বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে|Bisal danawala ek thurathure buro|একাদশ শ্রেণির বাংলা বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে প্রশ্ন উত্তর
একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 11 Bengali Bisal danawala ek thurathure buroquestion in bengali pdf
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে প্রশ্ন উত্তর PDF। class 11 Bengali golpo question Pdf | WB Class nine Bengali question pdf |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য একাদশ শ্রেণি বাংলা আন্তর্জাতিক গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |একাদশ শ্রেণি বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class xi Bengali Bisal danawala ek thurathure buro Question Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে’ একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে mcq প্রশ্ন
1.
একাদশ শ্রেণি বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও],বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে 1 নং প্রশ্ন উত্তর,
১। বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো'—মূল গল্পটির রচয়িতা কে?
উত্তর ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো’ গল্পটির মূল রচয়িতা গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।
২। পেলাইও প্রচুর কাঁকড়া মেরেছিল কোন্ দিনটিতে?
উত্তর পেলাইও বৃষ্টির তৃতীয় দিনে প্রচুর কাঁকড়া মেরেছিল।
৩। থুরথুরে বুড়োর পরনের পোশাক কীরূপ ছিল?
উত্তর থুরথুরে বুড়োর পরনের পোশাক ছিল ন্যাকড়া কুড়ুনির মতো।
৪। থুরথুরে বুড়োর কণ্ঠস্বর শুনে পেলাইও আর এলিসেন্দা তার সম্পর্কে কী ভেবেছিল?
উত্তর বুড়োর কণ্ঠস্বর শুনে পেলাইও আর এলিসেন্দা তাকে নাবিক বলে ভেবেছিল।
৫। প্রতিবেশী মহিলা বুড়োকে দেখে কী বলেছিল?
উত্তর প্রতিবেশী মহিলা বুড়োকে দেখে একজন দেবদূত বলেছিল।
৬। থুরথুরে বুড়োর খাবার কী ছিল?
উত্তর থরথুরে বুড়ো শুধু বেগুন ভর্তা খেত।
৭। পাদরি গোনসাগা থুরথুরে বুড়োকে দেখতে পেলাইওদের বাড়ি কখন এসেছিল?
উত্তর পাদরি গোনসাগা বুড়োকে দেখতে সকাল সাতটার আগে পেলাইওদের বাড়িতে এসেছিল।
৮। পেলাইও আর এলিসেন্দা রাতে শুতে যাওয়ার আগে দেবদূতকে কোথায় বন্দি করেছিল?
উত্তর পেলাইও আর এলিসেন্দা শুতে যাওয়ার আগে দেবদূতকে মুরগির খাঁচায় বন্দি করেছিল।
৯। পাদরি গোনসাগার কাছে পৃথিবীর কোন দেশ থেকে চিঠি আসার কথা ছিল?
উত্তর পাদরি গোনসাগার কাছে রোম থেকে চিঠি আসার কথা ছিল।
১০। দেবদূতের খাদ্য হিসেবে পড়োশিনি কী নির্দেশ দিয়েছিল?
উত্তর দেবদূতের খাদ্য হিসেবে ন্যাপথলিন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রতিবেশিনী।
১১। পেলাইও আর এলিসেন্দা দেবদূতকে কোথায় রাখবে ঠিক করেছিল?
উত্তর পেলাইও আর এলিসেন্দা দেবদূতকে সমুদ্রে ছেড়ে দেবে ভেবেছিল।
● ১২। পাদরি গোনসাগার মতে, বুড়ো লোকটি কীরূপ ছিল?
উত্তর পাদরি গোনসাগার মতে বুড়ো লোকটি জোচ্চোর ফেরেব্বাজ।
১৩। সার্কাসের উড়ন্ত দড়ি বাজিকরকে কীসের মতো দেখাচ্ছিল?
উত্তর সার্কাসের উড়ন্ত দড়ি বাজিকরকে নক্ষত্র বাদুড়ের মতো দেখাচ্ছিল।
১৪। দেবদূতের ঘটনায় পাদরি গোনসাগার প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
উত্তর দেবদূতের ঘটনায় পাদরি গোনসাগা স্তম্ভিত হয়েছিল।
ID ১৫। শহরে আসা ভ্রাম্যমান প্রদর্শনীর প্রধান আকর্ষণটি কী ছিল?
উত্তর শহরে আগত ভ্রাম্যমান প্রদর্শনীটির প্রধান আকর্ষণ ছিল একটি মাকড়সা-কন্যা।
১৬।পেলাইও কীসের কাজ করত?
