অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান পদার্থের প্রকৃতি প্রশ্ন উত্তর pdf|পদার্থের প্রকৃতি অষ্টম শ্রেণী প্রশ্ন উত্তর pdf|
|
অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ পদার্থের প্রকৃতি প্রশ্ন উত্তর |
আসসালামু আলাইকুম,
আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির পদার্থের প্রকৃতি প্রশ্ন উত্তর pdf। ভৌত পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর pdf । পদার্থের প্রকৃতি প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 poribesh o bigyan 5th chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে ।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান ও পরিবেশের আলো আলো প্রশ্ন উত্তর গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর আলো pdf download,Class 8 Science 4th chapter questions answers pdf download করে নিতে পার। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।
YouTube Link - . OUR ONLINE SCHOOL SUBSCRIBE
যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool247
আরও পোস্ট দেখো B
A.
B.
C.
অষ্টম শ্রেণীর পদার্থের প্রকৃতি ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর pdf|অষ্টম শ্রেণী পরিবেশ পাঁচ অধ্যায় পদার্থের প্রকৃতি SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর |
1. কোনো পদার্থের কয়টি অবস্থা থাকতে পারে ও কী কী?
উত্তর : তিনটি। যথা—কঠিন, তরল ও গ্যাসীয়।
2. দুটি তরল মৌলিক পদার্থের নাম লেখো।
উত্তর : পারদ ও ব্রোমিন।
3. কঠিন পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : নির্দিষ্ট চাপ ও তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থের আকার ও উত্তর : আয়তন নির্দিষ্ট থাকে।
4. তরল পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : বিশুদ্ধ তরল পদার্থের একটি নির্দিষ্ট স্ফুটনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক থাকে।
5.গ্যাসীয় পদার্থের একটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : গ্যাসীয় পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে না।
6. প্রমাণ চাপে বরফের গলনাঙ্ক কত?
উত্তর : 0°C।
7. প্রমাণ চাপে ইথারের স্ফুটনাঙ্ক কত?
উত্তর : 35°C।
৪. তাপ প্রয়োগ করলে কঠিন পদার্থের কী ঘটে?
উত্তর : কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়।
9. তাপ নিষ্কাশনে গ্যাসীয় পদার্থের কী ঘটে?
উত্তর : তাপ নিষ্কাশনে গ্যাসীয় পদার্থ তরলে পরিণত হয়।
10. তড়িৎপ্রবাহের ফলে জল বিশ্লিষ্ট হয়ে কী উৎপন্ন করে ?
উত্তর : হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন।
11. সালফারকে বাতাসে পোড়ালে কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর : সালফার ডাইঅক্সাইড।
12. লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডে জিংকের টুকরো যোগ করলে কোন্ গ্যাস উৎপন্ন হয়?
উত্তর : হাইড্রোজেন গ্যাস।
13. পদার্থের কোন্ ধর্ম প্রকাশে নতুন পদার্থ সৃষ্টি হয়?
উত্তর : রাসায়নিক ধর্ম।
14. হাইড্রোজেন সালফাইড এবং ওজোন এই দুটি গ্যাসকে কীসের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়?
উত্তর : গন্ধের সাহায্যে।Download From: www.skguidebangla.in
15. ক্লোরিনের গন্ধ কীরূপ?
উত্তর : ব্লিচিং পাউডারের মতো।
16. হাইড্রোজেন সালফাইডের গন্ধ কীরূপ?
উত্তর : পচা ডিমের মতো।
17. A একটি বর্ণহীন গ্যাসীয় পদার্থ। এর গন্ধ পচা মাছের মতো। A-কে শনাক্ত করো।
উত্তর : A হল ফসফিন।
18. জল ও বেঞ্জিনের মধ্যে কোন্টির স্ফুটনাঙ্ক বেশি?
উত্তর : জলের স্ফুটনাঙ্ক বেশি।
19. ম্যাগনেশিয়ামকে তীব্রভাবে বাতাসে উত্তপ্ত করলে কী উৎপন্ন হয়?
