অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf|তাপ অষ্টম শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf।অষ্টম শ্রেণি তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf।অষ্টম শ্রেণি তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf
অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান তাপ প্রশ্ন উত্তর

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf। ভৌত পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf । তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf | class 8 poribesh o bigyan heat chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান ও পরিবেশের দ্বিতীয় অধ্যায় তাপ প্রশ্ন উত্তর গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর তাপ pdf download, Class 8 Science heat chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE 

.

      আরও পোস্ট দেখো     B  

A

B

C

অষ্টম শ্রেণীর ভৌত পরিবেশ তাপ SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান pdf

অতি-সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :

1. CGS পদ্ধতিতে তাপের একক কী ?

উত্তর :  ক্যালোরি।

2. SI পদ্ধতিতে তাপের একক কী?

উত্তর :  জুল।

3. জুল ও ক্যালোরির সম্পর্ক কী?

উত্তর :  1 ক্যালোরি = 4.2 জুল।

5. কোন্ পদার্থের আপেক্ষিক তাপ সবচেয়ে বেশি? 

উত্তর : জলের আপেক্ষিক তাপ সবচেয়ে বেশি।

6. জলের আপেক্ষিক তাপ কত?

উত্তর :  জলের আপেক্ষিক তাপ 1 ক্যালোরি/গ্রাম °C।

7. এমন একটি পদার্থের নাম লেখো যার তিনটি অবস্থা নেই।

উত্তর : আয়োডিন।  Youtube channel : OUR ONLINE SCHOOL

৪. কঠিন থেকে তরলে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর :  গলন।

9. তরল থেকে কঠিনে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর :  কঠিনীভবন।

10. তরল থেকে বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর :  বাষ্পীভবন।

11. বাষ্প থেকে তরলে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর :  ঘনীভবন।

12. প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উন্নতায় কঠিন পদার্থের গলন হয় তাকে কী বলে?

উত্তর :  গলনাঙ্ক।

13. প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উন্নতায় তরল পদার্থ কঠিনে পরিণত হয় তাকে কী বলে?

উত্তর :হিমাঙ্ক।DownloadFrom: www.skguidebangla.in               

14. বরফের গলনাঙ্ক কত?

উত্তর :  0°C।

15. জলের হিমাঙ্ক কত?

উত্তর :  0°C।

16. জল বরফে পরিণত হলে তার আয়তনের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর :  আয়তন বাড়ে।

17. জল অপেক্ষা বরফের ঘনত্ব কম না বেশি?

উত্তর :  কম।

18. পিতলকে গলিয়ে তরলে পরিণত করলে তার আয়তনের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর :  আয়তন কমে।

19. চাপ বাড়ালে বরফের গলনাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর :  গলনাঙ্ক কমে।

20. ধাতু সংকরের গলনাঙ্ক সেটির উপাদানগুলির গলনাঙ্ক অপেক্ষা কম না বেশি?

উত্তর :  কম।

21. নির্দিষ্ট অনুপাতের বরফ ও লবণের মিশ্রণকে কী বলে?

উত্তর :  হিমমিশ্রণ।

22. হিমমিশ্রণের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।

উত্তর :  মাছ, মাংস সংরক্ষণের জন্য হিমমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।

23. অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে তাপ গৃহীত বা বর্জিত হয় তাকে কী বলে?

উত্তর :  লীন তাপ।

24. বরফ গলনের লীন তাপ কত?

উত্তর :  ৪০ ক্যালোরি/গ্রাম ৷

25. 0°C উয়তার 1 গ্রাম বরফকে 0°C উন্নতার 1 গ্রাম জলে পরিণত করতে কত তাপ লাগে?

উত্তর :  ৪০ ক্যালোরি।

26. ধীরে ধীরে তরলের উপরিতল থেকে বাষ্পীভূত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর :  বাষ্পায়ন।

27. একটি নির্দিষ্ট চাপে ও একটি নির্দিষ্ট উন্নতায় তরলের সমগ্র অংশ থেকে দ্রুত বাষ্পীভূত হওয়ার ঘটনাকে কী বলে?

উত্তর :  স্ফুটন।

28. প্রমাণ বায়ুমণ্ডলীয় চাপে বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?

উত্তর :  100°C।

29. তরলের ওপর চাপ বাড়ালে তরলের স্ফুটনাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর :  স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়।

30. বাষ্পায়ন ও স্ফুটনের একটি পার্থক্য লেখো।

উত্তর :  বাষ্পায়ন যে-কোনো উন্নতায় ঘটে, কিন্তু স্ফুটন একটি নির্দিষ্ট উন্নতায় ঘটে।

31. সাধারণ জল ও লবণ জলের মধ্যে কার স্ফুটনাঙ্ক বেশি?

উত্তর :  লবণ জলের স্ফুটনাঙ্ক বেশি।

32. কোনো পদার্থের সঙ্গে কোনো অশুদ্ধি মেশানো থাকলে পদার্থটির গলনাঙ্ক বাড়ে না কমে?

উত্তর :  কমে।

33. নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক নেই এমন দুটি পদার্থের নাম লেখো।

উত্তর :  মাখন ও চর্বি।

36. দার্জিলিং-এ জলের স্ফুটনাঙ্ক কম কেন?

উত্তর :  দার্জিলিং-এ বায়ুর চাপ কম, সেইজন্য দার্জিলিং-এ জলের স্ফুটনাঙ্ক কম।

37. জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ কত?

উত্তর :  জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 537 ক্যালোরি/গ্রাম।

38. শহরে বেশি কুয়াশা দেখা যায় কেন?

উত্তর :  শহরের বায়ুমণ্ডলে বেশি ধুলো থাকায় শহরে বেশি কুয়াশা দেখা যায়।

39. কঠিন মাধ্যমে কোন্ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়?

উত্তর :  পরিবহণ পদ্ধতিতে।

40. তরল ও গ্যাসীয় মাধ্যমে তাপ কোন্ পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হয় ?