উত্তর পেলাইও পাহারাদারের কাজ করত।
১৭। দেবদূতটিকে, কারা মর্মর মূর্তিরূপে স্থাপন করতে চেয়েছিল?
উত্তর দেবদূতটিকে মর্মর মূর্তিরূপে স্থাপন করতে চেয়েছিল কল্পনাবিলাসী লোকেরা।
Iট ১৮। পাদরি হওয়ার পূর্বে গোনসাগার কী কাজ করত?
উত্তর পাদরি হওয়ার পূর্বে গোনসাগা কাঠুরের কাজ করত।
১৯। গোনসাগা কোন ভাষায় বৃদ্ধকে সুপ্রভাত জানিয়েছিল?
উত্তর গোনসাগা খাঁচায় ঢুকে বৃদ্ধকে ল্যাটিন ভাষায় সুপ্রভাত জানিয়েছিল।
২০। পেলাইওর সন্তানটি কী রোগে আক্রান্ত হয়েছিল?
উত্তর পেলাইওর সন্তানটি জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিল।
২১। বুড়োকে দেখতে আসা ভিড় সামাল দিত কারা?5
উত্তর পেলাইওর বাড়ির সামনে বুড়োকে দেখতে আসা ভিড় সামাল দিত সৈন্যবাহিনী।
৷৷ ২২। দেবদূতটিকে দেখার জন্য প্রত্যেককে কত অর্থ খরচ করতে হত?
উত্তর দেবদূতটিকে দেখার জন্য প্রত্যেক দর্শনার্থীকে পাঁচ সেন্ট করে দিতে হত।
Iট ২৩। দেবদূতটিকে দেখতে অসুস্থ মানুষজন কোথা থেকে এসেছিল?
উত্তর দেবদূতটিকে দেখতে অসুস্থ মানুষেরা ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ থেকে এসেছিল।
২৪। মা-বাবার কথা না শুনে নাচ দেখতে যাওয়ার ফলে মেয়েটির জীবনে কী নেমে এল?
উত্তর মা-বাবার কথা না শুনে নাচ দেখতে যাওয়ার ফলে মেয়েটির জীবনে অভিশাপ নেমে এল। সে একটি
আজব মাকড়শায় পরিণত হয়েছিল।
২৫। মেয়ে মাকড়সার মুখটি দেখতে কেমন ছিল?
উত্তর মেয়ে মাকড়সার মুখটি ছিল স্বাভাবিক মেয়ের মতোই।
৷৷ ২৬। ডানাওয়ালা বুড়োর চেয়ে মেয়ে মাকড়সাকে দেখতে ভিড় কেন বেশি হত?
উত্তর বুড়োর থেকে মেয়ে মাকড়সাকে দেখতে ভিড় বেশি হত, কারণ তাকে দেখার জন্য দর্শনী দিতে হত না।
৷ ২৭। দেবদূতকে দেখে এক অন্ধ আতুরের কী পরিবর্তন হয়েছিল?
উত্তর দেবদূতকে দেখে এক অন্ধ আতুরের তিনটি দাঁত গজিয়েছিল।
২৮। দেবদূত পেলাইওর ঘরে কার সঙ্গে খেলা করত?
উত্তর দেবদূত পেলাইওর সন্তানের সঙ্গে খেলা করত।
ID ২৯। দেবদূতকে দেখিয়ে অর্জিত অর্থ থেকে পেলাইও কী করেছিল?
উত্তর দেবদূতকে দেখিয়ে অর্জিত অর্থ থেকে পেলাইও দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিল।
৩০। এলিসেন্দা থুরথুরে বুড়োকে কোন দিকে উড়ে যেতে দেখেছিল?
