ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণি বাংলা নাটক প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি বাংলা ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর PDF
ধীবর বৃত্তান্ত : আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর PDF। class 9 Bengali Drama question Pdf | WB Class nine Bengali question pdf |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি বাংলা নাটকের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Bengali Kobita Question Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
ধীবর বৃত্তান্ত নবম শ্রেণি বাংলা নাটকর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি বাংলা ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Bengali Drama question in bengali pdf
‘ধীবর বৃত্তান্ত’ নবম শ্রেণির বাংলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো
File Details:-
File Name:- পিডিএফ
File Format:- Pdf
File Location:- Google Drive
ধীবর বৃত্তান্ত mcq প্রশ্ন
নবম শ্রেণি বাংলা নাটক 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্ত 1 নং প্রশ্ন উত্তর
১. এজিয়ান শকুন্তলম্ নাটকের কোন্ অঙ্ক থেকে ‘ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে?
উত্তর: অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটকের ষষ্ঠ অঙ্ক থেকে ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশটি নেওয়া হয়েছে।
২. ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশে কোন্ কোন্ চরিত্রের উল্লেখ পাওয়া যায়?
উত্তর: ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের চরিত্রগুলি হল—জানুক ও সূচক নামে দুই রক্ষী, নগরপাল রাজশ্যালক এবং ধীবর ||
৩. মহষি কস্থের অনুপস্থিতিতে দুম্বন্ড কী করেছিলেন?
উত্তর: মহর্ষি কম্বের অনুপস্থিতিতে দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁকে রেখে রাজধানীতে ফিরে গিয়েছিলেন
৪, তপােবনে রাজার দূতকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল কেন?
উত্তর: তপােবনে রাজার দূতকে প্রত্যাশা করা হয়েছিল এই ভেবে যে, সে শকুন্তলার খোঁজ নিতে সেখানে আসবে।
(৫/ ঋষি দুর্বাসা যখন তপােবনে এসেছিলেন তখন শকুন্তলার অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর: ঋষি দুর্বাসা যখন তপােবনে এসেছিলেন তখন শকুন্তলা স্বামীর চিন্তায় মগ্ন থাকার কারণে অন্যমনস্ক ছিলেন
৬) ঋষি দুর্বাসা কেন অপমানিত বােধ করেছিলেন?
উত্তর: স্বামীর চিন্তায় অন্যমনস্ক শকুন্তলা আশ্রমে ঋষি দুর্বাসা আসলে তার উপযিতি টের পান না। এতে ঋষি দুর্বাসা অপমানিত বােধ করেছিলেন।
7. ঋষি দুর্বাসা শকুন্ডলাকে কী অভিশাপ দিয়েছিলেন?
উত্তর: দুর্বাসা অভিশাপ দিয়েছিলেন যে যাঁর চিন্তায় মগ্ন থাকার কারণে শকুন্তলা তাকে লক্ষ করেননি তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন।
৮. প্রিয়ংবদার অনুরােধে ঋষি দুর্বাসা কী বলেছিলেন?
উত্তর: ঋষি দুর্বাসা বলেছিলেন যে, প্রিয়জন শকুন্তলাকে ভুলে গেলেও কোনাে স্মৃতিচিহ্ন দেখালে এই অভিশাপ দূর হবে।
১, সখীরা কোন্ জিনিসকে ভবিষ্যতের স্মৃতিচিহ্ন ভেবেছিলেন?
উত্তর:; দুষ্মন্ত রাজধানীর উদ্দেশে বিদায় নেওয়ার সময়ে শকুন্তলাকে যে আংটি দিয়েছিলেন তাকেই সখীরা ভবিষ্যতের স্মৃতিচিহ্ন ভেবেছিলেন।
১০, মহর্ষি কশ্ব তীর্থ থেকে ফেরার পরে কী করেছিলেন?
উত্তর: মহর্ষি কশ্ব তীর্থ থেকে ফেরার পরে শকুন্তলাকে স্বামীর ঘরে পাঠানাের আয়ােজন করেছিলেন |
১১. শকুন্তলা দুম্মস্তকে আং টি দেখাতে পারেননি কেন?
উত্তর: শচীতীর্থে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে শকুন্তলার আংটি খুলে জলে পড়ে যাওয়ায় শকুন্তলা দুষ্মন্তকেআংটি দেখাতে পারেননি।
১২. রাজসভায় শকুন্তলা অপমানিত হয়েছিলেন কেন?
উত্তর: রাজসভায় দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে চিনতে না পারায় শকুন্তলা অপমানিতা হয়েছিলেন।
১৩, রাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের কাজ কী ছিল?
উত্তর: রাজা দুষ্মন্তের শ্যালকের কাজ ছিল নগর রক্ষা করা।
১৪, রক্ষীরা কাকে, কীভাবে সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করেছিল?
উত্তর: পিছনে হাতবাঁধা অবস্থায় এক ধীবরকে সঙ্গে নিয়ে রক্ষীদের প্রবেশ ঘটেছিল।
১৫. “আমি একজন জেলে। জেলেটির বাসস্থান কী ছিল? [মালদহ জেলা স্কুল]
উত্তর: জেলেটি তার বাসস্থান শক্রাবতারে বলে জানিয়েছিল।
১৬, ধীবরের পাওয়া আংটিটি কেমন ছিল?
