বল ও গতি প্রশ্ন উত্তর | নবম শ্রেণি ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF | Class 9 Physical science 2nd chapter question
বল ও গতি নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Physical science 2nd chapter question in bengali pd
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞানের দ্বিতীয় অধ্যায় বল ও গতি প্রশ্ন উত্তর PDF। class 9 Physical science second chapter question Pdf in bengali | WB Class nine Physical science question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ভৌত বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় বল ও গতি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download। Class ix Physical science force and motion important Question in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
‘বল ও গতি’ নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞানের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।File Details:-
File Name:-
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Size:- 4Mb
PAGE- 60
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download
1.স্থিতি
[Rest]:
যদি
কোনো বস্তুর অবস্থান, তার চারপাশের অন্যান্য বস্তুর সাপেক্ষে ও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত
না হয়, তাহলে সেই বস্তুকে স্থির বস্তু বলা হয়। স্থির বস্তুর এই স্থির অবস্থাকে স্থিতি
বলে।
উদাহরণ: গাছপালা, বাড়িঘর, পাহাড়-পর্বত ইত্যাদি
হল স্থির বস্তু কারণ সময়ের সঙ্গে এদের অবস্থানের পরিবর্তন হয় না এবং এদের স্থির অবস্থানগত
ধর্মকে স্থিতি বলে।
2.গতি
[Motion]:
যদি
কোনো বস্তুর অবস্থান, তার চারপাশের অন্যান্য বস্তুর সাপেক্ষে ও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত
হয়, তাহলে সেই বস্তুকে সচল বস্তু বলে। সচল বস্তুর এই গতিশীল অবস্থাকে গতি বলে।
উদাহরণ: ছুটন্ত রেলগাড়ি, উড়ন্ত পাখি, চলন্ত মানুষ ইত্যাদি হল সচল বস্তু কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এদের অবস্থানগত পরিবর্তন ঘটে। সচল বস্তুর অবস্থানগত এই পরিবর্তনকে বস্তুটির গতি বলে। মনে রাখা দরকার, বাস্তবক্ষেত্রে প্রায় সব ভৌত ঘটনাবলির মধ্যেই বস্তুর বা বস্তুসমূহের গতি অন্তর্নিহিত থাকে। এমনকি অণু-পরমাণুর মধ্যেও মৌলকণাগুলির নানা প্রকার গতি বিদ্যমান।
3.পরম গতি:
পরম স্থির কোনো বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তু স্থির থাকলে তার স্থিতিকে পরম স্থিতি ও পরম স্থির কোনো বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তু গতিশীল থাকলে তার গতিকে পরম গতি বলা হয়।
4.গতির প্রকারভেদ
[Types of motion]:
i) রৈখিক গতি (Linear motion): কোনো বস্তু যদি একই দিকে সরলরেখা বরাবর
গতিশীল হয়, তাহলে সেই গতিকে রৈখিক গতি বলে। উদাহরণ: সরলরৈখিক পথে অভিমুখ পরিবর্তন
না করা একটি ট্রেনের গতি।
a)সুষমরৈখিক
গতি: যদি কোনো গতিশীল বস্তু
কোনো সরল বা বজ্রপথ বরাবর সমান সময় অবকাশে সর্বদা সমান দূরত্ব অতিক্রম করে, তাহলে
সেই বস্তুর গতিকে সুষমরৈখিক গতি বলা হয়।
উদাহরণ: কোনো গাড়ি প্রথম 3 ঘণ্টায় 120 কিমি ও পরবর্তী
2 ঘণ্টায় ৪০ কিমি পথ অতিক্রম
করলে
গাড়িটির গতি সুষম কারণ, উভয়ক্ষেত্রেই গাড়িটি ঘণ্টায় 40 কিমি পথ অতিক্রম করে।
b)অসমরৈখিক
গতি: যদি কোনো গতিশীল বস্তু
কোনো সরল বা বজ্রপথ বরাবর সমান সময় অবকাশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দূরত্ব অতিক্রম করে,
