ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা প্রশ্ন উত্তর|উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবিতা প্রশ্ন উত্তর PDF

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে-মৃদুল দাশগুপ্ত| দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে প্রশ্ন উত্তর |HS bengali krondonrata jononi pase kobita question answer pdf download.

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি উচ্চমাধ্যমিক ক্রন্দনরতা জননীর পাশে প্রশ্ন উত্তর PDF। Class 12 bengali crondonrata jononi pase kobita question answer pdf|WBCHSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা কবিতা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে প্রশ্ন উত্তর pdf download. তোমাকে সাহায্য করবে।\

তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |মৃদুল দাশগুপ্তের লেখা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে প্রশ্ন উত্তর pdf download করো এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
Read More:--


দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর 

প্রশ্ন  কবি কুন্দনরতা জননীর পাশে থাকবেন কেন?

উত্তর : কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকবেন, কারণ তা না হলে তাঁর এতদিনের নিষ্ঠাসহ কাব্যসাধনা ব্যর্থ ও অসার্থক।

প্রশ্ন নারীর ওপর পাশবিক অত্যাচারের মতো জঘন্য অপরাধের বিচারের জন্য কবি বিধির বিচারের মতো দৈবীনির্ভর নন কেন?

উত্তর : 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি মৃদুল দাশগুপ্ত মনে করেন, বিধির বিচারের মতো দৈবীনির্ভরতা বাস্তবে অর্থহীন, ন্যায়ালয়ের বিচার-নির্ধারিত শাস্তি প্রদানই হল কাম্য।

প্রশ্ন গোলাগুলির বিস্ফোরণের শক্তি জোগায় কে?

উত্তর : : গোলাগুলির বিস্ফোরণের শক্তি জোগায় গোলাগুলির মধ্যে ঠেসে রাখা বারুদ, যা ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ অবস্থানকারী কবি মৃদুল দাশগুপ্তের মধ্যে সঞ্চারিত ক্রোধ।

প্রশ্ন  জননী ক্রন্দনৱতা কেন? তা লেখো। 

উত্তর : জননী ক্রন্দনরতা কারণ তাঁর সন্তান নিহত, তাঁর কন্যা নিখোঁজ, নির্যাতিতা ও জঙ্গলে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় শায়িতা।

প্রশ্ন জননীর পাশে না থাকলে কী কী ব্যর্থ হয়?

উত্তর  : ক্রন্দনরতা জননীর পাশে না থাকলে কবি মৃদুল দাশগুপ্তের লেখালেখি, গান গাওয়া ও আঁকাআঁকি সবই বৃথা ও নিরর্থক। 

প্রশ্ন  বিস্ফোরণের আগে কী জেগে ওঠে?

উত্তর  : ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতার শেষ দুই চরণে কবি মৃদুল দাশগুপ্ত স্পষ্ট বলেছেন, তাঁর মধ্যে সঞ্চারিত ক্রোধ যা বারুদতুল্য, তা বিস্ফোরণের আগে কবির সচেতক বিবেক জেগে ওঠে।

প্রশ্ন ‘কুন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় বিস্ফোরণের আগের বারুদ কীসের প্রতীক?

উত্তর : 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় বিস্ফোরণের

প্রশ্ন  ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতাটির উৎস লেখো।

উত্তর: কবি মৃদুল দাশগুপ্তের ধানক্ষেত থেকে নামক কবিতাগ্রন্থ থেকে ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতাটি নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন  ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতাটি কোন্ পটভূমিতে লেখা?

উত্তর: ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতাটি ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের পটভূমিতে লেখা।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে mcq প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন  “এন যদি না-থাকি”—কোথায় না থাকার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতা থেকে নেওয়া প্রশ্নোধৃত অংশে ক্রন্দনরতা জননী বা বিপন্ন স্বদেশের পাশে না থাকার কথা। বলা হয়েছে।

‘এখন যদি না-থাকি”—– এখন না থাকার ফল কী হবে? অথবা ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ না থাকলে কবি কী কী ব্যর্থ বলে মনে করেছেন?

