মহুয়ার দেশ কবিতা প্রশ্ন উত্তর|উচ্চমাধ্যমিক বাংলা মহুয়ার দেশ কবিতা প্রশ্ন উত্তর pdf download
মহুয়ার দেশ -সমর সেন| দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা মহুয়ার দেশ প্রশ্ন উত্তর |HS bengali mohuar desh kobita question answer pdf download.
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি উচ্চমাধ্যমিক মহুয়ার দেশ প্রশ্ন উত্তর pdf। Class 12 bengali mohua des kobita question answer pdf|WBCHSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা কবিতা মহুয়ার দেশ প্রশ্ন উত্তর pdf download. তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |সমর সেনের লেখা মহুয়ার দেশ প্রশ্ন উত্তর pdf download করো এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা মহুয়ার দেশ প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
Read More:--
দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা মহুয়ার দেশ 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|
প্রশ্ন কবি সমর সেন কী ছিলেন?
উত্তর : কবি সমর সেন ছিলেন আধুনিক কাব্যধারার অন্যতম খ্যাতিমান কবি ও পেশায় ছিলেন দক্ষ সাংবাদিক।
প্রশ্ন কবি সমর সেন কী কবি নামে অভিহিত?
উত্তর : কবি সমর সেনের কবিতায় মূলত নগরজীবনের ছবি প্রায় প্রাধান্য পেয়েছে বলে তিনি নাগরিক কবি নামে অভিহিত
প্রশ্ন মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে আলোর স্তম্ভ কে আঁকে?
উত্তর : যশস্বী কবি সমর সেন সন্ধ্যার দৃশ্যপট অঙ্কন প্রসঙ্গে লিখেছেন মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে অলস সূর্য আলোর স্তম্ভ আঁকে।
প্রশ্ন কী দিয়ে জলস্রোতে আলোর শুম্ভ আঁকা হয়?
উত্তর কবি সমর সেন রচিত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় বর্ণিত হয়েছে জলস্রোতে অস্তগামী সূর্যের গলিত সোনার মতো রশ্মি দিয়ে উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ আঁকা হয়।
প্রশ্ন “অলস সূর্য দেয় এঁকে”—অলস সূর্য কখন কোথায় এঁকে দেয়?
উত্তর : সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অলস সূর্য সন্ধ্যার জলস্রোতে এঁকে দেয়।
প্রশ্ন “অলস সূর্য দেয় এঁকে”—অলস সূর্য কী এঁকে দেয়?
উত্তর: সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অলস সূর্য গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এঁকে দেয়।
প্রশ্ন ‘অলস সূর্য দেয় এঁকে”-সূর্যকে অলস বলার কারণ কী?
উত্তর: সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় সন্ধ্যার অস্তগামী সূর্য দিনের কাজ শেষ করে বিশ্রামের অপেক্ষায় থাকে বলে তাকে অলস বলা হয়েছে।
প্রশ্ন আর আগুন লাগে...”—কখন কোথায় আগুন লাগে?
উত্তর : সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায় আগুন লাগে।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা মহুয়ার দেশ mcq প্রশ্ন উত্তর|
৫. “...জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায়।"-সেখানে কী ঘটে যায়?
উত্তর : সমর সেনের 'মহুয়ার দেশ' কবিতায় জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনা অস্তগামী সূর্যের আলোয় লাল হয়ে ওঠে, দেখে মনে হয় আগুন লেগেছে।
প্রশ্ন সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায়”—কীসের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ' কবিতায় অন্তগামী সূর্যের আলোয় জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায় যে আগুন লাগে, ‘উজ্জ্বল স্তব্ধতা' বলতে তার কথাই বোঝানো হয়েছে।
প্রশ্ন “সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায়”—কেন একে ‘উজ্জ্বল স্তব্ধতায়’ বলা হয়েছে?
উত্তর: একদিকে সূর্যের অস্ত যাওয়া অন্ধকারের আগমন ঘটিয়ে স্তব্ধতা এনেছে, অন্যদিকে তার রক্তিম আভা সৃষ্টি করেছে উজ্জ্বলতা—এ কারণেই ‘উজ্জ্বল স্তব্ধতা’ বলা হয়েছে।
প্রশ্ন সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায়”—‘উজ্জ্বল স্তব্ধতায়’ কী ঘটে?