উত্তর: ধীবরের পাওয়া আংটিটি ছিল মণিখচিত এবং রাজার নাম খােদাই করা।
১৭, “আমরা কি তাের জাতির কথা জিজ্ঞাসা করেছি?"—বা কখন এ কথা বলেছে?
.উত্তর: ধীবর যখন বলে যে সে একজন জেলে এবং শাবতারে থাকে, তখনই দ্বিতীয় রক্ষী আলােচ্য মক্তব্যটি করে।
১৮. পুরুষ' চরিত্রটি কীভাবে সংসার চালানাের কথা বলেছে?
উত্তর: ‘পুরুষ' অর্থাৎ জেলে চরিত্রটি জাল, বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে মাছ ধরে সংসার চালানোর কথা বলেছে
১১, “শুনুন মহাশয়, এরকম বলবেন না |”—এখানে কী না বলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: এখানে ধীবরটি রাজার শ্যালককে ধীবরের জীবিকা নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ না করার কথা বলেছে।
File Details:-
File Name:- ধীবর বৃত্তান্ত প্রশ্ন উত্তর PDF
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Size:- 4Mb
PAGE- 60
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download
২০, ধীবর চরিত্রটি জীবিকা বিষয়ে কী বলেছে?
উত্তর: ধীবরের মতে, যে বৃত্তি নিয়ে মানুষ জন্মেছে তা নিন্দনীয় হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।
২১. ধীবর আংটিটি কীভাবে পেয়েছিল?
উত্তর: ধীবর একটা রুইমাছ টুকরাে করে কাটতে গিয়ে মাছের পেটের মধ্যে মশিমুত্তায় ঝলমলে আংটিটা দেখতে পেয়েছিল ।
২২, “এ অবশ্যই গােসাপখাওয়া জেলে হবে’-শ্যালক এ সন্দেহকরেছিল কেন?
[আরামবাগ গার্লস হাই স্কুল]
উত্তর: ধীবরের গা থেকে কাচা মাংসের গন্ধ আসছিল বলে রাজার শ্যালক এরকম সন্দেহ করেছিলেন।
২৩,হাতবাধা অবস্থায় এক পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে দুই রক্ষীর প্রবেশ 'পুরুষ'-টির হাত বাঁধা কেন?
উত্তর: ‘পুরুষটির কাছে রাজা দুষ্মন্তের আংটি পাওয়া গেলে তাকে চোর সন্দেহে হাত বেঁধে নিয়ে আসা হয়।
২৪, “আপনারা শান্ত হন।বক্তা কাদের শান্ত হওয়ার অনুরােধ জানিয়েছে?
উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশ থেকে নেওয়া আলােচ্য উক্তিটির বক্তা এবং এই নাট্যাংশের প্রধান চরিত্র ধীবর দুই নগররক্ষীকে শান্ত হওয়ার অনুরােধ জানিয়েছে।
২৫. “তবে কি তােকে সদ্ ব্রাশ বিবেচনা করে রাজা এটা দান করেছেন?'—কোন্ 'রাজা'র কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশে প্রথম রক্ষীর এই সংলাপে ‘রাজা' বলতে রাজা দুষ্মন্তের কথা বলা হয়েছে
২৬, “আপনারা অনুগ্রহ করে শুনুন।”—কোন্ কথা বক্তা শােনাতে চেয়েছে?
[আরামবাগ হাই স্কুল;রামকৃয় মিশন বিদ্যালয়, নরেন্দ্রপুর]
উত্তর: 'ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশে আলােচ্য উক্তিটির বক্তা ধীবর নগররক্ষীদের কাছে নিজের পরিচয় এবং কীভাবে সে রাজার আংটিটি পেয়েছে সে কথা শােনাতে চেয়েছে|
২৭, “ব্যাটা বাটপাড়, আমরা কি তোর জাতির কথা জিজ্ঞাসা করেছি বক্তা আসলে কোন্ কথা জিজ্ঞাসা করেছিল?
উত্তর: উধৃতাংশের বক্তা দ্বিতীয় রক্ষী আসলে জানতে চেয়েছিল রাজার নাম খােদাই করা মণিখচিত আংটিটি ধীবর কোথায় পেয়েছে।
২৮, “তা আপনি যা আদেশ করেন।”—কোন্ আদেশের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর: ধীবরকে বাধা না দিয়ে যেন আগাগােড়া সব কথা বলতে দেওয়া হয় এই আদেশের কথা বলা হয়েছে।
২১. “জানুক, এর গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসছে।'—এখান থেকে বক্তা কোন্ সিধান্ত পৌঁছেছিলেন?
উত্তর: ধীবরের গা থেকে কাঁচা মাংসের গন্ধ আসায় বক্তা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে, সে নিশ্চয়ই গােসাপখাওয়া জেলে
৩০, ধীবরের কথামতাে বেদজ্ঞ ব্রায়ণ কখন নির্দয় হয়ে থাকেন?[বাকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুল)
উত্তর: ধীবরের কথামতাে বেদজ্ঞ ব্ৰায় যজ্ঞীয় পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকেন।
১, “অ্যামার হাত দুটো (এখনই) নিশপিশ করছে |বক্তার হাত দুটো কীসের জন্য নিশপিশ করছে?