তাহলে সেই বস্তুটির গতিকে অসমরৈখিক গতি বলা হয়।
উদাহরণ: কোনো গাড়ি যদি প্রথম ঘণ্টায় 20 কিলোমিটার
পথ এবং দ্বিতীয় ঘণ্টায় 30
কিলোমিটার
পথ অতিক্রম করে, তাহলে গাড়িটির গতিকে অসম গতি বলা যায়।
ii.আবর্তন গতি (Rotational motion):
a)বৃত্তীয় গতি (Circular motion): কোনো বিন্দু ও অক্ষকে কেন্দ্র করে সমান
দূরত্ব বজায় রেখে কোনো বস্তু বৃত্তাকার পথে গতিশীল হলে তার গতিকে বৃত্তীয় গতি বলে।
উদাহরণ:i.স্থির কেন্দ্র সাপেক্ষে নাগরদোলার
ii.সূর্যের
চারদিকে পৃথিবীর প্রদক্ষিণের গতি।
iii.পরমাণুর
উপবৃত্তাকার কক্ষে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনের গতি।
c)ঘূর্ণন
গতি (Spinning motion):
একটি বিস্তৃত বস্তুর নিজের অক্ষের সাপেক্ষে স্থানান্তরিত না হয়ে দিক-স্থিতির পরিবর্তনকে
বলা হয় ঘূর্ণন এবং সংশ্লিষ্ট গতিকে বলা হয় ঘূর্ণন গতি।
উদাহরণ: i.পৃথিবীর নিজের অক্ষের সাপেক্ষে
আবর্তন
গতি হল ঘূর্ণন গতি। এই গতির জন্য পৃথিবীতে দিনরাত্রি হয়।
ii.ঘূর্ণায়মান
লাটিমের গতি ইত্যাদি।
iii.সরলরৈখিক দোলগতি (Linear simple harmonic motion):
যখন
কোনো বস্তু একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর সাপেক্ষে ক্রমান্বয়ে কিংবা পর্যায়ক্রমে এদিক-ওদিক
(বা ডানদিক-বামদিক) গতিশীল হয় তখন সেই গতিকে বলা হয় সরলরৈখিক দোলগতি।
উদাহরণ:
দেওয়ালঘড়ির পেণ্ডুলামের গতি।
iv..মিশ্র গতি (Mixed motion):
চলন
ও ঘূর্ণনের সমন্বয়ে গতিশীল বস্তুতে যে গতির সৃষ্টি হয় তাকে মিশ্র গতি বলে।
উদাহরণ:
চলন্ত সাইকেলের চাকার গতি, স্পিনারের ছোড়া ক্রিকেট বলের গতি।
5.সরণ:
সময়ের
সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট দিকে কোনো গতিশীল বস্তুর স্থান পরিবর্তনকে বস্তুটির সরণ বলে।
CGS
পদ্ধতিতে সরণের একক সেন্টিমিটার (cm) ও SI-তে সরণের একক মিটার (m)।
6.দ্ৰুতি
(Speed):
সরল
বা বক্রপথে কোনো গতিশীল বস্তু একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে, তাকে ওই বস্তুর দ্রুতি
বলে।
7.বেগ
(Velocity):
সময়ের
সাপেক্ষে কোনো গতিশীল বস্তুর সরণের পরিবর্তনের হারকে বস্তুটির বেগ বলে।
8.বেগের প্রকারভেদ:
বেগ দু-প্রকার
সমবেগ
ও অসমবেগ।
সমবেগ (Uniform velocity): সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তুর বেগের মান ও দিক
সর্বদা অপরিবর্তিত থাকলে, বস্তুটির বেগকে সমবেগ বলে।
অসমবেগ (Non-uniform velocity):
সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তুর বেগের মান বা দিক কিংবা মান
ও দিক উভয়ই পরিবর্তিত হলে, বস্তুটির বেগকে অসমবেগ বলে।
9.ত্বরণ
(Acceleration):
যদি কোনো বস্তু ক্রমবর্ধমান বেগ নিয়ে চলে, তবে সময়ের
সাপেক্ষে বস্তুটির বেগ বৃদ্ধির হারকে
ত্বরণ বলে।
10.ত্বরণের
প্রকারভেদ: ত্বরণ দু-প্রকার-
সমত্বরণ
ও অসমত্বরণ।
সমত্বরণ (Uniform acceleration): যদি কোনো বস্তু ক্রমবর্ধমান বেগ নিয়ে চলে
এবং সমান সময়ের ব্যবধানে বস্তুটির বেগের পরিবর্তন যদি সর্বদা সমান হয়, তবে বস্তুটির
ত্বরণকে সমত্বরণ বলে।
অসমত্বরণ (Non-uniform
acceleration):
যদি কোনো বস্তু ক্রমবর্ধমান বেগ নিয়ে চলে এবং সমান সময়ের ব্যবধানে বস্তুটির বেগের
পরিবর্তন যদি সর্বদা সমান না হয়, তবে বস্তুটির ত্বরণকে অসমত্বরণ বলে।
11.মন্দন
(Retardation or deceleration):
যদি কোনো বস্তু ক্রমহ্রাসমান বেগ নিয়ে চলে, তবে সময়ের সাপেক্ষে বস্তুটির বেগ হ্রাসের হারকে মন্দন বলে।
12.বল প্রয়োগের
ফলাফলগুলি হল:
i.কোনো
বস্তুর স্থির অবস্থা বা গতীয় অবস্থা বল প্রয়োগে পরিবর্তিত হতে পারে।
ii.বল
প্রয়োগে বস্তুর আকারের পরিবর্তন ঘটতে পারে।
