পরমাণুর গঠন ও পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

 পরমাণুর গঠন ও পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Physical science 4th chapter question in bengali  pdf


পরমাণুর গঠন ও পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |
]

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞানের চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় পরমাণুর গঠন ও পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ প্রশ্ন উত্তর PDFclass 9 Physical  science fourth chapter question Pdf in bengali | WB Class nine Physical  science question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ভৌত বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় পরমাণুর গঠন ও পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Physical  science structure and properties structure of atom and physical and chemical properties important Question in Bengali Pdf  ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।



নবম শ্রেণি ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]

নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায়  অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর

                পরমাণুর গঠন

     

1.জে জে থমসনের পরমাণু মডেল (J. J. Thomson's model of an atom):

ইলেকট্রন আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানী থমসন একটি পরমাণু মডেলের  উপস্থাপনা করেন। তাঁর

মতে–

i.পরমাণুকে একটি ধনাত্মক আধানে আহিত ক্ষুদ্র গোলক হিসেবে ভাবা যায় যার মধ্যে প্রোটন গুলি রয়েছে।

ii.ইলেকট্রন কণাগুলি এই গোলকের মধ্যে ছড়ানো রয়েছে। স্থূলভাবে ভাবা যায় একটি তরমুজ যদি ধনাত্মক আধানে আহিত গোলক হয়, তাহলে তার মধ্যে থাকা বীজগুলি হল ইলেকট্রন।

iii.প্রোটনের জন্য মোট ধনাত্মক আধান এবং

ইলেকট্রনগুলির জন্য মোট ঋণাত্মক আধান

পরস্পরকে প্রশমিত করে। ফলশ্রুতি হিসেবে সার্বিকভাবে পরমাণুটি তড়িৎ-নিরপেক্ষ হয়।

 

সীমাবদ্ধতা: এই পরমাণু মডেলটির পরীক্ষালব্ধ কোনো ভিত্তি নেই। কেবলমাত্র তড়িৎ-নিরপেক্ষতা

ধর্ম ছাড়া, পারমাণবিক অন্যান্য সব ঘটনার ব্যাখ্যা এই মডেল দিতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই এই মডেলটি‌ সর্বজনগ্রাহ্য হয়নি।

 

2.রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের ত্রুটি (Defects of Rutherford's atomic model):

i.ধনাত্মক নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঋণাত্মক ইলেকট্রনগুলি বৃত্তাকার কক্ষপথে আবর্তন করতে

থাকলে ইলেকট্রনগুলি সর্বদা নিরবচ্ছিন্নভাবে শক্তি বিকিরণ করতে থাকবে। ফলে ইলেকট্রনগুলির কক্ষপথের ব্যাসার্ধ ক্রমাগত কমতে থাকবে এবং একসময় ইলেকট্রনগুলি নিউক্লিয়াসের ওপর আছড়ে পড়বে। তখন পরমাণুটি নিশ্চিহ্ন হবে।

ii.রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল অনুসারে ত্বরান্বিত ইলেকট্রনের নিরবচ্ছিন্ন বিকিরণের কারণে পরমাণু‌ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বর্ণালি উৎপন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু পরীক্ষায় হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে বিচ্ছিন্ন বর্ণালি বা রেখা বর্ণালি পাওয়া যায়। তাই এই পরমাণু মডেল পরীক্ষালব্ধ হাইড্রোজেন পরমাণুর রেখা বর্ণালি ব্যাখ্যা করতে পারে না।

 

3.পারমাণবিক সংখ্যা:

কোনো মৌলের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে যতগুলি প্রোটন থাকে, সেই সংখ্যাটিকে মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা বলে।

পারমাণবিক সংখ্যা হল মৌলের স্বকীয় ধর্ম। দুটি বিভিন্ন মৌলের পারমাণবিক সংখ্যা কখনোই এক হয় না। মৌলের রাসায়নিক ধর্ম এর ওপর নির্ভর করে।

 

4.পরমাণুর ভরসংখ্যা (Mass number of atom):

পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যে প্রোটন এবং নিউট্রনের মোট সংখ্যাই হল ওই পরমাণুর ভরসংখ্যা।

5.আইসোবার বা সমভর:

একই ভরসংখ্যাবিশিষ্ট কিন্তু আলাদা আলাদা পরমাণু ক্রমাঙ্কবিশিষ্ট বিভিন্ন মৌলের পরমাণুগুলিকে‌ পরস্পরের আইসোবার বা সমভর বলে।

 

6.আইসোটোন:

দুটি মৌলের পরমাণুর ভরসংখ্যা এবং পারমাণবিক সংখ্যা উভয়েই বিভিন্ন অথচ নিউট্রন সংখ্যা সমান হলে এদের আইসোটোন বলা হয়। এদের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম বিভিন্ন হয়ে থাকে।

 

7.নিউক্লিয় বল:

যে বল নিউক্লিয়াসের ক্ষুদ্র পরিসরের মধ্যে ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটনগুলিকে বেঁধে রাখে, তাকে নিউক্লিয় বল বলে। এই বল নিউক্লিয়াসকে স্থিতিশীল করে।

 

8.নিউক্লিয় বলের বৈশিষ্ট্যঃ

i.নিউক্লিয় বল সঠিকভাবে আকর্ষণী বল; তা না হলে কেবল প্রোটন-প্রোটন বিকর্ষণে নিউক্লিয়াস ভেঙে যেতে পারত।

ii.নিউক্লিয় বল তড়িৎ বা তড়িৎচুম্বকীয় বলের প্রকৃতি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

iii.নিউক্লিয় বল আজ পর্যন্ত জানা যে-কোনো বল অপেক্ষা অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন।

iv. পরমাণুর নিউক্লিয়াসের মধ্যেই আবদ্ধ থাকে।

 

9.অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

1.একটি নিউট্রন কণার আধান কত?

2.একটি পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস 2, 8, 3; পরমাণুটির পারমাণবিক সংখ্যা কত?

3.তৃতীয় বোর কক্ষে (n =3) সর্বোচ্চ কয়টি ইলেকট্রন থাকতে পারে?

 

10.সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

1.রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল-এর দুটি ত্রুটি উল্লেখ করো।

2.পরমাণুর মধ্যে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রনের

অবস্থান কোথায়? উপযুক্ত চিত্রসহ লেখো।

3.আইসোটোন কাকে বলে?

4.তেজস্ক্রিয় মৌল থেকে নির্গত তিনটি তেজস্ক্রিয় রশ্মির নাম করো।

5.ভরসংখ্যা ও পারমাণবিক সংখ্যার মধ্যে সম্পর্ক কী?

6.নিউক্লিয় বল কী?

7.আইসোটোপের দুটি ব্যবহার লেখো।

8.পরমাণু নিস্তড়িৎ হয় কেন?

9.আয়নন বিভব কাকে বলে?

 

11.দীর্ঘ উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

1.আয়ন কাকে বলে? আয়ন কয় প্রকার ও কি কি?

2.কোনো মৌলের ভরসংখ্যা 23 এবং নিউট্রন

সংখ্যা 12 হলে, মৌলটির পরমাণু সংখ্যা কত? মৌলটির নাম ও চিহ্ন লেখো।

3.নীচের কোন্‌টি ধনাত্মক কোন্‌টি

ঋণাত্মক, কোন্‌টি নিস্তড়িৎ তা নির্বাচন করো—ইলেকট্রন, a-কণা, y-রশ্মি, প্রোটন, নিউট্রন, B-কণা।

4.পরমাণুর গঠন সংক্রান্ত বোরের স্বীকার্যগুলি বিবৃত কর।

5.রাদারফোর্ডের a-কণা বিচ্ছুরণ পরীক্ষার সিদ্ধান্তগুলি লেখো।

 

চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় পরমাণুর গঠন ও পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ বড় প্রশ্ন উত্তর,

                    মৌলের ধারণা

 

1.মৌলিক অণু :

 একই মৌলিক পদার্থের এক বা একাধিক পরমাণু দ্বারা গঠিত অণুকে মৌলিক অণু বলে। মৌলিক অণুতে উপস্থিত পরমাণুর সংখ্যাকে মৌলিক অণুর পারমাণবিকতা বলে ৷

 

2.গ্রাম-পারমাণবিক ভৱ:

কোনো মৌলিক পদার্থের পারমাণবিক ভরকে গ্রামে প্রকাশ করলে যত গ্রাম

হয়, তত গ্রাম ভরের মৌলিক পদার্থকে পদার্থটির গ্রাম-পারমাণবিক ভর বলে। 

 

3.গ্রাম-পরমাণু:

কোনো মৌলের পারমাণবিক ভরের সংখ্যাগতভাবে সমান পরিমাণ পদার্থকে গ্রামে প্রকাশ করলে, তাকে মৌলের 1 গ্রাম-পরমাণু বলা হয়।

 

4.গ্রাম-আণবিক ভর:

কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের গ্রামে প্রকাশিত আণবিক ভরকে পদার্থটির গ্রাম- আণবিক ভর বলে।

 

5.গ্রাম-অণু বা গ্রাম-মোল:

কোনো মৌলিক বা যৌগিক পদার্থের আণবিক ভরের সংখ্যাগতভাবে সমান পরিমাণ পদার্থকে গ্রামে প্রকাশ করলে, তাকে 1 গ্রাম-অণু বা 1 গ্রাম-মোল বলা হয়।

 

6.অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা:

 1 গ্রাম-অণু সকল মৌলিক বা যৌগিক পদার্থে (কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়‌ সমসংখ্যক অণু বর্তমান। এই সংখ্যাকে অ্যাভোগাড্রো সংখ্যা (NA) বলে।

 নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর


7.অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

1.300K তাপমাত্রা ও 5 atm চাপে 10L নাইট্রোজেন গ্যাসে অণুর সংখ্যা x হলে, একই তাপমাত্রা ও চাপে 10L অক্সিজেন গ্যাসের অণু সংখ্যা কত হবে?

2..মোল সোডিয়াম ও 1 মোল অক্সিজেনের ভর কি সমান হবে?

3.মোল কথাটির অর্থ কী?

4.STP-তে 2.24L কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাসের মধ্যে কতগুলি অণু থাকবে?

5.অ্যাভোগাড্রো সংখ্যার মান কত?

6.1 মিলিমোল ইলেকট্রন বলতে কতগুলি ইলেকট্রনকে বোঝায়?

7.‘অক্সিজেনের পারমাণবিক ভর 16' বলতে কী বোঝো?

8.অ্যাভোগাড্রো প্রকল্প/সূত্রটি বিবৃত কর।                   

     

                        দ্রবণ

 

1.দ্রবণ:

দুটি বা তার বেশি পদার্থ (কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়) একসঙ্গে মিশে যদি একটি সমসত্ত্ব মিশ্রণ

তৈরি করে, এবং মিশ্রণটির উপাদানগুলির আপেক্ষিক পরিমাণ যদি একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পরিবর্তিত‌ করা সম্ভব হয় তবে ওই সমসত্ত্ব মিশ্রণটিকে দ্রবণ বলে। দ্রবণের দুটি অংশ দ্রাব ও দ্রাবক।

 

2.প্রলম্বন:

ক্ষুদ্র আকারের দ্রাব কণা (ব্যাস 106 cm বা তার চেয়ে বেশি) কোনো দ্রাবকে দ্রবীভূত

না হয়ে সমগ্র দ্রাবকের মধ্যে বিস্তৃত অবস্থায় থেকে যে অসমসত্ত্ব এবং অস্থায়ী মিশ্রণ তৈরি করে, তাকে‌ প্রলম্বন বা সাসপেনশন বলে।

 

3.প্রলম্বনের বৈশিষ্ট্য :

i.প্রলম্বন বা সাসপেনশন হল একটি অসমসত্ত্ব (heterogeneous) মিশ্রণ।

ii.এই মিশ্রণে দ্রাব কণাগুলির আকার তুলনামূলকভাবে বড়ো (100 nm-এর বেশি)।

মাধ্যমে প্রলম্বিত কণাগুলি খালিচোখে দৃশ্যমান।

iii.সাসপেনশনে প্রলম্বিত কণা ফিলটার কাগজ বা পার্চমেন্ট কাগজ-এর মধ্য দিয়ে যেতে পারে না।

