জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Life science 1st chapter question

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

জীবন ও তার বৈচিত্র্য নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম  অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Life science 1st chapter question in bengali  pdf

জীবন ও তার বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম  অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Life science 1st chapter question in bengali  pdf

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায় জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রশ্ন উত্তর PDFclass 9 life science first chapter question Pdf in bengali | WB Class nine Life science question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম  অধ্যায় জীবন ও তার বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Life science 1st chapter important Question in Bengali Pdf  ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন


‘জীবন ও তার বৈচিত্র্য’ নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।


জীবন ও তার বৈচিত্র্য mcq প্রশ্ন

জীবন বৃদ্ধি, প্রজনন, পরিব্যক্তি, বিবর্তন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী প্রোটোপ্লাজমীয় বস্তুকে জীবন বলে।

জীবের কিছু মূল বৈশিষ্ট্য বর্তমান, যা জড় বস্তুতে দেখা যায় না।
জীবনের প্রধান লক্ষণ বা ধর্মগুলি হল-

প্রজননে সক্ষম (Capacity to reproduce) : প্রত্যেক জীব অপত্য জীব সৃষ্টি করে বংশবিস্তার করে এবং প্রজাতির অস্তিত্ব বজায় রাখে। জীবের বংশবিস্তার করাকে প্রজনন বলে।



নবম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]

নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম   অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর


● বিপাক (Metabolism) : জীবকোশে যে অনবরত রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটছে তাদের সমষ্টিগত ফলকে বিপাক বলে। যে বিপাক গঠনমূলক অর্থাৎ, যে ক্ষেত্রে জীবদেহের শুষ্ক ওজন বাড়ে তাকে উপচিতি বিপাক (anabolism) বলে। যেমন—সালোকসংশ্লেষ ও পুষ্টি। যে বিপাক ধ্বংসাত্মক অর্থাৎ যেখানে জীবদেহের শুষ্ক ওজন কমে তাকে অপচিতি বিপাক (catabolism) বলে। যেমন– শ্বসন ও রেচন। অপচিতি বিপাক অপেক্ষা উপচিতি বিপাক বেশি হলে জীবদেহের বৃদ্ধি হয়। উল্লেখ্য, সবুজ উদ্ভিদ খাদ্য উৎপাদনের সময় ক্লোরোফিলের সাহায্যে সৌরশক্তি শোষণ করে, যা সংশ্লেষিত খাদ্যের মধ্যে স্থৈতিক শক্তিরূপে আবদ্ধ করে। শ্বসন কালে ওই শক্তি তাপশক্তিরূপে মুক্ত হয়, ফলে জীবদেহের বিভিন্ন জৈবিক ক্রিয়াগুলি নিয়ন্ত্রিত হয়। ↑ উদ্দীপনায় সাড়া দেওয়া (Respond to stimuli) : জীব মাত্র উত্তেজনায় সাড়া দেয় জীবের উত্তেজনায় সাড়া দেওয়ার ধর্মকে উত্তেজিতা বলে। 3. প্রোটোসেলের উৎপত্তি (Origin of Protocell) : আদিম পৃথিবীতে সমুদ্রের জলে অ্যামাইনো অ্যাসিড, প্রোটিন ইত্যাদি পর্যাপ্ত ছিল। প্রোটিনগুলি গরম তরল স্যুপ থেকে আলাদা হয়ে একসঙ্গে জড়ো হয়ে কোলয়েড জাতীয় পদার্থ গঠন করেছিল, যাকে ওপারিন কোয়াসারভেট (Coacervate) নাম দেন, যা ছিল প্রথম জীব কোশ। এটি লিপিড, প্রোটিন প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট দ্বারা গঠিত। এতে কোশপর্দার মতো দ্বিস্তরী আবরণ ছিল। বিজ্ঞানী ফক্স (1965)-এর মতে মাইক্রোস্ফিয়ার (Microsphere) হল প্রথম কোশীয় জীব। এটি অর্ধভেদ্য পর্দা বেষ্টিত প্রোটিনের একটি গঠন। ফক্সের মতে মাইক্রোস্ফিয়ার অ্যামাইনো অ্যাসিডের শৃঙ্খল গঠন ও নিউক্লিওটাইড শৃঙ্খল গঠন প্রভৃতি উপচিতিমূলক বিক্রিয়া দেখাতে পারত। "কোয়াসারভেট বা মাইক্রোস্ফিয়ারের সঙ্গে নিউক্লিক অ্যাসিড যুক্ত হয়ে সৃষ্টি হয়েছিল আদি কোশ বা প্রোটোসেল (Protocell) বা প্রোটোবায়োন্ট (Protobiont) জীব বৈচিত্রের উৎস বিভিন্ন প্রকার বাস্তুতন্ত্রে অথবা পরিবেশে কিংবা স্থলে জীবের মধ্যে যে বিভিন্নতা দেখা যায় তাকে এককথায় জীব-বৈচিত্র বলে। প্রকরণ কাকে বলে প্রতিটি প্রজাতির জীবের বৈশিষ্ট্যের মধ্যে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পার্থক্য দেখা যায় তাকে প্রকরণ বা ভেদ বলে। মিউটেশন কাকে বলে জীবের মধ্যে সঞ্চাচরন যোগ্য জিনের আকস্মিক কোন পরিবর্তনকে মিউটেশন হলে জীব বিদ্যা শব্দটির ল্যামার্ক 1801 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন. জীববিদ্যা বিজ্ঞানের যে শাখায় জীবনের তথা জীবের রীতি, প্রক্রিয়া ও তার বৈচিত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে জীব বিদ্যা বলে।
1.2.3. আধুনিক জীববিদ্যার প্রয়োগ (Application of Modern Biology) সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষকে নানা নতুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এইসব সমস্যা সমাধানে জীববিজ্ঞান অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। জীববিজ্ঞানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করা হল— এ. কৃষিকার্যে : (a) খাদ্য উৎপাদনে : জীববিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে খাদ্য উৎপাদনে প্রভূত উন্নতি করা হয়েছে। যেমন— (i) উচ্চ ফলনশীল বীজ—সংকরায়ণ পদ্ধতির সাহায্যে উন্নত ফলনশীল ধান, গম, ভুট্টা, পাট, তুলো ইত্যাদি উৎপন্ন করা হয়। কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল ধান হল – IR-8, JIR-20, পুসা, জয়া, জগন্নাথ এবং উন্নত ফলনশীল গম সোনালিকা, কল্যাণসোনা, জনক; ভুট্টার মধ্যে বিক্রম, জহর, সোনা উল্লেখযোগ্য। (ii) বীজবিহীন ফল উৎপাদ —প্রজনন বিদ্যার সাহায্যে এবং কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন বীজবিহীন ফল উৎপাদন করা হচ্ছে।
(iii), কীটপতঙ্গ দমন—জীববিজ্ঞানের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে জৈবিক পদ্ধতিতে কীটপতঙ্গ দমন করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে রাসায়নিক পদ্ধতিতে পেস্ট দমনের হার কমে গেছে। (iv(পালটি—উন্নত ও সংকরায়ণ পদ্ধতিতে হাঁস-মুরগির চাষ করে প্রচুর ডিম ও মাংস উৎপাদন করা হচ্ছে।
(v) মৎস্যচাষ – কৃত্রিম প্রজননের সাহায্যে মাছ চাষের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
(vi) উন্নত জাতের পশুপালন—সংকরায়ণ পদ্ধতির সাহায্যে উন্নত জাতের অধিক দুগ্ধপ্রদায়ী গাভী, যেমন—মুলতানি, ভাগলপুরী, শাহিওয়াল ইত্যাদি সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে। (vii) মৌমাছি পালন—কৃত্রিম উপায়ে মৌমাছি পালন করে প্রচুর পরিমাণে মধু উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে। (b) পরিধেয় উৎপাদনে : জীববিজ্ঞানের ধারণা থেকেই পরিধেয় উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে উৎকৃষ্ট মানের তুলো, পাটতত্তু, পশম, রেশম ইত্যাদি উৎপন্ন করা হচ্ছে।
2. চিকিৎসা বিজ্ঞানে : জীব প্রযুক্তির সাহায্যে রোগ নির্ণয়কারী বিভিন্ন যন্ত্র যেমন সৃষ্টি করা হচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন জীবনদায়ী অ্যান্টিবায়োটিক (পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, ক্লোরোমাইসিন, এরিথ্রোমাইসিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, অরিওমাইসিন) প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রাণীদের থেকে নানারকম ওষুধ তৈরি হচ্ছে। যেমন—পাগলা কুকুরের লালা থেকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক হাইড্রোফোবিনাম, সাপের বিষ থেকে অ্যান্টিভেনম সিরাম, ল্যাকেসিস ইত্যাদি। ট্যাক্সোনমি বা বিন্যাসবিধি হল জীববিজ্ঞানের একটি প্রাচীনতম শাখা, যেখানে জীবের নামকরণ, শনাক্তকরণ, গোষ্ঠীভুক্তকরণ ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। (অগাস্তিন পি. দ্য কনডোল (Augustin P. de Candolle) সর্বপ্রথম 'Taxonomy' শব্দটি ব্যবহার করেন। ট্যাক্সোনমি শব্দের অর্থ হল ‘বিধি’ বা নিয়ম। তাই Taxonomy শব্দের পুরো অর্থ হল বিন্যাসবিধি। Simpson 1961, ট্যাক্সোনমির যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হল—“শ্রেণিবিন্যাসের নিয়ম, রীতিনীতি ও পদ্ধতিসহ তাত্ত্বিক জ্ঞানই হল ট্যাক্সোনমি।” Mayer 1969, ট্যাক্সোনমির যে সংজ্ঞা দিয়েছেন তা হল—“শ্রেণিবিন্যাসের তত্ত্ব ও ব্যবহারকেই বলে ট্যাক্সোনমি।” ট্যাক্সোনমির সংজ্ঞা : জীববিজ্ঞানের যে শাখায় জীবের নামকরণ, শনাক্তকরণ ও শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি আলোচনা করা হয় তাকে ট্যাক্সোনমি বা বিন্যাসবিধি বলে। ট্যাক্সোনমির উপাদান (Components of Taxonomy) হল—শনাক্তকরণ, নামকরণ এবং শ্রেণিবিন্যাস) শনাক্তকরণ (Identification) : বিশেষ বৈশিষ্ট্যের দ্বারা কোনো জীবকে অন্যান্য জীবদের থেকে আলাদা করে চিনে নেওয়ার পদ্ধতিকে বলে শনাক্তকরণ।