উত্তর: সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় উজ্জ্বল স্তব্ধতায় ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস শীতের দুঃস্বপ্নের মতো ঘুরে-ফিরে ঘরে আসে।
প্রশ্ন ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে”–‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ' কবিতায় 'ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ বলতে নাগরিক সভ্যতার দূষণকে বোঝানো হয়েছে।
‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ কীভাবে কবির কাছে আসে? [নমুনা প্রশ্ন]
উত্তর: সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ কবির কাছে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো ঘুরে-ফিরে আসে।
প্রশ্ন ‘শীতের দুঃস্বপ্নের মতো’ কে নেমে আসে?
উত্তর: ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস শীতের দুঃস্বপ্নের মতো নেমে আসে।
উত্তর: কবি সমর সেন ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাসকে শীতের দুঃস্বপ্ন বলেছেন।
প্রশ্ন. কবি সমর সেন কাকে ‘শীতের দুঃস্বপ্ন' বলেছেন?
প্রশ্ন. “অনেক, অনেক দূরে আছে...”-কে বা কী অনেক দূরে আছে?
উত্তর: সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় মেঘমদির মছুয়ার দেশ অনেক দূরে আছে।
ড. “অনেক, অনেক দূরে আছে...”—সেই অনেক দূরে কী ঘটে?
উত্তর:[: ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় অনেক দূরে মহুয়ার দেশে পথের দু-ধারে দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য ছায়া ফেলে। দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাতের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে।
প্রশ্ন মহুয়ার দেশ কবির কাছে কীভাবে উপলব্ধ হয়েছিল?
উত্তর: মেঘমদির মহুয়ার দেশ কবির কাছে নাগরিক ক্লান্তি থেকে মুক্তির আশ্রয় হিসেবে উপলব্ধ হয়েছিল।
প্রশ্ন ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি নিজেকে কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন?
উত্তর: ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি নিজেকে নগরজীবনের ক্লান্ত মানুষের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপিত করেছেন।
মহুয়ার দেশ 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন “সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে...”—‘সেখানে’ বলতে কোথাকার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় ‘সেখানে’ বলতে মহুয়ার দেশে পথের দু-ধারকে বোঝানো হয়েছে |
প্রশ্ন“সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে...”—সেখানে পথের দু-ধারে কী হয়?
উত্তর : সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় মহুয়ার দেশে সারাক্ষণ পথের দু- ধারে দেবদারু গাছের দীর্ঘ রহস্য ছায়া ফেলে।
প্রশ্ন“সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে”। —সেখানে বলতে কোন্স্থা নের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ‘সেখানে’ বলতে মেঘমদির মহুয়ার দেশের কথা অর্থাৎ সাঁওতাল পরগনার কথা বলা হয়েছে |
প্রশ্ন“...কয়লার খনির/গভীর, বিশাল শব্দ”—কয়লাখনির ও ‘বিশাল’ বলা হয়েছে কেন?
উত্তর: ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় মহুয়ার দেশের নিস্তব্ধতাকে যেহেতু কয়লাখনির শব্দ ভেঙে দেয়, তাই তাকে ‘গভীর’ ও ‘বিশাল’ বলা হয়েছে।
“শিশির-ভেজা সবুজ সকালে' কবি কী দেখেন?.
উত্তর: ‘শিশির-ভেজা সবুজ সকালে’ কবি কয়লাখনির অবসন্ন শ্রমিকদের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক দেখেন।
প্রশ্ন“অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি”—কবি কী দেখেন? [হেয়ার স্কুল]
উত্তর: কবি সমর সেন অবসন্ন মানুষের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক দেখেন।
প্রশ্ন“অবসন্ন মানুষের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক”। –কবি কখন দেখেন?
উত্তর: কবি সমর সেন মহুয়ার দেশে শিশির-ভেজা সবুজ সকালে অবসন্ন মানুষের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক দেখেন।
প্রশ্ন “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়”--কাদের চোখে কী হানা দেয়?