উত্তর : ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইড।
20. একটি সাদা বর্ণের কেলাসাকার পদার্থের স্বাদ মিষ্টি। পদার্থটিকে উত্তপ্ত
করলে সেটি কালো হয়ে যায়। পদার্থটি কী ?
উত্তর : পদার্থটি হল চিনি।
21. চুন এবং সোডিয়ামের মধ্যে কোন্টি জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে?
উত্তর : সোডিয়াম।
22. কোন্ ভৌত ধর্মের সাহায্যে জল ও গ্লিসারিন শনাক্ত করবে?
উত্তর : স্পর্শের সাহায্যে। গ্লিসারিন চটচট করে কিন্তু জল চটচট করে না।
23. কোন্ ভৌত ধর্মের সাহায্যে ন্যাপথলিন গুঁড়ো ও কর্পূরের গুঁড়ো শনাক্ত করবে?
উত্তর : গন্ধের সাহায্যে।
24. কেরোসিন, পেট্রোল ও সরষের তেল—এগুলিকে কোন্ ভৌত ধর্মের সাহায্যে শনাক্ত করবে?
উত্তর : গন্ধের সাহায্যে।
25. চিনি কোন্ দ্রাবকে দ্রবীভূত হয় ?
উত্তর : জলে দ্রবীভূত হয়।
26. গন্ধক কোন্ তরলে দ্রবীভূত হয় ?
উত্তর : কার্বন ডাইসালফাইডে।
27. তুঁতে কোন্ তরলে দ্রবীভূত হয়?
উত্তর : জলে।
28. রুপো ও নিকেলের মধ্যে কোন্টি চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় ?
উত্তর : নিকেল।
29. কোবাল্ট ও নিকেলের মধ্যে কোন্টি চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না?
উত্তর : কোবাল্ট।
30. চিনির গুঁড়ো ও পোড়া চুনের গুঁড়োকে কীভাবে শনাক্ত করবে?
উত্তর : চিনির গুঁড়ো ও পোড়া চুনের গুঁড়ো পৃথকভাবে জলে মেশালে পোড়া চুনের গুঁড়ো জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে। কিন্তু চিনি করে না।
31. চিনির গুঁড়ো এবং লবণের গুঁড়োকে কোন্ ভৌত ধর্মের সাহায্যে শনাক্ত করবে?
উত্তর : স্বাদের সাহায্যে। চিনির স্বাদ মিষ্টি কিন্তু লবণের স্বাদ নোনতা।
32. জিংক লঘু সালফিউরিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে কোন্ গ্যাস উৎপন্ন করে ?
উত্তর : হাইড্রোজেন গ্যাস।
33. একটি খলের মধ্যে নিশাদল ও খাবার সোডা নিয়ে ভালোভাবে পিষলে কী ধরনের গন্ধ নির্গত হয় ?
উত্তর : ঝাঁজালো গন্ধ নির্গত হয়।
34.ক্লোরিনের বর্ণ কীরূপ?
উত্তর : সবুজাভ হলুদ। Youtube Channel: OUR ONLINE SCHOOL
35. ধাতু ও অধাতু উভয়ের গুণই বর্তমান থাকে এমন একটি মৌলের নাম লেখো।
উত্তর : আর্সেনিক।
পদার্থের প্রকৃতি ক্লাস শ্রেণি প্রশ্ন উত্তর pdf,অষ্টম শ্রেণি পদার্থের প্রকৃতি প্রশ্ন pdf,
36. যেসব মৌলের মধ্যে ধাতু ও অধাতু উভয়ের গুণই বর্তমান তাদের কী বলে?
উত্তর : ধাতুকল্প।
37. সবচেয়ে হালকা ধাতুটির নাম লেখো।
উত্তর : লিথিয়াম।
38 একটি তরল ধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : পারদ।
39. একটি তরল অধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : ব্রোমিন।
40. তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী এমন একটি অধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : গ্রাফাইট।
41. একটি তড়িৎ ধনাত্মকধর্মী অধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : হাইড্রোজেন।
42. একটি অধাতুর নাম লেখো যা চকচক করে?
উত্তর : আয়োডিন।
43 আলোর প্রতিফলনে সক্ষম একটি অধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : হীরক।
44. সবচেয়ে ভারী অধাতু কোন্টি?