iii.বল প্রয়োগে কোনো বস্তুর গতির দিক পরিবর্তিত হতে পারে।
13.বল
(Force):
যে ভৌত কারণ বস্তুর স্থির বা গতিশীল অবস্থার পরিবর্তন করে বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করে তাকে ‘বল’ বলে।
14.'বল'-এর
প্রকার ভেদ:
সাধারণভাবে
বল দু-প্রকার- প্রতিমিত বল (balanced force) এবং ও কার্যকর বল (effective force) বা
অপ্রতিমিত বল (unbalanced force)।
1.প্রতিমিত বল-
যখন কোনো একটি বস্তুর ওপর একই সঙ্গে সমানমানের কিন্তু পরস্পর বিপরীতমুখী বল একই বিন্দুতে
ক্রিয়া করে, তখন বস্তুটি স্থির অবস্থায় থাকে অথবা গতিশীল থাকলে সরলরেখা বরাবর সমগতিতে
চলমান থাকে। এধরনের বলগুলিকে প্রতিমিত বল বলা হয়।
2.কার্যকর বা অপ্রতিমিত বল: যখন কোনো একটি বস্তুর ওপর একই সঙ্গে অসমান মানের বল পরস্পর বিপরীত দিকে ক্রিয়া করে, তখন বস্তুটি বৃহত্তর বলের দিকে গতিশীল হয়। এ ধরনের বলগুলিকে অপ্রতিমিত বল বলে।
15.বলের সংযোজনের ক্ষেত্রে সামান্তরিকের সূত্র: কোনো সামান্তরিকের দুই সন্নিহিত বাহু যদি দুটি বলের মান ও দিক সূচিত করে, তবে ওই বাহুদ্বয়ের ছেদবিন্দু দিয়ে অঙ্কিত সামান্তরিকের কর্ণটি বল দুটির লখির মান ও দিক নির্দেশ করে। এক্ষেত্রে ওই ছেদবিন্দুটি বল দুটি এবং তাদের লব্ধির আদি বিন্দু হয়।
16.নিউটনের
প্রথম গতিসূত্রের বিবৃতি:
বাইরে থেকে প্রযুক্ত বলের দ্বারা অবস্থান পরিবর্তনে বাধ্য করা না হলে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির অবস্থাতেই থাকে এবং সচল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখায় চলতে থাকে।
17.পদার্থের জাড্য (Inertia of matter): যে ধর্মের জন্য কোনো বস্তু স্থিতি বা গতির যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করে, সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য বলে। তাই নিউটনের প্রথম সূত্রটিকে জাড্যের সূত্রও বলা হয়।
18.জাড্য
দু-প্রকার-aস্থিতিজাড্য
ও b গতিজাড্য।
a.স্থিতিজাড্য (Inertia of rest) : স্থির বস্তুর চিরকাল স্থির থাকার প্রবণতা
বা ধর্মকে স্থিতিজাড্য বলে ।
b.গতিজাড্য (Inertia of motion): গতিশীল বস্তুর চিরকাল সমবেগে সরলরেখা বরাবর চলতে থাকার প্রবণতা বা ধর্মকে গতিজাড্য বলে।
19.নিউটনের
দ্বিতীয় গতিসূত্রের বিবৃতি:
কোনো বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুটির ওপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক হয় এবং বল যেদিকে প্রযুক্ত হয় ভরবেগের পরিবর্তন সেইদিকে ঘটে।
20.বলের অভিকর্ষীয়
একক:
কোনো পদ্ধতির একক ভরকে পৃথিবী যে বলে আকর্ষণ করে, তাকে ওই পদ্ধতিতে বলের অভিকর্ষীয় একক বলে।
21.1
গ্রাম-ভার:
CGS পদ্ধতিতে বলের অভিকর্ষীয় একক গ্রাম-ভার। 1 গ্রাম ভরের কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বলে আকর্ষণ করে, তাকে 1 গ্রাম-ভার বলে।
22.1
কিলোগ্রাম ভার
SI-তে বলের অভিকর্ষীয় একক কিলোগ্রাম-ভার। 1 কিলোগ্রাম ভরের কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বলে আকর্ষণ করে, তাকে 1 কিলোগ্রাম ভার বলে।
23.নিউটনের
তৃতীয় গতিসূত্রের বিবৃতি:
প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া থাকে।
24.ঠেলা বা
ঘাতবল (thrust):
পরস্পরের সংস্পর্শে থেকে একটি বস্তু অপর একটি বস্তুর ওপর যে বল প্রয়োগ করে থাকে, তাকে ঠেলা বা ঘাতবল বলা যায়।
25.ভরবেগের
পরিবর্তন তিনভাবে হতে পারে :
i.ভর স্থির রেখে বেগের পরিবর্তন;
ii.বেগ স্থির রেখে ভরের পরিবর্তন কিংবা
iii.ভর এবং বেগ উভয়েরই পরিবর্তন।
26.ক্রিয়া
ও প্রতিক্রিয়া সমান ও বিপরীতমুখী হলেও সাম্য স্থাপন করে না কেন ?