উত্তর: কয়লাখনির অবসন্ন শ্রমজীবী মানুষদের চোখে ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয়।
প্রশ্ন মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি সমর সেন ‘মহুয়ার দেশ' বলতে কোন্স্থা নকে বুঝিয়েছেন?
উত্তর: ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় ‘মহুয়ার দেশ’ বলতে কবি সাঁওতাল পরগনাকে বুঝিয়েছেন।
প্রশ্ন..গভীর, বিশাল শব্দ,”——কী গভীর এবং সেখানে কীসের শব্দ হয়?
উত্তর: মহুয়ার দেশের নৈঃশব্দের পটভূমিতে কয়লাখনির শব্দ ছিল গভীর এবং সেখানে কয়লাখনির গভীর, বিশাল শব্দ হয়।
প্রশ্ন কবির ক্লান্তি মুছে ফেলার জন্য কী কামনা?
উত্তর : মহুয়া দেশের স্বপ্নচারী রোমান্টিক কবির কামনা হল, তাঁর ক্লান্তি দূর করার জন্য মহুয়া ফুল ঝরুক, মহুয়ার গন্ধ নামুক।
প্রশ্ন কবি নিবিড় অন্ধকারে মাঝে মাঝে কী শোনেন?
উত্তর : কবি সমর সেন ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি নিবিড় অন্ধকারে মাঝে মাঝে শোনেন মহুয়া বনের ধারে কয়লার খনির গভীর বিশাল শব্দ।
কবি শিশিরভেজা সবুজ সকালে কী দেখেন?
উত্তর: কবি মহুয়ার দেশের কয়লাখনির শ্রমিকদের কথা আলোচনা প্রসঙ্গে লিখেছেন শিশিরভেজা সবুজ সকালে দেখেন অবসন্ন মানুষের শরীরে ধুলোর কলঙ্ক।
প্রশ্ন কয়লাখনির শ্রমিকদের ঘুমহীন চোখে কী হানা দেয়?
উত্তর: মহুয়ার দেশের কয়লাখনির শ্রমিকদের রাত-জাগা ঘুমহীন চোখে হানা দেয় কীসের যেন ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।
প্রশ্ন ‘মহুয়ার দেশ' আসলে কী?
উত্তর : আধুনিক কাব্যধারার অন্যতম যশস্বী কবি সমর সেনের কাঙ্ক্ষিত 'মহুয়ার দেশ' আসলে রোমান্টিক ভাবনার স্বপ্নময় জগৎ।
প্রশ্ন মহুয়ার দেশ কীসের প্রতীক?
উত্তর : মহুয়ার দেশ কবি সমর সেনের কাঙ্ক্ষিত রোমান্টিক স্বপ্নময় জগতের প্রতীক।
প্রশ্ন রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে কী আলোড়িত করে?
উত্তর: মহুয়ার দেশের রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকেআলোড়িত করে দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস।
প্রশ্ন দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য কোথায় ছায়া ফেলে?
উত্তর: দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য আধুনিক কাব্যধারার অন্যতম সেরা কবি সমর সেনের রোমান্টিক স্বপ্নের ‘মহুয়ার দেশ'-এর রাস্তার দু-ধারে ছায়া ফেলে সর্বক্ষণ।
প্রশ্ন ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ কীভাবে কবির কাছে আসে?
উত্তর : শীতের দুঃস্বপ্নের মতো ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাসআলোর স্তম্ভের উজ্জ্বল স্তব্ধতার মাঝে ঘুরে ফিরে কবির কাছে আসে।
‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস ঘুরে ফিরে ঘরে আসে'—'ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ত্তর: ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস হল নগরজীবনের রুঢ় বাস্তবতার প্রতীক, তা কবির রোমান্টিক স্বপ্নদর্শনকে গ্রাস করতে চায়।
প্রশ্ন 'অলস সূর্য দেয় এঁকে'—'অলস সূর্য' কী আঁকে? সূর্যকে 'অলস' বলার কারণ কী?[নমুনা প্রশ্ন, ১৪]
উত্তর: অস্তগামী সূর্য জলস্রোতে এঁকে দেয় গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ। 'অলস' বলার কারণ, অস্তগামী সূর্য যেন ধীর, মন্থর।
প্রশ্ন ২.৬৩ ......গভীর, বিশাল শব্দ,'—কী গভীর এবং সেখানে কীসের শব্দ হয়?