উত্তর :  পরিচলন পদ্ধতিতে।

41. তাপ পরিবহণে সক্ষম এমন একটি অধাতুর নাম লেখো।

উত্তর :  গ্রাফাইট তাপের সুপরিবাহী।

42. দুটি তাপের কুপরিবাহী পদার্থের নাম লেখো।

উত্তর :  কাঠ ও কাচ তাপের কুপরিবাহী।

43. পরিচলন স্রোতের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর :  ভূপৃষ্ঠে যে বায়ুপ্রবাহ হয় তা একটি পরিচলন স্রোত।

44. মাধ্যম ছাড়া তাপ সঞ্চালিত হয় কোন্ পদ্ধতিতে?

উত্তর :  বিকিরণ পদ্ধতিতে।

45. সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ কোন্ পদ্ধতিতে আসে?

উত্তর :  বিকিরণ পদ্ধতিতে।

46. গরম পানীয় অনেকক্ষণ গরম রাখতে কী ব্যবহার করা হয়?

উত্তর :  থার্মোফ্লাস্ক।

47. হিমমিশ্রণ কোন্ নীতিতে কাজ করে?(নমুনা প্রশ্ন)

উত্তর :  কোনো বিশুদ্ধ পদার্থে অপদ্রব্য মিশ্রিত করলে পদার্থটির গলনাঙ্ক হ্রাস পায়।

48. কোনো তরলের স্ফুটনাঙ্ক উল্লেখ করার সময় চাপ উল্লেখ করা উচিত কেন?

উত্তর :  চাপ বাড়ালে তরলের স্ফুটন প্রক্রিয়া বাধা পেয়ে স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়। আবার চাপ কমালে তরলের বাষ্পে পরিণত হতে সুবিধা হয়। অর্থাৎ স্ফুটনাঙ্ক কমে যায়। তাই তরলের স্ফুটনাঙ্ক উল্লেখ করার সময় চাপ উল্লেখ করা উচিত।

49. গলনের ফলে আয়তন কমে এরূপ দুটি পদার্থের নাম লেখো।

উত্তর :  বরফ এবং ঢালাই লোহা।

50. গলনের ফলে আয়তনে বাড়ে এমন দুটি পদার্থের নাম লেখো।

উত্তর :  মোম, লোহা।

51. হিমমিশ্রণ তৈরি করতে বরফের সঙ্গে কী মেশাতে হয়?

উত্তর :  লবণ।

52. একটি তাপের সুপরিবাহী পদার্থের নাম লেখো।

উত্তর :  রুপো।

53. চাপ বাড়ালে বরফের গলনাঙ্কের কীরূপ পরিবর্তন হয়?

উত্তর :  গলনাঙ্ক কমে যায়।

54. হিমমিশ্রণে বরফ ও লবণের অনুপাত কত?

উত্তর :  3:1

55. কোন্ পদ্ধতিতে তাপ দ্রুত সঞ্চালিত হয়?

উত্তর :  বিকিরণ পদ্ধতিতে।

56. শহরাঞ্চলে বেশি কুয়াশা দেখা যায় কেন?

উত্তর :  শহরাঞ্চলের বায়ুমণ্ডলে বেশি পরিমাণ ধূলিকণা থাকায় শহরাঞ্চলে বেশি কুয়াশা সৃষ্টি হয়।

57. বায়ুপ্রবাহ হয় কোন্ স্রোতের জন্য?

উত্তর :  পরিচলন স্রোতের জন্য।

59. তাপ পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম কী ?

উত্তর :  ক্যালোরিমিটার।

60. বাষ্পায়ন ও স্ফুটনের মধ্যে কোন্‌টি সশব্দে হয়?

উত্তর :  স্ফুটন।

61. জলে লবণ দ্রবীভূত করলে স্ফুটনাঙ্কের কী পরিবর্তন হবে?

উত্তর :  দ্রবণের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যাবে।


তাপ অষ্টম শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর ,অষ্টম শ্রেণি তাপ প্রশ্ন উত্তর pdf,

File Details:-

File Name:- Class 8 Science second chapter questions answers pdf 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 



পরিবেশ ও বিজ্ঞান দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf,অষ্টম শ্রেণীর তাপ ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :

1. CGS পদ্ধতিতে তাপের এককের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর :  CGS পদ্ধতিতে তাপের একক ক্যালোরি।

ক্যালোরি ঃ 1 গ্রাম বিশুদ্ধ জলের উন্নতা 1°C বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ

তাপ লাগে, সেই পরিমাণ তাপকে 1 ক্যালোরি বলে।

2. কোনো বস্তু কর্তৃক গৃহীত বা বর্জিত তাপ কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?

উত্তর : উত্তর :  কোনো বস্তু কর্তৃক গৃহীত বা বর্জিত তাপ তিনটি বিষয়ের ওপর নির্ভর

করে। যেমন— (i) বস্তুর ভর, (ii) বস্তুর আপেক্ষিক তাপ এবং (iii) বস্তুর উন্নতা বৃদ্ধি বা হ্রাস।

4. বস্তুর আপেক্ষিক তাপের সংজ্ঞা দাও।

একক ভরের কোনো পদার্থের উন্নতা এক ডিগ্রি বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।

5. CGS পদ্ধতিতে আপেক্ষিক তাপের সংজ্ঞা ও একক লেখো।

উত্তর :  এক গ্রাম ভরের কোনো পদার্থের উন্নতা 1°C বৃদ্ধি করতে যে পরিমাণ তাপের প্রয়োজন হয়, তাকে ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে। 

CGS পদ্ধতিতে আপেক্ষিক তাপের একক ক্যালোরি/গ্রাম °C।

6. জল অপেক্ষা দুধ তাড়াতাড়ি গরম হয় কেন?

উত্তর :  জল অপেক্ষা দুধের আপেক্ষিক তাপ কম। একই ভরের দুধ ও জলে একই পরিমাণ তাপ দিলে দুধের উয়তা বেশি বৃদ্ধি পায়।

8. পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন বলতে কী বোঝায়?

উত্তর :  পদার্থের অবস্থান্তর : কোনো পদার্থের কোনো এক ভৌত অবস্থা থেকে অন্য এক ভৌত অবস্থায় পরিবর্তিত হওয়ার ঘটনাকে অবস্থার পরিবর্তন বা অবস্থান্তর বলে।

9. পদার্থের উচ্চ এবং নিম্ন অবস্থান্তর কাকে বলে?