উত্তর: দেশজননীর বিপন্নতার মুহূর্তে তাঁর পাশে না থাকলে লেখালেখি, গান গাওয়া, ছবি আঁকা সব মিথ্যা হয়ে যাবে বলে কবি মনে করেছেন।

. “কেন তবে গান গাওয়া”—এই দ্বিধার কারণ কী?

উত্তর: দেশের মানুষ আক্রান্ত হলে কোনো শিল্পী প্রতিবাদ করতে না পারলে নিজের শিল্পীসত্তা নিয়ে তাঁর মনেই দ্বিধা সৃষ্টি হয়। কবির মতে সেই দ্বিধাই সৃষ্টি হয়েছে।

৮ “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে”—কে এই ‘নিহত ভাই’?

উত্তর:: মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় ‘নিহত ভাই’ হলেন গুণ-আন্দোলনে শহিদ ও কবির সহনাগরিক। নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে’ কবির কী মনে হয়?

উত্তর: নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে কবির মনে হয়েছে ভালোবাসা, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা বা মূল্যবোধের জন্যই ক্রোধের জন্ম হওয়া আবশ্যিক।

প্রশ্ন  . “না-ই যদি হয় ক্রোধ”—ক্রোধের কথা কেন বলা হয়েছে?

উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে কবির মনে ক্রোধের সঞ্চার হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন  . “না-ই যদি হয় ক্রোধ”—তাহলে কী হবে?

উত্তর:: মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে ক্রোধ না জন্মালে ভালোবাসা, সমাজ, মূল্যবোধ সবই অর্থহীন হয়ে যাবে।,

প্রশ্ন   “কেন ভালোবাসা, কেন-বা সমাজ / কীসের মূল্যবোধ!”—কোন্মা নসিক যন্ত্রণা থেকে কবি এ কথা বলেছেন?

উত্তর: ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবি মৃদুল দাশগুপ্ত নিহত দেশবাসী ভাইয়ের মৃতদেহ দেখে তীব্র মানসিক যন্ত্রণা থেকে প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছেন।

প্রশ্ন  বড় “আমি তা পারি না।”—কবি কী পারেন না?

উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্তের 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় নিখোঁজ ছিন্নভিন্ন মেয়েটিকে জঙ্গলে পেয়ে কবি বিধির বিচার চেয়ে আকাশের দিকে তাকাতে পারেন না।

প্রশ্ন , “যা পারি কেবল”—কে, কী পারেন?

উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় জঙ্গলে ছিন্নভিন্ন মেয়েটিকে দেখে কবি প্রতিবাদী কবিতার মাধ্যমে তাঁর বিবেককে জাগিয়ে রাখতে পারেন।

প্রশ্ন  “সে-ই কবিতায় জাগে”—কী, কেন কবিতায় জাগে?

উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবির বিবেক জাগে জঙ্গলে পাওয়া নিখোঁজ মেয়েটির ছিন্নভিন্ন করুণ অবস্থার প্রতিবাদে ফেটে পড়ার জন্য।

প্রশ্ন  সে-ই কবিতায় জাগে/আমার বিবেক,”—বিবেককে কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় বিবেককে বিস্ফোরণের বারুদের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। 

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন   আমার বিবেক, আমার বারুদ”—কবির বিবেক কী করে?

উত্তর: মৃদুল দাশগুপ্তের ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবির বিবেক জেগে ওঠে প্রতিবাদে ফেটে পড়ার জন্য। এই অবস্থাটি বিস্ফোরণের আগে বারুদের সঙ্গেই তুলনীয়)

প্রশ্ন  'কেন ভালোবাসা, কেন-বা সমাজ'-এ কথা বলার কারণ কী?

তর : কবি সামাজিক অবক্ষয়, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যথিত মর্মাহত। মানুষ মানুষের জন্য এই বোধ যেন হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলির অভাবের জন্যই কবি ভালোবাসা, সামাজিক অবক্ষয় ও মনুষ্যত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

প্রশ্ন   ‘কীসের মূল্যবোধ!’-এ কথা বলার কারণ কী?