উত্তর: মহুয়ার দেশে রাত্রির অন্ধকারে কয়লাখনির যন্ত্রের ভয়ংকর গভীর শব্দ হয়, যে শব্দের গভীরতা নগরজীবনে শোনা কদর্যতাকেও বুঝি হার মানায়।
প্রশ্ন ২.৬৪ ‘এখানে অসহ্য, নিবিড় অন্ধকারে/মাঝে মাঝে শুনি'—বক্তা কী শোনেন?
উত্তর : ‘মহুয়ার দেশ'-এর কবি নিবিড় অন্ধকারে মাঝে মাঝে শোনেন মহুয়া বনের ধারে কয়লাখনির গভীর, বিশাল শব্দ।
প্রশ্ন ‘অলস সূর্য দেয় এঁকে’—অলস সূর্য কী এঁকে দেয়?
উত্তর : মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে অলস সূর্য এঁকে দেয় গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা মহুয়ার দেশ ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|
প্রশ্ন . কবি সমর সেনের লেখা 'মহুয়ার দেশ’ কবিতার নামকরণ যথাযথ ও সার্থক কি না আলোচনা করো।
উত্তর : প্রস্তাবনা : কবিতার নামকরণ নানাভাবে হয়। তবে সাধারণভাবে কবিতার ভাববস্তুর সঙ্গে সংগতি রেখে নামকরণের রীতি অধিক প্রচলিত। কবি সমর সেন ‘মহুয়ার দেশ' নামকরণের ক্ষেত্রে এই রীতিই অনুসরণ করেছেন। সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু সন্ধ্যার জলস্রোতে মাঝে মাঝে
অস্তগামী সূর্য গলানো সোনার উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ আঁকে। আর জলের অন্ধকারে ধূসর ফেনায় আগুন লাগে। সেই উজ্জ্বল স্তব্ধতায় ঘুরে-ফিরে ঘরে আসে শীতের দুঃস্বপ্নের মতো ধোঁয়ার বঙ্কিম নিশ্বাস। কবির নিবাস কলকাতা থেকে অনেক অনেক দূরে তাঁর স্বপ্নের মহুয়ার দেশ। সেখানে সারাক্ষণ দীর্ঘ রহস্যময় দেবদারু রাস্তার দু-ধারে ছায়া ফেলে। আর দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস রাত্রির নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। কবির কামনা, তাঁর ক্লান্তির ওপরে মহুয়া ফুল ঝরুক আর নামুক মহুয়ার গন্ধ। কবির কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের মহুয়ার দেশ তাঁর কাছে অসহ্য বোধ হয়, যখন রাতের গাঢ় অন্ধকারে মাঝে মাঝে শোনেন মহুয়ার বনের ধারে কয়লার খনির বিশাল গভীর শব্দ ; আর যখন শিশিরভেজা সবুজ সকালে দেখেন কয়লাখনির শ্রমিকরা কয়লার কালো ধুলোয় ধূসরিত। তাদের শরীর ক্লান্ত অবসন্ন, আর তাদের রাতজাগা ঘুমহীন চোখে হানা দেয় যেন কীসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন। যথাযথ ও সার্থক নামকরণ : যান্ত্রিক সভ্যতার গ্রাস মহুয়ার দেশের শান্তি ও সৌন্দর্যকে উদরস্থ করছে। কাজেইকবিতায় একদিকে যেমন কবির ধূসর বিষাদ, ক্লান্তির দুঃস্বপ্নও স্বপ্ন ভাঙার বেদনা ছড়িয়ে আছে, তেমনি অন্যদিকে ঝরা মহুয়া ফুল ও ফুলের মদির গন্ধের প্রলেপও আছে। পরস্পরবিরোধী এই দুইয়ের পাশাপাশি ও মাখামাখি অবস্থিতি তথা কবির স্বপ্ন ও স্বপ্ন ভাঙার আর্ভির মিশ্রণ কবিতার ভাববস্তু বা মর্মার্থ। এখানেই কবিতার ভাববস্তুর সঙ্গে কবিতার মহুয়ার দেশ' নামকরণের সংগতি রক্ষা। সেজন্য নামকরণ শুধু সংগত নয়, সার্থক ও যথাযথ।
প্রশ্ন . “আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া- ফুল,/নামুক মহুয়ার গন্ধ।—'আমার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? এমন কামনার কারণ কী?]