উত্তর :  উচ্চ অবস্থান্তর ঃ তাপ প্রয়োগে যে অবস্থান্তর ঘটে, সেই প্রকার অবস্থান্তরকে উচ্চ অবস্থান্তর বলে। যেমন—জল থেকে বাষ্প হওয়া। 

নিম্ন অবস্থান্তর : তাপ নিষ্কাশন করে যে অবস্থান্তর ঘটে, সেই অবস্থান্তরকে নিম্ন অবস্থান্তর বলে। যেমন—বাষ্প থেকে জল কণা তৈরি হওয়া।

10. গলন ও গলনাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর :  গলন ঃ কঠিন পদার্থের তরলে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে গলন বলে।

গলনাঙ্ক ঃ প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উন্নতায় কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয়, সেই উন্নতাকে ওই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।

11. কঠিনীভবন বা হিমায়ন কাকে বলে? হিমাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর :  কঠিনীভবন বা হিমায়ন : তরল পদার্থের কঠিনে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে কঠিনীভবন বা হিমায়ন বলে।

হিমাঙ্ক ঃ প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উন্নতায় তরল পদার্থ জমে কঠিনে পরিণত হয়, সেই উয়তাকে ওই পদার্থের হিমাঙ্ক বলে।

13. পুনঃশিলীভবন বলতে কী বোঝো?

উত্তর :  পুনঃশিলীভবন ঃ চাপ প্রয়োগ করে বরফকে গলিয়ে জলে পরিণত করা এবং চাপ উঠিয়ে ওই জলকে পুনরায় বরফে পরিণত করার ঘটনাকে পুনঃশিলীভবন বলে।

14. তরলের হিমাঙ্কের ওপর অপদ্রব্যের প্রভাব কী? দুটি উদাহরণ দাও।

উত্তর :  কোনো তরল পদার্থে অন্য কোনো পদার্থ দ্রবীভূত থাকলে ওই মিশ্রণের হিমাঙ্ক বিশুদ্ধ তরলের হিমাঙ্ক অপেক্ষা কম হয়। উদাহরণ—(i) বিশুদ্ধ জলের হিমাঙ্ক 0°C। কিন্তু সমুদ্রের জলের হিমাঙ্ক 0°C-এর কম হয়। কারণ সমুদ্রজলে লবণ দ্রবীভূত থাকে। (ii) শীতপ্রধান দেশে গাড়ির রেডিয়েটারে জলের সঙ্গে গ্লিসারিন মিশিয়ে দেওয়া হয়। এতে মিশ্রণের হিমাঙ্ক জলের হিমাঙ্কের (0°C) চেয়ে কম হয়। ফলে রেডিয়েটারের জল বরফে পরিণত হতে পারে না।

15. বাষ্পীভবন কাকে বলে? বাষ্পীভবন কী কী পদ্ধতিতে হয়?

উত্তর :  বাষ্পীভবন ঃ তরল পদার্থের বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে বাষ্পীভবন বলে।

বাষ্পীভবনের পদ্ধতি : তরলের বাষ্পীভবন দুটি পদ্ধতিতে হয়—

(i) বাষ্পায়ন এবং (ii) স্ফুটন।

16. বাষ্পায়ন কাকে বলে?

উত্তর :  বাষ্পায়ন ঃ যে-কোনো উয়তায় তরল পদার্থের উপরিতল থেকে ধীরে           ধীরে তরলের বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে বাষ্পায়ন বলে।

17. স্ফুটন কাকে বলে?

উত্তর :  স্ফুটন ঃ নির্দিষ্ট চাপে ও নির্দিষ্ট উয়তায় তরল পদার্থের সমগ্র অংশ থেকে দ্রুত তরলের বাষ্পে পরিণত হওয়ার ঘটনাকে স্ফুটন বলে।

18. তরলের স্ফুটনাঙ্কের সংজ্ঞা দাও।

উত্তর :  স্ফুটনাঙ্ক ঃ প্রমাণ চাপে যে নির্দিষ্ট উন্নতায় তরল তার সমগ্র অংশ থেকে দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়, সেই উয়তাকে ওই তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলে।

19. কলকাতা এবং দার্জিলিং-এ বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক কি সমান হবে? যুক্তি দাও।

উত্তর :  কলকাতা ও দার্জিলিং-এ বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক সমান হবে না তরলের স্ফুটনাঙ্ক তরলের উপরিতলে বায়ুচাপের ওপর নির্ভর করে। দার্জিলিং কলকাতা থেকে প্রায় 2 কিলোমিটার উঁচুতে পাহাড়ের উপর অবস্থিত। পাহাড়ের উচ্চতার জন্য বায়ুর চাপ কমে যায়। বায়ুর চাপ কমলে তরলের স্ফুটনাঙ্কও কমে। কলকাতায় জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C হলে, দার্জিলিং-এ জলের স্ফুটনাঙ্ক 93.6°C।

20. প্রেশার কুকারের মূলনীতিটি লেখো।

উত্তর :  প্রেশার কুকারের মূলনীতি ঃ চাপ বাড়ালে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বাড়ে। এই নীতিকে কাজে লাগিয়ে প্রেশার কুকার যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। প্রেশার কুকার যন্ত্রে আবদ্ধ পাত্রে জলীয় বাষ্পের চাপ বাড়িয়ে 100°C-এর বেশি উয়তায় জল ফোটানো হয়। ফলে বেশি উন্নতায় খাদ্যদ্রব্য অল্প সময়ে সুসিদ্ধ হয়।

21. সম্পৃক্ত বাষ্প কাকে বলে?

১º সম্পৃক্ত বাষ্প : কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে সর্বাধিক পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকলে সেই বাষ্পকে সম্পৃক্ত বাষ্প বলে।

22. অসম্পৃক্ত বাষ্প কাকে বলে?