উত্তর এলিসেন্দা থুরথুরে বুড়োকে সমুদ্রের উপর দিয়ে। অসুস্থ চিলের মতো উড়ে যেতে দেখেছিল।
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে 5 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে 5 নং প্রশ্ন উত্তর
১। 'বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো' গল্পের নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।৫
উত্তর সাহিত্যের নামকরণের মধ্য দিয়ে পাঠকবর্গ সাহিত্যের অন্দরমহলে প্রবেশ করতে সমর্থ হন। নামকরণ থেকেই পাঠক গল্পের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেয়ে থাকেন। গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ তাঁর ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো' গল্পের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রচলিত যারণাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। গল্পের মুখ্য চরিত্র বিচিত্র জীবটিকেই নামকরণের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়েছেন। সমাজ বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এইরূপে একটি অদ্ভুত জীবের উপস্থিতি গল্পটিতে রুপকথার আমেজ এনেছে।
পেলাইওদের বাড়িতে বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়োর আবির্ভাব কোনো অলৌকিকতার জন্ম দেয় না। বুড়োটিকে দেখে অনেকেই তাকে স্বর্গভ্রষ্ট দেবদূত বলে মনে করেছিল। কিন্তু বুড়োটি সত্যিকারের দেবদূত হয়ে দেখা দিল পেলাইওদের অভাবগ্রস্ত সংসারে। তাকে দেখতে আসা দর্শনার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ সেন্ট করে অর্থ আদায় করেপেলাইওদের সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসে। যে আর্থিক দুরবস্থার মধ্য দিয়ে তাদের দিন অতিবাহিত হচ্ছিল সেই অবস্থা থেকে তারা মুক্তি পেল। পেলাইও ও তাঁর পরিবারের কাছে ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়ো যেন ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু ওই বুড়ো কোথা থেকে, কীভাবে পেলাইওদের উঠানে এসে উপস্থিত হয়েছিল তা গল্পের শেষেও অজ্ঞাতই থেকে যায়। তার আবির্ভাব যেমন হঠাৎ, তেমনি হঠাৎই তার চলে যাওয়া। মাঝখানে রয়ে গেল পেলাইওদের জীবনের পরিবর্তনের এক কাহিনি। তাই গল্পের নামকরণ 'বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো' সংশয়াতীতভাবে সার্থক ও সংগত হয়েছে।
॥ ২॥ ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো'—গল্প অবলম্বনে ডানাওয়ালা বুড়োর চরিত্র আলোচনা করো।
উত্তর ‘বিশাল ডানায়ালা এক থুরথুরে বুড়ো’—গাবরিয়েল মার্কেজ যে ক-টি চরিত্রের উপস্থাপনা ঘটিয়েছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষক চরিত্রটি ডানাওয়ালা বুড়ো। তাকে ঘিরেই গল্পের শুরু এবং তাকে ঘিরেই গল্পের বিস্তৃতি। বর্ষাকালে এক ঝড়জলের রাতে পেলাইওদের উঠানে সে এসে পড়ে। উঠোন থেকে কাঁকড়া পরিষ্কার করতে গিয়ে পেলাইও কাদার মধ্যে পড়ে থাকা অবস্থায় বুড়োকে দেখতে পায়। পরে তাকে তারা মুরগির খাঁচায় আবদ্ধ করে রাখে। অনেকে তাকে দেবদূত বলে মনে করলেও সবজান্তা এক প্রতিবেশিনী বলে, পেলাইওদের দুর্বল বাচ্চাটাকে সে নিয়ে যেতে এসেছিল। যাজক পাত্রে গোনসাগা বুড়োর দেবদূত হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। অদ্ভুত বিচিত্র এই জীবটির অকস্মাৎ পেলাইওদের বাড়িতে