উত্তর : ‘আমরা’ বলতে ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার কবি ‘সমর সেন'-এর কথা বলা হয়েছে। কবি সমর সেনের কাঙ্ক্ষিত ‘মেঘ-মদির মহুয়ার দেশ’ কবির বাসস্থান কলকাতা শহর থেকে অনেক অনেক দূরে। সেখানে পথের দু-ধারে সারবন্দি দেবদারু। পথ তাদের ছায়ায় ঢাকা। নগরের পঙ্কিল কদর্য পরিবেশে হাঁপিয়ে-ওঠা ব্যথাজর্জরিত কবির স্বপ্নের মহুয়ার দেশ। কবি চেয়েছিলেন প্রকৃতির কোলে নগরজীবন থেকে মুক্তির পরম শান্তি।
কামনার কারণ : কিন্তু মেঘমদির মহুয়ার দেশে এসেও কবির স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর কাঙ্ক্ষিত অরণ্যপ্রকৃতির শান্তি, সুষমা ও সৌন্দর্য হননের বীভৎসতা দেখে। তবুও নতুন করে আঁকড়ে- ধরা স্বপ্নের মায়ায় তাঁর মনে ফের কামনা জাগে। তিনি চান, তাঁর ক্লান্ত শরীর ভরিয়ে তুলুক রাশি রাশি গন্ধমদির মহুয়া ফুল। তার মদির গন্ধে কবির নগরবাসের পঙ্কিল পূতিগন্ধময় জীবন মোহিত হোক নতুন সঞ্জীবনের আশ্বাসে। তাঁর ব্যথাজর্জরিত হৃদয়ে মহুয়ার মদির গন্ধের প্রলেপ নামুক।
মহুয়ার দেশ বড় প্রশ্ন উত্তর pdf,
‘সমস্তক্ষণ সেখানে পথের দুধারে ছায়া ফেলে/দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য”—কোন্ জায়গার কথা বলা হয়েছে? মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো। এ প্রসঙ্গে কবির মনোভাব কী? ১+২+২
• উত্তর সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে কবি অনেক অনেক দূরের ‘মহুয়ার দেশ’-এর কথা বলেছেন।
→ নাগরিক জীবনের ‘শীতের দুঃস্বপ্নের মতো’ ধোঁয়ার বিষাক্ত নিশ্বাস থেকে অনেক দূরে আছে কবিকল্পনার মেঘমদির মহুয়ার দেশ। প্রকৃতি সেখানে বাধাহীনভাবে নিজেকে মেলে দেয়। সেখানে পথের দু-ধারে যেমন দেবদারু গাছের ছায়া রহস্যময়তার সৃষ্টি করে, ঠিক তেমনই ‘দীর্ঘশ্বাস’-এর মতো দূর সমুদ্রের গর্জন রাতের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে। এভাবেই কবি নাগরিক জীবনের ক্লান্তির বিপরীতে প্রকৃতির অবাধ উন্মোচনকে খুঁজে পান।
→ নাগরিক জীবনের অবসাদ ও ক্লান্তির বিপরীতে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে কবি সমর সেন এই ‘মহুয়ার দেশ’-এর সন্ধান করেছেন। অস্তগামী সূর্যের আলো সন্ধ্যার জলস্রোতে যখন গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল স্বর্ণালি আভা রচনা করে, তখন সাময়িকভাবে শহুরে প্রকৃতিতেও মায়াময় আবেশ তৈরি হয়। কিন্তু তা চিরস্থায়ী হয় না। নাগরিক জীবনের দূষণের বিষাক্ত ধোঁয়ার নিশ্বাসে সেই সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। সেইসময় মহুয়ার দেশের শান্ত নির্মলতাকেই কবি আশ্রয় করতে চান। তিনি চান তাঁর ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়ার ফুল, আবেশ ছড়াক মহুয়ার গন্ধ | মহুয়ার দেশের সজীবতার স্পর্শে তিনি নিজেকে প্রাণবন্ত করে তুলতে চান। তাই নগরজীবন থেকে দূরবর্তী ‘মহুয়ার দেশ’ হয়ে ওঠে কবির আকাঙ্ক্ষিত প্রিয়তম আশ্রয়স্থল।