উত্তর: হত্যার আগে ধীবরের গলায় পরানাের জন্য স্কুলের মালা গাঁথতে প্রথম রক্ষীর হাত দুটো নিশপিশ ছিল।
২. রাজার শ্যালক রাজার কাছ থেকে ফিরে এসে কী বলেছিলেন?
উত্তরঃ ধীবরের কথা সত্য প্রমাণিত হওয়ায় রাজার কাছ থেকে ফিরে এসে রাজশ্যালক ধীবরকে ছেড়ে দিতে বলেছিলেন।
৩. “প্রভু, আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?"—ধীবরের এই সমস্যা কীভাবে মিটেছিল?
উত্তরঃ মহারাজা খুশি হয়ে আংটির সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে দেওয়ায় ধীবরের সংসার চালানাের সমস্যা মিটে যায়।
৪, আংটিটি দেখে রাজার হাবভাব কীরূপ হয়ে গিয়েছিল?
উত্তর: আংটিটি দেখে কোনাে প্রিয়জনের কথা মনে পড়ায় স্বভাবে গম্ভীর প্রকৃতির হলেও মুহূর্তের জন্য রাজা বিহ্বলভাবে তাকিয়ে ছিলেন। জেলে তার পারিতােষিকের অর্ধেক অর্থ কী করতে চেয়েছিল?
[মহিষাদল রাজ হাই স্কুল)
উত্তর: রক্ষীরা ধীবরকে মারার আগে যে ফুলের মালা তার গলায় পরাতে চেয়েছিল, রাজার দেওয়া পারিতােষিকের অর্ধেক অর্থ সেই ফুলের দাম হিসেবে ধীবর দিতে চেয়েছিল।
৬. “প্রভু, অনুগৃহীত হলাম।”—কীভাবে বক্তা অনুবৃহীত হয়েছিল?[ জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল]
উত্তর: মহারাজ আংটি ফিরে পেয়ে তার মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে দেওয়ায় সে অনুগৃহীত হয়েছিল।
৭. “মহারাজ এ সংবাদ শুনে খুব খুশি হবেন।'—কোন সংবাদ শুনে মহারাজের খুশি হওয়ার কথা বলা হয়েছে? [বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুল)
উত্তরঃ ধীবরের কাছ থেকে মহারাজের আংটি উদ্ধার করার কথা শুনে মহারাজা দুষ্মন্ত খুশি হবেন বলে রক্ষীরা এই মন্তব্য করেছে।
৮. “আপনি প্রবেশ করুন।”—কোথায় প্রবেশের কথা এখানে বলা হয়েছে?
উত্তর: আলােচ্য উদ্ধৃতাংশে রাজশ্যালককে মহারাজা দুষ্মন্তের প্রাসাদে প্রবেশ করার কথা বলা হয়েছে।
ধীবর বৃত্তান্ত 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির বাংলা নাটক ধীবর বৃত্তান্ত 3 নং প্রশ্ন উত্তর
1.".. তখন তপোবনে এলেন ঋষি দুর্বাসা।’-—দুর্বাসার এই আগমনের তাৎপর্য কী?
উত্তর: দুর্বাসা যখন মহর্ষি করে তপােবনে আসেন তখন শকুন্তলা তার স্বামী রাজা দুষ্মন্তের চিন্তায় অন্যমনস্ক ছিলেন। ফলে দুর্বাসার উপস্থিতি তিনি বুঝতে পারেননি। শকুন্তলার এরকম আচরণে ঋষি অপমানিত বােধ করেন। তিনি তাকে অভিশাপ দেন যে, যাঁর চিন্তায় শকুন্তলা মগ্ন হয়ে আছেন, সেই
ব্যক্তিই একদিন শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন। শেষপর্যন্ত অবশ্য শকুন্তলার সখী প্রিয়ংবদার অনুরােধে ঋষি দুর্বাসা বলেন যে, রাজার দেওয়া কোনাে স্মৃতিচিহ্ন রাজাকে দেখাতে পারলে তবেই এই অভিশাপের প্রভাব দূর হবে।
2.“শকুন্তলা অপমানিত হলেন রাজসভায়।”—শকুন্তলার এই অপমানের কারণ কী ছিল?
