শিকার কবিতা প্রশ্ন উত্তর|উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিকার কবিতা প্রশ্ন উত্তর PDF|sikar kobita

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

শিকার -জীবনানন্দ দাশ| দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা শিকার প্রশ্ন উত্তর |HS bengali sikar kobita question answer pdf download
শিকার কবিতা প্রশ্ন উত্তর|উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিকার কবিতা প্রশ্ন উত্তর PDF|sikar kobita
শিকার কবিতা প্রশ্ন উত্তর

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি উচ্চমাধ্যমিক শিকার প্রশ্ন উত্তর PDF। Class 12 bengali siksr kobita question answer pdf|WBCHSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা কবিতা শিকার প্রশ্ন উত্তর pdf download. তোমাকে সাহায্য করবে।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |জীবনানন্দ দাশের লেখা শিকার প্রশ্ন উত্তর pdf download করো এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।


উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিকার প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
Read More:--


দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা শিকার 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর 

কমবেশি ২০টি শব্দে উত্তর দাও।

প্রশ্ন. ‘শিকার’ কবিতায় ভোরবেলা আকাশ ও গাছপালা দেখে কবির কেমন মনে হয়েছিল?

অথবা, শিশিরভেজা সকালে বন ও আকাশের রূপ কেমন?

উত্তর: ‘শিকার’ কবিতায় কবির ভোরের আকাশকে ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল এবং গাছপালাকে টিয়ার পালকের মতো সবুজ মনে হয়েছিল।

প্রশ্ন. ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল...”-কে বা কী ‘ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল'?

অথবা, কার সঙ্গে কবি এ তুলনা করেছেন?

উত্তর: জীবনানন্দ দারে ‘শিকার’ কবিতায় ভোরবেলার আকাশের রং ‘ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল'।

প্রশ্ন.  'শিকার' কবিতায় প্রদত্ত দুটি গাছের নাম লেখো।

উত্তর: 'শিকার' কবিতায় উল্লিখিত গাছগুলির অন্যতম হল পেয়ারা ও নোনার গাছ।

প্রশ্ন. “চারিদিকে পেয়ারা ও নোনার গাছ”—পেয়ারা ও নোনার গাছের রংকে কবি কার সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর: পেয়ারা ও নোনার গাছের রংকে কবি টিয়াপাখির পালকের সবুজ রঙের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন.  ‘শিকার’ কবিতায় “...টিয়ার পালকের মতো সবুজ।”—কী?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভোরবেলায় চারদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছকে টিয়ার পালকের মতো সবুজ লেগেছে।

প্রশ্ন. . “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে...”-কবি কোন্ তারার কথা বলেছেন?

উত্তর: ভোরের আকাশে একটি তারা বলতে কবি শুকতারার কথা বলতে চেয়েছেন।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিকার mcq প্রশ্ন উত্তর|

প্রশ্ন. “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে...'—'এখনও’ বলতে কখন?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় 'এখনও’ বলতে রাতশেষের ভোরকে বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন. . “একটি তারা আকাশে রয়েছে..."-'তারা'-টিকে প্রাথমিকভাবে কার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের 'শিকার' কবিতায় "তারা" টিকে প্রাথমিকভাবে পাড়াগাঁর বাসরঘরের সবথেকে 'গোধূলিমদির' মেয়েটির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

প্রশ্ন. “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে।"-আকাশের তারাকে কেন্দ্র করে কবির কোন্ ভাবনা এখানে প্রকাশিত হয়েছে?

উত্তর: ভোরের আকাশে তারাটির উপস্থিতিকে কবি তুলনা করেছেন পাড়াগাঁর বাসরঘরের গোধূলিমদির মেয়েটির সঙ্গে কিংবা হাজার বছর আগের মিশরের মানুষীর বুকের থেকে কবির নীল মদের গেলাসে রাখা মুক্তার সঙ্গে।।

প্রশ্ন. . “একটি তারা এখনও আকাশে রয়েছে;”—তারাটিকে কবি কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?

উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশ রাতজাগা তারাটিকে পাড়াগাঁর বাসরঘরের সবথেকে গোধূলিমদির মেয়েটির এবং মিশরের মানুষীর বুকের মুক্তার সঙ্গে তুলনা করেছেন।

প্রশ্ন. “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও”–তারাটিকে দেখে কবির কী কী মনে হয়েছে?

উত্তর: তারাটিকে দেখে কবির পাড়াগাঁয়ের বাসরঘরের লজ্জাশীলা মেয়ে এবং মিশরের মানুষীর বুকের থেকে নীল মদের গেলাসে রাখা মুক্তো মনে হয়েছিল।

প্রশ্ন. . 'হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে’ কী হয়েছিল? 

উত্তর: হাজার হাজার বছর আগে এক রাতে মিশরের মানুষী তার বুকের থেকে এক মুক্তা তুলে কবির নীল মদের গেলাসে রেখেছিল।

প্রশ্ন.  “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলছে এখনও।”—‘তেমনি’ বলতে কী বলা হয়েছে?

উত্তর: ‘শিকার’ কবিতায় মিশরের মানুষীর বুকের থেকে কবির নীল নদের গেলাসে রাখা মুক্তাকে বোঝাতে ‘তেমনি’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রশ্ন.  “তেমনি একটি তারা আকাশে জ্বলেছে এখনও।”—এখনও বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

উত্তর: সকালের আকাশে যেহেতু তারা দেখা যায় না, তাই কবি ‘এখনও শব্দের মাধ্যমে বলেছেন যে, ভোর হওয়া সত্ত্বেও একটি তারা আকাশে জ্বলছে।

প্রশ্ন. . ‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালে কেন?

অথবা, “মাঠে আগুন জ্বেলেছে”—কেন মাঠে আগুন জ্বেলেছে?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বালে শীতের রাতে শরীরকে গরম রাখার জন্য।

শিকার 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন. হিমের রাতে শরীর উম্ রাখার জন্য কী করা হচ্ছে? 

উত্তর: হিমের রাতে শরীর উম্ অর্থাৎ গরম রাখার জন্য সারারাত ধরে মাঠে দেশোয়ালিরা আগুন জ্বেলেছে।

প্রশ্ন. ‘মোরগফুলের মতো লাল আগুন'—এখানে 'কোন্’ আগুনের কথা বলা হয়েছে?

[উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৫]

উত্তর: এখানে হিমের রাতে শরীর গরম রাখার জন্য দেশোয়ালিদের জ্বালান লাল আগুনের কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন.  “শুকনো অশ্বত্থপাতা দুমড়ে এখনও আগুন জ্বলছে তাদের;”—কারা, কখন, কেন আগুন জ্বালিয়েছে?

উত্তর: 

প্রশ্ন.  “এখনও আগুন জ্বলেছে তাদের”—কেন ‘এখনও’ আগুন জ্বলছে?

উত্তর: দেশোয়ালিরা শরীরকে গরম রাখার জন্য রাতে যে আগুন জ্বালিয়েছিল, দোমড়ানো, শুকনো অশ্বত্থপাতা সেই আগুনকে ভোর অবধি জ্বালিয়ে রেখেছিল।

প্রশ্ন.  “সূর্যের আলোয় তার রং...”—কীসের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ‘তার রং' বলতে দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রঙের কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন. . “সূর্যের আলোয় তার রং...”—তার রং এখন কেমন?

অথবা, সূর্যের আলোয় দেশোয়ালিদের জ্বালা আগুনের রং কেমন ছিল?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং সূর্যের আলোয় রোগা শালিকের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো হয়েছে।

প্রশ্ন. . “সূর্যের আলোয় তার রং...”-তার রং আগে কেমন ছিল?