আবির্ভাব। একটু সবল হলে তাকে মুরগির খাঁচার বাইরে আনা হয়। সে পেলাইওদের বাচ্চাটার সঙ্গে একটা সম্পর্ক গড়ে 5 তোলে। পেলাইওরা তাকে প্রথমে নাবিক বলে ভুল করেছিল। একদিন দেখা গেল, ডানাওয়ালা বুড়ো উড়তে চেষ্টা করছে। পা হড়কে পড়ে গেলেও সে অবশেষে উড়তে সক্ষম হল। এক অলৌকিক বিচিত্র ডানাওয়ালা বুড়ো রূপকথার মতোই আমাদের মনে এক রহস্য সৃষ্টি করল। ন খাঁচায় আবদ্ধ বুড়োকে দেখতে আসা অনেকে তার দিকেখাবার ছুঁড়ে দিচ্ছিল। বুড়ো সেসব খাবার খায়নি। দেখা গেল, তার খাবার শুধু বেগুনভর্তা। তার রিনরিনে গলার সুর তীব্র হলেও মানুষের বোধগম্য নয়। খাঁচার ভিতর বুড়োকে একটা
বিশাল মুরগির মতো মনে হতে লাগল। এক দর্শনার্থী তাকে উত্তপ্ত লোহার ছেঁকা দিলে বুড়ো তার যন্ত্রণা ব্যক্ত করেছিল। এই অদ্ভুত দর্শন বুড়োকে দেখার ফলে এক অন্ধ আতুরের তিনটি দাঁত গজিয়েছিল। এক কুষ্ঠরোগীর ঘায়ে সূর্যমুখী ফুলফুটেছিল।
৷ ৩৷ ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো'—গল্প অবলম্বনে পেলাইওর চরিত্র আলোচনা করো। ৫
উত্তর ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী গাবরিয়েল মার্কেজ তাঁর এই ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো’ গল্পে সীমিত সংখ্যক চরিত্রের উপস্থাপনা করেছেন। সেখানে পরিবারের কর্তা পেলাইও চরিত্রের বিভিন্ন দিক তিনি তুলে ধরেছেন। সমুদ্র তীরবর্তী এক গ্রামে স্ত্রী এলিসেন্দা ও সন্তানকে নিয়ে পেলাইওর সংসার। অভাব-অনটন ও পাহারাদারের কাজ নিয়ে তার অভাবের সংসার চলত। এমনই এক সময়ে এক ঝড়জলের রাত্রে তার বাড়ির উঠোনে এক বিচিত্র জীবের আবির্ভাব ঘটে। সমুদ্র থেকে উঠে আসা উঠান ভরতি কাঁকড়া পরিষ্কার করার সময় পলাইও লক্ষ করে বিশাল নাওয়ালা এই বিচিত্র জীবটিকে। এই বিচিত্র জীবটিকে দেখার জন্য পেলাইওদের বাড়িতে বহুমানুষের সমাগম হতে লাগল। অভাবী পেলাইও সেই দর্শনার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ সেন্ট করে দর্শনী আদায় করতে লাগল। এভাবে তারা অনেক অর্থ উপার্জন করল। পেলাইও ও তার পরিবার তাই বুড়োর আবির্ভাব ও তাকে দেখতে আসা দর্শনার্থীদের অত্যাচার মেনে নিয়েছিল। গ্রামের দরিদ্র পরিবারে এরূপ এক আশ্চর্য জীবের আগমন ঠিক স্বস্তিদায়ক নয়। তাই মানবিক কারণে দুর্দশাগ্রস্ত বিচিত্র জীবকে পেলাইও আশ্রয় দিয়েছিল নাবিক ভেবে। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই বিচিত্র জীবটিই তার সংসারের অভাব দূর করল। দর্শনার্থীদের কাছ থেকে যে টাকা পেলাইও উপার্জন করেছিল তা দিয়ে সে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছিল। পাহারাদারের কাছে ইস্তফা দিয়ে পেলাইও শহরের কাছে একটা খরগোশের খামার তৈরি করেছিল। একদিকে উদার হৃদয়, মানবিকতাবোধ ও অন্যদিকে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার কৌশল পেলাইও চরিত্রটিকে আলাদা করে তুলেছে।
৪। “সার্কাস দল এবং বাজিকর, ডানাওয়ালা বুড়োর তুলনায় সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করতে
পারেনি”—কোন কারণে এমন ঘটনা ঘটেছিল?
উত্তর গাবরিয়েল মার্কেজের ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থরথুরে বুড়ো’ গল্পে সমুদ্র তীরবর্তী এক গ্রামে ঘটে যাওয়া এক আশ্চর্য ঘটনার কথা বর্ণিত। ঝড়জলের মধ্যে ওই গ্রামে পেলাইওদের উঠানে বিশাল ডানাওয়ালা এক বিচিত্র জীবের আগমন ঘটেছিল। জীবের খবর পেয়ে দলে দলে লোক তাকে দেখার জন্য পেলাইওদের বাড়িতে ভিড় করে। এরুপ মানুষের ভিড়ের খবর পেয়ে অর্থ উপার্জনের আশায় সেই গ্রামে উপস্থিত হয় একটি ভ্রাম্যমান সার্কাস দল এবং এক দড়ির