অসম্পৃক্ত বাষ্প ঃ কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট আয়তনের বায়ুতে সর্বাধিক যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকতে পারে, যদি বায়ুতে তা অপেক্ষা কম পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকে তাহলে ওই বাষ্পকে অসম্পৃক্ত বাষ্প বলে।

23. শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর :  শিশিরাঙ্কঃ যে উন্নতায় কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু তার মধ্যস্থ জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়, সেই উয়তাকে ওই বায়ুর শিশিরাঙ্ক বলে।

24. শিশির উৎপত্তি হয় কীভাবে?

উত্তর :  শিশির উৎপত্তি ঃ শরৎকালে এবং শীতকালে সন্ধ্যার পর ভূপৃষ্ঠ শীতল হতে থাকে। ফলে ভূপৃষ্ঠসংলগ্ন বায়ুও শীতল হতে থাকে। একসময় বায়ু তার মধ্যস্থ জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়। বায়ুর উন্নতা শিশিরাঙ্কের নীচে নামলে বায়ুমধ্যস্থ কিছু জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হয় এবং ঘাসের আগায় ও গাছের পাতায় জমা হয়। এই জলকণাগুলিই হল শিশির।

25. মেঘ কীভাবে সৃষ্টি হয়?

উত্তর :  বায়ুতে যে জলীয় বাষ্প থাকে তা ওপরে উঠে গিয়ে শীতল বায়ুস্তরের সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত হয় এবং ছোটো ছোটো জলকণায় পরিণত হয়ে . বায়ুতে ভাসমান ধুলিকণাকে আশ্রয় করে বায়ুতে ভেসে বেড়ায়। একেই আমরা মেঘ বলি।

26, লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর :  লীন তাপ : উয়তা স্থির রেখে একক ভরের কোনো পদার্থের শুধু অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে পরিমাণ তাপ প্রয়োগ বা নিষ্কাশন করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই পদার্থের ওই অবস্থার পরিবর্তনের লীন তাপ বলে।

27. বাষ্পীভবনের লীন তাপ বা স্ফুটনের লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর :  বাষ্পীভবনের লীন তাপ বা স্ফুটনের লীন তাপ : প্রমাণ চাপে একক ভরের কোনো তরল পদার্থকে তার স্ফুটনাঙ্কের উন্নতায় স্থির রেখে সম্পূর্ণ বাষ্পে পরিণত করতে যে তাপ প্রয়োগ করতে হয় সেই পরিমাণ তাপকে ওই তরলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ বলে ।

28. জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 537 ক্যালোরি/গ্রাম বলতে কী বোঝো?

উত্তর :  জলের বাষ্পীভবনের লীন তাপ 537 ক্যালোরি/গ্রাম বলতে বুঝি, প্রমাণ চাপে 100°C উন্নতায় 1 গ্রাম জলকে 100°C উন্নতায় 1 গ্রাম বাষ্পে পরিণত করতে 537 ক্যালোরি তাপ প্রয়োজন।

29. গলনের লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর :  গলনের লীন তাপ ঃ প্রমাণ চাপে একক ভরের কোনো কঠিন পদার্থকে তার গলনাঙ্কের উন্নতায় স্থির রেখে সম্পূর্ণ তরলে পরিণত করতে যে তাপ প্রয়োগ করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই কঠিন পদার্থের গলনের লীন তাপ বলে।

30. কঠিনীভবনের লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর :  কঠিনীভবনের লীন তাপ ঃ প্রমাণ চাপে একক ভরের কোনো তরল পদার্থকে তার হিমাঙ্কের উন্নতায় স্থির রেখে সম্পূর্ণ কঠিনে পরিণত করতে যে তাপ নিষ্কাশন করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই তরলের কঠিনীভবনের লীন তাপ বলে।

31. ঘনীভবনের লীন তাপ কাকে বলে?

উত্তর :  ঘনীভবনের লীন তাপ ঃ প্রমাণ চাপে একক ভরের কোনো বাষ্পকে, উয়তার পরিবর্তন না করে, বাষ্পীয় অবস্থা থেকে সম্পূর্ণরূপে তরল

অবস্থায় আনতে যে পরিমাণ তাপ নিষ্কাশন করতে হয়, সেই পরিমাণ তাপকে ওই বাষ্পের ঘনীভবনের লীন তাপ বলে।

32. বরফ গলনের লীন তাপ ৪০ ক্যালোরি/গ্রাম বলতে কী বোঝো?

>উত্তর :  বরফ গলনের লীন তাপ ৪০ ক্যালোরি/গ্রাম বলতে বোঝায় যে,

0°C উয়তার 1 গ্রাম বরফকে 0°C উয়তার 1 গ্রাম জলে পরিণত করতে ৪০ ক্যালোরি তাপ লাগে।

33. মাটির কলশির জল শীতল হয় কেন?

উত্তর :  মাটির কলশিতে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকে। মাটির কলশির জল এই ছিদ্র দিয়ে বাইরে আসে এবং বাষ্পীভূত হয়। বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ মাটির কলশি এবং তার মধ্যস্থ জল সরবরাহ করে। ফলে মাটির কলশি এবং কলশির জল ঠান্ডা হয়ে যায়।


ক্লাস 8 পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর তাপ pdf,class 8 poribesh o bigyan heat question answer pdf 


34. হাতে স্পিরিট ঢাললে ঠান্ডা বোধ হয় কেন?

>উত্তর :  স্পিরিট উদ্বায়ী তরল। স্পিরিট হাতে ঢাললে তা দ্রুত বাষ্পীভূত হয় এবং বাষ্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ হাত থেকে গ্রহণ করে। ফলে হাতের যেখানে স্পিরিট ঢালা হয় সেখানে ঠান্ডা লাগে।

38. স্টিলের গ্লাসে ঠান্ডা জল ঢাললে গ্লাসের গায়ে জলবিন্দু দেখা যায় কেন?

উত্তর :  স্টিলের গ্লাসে ঠান্ডা জল ঢাললে স্টিলের গ্লাস দ্রুত তাপ বর্জন করে ঠান্ডা হয়ে যায়। বায়ু মধ্যস্থ জলীয় বাষ্প ঠান্ডা গ্লাসের সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলবিন্দুতে পরিণত হয় এবং গ্লাসের গায়ে জমা হয়। 

40. দুই খণ্ড বরফ জোরে চেপে ধরে ছেড়ে দিলে তারা জোড়া লেগে যায় কেন?

