রূপনারানের কূলে কবিতা প্রশ্ন উত্তর|উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রূপনারানের কূলে কবিতা প্রশ্ন উত্তর PDF|

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

রূপনারানের কূলে -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর| দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা রূপনারানের কূলে প্রশ্ন উত্তর |HS bengali rupnarayan kuley question answer pdf download.
রূপনারানের কূলে কবিতা প্রশ্ন উত্তর|উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রূপনারানের কূলে কবিতা প্রশ্ন উত্তর PDF|
রূপনারানের কূলে কবিতা প্রশ্ন উত্তর

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি উচ্চমাধ্যমিক রূপনারানের কূলে প্রশ্ন উত্তর PDF। Class 12 bengali rupnarayaner kuley kobita question answer pdf|WBCHSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা কবিতা রূপনারানের কূলে প্রশ্ন উত্তর pdf download. তোমাকে সাহায্য করবে।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রূপনারানের কূলে প্রশ্ন উত্তর pdf download করো এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রূপনারানের কূলে প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

Read More:--

দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা রূপনারানের কূলে 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর |

কমবেশি ২০টি শব্দে উত্তর দাও।

প্রশ্ন.  ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

প্রশ্ন. ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটির রচনাকাল ও স্থান উল্লেখ করো।

উত্তর: শান্তিনিকেতনের উদয়নে অবস্থানকালে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৩ মে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে' কবিতাটি রচনা করেন।

প্রশ্ন.  “জেগে উঠিলাম”—কে, কোথায় জেগে উঠলেন?

উত্তর: ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বয়ং রূপনারানের তীরে জেগে উঠেছিলেন।

প্রশ্ন. . “জেগে উঠিলাম”—জেগে উঠে কবি কী উপলব্ধি করেছিলেন?

উত্তর: বক্তা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ জেগে উঠে রক্তের অক্ষরে তাঁর নিজের রূপ দেখেছিলেন।

প্রশ্ন.  “জানিলাম এ জগৎ/স্বপ্ন নয়।”—কখন কবি এ কথা জেনেছিলেন?

উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবন সায়াহ্নে যখন ‘রূপনারানের কূলে' জেগে উঠেছিলেন, তখনই জেনেছিলেন যে এ জগৎ স্বপ্ন নয়।

প্রশ্ন. রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি কী জানলেন?

উত্তর: রূপনারানের কূলে জেগে উঠে কবি জানলেন যে, এ জগৎ স্বপ্ন নয়।

প্রশ্ন. “চিনিলাম আপনারে”—কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন?

উত্তর: দ্বন্দ্ব-সংঘাতমুখর এই বাস্তব পৃথিবীতে কবি আঘাতে-আঘাতে, বেদনায়-বেদনায় নিজেকে চিনলেন।

প্রশ্ন. ১৯৬০, “সত্য যে কঠিন”—কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন? [পাঠভবন]

প্রশ্ন. অথবা, ‘রূপনারানের কূলে' কবিতার কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় সত্য কঠিন বলতে বুঝিয়েছেন যে, সত্য সবসময় কাঙ্ক্ষিত নাও হতে পারে।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রূপনারানের কূলে mcq প্রশ্ন উত্তর|

প্রশ্ন. . “সত্য যে কঠিন”—এ কথা বলেও সত্য সম্পর্কে কবির প্রতিক্রিয়া কী?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালোবেসেছেন।

প্রশ্ন. . “সত্য যে কঠিন”—তবু কবি সত্যকে ভালোবাসেন কেন? [হিন্দু স্কুল]

উত্তর: সত্য কঠিন জেনেও কবি সত্যকে ভালোবাসেন কারণ সত্য কখনও বঞ্চনা করে না।

প্রশ্ন. . ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি সত্যকে কোন্ বিশেষণে ভূষিত

করেন?

উত্তর: ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি সত্যকে ‘কঠিন' বিশেষণে ভূষিত

করেছেন।

প্রশ্ন. . “সত্য যে কঠিন”—বক্তা সত্যের সঙ্গে কেমন আচরণ করেন?

উত্তর: বক্তা কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যকে কঠিন জেনেও তাকে ভালোবেসেছেন।

প্রশ্ন. . “কঠিনেরে ভালোবাসিলাম”—কবি কেন ‘কঠিন’-কে ভালোবাসলেন?

[অথবা, “কঠিনেরে ভালোবাসিলাম” – কঠিনকে ভালোবাসার কারণকী?

