আমি দেখি কবিতা প্রশ্ন উত্তর|উচ্চমাধ্যমিক বাংলা আমি দেখি কবিতা প্রশ্ন উত্তর PDF|Ami dakhi kobita
আমি দেখি -শক্তি চট্টোপাধ্যায়| দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা আমি দেখি প্রশ্ন উত্তর |HS bengali ami dakhi kobita question answer pdf download.
আমি দেখি কবিতা প্রশ্ন উত্তর

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি উচ্চমাধ্যমিক আমি দেখি প্রশ্ন উত্তর PDF। Class 12 bengali ami dakhi kobita question answer pdf|WBCHSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা কবিতা আমি দেখি প্রশ্ন উত্তর pdf download. তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা আমি দেখি প্রশ্ন উত্তর pdf download করো এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা আমি দেখি প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
Read More:--
দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা আমি দেখি 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন কবি গাছগুলি তুলে আনতে বলেছেন কেন?
উত্তর : কবি গাছগুলি তুলে আনতে বলেছেন এই কারণে যে, গাছগুলি লাগিয়ে বাগান বানানো হবে, কারণ চোখ গাছের সবুজ চায়, দেহ চায় সবুজ বাগান।
প্রশ্ন ‘বহুদিন শহরেই আছি’ বলে কবির মনে কী প্রচ্ছন্ন আক্ষেপ আছে?
উত্তর : বহুদিন শহরেই আছেন বলে কবির মনে এই প্রচ্ছন্ন
প্রশ্ন কীজন্য কবির ‘গাছ দেখে যাওয়া’ দরকার?
উত্তর : কবির 'গাছ দেখে যাওয়া দরকার এই জন্য যে, তাঁর শরীরে গাছের সবুজটুকু দরকার, তাঁর রোগের আরোগ্যের জন্য সবুজের ভীষণ প্রয়োজন।
প্রশ্ন শহরে সবুজের অনটন কেন?
উত্তর : শহরে সবুজের অনটনের কারণ, শহরের ব্যাধি হল সবুজকে হাঁ করে গিলে ফেলা, অর্থাৎ সবুজকে ধ্বংস করে ফেলা।
প্রশ্ন চোখ ও দেহ কী চায়?
উত্তর : চোখ চায় সবুজ দেখতে, আর দেহ চায় সবুজ বাগানের বুকভরা নির্মল তাজা প্রাণদ বাতাস জোগায় বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি।
প্রশ্ন ‘আমি দেখি' কবিতায় 'চোখ' আর 'দেহ' কী কী চায়?
উত্তর : চোখের দৃষ্টিশক্তিকে সজীব ও সতেজ রাখার জন্য পাতার সবুজ রং দেখা, শরীরকে নীরোগ ও বাঁচিয়ে রাখার জন্য গাছের দেওয়া তাজা অক্সিজেন একান্ত দরকার।
প্রশ্ন ‘আমি দেখি' কবিতায় ‘সবুজের’ কোন্ব্য ঞ্জনা অভিব্যক্ত হয়েছে?
উত্তর : 'আমি দেখি' কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় সবুজকে গাছের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে অপূর্ব কাব্যিক ব্যঞ্জনার পরিচয় রেখেছেন।
প্রশ্ন কোথায় বসাতে বলেছেন?
উত্তর : আমি দেখি' কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় গাছ এনে বাড়ির সংলগ্ন বাগানে বসাতে বলেছেন।
প্রশ্ন ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি কী দেখতে ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি গাছ এনে চেয়েছেন?
উত্তর : ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দেখতে চেয়েছেন গাছ এনে শহুরে মানুষ গাছ লাগিয়ে বাগান গড়ুক।
প্রশ্ন সবুজের অনটন কেন?
উত্তর : সবুজের অনটনের কারণ হল ইট-কাঠ-পাথরের প্রাসাদ ও কংক্রিটের রাস্তা গড়তে গিয়ে শহুরে মানুষ নির্বিশেষে গাছ ধ্বংস করে সবুজের আকাল গড়েছে।
প্রশ্ন ‘বাগানে বসাও আমি দেখি’—কবি কী দেখার কথা এখানে বলেছেন?