উত্তর: দুষ্মন্ত যখন শকুন্তলাকে বিবাহ করে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন তখন তাকে একটি আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন | কিন্তু অনেক দিন রাজা শকুন্তলার খোজ না নেওয়ায় মহর্ষি কঘের উদ্যোগে শকুন্তলাকে স্বামীর ঘরে পাঠানাের আয়ােজন করা হয়। শকুন্তলার সখীরা মনে করে যে, দুর্বাসার অভিশাপকে ব্যর্থ করার জন্য এই আংটিটিই হবে স্মারকচিহ্ন| কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত যাওয়ার পথে স্নানের সময় শকুন্তলার হাত থেকে আংটিটি খুলে জলে পড়ে যায়। ফলে দুষ্মন্তের রাজসভায় শকুন্তলা কোনাে স্মারকচিহ দেখাতে না পারায় অপমানিত হন।
3.“তবে কি তােকে সদ্ ব্রাহপ বিবেচনা করে রাজা এটা দান করেছেন?"- প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বক্তার এরকম ব্যঙেক্তির কারণ ব্যাখ্যা[ রায়গঞ্জ করােনেশন হাই স্কুল]
উত্তর: ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবর রাজার আংটি চুরি করার কথা অস্বীকার করলে প্রথম রক্ষী আলােচ্য মন্তব্যটি করে । ধীবরের কাছে রাজার নাম খােদাই করা মণিখচিত আংটিটি পেয়ে রাজশ্যালক এবং রক্ষীরা নিশ্চিত হয়ে যায় যে ধীবরই আংটিটি চুরি করেছে। নীচু জাতের মানুষ হওয়ায় অনায়াসেই তাকে চোর সন্দেহ করা হয়। কিন্তু ধীবর সেই চুরির কথা অস্বীকার করলে একজন রক্ষী তাকে ব্যঙ্গ করে
এরকম মন্তব্য করে।
4.“তা তাের জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি।”—কে, কোন প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছে?
উত্তর: ধীবরের কাছে রাজার নাম খােদাই করা মণিখচিত আংটিটি পেয়ে দুই রক্ষী তাকে চোর সাব্যস্ত করে। আত্মপক্ষ সমর্থনে ধীবর নিজের কথা বলতে চাইলেও রক্ষীরা তাকে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে | তখন রাজার শ্যালক তার কাছে পুরাে ঘটনাটি জানতে চাইলে ধীবর জানায় যে সে একজন জেলে জাল, বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে মাছ ধরে সে তার সংসার চালায়। ধীবরের এই জবাব শুনে ব্যঙ্গের সুরে রাজার শ্যালক ধীবরের উদ্দেশে উদ্দিষ্ট মন্তব্যটি করেন।
৫“কীভাবে এই আংটি আমার কাছে এল—তা বললাম।"--বক্তা আংটি পাওয়ার প্রসঙ্গে কী বলেছিল লেখাে৷ v।
অথবা, “ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর ..."-কোন্ ঘটনাক্রমে সে আংটিটি পেয়েছিল?[কুঁচুড়া দেশবন্ধু মেমােরিয়াল হাই স্কুল)
উত্তর: দুমন্তের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য যাত্রাপথে শচীতীর্থে অঞ্জলি দেওয়ার সময় শকুন্তলার হাত থেকে দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটি জলে পড়ে যায়। ঘটনাক্রমে রাজশ্যালক ও রক্ষীরা সেই আংটিটি পায় এক ধীবরের কাছে
ধীবরের কাছে রাজার নাম খােদাই করা রত্নখচিত আংটিটি পেয়ে রক্ষীরা তাকে চোর সাব্যস্ত করে। তখন ধীবর নিজের পেশাগত পরিচয় দেয় এবং বলে যে, একদিন একটা রুই মাছ ধরার পরে সে যখন মাছটি টুকরাে। করেছিল তখন তার পেটের মধ্যে মণিমুক্তাখচিত এই আংটিটি সে দেখতে পায়। তারপরে সেই আংটিটি বিক্রি করার জন্য যখন সে লােককে দেখাচ্ছিল। তখনই রক্ষীরা তাকে ধরেছে।
() “সুতরাং রাজবাড়িতেই যাই'—কে, কেন রাজবাড়িতে যেতে চেয়েছেন?১+২
উত্তর: রাজশ্যালক রাজবাড়িতে যেতে চেয়েছেন} ধীবর রাজরক্ষীদের জানিয়েছিল যে রাজার নাম খােদাই করা রত্নখচিত আংটিটি সে রুই মাছের পেট থেকে পেয়েছে তার কথার সত্যতা যাচাই করার জন্যই রাজশ্যালক রাজবাড়িতে যেতে চেয়েছেন। ধীবরকে নিয়ে সদর দরজায় রক্ষীদের সাবধানে অপেক্ষা করতে বলে রাজশ্যালক জানান যে, আংটি কীভাবে পাওয়া গেল সেসব কথা মহারাজকে জানিয়ে তার আদেশ নিয়ে তিনি ফিরে আসবেন।
১“মহারাজ এ সংবাদ শুনে খুব খুশি হবেন।”—কোন্ সংবাদ শুনে মহারাজ খুশি হবেন?