উত্তর :  দুই খণ্ড বরফ জোরে চেপে ধরে ছেড়ে দিলে তারা জোড়া লেগে যায়। চাপের ফলে বরফ টুকরো দুটির সংযোগস্থলের গলনাঙ্ক 0°C-এর নীচে নেমে যায়। কিন্তু বরফের উষ্ণতা 0°C থাকায় ওই স্থানের বরফ, বরফ টুকরো দুটি থেকে লীন তাপ নিয়ে জলে পরিণত হয়। চাপ উঠিয়ে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বরফ টুকরো দুটির পৃষ্ঠতলের গলনাঙ্ক আবার বেড়ে 0°C হয়। ফলে ওই জায়গার গলিত জল আবার জমে বরফে পরিণত হয়ে বরফের টুকরো দুটিকে জোড়া লাগিয়ে দেয়।

41. প্রেশার কুকারে রান্না দ্রুত হয় কেন?

উত্তর :  প্রেশার কুকারের মধ্যে খাদ্যবস্তু এবং জল নিয়ে তার মুখ ঢাকনা দিয়ে বায়ুনিরুদ্ধভাবে আটকে দেওয়া হয়। এরপর কুকারটি জ্বলন্ত উনুনের উপর বসিয়ে উত্তপ্ত করা হয়। তাপে কুকারের জল বাষ্পীভূত হয়ে কুকারের ভিতর জমা হতে থাকে। এতে কুকারের ভিতরে জলের ওপর চাপ বায়ুমণ্ডলের চাপের থেকে বেশি হয়। ফলে কুকারের জলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায় এবং প্রায় 120°C উয়তায় জল ফুটতে শুরু করে। ওই উয়তায়কুকারের ভিতরের খাদ্যবস্তু খুব সহজেই দ্রুত সেদ্ধ হয়ে যায়।

42. রান্নার সময় পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে চেপে রান্না করলে খাদ্যবস্তু তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হয়ে যায় কেন?

উত্তর : 

রান্নার সময় পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে চেপে দিলে পাত্রের মধ্যেকার উৎপন্ন বাষ্প বের হতে পারবে না। পাত্রের মধ্যে যত বাষ্প জমা হতে থাকবে জলীয় বাষ্পচাপ তত বাড়তে থাকবে। এতে জলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যাবে। ফলে খাদ্যবস্তু তাড়াতাড়ি সেদ্ধ হবে।

43. জলের স্ফুটনাঙ্ক কি 100°C-এর কম হওয়া সম্ভব? যুক্তিসহ উত্তর দাও।

উত্তর :  জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C-এর কম হওয়া সম্ভব। চাপ বৃদ্ধিতে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায় এবং চাপ হ্রাসে তরলের স্ফুটনাঙ্ক হ্রাস পায়। সুতরাং, জলের উপরিতলের চাপ কমিয়ে দিলে স্ফুটনাঙ্ক 100°C-এর কম হবে।

44. 0°C উন্নতার জলের চেয়ে 0°C উন্নতার বরফ বেশি ঠান্ডা বোধ হয় কেন?

উত্তর :  0°C উম্নতার 1 গ্রাম জলকে 0°C উয়তায় 1 গ্রাম বরফে পরিণত করতে ৪০ ক্যালোরি তাপ নিষ্কাশন করতে হয়। ফলে 0°C উন্নতার 1 গ্রাম জল অপেক্ষা 0°C উম্নতার 1 গ্রাম বরফে ৪০ ক্যালোরি তাপ কম থাকে। তাই 0°C উয়তার বরফকে 0°C উয়তার জল অপেক্ষা ঠান্ডা বোধ হয়।

46. আগুনে জল দিলে আগুন নিভে যায় কেন?

উত্তর :  আগুনে জল দিলে সেই জল জ্বলন্ত বস্তু থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত হয়। ফলে জ্বলন্ত বস্তুর উয়তা কমে যায়। আবার উৎপন্ন স্টিম জ্বলন্ত বস্তুর চারপাশ ঘিরে একটি আবরণ তৈরি করে। ফলে জ্বলন্ত বস্তু বায়ুর সংস্পর্শে আসতে পারে না এবং আগুন নিভে যায়।

48. শীতকালে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগানো হয় কেন?

উত্তর :  শীতকালে বায়ুতে জলীয় বাষ্প কম থাকায় শীতকালে বাষ্পায়নের হার বেশি হয়। আমাদের ঠোঁট খুব নরম। শীতকালে ঠোঁট থেকে জল দ্রুত বাষ্পীভূত হয়ে যায়, ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। গ্লিসারিন অনুবায়ী

তরল। ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগালে গ্লিসারিন সহজে বাষ্পীভূত হয় না, ফলে আমাদের ঠোঁট শুষ্ক বায়ুর সংস্পর্শে আসতে পারে না। তাই ঠোঁটের জল বাষ্পীভূত হতে পারে না এবং আমাদের ঠোঁট ফাটে না।

File Details:-

File Name:- Class 8 Science 2nd chapter pdf

File Format:- PDF

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

50. পিতলের কোন বৈশিষ্ট্যের জন্য মূর্তি তৈরি করতে এটি ব্যবহার করা হয়?

উত্তর :  পিতল তরল থেকে কঠিনে পরিণত হলে আয়তনে বাড়ে। গলিত পিতল ছাঁচে ঢেলে দিলে যখন জমে কঠিন হয় তখন আয়তনে বেড়ে ছাঁচটিকে সম্পূর্ণভাবে ভরাট করে ফেলে এবং অবিকল ছাঁচের আকার পায়।

51. পাহাড়ের পাথরে ফাটল সৃষ্টি হয় কেন?

উত্তর :  পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বৃষ্টির জল আটকে থাকে। শীতকালে ওই জল জমে বরফে পরিণত হয়। জল বরফে পরিণত হলে তার আয়তন বেড়ে যায় এবং পাহাড়ের খাঁজে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করে। এই চাপের ফলে পাহাড়ের পাথর ফেটে যায়।

53. শীতকালে ভিজে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয় কেন?