2 নামকরণ (Nomenclature) : গোষ্ঠীভুক্ত প্রত্যেক জীবকে পৃথক পৃথক নাম আরোপ করে আলাদা করে নেওয়ার পদ্ধতিকে নামকরণ বলে। ক্যারোলাস লিনিয়াস জীবের দ্বিপদ নামকরণ প্রচলন করেন। গণ ও প্রজাতি নিয়ে গঠিত জীবের নামকরণকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। যেমন—আমগাছের দ্বিপদ নাম হল Mangifera indica, রুই মাছের দ্বিপদ নাম হল Labeo rohita |

3 শ্রেণিবিন্যাস (Classification) : জীবদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর (পর্ব, শ্রেণি, বর্গ, গোত্র, গণ, প্রজাতি) অন্তর্ভুক্ত করার পদ্ধতিকে শ্রেণিবিন্যাস বলে। ক্যারোলাস লিনিয়াস কে বিন্যাস বিধির জনক বলা হয় তার লেখা দুটি বইয়ের নাম Species plantarum,Systema Nature" ট্যাক্সোনমির গুরুত্ব (Importance of Taxonomy) : (i) বৈচিত্র্যময় জীবজগতে বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার জীবদের সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করা সহজ হয়। বিভিন্ন গোষ্ঠীভুক্ত জীবদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়। (ii) অগণিত জীবের মধ্যে কোনো বিশেষ জীবকে শনাক্ত করা যায়। (iii) ট্যাক্সোনমির জ্ঞান থেকে জীবের পূর্বপুরুষ যে অনুন্নত ছিল সেই তথ্য এবং এই বিবর্তনের ধারা সম্পর্কে জানা যায়। (iv) নতুন আবিষ্কৃত কোনো জীব বা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোনো জীবকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। (v) সিস্টেমেটিক্স বাস্তব্যবিদ্যা, শারীরস্থান, ভ্ৰূণতত্ত্ববিদ্যা, জৈব-রসায়ন, বংশগতিবিদ্যা প্রভৃতি বিষয়ের অভিব্যক্তি বুঝতে সাহায্য করে। ট্যাক্সোনমি এবং ট্যাক্সোনমিক হায়ারার্কি (Taxonomy and Taxonomic Hierarchy) হায়ারার্কি কথাটির অর্থ হল কতকগুলি নীচের স্তরের জীবগোষ্ঠীর পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে ওপরের স্তরে অন্তর্ভুক্তি। বিভিন্ন এককের সাহায্যে জীবকে সর্বনিম্ন স্তর থেকে সর্বোচ্চ স্তরে অন্তর্ভুক্ত করাকে হায়ারার্কি বলে। ক্যারোলাস লিনিয়াস তাঁর 'Systema Naturae' (প্রথম সংস্করণ–1735) নামক গ্রন্থে ট্যাক্সোনমিক হায়ারার্কি প্রকাশ করেন। » হায়ারার্কিয়াল শ্রেণিবিন্যাস (Hierarchial Classification) : যে শ্রেণিবিন্যাসের কাঠামোতে নীচের স্তরের কয়েকটি জীবগোষ্ঠী ওপরের স্তরের একটি জীবগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হয় তাকে হায়ারার্কিয়াল শ্রেণিবিন্যাস বলে। বিজ্ঞানী লিনিয়াস (1758) প্রথম এই পদ্ধতির প্রবর্তন করেন বলে একে লিনিয়ান হায়ারার্কি (Linnaean Hierarchy) সাতটি ধাপ হল – রাজ্য (Kingdom) পর্ব (Phylum) শ্রেণি (Class) বর্গ (Order) গোত্র (Family) গণ (Genus) প্রজাতি (Species) প্রজাতি অন্যান্য জীব থেকে জননগতভাবে বিচ্ছিন্নতাপ্রাপ্ত এবং জিনতত্ত্বগতভাবে স্বতন্ত্র এমন কতকগুলি জীবের সমাহারকে প্রজাতি বলে। পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত কয়েকটি প্রজাতি নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীকে বলে গণ। পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত কয়েকটি গণকে নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীকে বলে গোত্র। পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত কয়েকটি গোত্রকে নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীকে বলে বর্গ। পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত কয়েকটি বর্গ নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীকে বলে শ্রেণি। পরস্পর সাদৃশ্যযুক্ত কয়েকটি শ্রেণি নিয়ে গঠিত গোষ্ঠীকে পর্ব বলে। একাধিক বিভাগের বা পর্বের সমন্বয়ে গঠিত হয় রাজ্যদ্বিপদ নামকরণ (Binomial nomenclature) : দুটি পদ নিয়ে যে নামকরণ তাকে দ্বিপদ নামকরণ বলে। দুটি পদের একটি হল গণ (genus) এবং অপরটি হল প্রজাতি (species)। উদাহরণস্বরূপ মটর গাছের দ্বিপদ নাম হল Pisum sativum | Pisum হল গণ এবং sativum হল প্রজাতি। বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস (Carolus Linnaeus) সর্বপ্রথম জীবের দ্বিপদ নামকরণ প্রবর্তন করেন। দ্বিপদ নামকরণের নিয়মাবলি (Rules of Binomial Nomenclature) : দ্বিপদ নামকরণের অনেক নিয়ম আছে। এখানে প্রধান কয়েকটি| উল্লেখ করা হল – S (i) কোনো গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একাধিক গণ বা একই গণের অন্তর্ভুক্ত একাধিক প্রজাতির নাম ভিন্ন থাকে। (ii) কেবলমাত্র ল্যাটিন ভাষায় নামকরণ করতে হবে। অন্য ভাষায় নামকরণ সিদ্ধ নয়। (iii) কোনো একটি প্রজাতির নাম দ্বিপদযুক্ত হবে এবং উপপ্রজাতির নাম ত্রিপদযুক্ত হবে। (iv) গণের নামের প্রথম অক্ষর বড়ো হরফে এবং প্রজাতির নাম ছোটো হরফে লিখতে হবে। নামের শেষে বিজ্ঞানীর নাম যোগ করার রীতি আছে। যেমন—Panthera leo Linnaeus | সিংহের বিজ্ঞানসম্মত নাম লিনিয়াস করেছিলেন। (v) বিজ্ঞানসম্মত নাম সবসময় বাঁকা হরফে অর্থাৎ ইটালিক অক্ষরে ছাপা হবে। লেখার সময় নিম্নরেখিত করতে হবে। যেমন-বাঘের বিজ্ঞানসম্মত নাম Panthera tigris। (vi) যদি কোনো উদ্ভিদের একাধিক নাম থেকে থাকে বা একাধিক উদ্ভিদের নাম একই হয়ে থাকে, তবে সর্বপ্রথম দেওয়া সিদ্ধ নামটিই গৃহীত হবে। একে অগ্রাধিকার আইন (Law of priority) বলে। 1753 খ্রিস্টাব্দের আগে দেওয়া নাম গ্রাহ্য হবে না। জীবের পাঁচটি রাজ্য (Five kingdoms of Life)
বিজ্ঞানী Whittaker 1969 খ্রিস্টাব্দে জীবদের পাঁচ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস প্রবর্তন করেন। এই পাঁচ রাজ্য হল— 1. মনেরা (Monera), 2. প্রোটিস্টা (Protista) 3. ছত্রাক (Fungi), 4. প্লানটি (Plantae) এবং 5. অ্যানিমালিয়) (Animalia)। বিভিন্ন জীবকে পারস্পরিক সাদৃশ্য ও রৈসাদৃশ্যের ভিত্তিতে পৃথক পৃথক গোষ্ঠীতে ভাগ করাকে শ্রেণিবিন্যাস বলে। 1. রাজ্য—মনেরা (Monera) : (1) বৈশিষ্ট্য
(i) এরা এককোশী ও প্রোক্যারিওটিক, কোশ আণুবীক্ষণিক, কোশপ্রাচীরে পেপটাইডোগ্লাইক্যান থাকে।
(ii) এদের পুষ্টি প্রক্রিয়া স্বভোজী বা পরভোজী। পরভোজী পুষ্টি মৃতজীবী, পরজীবী ও মিথোজীবী প্রকারের হয়
(iii) কোশ বিভাজনকালে বেম গঠিত হয় না। (iv) এরা জলে, স্থলে ও অন্তরীক্ষে সর্বত্রই বিরাজমান।
(v) এদের অযৌন জনন সম্পন্ন হয়। উদাহরণ : ব্যাকটেরিয়া, মাইকো- প্লাজুমা, নীলাভ সবুজ শৈবাল ইত্যাদি। 2. রাজ্য—প্রোটিস্টা (Protista) : ✉ বৈশিষ্ট্য :
(i) এরা এককোশী এবং উপনিবেশ গঠনকারী ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির। কোশে পর্দাঘেরা কোশ অঙ্গাণু ও নিউক্লিয়াস উপস্থিত।
(ii) এদের পুষ্টি প্রক্রিয়া স্বভোজী বা পরভোজী প্রকৃতির।
(iii) বেশিরভাগই জলজ ও প্ল্যাংকটন গঠনকারী।
(iv) DNA-তে হিস্টোন প্রোটিন থাকে।
(v) এদের অযৌন ও যৌন জনন সম্পন্ন হয়। উদাহরণঃ ইউগ্লিনা, অ্যামিবা, প্যারামিসিয়াম ইত্যাদি। 3. রাজ্য—ফানজি (Fungi) : বৈশিষ্ট্য
(i) এরা এককোশী, বহুকোশী, অণুসূত্রাকার হয়। কোশ ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির। কোশপ্রাচীর কাইটিন নির্মিত।
(ii) এদের পুষ্টি প্রক্রিয়া মৃতজীবী, পরজীবী ও মিথোজীবী প্রকৃতির।
(iii) এরা মৃত জৈববস্তুর ওপর জন্মায়।
(iv) দেহে কলা গঠিত হয়নি।
(v) এদের সঞ্চিত খাদ্য হল গ্লাইকোজেন।
(vi) এদের রেণুর সাহায্যে অযৌন পদ্ধতিতে জনন সম্পন্ন হয়। ( উদাহরণ : ইস্ট, মিউকর, পেনিসিলিয়াম ইত্যাদি। 4. রাজ্য—প্লানটি (Plantae) :। ✉ বৈশিষ্ট্য ঃ
(i) বহুকোশী, ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির।
(ii) এদের স্বভোজী পুষ্টি সম্পন্ন হয়।
(iii) এরা স্থলজ, জলজ ও সমুদ্রের কিনারায় বসবাসকারী।
(iv) এদের দেহে কলা গঠিত হয়েছে।
(v) কোশপ্রাচীর সেলুলোজ নির্মিত। উদাহরণঃ (i) শৈবাল—স্পাইরোগাইরা, (ii) মস–পোগোনেটাম, (iii) ফার্ন—ড্রায়োপটেরিস। 5. রাজ্য—অ্যানিমালিয়া (Animalia) : ✉ বৈশিষ্ট্য ঃ\
(i) বহুকোশী এবং ইউক্যারিওটিক প্রকৃতির। কোশে কোশপ্রাচীর থাকে না এবং বড়ো ভ্যাকুওল থাকে না। প্লাস্টিড থাকে না।
(ii) পরভোজী পদ্ধতিতে পুষ্টি সম্পন্ন করে।
(iii) এরা জলজ, স্থলজ স্বাধীনজীবী ও পরজীবীরূপে বসবাস করে।
(iv) দেহে কলা, অঙ্গ ও তন্ত্র গঠিত হয়েছে।
(v) কয়েকটি প্রাণী ছাড়া এরা গমনে সক্ষম। উদাহরণ : পরিফেরা (সাইকন), অঙ্গুরীমাল (কেঁচো), সন্ধিপদ (চিংড়ি), কম্বোজ (শামুক), কণ্টকত্বকী (তারামাছ)।