[রামকৃয় মিশন বিদ্যালয়, নরেন্দ্রপুর]
উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে রক্ষী দুজন প্রশ্নোপ্ত মন্তব্যটি করেছে রাজশ্যালক ধীবরের কাছে আংটি পাওয়ার পরে মহারাজকে সমস্ত ঘটনা জানানাের জন্য গিয়েছিলেন |তখনই রক্ষীরা এই মন্তব্যটি করে। এই মন্তব্যের দুটি দিক আছে। প্রথমত, রাজা তার আংটি ফেরতের কথা শুনে খুশি হবেন৷
দ্বিতীয়ত, রাজার এই মূল্যবান আংটি যে চুরি করেছিল তাকে ধরতে পারায় রাজার খুশি অনেকটাই বেড়ে যাবে।
“মহারাজের হুকুমনামা হাতে নিয়ে এদিকে আসছেন।”——হুকুমনামা’ কী? সে মুকুমনামার কী নির্দেশ ছিল?১+২[দাঁতন হাই স্কুল]
উত্তর:|: এককথায় সুকুমনামা’ বলতে আদেশপত্র বােঝায়।
ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশে রক্ষীরা প্রত্যাশা করেছিল যে মহারাজের সুকুমনামায় ধীবরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার নির্দেশ থাকবে। কিন্তু রাজশ্যালক আসার পরে দেখা যায় সুকুমনামায় জেলেকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
2.3“সূচক, এই জেলেকে ছেড়ে দাও।”—জেলেকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন?[পান্নালাল ইন্সটিটিউশন]
উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের কাছে রাজার নাম খােদাই করারত্নখচিত আংটিটি পাওয়ার পরে রাজশ্যালক এবং রক্ষীরা তাকে চোর সাব্যস্ত করে| আংটি পাওয়ার বিষয়ে ধীবরের কোনাে কথাই তারা শােনে না |কিন্তু রাজশ্যালক রাজাকে বিষয়টি জানালে রাজা বলেন যে, আংটি বিষয়ে ধীবর যা বলেছে সবই সত্য। অর্থাৎ মাছের পেট থেকেই সে আংটিটি পেয়েছে। সে কারণে রাজা ধীবরকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
4. মুহূর্তের জন্য রাজা বিহ্বলভাবে চেয়ে রইলেন।”—কোন্ সময়েরাজার এমন বিহ্বল অবস্থা হয়েছিল?
উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবরের কাছে রাজার নাম খােদাই করা রত্নখচিত আংটিটি পেয়ে রাজশ্যালক এবং রক্ষীরা ধীবরকেই চোর সাব্যস্ত করে এবং রাজশ্যালক পুরাে বিষয়টি রাজাকে জানানাের জন্য যায়। কিন্তু আংটি সম্পর্কে ধীবরের বলা কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য রাজার কাছে গেলে ধীবরের সব কথা সত্য বলে প্রমাণিত হয়। আংটির দিকে তাকিয়ে রাজার কোনাে প্রিয়জনের কথা মনে পড়ে যাওয়ায় স্বভাবে গম্ভীর প্রকৃতির হলেও ওই মুহূর্তে তিনি বিহ্বল হয়ে পড়েন।
ধীবর বৃত্তান্ত বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির বাংলা নাটক 5 নং প্রশ্ন উত্তর
২সখীরা মনে করলেন সেই ভ্রাংটিই হবে ভবিষ্যতের স্মারকচিহ্ন”- এখানে কোন্ আংটির কথা বলা হয়েছে? আংটিটি কীভাবে খােয়া গিয়েছিল?১+8
উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশের উল্লিখিত অংশে দুষ্মন্ত রাজধানীর উদ্দেশে যাওয়ার সময়ে বিদায় মুহূর্তে শকুন্তলাকে যে আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন সেই আংটির কথা বলা হয়েছে। শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে যাওয়ার পরে দীর্ঘকাল শকুন্তলার খোঁজ নিতে কোনাে দূত আসে না। এইসময় ঋষি দুর্বাসা তপােবনে এলে স্বামীর চিন্তায় অন্যমনস্কাশকুন্তলা তা টের পান না। অপমানিত দুর্বাসা অভিশাপ দেন যে যার চিন্তায় শকুন্তলা মগ্ন সেই ব্যক্তি শকুন্তলাকে। ভুলে যাবেন। শেষ অবধি শকুন্তলার সখীদের অনুরােধে দুর্বাসা বলেন যে, কোনাে নিদর্শন দেখাতে পারলে তবেই শাপের প্রভাব দূর হবে৷ সখীরা দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটাকেই এই স্মারকচিহ্ন বলে ধরে নেয়। মহর্ষি কশ্ব তীর্থ থেকে ফিরে যখন শকুন্তলাকে স্বামীর ঘরে পাঠানাের আয়ােজন করেন তখন আংটিটাই হয় শকুন্তলার সম্বল। কিন্তু পথে শচীতীর্থে স্নানের পরে অঞ্জলি দেবার সময়ে শকুন্তলার হাত থেকে খুলে আংটিটি জলে পড়ে যায়।
এইভাবেই আংটিটি খােয়া যায়।
2.“ঘটনাক্রমে সেই আংটি পেল এক ধীবর,”—কার আংটি সে পেয়েছিল? আংটি হারিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যে ইতিহাসটি আছে তা লেখাে।১+৪ [হেয়ার স্কুল]
উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবরটি যে আংটিটি পেয়েছিল তা ছিল রাজা দুষ্মন্তের।
) কালিদাসের ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নামক নাট্যাংশে ধীবরের আংটি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে এক দীর্ঘ কাহিনি রয়েছে। মহর্ষি কথের অনুপস্থিতিতে আশ্রমকন্যা শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজা দুষ্মন্ত রাজধানীতে ফিরে যান | তারপরে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও তিনি শকুন্তলার খোঁজ করেন না। একদিন ঋষি দুর্বাসা করে আশ্রমে এলে স্বামীর চিন্তায় মগ্ন শকুন্তলা তার উপস্থিতি টেরই পান না। অপমানিত ঋষি অভিশাপ দেন যে যাঁর চিতায় শকুন্তলা মগ্ন হয়ে আছেন তিনি শকুন্তলাকে ভুলে যাবেন। পরে সখী প্রিয়ংবদার অনুরােধে অভিশাপ কিছুটা লঘু করে দুর্বাসা বলেন যে, শকুন্তলা যদি প্রিয়জনকে কোনাে স্মৃতিচিহ্ন দেখাতে পারেন তাহলে তিনি এই অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে যাবেন | শকুন্তলার কাছে থাকা দুষ্মন্তের দেওয়া আংটিটাই স্মৃতিচিহ্ন বলে সখীরা ভেবে নেন। মহর্ষি কপ্ন তীর্থ থেকে ফিরে শকুন্তলাকে পতিগৃহে পাঠানাের উদ্যোগ নেন। কিন্তু যাওয়ার সময়ে শচীতীর্থে স্নানের পরে অঞ্জলি দিতে গিয়ে শকুন্তলার হাত থেকে আংটিটি ধুলে জলে পড়ে যায়। ফলে দুমন্ত শকুন্তলাকে আর চিনতে পারেন না। ওদিকে, এক ধীবর মাছ ধরতে গিয়ে একটা রুই মাছ ধরে এবং তার এই আংটিটি পায়।
“যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে, সেই বৃত্তি নিন্দনীয় (ঘৃণ্য) হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।”—কে, কোন্ প্রসঙ্গে মন্তব্যটি করেছে? এখানে বক্তার চরিত্রের যে বৈশিষ্ট্য প্রকাশিত হয়েছে তা আলােলা করাে।
উত্তর: কালিদাসের 'ধীবর বৃত্তান্ত' নামক নাট্যাংশে বন্দি ধীবর রাজার শ্যালক এবং রক্ষীদের জানিয়েছিল যে সে জাল, বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে মাছ ধরে সংসার চালায়। তখন রাজার শ্যালক তার জীবিকা যুবই পবিত্র বলে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করতে থাকে। এই বিদ্রুপের পরিপ্রেক্ষিতেই ধীবর (পুরুষ) চরিত্রটি রাজার শ্যালককে উদ্দেশ্য করে প্রশ্নোধৃত মন্তব্যটি করেছে।
ধীবর তার এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রবল আত্মসম্মানবােধেরই পরিচয় দিয়েছে। সে রাজশ্যালককে তার পেশা নিয়ে কোনােরকম নিন্দাসূচক কথা বলতে অনুরােধ করে। বেদজ্ঞ ব্রায়ণের উদাহরণ দিয়ে সে বলে যে ব্রায়ণ স্বভাবে দয়াপরায়ণ হলেও যজ্ঞের পশুবধের সময় নির্দয় হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোনাে পেশাই সম্পূর্ণ শ্রদ্ধার হতে পারে না, সেটির কিছু নেতিবাচক দিকও রয়েছে। এভাবেই সে নিজের পেশাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
৫. “এখন মারতে হয় মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন|'—বক্তা কে? উক্তির প্রেক্ষাপটে বক্তার চরিত্র আলােচনা করাে।১+8
উত্তর: প্রশ্নোপ্ত মন্তব্যটির বস্তা ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশের অন্যতম চরিত্র ধীবর৷
} ধীবরের কাছে মণিখচিত ও রাজার নাম খােদাই করা আংটিটি দেখে রাজশ্যালক এবং দুই রক্ষী তাকে চোর বলে সাব্যস্ত করে। ধীবর চুরির দায় অস্বীকার করায় তারা তার জাতি পরিচয় নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রুপ করে।
ধীবর তখন নিজের পেশাগত পরিচয় দেয়। যদিও তার জন্য তাকে অনেক তির্যক ব্যঙ্গ শুনতে হয়। তখনই এই ধরনের কথার বিরােধিতা করে ধীবর জানায় যে একটি রুইমাছকে টুকরাে করে কাটার সময়ে তার পেটের ভিতরে সে আংটিটি পেয়েছে। পরে সে তা বিক্রি করার সময় তাকে ধরা হয়েছে।
এই কথাগুলি বলার পরই ধীবর প্রশ্নোপ্ত মন্তব্যটি করেছিল, যা প্রমাণ করে সে সৎ, স্পষ্টবাদী, আত্মবিশ্বাসী এবং একই সঙ্গে নম্র, ভদ্র-ও | সে রুক্ষভাবে, কর্কশ স্বরে তার বিরুদ্ধে ওঠা অনৈতিক অভিযােগের জবাব দেয়নি৷ বদলে বিনীতভাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