উঃ-সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য দুটি সমান ও বিপরীতমুখী
বলকে একই বিন্দুতে প্রযুক্ত হতে হবে। কিন্তু ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া বল দুটি ভিন্ন
বস্তুর ওপর প্রযুক্ত হয়, অর্থাৎ বল দুটির প্রয়োগবিন্দু আলাদা। তাই ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া
সমান ও বিপরীত হলেও সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।
27.চেয়ারে
বসে থাকা কোনো ব্যক্তি ওই চেয়ারের ওপর বল প্রয়োগ করে চেয়ারটিকে উপরে তুলতে পারে
না কেন?
উঃ-চেয়ারে বসে থাকা ব্যক্তি এবং চেয়ার একটিই ব্যবস্থা। এখানে ব্যক্তিটির দ্বারা প্রযুক্ত বল এবং ওই বলের প্রতিক্রিয়া একই বস্তু-সংহতির অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া মাত্র। এই বল বাইরে থেকে বস্তু-সংহতির ওপর প্রযুক্ত না হওয়ায় ব্যক্তিসহ চেয়ারের ভরবেগের কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। তাই চেয়ারে বসে চেয়ারটিকে উপরে তোলা যায় না।
28.বায়ুশূন্য
স্থানে পাখি উড়তে পারে না কেন ?
উঃ-পাখি আকাশে ওড়ার সময় ডানা দিয়ে বাতাসের
ওপর বল প্রয়োগ করে। স্বাভাবিকভাবে বাতাসও পাখির ডানার ওপর সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া
বল প্রয়োগ করে। তাই পাখি উড়তে পারে। বায়ুশূন্য স্থানে পাখি ডানা নাড়লেও ডানার ওপর
প্রতিক্রিয়া বল লাভ করতে পারে না বলেই বায়ুশূন্য স্থানে পাখি ডানা দিয়ে বল প্রয়োগ
করলেও উড়তে পারে না।
29.কয়েকজন
আরোহী গাড়ির মধ্যে থেকে গাড়িকে ঠেলে সচল করতে পারে না কেন?
উঃ-গাড়ি ও গাড়ির ভিতরে আরোহীরা একটি মিলিত
বস্তু সংস্থা গঠন করে। আরোহী ভিতর থেকে যে বলে ঠেলতে থাকে, গাড়িটিও নিউটনের তৃতীয়
সূত্রানুসারে আরোহীদের ওপর সমপরিমাণ বল বিপরীত দিকে প্রয়োগ করে। ওই বল দুটি একই বস্তু
সংস্থার অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হিসেবে কাজ করে বলে বস্তু সংস্থার ভরবেগের
কোনো পরিবর্তন ঘটে না। তাই গাড়িটি সচল হয় না।
30. কোন্
ভৌত রাশিটি জাড্যের পরিমাপ নির্দেশ করে?
উঃ-‘ভর’ ভৌত রাশিটি জাড্যের পরিমাপ নির্দেশ
করে।
6.একটা বস্তুকে
খাড়া উপর দিকে ছোড়া হল; বস্তুটির সর্বোচ্চ অবস্থানে ভরবেগ কত?