তাই পরিস্রাবণ দ্বারা প্রলম্বিত কণাগুলিকে পৃথক করা যায়।

iv.সাসপেনশন মিশ্রণকে অস্থির (unstable) মিশ্রণ বলা যায়। বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করলে প্রলম্বিত কণাগুলি থিতিয়ে পড়ে।

v.সাসপেনশনের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান আলো পাঠালে তা বিচ্ছুরিত হয়। একে টিভ্যাল প্রভাব বলে।

vi.প্রলম্বিত কণাগুলির ক্ষেত্রে ব্রাউনীয় গতি দেখা যায়।

 

4.কোলয়েড (Colloid):

 কোনো অসমসত্ত্ব মিশ্রণে যখন দ্রাব কণাগুলির আকার প্রকৃত দ্রবণে থাকা দ্রাব কণার আকার অপেক্ষা বড়ো, কিন্তু প্রলম্বন-এর দ্রাব কণাগুলির আকার অপেক্ষা ছোটো হয় (10-7-10-5cm), তখন সেই অসমসত্ত্ব মিশ্রণকে কোলয়ডীয় দ্রবণ বলে এবং দ্রাব কণাগুলিকে কোলয়েড কণা বলে।

 

5.কোলয়েডের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of colloid):

i.কোলয়েড মিশ্রণ আপাতদৃষ্টিতে সমসত্ত্ব মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি অসমসত্ত্ব।

ii.কোলয়েড কণাগুলির ব্যাস 107 cm থেকে 105 cm-এর মধ্যে থাকে।

iii.সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে কোলয়েড কণা দেখা যায় না; শক্তিশালী পরা-অণুবীক্ষণ দিয়ে দেখা যায়।

iv.কিন্তু ফিলটার কাগজের ভেতর দিয়ে কোলয়েড

কণাগুলি কোলয়েড কণাগুলি পার্চমেন্ট কাগজ

উদ্ভিজ বা প্রাণীজ ঝিল্লির ভেতর দিয়ে যেতে পারে না। তাই পরিস্রাবণ পদ্ধতিতে কোলয়েড

মিশ্রণ বেরিয়ে যেতে পারে। কোলয়েড কণা পৃথক করা যায় না।

v.কোলয়েড মিশ্রণের বিস্তার মাধ্যম জল হলে মিশ্রণটিকে সল (sol) বলে। এরূপ সল জেলির মতো হলে, তাকে (gel) বলে। কোলয়েড মিশ্রণে বিস্তৃত দশা এবং বিস্তার মাধ্যম উভয়েই তরল হলে

তাকে ‘ইমালসন' বলে।

 

6.দ্রাব্যতা বা দ্রবণীয়তা:

কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় (গ্যাসের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট উন্নতা ও চাপে) কোনো দ্রাবকে সর্বাধিক যত গ্রাম

দ্রাব দ্রবীভূত হয়ে একটি সম্পৃক্ত দ্রবণ তৈরি করে, দ্রাবের সেই গ্রাম-সংখ্যাকে ওই উন্নতায় ওই দ্রাবকে‌ দ্রাবের দ্রাব্যতা বা দ্রবণীয়তা বলে।

 

7.অসম্পৃক্ত দ্রবণকে সম্পৃক্ত করার পদ্ধতিঃ

i.দ্রবণে আরও দ্রাব যোগ করলে দ্রবণটি একসময় সম্পৃক্ত হয়।

ii.দ্রবণটিকে উত্তপ্ত করলে, দ্রাবক বাষ্পীভূত হয়ে যায়, ফলে দ্রবণে দ্রাবকের পরিমাণ কমে যায়,

অথচ দ্রাবের পরিমাণ ঠিক থাকে। ফলে পূর্বের উন্নতায় আনলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত হয়ে যায়।

iii.ঠান্ডা করতে থাকলে দ্রবণটি একটি নির্দিষ্ট উয়তায় সম্পৃক্ত হয়ে যায়।

 