বাজিকর। গ্রামের মানুষ এরূপ বিনোদনের উপকরণ পেয়ে ছুটে আসবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই পেলাইওদের বাড়িতে ভিড় করা মানুষজনকে যে সার্কাসদল বা দড়ির বাজিকর কাজে লাগাবে—তা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু দেখা গিয়েছিল সার্কাস বা বাজির খেলার প্রতি নয়—ডানাওয়ালা বুড়োকে দেখতে
মানুষজনের উৎসাহ বেশি। সার্কাস বা বাজিকর জনাতাকে তাদের দিকে টেনে আনতে পারেনি। কারণ, সার্কাসে বিভিন্ন খেলারই পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকে—কোনো নতুনত্ব থাকে না। অন্যদিকে দড়ির বাজিকরের ডানা দুটি ছিল নকল—দেবদূতের ডানার মতো আসল নয়। অদেখা জিনিসকে দেখার জন্য মানুষ বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে। তাই সাধারণ মানুষ সার্কাস বা বাজিকরের খেলা দেখা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। ডানাওয়ালা দেবদূতের ডানা দুটি ছিল আসল এবং আশ্চর্যের। তাকে দর্শন করার ফলে অন্ধ এবং আতুরের তিনটি দাঁত গজিয়েছিল। তাকে দেখার ফলেই এক কুষ্ঠ রোগীর গায়ে সূর্যমুখী ফুল ফুটে উঠেছিল। তাই ডানাওয়ালা বুড়োকে ঘিরে দুঃখী, রোগগ্রস্ত মানুষজনেরও ভিড় ছিল। সকলেই বুড়োর কাছে ব্যাধির আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা জানাচ্ছিল। দেবদূতের প্রতি গভীর আস্থার কারণে তাকে ঘিরে ভিড় বাড়তে থাকে। তাই বুড়োর তুলনায় সার্কাস বা বাজির খেলা সাধারণ মানুষকে আকর্ষণ করতে পারেনি।
৫। ডানাওয়ালা বুড়োর তুলনায় মেয়ে মাকড়সা কেন বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল?
উত্তর পেলাইওদের বাড়িতে বিশাল ডানাওয়ালা এক বুড়ো বিচিত্র জীবের আগমন ঘটেছিল। তাকে দেখতে প্রচুর মানুষের সমাগম ঘটেছিল। অনেকেই তাকে দেবদূত বলে মনে করেছিল। এই বিচিত্র জীবটি ঝোনো ভাষা বুঝত না। রিনরিনে। গলায় যা বলত তা মানুষজনের দুর্বোধ্য ছিল। দর্শনার্থীদের অত্যাচার সে নীরবে সহ্য করে যেত। তাকে দেখার করে দু-একজনের মধ্যে আলৌকিক পরিবর্তন লক্ষ করা গেল। তাই
তাকে নিয়ে মানুষের ভিড় জমে উঠেছিল। অন্যদিকে ডানাওয়ালা বুড়োকে দেখতে আসা মানুষজনের ভিড়কে কেন্দ্র করে সেখানে সার্কাস দল ও দড়ি বাজিকরের উপদিতি ঘটে। মেলা পরিণত হওয়া জায়গায় হঠাৎ করে আবির্ভাব ঘটে একটি মেয়ে মাকড়সার—যার মুখমণ্ডলটি একটি মেয়ের কিন্তু শরীরটি মাকড়সার। মা-বাবার কথা না শুনে যে মেয়েটি নাচ দেখতে গিয়েছিল। নাচের আসর থেকে ফেরার সময় বনের মধ্যে ভয়ংকর বজ্রপাতের মধ্য দিয়ে তার জীবনে অভিশাপ নেমে এসেছিল। এইরূপ একটি করুণ কাহিনি শোনার ও তাকে দেখার জন্য তাই ভিড় বাড়তে লাগল। বুড়ো ছিল একেবারে নিরুত্তাপ, কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারত না। তাই মানুষের সঙ্গে তার সংযোগ গড়ে ওঠেনি। আবার বুড়োকে দেখার জন্য প্রত্যেককে পাঁচ সেন্ট করে দিতে হত। মেয়ে মাকড়সাকে দেখার জন্য এরূপ অর্থ দিতে হত না। কীভাবে অভিশপ্ত হয়েছিল সেকথা করুণ স্বরে বলত। তাকে দেখার ফলে মানুষের মধ্যে একটা আন্তরিকতা ও মানবিকতার দিক ছিল। একটা নীতিশিক্ষাও মানুষ তার কাছ থেকে গ্রহণ করতে পারত। তাই ডানাওয়ালা বিচিত্র বুড়োর চেয়ে মেয়ে মাকড়সা মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করেছিল
বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে বড় প্রশ্ন উত্তর,
একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প 5 নং প্রশ্ন উত্তর
● ৬। “বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো-গল্প মঅবলম্বনে যাজক পাদ্রে গোনসাগার চরিত্রটি আলোচনা করো।
উত্তর গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের ‘বিশাল ডানাওয়াল এক থুরথুরে বুড়ো গল্পে যে কয়েকটি চরিত্রের উপস্থিতি ঘটেছে—তাদের মধ্যে যাজক গোনসাগা চরিত্রটি নেহাতই অপ্রধান চরিত্র। গল্পটির সংক্ষিপ্ত পরিসরে গোনসাগার উপস্থিতি মার্কেজের সাহিত্য প্রতিভার গুণটিকে প্রকাশ করেছে। সমুদ্র তীরবর্তী এক গ্রামের ধর্মযাজক গোনসাগা প্রশাসনিক বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতেন। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। পেলাইওদের বাড়িতে যখন বিচিত্র বুড়োর আবির্ভাব ঘটল, তার পরদিন সকালবেলায় বুড়োকে দেখতে পেলাইওদের বাড়িতে গোনসাগার উপস্থিতি ঘটল। এইরূপ বিচিত্র জীবটিকে দেখতে যে তিনি হাজির হবেন তা অত্যন্ত স্বাভাবিক। পেলাইওদের বাড়িতে গোনসাগার উপস্থিতি জনমানসে প্রচণ্ড আগ্রহ ও কৌতূহলের সৃষ্টি করে। সাধারণ মানুষের বেশিরভাগই যখন এই বিচিত্র ডানাওয়ালা জীবটিকে দেবদূত বলে ধরে নিয়েছে—তখনই গোনসাগার উপস্থিতি। উপস্থিত হয়ে বুড়োর খাঁচার ভিতর ঢুকে গোনসাগা তাকে ল্যাটিন ভাষায় সম্ভাষণ জানাল। ল্যাটিন ভাষা বুড়োর বোধগম্য হয়নি। কোনো উত্তর না পাওয়ায় গোনসাগার মনে হল বুড়ো জোচ্চোর বা ফেরেব্বাজ। তার ডানাদুটিকেও নকল বলে মনে হল। উপস্থিত গ্রামবাসীকে গোনসাগা তিরষ্কার করল—বুড়োটিকে দেবদূত বলে মনে করার জন্য। কারণ, কেবলমাত্র ডানাই দেবদূতের একমাত্র প্রমাণ নয়—একথা তিনি সকলকে মনেকরিয়ে দিলেন। অবশেষে ব্যস্তসমস্তভাবে তিনি জানালেন—এই সমস্ত ঘটনার কথা তিনি বিশপকে জানাবেন। নিজেকে জাহির
করা গোনসাগার স্বভাব—যার প্রকাশ ঘটল এই ঘটনার মধ্য দিয়ে।
॥ ৭। বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়োর আবির্ভাবে পেলাইওরা অখুশি হয়নি কেন?
উত্তর ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়োর আবির্ভাবে পেলাইও ও তার স্ত্রী এলিসেন্দা প্রথমে বিস্মিত ও পরবর্তীকালে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। ঝড়-জলের মধ্যে বুড়ো পেলাইওদেরউঠোনের পাঁক ভরতি ডোবার মধ্যে আটকে পড়েছিল। ডানার পালক খসা, বিচিত্র পোশাক পরিহিত বুড়োকে দেখে পেলাইওরা প্রথমে ভয় পেয়েছিল। যখন ভয়ানক কিছু ঘটল না, তখন পেলাইও ও তার স্ত্রী এলিসেন্দা আশ্বস্ত হল। অনেকেই এই বিচিত্র বুড়োকে স্বর্গভ্রষ্ট দেবদূত বলে মনে করেছিল। ডানাওয়ালা অদ্ভুত দর্শন জীবটিকে দেখতে কাতারে কাতারে লোক পেলাইওদের বাড়িতে ভিড় করায় পেলাইওরা প্রথম প্রথম বিরক্ত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে তারা ঠিক করেছিল, বুড়োকে দেখার জন্য প্রত্যেক দর্শনার্থীর কাছ থেকে পাঁচ সেন্ট করে নেবে। এই দর্শনীতেই ভরে উঠেছিল পেলাইওর ভাণ্ডার। কিছু কোলাহল কিছু অত্যাচার সহ্য করতে হলেও অর্থের আমদানি হওয়ায় তাদের মন ছিল খুশিতে ভরপুর। আমদানিকৃত অর্থে কিছুদিনের মধ্যেই পেলাইও দোতলা বাড়ি তৈরি করল। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেলাগল। স্ত্রী এলিসেন্দার জন্য উঁচু হিলের জুতো এবং রং-বাহারি সিল্কের জামাকাপড় কিনল। দর্শনার্থীদের টাকায়পেলাইওদের সংসারের অভাব দূর হয়ে গেল। ডানাওয়ালা বুড়োকে দেখিয়েই তারা এই অর্থ দর্শনার্থীদের কাছ থেকে আদায় করেছিল। অর্থই পারে মানুষকে সবকিছু থেকে ভুলিয়ে রাখতে। তাই একদিন যে দর্শকদের বিরক্তিকর বলে মনে হয়েছিল পরবর্তীতে অর্থের জন্যই সে বিরক্তি তারা অনায়াসে সহ্য করে নিয়েছিল।
Iট ৮। “সেই মুহূর্তে ওরা প্রথম ভয় পেল।” —কারা, কেন ভয় পেল? তাদের ভয় দূর হল কীভাবে? ২+৩=৫
উত্তর ডানাওয়ালা বুড়োর আবির্ভাবের পর পেলাইও ও এলিসেন্দার সংসারের হতশ্রী অবস্থা দূর হয়েছে। অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য পরিবারে খুশির ঢেউ তুলেছে। এমনসময় দেবদূতকে নিয়ে পরিবারে সমস্যা দেখা দেয়। ডানাওয়ালা দেবদূত যেন কীরকম হয়ে গেছে। তার চোখে ঘুম নেই। শরীরটাকে কোনোক্রমে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে বাড়ির চারিদিকে ঘুরে বেড়ায়। রান্নাঘর থেকে শোবার ঘর পর্যন্ত মুহূর্তে চলে যায়। পেলাইওরা ভাবে দেবদূত যেন একটা নয় অনেকগুলি দেবদূত ঘুরে বেড়াচ্ছে। দেবদূত এখন কিছুই খায় না। তার ডানার অবস্থা খুব খারাপ, এমনকি চোখেও ভালো দেখতে পায় না। ঘুমের ঘোরে দেবদূতকে অস্পষ্ট কিছু বলতেশুনে এলিসেন্দা ভয় পায়। ভাবে দেবদূত বুঝি মারা যাবে। দেবদূত মারা গেলে কী করতে হবে তা তাদের অজানা। পেলাইওরা একরাশ চিন্তা ও উদ্বেগের মধ্যে দিন অতিবাহিত করে। শীতের আমেজ ছড়িয়ে পড়তেই দেবদূতের চেহারায় পরিবর্তন দেখা গেল। তার পাখায় দেখা গেল নতুন পালক। দেবদূত এখন অনেক চনমনে। তার কণ্ঠে প্রকাশ পেল নাবিকের গান। দেবদূত এখন অনেক সুস্থ-সবল। একদিন কর্মে নিযুক্ত থাকা অবস্থায় এলিসেন্দা লক্ষ করল দেবদূত বিশ্রী অঙ্গভঙ্গি করে ওড়বার চেষ্টা করছে। তার ডানা ঝাপটানোরশব্দে ঘরটা ভেঙে পড়বার মতো অবস্থা হল। তবে শেষ পর্যন্ত পা হড়কে গেলেও উড়তে সক্ষম হল। সমুদ্রের উপর দিয়ে সে আকাশে উড়ে গেল। রান্নার কাজ ফেলে এলিসেন্দা অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রইল। এলিসেন্দা ও পেলাইওর এখন ভয় দূর হয়ে গেছে। তারা এখন সংশয়হীন। সমস্ত সমস্যা দূর করে দেবদূত অনির্দেশ্য জগতে পাড়ি দিয়েছে। তাদের পরিবারে এখন সুখের মুহূর্ত।
ID ১০। “যদিও অনেকে ভেবেছিল তার সাড়াটা ঠিক ক্রোধের নয়, বরং জ্বালার, ব্যথার।” –ব্যাখ্যাকরো।
উত্তর গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের মতে, পৃথিবীর যে সব বস্তু, যতই অনায়াসে পাওয়া যায়—তার করদ ততই কমে যায়। বিশাল ডানাওয়ালা থুরথুরে বুড়ো ঝড়-বাদলের দিনেপেলাইওদের বড়িতে উপস্থিত হল—তাকে দেখে পেলাইও শঙ্কিত হয়ে পড়ে। পেলাইওরা তাকে পরিচর্যা বা যত্ন না করে মুরগির খাঁচায় রেখে দিল। তাকে নিয়ে সকলে মশকরা, নানা ঠাট্টা করেছে। অনেকে আবার তার গায়ে ঢিল ছুঁড়ে মেরেছে। তাকে ঢিল ছোঁড়া বা পুণ্যার্থীদের রেখে যাওয়া তেলের বাতি বা মোমবাতির উত্তাপে তার মাথা খারাপের পরিস্থিতি হলেও সে কোনোরূপ বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায়নি।