উত্তর: ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি ‘কঠিন’-কে ভালোবেসেছিলেন কারণ কঠিনই হল সত্যের স্বরূপ এবং সে কখনও কাউকে বঞ্চনা করে না।

প্রশ্ন.  "সে কখনো করে না বঞ্চনা।”—কে, কখনও করে না বঞ্চনা?

উত্তর: 'রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জানিয়েছেন যে, কঠিন সত্য কখনও কবি তথা মানুষকে বঞ্চনা করে না।

২২. কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন কেন?

উত্তর: মানবজীবনে অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা, পারিপার্শ্বিক আঘাত-সংঘাত ইত্যাদির তীব্রতাকে বোঝাতে গিয়েই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন।

প্রশ্ন.  'রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি কীসের মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন?

উত্তর: ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন. . “সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে”—সত্যের দারুণ মূল্য বলতে কী বোঝ?

উত্তর: সত্যের দারুণ মূল্য বলতে কবি অপ্রিয় ও কঠিন সত্যকে স্বীকার করার জন্য যে মনোবল ও নিরাসক্ত মনোভাবের প্রয়োজন, তার কথা বলেছেন।

প্রশ্ন.  'সত্যের দারুণ মূল্য' লাভ করার জন্য কী করতে হয়?

উত্তর: আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা করার মধ্য দিয়েই সত্যের দারুণ অর্থাৎ প্রকৃত মূল্য লাভ হয়।

প্রশ্ন.  'রূপনারানের কূলে’ কবিতায় কবি জেগে  উঠে কী জানলেন?

উত্তর: ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ জেগে উঠে জানলেন যে, এ জগৎ স্বপ্ন নয়, রূঢ় বাস্তব।

প্রশ্ন.  ‘রূপনারানের কূলে'—রূপনাৱান কীসের ব্রৃপক বা কোন্ ভাবনার প্রতীক বলে মনে করো লেখো।

উত্তর: রূপনারান হল প্রবহমান নদী, তা চলমান জীবনের রূপক, তার কূলে বা প্রান্তে দাঁড়িয়ে কবি রবীন্দ্রনাথ আত্মোপলব্ধির মাধ্যমে আত্মদর্শন করেছেন—এ ভাবনার প্রতীকও বটে।

প্রশ্ন.  কে কখনো করে না বঞ্চনা?

উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথ জীবনভর দুঃখের কঠিন তপস্যার এই উপলব্ধিতে তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছে যে, দুঃখের তপস্যায় লব্ধ কঠিন সত্য জীবনে কখনও বঞ্চনা করে না।

প্রশ্ন.  সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করার জন্য কী করতে হয়?

উত্তর : ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় রবীন্দ্রনাথ বলেছেন যে, জীবনের দুঃখের তপস্যায় লব্ধ কঠিন সত্যের মূল্য লাভের জন্য জীবনের সব দেনা চুকিয়ে দিতে হয়।

রূপনারানের কূলে 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন উত্তর|

প্রশ্ন.  কবি জীবনকে ‘আমৃত্যুৱ দুঃখের তপস্যা বলেছেন কেন?

উত্তর : মানবজীবনে থাকে আঘাত, ব্যথা-বেদনা, অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা, এসব নিয়ে জীবনভর চলে কঠিন তপস্যা সত্যোপলব্ধির জন্য, আত্মদর্শনের জন্য—একেই কবি বলেছেন ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা'।

প্রশ্ন.  আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন, —কবি কেন এমন বলেছেন?

উত্তর : অনেক দুঃখকষ্ট, আঘাত-বেদনার মধ্য দিয়ে সারা- জীবন চলতে হয়, ওই জীবনভর চলাই হল আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা। এই কারণে কবি এ কথা বলেছেন।

প্রশ্ন. 'জেগে উঠিলাম,'-জেগে ওঠা বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?

উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথ 'জেগে ওঠা' বলতে আমৃত্যু দুঃখের তপস্যার যে সিদ্ধি তথা সত্যদর্শন বা আত্মোপলব্ধি বা আত্মদর্শন, তা বুঝিয়েছেন।

প্রশ্ন. ‘সত্য যে কঠিন,'—কবি সত্যকে কঠিন বলেছেন কেন?

উত্তর: কবি রবীন্দ্রনাথ জগৎ ও জীবনকে সত্য হিসেবে দেখেছেন, জগৎ রূঢ় বাস্তব জীবন দুঃখকষ্ট ও আঘাত- বেদনায় ভয়ংকর কণ্টকময়, কাজেই জগৎ ও জীবনের সত্যস্বরূপ বড়ো কঠিন।

প্রশ্ন. সকল দেনা শোধ করে দিতে। -সকলদেনা কী? 