উত্তর: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় সূর্যের আলোয় বিবর্ণ আগুনের রং আগে ছিল কুকুমের মতো। 1)

প্রশ্ন.  ‘আগুন জ্বলল আবার—'—আবার কেন আগুন জ্বলেছিল?

উত্তর : আবার আগুন জ্বলল। বনে ওত পেতে থাকা নিষ্ঠুর  শিকারীদের বন্দুকের গুলিতে নিহত হরিণের মাংস রান্না করে লালসা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে।

প্রশ্ন.  ‘একটা অদ্ভুত শব্দ।-শব্দটি কীসের? কখন শোনা গিয়েছিল?

উত্তর : শব্দটি বন্দুকের গুলির। হরিণ যখন নদীর স্রোতধারায় নেমে সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমকে দেওয়ার জন্য নিজেকে দৃপ্ত করে জাগিয়ে তোলে, তখন গুলির শব্দ শোনা যায়।

প্রশ্ন.  'গোধূলিমদির মেয়েটির মতো ;'—বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?

উত্তর : ভোরের তারাটি যেন পাড়াগাঁয়ের বাসরঘরে জেগে থাকা সবে বিয়ে হওয়া কনে বউটির লজ্জারাঙা গোধূলি রঙের মতো।

প্রশ্ন.  ‘একটি তারা এখন আকাশে রয়েছে :- কবির মতে তারাটি কার মতো?

উত্তর : তারাটি পাড়াগাঁয়ে বাসরঘরে সবচেয়ে গোধূলিমদির মেয়েটির মতো।

প্রশ্ন.  ‘এখনও আগুন জ্বলছে তাদের ;’—কারা, কেন আগুন জ্বালিয়েছে?

উত্তর : দেশোয়ালিরা শীতের রাতে আদুল শরীরকে গরম রাখার জন্য মাঠে শুকনো অশ্বত্থপাতায় আগুন জ্বেলেছে।

প্রশ্ন. ‘নিৱপৱাধ ঘুম’—ঘুমকে নিরপরাধ বলা হয়েছে কেন?

উত্তর : কবি জীবনানন্দ ব্যাঙ্গার্থে বলেছেন যে, শিকারী সভ্য অথচ নিষ্ঠুর বর্বর লোকগুলি হরিণ বধের মতো অপরাধ করেও নিরপরাধ ঘুমের মধ্যে ডুবে গেছে।

উচ্চমাধ্যমিক বাংলা শিকার ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর|

প্রশ্ন.  কবি জীবনানন্দ দাশের লেখা 'শিকার’ কবিতার নামকরণ হয়েছে যথাযথ ও সার্থক- কবিতার এই বিষয়বস্তু সংক্ষেপে উল্লেখ করে আলোচনা করো। [৫]

উত্তর: 

প্রস্তাবনা : কবিতার নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ "বিষয়। কবিতার ভাববস্তুর সঙ্গে সংগতি রেখে সাধারণভাবে কবিতার নামকরণ হয়ে থাকে। আলোচ্য ‘শিকার’ কবিতার কবি। জীবনানন্দ দাশ কবিতার ভাববস্তুর সঙ্গে সংগতি রেখে নামকরণ করেছেন। এখন আলোচনার বিষয় হল, কবিতার ‘শিকার’ নামকরণ যথাযথ ও সার্থক হয়েছে কি না।