উত্তর: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘আমি দেখি’ কবিতা থেকে আহ্তত আলোচ্য উদ্ধৃতিটিতে বাগানে গাছ লাগিয়ে সবুজ দেখার কথা কবি বলেছেন।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা আমি দেখি mcq প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ‘বাগানে বসাও আমি দেখি’—এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর : নগর জীবনে প্রাণবায়ু ক্রমাগত রুদ্ধ হয়ে উঠছে। শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশে সবুজই এনে দিতে পারে দূষণমুক্ত শুদ্ধ প্রাণবায়ু। তাই কবি বাগানে গাছ লাগিয়ে তার সবুজায়নে হৃদয়মন জুড়াতে চান।
প্রশ্ন ‘চোখ তো সবুজ চায়!'—এ কথা বলার
উত্তর : সবুজ ধ্বংস করে নগরায়ণের জন্য কংক্রিটের বৃহৎ বৃহৎ অট্টালিকা নির্মিত হচ্ছে। এর ফলে কবির ক্লান্ত চোখ দুটি যেন সবুজের ছোঁয়া পেতে উন্মুখ। তাঁর চোখ বারবার খুঁজে ফেরে সবুজকেই।
প্রশ্ন ‘দেহ চায় সবুজ বাগান'—এ কথা বলার কারণ কী? অর্থ কী?
উত্তর : ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির মতে, নাগরিক সভ্যতার প্রাণহীনতা এবং মৃত্যুর পাণ্ডুরতা থেকে সবুজই একমাত্র শহরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম। তাই নাগরিক মানুষের দেহের জন্য, সকলের সুস্থতার জন্য সবুজ একান্ত প্রয়োজন।
প্রশ্ন ‘গাছ আনো, বাগানে বসাও।—কবি গাছ বসানোর কথা বলেছেন কেন?
উত্তর : শহরের ধূলি-ধূসরতামুক্ত নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি ও বিপন্নতা থেকে পরিত্রাণের আশায় সাধারণ মানুষের উদ্দেশে কবি এমন আবেদন জানিয়েছেন।
প্রশ্ন 'তাই বলি, '—কবি কী বলেন?
উত্তর :: কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘আমি দেখি' কবিতায় গাছ তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেন। জীবকুলের বিপন্নতা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় বাগানে সবুজ গাছের সমারোহ ঘটানো। কবি এই কথাই বলেন।
প্রশ্ন ‘আমার দরকার শুধু গাছ দেখা'—এ কথা বলার কারণ কী?
উত্তর : মানুষের অস্তিত্ব রক্ষায় সবুজ অতি আবশ্যকীয় উপাদান। মানুষের শরীর, মনের সতেজতা দিতে পারে একমাত্র নিবিড় বৃক্ষরাজি। তাই কবি দু-চোখ ভরে দেখতে চান সবুগাছের সমারোহ।
প্রশ্ন ‘সবুজের অনটন ঘটে.....'—কী কারণে?
উত্তর :: শহরের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, আধুনিক বিলাসবহুল জীবনের জন্য ভোগ্যপণ্য নির্মাণে ও যান্ত্রিক সভ্যতার দ্রুত বিকাশের জন্য নির্বিচারে শহরে গাছ কাটা হচ্ছে। আর সেই কারণেই সবুজের অনটন ঘটছে বলে কবি মনে করেন।
প্রশ্ন 'গাছগুলো তুলে আনো,'—গাছগুলি তুলে এনে কবি কী করতে বলেছেন?
উত্তর :প্রাণহীন শহুরে জীবনে প্রাণসঞ্চারের জন্য কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘আমি দেখি' কবিতায় গাছগুলি তুলে এনে বাগানে বসাতে বলেছেন। কারণ বাগান ভরবে সবুজে, সবুজ বাঁচাবে মানুষকে।
প্রশ্ন ‘বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন'—কবি কেন এ কথা বলেছেন?
উত্তর : আধুনিক কবি রুটিরুজির জন্য শহরেই জীবনযাপন করেন। এই শহরের শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ কবিকে বারবার বিষণ্ণ করে তোলে। শহর ছেড়ে জঙ্গলের শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশে যেতে পারেননি বলেই কবি উদ্ধৃত উক্তিটি করেছেন।
প্রশ্ন 'হাঁ করে কেবল সবুজ খায়'—এ কথার অর্থ কী?