উত্তর : জীবন সমাজ ও সংসারের কাছে নানাভাবে ঋণগ্রস্ত, জীবনের অন্তিম লগ্ন তথা মৃত্যুতে সে ঋণ চুকিয়ে যেতে হয়, এখানে সে দেনার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন. ‘সে কখনো করে না বঞ্চনা।—‘সে’ বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?

উত্তর : এখানে 'সে' বলতে জীবনভর দুঃখের তপস্যালব্ধ কঠিন যে সত্য, তাকে বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন.  'সকল দেনা শোধ করে দিতে।—'সকল দেনা' কীভাবে শোধ হবে?

উত্তর: দুঃখের তপস্যায় সত্যের দারুণ মূল্য দিয়ে জীবনের সকল দেনা চুকিয়ে মৃত্যুর হাতে নিজেকে সঁপে দিতে কবি প্রত্যাশী।


রূপনারানের কূলে বড় প্রশ্ন উত্তর pdf,

প্রশ্ন.  'রূপ-নারানের কূলে/জেগে উঠিলাম।- কে জেগে উঠলেন? জেগে ওঠার আসল অর্থ কবিতাটির মধ্যে কীভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা বুঝিয়ে দাও।]

উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে জেগে উঠলেন। জেগে ওঠার আসল অর্থ : কবি রূপনারানের কূলে জেগে উঠে জাগ্রত দৃষ্টিতে তাঁর উপলব্ধি হল, জগৎ স্বপ্ন নয়। জগৎ বাস্তব, জগৎকে সত্য হিসেবে কবি দেখেছেন। তিনি কখনোই জগদবিমুখ নন। দেখেছেন রক্তের অক্ষরে লেখা তাঁর আপনার রূপকে। কবি  মৃত্যুঞ্জয়। জীবনের মতো মৃত্যুকেও কবি পরিপূর্ণভাবে ভোগ করেছেন। কবি এখন মৃত্যুপথযাত্রী। দুঃখের আঁধার রাত্রি পার হয়ে এসে তিনি এখন রক্তের অক্ষরে আঁকা আপনার রূপ দেখে নিলেন। এ তাঁর দুঃখের কঠিন তপস্যায় উত্তীর্ণ আত্মোপলব্ধি। আঘাত আর বেদনায় বিদ্ধ হয়ে তিনি নিজেকে চিনেছেন। সত্য কঠিন। কবি সেই কঠিনকে ভালোবাসলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, দুঃখের মধ্য দিয়ে যে সিদ্ধিলাভ ঘটে, তা কখনও বঞ্চনা করে না। জীবনভর দুঃখের  তপস্যা চলে। দুঃখের তপস্যায় সত্যের দারুণ মূল্য দিয়ে জীবনের সকল দেনা শোধ করে কবি মৃত্যুর হাতে নিজেকে পরম নিশ্চিন্তে সঁপে দিতে প্রয়াসী।


প্রশ্ন.  'সে কখনো করে না বঞ্চনা।-কে, কখনও বঞ্চনা করে না? কবি কীভাবে সেই ভাবনাই উপনীত হয়েছেন? [দ্বাদশ, '১৫] [১+8/

উত্তর : দুঃখের মধ্য দিয়ে যে সিদ্ধিলাভ ঘটে তা কখনও বঞ্চনা করে না। ভাবনায় উপনীত হওয়া : ‘রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিশেষ কবি-ভাবনায় রূপনারানের কূলে জেগে উঠেছেন। জাগ্রত দৃষ্টিতে তাঁর উপলব্ধি হল জগৎ স্বপ্ন নয়। জগৎ বাস্তব। জগৎকে সত্য হিসেবে কবি দেখেছেন। তিনি কখনোই জগৎবিমুখ নন। দেখেছেন, রক্তের অক্ষরে লেখা তাঁর আপন রূপকে। কবি মৃত্যুঞ্জয়। জীবনের মতো মৃত্যুকেও কবি পরিপূর্ণভাবে ভোগ করেছেন। কবি এখন মৃত্যুপথযাত্রী। দুঃখের আঁধার রাত্রি পার হয়ে এসে তিনি এখন রক্তের অক্ষরে আঁকা আপনার রূপ দেখে নিলেন। এ তাঁর দুঃখের কঠিন তপস্যায় উত্তীর্ণ আত্মোপলব্ধি। আঘাত আর বেদনায় বিদ্ধ হয়ে তিনি নিজেকে চিনেছেন। সত্য বড়ো কঠিন। কবি সেই কঠিনকে ভালোবাসলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে দুঃখের মধ্যে দিয়ে যে সিদ্ধিলাভ ঘটে, তা কখনও বঞ্চনা করে না। কবি এভাবেই তাঁর ভাবনায় উপনীত হয়েছেন। 