উঃ-ভরবেগ = ভর × বেগ। এক্ষেত্রে বস্তুটির সর্বোচ্চ অবস্থানে বেগ শূন্য হয়। তাই সর্বোচ্চ অবস্থানে বস্তুটির ভরবেগ = 1
31.কোন্
নীতির ওপর রকেট উৎক্ষেপণ করা হয় ?
উঃ-রৈখিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতির ওপর ভিত্তি
করে রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়।
32.আমরা হাঁটতে
পারি কেন ?
আমরা
যখন হাঁটি, তখন পা দিয়ে মাটির ওপর বলের বিভাজন সূত্রানুযায়ী পিছন দিকে যে বল প্রয়োগ
করি, এটা হল ক্রিয়া। মাটি তখন সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া-বল পায়ের ওপর প্রয়োগ
করে, যার ফলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাই।
33.একটি বস্তু
দ্বারা অতিক্রান্ত পথ শূন্য নয়, অথচ বস্তুটির সরণ শূন্য হতে পারে কি?
উঃ-একটি বস্তু কোনো স্থান থেকে যাত্রা শুরু
করে আবার আগের স্থানে ফিরে এলে, ওই বস্তু দ্বারা অতিক্রান্ত দূরত্বের মান শূন্য হবে
না। কিন্তু যেহেতু বস্তুটির প্রথম ও শেষ অবস্থান একই, তাই বস্তুটির সরণ শূন্য হবে।
34.সুইচ বন্ধ
করার পরও বৈদ্যুতিক পাখা কিছুক্ষণ ঘুরতে থাকে কেন?
উঃ-সুইচ বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে যে শক্তির দ্বারা
পাখা ঘুরতে থাকে সে শক্তির জোগান বন্ধ হয়ে যায় ঠিকই কিন্তু তখনও গতিজাড্যের জন্য
পাখাতে কিছু গতি থাকে। তাই সুইচ বন্ধ করবার পরও গতিজাড্যের কারণে পাখাটি কিছুক্ষণ চলতে
থাকে।
35. চলন্ত
গাড়ির কামরায় কোনো আরোহী একটি বলকে উল্লম্বভাবে ছুড়ে দিলে তা আবার তারই হাতে এসে
পড়ে কেন ?
উঃ-গতিজাড্যের দরুন বলটির অনুভূমিক গতিবেগ সর্বদা গাড়ির গতিবেগের সমান হয়। কাজেই, উৎক্ষিপ্ত বলটি নেমে আসার পূর্ব পর্যন্ত গাড়িটি তার গতির অভিমুখে যতদূর যায়, গতিজাড্যের জন্য বলটিও ওই অভিমুখে ততদূর যায়। ফলে কিছুক্ষণ পর বলটি আরোহীর হাতেই এসে পড়ে।
36.‘বস্তুর ভরই এর জাড্যের পরিমাপ’—ব্যাখ্যা
করো।
উঃ-নিউটনের দ্বিতীয় সূত্র থেকে দেখানো যায় যে, যে বস্তুর ভর যত বেশি, বস্তুটির জাড্যও তত বেশি।
নবম শ্রেণি ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর
1.অতিক্রান্ত দূরত্ব ও সরণের মধ্যে পার্থক্য কী?
2.মন্দনকে ঋণাত্মক ত্বরণ বলা যায় কী? ও ত্বরণের এককে সময় রাশির একক দুইবার আসে কেন?
3.তুমি বাড়ি থেকে সাইকেলে অর্ধবৃত্তাকার পথে 2 কিমি দূরে বিদ্যালয়ে গেলে আবার অন্য একটি অর্ধবৃত্তাকার পথে 2 কিমি সাইকেল চড়ে বাড়ি ফিরলে। তোমার সরণ কত হল?
4.নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্রটি বিবৃত করো।
5.চলন্ত বাস হঠাৎ থামলে আরোহীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে কেন?
6. নৌকা থেকে লাফ দিয়ে তীরে নামলে, নৌকাটি পিছন দিকে সরে যায় কেন?
7. হাওয়ায় বাজি কীভাবে ওপরে ওঠে? ও মিশ্রগতি কী? উদাহরণ দাও।
8.বায়ুশূণ্য স্থানে পাখি উড়তে পারে না কেন?
9.রৈখিক ভরবেগের সংরক্ষণ নীতিটি বিবৃত করো।
10. সমত্বরণ ও অসমত্বরণের মধ্যে পার্থক্য বোঝাও।
11.“একটি বস্তুকণা সমদ্ৰুতিসম্পন্ন হলেও সমবেগসম্পন্ন নাও হতে পারে”—উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
12.বেগ শূন্য হলেও বস্তুর ত্বরণ থাকতে পারে। এই উক্তিটির সত্যাসত্য ব্যাখ্যা করো।
13.একটি বস্তুর গড় দ্রুতি শূন্য নয়, কিন্তু
তার গড়বেগ শূন্য হতে পারে কি?