>উত্তর :  শীতকালে বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুব কম হয়, ফলে শীতকালে বাষ্পায়নের হার খুব বেশি। তাই শীতকালে ভিজে জামাকাপড় তাড়াতাড়ি শুকোয়।

54. ভিজে জামাকাপড় গায়ে শুকোলে সর্দি হবার সম্ভাবনা থাকে কেন?

উত্তর :  ভিজে জামাকাপড় গায়ে শুকোলে সর্দি হবার সম্ভাবনা থাকে, কারণ ভিজে জামাকাপড়ের জল শরীর থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত হয়। ফলে শরীরের উষ্ণতা কমে যায় এবং সর্দি হবার সম্ভাবনা থাকে।

57. গরম চা তাড়াতাড়ি খাওয়ার সময় কাপ থেকে ডিশে ঢাললে কী সুবিধা  হয় ও কেন?

উত্তর :  গরম চা ডিশে ঢাললে চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যায়। ফলে চা পান করতে সুবিধা হয়। কারণ গরম চা ডিশে ঢাললে তার উপরিতলের ক্ষেত্রফল বেড়ে যায়, তার ফলে বাষ্পায়নের হার বেড়ে যায়। বাষ্পায়নের জন্ প্রয়োজনীয় লীন তাপ চা থেকে গ্রহণ করে এবং চা দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যায়।

58. সন্ধ্যাবেলা শিশির পড়ে না কেন?

উত্তর :  দিনেরবেলায় সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয় এবং সন্ধ্যার পর তাপ বিকিরণ করে ভূপৃষ্ঠ ক্রমশ শীতল হতে থাকে। সন্ধ্যার সময় ভূপৃষ্ঠ যথেষ্ট পরিমাণ তাপ বিকিরণ না করায় ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ু শিশিরাঙ্কের নীচে নামতে পারে না। তাই সন্ধ্যাবেলা শিশির পড়ে না।

59. গ্রীষ্মকালে কুকুর জিভ বের করে হাঁফায় কেন?

উত্তর :  গরমকালে কুকুর জিভ বের করে হাঁফায়। এই সময় জিভের জল বাষ্পীভূত হয় এবং জলের বাষ্পীভবনের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ জিভ থেকে সরবরাহ হওয়ায় জিভ ঠান্ডা হয় এবং কুকুর আরাম বোধ করে।

60. গ্রীষ্মকালে তপ্ত রাস্তা জল দিয়ে ধোয়া হয় কেন?

>উত্তর :  গ্রীষ্মে তপ্ত রাস্তা জল দিয়ে ধুলে, জল তপ্ত রাস্তা থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে বাষ্পীভূত হয়। ফলে রাস্তার উয়তা কমে যায় ও তপ্ত রাস্তা শীতল হয়।

61. গরমকালে ঘামে ভেজা শরীরে হাওয়ার সামনে দাঁড়ালে আরাম হয় কেন?

উত্তর : উত্তর :  ঘামে ভেজা শরীরে হাওয়ার সামনে দাঁড়ালে শরীরের ঘাম দ্রুত বাষ্পীভূত হয়। ঘামের বাষ্পায়নের জন্য প্রয়োজনীয় লীন তাপ দেহ থেকে শোষিত হয়। ফলে দেহে শীতলতার অনুভূতি হয়। তাই আরাম লাগে।

62. তাপ সঞ্চালন কাকে বলে? তাপ সঞ্চালন কোন্ কোন্ পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়?

উত্তর :  তাপ সঞ্চালন ঃ উন্নতর স্থান থেকে অপেক্ষাকৃত কম উম্ন স্থানে তাপ চলাচল করাকে তাপ সঞ্চালন বলে। তাপ সঞ্চালন তিনটি পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। (i) পরিবহণ (Conduc- tion), (ii) পরিচলন (Convection) এবং (iii) বিকিরণ (Radiation)।

63. তাপ পরিবহণ বলতে কী বোঝো?

উত্তর :  পরিবহণ : যে প্রণালীতে তাপ কোনো বস্তুর উষ্ণতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে বা কোনো বস্তু থেকে সেটির সঙ্গে সংযুক্ত শীতলতর অন্য বস্তুতে সঞ্চালিত হয়, অথচ বস্তুর কণিকাগুলির স্থানচ্যুতি ঘটে না, সেই পদ্ধতিকে বলে পরিবহণ।

64. তাপের পরিচলন বলতে কী বোঝো?

উত্তর :  পরিচলন ঃ যে প্রণালীতে কোনো পদার্থের কণাগুলি নিজেরাই উন্নতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে স্থান পরিবর্তন করে তাপ সঞ্চালন করে তাকে বলে পরিচলন।

65. তাপের বিকিরণের সংজ্ঞা দাও। 

উত্তর :  বিকিরণ ঃ যে প্রণালীতে তাপ মাধ্যম ছাড়া বা মাধ্যম থাকলেও মাধ্যমকে উত্তপ্ত না করে একস্থান থেকে অন্যস্থানে সঞ্চালিত হয়, তাকে বিকিরণ বলে।

বিকিরণ প্রণালীতে তাপ তরঙ্গের আকারে উন্নতর অংশ থেকে শীতলতর অংশে সঞ্চালিত হয়।

66. তাপের সুপরিবাহী কাকে বলে? উদাহরণ দাও

উত্তর :  তাপের সুপরিবাহী ঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজেই পরিবাহিত হয়। সেইসব পদার্থকে তাপের সুপরিবাহী বলে। সকল ধাতুই তাপের সুপরিবাহী। যেমন—সোনা, রুপা, তামা, লোহা, পারদ

প্রভৃতি তাপের সুপরিবাহী। গ্রাফাইট অধাতু হলেও তাপের সুপরিবাহী।

67. তাপের কুপরিবাহী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উত্তর :  তাপের কুপরিবাহী ঃ যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজে পরিবাহিত হয় না, সেইসব পদার্থকে তাপের কুপরিবাহী বলে।

যেমন—কাচ, কাঠ, তুলো, পশম, রবার, বায়ু প্রভৃতি তাপের কুপরিবাহী।

পারদ ছাড়া সকল তরল পদার্থ ও সকল গ্যাসীয় পদার্থ তাপের কুপরিবাহী।

70. শীতকালে সুতোর কাপড়ের চেয়ে পশমের কাপড় বেশি গরম বোধ হয় কেন?