উত্তর : কবি প্রত্যক্ষ করেছেন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ ও তাদের ভোগ্যপণ্যের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নির্বিচারে সবুজ ধ্বংস। তাই কবি শ্লেষাত্মক ভঙ্গিমায় বলেছেন যে, শহর যেন সবুজকে গোগ্রাসে গলাধঃকরণ করে নিচ্ছে।
প্রশ্ন ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবির চোখ ও
উত্তর : ‘আমি দেখি’ কবিতায় কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের চোখ ও দেহ গাছের সবুজ কামনা করছে।
প্রশ্ন ‘সবুজেৱ অনটন ঘটে.....’–কোথায়, কেন ‘সবুজের অনটন’ ঘটেছে?
উত্তর : ‘শহরে সবুজের অনটন ঘটেছে, কারণ শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়, তার অর্থ হল ইট-কাঠ-পাথরের প্রাসাদ গড়া ও কংক্রিটে মোড়া রাস্তার জন্য বৃক্ষনিধন।
আমি দেখি 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ‘আমি দেখি’—কবি কী দেখতে চান?
উত্তর : গাছদের বেঁচে থাকার তাজা অক্সিজেন এবং আরও অনেক কিছু। কবি তাই বাড়ির আঙিনায় চারাগাছ লাগানো সবুজ ও বাগান দেখতে চান।
প্রশ্ন “বহুদিন জঙ্গলে যাইনি”—জঙ্গলে না যাওয়ার ফলে কী হয়েছে?
উত্তর : কবি বহুদিন জঙ্গলে না যাওয়ার ফলে শহরে আছেন। সেখানে সবুজ খাইখাই শহুরে ব্যাধির ফলে সবুজেরসবুজ দেখা হয় না।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা আমি দেখি ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|
প্রশ্ন | আমি দেখি’ কবিতায় কবি কী দেখতে চেয়েছেন ও কেন দেখতে চেয়েছেন, আলোচনা করো ।[৫]
কবির আকাঙ্ক্ষা : বিখ্যাত কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘আমি দেখি’ কবিতাটি গাছ, গাছের বহুবিধ উপকারিতা, গাছ যে মানুষের অপরিহার্য দরকারি সামগ্রী, এই বিষয়কেন্দ্রিক রচনা। কবি মনে করেন শহরবাসীরা কাঠকুটো, ইট-পাথর ও লোহালক্কড়ের খাঁচায় বন্দি মানুষ কীটতুল্য। যেদিকে চোখ যায় শুধু নিষ্প্রাণ সৌধের মিছিল। গাছ দেখতে পান না কবি। গাছ দেখার জন্য কবি তাই ব্যাকুল, 'আমার দরকার শুধু গাছ দেখা'। তাঁর একান্ত বাসনা গাছ দেখা।গাছের প্রয়োজনীয়তা গাছ মানুষের উপকারী পরম বন্ধু। দুঃখের কথা, যন্ত্রসভ্যতার সুখসম্পদ ও বিলাসবৈভবেঅন্ধ মানুষ নির্মমভাবে বন উচ্ছেদ করে শহর-নগরের কংক্রিটের নিষ্প্রাণ রাজ্য গড়ছে। সেখান থেকে গাছগাছালি, তাদের শীতলছায়া, প্রাণদ বায়ু চিরনির্বাসিতা। কবি তাই খেদের সঙ্গে বলেছেন, ‘শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়'। অথচ বেঁচে থাকার জন্য ‘গাছের সবুজটুকু শরীরে দরকার’, আর ‘আরোগ্যের জন্য ঐ সবুজের ভীষণ দরকার'। তা ছাড়া দৃষ্টিশক্তিকে সজীব ও সতেজ রাখার জন্য ‘চোখ তো সবুজ চায়’ আর ‘দেহ চায় সবুজবাগান’। ‘সবুজ’ হল গাছের প্রতীক। সুতরাং, গাছ লাগিয়ে বাগানবানানোর পরামর্শ দিয়েছেন কবি। শহরজীবনে বাগান সবুজের অভাব পূরণ করতে পারে।
প্রশ্ন | ‘বহুদিন জঙ্গলে কাটেনি দিন/বহুদিন জঙ্গলে যাইনি/বহুদিন শহরেই আছি’—এই উক্তির মধ্যে কবি যে তিনটি কথা বলেছেন, সেই কথাগুলি সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উত্তর: তিন চরণে তিনটি বক্তব্য : উদ্ধৃত উক্তিটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি দেখি' কবিতার অংশবিশেষ। উদ্ধৃত তিনটি চরণে কবি তিনটি কথা বলেছেন। প্রথম চরণে বলেছেন যে, জঙ্গলে তাঁর অনেকদিনই কাটেনি। দ্বিতীয় চরণের বক্তব্য হল জঙ্গলে অনেকদিনই তাঁর যাওয়া হয়নি। তৃতীয় চরণে বলেছেন, শহরেই অনেকদিন আছেন।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা : কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বোহেমিয়ান স্বভাবের মানুষ আর অরণ্যপ্রেমিক। সেজন্য একসময় বনেজঙ্গলে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন। গ্রামে জন্ম ও শৈশবজীবন অতিবাহিত হলেও কৈশোর থেকে পরবর্তী জীবন কেটেছে শহর কলকাতায়। লেখালেখি আর কর্মজীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় বনাঞ্চলে যাওয়া অনেকদিনই হয়ে ওঠেনি। শহরে বাঁধা থেকে গেছেন অনেকদিন। শহরজীবনের প্রাণহীন কৃত্রিম পরিবেশ কবিকে বনাঞ্চলের জন্য ব্যাকুল করেছে। এই কথাগুলির মধ্যে সেই বেদনার সুর আভাসিত।
প্রশ্ন | ‘শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়। —‘শহরের অসুখ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? কীভাবে সবুজের অনটন ঘটে?