কবিতায় বর্ণিত বিষয় : ভোরের আকাশে রয়েছে একটিমাত্র তারা। বাসরঘর জাগা কনেবউয়ের মতো একা। অথবাপ্রাচীন মিশরের জনৈকা প্রণয়িনীর বক্ষঃস্থলের একটি মুক্তা। যার যা সূর্যের আলো এখন আদিবাসীদের জ্বালা আগুনের মতো ফ্যাকাশে। রাতের হিমে গাছের পাতায় জমে থাকা শিশিরকণায় ও আকাশে সবুজ নীলের ঝিলমিল খেলা। ভোরের আলোয় প্রকৃতিপুঞ্জের ওই শান্ত নিটোল সৌন্দর্যের মাঝে এক বাদামি রং-এর সুন্দর হরিণ বিনিদ্র নিশিযাপনের পরে বন থেকে নেমে এসেছে নদীর ধারে। নদীর স্রোতধারায় তার ঘুমহীন ক্লান্ত অবশ শরীরটা ডুবিয়ে দিয়ে স্রোতের গতিবেগে প্রাণচঞ্চল হতে সচেষ্ট সে। সে নতুন করে জেগে ওঠার উল্লাসে উজ্জীবিত হয়ে সাহসে সাথে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমকে দিতে চায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ভোরের অরণ্য প্রকৃতির অমন শাস্ত সুষমামণ্ডিত সৌন্দর্য ছিন্নভিন্ন করে দেয় হৃদয়হীন যান্ত্রিকতায় পুষ্ট তথাকথিত সভ্য ভদ্র মানবসন্তানেরা।]]

যথাযথ ও নামকরণ সার্থক : বন্দুকের গুলিতে হরিণ শিকার হলেও শুধু সেই অর্থেই কবিতার ‘শিকার’ নামকরণ নয়। কবিতার ভাববস্তুর অর্থের দিক থেকে ‘শিকার’-এর তাৎপর্য আরও গভীরে। ভোরের আলোয় অরণ্য প্রকৃতির শান্ত।সুষমামণ্ডিত সৌন্দর্য যখন একটি নিটোল পরিপূর্ণতায় বিরাজ করছে, তখন বন্দুকের গুলিতে হরিণ শিকার হল বটে, কিন্তু সৌন্দর্য যান্ত্রিক সভ্যতার হৃদয়হীন বর্বরতার শিকার হয়ে পড়ল, তাতে শুধু হরিণই শিকার হল না, অরণ্য প্রকৃতির শান্তি ও র মূলে আছে লালসা ও পৈশাচিক জিঘাংসা। এই কারণে কবিতার ‘শিকার’ নামকরণ একদিকে কবিতার ভাববস্তুর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, আর-একদিকে তেমনি যথাযথ ও সার্থক।

শিকার বড় প্রশ্ন উত্তর pdf,

প্রশ্ন.  ‘আগুন জ্বলল আবার’—‘আবার’ শব্দটি প্রয়োগের তাৎপর্য লেখো। এখানে এই ঘটনা কীসের ইঙ্গিত দেয়? *

উত্তর: ‘আবার’ শব্দ প্রয়োগের তাৎপর্য : কবি  জীবনানন্দ দাশ ‘শিকার’ কবিতায় দু-বার আগুন জ্বালার ঘটনা এনেছেন। 

আগুন জ্বালার প্রথম ঘটনা : শীতের রাতে শরীর গরম রাখার জন্য গরিবগুর্বো আদিবাসীরা আগুন জ্বেলেছিল শুকনো অশ্বত্থপাতা জড়ো করে। কারণ রাতের শীত ঠেকানোর প্রয়োজনীয় গরম পোশাক কেনার সামর্থ্য তাদের নেই। সেই আগুন জ্বলে সারারাত। রাতে আগুনের রং ছিল মোরগফুলের মতো লাল। ভোরের আলোয় তা হয়ে যায় ম্লান, বিবর্ণ, ফ্যাকাশে।

 দ্বিতীয় আগুন জ্বালানোর ঘটনা : সুন্দর বাদামি রঙের হরিণ স্রোতের গতিবেগের আবেশে উজ্জীবিত হওয়ার জন্য নদীর স্রোতে গা ডুবিয়ে দেয়। ভোরের অরণ্য প্রকৃতির শান্ত সুষমামণ্ডিত সৌন্দর্য তখন অপার। ঠিক তখনই বন্দুকের অদ্ভুত শব্দ হরিণের প্রাণ কেড়ে নেয়। একদল তথাকথিত সভ্য ভদ্র নাগরিক মানুষ লালসা চরিতার্থের জন্য বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটায়। হরিণের মাংস রান্নার জন্য ফের আগুন জ্বালা হয়। ‘আবার’ শব্দটি কবি এই অর্থে ব্যবহার করেছেন। প্রথম আগুন জ্বলেছিল জীবনরক্ষার প্রয়োজনে, দ্বিতীয় বার আগুন জ্বলল ঘৃণ্যতম অপরাধের মাধ্যমে লালসা চরিতার্থের জন্য। ‘আবার’ শব্দ প্রয়োগের তাৎপর্য এখানে।