শৈবাল (অ্যালগি) (i) এরা সমাঙ্গদেহী, অর্থাৎ দেহ মূল,কাণ্ড ও পাতায় বিভেদিত নয়। (ii) এরা সাধারণত জলজ প্রকৃতির। (ii) সংবহন কলাতন্ত্র অনুপস্থিত। (iv) উদাঃ ক্ল্যামাইডোমোনাস—এককোশী শৈবাল; ভলভক্স, স্পাইরোগাইরা। মসবর্গ (ব্রায়োফাইটা) S (i) এদের দেহে কাণ্ডসদৃশ অংশ (কলিড) এবং পাতাসদৃশ অংশ (ফাইলিড) থাকে, কিন্তু মূল থাকে না। মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড থাকে। (ii) বেশিরভাগ উদ্ভিদ ভিজে স্থানে জন্মায়। তবে নিষেকের সময় জলের প্রয়োজন হয়। তাই এদের উভচর উদ্ভিদ বলে। (iii) এদের জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলা দিয়ে গঠিত সংবহন কলা থাকে না, পরিবর্তে সরল প্যারেনকাইমা কলা থাকে। (iv) উদাঃ রিকসিয়া-থ্যালাস প্রকৃতির; পোগোনেটাম ও ফিউনেরিয়া—কাণ্ড ও পত্রযুক্ত মস। ফার্নবর্গ (টেরিডোফাইটা) (i) এদের দেহ মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভেদিত। কাণ্ড রাইজোম প্রকৃতির। পাতা দুই প্রকারের ক্ষুদ্র ও সূক্ষ্ম মাইক্রোফাইলাম, বড়ো ও প্রসারিত মেগাফাইলাম। (ii) এরা স্থলজ প্রকৃতির উদ্ভিদ। (iii) উদ্ভিদদেহে জাইলেম ও ফ্লোয়েম কলা দিয়ে গঠিত সংবহন কলা উপস্থিত। (iv) উদাঃ লাইকোপোডিয়াম, ড্রায়োপটেরিস, শুশনি। ব্যক্তবীজী (i) এই প্রকার উদ্ভিদ দীর্ঘ, কাষ্ঠল, বহুবর্ষজীবী, চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় হয়। (ii) এদের ফল গঠিত হয় না। বীজগুলি নগ্ন প্রকৃতির। তাই এদের ব্যক্তবীজী বলে। (iii) বীজে একাধিক বীজপত্র থাকে। (iv) গর্ভাধানের পূর্বে সস্য গঠিত হয়। সস্য হ্যাপ্লয়েড (n)। (v) উদাঃ সাইকাস, পাইনাস, নিটাম । গুপ্তবীজী (i) এই প্রকার উদ্ভিদ বীরুৎ, গুল্ম ও বৃক্ষ জাতীয় হয়। (ii) এদের প্রকৃত ফল গঠিত হয়। ফলের মধ্যে বীজ অবস্থান করায় এদের গুপ্তবীজী বলে। (iii) বীজে বীজপত্রের সংখ্যা একটি বা দুটি। (iv) দ্বিনিষেকের পর সস্য গঠিত হয়। সস্য ট্রিপ্লয়েড (3n)। (v) উদাঃ ধান, মটর, আম। একবীজপত্রী (i) একবীজপত্রী উদ্ভিদ প্রধানত বীরুৎ জাতীয়। গুল্ম ও বৃক্ষের সংখ্যা কম। বেশিরভাগ একবর্ষজীবী। (ii) মূল অস্থানিক—গুচ্ছমূল। (iii) কাণ্ড শাখাহীন। (iv) পাতা সমান্তরাল শিরাবিন্যাসযুক্ত, সমাঙ্কপৃষ্ঠ প্রকৃতির। (v) বীজে একটিমাত্র বীজপত্র থাকে, তাই একবীজপত্রী বলে। (vi) উদাঃ ধান, গম, ভুট্টা। দ্বিবীজপত্রী (i) দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদ সাধারণত বৃক্ষ জাতীয় এবং বেশিরভাগ বহুবর্ষজীবী। বীরুৎ ও গুল্মের সংখ্যা কম। (ii) মূল স্থানিক—প্রধান মূল। (iii) কাণ্ড শাখাপ্রশাখা যুক্ত। (iv) পাতা জালকাকার শিরাবিন্যাসযুক্ত, বিষমপৃষ্ঠ প্রকৃতির। (v) বীজে দুটি বীজপত্র থাকে, তাই দ্বিবীজপত্রী বলে। (vi) উদাঃ আম, মটর, ছোলা, তেঁতুল। পরিফেরা বৈশিষ্ট্য দেহপ্রাচীরে অসংখ্য ছিদ্র বা পোর (অস্ট্রিয়া) থাকে, যার মাধ্যমে দেহের মধ্যে জল প্রবেশ করে। (ii) দেহের অগ্রপ্রান্তে একটি বড়ো প্রান্তিক ছিদ্র বা অসকিউলাম উপস্থিত kiii) দেহে নালিকাতন্ত্র (Canal system) থাকে। (iv) দেহে কোয়ানোসাইট কোশ পরিবেষ্টিত একাধিক গহ্বর উপস্থিত। (v) দেহের কোশগুলি দুটি স্তরে বিন্যস্ত। মাঝখানে মেসেনকাইম নামক জেলিসদৃশ পদার্থ থাকে। সাইকন (Sycon gelatinosum), বাথস্পঞ্জ (Euspongia officinalis) ! নিডারিয়া বৈশিষ্ট্য
(i) দেহত্বকে নিডোব্লাস্ট কোশ থাকে। (ii) দেহাভ্যন্তরে সিলেনটেরন উপস্থিত। (iii) মুখছিদ্ৰ কৰ্ষিকা বেষ্টিত থাকে। (iv) দেহ এক্টোডার্ম ও এন্ডোডার্ম নামক দুটি স্তরে বিন্যস্ত। উভয় স্তরের মাঝে মেসৌগ্লিয়া স্তর থাকে। (v) স্নায়ুতন্ত্র স্নায়ুজালক রূপে অবস্থান করে। হাইড্রা (Hydra vulgaris), জেলিফিশ (Aurelia aurita) | টিনোফোরা