উত্তর : সামাজিক অবক্ষয়ে মানুষ হয়ে মানুষের পাশে না থাকাটা চরম মূল্যবোধহীনতার পরিচায়ক বলে কবি মনে করেন। দেশজননীর সংকট মুহূর্তে মুখ ফিরিয়ে থাকার যন্ত্রণাবোধ থেকে আলোচ্য মূল্যবোধের কথাটি উঠে এসেছে।

প্রশ্ন  ‘জঙ্গলে তাকে পেয়ে’-জঙ্গলে কাকে, কী অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল?

উত্তর : ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় রাজনৈতিক হানাহানিতে, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বলিতে যে মেয়েটি নিখোঁজ, তাকে ছিন্নভিন্ন ও লাঞ্ছিতারূপে জঙ্গলে পাওয়া যায়। নির্যাতিতা মেয়েটি পাশবিক অত্যাচারের শিকার।

প্রশ্ন  ‘আমি কি তাকাব আকাশের দিকে—এ কথা বলার কারণ কী?

উত্তর : কবি মৃদুল দাশগুপ্ত রচিত ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় জঙ্গলে ছিন্নভিন্ন মেয়েটিকে দেখে বিধাতার কাছে এই নিন্দিত, ধিকৃত ঘটনার জন্য বিচার চেয়ে স্বগত প্রশ্নটি উত্থাপন করেছেন কবি।

প্রশ্ন  'এখন যদি না-থাকি'—কোথায় না-থাকার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: কবি মনে করেন শিল্প সৃষ্টির সার্থকতা তখনই, যখন মানুষের বিপদে মানুষ পাশে দাঁড়িয়ে সাহস জোগাবে, মানুষের ওপর অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। কবি মৃদুল দাশগুপ্ত 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় এই কথাই বলতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন  'কেন গান গাওয়া'—এ কথা বলার কারণ কী?

উত্তর: 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' শীর্ষক কবিতায় আলোচ্য প্রসঙ্গে স্বদেশ জননী রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্তে যখন বেসামাল, স্বদেশবাসী এই আবর্তে অসহায়, তখন গান গাওয়ার মতো সারস্বত চর্চা যে নিরর্থক, তাই কবি উক্তিটি বলেছেন। 

প্রশ্ন  'যে-মেয়ে নিখোঁজ, 'কোন্ মেয়েটির কথা বলা হয়েছে?

উত্তর : 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবি রাজনৈতিক হানাহানিতে অপহৃতা, নির্যাতিতা, পাশবিক অত্যাচারের শিকার এক মেয়ের কথা বলেছেন ৷

প্রশ্ন  'যে-মেয়ে নিখোঁজ'—মেয়েটিকে কীভাবে পাওয়া যায়?

উত্তর : ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় মেয়েটিকে জঙ্গলে একাকী ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়।


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|

প্রশ্ন   ‘নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে/ না-ই যদি হয় ক্রোধ'—নিহত ভাই বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে? কবির ক্রোধ ও মূল্যবোধ সচেতনতার পরিচয় দাও।

নিহত ভাই : ভাই সম্পর্ক একাধিকভাবে হয় সহোদর ভাই, তুতো ভাই, দেশজ ভাই। এই তিন সম্পর্কের ভাইয়ের কোনো ভাই অন্যায় ও নির্মমভাবে নিহত বলে, সেরকম মৃত ভাইয়ের কথা বলা হয়েছে। ক্রোধ ও মূল্যবোধ সচেতনতার পরিচয় : ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা হতে দেখে কোনো জীবিত ভাই ক্রোধ ও ক্ষোভ থেকে নিজেকে সংযত রাখতে পারেন না। পারা সম্ভবও নয়। কারণ ভাইয়ে ভাইয়ে যে আত্মিক সম্পর্ক,যে পারস্পরিক স্নেহ-প্রীতি-ভালোবাসা তা দারুণভাবে আহত হয়। ফলে দারুণ মর্মবেদনা ক্রোধের জন্ম দেয়। তখন সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানবিক মূল্যবোধ, সহমর্মিতা ও সচেতনতা জাগ্রত হয়। দুঃখে- শোকে, ক্ষোভে-প্রতিবাদে সোচ্চার করে তোলে। কবির মতে, মত্বপরায়ণ ও সমব্যথী মানুষেরা তো আরও বেশি মর্মাহত হন। এই দৃষ্টান্তের মধ্য দিয়ে কবির ক্রোধ ও মানবিক মূল্যবোধ সচেতনতার পরিচয় স্পষ্টতর হয়।