উত্তর : শহরের অসুখ : শহরের অসুখ হল সবুজ খাই খাই । শহরের যেখানে যতটুকু সবুজ আছে, অর্থাৎ গাছ ও লতাপাতা আছে তাকে গ্রাস করে পেটে পুরে ফেলা। গাছকে নির্বিশেষে নির্বংশ করা।
সবুজের অনটন : শহর কংক্রিটের রাজ্য। ইট-কাঠ- সাধ, লোহালক্কড়ে গড়া মস্ত মস্ত খাঁচার মিছিল। সারা শহর জুড়ে কংক্রীটে গড়া চওড়া চওড়া রাস্তার জাল। তার ফলে অরণ্য প্রকৃতি নির্বাসিত। কারণ অরণ্য উচ্ছেদ করে শহর গড়ে হাই শহর নির্মাণের গোড়ার কথা। কবি একেই ব্যঙ্গ করে বলেছেন, হাঁ করে সবুজ গিলে ফেলার শহুরে ব্যাধি। সবুজ হল গাছের প্রতীক। বুজের খাই খাই রোগের অর্থ গাছকে উদরস্থ করা, নির্বিশেষে নিধন করা। ফলে শহরে গাছের খুবই অভাব বা অনটন।
1
আমি দেখি বড় প্রশ্ন উত্তর pdf,
প্রশ্ন | ‘....ঐ সবুজের ভীষণ দরকার'—'ঐ সবুজ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? তার দরকার কেন? [নমুনা প্রশ্ন, '১৪] [2+3]
প্রশ্ন | “আরোগ্যের জন্য ঐ সবুজের ভীষণ দরকার"- ‘ঐ সবুজ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন? সেই সবুজকে পাওয়ার জন্য কবি কী কী নির্দেশ দিয়েছেন?
উত্তর: ‘ঐ সবুজ’ বলার নিহিতার্থ :‘ঐ সবুজ’ বলতে কবি গাছকে বুঝিয়েছেন। গাছ সবুজ পাতায় ঢাকা থাকে। দেখে মনে হয় গাছ যেন সবুজ বর্ণময়। সবুজের সমারোহ। সে-অর্থে সবুজ হল গাছের প্রতীক।
সবুজের প্রয়োজনীয়তা : ব্যাধি আরোগ্যের জন্য ও শরীর সুস্থ রাখার জন্য গাছ একান্ত দরকার। জীবনধারণের অপরিহার্য অঙ্গ হল গাছ। গাছ শুধু ফুল-ফলই দেয় না, দেয় অক্সিজেনভরা প্রাণদ বায়ু ; যা প্রাণধারণের জন্য অপরিহার্য। দৃষ্টিশক্তিকে সজীব ও সতেজ রাখার জন্য প্রতিদিন সবুজ দেখা একান্ত দরকার। শহর গাছহীন কংক্রিটের রাজত্ব বলে গাছের বড়োই অভাব। সবুজ দেখার অভাবের ফলে শহরের শিশু থেকে বুড়ো সবাই দৃষ্টিহীনতায় ভুগছে। শরীরকে নীরোগ ও সুস্থ রাখতে পারে গাছই। বাড়ির আশপাশে, বাড়ির আঙিনায়, ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগিয়ে বাগান বানাতে হবে। গাছের সবুজ সমারোহ সবুজের ঘাটতি পুষিয়ে দেবে।
প্রশ্ন | ‘আমার দরকার শুধু গাছ দেখা'—বক্তা কে? তাঁর গাছ দেখা দরকার কেন? [দ্বাদশ, ১৬] [১+৪]
উত্তর : আলোচ্য উদ্ধৃতির বক্তা কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং। গাছ দেখার কারণ ব্যাধি আরোগ্যের জন্য ও শরীর সুস্থ রাখার জন্য গাছ একান্ত দরকার। কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাই বলেছেন, 'আমার দরকার শুধু গাছ দেখা ? ‘আমার' বলতে কবির একার নয়, প্রাণীজগতের সবার। প্রত্যেকের জীবনধারণেরঅপরিহার্য অঙ্গ হল গাছ। গাছ শুধু ফুল-ফল