উত্তর : আয়োডিন।
45. সবচেয়ে হালকা অধাতু কোন্টি?
উত্তর : হাইড্রোজেন।
46. কোন্ ধাতুকল্পের অতিরিক্ত উপস্থিতি জলদূষণ ঘটায়?
উত্তর : আর্সেনিক।
47. ম্যাগনেশিয়াম অক্সাইডের প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর : ক্ষারকীয়।
48. সালফার ডাইঅক্সাইডের প্রকৃতি কীরূপ?
উত্তর : আম্লিক।
49. ঠান্ডা জলে তীব্রভাবে বিক্রিয়া করে এমন দুটি ধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম।
50. স্টিমের সঙ্গে বিক্রিয়া করে এমন দুটি ধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : ম্যাগনেশিয়াম এবং জিংক।
51. কোনো অবস্থাতেই জলের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না এমন দুটি ধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : তামা, সোনা।
52.. অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে এমন
দুটি ধাতুর নাম লেখো।
>উত্তর : জিংক এবং অ্যালুমিনিয়াম।
53. অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন গ্যাস উৎপন্ন করে না এমন
দুটি ধাতুর নাম লেখো।
উত্তর : তামা এবং রুপো।
54. দা, কুড়ুল, শাবল তৈরি করতে কোন্ মৌল ব্যবহার করা হয়? 18
উত্তর : লোহা।
55. কেটলি, ডেকচি, বাসনপত্র তৈরি করতে কোন্ ধাতু ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : অ্যালুমিনিয়াম।
56. গাড়ির ব্যাটারি তৈরি করতে কোন্ ধাতু ব্যবহার করা হয়?
উত্তর : দস্তা।
57. দেহের অন্তঃকোশীয় ও বহিঃকোশীয় তরলের প্রধান ক্যাটায়ন কী কী?
উত্তর : Na+ এবং K+।
58. কাঁচা লবণ বেশি খেলে কী হয়?
উত্তর : রক্তে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়।
59. ডায়ারিয়ার সময় দেহতরলে কোন্ আয়নের পরিমাণ কমে যায়?
উত্তর : Na+ আয়নের।
60 প্রচুর ঘাম কিংবা ডায়ারিয়া হলে কী ঘটতে পারে?
উত্তর : দেহতরলে Na+ আয়ন কমে যায়। ফলে রক্তচাপ কমে গিয়ে হৃৎপিণ্ডের
ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
61 হৃৎপেশির উত্তেজিতা ও ছন্দবদ্ধ সংকোচন-প্রসারণ কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়?
উত্তর : Ca2+ এবং K+-এর ঘনত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
62. দেহতরলে Ca2+-এর মাত্রা কমে গেলে কী হয়?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের সংকোচনের হার কমে যায়।
63.. দেহে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট হলে কী হয়?
উত্তর : অস্থিসন্ধির ক্ষয় শুরু হয় ও হাড়ের মাত্রা কমতে শুরু করে।
64.. দেহে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য কোন্ আয়ন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়?
উত্তর : K+ আয়ন দ্বারা।
65. দাঁত ও হাড়ের দৃঢ়তা ও ভার বহন ক্ষমতার জন্য দায়ী কোন্ মৌল?
উত্তর : ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস।
66.. পেশি সংকোচন কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ?
উত্তর : Ca2+ দ্বারা।
67.. পেশির উত্তেজিতা কার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়?