কীসের ইঙ্গিত : দ্বিতীয় বার আগুন জ্বালার ঘটনা এই ইঙ্গিত দেয় যে, তথাকথিত সভ্য ভদ্র মানুষ আপাতদৃষ্টিতে সভ্য ভদ্র হলেও প্রকৃতপক্ষে শান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে মর্যাদা দেওয়ার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। তাদের বর্বরোচিত অমানবিক আচরণ অন্তরস্থ পাশবিক প্রবৃত্তির পরিচায়ক।

Class 12 bengali siksr kobita question answer.

প্রশ্ন.  ‘শিকার’ কবিতায় ভোরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখো। সেই পরিবেশ কোন্ ঘটনায় করুণ হয়ে উঠল? [দ্বাদশ, '১৮] [৩+২]

উত্তর: ভোৱেৱ পরিবেশের চিত্র : ভোরের আকাশেরয়েছে একটিমাত্র তারা। বাসরঘর জাগা কনেবউয়ের মতো একা। অথবা প্রাচীন মিশরের জনৈকা প্রণয়িনীর বক্ষঃস্থলের একটি মুক্তা। যা সূর্যের আলো এখন আদিবাসীদের জ্বালা আগুনের মতো ফ্যাকাশে। রাতের হিমে গাছের পাতায় জমে থাকা শিশিরকণায় ও আকাশে সবুজ নীলের ঝিলমিল খেলা চলছে তখনও। ঘটনার করুণ পরিবেশের চিত্র : ভোরের আলোয় প্রকৃতিপুঞ্জের ওই শান্ত নিটোল সৌন্দর্যের মাঝে এক বাদামি রং-এর সুন্দর হরিণ বিনিদ্র নিশিযাপনের পরে বন থেকে নেমে এসেছে নদীর ধারে। নদীর স্রোতধারায় তার ঘুমহীন ক্লান্ত অবশ শরীরটা ডুবিয়ে দিয়ে স্রোতের গতিবেগে প্রাণচঞ্চল হতে সচেষ্ট সে। সে নতুন করে জেগে ওঠার উল্লাসে উজ্জীবিত হয়ে সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমকে দিতে চায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ভোরের অরণ্য প্রকৃতির অমন শান্ত সুষমামণ্ডিত সৌন্দর্য ছিন্নভিন্ন করে দেয় হৃদয়হীন যান্ত্রিকতায় পুষ্ট তথাকথিত সভ্য ভদ্র মানবসন্তানেরা।


প্রশ্ন.  ‘এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে'—সেই ভোরের বর্ণনা দাও। ‘সে’ ভোরের আলোয় নেমে আসার পৱ কী কী ঘটল, লেখো। [দ্বাদশ, '২০] [৩+২]

উত্তর : রাতের অন্ধকার সরে গিয়ে ভোরের আলো চোখ মেলতেই হরিণটা বন থেকে নেমে এল নদীর ধারে । সেখানে সে ঘাস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খেতে লাগল । ঘাসগুলি কচি বাতাবি লেবুর মতো সবুজ ও সুগন্ধি। তারপর সে নদীর তীক্ষ্ণ শীতল স্রোতের ঢেউয়ে নামল। রাতজাগা ঘুম আর ঘুরে বেড়ানোর শ্রমে সে ক্লান্ত, তার শরীর অবশ। সে শরীরটাকে স্রোতের মধ্যে ডুবিয়ে দিয়ে ক্লান্তি ও অবশতা শরীর থেকে মুছে ফেলার উদ্দেশ্যে স্রোতের গতিবেগের আবেশে শরীরকে উজ্জীবিত করতে চাইল। চাইল সূর্যের আলোর বর্শাফলার মতো তেজোদ্দীপ্ত হতে। সে এভাবে চাইল ‘সাহসে সাধে সৌন্দর্যে হরিণীর পর হরিণীকে চমক লাগিয়ে দিতে। কবির বর্ণনায় ভোরের আলোয় হরিণটির ফুটে ওঠা ছবি এক অসাধারণ ও অনবদ্য সৃষ্টি।