প্রশ্ন ৩.৮ ‘আমাৱবিবেক, আমারবাৱুদ/বিস্ফোরণের আগে।'—কবির বারুদ কী? 'বিস্ফোরণের আগে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? [3+8] 

বারুদ কী : 'বারুদ' শব্দের সাধারণ অর্থ হল গুলি-গোলা ছোড়বার জন্য ব্যবহৃত বিস্ফোরক। 'কবির বারুদ' বলতে বোঝানো হয়েছে যে, কবির ভাই-বোনের নির্মম মৃত্যু কবির মধ্যে সঞ্চারিত 'দারুণ ক্রোধ ও ক্ষোভের যে জন্ম দেয়, তা বারুদতুল্য ভয়ংকর বিস্ফোরক। 

বিস্ফোরণের আগে’ বলার তাৎপর্য : ক্রন্দনরতা জননীর পাশে কবি মৃদুল দাশগুপ্ত না দাঁড়িয়ে পারেন না। তিনি নিহত

 > ভাইয়ের মৃতদেহ দেখে ক্রোধ ও ক্ষোভ সংবরণ করে প্রতিবাদহীন নীরব থাকতে পারেন না। তিনি নিখোঁজ বোনের ছিন্নভিন্ন দেহ দেখে অদৃষ্টবাদী হতে পারেন না। কারণ, তিনি বিবেকহীন নন। কবিতাই হল তাঁর জাগ্রত বিবেকের প্রতিচ্ছবি। তাঁর সৃষ্ট কবিতাই হল তাঁর প্রতিবাদ ও প্রতিকারের হাতিয়ার। তাতেই তাঁর জাগ্রত বিবেকের প্রকাশ। তাতে তাঁর ক্রোধের বারুদেরসঞ্চয়, যা ভয়ংকর বিস্ফোরক। প্রতিবাদের বিস্ফোরণের আগের এই হল প্রস্তুতি-পর্ব। কবি ‘বিস্ফোরণের আগে’ বলতে এ কথাই বুঝিয়েছেন।


প্রশ্ন ৩.৯ ‘আমি তা পারি না।—কে পারেন না? না পাৱাৱ বেদনা কীভাবে কবিকে আলোড়িত করেছে, তা কবিতাটি অবলম্বনে লেখো। [নমুনা প্রশ্ন, '১৪] [১+৪]

উত্তর: ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতার কবি মৃদুল দাশগুপ্ত পারেন না।ক্রন্দনরতা মায়ের পাশ থেকে কবি সরে যেতে চান না। কারণ ক্রন্দনরতা বেদনার্ত মাকে ফেলে রেখে যাওয়া কোনো সংবেদনশীল, বিবেকসম্পন্ন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। কবি, গায়ক ও চিত্রশিল্পীরা তো আরও সূক্ষ্ম অনুভূতিশীল, মমত্বপরায়ণ ও সহমর্মী। তাঁদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। না পারার বেদনার আলোড়ন : ভাইয়ের ওপর নির্মম অত্যাচারের ঘটনা দেখে কবি নিশ্চেষ্ট ও নিশ্চুপ থাকতে পারেন না। নিখোঁজ মেয়েটি কবির ভগ্নীতুল্য। তার ছিন্নভিন্ন দেহ মিলেছে জঙ্গলে। ওই পাশবিক নিষ্ঠুরতা কবিকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে রূঢ় বাস্তবের কঠিন মাটিতে। ওই জঘন্য অপরাধের বিচারের জন্য আকাশপারের দৈবশক্তির ওপর নির্ভর করে হাত-পা গুটিয়ে নিশ্চুপ থাকা কবির পক্ষে সম্ভব নয়। তাঁর জাগ্রত বিবেকবুদ্ধি অনুযায়ী যা করণীয় বলে মনে হয়, তার উপযুক্ত ক্ষেত্র কবির লেখা কবিতা। এটাই তাঁর প্রতিবাদ জানানোর বিস্ফোরক।

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে বড় প্রশ্ন উত্তর pdf.

