন্য গ্রামবাংলার বুকেই ফিরে আসে।
১, ‘আবহমান' কবিতায় কাকে একগুঁয়ে বলা হয়েছে?
উত্তর: যে মানুষ তার নাগরিক জীবনকে পিছনে ফেলে গ্রাম এবং মাটির
কাছাকাছি ফিরে আসে, তাকেই একগুঁয়ে বলা হয়েছে।
২. ‘আবহমান' কবিতায় কার যন্ত্রণা নেভে না?
উত্তর: ‘আবহমান' কবিতায় গ্রাম এবং প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষের যন্ত্রণা নেভে না |
৩ ৩, “নেভে না তার যন্ত্রণা”—কীসের যন্ত্রণা? [ধূপগুড়ি হাই স্কুল]
উত্তর: এখানে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে।
৪, “যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাড়া,/লাউমাচাটার পাশে”—কবিতায় এই অংশটি কতবার ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর: ‘আবহমান' কবিতায় “যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাড়া,/লাউমাচাটার পাশে”—এই পর্ভূক্তিটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে।
আবহমান 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির বাংলা কবিতা আবহমান 3 নং প্রশ্ন উত্তর
১,'কে এই খানে ঘর বেঁধেছে—'মার বেঁধেছে' কথাটির তাপ কী?[সারগাছি রামকৃয় মিশন হাই স্কুল
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'আবহমান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। মানুষের জীবনধারণের প্রাথমিক তিনটি চাহিদা হল অন্ন-বস্ত্র- বাসস্থান। আশ্রয়ের প্রয়ােজনে মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি করে। কিন্তু ঘর বাধা কথাটি ব্যাপকতর অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ শুধু ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে বাসস্থান তৈরি করা নয়। এর ভিত তৈরি হয় স্নেহ-মমতামাখা সম্পর্কের উয়তা দিয়ে এবং আপন করে নেওয়ার চেষ্টা থেকেই | বাংলায় আসা মানুষজনও সেভাবেই এদেশকে ভালােবেসে এখানে ঘর বেঁধেছে |
2.“নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না!’---পঙক্তিটি ব্যাখ্যা করাে।
অথবা, নটেগাছটা বুড়িয়ে উঠেও মুড়ােয় না কেন?
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তার 'আবহমান' কবিতায় দেখিয়েছেন যে, একসময় মানুষ নিবিড় ভালােবাসায় ঘর বেঁধেছিল গ্রামবাংলায়। পরবর্তীকালে গ্রামসভ্যতার সমৃদ্ধি নষ্ট হয়ে যায় নাগরিক সভ্যতার
আগ্রাসনে। কিন্তু প্রকৃতি সেখানে নিজের হাতে একইভাবে সাজিয়ে রাখে, জীবন বয়ে চলে স্বচ্ছন্দ সহজ গতিতে। আর শহরের ক্লান্ত মানুষেরা শান্তির খোঁজে বারবার ফিরে আসে গ্রামবাংলার বুকে। নটে গাছটা বুড়িয়ে ওঠে;কিন্তু ‘মুড়য় না' অর্থাৎ তার গ্রহণযােগ্যতা শেষ হয় না।
.2“কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে”—পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান' কবিতায় যে মানুষ একদিন গভীর অনুরাগ দিয়ে গ্রামসভ্যতা গড়ে তুলেছিল সেই মানুষই নগরসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য আর সমৃদ্ধির টানে গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে বাসা বেঁধেছিল। কিন্তু শহরজীবন ঐশ্বর্য আর সমৃদ্ধি দিলেও মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি। তাই গ্রাম থেকে হারিয়ে যাওয়া মানুষ আবার শান্তির খোঁজে গ্রামেই ফিরে আসে।
২.সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে”-কে, কেন ঘাসের গন্ধ মাখে?
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতায় যে মানুষ শহরজীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তার সমৃদ্ধি আর স্বচ্ছলতার আড়ালে থাকে গ্রামজীবনে ফিরে আসার প্রবল ইচ্ছা| মনের মধ্যে ফিরে আসার এই আকুলতাকেই কবি বলেছেন ‘একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা’ | এই পিপাসাতেই সে সারাদিন প্রকৃতি
আর গ্রামের সান্নিধ্য পাওয়ার আশাকে বাঁচিয়ে রাখে! “আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে”—এই কথাটির মধ্য দিয়ে মানুষের প্রকৃতির প্রতি সেই আকর্ষণকেই বােঝানাে হয়েছে।
আবহমান বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির বাংলা কবিতা 5 নং প্রশ্ন উত্তর
২“এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালােবাসে।”—এই মাটি হাওয়াকে আবার ভালােবাসার কারণ কী?