প্রশ্ন . “আমার ক্লান্তির উপরে ঝরুক মহুয়া-ফুল,/নামুক মহুয়ার গন্ধ।”—‘আমার’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে? এমন কামনার কারণ কী? ১+৪ [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৭]
● উত্তর ‘আমার’ বলতে ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার কবি সমর সেনের কথা বলা হয়েছে।
● কবি সমর সেন নাগরিক ক্লান্তি থেকে মুক্তির জন্য ‘মহুয়ার দেশ’ এর কথা ভেবেছেন। প্রকৃতির সেই বাধাহীন বিস্তারে, মেঘমদিরতায় কবি ‘শীতের
প্রশ্ন . “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়/কিসের ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন।” - কাদের কথা বলা হয়েছে? তাদের ঘুমহীন চোখে ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয় কেন? ১+৪ [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৫]
উত্তর সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ' কবিতা থেকে উদ্ধৃত এই উক্তিটিতে মহুয়ার দেশের কয়লাখনির অবসন্ন শ্রমিকদের কথা বলা হয়েছে।
→ সমর সেন তাঁর ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় নগরজীবনের ধূসরতা ও যান্ত্রিকতায় ক্লান্ত মানুষের যন্ত্রণাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। এখান থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যই কবিকে আকর্ষণ করে মেঘমদির মহুয়ার দেশ, যেখানে পথের দুপাশে ছায়া ফেলে রহস্যময় দেবদারু গাছের সারি। কবি আকাঙ্ক্ষা করেন যে, তাঁর ক্লান্তির উপরে মহুয়া ফুল ঝরে পড়ুক। তাঁর চেতনায় ছড়াক স্নিগ্ধ আবেশ। কিন্তু এখানকার সর্বগ্রাসী যান্ত্রিকতায় তার কোনো সন্ধানই পান না কবি। বরং তাঁর কানে আসে মহুয়া বনের ধারে কয়লাখনির প্রবল শব্দ | শিশিরে ভেজা সবুজ সকালে মহুয়ার দেশের অবসন্ন মানুষদের শরীরেও লেগে থাকে ধুলোর কলঙ্ক। তাঁর স্বপ্নের মহুয়ার দেশও যে আজ যন্ত্রসভ্যতার শিকার। আর তারই বিপন্নতা হানা দেয় সেখানকার মানুষদের দুঃস্বপ্নে । যন্ত্রসভ্যতার ক্ষয়, বিকৃতি আর যান্ত্রিকতার ক্লান্তি থেকে মুক্তি পায় না স্বপ্নের মহুয়ার দেশও। একারণেই তাদের ঘুমহীন চোখে ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয়।
HS bengali mohuar desh kobita question answer pdf.