বৈশিষ্ট্য (i) দেহ দ্বি-অরীয়ভাবে প্রতিসম। (ii) দেহত্বকে কোলোব্লাস্ট কোশ থাকে। (iii) দেহে সমদূরত্বে অবস্থিত আটটি কোম্বপ্লেট থাকে। (iv) সাধারণত দুটি কর্ষিকা বিপরীত মুখে অবস্থান করে। (v) এদের স্ট্যাটোসিস্ট নামক জ্ঞানেন্দ্রিয় উপস্থিত। বেরো (Berge forskaliji), হরমিফোরা (Hormiphora plumosa) প্লাটিহেলমিনথিস
বৈশিষ্ট্য দেহ চ্যাপটা পাতার মতো বা ফিতের মতো। (ii) এদের সিলোম (দেহগহ্বর) অনুপস্থিত। (iii) এদের স্নায়ুতন্ত্র মইসদৃশ। (iv) দেহ ত্রিস্তরবিশিষ্ট—এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম। (v) এদের রেচন অঙ্গ ফ্রেমকোশ। যকৃৎ কৃমি (Fasciola hepatica), ফিতা কৃমি (Taenia solium)। নিমাটোডা
বৈশিষ্ট্য (i) দেহ পুরু কিউটিকল দ্বারা আবৃত। (ii) দেহে ছদ্ম সিলোম উপস্থিত। (iii) রক্ত সংবহনতন্ত্র অনুপস্থিত। (iv) পৌষ্টিকতন্ত্র অনুপস্থিত। (v) রেচন অঙ্গ একজোড়া পার্শ্বীয় নালি। গোলকৃমি (Ascaris lumbricoides), গোদকৃমি(Wuchereria bancrofti)। অ্যানিলিডা
বৈশিষ্ট্য (i) দেহ অসংখ্য আংটির মতো খণ্ডক নিয়ে গঠিত। (ii) রেচন অঙ্গ নেফ্রিডিয়া। (iii) রক্ত সংবহনতন্ত্র বদ্ধ প্রকৃতির। (iv) প্রকৃত সিলোম উপস্থিত। (v) দেহ ত্রিস্তর বিশিষ্ট—এক্টোডার্ম, মেসোডার্ম ও এন্ডোডার্ম। কেঁচো (Pheretima posthuma), জোঁক (Hirudinaria granulosa) | আথ্রোপোডা বৈশিষ্ট্য (i) দেহ কাইটিন নির্মিত বহিঃকঙ্কাল দ্বারা আবৃত। (ii) সন্ধিল উপাঙ্গ উপস্থিত। (iii) রক্ত সংবহনতন্ত্র মুক্ত প্রকৃতির। (iv) শ্বাসঅঙ্গ—ট্রাকিয়া, বুকগিল, বুকলাং। (v) রেচন অঙ্গ- ম্যালপিজিয়ান নালিকা, সবুজ গ্রন্থি বা কক্সাল গ্রন্থি। আরশোলা(Periplaneta americana), মাছি (Musca domestica)। মোলাস্কা বৈশিষ্ট্য (i) দেহ নরম ও অখণ্ডিত। (ii) অঙ্কদেশে মাংসল পদ উপস্থিত। (iii) দেহ ম্যান্টল পর্দা দ্বারা আবৃত। (iv) শ্বাসযন্ত্র —টিনিডিয়াম বা পালমোনারি স্যাক এবং ম্যান্টল পর্দা। (v) রেচন অঙ্গ বৃক্ক বা বোজনাসের অঙ্গ। জল শামুক (Pila globosa), স্থল শামুক (Achatina fulica)। একাইনোডার্মাটা
বৈশিষ্ট্য (i) দেহ কণ্টকময় ত্বক দিয়ে আবৃত। (ii) দেহে জলসংবহনতন্ত্র উপস্থিত। (iii) গৃমন অঙ্গ নালিপদ। (iv) দেহ ওরাল ও অ্যাবোরাল তলে বিভেদিত। (v) দেহপরিধি ১টি সমদূরত্বে অ্যাম্বুল্যাক্রা দ্বারা চিহ্নিত। তারামাছ (Asterias rubens), সমুদ্র শশা (Cucumaria frondosa) | হেমিকর্ডাটা
বৈশিষ্ট্য (i) দেহ প্রোবোসিস কলার ও ট্রাঙ্ক নিয়ে গঠিত। (iii) গলবিলের পাশে ‘U’ আকৃতির ফুলকা ছিদ্র বর্তমান। (iii) স্টোমোকর্ড উপস্থিত যা প্রোবোসিস পর্যন্ত বিস্তৃত। ব্যালানোগ্লসাস(Balanoglossus gigas), স্যাঙ্কোগ্লসাস (Saccoglossus horsti)।
কর্ডাটা বৈশিষ্ট্য (i) ভ্ৰূণ অবস্থায় বা সারাজীবন ধরে নোটোকর্ড থাকে। (ii) পৃষ্ঠদেশে ফাঁপা নার্ভকর্ড থাকে। (iii) জীবনের যে-কোনো দশায় গলবিলের দু-পাশে ফুলকা ছিদ্র থাকে। রুই মাছ Labeo rohita সোনা ব্যাঙ Rana tigrina ইউরোকর্ডাটা
বৈশিষ্ট্য (i) নোটোকর্ড কেবল লার্ভার লেজে অবস্থিত। (II) দেহ টিউনিক দিয়ে আবৃত। (iii) গলবিলে অসংখ্য ফুলকা ছিদ্র উপস্থিত। অ্যাসিডিয়া (Ascidia mentula), স্যালপা (Salpa maxima) I সেফালোকর্ডাটা
বৈশিষ্ট্য
(i) নোটোকর্ড পৃষ্ঠদেশের তুণ্ড থেকে লেজের শেষভাগ পর্যন্ত
বিস্তৃত। (ii) দেহের দু-পাশে 'V' আকৃতির মায়োটোম পেশি উপস্থিত। (iii) রেচন অঙ্গ নেফ্রিডিয়া। অ্যাম্ফিঅক্সাস (Branchiostoma lanceolatum), অ্যাসিমেট্রন(Asymmetron sp.)। ভার্টিব্রাটা বা ক্রেনিয়াটা