উত্তর :  শীতকালে বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতা আমাদের শরীরের উন্নতার চেয়ে কম হয়। তাই আমাদের শরীর থেকে তাপ বায়ুমণ্ডলে চলে যায়, ফলে আমাদের শীত লাগে। কিন্তু পশমের কাপড় পরলে আমাদের শীত লাগে না। আমাদেরগরম বোধ হয়। কিন্তু সুতোর কাপড় পরলে সেইরূপ গরম বোধ হয় না।

পশমের কাপড় সুতোর কাপড়ের চেয়ে তাপের বেশি কুপরিবাহী এবং পশমের আঁশগুলি আলগা থাকায় সেই ফাঁকে ফাঁকে বায়ু আটকে থাকে। বায়ুও তাপের কুপরিবাহী। তাই পশমের পোশাক পরলে আমাদের শরীর থেকে তাপ বায়ুমণ্ডলে যেতে পারে না। ফলে আমাদের গরম বোধ হয়।

71. কেটলির হাতলে বেত জড়ানো থাকে কেন?

উত্তর :  কেটলি অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। এটি তাপের সুপরিবাহী। কেটলি উনুনে বসিয়ে গরম করলে তা খুব তাড়াতাড়ি গরম হয়ে যায় এবং কেটলির হাতল হাত দিয়ে ধরা যায় না। বেত তাপের কুপরিবাহী। হাতলটিতে বেত জড়ানো থাকলে হাতলটি ধরলে আর গরম লাগে না। কারণ কেটলিরহাতলের তাপ বেতের মধ্য দিয়ে খুব কম পরিবাহিত হয়।

72. বরফ কাঠের গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে রাখা হয় কেন?

উত্তর :  কাঠের গুঁড়ো তাপের কুপরিবাহী, তাই বরফ কাঠের গুঁড়ো দিয়ে ঢেকে রাখলে বায়ুমণ্ডল থেকে তাপ বরফে সহজে পরিবাহিত হতে পারে না। ফলে বরফ অনেকক্ষণ কঠিন অবস্থায় থাকে, সহজে গলে না।

73. খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর শীতকালে গরম এবং গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা বোধ হয় কেন?

উত্তর :  খড় তাপের কুপরিবাহী। শীতকালে খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘরের ভিতরের তাপ বাইরে আসতে পারে না এবং গ্রীষ্মকালে বাইরের তাপ ভিতরে যেতে পারে না। তাই খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর শীতকালে গরম এবং গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা বোধ হয়।

74. শীতকালে একটা সুতোর মোটা জামা গায়ে দেওয়ার চেয়ে একই সুতোর তৈরি দুটো পাতলা জামা পরলে বেশি গরম লাগে কেন?

উত্তর :  সুতো তাপের কুপরিবাহী। সুতোর তৈরি দুটো পাতলা জামা গায়ে দিলে দুটো জামার ফাঁকে বায়ু আবদ্ধ থাকে। বায়ু তাপের কুপরিবাহী। তাই শরীরের তাপ সুতোর জামা ও বায়ুর মধ্য দিয়ে বাইরে যেতে পারে না। ফলে আমাদের গরম লাগে।

75. শীতকালে হাতি গায়ে ধুলো মাখে কেন?

উত্তর :  শীতকালে হাতি গায়ে ধুলো মাখে তার কারণ হল ধুলো মাখলে তাদের দেহ ও ধুলোর মাঝখানে একটি বায়ুর স্তর তৈরি হয়। বায়ু তাপের কুপরিবাহী। তাই হাতির দেহ থেকে বেরিয়ে আসা তাপ বায়ুর স্তরকে ভেদ করে চলে যেতে পারে না। তাই শীতকালে হাতির আরাম লাগে।

76. শীতকালে গায়ে কম্বল চাপা দিলে আরাম লাগে কেন?

উত্তর :  কম্বল পশম বা উল দিয়ে তৈরি হয়। উল বা পশম তাপের কুপরিবাহী। শীতকালে গায়ে কম্বল দিলে আমাদের শরীরের তাপ বাইরে বেরতে পারে না, তাই আমাদের আরাম লাগে।

77, শীতকালে পাখিরা কখনো-কখনো পালক ফুলিয়ে বসে থাকে কেন?

উত্তর :  শীতকালে পাখিরা কখনো-কখনো পালক ফুলিয়ে বসে থাকে। পালক ফোলালে পালকের মধ্যে বায়ু আটকে থাকে। বায়ু তাপের কুপরিবাহী তাই পাখির দেহ থেকে বেরিয়ে আসা তাপ বায়ুর স্তর ভেদ করে বাইরে যেতে পারে না। ফলে পাখিদের দেহ গরম থাকে।

78. পরিচলন স্রোত কাকে বলে?

উত্তর :  তরল বা গ্যাস গরম হলে তা হালকা হয়ে ওপরে ওঠে এবং ওপরেরঠান্ডা অংশ ভারী বলে নীচে নামে। এর ফলে তরল বা গ্যাসের মধ্যে যে চক্রাকার স্রোত সৃষ্টি হয় তাকে পরিচলন স্রোত বলে।



অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান তাপ pdf,অষ্টম শ্রেণীর তাপ বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf

১. গলনাঙ্কের ওপর চাপের প্রভাব উল্লেখ করো।

উত্তর :  গলনাঙ্কের ওপর চাপের প্রভাব : (i) যেসব কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হলে আয়তনে বেড়ে যায়, সেইসব কঠিন পদার্থের ওপর চাপ বাড়ালে তাদের গলনাঙ্ক বেড়ে যায়। যেমন— তামা, সোনা,

 রুপা প্রভৃতি যখন তরলে পরিণত হয় তখন তাদের আয়তন বেড়ে যায়। তাই তাদের ওপর চাপ বাড়ালে তাদের গলনাঙ্ক বেড়ে যায়। (ii) যেসব কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হলে আয়তনে কমে যায়, সেইসব কঠিন পদার্থের ওপর চাপ বাড়ালে তাদের গলনাঙ্ক কমে যায়। যেমন—বরফ