প্রশ্ন . 'মহুয়ার দেশ' কবিতায় কবি নগরজীবনের যে ছবি তুলে ধরেছেন তা নিজের ভাষায় আলোচনা করো।
• উত্তর সমর সেনের ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতাটি নগরজীবনের ক্লান্তি, বিষণ্ণতা আর কৃত্রিমতা নিয়ে কবির অনুভবের প্রকাশ। এখানে সন্ধ্যার চিরন্তন অনাবিল পটভূমিতে ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাস’ ঘুরে-ফিরে আসে। এই আসা কবির কাছে একেবারেই কাম্য নয়, তাই তা শীতের দুঃস্বপ্নের মতোই মনে হয়। এই নাগরিক ক্লান্তি থেকে মুক্তির জন্য কবির চেতনা জুড়ে থাকে মহুয়ার দেশ, যা রাত্রির নির্জন নিঃসঙ্গতাকেও আলোড়িত করে। কবি চান তাঁর ক্লান্তির ওপরে ঝরুক মহুয়া ফুল, আবেশ ছড়াক তার মাদকতাময় গন্ধ। কিন্তু নগরজীবন এই রোমান্টিক বিলাসিতাকে লালন করে না। তাই নাগরিক জীবনের প্রবল কোলাহলের মধ্যে কবি শুধু মহুয়ার দেশের কয়লাখনির প্রবল আওয়াজটুকুই পান, পান না কোনো স্নিগ্ধতা অথবা নির্মলতা, পান না দেবদারু গাছের দীর্ঘ রহস্যময় ক্লান্তিদূরকারী ছায়া। শিশির-মাখা সবুজ সকালেও তাই তাঁর চোখে ভেসে ওঠে মহুয়ার দেশের মানুষদের ধুলোর কলঙ্কমাখা অবসন্ন মুখ | গদ্য লেখায় সমর সেন বলেছিলেন—“রিয়ালিটির থেকে নিষ্কৃতির চেষ্টা পরাজয়ের দুর্বল ভঙ্গি, প্রকৃতির স্বপ্নলোক ক্লীবের অলীক স্বর্গ।” তাই পালিয়ে না গিয়ে নগরজীবনের সর্বগ্রাসী চেহরাকে কবি তুলে ধরেন ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায়।
“কালক্রমে টেকনিক নিয়ে যাবে নব্যকাব্যলোকে।”—কবিতার আঙ্গিক সম্পর্কে এরকমটাই ভাবতেন সমর সেন। জীবনের ক্লান্তি, অবসন্নতা, নাগরিক হতাশাকে প্রকাশ করতে গিয়ে গদ্যকবিতাই বারবার তাঁর অবলম্বন হয়েছে। সম্ভবত অন্ত্যমিলের লঘু চলনে জীবনের ব্যাপ্তিকে যথাযথভাবে ধরা যাবে না বলেই কবি মিলহীনতার দিকে ঝুঁকেছিলেন। এই কবিতায় মাত্র বাইশটি পঙ্ক্তি রয়েছে। দীর্ঘতম পক্তি কুড়ি এবং হ্রস্বতম পঙ্ক্তি ছ-মাত্রার। গদ্যকবিতার রীতি মেনে যতিচিহ্নের প্রয়োগেও কোনো সুনির্দিষ্ট রীতি কবি মানেননি। কখনও তিনটি পঙ্ক্তির পরে যেমন পূর্ণমতি ব্যবহার করেছেন, তেমনই কখনও পূর্ণযতি দিতে সময় নিয়েছেন আটটি পঙ্ক্তি | মাত্র পাঁচটি পূর্ণযতিতে সমগ্র কবিতাকে বেঁধেছেন কবি। অর্থাৎ স্পষ্টতই বোঝা যায়, প্রতিটি পূর্ণযতি কখনও একটি বক্তব্য, কখনও একটি চিত্রকল্পকে নির্মাণ করেছে। সমর সেনের বিশিষ্টতা হল তাঁর কবিতা নিছক বক্তব্যধর্মী হয়নি। একদিকে তিনি তৈরি করেছেন অসাধারণ চিত্রকল্প, যেমন—“মাঝে মাঝে সন্ধ্যার জলস্রোতে/অলস সূর্য দেয় এঁকে/গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ”, অন্যদিকে সেই চিত্রকল্পের আশ্রয়ে কবিতাকে করে তোলেন ব্যঞ্জনাধর্মী। সমর সেন সহজ শব্দের প্রয়োগ যেমন করেন, পাশাপাশি অসাধারণ কাব্যিক শব্দবন্ধও তৈরি করেন, যেমন— ‘অলস সূর্য’, ‘উজ্জ্বল স্তব্ধতা’, ‘সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস' ইত্যাদি। এভাবেই নাগরিক ক্লান্তি আর তা থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে কবি শিল্পসম্মতভাবে গদ্যকবিতার আশ্রয়ে অনবদ্যভাবে ফুটিয়ে তোলেন। গদ্যকবিতা হিসেবে ‘মহুয়ার দেশ' কবিতাটির সার্থকতা আলোচনা করো।
[TAG]: দ্বাদশ শ্রেণি মহুয়ার দেশ, মহুয়ার দেশ mcq,উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বড় প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা মহুয়ার দেশ প্রশ্ন ,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা মহুয়ার দেশ ৫ নং প্রশ্ন উত্তর,বাংলা মহুয়ার দেশ বড় প্রশ্ন উত্তর,