দেয় না, দেয় অক্সিজেনভরা প্রাণদ বায়ু, যা প্রাণধারণের জন্য অপরিহার্য। দৃষ্টিশক্তিকে সজীব ও সতেজ রাখার জন্য প্রতিদিন সবুজ দেখা একান্ত দরকার। শহর গাছহীন কংক্রিটের রাজত্ব বলে গাছের বড়োই অভাব। সবুজ দেখার অভাবের ফলে শহরের শিশু থেকে বুড়ো সবাই দৃষ্টিহীনতায় ভুগছে। শরীরকে নীরোগ ও সুস্থ রাখতে পারে গাছই। বাড়ির আশপাশে, বাড়ির আঙিনায়, ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগিয়ে বাগান বানানো হয়। গাছের সবুজ সমারোহ সবুজের ঘাটতি পুষিয়ে দেয়।
HS bengali ami dakhi kobita question answer
প্রশ্ন | ‘আমি দেখি’ কবিতাটির গঠনবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
উত্তর শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য তাঁর সংযম ও পরিমিতিবোধ। ‘আমি দেখি’ কবিতাটিতেও সহজসরল ভাষায় অন্ত্যজ শব্দের পাশে মাত্রার ভারসাম্য বজায় রেখে কবি অবলীলায় তৎসম শব্দ ব্যবহার করেছেন। যেমন—“আরোগ্যের জন্যে ঐ সবুজের ভীষণ দরকার।” তাঁর কবিতা প্রসঙ্গে ধ্রুবকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন—“শক্তির কবিতা গড়ে ওঠে নিসর্গের বুকে আশ্রয় কামনায়।” ‘আমি দেখি' কবিতায় কবির প্রকৃতিনির্ভরতা প্রাধান্য পেয়েছে। গঠনগত দিক থেকে অসম মাত্রার পঙ্ক্তিতে বিন্যস্ত এই কবিতাটিতে মোট পটূক্তি সংখ্যা ষোলোটি। পাঁচটি পঙ্ক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছ প্রথম স্তবক | দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তবকটির পভৃত্তি সংখ্যাও তাই | শেষে একটি পঙ্ক্তিতে বলা হয়েছে, “আমি দেখি।।”। এই শেষ পঙ্ক্তিটির মধ্য দিয়ে কবি জোরালো বক্তব্য রেখেছেন। এখানে কবির দেখাটা আর-পাঁচজনের একান্ত ইচ্ছার সঙ্গে মিলে যায়। আলোচ্য কবিতায় শহরের মতো একটি অচেতন বস্তুতে মানবত্ব অর্পণ করেছেন কবি—“শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায়।” শহরগুলো যত বাড়ছে, নগরায়ণের দাবি মেনে ততই সবুজ ধবংস হচ্ছে। মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনে সবুজ খুবই দরকার। তাই কোনোপ্রকার ভণিতা না করে কবির সরাসরি নির্দেশ—“গাছ আনো, বাগানে বসাও।” কবিতার শুরুতে, কবিতার মাঝে এবং কবিতার শেষে এই একই ভাব কবি ব্যক্ত করেছেন।
[TAG]: দ্বাদশ শ্রেণি আমি দেখি, আমি দেখি mcq,উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বড় প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা আমি দেখি প্রশ্ন ,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা আমি দেখি ৫ নং প্রশ্ন উত্তর,বাংলা আমি দেখি বড় প্রশ্ন উত্তর|