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা রূপনারানের কূলে ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|

প্রশ্ন. ‘জানিলাম এ জগৎ/স্বপ্ন নয়। রূপনারানের কূলে’ কবিতা অবলম্বনে কবির এই ভাবনার তাৎপর্য লেখো। [নমুনা প্রশ্ন, '১৪] [5]

উত্তর : তাৎপর্য বিশ্লেষণ : উদ্ধৃত অংশটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষ লেখা’ কাব্যগ্রন্থের অন্যতম কবিতা ‘রূপনারানের কূলে’ থেকে গৃহীত। কবি রূপনারানের কূলে জেগেউঠে জেনেছেন, এ জগৎ স্বপ্ন নয়। জগৎ ও জীবনের রূঢ় বাস্তবসত্যতাকে কবি কখনোই অস্বীকার করেননি। কবি কখনোই জগৎবিমুখ নন। তিনি মর্ত্যপ্রেমিক ও মানবপ্রেমিক। 

তাই তাঁর  বিখ্যাত উক্তি : ‘মরিতে চাহি না আমি এই সুন্দর ভুবনে/মানুষের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। তিনি জগৎ ও জীবনকে কোনো সময়েই ভুলে যাননি, ত্যাগও করেননি। এমনকি গীতাঞ্জলির পর্বে তিনি জগৎ ও জীবন সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন না। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কবি জগৎকে সত্য হিসেবে দেখেছেন। জগৎতাঁর কাছে স্বপ্নের মতো অলীক নয়।


প্রশ্ন.  ‘সত্য যে কঠিন,'—এই উপলব্ধিতে কবি কীভাবে উপনীত হলেন, তা ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতা অবলম্বনে লেখো। [নমুনা প্রশ্ন, '১৪] [৫]

উত্তর : উপস্থাপনা : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতাটি কবির অন্তিম জীবন পর্বের কবিতা। কবিতাটি গীতি কবিতার মতো ব্যক্তিগত উপলব্ধি ও সত্যদর্শনের কাব্যরূপ।

→ উপলব্ধিতে উপনীত হওয়া : কবি রূপনারানের কূলে দিয়ে জেগে উঠে জেনেছেন, এ জগৎ স্বপ্ন নয়। জগৎ ও জীবনের রূঢ় তার বাস্তব সত্যতাকে কবি কখনও অস্বীকার করেননি। কারণ তিনি ছি মর্ত্যপ্রেমিক ও মানবপ্রেমিক কবি। জগৎ ও জীবনবিমুখতা তাঁর কবিচরিত্রবিরোধী। কবি মৃত্যুঞ্জয়। তিনি জীবনের মতো মৃত্যুও পরিপূর্ণভাবে ভোগ করেছেন। তাঁর কবিপুরুষ মৃত্যুর চেয়ে বড়ো। এই উপলব্ধি তাঁর অনেক আগের। এখন মৃত্যুপথযাত্রী কবি দুঃখের আঁধার রাত্রি পার হয়ে এসে রক্তের অক্ষরে আঁকা আপনার রূপ প্রত্যক্ষ করেছেন। এ তাঁর দুঃখের কঠিন তপস্যায় উত্তীর্ণ আত্মোপলব্ধি। পৃথিবীর বাস্তব ও সত্যরূপ দর্শনের জন্য অনেক আঘাত, অনেক বেদনা মাথা পেতে নিতে হয়। তাতে যে উপলব্ধি হয়, সেই উপলব্ধিজাত সত্য ভয়ানক কঠিন। তা অনেক দুঃখ, আঘাত ও বেদনাময় তপস্যায় উত্তীর্ণ সিদ্ধি। তবু ওই কঠিনকে কবি ভালোবাসেন। ভালোবাসেন বলেই জীবনভর বহুবিধ দুঃসহ কাজে হাত দিয়েছিলেন।

HS bengali rupnarayan kuley question answer pdf download

প্রশ্ন. ‘রূপনারানের কূলে' কবিতাটির মূল বক্তব্য সংক্ষেপে আলোচনা করো।

প্রশ্ন. অথবা, 'রূপনারানের কূলে' কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ জীবনসায়াহ্নে উপনীত হয়ে যা উপলব্ধি করেছেন, তা নিজের ভাষায় লেখো।

● উত্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ লেখা কাব্যগ্রন্থের ১১ সংখ্যক কবিতা