১০ 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় কবি জননীকে কেন ক্রন্দনরতা বলেছেন তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো। কবি এখানে নিজেকে কোন ভূমিকায় দেখতে চেয়েছেন? 0+2

অথবা, 'ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় জননীকে ‘ক্রন্দনরতা’ বলে উল্লেখ করা হল কেন? কবি তাঁর কী কর্তব্য এ কবিতায় নির্দিষ্ট করেছেন?৩+২

• উত্তর মৃদুল দাশগুপ্ত তাঁর ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায় স্বাধীনতা-পরবর্তী এক অস্থির সময়ের ছবি এঁকেছেন | শিল্পের জন্য কৃষিজমি কেড়ে নেওয়া, উর্বরা জমিকে এক ফসলি অনাবাদি জমি হিসেবে চিহ্নিত করা— এইসব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে রক্তাক্ত ও লাঞ্ছিত হতে হয় সাধারণ মানুষকে। এসব ঘটনা কবিকে ব্যথিত করে তুলেছে।নিখোঁজ মেয়ের ছিন্নভিন্ন দেহ জঙ্গলে দেখে কবির মনে হয়েছে, বিধাতার প্রতিবিধানের আশায় বসে না থেকে এখন প্রয়োজন সম্মিলিত প্রতিবাদের। এ কবিতা প্রতিবাদের কবিতা, যার পটভূমিতে রয়েছে স্বদেশ । সে-স্বদেশ মৃত্যু আর রক্ত-লাঞ্ছিত, নিপীড়নের কান্নায় ভেজা | মাটি আর মানুষ দিয়েই গড়া হয় দেশজননীর শরীর। সেখানে যখন রক্ত আর কান্না মেশে তখন কবির মনে হয়েছে, দেশজননী যেন ক্রন্দনরতা হয়েছেন।

→ শাসকের জনস্বার্থবিরোধী নীতিতে যখন দেশ বিপন্ন, তখন নিপীড়িত দেশবাসী তথা দেশজননীর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন কবি। ভাইয়ের মৃত্যু, নিখোঁজ মেয়ের জঙ্গলে পাওয়া ছিন্নভিন্ন শরীর তাঁর মধ্যে একইসঙ্গে জন্ম দিয়েছে ক্রোধ, দায়বদ্ধতা এবং মূল্যবোধের। শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি কবিতাকে করে তুলতে চেয়েছেন প্রতিবাদের হাতিয়ার। তাই কবিতারমধ্যেই তিনি মজুত করতে চান বিক্ষোভের বারুদ, সামান্য অগ্নিস্ফুলিঙ্গে যা থেকে ঘটবে প্রতিবাদের বিস্ফোরণ।


৫ “আমি তা পারি না।”—কবি কী না পারার কথা বলেছেন? কেন তিনি এ কথা বলেছেন?২+৩ [যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুল]

অথবা, “আমি তা পারি না।” ―বক্তা কী পারেন না? বক্তা কীভাবে তার কর্তব্য পালন করতে চান? ২+৩ 

● উত্তর ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি মৃদুল দাশগুপ্ত শাসকের অন্যায়- অত্যাচার-বর্বরতার হাত থেকে মুক্তি পেতে বিধাতার সুবিচারের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। নিখোঁজ মেয়েটির ছিন্নভিন্ন শরীর জঙ্গলে দেখতে পেয়ে কবির নিজের কাছেই প্রশ্ন করেছেন—“আমি কি তাকাব আকাশের দিকে/বিধির বিচার চেয়ে?” এবং তার উত্তরে তিনি নিজেই প্রশ্নোদ্ভূত মন্তব্যটি করেছেন।