বৈশিষ্ট্য (i) দেহে মেরুদণ্ড উপস্থিত। (ii) করোটি উপস্থিত। (iii) সংবহনতন্ত্র বদ্ধ প্রকৃতির। কাতলা মাছ (Catla catla), গিরগিটি(Calotes versicolor) | অ্যাগনাথা বৈশিষ্ট্য (i) মুখে চোয়াল থাকে না। (ii) বহিঃকঙ্কাল থাকে না। (iii) যুগ্ম উপাঙ্গ থাকে না। ল্যামপ্রে (Petromyzon marinus), হ্যাগ ফিস (Myxine glutinosa) | ন্যাথোস্টোমাটা
বৈশিষ্ট্য (i) মুখে চোয়াল থাকে। (ii) নাসারন্ধ্র একজোড়া। (iii) যুগ্ম উপাঙ্গ উপস্থিত। উদাহরণ পায়রা (Columba livia), গিনিপিগ (Cavia porcellus) | সাইক্লোস্টোমাটা বৈশিষ্ট্য (i) মুখ চোয়ালবিহীন। (ii) মুখছিদ্র গোলাকার ও চোষকযুক্ত। (iii) চর্ম আঁশবিহীন, মসৃণ এবং মিউকাস গ্রন্থিযুক্ত। উদাহরণ । মিক্সিন (Myxine glutinosa), পেট্রোমাইজন (Petromyzon marinus)। কনড্রিকথিস বৈশিষ্ট্য (i) দেহ আণুবীক্ষণিক প্লাকয়েড আঁশ দ্বারা আবৃত। (ii) অন্তঃকঙ্কাল তরুণাস্থিময়। (iii) মুখছিদ্ৰ মস্তকের অঙ্কদেশে অবস্থিত। (iv) লেজ হেটারোসারকাল প্রকৃতির। (v) পুরুষ মাছের ক্লাসপার (সঙ্গম অা) উপস্থিত। অস্ত্রে স্পাইরাল ভালব থাকে। হাঙর (Scoliodon sorrakowah), ইলেকট্রিক মাছ (Torpedo torpedo) | অসটিকথিস
বৈশিষ্ট্য (i) দেহ বীক্ষণিক সাইক্লয়েড, টিনয়েড বা গ্যানয়েড আঁশ দ্বারা আচ্ছাদিত। (ii) অন্তঃকঙ্কাল অস্থিময়। (iii) মুখছিদ্র মস্তকের সম্মুখভাগে অবস্থিত। (iv) লেজ হোমোসারকাল প্রকৃতির। (v) কানকো উপস্থিত। (vi) দেহগহ্বরে পটকা থাকে। রুই মাছ (Labeo rohita), মৃগেল (Cirrhinus mrigala) | উভচর
বৈশিষ্ট্য (i) চর্ম সিক্ত ও নগ্ন প্রকৃতির। (ii) শৈশবকাল জলে এবং পূর্ণাঙ্গ অবস্থা স্থলে অতিবাহিত হয়। (iii) অগ্রপদে চারটি এবং পশ্চাদপদে পাঁচটি নখরবিহীন আঙুল থাকে। (iv) এদের অবসারণী ছিদ্র থাকে। (v) দশ জোড়া করোটীয় স্নায়ু উপস্থিত। কুনো ব্যাঙ (Bufo melanostictus), সোনা ব্যাঙ (Rana tigrina) | সরীসৃপ
বৈশিষ্ট্য (i) দেহত্বক শুষ্ক এবং এপিডারমাল আঁশ দ্বারা আচ্ছাদিত। (ii) প্রতিটি পদে নখরযুক্ত পাঁচটি করে আঙুল থাকে। (iii) অবসারগ্রী ছিদ্র আড়াআড়িভাবে অবস্থিত। (iv) করোটিতে একটিমাত্র অক্সিপিটাল কন্ডাইল থাকে। (v) হৃৎপিণ্ড দুটি অলিন্দ ও একটি অর্ধবিভক্ত নিলয় নিয়ে গঠিত। গোখরো সাপ (Naja naja), টিকটিকি (Hemidactylus flaviviridis) I পক্ষী
বৈশিষ্ট্য (i) দেহ পালক দ্বারা আবৃত। (ii) অগ্রপদ ডানায় রূপান্তরিত। (ii) চোয়াল চঞ্ঝতে রূপান্তরিত। (iv) বক্ষে উড্ডয়ন পেশি উপস্থিত। (v) চোয়ালে দাঁত থাকে না। (vi) স্টারনাম কীল অস্থিতে রূপান্তরিত। পায়রা (Columba livia), ময়ূর (Pavo cristatus)। স্তন্যপায়ী
বৈশিষ্ট্য (i) দেহ লোম দ্বারা আবৃত। (ii) স্তনগ্রন্থি থাকে, যা স্ত্রী প্রাণীদের ক্ষেত্রে সক্রিয়। (iii) কর্ণছত্র ও পল্লব লোম উপস্থিত। (iv) নীচের চোয়াল একটিমাত্র অস্থি দিয়ে গঠিত। (v) বক্ষগহ্বর ও উদর গহ্বরের মাঝখানে মধ্যচ্ছদা উপস্থিত। গিনিপিগ (Cavia porcellus), বাঘ (Panthera tigris ) । II. অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্ন : প্রতিটি প্রশ্নের মান-1 A. এককথায় উত্তর দাও : 1. 'Taxonomy' শব্দটি প্রথম কে ব্যবহার করেন? 2. মানুষের দ্বিপদ নাম কী? 3. লিনিয়াসের হায়ারার্কিতে কটি যাগ ছিল? 4. রাজ্য ফানজির একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 5. কেঁচো কোন্ পর্বের প্রাণী? 6. বাদুড় কোন্ শ্রেণির প্রাণী? 7. জীবেদের পাঁচ রাজ্য শ্রেণিবিন্যাস কে প্রবর্তন করেন? ৪. কণ্টকত্বকী পর্বের একটি প্রাণীর উদাহরণ দাও। 9. একটি অপচিতি বিপাকের নাম লেখো। 10. কোন্ বিজ্ঞানে জীবাণু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়?

নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর

1. কর্ডাটা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 2. তারামাছ কোন্ পর্বভুক্ত এবং সাপ কোন্ শ্রেণিভুক্ত প্রাণী? 3. নালিকা তন্ত্র ও জল সংবহন তন্ত্র কোন্ পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্য? 4. দ্বিবীজপত্রী উদ্ভিদের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 5. ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। 6. জীবের বিপাক বলতে কী বোঝো? 7. ব্রায়োফাইটার দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো। ৪. জোঁক কোন্ পর্ব ভুক্ত? এই পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো। 9. বৃদ্ধি কাকে বলে? 10. মহাকাশযানে এককোশী শৈবাল ক্লোরেল্লা রাখার কারণ কী?


প্রথম  অধ্যায় জীবন ও তার বৈচিত্র্য বড় প্রশ্ন উত্তর,

নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম  অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর

1. জীব ও জড়ের পাঁচটি পার্থক্য দেখাও। 2. কৃষিকার্যে জীববিদ্যার প্রয়োগগুলি উল্লেখ করো। 3. দ্বিপদ নামকরণ কাকে বলে? এর দুটি নিয়ম উল্লেখ করো। একটি উদ্ভিদের দ্বিপদ নাম লেখো। 4. প্রোটিস্টার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো এবং দুটি উদাহরণ দাও। 5. একাইনোডার্মাটা পর্বের তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো এবং দুটি উদাহরণ দাও। 6. রেপ্টিলিয়ার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো এবং দুটি উদাহরণ
দাও। 7. জীবের প্রধান ধর্মগুলি উল্লেখ করেন। ৪. উদ্ভিদের প্রধান গোষ্ঠীগুলির বৈশিষ্ট্য সংক্ষেপে বর্ণনা করো।

[TAG]:    মাধ্যমিক জীবন ও তার বৈচিত্র্য প্রথম  অধ্যায় pdf,জীবন ও তার বৈচিত্র্য mcq,প্রথম   অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম   অধ্যায়,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম   অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম   অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,Madhyamik life science question in bengali,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url