‘রূপনারানের কূলে’-তে কবি তাঁর পরিণত বয়সের জীবনদর্শনের এক অসামান্য প্রকাশ ঘটিয়েছেন। কবিতাটিতে দেখা যায়, স্বপ্নের জগৎ থেকে কবি ফিরে এসেছেন মাটি ও মানুষের টানে । আঘাতে-সংঘাতে-বেদনায় তিনি উপলব্ধি করেছেন নিজের প্রকৃত স্বরূপ, যা প্রকৃতপক্ষে মানবচেতনার যথাযথ রূপ | মানবজীবন কল্পনাবিলাসের কোমল মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো অসম্ভব বা অবাস্তবের প্রকাশ নয়। কঠোর সত্যের মুখোমুখি দাঁড়ানোর মধ্য দিয়েই মানবজীবন সার্থকতা লাভ করে। এই সত্যের স্বরূপ এটাই যে, তাতে জীবনের গতিশীলতা প্রকাশ পায় | কবির কথায় আমৃত্যু দুঃখের তপস্যা হল এই জীবন | তাকে অস্বীকার করে রঙিন স্বপ্ন-কল্পনার জগতে আশ্রয় নেওয়ার মধ্যে জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। রানি চন্দকে রবীন্দ্রনাথ এই কবিতা প্রসঙ্গে বলেছিলেন— “সত্য কঠিন—অনেক দুঃখ, দাবি নিয়ে আসে | স্বপ্নে তা তো থাকে না; কিন্তু তবুও আমরা সেই কঠিনকেই ভালোবাসি | ভালোবাসি সেই কঠিনের জন্য সবকিছু দুঃসহ কাজ করতে।” এভাবেই আলোচ্য কবিতাটিতেও এই জীবনের প্রকৃত স্বরূপটি চিনে নেওয়ার কথা বলেছেন কবি। ‘রূপনারানের কূলে’ এভাবেই তিনি সত্য ও জীবনের সন্ধান করেছেন।


প্রশ্ন. “আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন,”—–কেন কবি এই জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা' বলেছেন? এখানে কবির মনোভাবে বিবর্তনের যে ছবি পাওয়া যায় তা নিজের ভাষায় লেখো।

● উত্তর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতায় জীবনকে ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা' বলেছেন। কবির কাছে জীবন হল আঘাত-সংঘাত, প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তির দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে সত্যকে উপলব্ধি করা। সত্যের স্বরূপ অত্যন্ত কঠিন| সুখ এবং আনন্দকে অতিক্রম করে দুঃখের নির্মমতায় তার বিস্তার। সত্যকে পাওয়ার জন্য মানুষের যে সাধনা তা অত্যন্ত কঠিন ৷ তাকে উপলব্ধি করার জন্য কল্পনার সৌধ থেকে নেমে আসতে হয় বাস্তবের অমসৃণ জমিতে। ‘রক্তের অক্ষরে’ নিজের রূপ দেখতে পাওয়া যায়, নিজেকে চিনতে পারা যায় আঘাতে-বেদনায় | জীবনের সায়াহ্নে পৌঁছে কবি সত্যের যে কঠিন স্বরূপ, তা চিনতে পারেন এবং সেই কঠিনকেই তিনি ভালোবাসেন। কারণ সত্য কখনও বঞ্চনা করে না। সত্যের প্রতি এই আকর্ষণ এবং তার স্বরূপের যথার্থ উপলব্ধি থেকেই কবির মনে হয় জীবন হল ‘আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা'।

● সত্যের যে উপলব্ধিতে কবি পৌঁছেছেন তা আসলে কবিমনের এক স্পষ্ট বিবর্তনের ইঙ্গিত—কল্পনার জগৎ থেকে বাস্তবের রুক্ষ জমিতে নেমে আসা। কবিতার সূচনাতেই তাই কবি লিখেছেন “রূপ-নারানের কূলে/জেগে উঠিলাম,/জানিলাম এ জগৎ /স্বপ্ন নয়।” অর্থাৎ পৃথিবীর মানুষের সান্নিধ্য কবিকে কল্পনার জগৎ থেকে সরিয়ে এনেছে আঘাত-সংঘাতমুখর জনসমাজে। কল্পনা থেকে সত্যের পথে কবিচেতনার বিবর্তন এভাবেই ফুটে উঠেছে।


[TAG]: দ্বাদশ শ্রেণি রূপনারানের কূলে, রূপনারানের কূলে mcq,উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বড় প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা রূপনারানের কূলে প্রশ্ন ,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা রূপনারানের কূলে ৫ নং প্রশ্ন উত্তর,বাংলা রূপনারানের কূলে বড় প্রশ্ন উত্তর

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url