8.সম্পৃক্ত দ্রবণকে অসম্পৃক্ত দ্রবণে পরিণত করার পদ্ধতি:

i.সম্পৃক্ত দ্রবণকে উত্তপ্ত করে উন্নতা বাড়ালে উচ্চতর উন্নতায় ওই দ্রবণ অসম্পৃক্ত হয়ে যায়।

ব্যতিক্রম। উন্নতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব পদার্থের দ্রাব্যতা কমে, তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম

ঘটে না।

ii.দ্রবণটিতে অতিরিক্ত দ্রাবক যোগ করলে ওই উন্নতায় সম্পৃক্ত দ্রবণটি অসম্পৃক্ত হয়ে যায়।

 

9.সম্পৃক্ত, অসম্পৃক্ত এবং অতিপৃক্ত দ্রবণ শনাক্ত করার উপায়:

i.দ্রবণে মিশ্রিত দ্রাব যদি দ্রবীভূত না হয়ে দ্রবণের তলায় থিতিয়ে পড়ে এবং দ্রবণের গাঢ়ত্ব

অপরিবর্তিত থাকে তাহলে দ্রবণটি সম্পৃক্ত।

ii.দ্রবণে মিশ্রিত দ্রাব যদি আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং দ্রবণের গাঢ়ত্ব বাড়ে,

তাহলে দ্রবণটি অসম্পৃক্ত।

iii.দ্রবণে মিশ্রিত দ্রাব নিজে দ্রবীভূত না হয়ে দ্রবণ থেকে আরও কিছু দ্রাবকে পৃথক করে এবং

দ্রবণের গাঢ়ত্ব কমে যায়, তাহলে দ্রবণটি অতিপৃক্ত।

 

10.কেলাস:

নির্দিষ্ট জ্যামিতিক আকৃতিবিশিষ্ট নির্দিষ্ট সংখ্যক সমতল পৃষ্ঠ দ্বারা সীমাবদ্ধ সমসত্ত্ব কঠিন

পদার্থের দানাকে কেলাস বলে।

 

12.অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

1.ঘরের উন্নতায় তৈরী একটি সম্পৃক্ত দ্রবণকে বরফে ঠাণ্ডা করলে কী ঘটে?

2.একটি উদ্‌গ্রাহী পদার্থের নাম লেখো।

3.প্রাণীদের রক্ত কী দ্রবণ?

4.একটি কেলাসাকার পদার্থের নাম লেখো। 5.একটি অ-জলীয় দ্রাবকের নাম লেখো।

6.উদাহরণ দাও: [i] উয়তা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা হ্রাস, [ii] উন্নতা বৃদ্ধিতে দ্রাব্যতা বৃদ্ধি।

 

13.সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন:

1.‘জলকে সর্বজনীন দ্রাবক বলা যায়'—ব্যাখ্যা কর।

2.কালয়েড কী? উদাহরণ দাও

3.একটি অবদ্রব কারক এর নাম লেখো।

4.দ্রাব্যতার সংজ্ঞায় উন্নতার উল্লেখ থাকে কেন?

5.টিল্ডাল প্রভাব কী?ব্রাউনীয় গতি কী? 6.অ-জলীয় দ্রাবক বলতে কী বোঝো?

7. ইমালশন বা অবদ্রব কি? একটি অভবদ্রব কারক এর নাম লেখ।

 

14.দীর্ঘউত্তরধর্মী প্রশ্ন:

1.দ্রাব্যতা লেখ কী? এই লেখ-এর বৈশিষ্ট্য লেখো। 2.প্রলম্বণ ও কোলয়েডের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

3.বীজ কেলাস কী? এর একটি ব্যবহার লেখো।


নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর



[TAG]:   মাধ্যমিক পরমাণুর গঠন ও পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় pdf,পরমাণুর গঠন ও পদার্থের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মসমূহ mcq,চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায়    অধ্যায়,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায়  অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,Madhyamik Physical  science question in bengali,


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url