সমগ্র গল্পটিতে থুরথুরে বুড়োকে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি। যদিও মানুষটির মুখের ভাষা বোধগম্যও নয়। মুরগির খাঁচায় তাকে রেখে দেওয়া হলেও কোনো সময়েই সে ক্রোধ দেখায়নি বা কোনো অনুযোগের কথা ব্যক্ত করেনি। তাকে নিয়ে মানুষের ভিড়ে তার নিস্পৃহতা তাকে যেন এক ভিন্ন জগতের মানুষ হিসেবে প্রতিপন্ন করে। একদিন তার শরীরে গরম লোহার ছ্যাঁকা দিলে সে যে সাড়া দিয়েছিল—সেটা ছিল জ্বালার বা ব্যথার। সে দুর্বোধ্য ভাষায় চেঁচিয়ে উঠেছিল, তার চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে এসেছিল। অধিকাংশ মানুষ পৃথিবীতে তাদের জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি না করেই তাদের জীবন অতিবাহিত করে চলে। বুড়ো মানুষটিও হয়তো এই ধরনের মানুষ। অপূর্ব স্বপ্নালু, অনবদ্য ভঙ্গিমায় বর্ণিত ডানাওয়ালা মানুষটির আবির্ভাবের ঘটনা—তার সহ্যশক্তির ক্ষমতা এক জীবন্ত রূপকথার বাতাবরণ সৃষ্টি করে।
৷৷
১২। ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো’—গল্পটিতে উল্লেখিত প্রতীকসমূহ ও তাদের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।৫
উত্তর গাবরিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ তাঁর উদ্দেশ্য সিদ্ধ করার জন্য ‘বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়ো' গল্পে প্রতীক চরিত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন থুরথুরে বুড়ো এবং মেয়ে-মাকড়সাকে। মার্কেজ ক্ষমতা, গতি ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে ডানাওয়ালা বুড়োর ডানাকে ব্যবহার করেছেন। ঐতিহ্য ও সংস্কার অনুসারে দেবদূত বলতে সুন্দর দেখতে ডানাযুক্ত রূপপরিগ্রাহীদের বোঝায়। কিন্তু ডানাওয়ালা বুড়োর ডানা থাকলেও সে দেখতে অসুন্দর। তার ডানা দুটিকে বার্ধক্য ও রোগানুভূতির বাহক হিসেবে দেখানো হয়েছে। এই দেবদূতের ডানা দেখানোর উদ্দেশ্য এই যে, বৃদ্ধ মানুষটি অপার্থিব হয়েও পার্থিব। আত্মগর্বী মানুষ যেভাবে অব্যবস্থিত চিত্তে তাদের বিশ্বাসকে দেখে—তারই প্রতিফলন ঘটেছে মেয়ে মাকড়সাটির মধ্য দিয়ে। দেবদূতের কথা শোনার পর বহু মানুষ পেলাইওদের বাড়িতে ভিড় জমায় কিছুটা বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে, কিছুটা বৃদ্ধের অলৌকিক কোনো ক্ষমতা আছে কিনা, তা দেখতে। কিন্তু তাদের হতাশ করে বৃদ্ধ মানুষটি কয়েকটি আধা অলৌকিক কাণ্ড ঘটিয়েছিল। তাই মেয়ে মাকড়সা বর্ণিত তার জীবনের মর্মান্তিক ঘটনা থেকে অন্য মেরুতে অবস্থান করছিল বৃদ্ধের দুর্বোধ্য অস্তিত্ব ও উদ্দেশ্য। উভয়েই গ্রামবাসীর কাছে অজানা অচেনা হলেও মেয়ে মাকড়সাটির আকর্ষণ ছিল বেশি। গল্পাকার দেখাতে চেয়েছেন—পুণ্যার্থীদের ফললাভ করা থেকে যে বিশ্বাস—তা মোটেই সে অর্থে বিশ্বাস নয়।
[TAG]: বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে আন্তর্জাতিক গল্প pdf,বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে আন্তর্জাতিক গল্প mcq,বিশাল ডানাওয়ালা এক থুরথুরে বুড়াে বড় প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণি,একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প,একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প 3 নং প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প বড় প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির বাংলা আন্তর্জাতিক গল্প 1 প্রশ্ন উত্তর,Class 11 Bengali golpo question in bengali,Bisal danawala ek thurathure buro,