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান' কবিতাটি নিজের শিকড়ের খোঁজে মানুষের অনিঃশেষ পথ চলার কাহিনি| সভ্যতার শুরুতে অরণ্যবাসী মানুষ বল কেটে বসতি গড়েছিল, তৈরি করেছিল তার গ্রামসভ্যতা! ঘর বেঁধেহিন নিবিড় অনুরাগে| সেই মানুষই ধীরে ধীরে নাগরিক হয়েছে। প্রকৃতি এবং গ্রামজীবনের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটেছে। কিন্তু শহরজীবনের ব্যস্ততা এবং কৃত্রিমতায় ক্লান্ত মানুষ নিজের মনের মধ্যে ধরে রাখতে চেয়েছে ঘাসের গন্ধ, তারায় ভরা আকাশে সে নিজের স্বপ্ন এঁকে রেখেছে। বাগান থেকে কুন্দফুলের হাসিকে মানুষ কখনও হারিয়ে যেতে দেয়নি। প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়েছে সেই দুরন্ত জীবনপিপাসা চাকচিক্য, আড়ম্বরের কৃত্রিমতায় নয়, মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীবনকে তার
সহজভাবে রূপরস-গন্ধ-স্পর্শ-সহ উপলব্ধি করতে চেয়েছে। তাই প্রকৃতির কাছে, তার ফেলে আসা গ্রামজীবনের কাছে ফিরে যাওয়ার তাগিদ উপলব্দি করেছে সে। সেখানে লাউমাচায় সন্ধ্যার বাতাসে ছােট্ট একটা ফুল আজও দোল খায়৷ সেই মাটিকে আর হাওয়াকে ভালােবেসে ফিরে যাওয়াটা যেন
জীবনকে সুন্দরভাবে উপলব্ধি করার ও বেঁচে থাকার জন্য অবশ্য প্রয়ােজনীয় হয়ে ওঠে।
File Details:-
File Name:-
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Size:- 4Mb
PAGE- 60
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download
নবম শ্রেণি বাংলা কবিতা 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির বাংলা কবিতা আবহমান 1 নং প্রশ্ন উত্তর
১.আবহমান' কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
উত্তর: ‘আবহমান' কবিতাটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা অন্ধকার বারান্দা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। এটি ওই কাব্যগ্রন্থের তিরিশ সংখ্যক কবিতা।
২. ‘আবহমান' কবিতায় কবি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন?
, উত্তর: ‘আবহমান' কবিতায় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী গ্রামবাংলার গরিবের উঠোনে লাউমাচার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন।
৩, কবি লাউমাচার পাশে কেন দাঁড়াতে বলেছেন?
উত্তর: কবি লাউমাচার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন কারণ পল্লিবাংলার প্রকৃতিলালিত সহজসরল জীবনকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়।
৪, কোন্ ফুল দুলছে?
উত্তর: পল্লিবাংলায় উঠোনের লাউমাচায় ছােট্ট লাউফুল দুলছে।
৫. কোথায় ছােট্ট ফুল দুলছে?
উত্তর: ‘আবহমান' কবিতায় গ্রামবাংলায় গরিবের উঠোনের লাউমাচায় ছােট্ট লাউফুল দোলার কথা বলা হয়েছে।
৬. লাউফুল কখন দোলে?
উত্তর: সন্ধ্যার মৃদুমন্দ বাতাসে লাউফুল দোলে |
৭, ‘আবহমান' কবিতায় অনেক বছর আগে কার আসার কথাবলা হয়েছে?
উত্তর: অনেক বছর আগে বাংলায় আশ্রয়ের খোঁজে মানুষের আসার কথা বলা হয়েছে, যারা এদেশেরই বাসিন্দা হয়ে গেছে।
৮. ‘আবহমান’ কবিতায় বাংলার ভূখণ্ডে এসে মানুষ কী করেছিল বলা হয়েছে?
উত্তর: বাংলার ভূখন্ডে এসে মানুষ এই দেশকে নিবিড়ভাবে ভালােবেসে এখানেই ঘর বেঁধে বাস করতে শুরু করেছে।
১, ‘আবহমান' কবিতায় মানুষের হারিয়ে গিয়েও আবার কেন ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: গ্রামবাংলার মাটিকে, তার জলহাওয়াকে ভালােবাসে বলেই মানুষ হারিয়ে গিয়েও আবার বাংলার বুকে ফিরে আসে।
১০, “এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালোবাসে |”~~-“আবার’ শব্দটি ব্যবহারের যুক্তি কী?
