আমার প্রিয় খেলা প্রবন্ধ রচনা|খেলাধুলা প্রবন্ধ রচনা|ক্রিকেট খেলার ইতিহাস |

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

আমার প্রিয় খেলা প্রবন্ধ রচনা|খেলাধুলা প্রবন্ধ রচনা |khaladhula prabandha racana
আমার প্রিয় খেলা প্রবন্ধ রচনা|খেলাধুলা প্রবন্ধ রচনা|ক্রিকেট খেলার ইতিহাস |

ভূমিকা: আধুনিক পৃথিবীতে সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় খেলা হল ক্রিকেট। সারা পৃথিবীর শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই ক্রিকেট খেলার জাদুতে মেতে রয়েছে। ছোটোবেলা থেকেই আমি খেলাধুলা পছন্দ করি। আমার সবচেয়ে প্রিয় হল ক্রিকেট খেলা। ফুটবলও যথেষ্ট জনপ্রিয়, তবুও ক্রিকেটকেই বলা হয় খেলার রাজা। ব্যয়বহুল ও দীর্ঘ সময়বিশিষ্ট খেলা হলেও বিশ্বের প্রায় সর্বত্র ক্রিকেটের গুণমুগ্ধের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।


ক্রিকেট খেলার ইতিহাস : ক্রিকেট খেলার জন্ম হয়েছিল ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ডের মাটিতেই বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট খেলা শুরু হয় খ্রিস্টিয় অষ্টাদশ শতকে। পৃথিবীর প্রথম ক্রিকেট দল গড়ে ওঠে ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ারের কাছে হাম্পবলডনে। আস্তে আস্তে সমগ্র ইংল্যান্ডে খেলাটির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। উনিশ ও বিশ শতকে পৃথিবীর নানা স্থানে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য সম্প্রসারিত হতে থাকে। তাদের হাত ধরেই ক্রিকেট খেলাও ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ইত্যাদি দেশেও এই খেলা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ক্রিকেট


খেলার বিভিন্নতা : ক্রিকেট খেলা মূলত তিনপ্রকার। যেমন— টেস্ট ক্রিকেট অর্থাৎ টানা পাঁচ দিনব্যাপী খেলা, একদিনের খেলা অর্থাৎ ওয়ান ডে ক্রিকেট—এক্ষেত্রে পঞ্চাশ ওভারে খেলা হয় এবং টি টোয়েন্টি ম্যাচ—এক্ষেত্রে দু-পক্ষই কুড়ি ওভার করে খেলার সুযোগ পায়। ক্রিকেট খেলার নিয়মকানুন: ক্রিকেট খেলার জন্য দুটি ভিন্ন দলে মোট বাইশ জন খেলোয়াড় দরকার হয়। অর্থাৎ প্রতি দলে থাকে এগারো জন করে খেলোয়াড়। এর জন্য একটি কাঠের তৈরি ব্যাট ও নির্দিষ্টমাপের গোলাকার কাঠের বল প্রয়োজন হয়। মাঠের ঠিক মাঝখানে পরস্পরের সম্পূর্ণ বিপরীতে প্রোথিত এক একদিকে তিনটি করে মোট ছয়টি কাঠের দণ্ড, যার পোশাকি নাম উইকেট। প্রতিটি দিকের তিনটি উইকেটের মাথায় ‘বেইল’ নামের দুটি করে কাঠের খণ্ড রাখা থাকে। ক্রিকেট খেলা শুরু হয় টসের মাধ্যমে। যে জয়ী হয়, সেই দল বেছে নেয় বোলিং অথবা ব্যাটিং। প্রত্যেকবারের খেলাকে এক-একটি ইনিংস নামে অভিহিত করা হয়। বল নিক্ষেপকারীকে ‘বোলার’ ও ব্যাটধারীকে বলা হয় ‘ব্যাটসম্যান’। উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে যে উইকেট পাহারা দেয়, তাকে বলে উইকেট কিপার। বাকি যে খেলোয়াড়রা চারিদিকে দাঁড়িয়ে বল আটকাবার চেষ্টা করে, তাদের বলে ফিল্ডার। ব্যাটধারী দলের দশজন খেলোয়াড় আউট হলে তাদের এক ইনিংস শেষ হল বলে ধরে নেওয়া হয়। তখন এতক্ষণের বলনিক্ষেপকারী দল ব্যাটিং এর সুযোগ পায় ক্রিকেট খেলায়


বিচারক: ক্রিকেট খেলা পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ ও বিচারের জন্য থাকেন দুইজন আম্পায়ার। দু-পাশের উইকেটে দুজন আম্পায়ার থাকেন। বর্তমানে নানা বিতর্কের অবসান করতে অন্তরালে একজন থার্ড আম্পায়ারকে রাখা হয়।


উপসংহার: ক্রিকেট খেলা অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত খেলা, একদিকে রান বৃদ্ধি, অন্যদিকে উইকেট রক্ষা—এর উপরেই নির্ভর করে দলের হার- জিত। যথেষ্ট ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের শিক্ষা দেয় ক্রিকেট খেলা। এই কারণেই ক্রিকেট আমার প্রিয় খেলা।



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url