জলে পরিণত হলে তার আয়তন কমে যায়। ফলে বরফের ওপর চাপ বাড়ালে বরফের গলনাঙ্ক কমে যায়।

২. হিমমিশ্রণ কাকে বলে? উদাহরণ দাও। এর ব্যবহার লেখো।

উত্তর :  হিমমিশ্রণ ঃ যে মিশ্রণ দিয়ে মূল পদার্থের গলনাঙ্কের চেয়ে অনেক কম উন্নতা সৃষ্টি করা যায় তাকে হিমমিশ্রণ বলে। উদাহরণ : (i) সাধারণ লবণ ও বরফের গুঁড়ো একসঙ্গে মেশালে লবণ থেকে লীন তাপ গ্রহণ করে বরফ গলতে শুরু করে। ফলে মিশ্রণের উন্নতা কমতে থাকে। 3 ভাগ ওজনের বরফ গুঁড়োর সঙ্গে 1 ভাগ ওজনের সাধারণ লবণ মেশালে যে মিশ্রণ পাওয়া যায় তার উন্নতা প্রায় – 23°C হয়। (ii) 2 ভাগ ওজনের বরফের সঙ্গে 1 ভাগ ওজনের ক্যালশিয়াম ক্লোরাইড মেশালে উৎপন্ন হিমমিশ্রণের উন্নতা প্রায় – 50°C হয়।

হিমমিশ্রণের ব্যবহার ঃ কুলপি বরফ, আইসক্রিম তৈরি করতে এবং মাছ,

 মাংস ইত্যাদি সংরক্ষণ করতে হিমমিশ্রণ ব্যবহার করা হয়।

4. বাষ্পায়নের হার কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে?

>উত্তর :  বাষ্পায়নের হার নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভর করে— (i) তরলের প্রকৃতি ঃ বিভিন্ন তরলের বাষ্পায়নের হার বিভিন্ন হয়। যে তরলের স্ফুটনাঙ্ক কম হয় তার বাষ্পায়নের হার বেশি হয়। (ii) তরলের উপরিতলের ক্ষেত্রফল ঃ তরলের উপরিতলের ক্ষেত্রফল যত বেশি হয়, তরলের বাষ্পায়নের হার তত বেশি হয়। (iii) তরলের ওপর চাপ : তরলের ওপরের বায়ুমণ্ডলের চাপ যত কম হয়, বাষ্পায়নের হার তত বেশি হয়। বায়ুশূন্য স্থানে তরলের বাষ্পায়নের হার সবচেয়ে বেশি হয়।

(iv) বায়ু চলাচল ঃ তরলের ওপর বায়ুপ্রবাহ বেশি হলে বাষ্পায়নের হার বেশি হয়। (v) বায়ুর শুষ্কতা : তরলের উপরিতলের বাতাস যত শুষ্ক হবে বাষ্পায়নের হার তত বেশি হবে। অর্থাৎ, বায়ুতে জলীয় বাষ্পের

পরিমাণ যত কম হবে বাষ্পায়নের হার তত বেশি হবে। (vi) তরল এবং পারিপার্শ্বিক উয়তা ঃ তরল এবং পারিপার্শ্বিক বায়ুর উয়তা বাড়লে বাষ্পায়নের হার বৃদ্ধি পায়।

5. বাষ্পায়ন ও স্ফুটনের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

6. তরলের স্ফুটনাঙ্ক কোন্ কোন্ বিষয়ের ওপর নির্ভর করে? বিষয়গুলি আলোচনা করো।

>উত্তর :  তরলের স্ফুটনাঙ্ক নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর নির্ভর করে—

(i) তরলের প্রকৃতি, (ii) তরলের উপরিতলে প্রযুক্ত চাপ এবং (iii) তরলে অপদ্রব্যের উপস্থিতি।

(i) তরলের প্রকৃতি : বিভিন্ন তরলের স্ফুটনাঙ্ক বিভিন্ন হয়। যে তরল

যত বেশি উদ্বায়ী তার স্ফুটনাঙ্ক তত কম হয়। যেমন—জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C, কিন্তু ইথারের স্ফুটনাঙ্ক 35°C।

(ii) তরলের উপরিতলে প্রযুক্ত চাপ : তরলের ওপর চাপ বাড়লে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায় অর্থাৎ বেশি উন্নতায় তরল ফুটতে থাকে। তরলের ওপর চাপ কমলে তরলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায় অর্থাৎতরল কম উয়তায় ফুটতে থাকে।

(iii) তরলে অপদ্রব্যের উপস্থিতি ঃ তরলে কোনো পদার্থ দ্রবীভূত থাকলে তরলের স্ফুটনাঙ্ক বেড়ে যায়। যেমন—প্রমাণ চাপে বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক 100°C, কিন্তু জলে লবণ দ্রবীভূত থাকলে তার স্ফুটনাঙ্ক

100°C অপেক্ষা বেশি হয়।

7. কুয়াশা কী? শহরাঞ্চলে প্রায়ই কুয়াশা দেখা যায় কেন?

>উত্তর :  কুয়াশা ঃ ভূপৃষ্ঠের ওপর অনেকখানি জায়গায় বাতাসের উয়তা কমে গেলে, বাতাস তার মধ্যস্থ জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়। বাতাসের উন্নতা শিশিরাঙ্কের নীচে নেমে গেলে বাতাসের মধ্যস্থ কিছু পরিমাণ জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে বাতাসে ভাসতে থাকে। একেই কুয়াশা বলে। শহরাঞ্চলের বাতাসে ধূলিকণা এবং কয়লার গুঁড়ো বেশি থাকায় এগুলির উপর জলীয় বাষ্প জমে ঘন কুয়াশার সৃষ্টি করে। ফলে শহরাঞ্চলে প্রায়ই কুয়াশা দেখা যায়।

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Class 8 Science heat chapter questions answers pdf 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A

B

C




THANK YOU & WELCOME






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url