[বেথুন কলেজিয়েট স্কুল
উত্তর: প্রকৃতির বুকে মানুষ একদিন বন কেটে বসতি গড়েছিল। নাগরিক ক্লান্তিতে মানুষ পরে সেই প্রকৃতির কাছেই ফিরে যেতে চেয়েছে। আবার শব্দটিতে তারই ব্যঞ্জনা রয়েছে।
১১. কবির মতে কোন্ গাছ বুড়িয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুড়ােয় না?
উত্তর: কবির মতে নটেগাছ বুড়িয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত মুড়ােয় না।
১২. “নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না।”—“মুড়য় না’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে?[হুগলি কলেজিয়েট স্কুল]
উত্তর: ‘মুড়য় না’ বলতে বােঝানাে হয়েছে যে, কখনােই শেষ হয়ে যায় না |
১৩. ‘আবহমান কবিতায় মানুষের কোথায় হারিয়ে গিয়েও আবার কোথায় ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: গ্রামবাংলার নতুন প্রজন্মের মানুষরা নাগরিক যন্ত্রসভ্যতায় হারিয়ে গিয়েও আবার বাঁচার জন্য গ্রামবাংলার বুকেই ফিরে আসে।
১, ‘আবহমান' কবিতায় কাকে একগুঁয়ে বলা হয়েছে?
উত্তর: যে মানুষ তার নাগরিক জীবনকে পিছনে ফেলে গ্রাম এবং মাটির
কাছাকাছি ফিরে আসে, তাকেই একগুঁয়ে বলা হয়েছে।
২. ‘আবহমান' কবিতায় কার যন্ত্রণা নেভে না?
উত্তর: ‘আবহমান' কবিতায় গ্রাম এবং প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষের যন্ত্রণা নেভে না |
৩ ৩, “নেভে না তার যন্ত্রণা”—কীসের যন্ত্রণা? [ধূপগুড়ি হাই স্কুল]
উত্তর: এখানে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্নতার যন্ত্রণার কথা বলা হয়েছে।
৪, “যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাড়া,/লাউমাচাটার পাশে”—কবিতায় এই অংশটি কতবার ব্যবহার করা হয়েছে?
উত্তর: ‘আবহমান' কবিতায় “যা গিয়ে ওই উঠানে তাের দাড়া,/লাউমাচাটার পাশে”—এই পর্ভূক্তিটি চারবার ব্যবহার করা হয়েছে।
আবহমান 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির বাংলা কবিতা আবহমান 3 নং প্রশ্ন উত্তর
১,'কে এই খানে ঘর বেঁধেছে—'মার বেঁধেছে' কথাটির তাপ কী?[সারগাছি রামকৃয় মিশন হাই স্কুল
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর 'আবহমান’ কবিতা থেকে উদ্ধৃতিটি নেওয়া হয়েছে। মানুষের জীবনধারণের প্রাথমিক তিনটি চাহিদা হল অন্ন-বস্ত্র- বাসস্থান। আশ্রয়ের প্রয়ােজনে মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি করে। কিন্তু ঘর বাধা কথাটি ব্যাপকতর অর্থে ব্যবহৃত হয়। এর অর্থ শুধু ইট-কাঠ-পাথর দিয়ে বাসস্থান তৈরি করা নয়। এর ভিত তৈরি হয় স্নেহ-মমতামাখা সম্পর্কের উয়তা দিয়ে এবং আপন করে নেওয়ার চেষ্টা থেকেই | বাংলায় আসা মানুষজনও সেভাবেই এদেশকে ভালােবেসে এখানে ঘর বেঁধেছে |
2.“নটেগাছটা বুড়িয়ে ওঠে, কিন্তু মুড়য় না!’---পঙক্তিটি ব্যাখ্যা করাে।
অথবা, নটেগাছটা বুড়িয়ে উঠেও মুড়ােয় না কেন?