২এই তাে আমাদের প্রভু, মহারাজের সুকুমনামা হাতে নিয়ে এদিকে আসছেন।"~'আমাদের প্রভু' বলতে এখানে কার কথা বলা হয়েছে? মহারাজের হ্রকুম শেষপর্যন্ত কীভাবে বক্তাকে হতাশ করে তা নেখাে| ১+8
উত্তর: কালিদাসের 'ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে 'আমাদের প্রভু বলতে দ্বিতীয় রক্ষী নগররক্ষার দায়িত্বে থাকা রাজার শ্যালকের কথা বলেছে ) রক্ষীরা আংটি চুরির অপরাধে ধীবরকে ধরে নিয়ে আসে এবং রাজার আদেশে তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য মহা উৎসাহে অপেক্ষা করতে থাকে। রাজশ্যালক রাজার কাছে গিয়েছিলেন আংটি পাওয়ার ঘটনা সবিস্তারে জানাতে |তাই রক্ষীরা অপেক্ষা করছিল ধীবরকে শকুনি দিয়ে খাওয়ানাে হবে কি কুকুর দিয়ে খাওয়ানাে হবে, সেই নির্দেশ পাওয়ার জন্য। কিন্তু রক্ষীদের অপেক্ষা শেষপর্যন্ত হতাশায় পরিণত হয়। কারণ, রাজার কাছ থেকে ঘুরে এসে রাজশ্যালক জানান যে আংটি পাওয়ার বিষয়ে ধীবর যা যা বলেছে তা সবই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। ফলে রাজা ধীবরকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মহারাজ খুশি হয়ে আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ ধীবরকে দিয়েছেন বলেও শ্যালক জানান। এভাবেই মহারাজের হুকুম বক্তাকে অত্যন্ত হতাশ করেছিল।
১আংটি পাওয়ার পরে ধীবরের যে যে অডিতাে হয়েছিল তা নিজের সাষায় লেখাে।[ হিন্দু স্কুল]
উত্তর: কালিদাসের ‘ধীবর বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে ধীবরের কাছে রাজার নাম খােদাই করা মশিখচিত আংটি দেখে নগররক্ষায় নিযুক্ত রাজার শ্যালক এবং দুজন রক্ষী পিছনে হাত বেঁধে তাকে তাকে নিয়ে আসেন। ধীবর আংটি চুরি করেনি জানালেও তারা তা বিশ্বাস করেন না। প্রথম রক্ষী বিদ্রুপ করে জানতে চায় তাকে সাষণ মনে করে রাজা আংটিটা দান করেছেন কি না। ধীবর এইসময় রক্ষীদের তীব্র ব্যঙ্গবিদ্রুপের মুখে পড়ে। সে জাল, বড়শি ইত্যাদি তাকে ‘চোর’ সাব্যস্ত করেন | ধীবরের ব্যাখ্যা তারা শুনতেই চান না। রাজার। শ্যালক রাজাকে সমস্ত ঘটনা জানাতে রাজপ্রাসাদে যায়। কিন্তু ধীবরের সব কথাই সত্য প্রমাণিত হয়। এই সময়ই রাজা তার আংটিটি স্বচক্ষে দেখেন। দুর্বাসা মুনির কথামতাে এই স্মৃতিচিহ্ন দেখেই রাজা দুষ্মন্তের শকুন্তলার কথা। মনে পড়ে যায়। রাজপ্রাসাদ থেকে ফিরে রাজশ্যালক এসব কথাই রক্ষীদের উদ্দেশে বলেন |
আংটি দেখে স্বভাবত গম্ভীর প্রকৃতির রাজা মুহুর্তের জন্য বিব্রলভাবে চেয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, তার মনে যে উচ্ছাস তৈরি হয় তার ফলে তিনি ধীবরকে আংটির মূল্যের সমপরিমাণ অর্থও পুরস্কার হিসেবে দেন। আংটিটি রাজার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা রাজার এই আচরণ থেকে সহজেই অনুমান করা যায়। আংটির মূল্য নয়, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা স্মৃতিই এেেত্র রাজাকে আবেগপ্রবণ করে তুলেছিল।
২ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যদৃশ্যে ধীবরের চরিত্রকে যেভাবে পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখাে || ঐ[দাঁতন হাই স্কুল; জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল; বাঁকুড়া জেলা স্কুল]
উত্তর: কালিদাসের লেখা 'ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে ধীবর চরিত্রটির গুরুত্ব নাট্যাংশটির শিরােনাম থেকেই স্পষ্ট হয়। কাহিনির ঘটনাপ্রবাহ যেদিকে যায়।তা থেকে ধীবর চরিত্রের নানা বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে৷
পেশার প্রতি মর্যাদাবােধ: ধীবর চরিত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল তার নিজের পেশার প্রতি মর্যাদাবােধ। তাই রাজার শ্যালক ব্যঙ্গ করে “তাের জীবিকা বেশ পবিত্র বলতে হয় দেখছি” মন্তব্য করলে ধীবর দৃঢ়তার সঙ্গে বলে, “...এরকম বলবেন না। যে বৃত্তি নিয়ে যে মানুষ জন্মেছে, সেই বৃত্তি নিন্দনীয় (ঘৃণ্য) হলেও তা পরিত্যাগ করা উচিত নয়।” ধীবরের এই উক্তি সাহস এবং আত্মমর্যাদার পরিচায়ক।