● আকাশের দিকে তাকিয়ে বিধির বিচার চাওয়া একদিকে যেমন ঈশ্বরনির্ভরতার প্রকাশ ঘটায়, অন্যদিকে তেমনই আত্মশক্তির অভাব ও অসহায়তাকেও নির্দেশ করে। মানুষের অধিকার যখন বিপন্ন হয়, বেঁচে থাকার সুস্থ পরিবেশ আর থাকে না, এমনকি রাষ্ট্রশক্তি নিজেকে নিরঙ্কুশ করতে তার নখ-দাঁত বিস্তার করে—তখন ঈশ্বরের কাছে ন্যায়বিচার চেয়ে বসে থাকা আসলে অনাবশ্যক সময় নষ্ট। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ এবং সহানুভূতিশীল কবি তাই চেয়েছেন অত্যাচারীর আনুগত্য বর্জন করতে। এক- একটি অবাঞ্ছিত সামাজিক ঘটনা বা মানবিক লাঞ্ছনা কবির মধ্যে তাই তীব্র ক্রোধের জন্ম দেয়। তাঁর কাছে এই ক্রোধই হয়ে ওঠে সমাজের প্রতি ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা আর মূল্যবোধের প্রকাশ। কবিতায় কবি জাগিয়ে তুলতে চান নিজের বিবেককে। আধ্যাত্মিকতা বা বাস্তব থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া নয়, কবি চান তাঁর কবিতাকে প্রতিবাদের অস্ত্র করে তুলতে।

hs bengali krondonrata jononi pase kobita question answer pdf

২৮ “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে/না-ই যদি হয় ক্রোধ... কবি কাকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছেন? কবির প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করো

অথবা, নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে কবি মৃদুল দাশগুপ্তের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল, তা সংশ্লিষ্ট কবিতাটি অবলম্বনে আলোচনা করো।

উত্তর মানবিক এবং সামাজিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী কবি মৃদুল দাশগুপ্ত তাঁর ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় ‘ভাই' বলতে কৃষিজমি রক্ষার গণ- আন্দোলনে শহিদ মানুষদের কথা বুঝিয়েছেন।

● ‘নিহত ভাইয়ের শবদেহ' কবির মনে জন্ম দিয়েছে তীব্র ক্রোধের । এই হত্যা আর মানবিক লাঞ্ছনায় ব্যথিত হয়ে তিনি নিজের দেশমাতাকে কাঁদতে দেখেছেন। তাঁর মনে হয়েছে, এই দুঃসময়ে ক্রন্দনরতা জননীর পাশে সর্বশক্তি দিয়ে দাঁড়ানো উচিত। এখন লেখা, গান বা আঁকাআঁকি সব কিছুরই বিষয় হওয়া উচিত এই লাঞ্ছনার প্রতিবাদ। মনের মধ্যে যদি ভালোবাসা থাকে, সামাজিক চেতনা থাকে, মূল্যবোধের অস্তিত্ব থাকে তাহলে ক্রোধ আর প্রতিবাদই হওয়া উচিত একমাত্র অস্ত্র | এভাবেই মৃদুল দাশগুপ্ত তৈরি করে নেন তাঁর নিজস্ব কবিধর্ম, যেখানে কবিতাই হয়ে ওঠে জাগ্রত বিবেকের আত্মপ্রকাশ | সমাজের ঘটনাপ্রবাহকে অনুধাবন করে নিবিড়ভাবে তার সঙ্গে একাত্ম হয়েছেন কবি। সেগুলিকে বিশ্লেষণ করে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাঁর কবিতায়। বাস্তব থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা নয়, এমনকি বাস্তবকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করাও নয়, পরিবর্তে সংকটের মধ্যে দাঁড়িয়ে তার মোকাবিলা করা মৃদুল দাশগুপ্তের প্রতিক্রিয়ার এই ধরনই স্পষ্ট হয় ‘কুন্দনরতা জননীর পাশে' কবিতায়।


[TAG]:  দ্বাদশ শ্রেণি ক্রন্দনরতা জননীর পাশে, ক্রন্দনরতা জননীর পাশে mcq,উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বড় প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে প্রশ্ন ,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে ৫ নং প্রশ্ন উত্তর,বাংলা ক্রন্দনরতা জননীর পাশে বড় প্রশ্ন উত্তর

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url