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তার 'আবহমান' কবিতায় দেখিয়েছেন যে, একসময় মানুষ নিবিড় ভালােবাসায় ঘর বেঁধেছিল গ্রামবাংলায়। পরবর্তীকালে গ্রামসভ্যতার সমৃদ্ধি নষ্ট হয়ে যায় নাগরিক সভ্যতার
আগ্রাসনে। কিন্তু প্রকৃতি সেখানে নিজের হাতে একইভাবে সাজিয়ে রাখে, জীবন বয়ে চলে স্বচ্ছন্দ সহজ গতিতে। আর শহরের ক্লান্ত মানুষেরা শান্তির খোঁজে বারবার ফিরে আসে গ্রামবাংলার বুকে। নটে গাছটা বুড়িয়ে ওঠে;কিন্তু ‘মুড়য় না' অর্থাৎ তার গ্রহণযােগ্যতা শেষ হয় না।
.2“কে এইখানে হারিয়ে গিয়েও আবার ফিরে আসে”—পঙক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান' কবিতায় যে মানুষ একদিন গভীর অনুরাগ দিয়ে গ্রামসভ্যতা গড়ে তুলেছিল সেই মানুষই নগরসভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য আর সমৃদ্ধির টানে গ্রাম ছেড়ে শহরে গিয়ে বাসা বেঁধেছিল। কিন্তু শহরজীবন ঐশ্বর্য আর সমৃদ্ধি দিলেও মানুষকে শান্তি দিতে পারেনি। তাই গ্রাম থেকে হারিয়ে যাওয়া মানুষ আবার শান্তির খোঁজে গ্রামেই ফিরে আসে।
২.সারাটা দিন আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে”-কে, কেন ঘাসের গন্ধ মাখে?
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান’ কবিতায় যে মানুষ শহরজীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, তার সমৃদ্ধি আর স্বচ্ছলতার আড়ালে থাকে গ্রামজীবনে ফিরে আসার প্রবল ইচ্ছা| মনের মধ্যে ফিরে আসার এই আকুলতাকেই কবি বলেছেন ‘একগুঁয়েটার দুরন্ত পিপাসা’ | এই পিপাসাতেই সে সারাদিন প্রকৃতি
আর গ্রামের সান্নিধ্য পাওয়ার আশাকে বাঁচিয়ে রাখে! “আপন মনে ঘাসের গন্ধ মাখে”—এই কথাটির মধ্য দিয়ে মানুষের প্রকৃতির প্রতি সেই আকর্ষণকেই বােঝানাে হয়েছে।
আবহমান বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির বাংলা কবিতা 5 নং প্রশ্ন উত্তর
২“এই মাটিকে এই হাওয়াকে আবার ভালােবাসে।”—এই মাটি হাওয়াকে আবার ভালােবাসার কারণ কী?
উত্তর: নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর ‘আবহমান' কবিতাটি নিজের শিকড়ের খোঁজে মানুষের অনিঃশেষ পথ চলার কাহিনি| সভ্যতার শুরুতে অরণ্যবাসী মানুষ বল কেটে বসতি গড়েছিল, তৈরি করেছিল তার গ্রামসভ্যতা! ঘর বেঁধেহিন নিবিড় অনুরাগে| সেই মানুষই ধীরে ধীরে নাগরিক হয়েছে। প্রকৃতি এবং গ্রামজীবনের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটেছে। কিন্তু শহরজীবনের ব্যস্ততা এবং কৃত্রিমতায় ক্লান্ত মানুষ নিজের মনের মধ্যে ধরে রাখতে চেয়েছে ঘাসের গন্ধ, তারায় ভরা আকাশে সে নিজের স্বপ্ন এঁকে রেখেছে। বাগান থেকে কুন্দফুলের হাসিকে মানুষ কখনও হারিয়ে যেতে দেয়নি। প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়েছে সেই দুরন্ত জীবনপিপাসা চাকচিক্য, আড়ম্বরের কৃত্রিমতায় নয়, মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য জীবনকে তার
সহজভাবে রূপরস-গন্ধ-স্পর্শ-সহ উপলব্ধি করতে চেয়েছে। তাই প্রকৃতির কাছে, তার ফেলে আসা গ্রামজীবনের কাছে ফিরে যাওয়ার তাগিদ উপলব্দি করেছে সে। সেখানে লাউমাচায় সন্ধ্যার বাতাসে ছােট্ট একটা ফুল আজও দোল খায়৷ সেই মাটিকে আর হাওয়াকে ভালােবেসে ফিরে যাওয়াটা যেন
জীবনকে সুন্দরভাবে উপলব্ধি করার ও বেঁচে থাকার জন্য অবশ্য প্রয়ােজনীয় হয়ে ওঠে।
File Details:-
File Name:-
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download