HS bengali sikar kobita question answer pdf download.

প্রশ্ন.  ' 'শিকার' কবিতায় 'ভোর' শব্দটি কীভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে আলোচনা করো।

অথবা, ‘শিকার’ কবিতায় যে দুটি ভোরের চিত্র আছে তার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো। 

অথবা, “ডোর-এই শব্দটিই যেন 'শিকার' কবিতার দুটি অংশে প্রবেশের দুটি চাবি, যা এই কবিতার শুরুতে এবং মাঝে উচ্চারিত হয়েছে।”—'শিকার' কবিতার বিষয়বস্তু আলোচনা করে উদ্ধৃত বক্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। [হিন্দু স্কুল]

উত্তর জীবনানন্দ দাশ তাঁর মহাপৃথিবী কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া ‘শিকার’ কবিতায়n রাত্রিশেষে ‘ভোর' হওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যবহার করেছেন। কবিতার প্রথম অংশে ‘ভোর' যেন নির্মল প্রকৃতির আত্মপ্রকাশের উপযুক্ত পটভূমি | তখন আকাশের রং “ঘাসফড়িঙের দেহের মতো কোমল নীল”, চারদিকের পেয়ারা ও নোনার গাছের রং “টিয়ার পালকের মতো সবুজ”। সেই ভোরেই আকাশে জেগে থাকা একমাত্র তারাটি কবির মনে বিপরীত অনুভবের ভালো লাগা তৈরি করে। এই ভোরেই অল্পপ্রাণ শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো ম্লান হয়ে যায় হিমের রাতে দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের শিখা। সকালের আলোয় টলমল শিশিরে ঝিলমিল করে ওঠে চারপাশের বন ও আকাশ। এই ভোরের পটভূমিতেই আগমন ঘটে একটি ‘সুন্দর বাদামি’ হরিণের। তার কচি বাতাবিলেবুর মতো সবুজ, সুগন্ধি ঘাস ছিঁড়ে খাওয়া বা নদীর জলে ঘুমহীন, ক্লান্ত শরীর ভেজানোর মধ্য দিয়ে জীবনের স্বচ্ছন্দ বিচরণকেই প্রত্যক্ষ করা যায়। কিন্তু সুন্দরের এই সহজ প্রকাশকে ছিন্নভিন্ন করে দেয় ‘একটা অদ্ভুত শব্দ’। নদীর জল এরপর মচকাফুলের মতো লাল হয়ে ওঠে হরিণের রক্তে | শিকারি মানুষের লোভের শিকার হয়ে হরিণটিকে চলে যেতে হয় ‘নিস্পন্দ নিরপরাধ ঘুম’-এর দেশে। তৈরি হয় ‘ভোর’-এর আর এক ছবি। এই ভোরকে প্রকৃতি লালন করেনি; কিংবা সারারাত চিতাবাঘিনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে হরিণও এই ভোরের জন্য অপেক্ষা করেনি। মানুষের ক্ষুধার ও হিংস্রতার সাক্ষী হয়ে থাকে এই ভোর।


[TAG]:   দ্বাদশ শ্রেণি শিকার, শিকার mcq,উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বড় প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা শিকার প্রশ্ন ,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা শিকার ৫ নং প্রশ্ন উত্তর,বাংলা শিকার বড় প্রশ্ন উত্তর|

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url