সততা; ধীবর চরিত্রের সততার দিকটিও উল্লেখযােগ্য। আংটি পাওয়ার বিষয়ে সেরাজশ্যালক এবং রক্ষীদের যা যা বলেছে পরবর্তীকালে সবই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। সততার অহংকারও ধীবরের ছিল। তাই রুই মাছের পেটের
ভিতরে আংটি পাওয়ার কথা উল্লেখ করে সে বলেছে, “এখন মারতে হয়, মারুন, ছেড়ে দিতে হয় ছেড়ে দিন।” স্পষ্টভাষী ধীবর চুরির অভিযােগ থেকে মুক্তি পেয়ে বিনা দোষে তার প্রতি অবিচারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে
রাজশ্যালককে বলেছে, “...আজ আমার সংসার চলবে কীভাবে?” এইভাবে ধীবর চরিত্রটি কাহিনিতে বারেবারেই তার নিজস্বতা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।
৫নাট্যকাহিনিতে উপস্থিত না থেকেও রাজা দুষ্মন্ত কীভাবে কাহিনিকে প্রভাবিত করেছেন তা আলােচনা করাে।
উত্তর: কালিদাসের ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে অনুপস্থিত থেকেও রাজা দুষ্মন্ত সমস্ত ঘটনাধারাকে নিয়ন্ত্রিত ও প্রভাবিত করেছেন| আংটি পাওয়ার বিষয়ে ধীবরের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করে দেখতে রাজশ্যালক ওরক্ষীরা তাকে নিয়ে রাজবাড়িতে রাজার কাছে যান। বেশ কিছুটা সময় পরে তিনি রাজার আদেশ নিয়ে ফেরেন এবং রক্ষীদের জেলেটিকে ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
রাজার পাঠানাে পুরস্কারও রাজশ্যালক জেলেটির হাতে তুলে দেন। এইভাবেই নাট্যাংশের পরিণতি লক্ষ করা যায় | চুরির অভিযােগে বন্দি জেলেটি বহু লাঞ্ছনা, অপবাদ ও বিদ্রুপ সহ্য করার পর এভাবেই মুক্তি পায় ও রাজার কাছে পুরস্কৃত হয়। স্বভাবত গম্ভীর প্রকৃতির রাজাকে রাজশ্যালক আংটিটা দেখালে তিনি মুহুর্তের জন্য বিহ্বল হয়ে পড়েন। সেই ঘটনার উল্লেখ করে নাট্যকাহিনিতে সুকৌশলে তার ফেলে আসা দিনগুলির চকিত আভাস দেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞান শকুন্তলম্ নাটকের কাহিনি ‘অভিজ্ঞানস্বরূপ আংটিটির হারিয়ে যাওয়া ও সেটির ফিরে পাওয়াকে কেন্দ্র করে রচিত। ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশটিতে রাজা চরিত্রটি সরাসরি উপস্থিত নন। কিন্তু অভিযুক্ত জেলেটিকে সুবিচার দেওয়া ও পুরস্কৃত করার মাধ্যমে তিনি উপস্থিত না থেকেও নাট্যকাহিনিতে নিজের প্রভাব ও গৌরব বজায় রেখেছেন।
2.রাজার কাছে ধীবরের পাওয়া আংটিটির গুরুত্ব যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা নিজের ভাষায় আলােচনা করাে। [বহরমপুর কে এন কলেজ স্কুল]
উত্তর: ‘ধীবরবৃত্তান্ত’ নাট্যাংশটিতে শাবতারবাসী এক ধীবর কীভাবে রাজার নাম খােদাই করা মণিমুক্তাখচিত একটি আংটি বিক্রি করার সময় ধরা পড়ল এবং কীভাবেই বা মুক্তি পেল, সেই বৃত্তান্ত রয়েছে| মহর্ষি কশ্বর তপােবনে শকুন্তলাকে বিয়ে করে রাজধানীতে ফেরার সময় রাজা দুষ্মন্ত শকুন্তলাকে একটি আংটি উপহার দেন। দীর্ঘদিন রাজধানী থেকে কেউ শকুন্তলার খোঁজ না নেওয়ায় অস্থির শকুন্তলা দুষ্মন্তের চিন্তায় আনমনা হয়ে পড়েন। এমনই সময় মহর্ষির আশ্রমে ঋষি দুর্বাসার আগমন ঘটলে স্বামীর চিন্তায় মগ্ন শকুন্তলা তার উপস্থিতি খেয়াল করেন না। এই ঘটনায় অপমানিত ঋষি অভিশাপ দেন, যাঁর চিন্তায় তিনি মগ্ন, সেই ব্যক্তি তাকে ভুলে যাবেন।
শকুন্তলার প্রিয়সখী প্রিয়ংবদার অনুরােধে ঋষি জানান, কোনাে নিদর্শন দেখাতে পারলে তবেই এই শাপের প্রভাব দূর হবে। একদিন এক ধীবরের কাছ থেকে শকুন্তলাকে দেওয়া রাজার আংটিটি উদ্ধার হয় এবং রাজশ্যালক সেটি রাজার কাছে নিয়ে এলে সেই শাপের প্রভাব দূর হয়।রাজার সমস্ত ঘটনা মনে পড়ে যাওয়ার তিনি শকুন্তলার চিন্তায় বিহ্বল হয়ে পড়েন।তার যে কোনাে প্রিয়জনের কথা মনে পড়েছে, রাজশ্যালকও তা বুঝতে পারেন৷ স্মৃতি ফিরে আসায় উচ্ছ্বসিত রাজা ধীবরকে আংটির সমান
দামের অর্থ পুরস্কার হিসেবে দান করেন। রাজার কাছে আংটিটির গুরুত্ব যে কতটা—তা এভাবেই নাট্যদৃশ্যে প্রতিফলিত হয়েছে৷