14.কোনো কণার ত্বরণ ও বেগের অভিমুখ পরস্পর বিপরীতমুখী হতে পারে কি?
15. সমত্বরণে চলমান কণার বেগ-সময় লেখচিত্র অঙ্কন করো।
16.“বেগের মান স্থির রেখে কেবল দিক পরিবর্তন হলেও ত্বরণ সৃষ্টি হয়।”—একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝাও।
17.প্রতিমিত বল কাকে বলে?
18.অপ্রতিমিত বল কাকে বলে?
19.নিউটনের
প্রথম গতিসূত্রটি লেখো।
20.নিউটনের প্রথম গতিসূত্রকে ‘জাড্যসূত্র’ বলা হয় কেন?
নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর
21.নিউটনের প্রথম গতিসূত্র থেকে কীভাবে বলের সংজ্ঞা পাওয়া যায়?
22.সুইচ বন্ধ করার পরও বৈদ্যুতিক পাখা কিছু সময় পর্যন্ত ঘুরতে থাকে কেন এবং পরে থামে কেন?
24.সমবেগে চলন্ত ট্রেনের কামরায় বসে কোনো আরোহী একটি খেলনা বলকে উল্লম্বভাবে ছুড়ে দিলে, আবার তা হাতে এসে পড়ে কেন?
25.সমবেগে চলাকালীন কোনো বস্তুকণার ত্বরণ কত?
26.সরণ কী ধরণের রাশি?
27.বেগ স্কেলার না ভেক্টর রাশি?
28.কখন সরণের মান অতিক্রান্ত দূরত্বের সমান হয়?
29. ঘূর্ণন গতি ও বৃত্তীয় গতির মধ্যে মৌলিক প্রভেদ কী?
30.সমবেগে গতিশীল কণার সময়-দূরত্ব লেখটি কেমন হবে?
31.মন্দন কি একটি ভেক্টর রাশি?
32.রকেট উৎক্ষেপণ-এর ব্যাখ্যা নিউটনের কোন্ গতিসূত্র থেকে পাওয়া যায়।
33.নিউটনের কোন্ গতিসূত্রটিকে জাড্যের সূত্র বলে?
34.বেগ ও ত্বরণ কি কোনো গতিশীল বস্তুর ওপ্র
বিপরীতমুখী ক্রিয়াশীল হতে পারে?
35.কোনো বস্তুর সুষম গতি বলতে কী বোঝো? 36.কোনো বস্তুর অসম গতি বলতে কী বোঝো?
37.কোনো বস্তুর গতি কীরূপ হলে, বস্তুর প্রতিটি কণা সরল-রেখা বরাবর একই সময়ে একই দূরত্ব অতিক্রম করে?
38.ঘূর্ণন গতির দুটি উদাহরণ দাও।
39.চলনগতি কত প্রকার ও কী কী?
40.সরলরৈখিক চলনগতি কীরূপ?
দ্বিতীয় অধ্যায় বল ও গতি বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর
41.বক্ররৈখিক চলনগতি কীরূপ?
42.বস্তুর সরণ কাকে বলে?
43. সরণের পরিমাপ কীভাবে করা হয়?
44.কোনো বস্তু দ্বারা অতিক্রান্ত পথের মান শূন্য হলে, বস্তুটির সরণও কি শূন্য হবে?
45.কোনো বস্তুর সরণ শূন্য হলে তার দ্বারা অতিক্রান্ত পথের মানও কি শূন্য হবে?
46.দ্রুতি কাকে বলে?
47.দ্রুতি স্কেলার না ভেক্টর রাশি?
48.অতিক্রান্ত দূরত্ব ও দ্রুতির মধ্যে সম্পর্ক কী?
49.সমদ্ৰুতি কাকে বলে?
50.অসম দ্রুতি কাকে বলে?
51.গড় দ্রুতি কী?
File Details:-
File Name:-
File Format:- Pdf
Quality:- High
File Size:- 4Mb
PAGE- 60
File Location:- Google Drive
Download: click Here to Download
[TAG]: মাধ্যমিক বল ও গতি দ্বিতীয় অধ্যায় pdf,বল ও গতি mcq,দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভৌত বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,Madhyamik Physical science question in bengali,