উত্তর : Mg2+, Na+ ও K+ দ্বারা।
File Details:-
File Name:- Class 8 Science nature of matter questions answers pdf
File Format:- PDF
Download: Click Here to Download
ক্লাস 8 পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর পদার্থের প্রকৃতি pdf |ক্লাস 8 বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর পদার্থের প্রকৃতি pdf download|অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান পদার্থের প্রকৃতি pdf
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর :
1. পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর : যার ভর আছে, যা কিছুটা স্থান দখল করে থাকে এবং যাকে ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে অনুভব করা যায়, তাকে পদার্থ বলে। যেমন—কাঠ, পাথর, ইট, কাচ, জল, দুধ, বায়ু ইত্যাদি।
2. কঠিন পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : কঠিন পদার্থ : সাধারণ অবস্থায় যে পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকে, তাকে কঠিন পদার্থ বলে। যেমন—পাথর, লোহা, কাচ, তামা, হীরক ইত্যাদি।
3. তরল পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : সাধারণ অবস্থায় যে পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকে কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো আকার থাকে না, যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ধারণ করে, তাকে তরল পদার্থ বলে। যেমন—জল, দুধ, কেরোসিন, পেট্রোল, স্পিরিট ইত্যাদি।
4. গ্যাসীয় পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
গ্যাসীয় পদার্থ ঃ সাধারণ অবস্থায় যে পদার্থের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তনথাকে না, যে পাত্রে রাখা হয় সেই পাত্রের আকার ও আয়তন ধারণ করে, তাকে গ্যাসীয় পদার্থ বলে। যেমন—বায়ু, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন, জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাইঅক্সাইড ইত্যাদি।
Download From: www.skguidebangla.in
7.পদার্থের ভৌত ধর্ম বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।
উত্তর : পদার্থের ভৌত ধর্ম ঃ যে ধর্মের সাহায্যে পদার্থের বাহ্যিক অবস্থা ও গুণের পরিচয় পাওয়া যায় এবং যে ধর্মের প্রভাবে পদার্থের মূল গঠনের কোনো পরিবর্তন হয় না, তাকে পদার্থের ভৌত ধর্ম বলে। পদার্থের গন্ধ, বর্ণ, অবস্থা, ঘনত্ব ইত্যাদি হল পদার্থের ভৌত ধর্ম।
৪. পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম বলতে কী বোঝো? উদাহরণ দাও।
উত্তর : পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম ঃ যে ধর্মের সাহায্যে পদার্থের মূল গঠনের এবং রাসায়নিক গুণের পরিচয় পাওয়া যায় এবং যে ধর্মের প্রভাবে পদার্থের মূল গঠনের পরিবর্তন হয়ে নতুন পদার্থের সৃষ্টি হয়, তাকে পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম বলে। পদার্থের ওপর বায়ু, জল, অ্যাসিড, ক্ষার প্রভৃতির প্রভাব হল পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম। যেমন—চুনে জল দিলে চুন ফুলে ওঠে ও কলিচুনে পরিণত হয়।
পদার্থের প্রকৃতি প্রশ্ন উত্তর pdf|অষ্টম শ্রেণীর পদার্থের প্রকৃতি বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf|
9. একটিমাত্র ভৌত ধর্মের সাহায্যে নিম্নলিখিত পদার্থগুলিকে কীভাবে শনাক্ত করবে? (i) কেরোসিন, জল ও অ্যালকোহল। (ii) তুঁতে ও কেরোসিন। (iii) হাইড্রোজেন সালফাইড, অ্যামোনিয়া ও ফসফিন।
(iv) তুঁতে, গন্ধক, খড়ি ও ভুসোকালি। (v) ব্রোমিন, পারদ ও জল। (vi) গ্লিসারিন ও জল। (vii) ক্লোরিন, আয়োডিন বাষ্প, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড। (viii) লোহার গুঁড়ো ও অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো। (ix) চক পাউডার ও গ্রাফাইট পাউডার। (x) তুঁতে ও চকের গুঁড়ো।
উত্তর : (i) কেরোসিন, জল ও অ্যালকোহল ঃ এই তিনটি পদার্থই বর্ণহীন তরল। এই তিনটি পদার্থকে তাদের গন্ধের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। কেরোসিনের গন্ধ কটু, জলের কোনো গন্ধ নেই এবং অ্যালকোহলের গন্ধ মিষ্টি ও সামান্য ঝাঁজালো।
(ii) তুঁতে ও কেরোসিন ঃ এই পদার্থ দুটিকে ওদের বর্ণের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। তুঁতে নীল বর্ণের কঠিন পদার্থ এবং কেরোসিন বর্ণহীন তরল পদার্থ।
(iii) হাইড্রোজেন সালফাইড, অ্যামোনিয়া ও ফসফিন ঃ এই পদার্থ তিনটিই বর্ণহীন গ্যাস। এদেরকে গন্ধের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। হাইড্রোজেন সালফাইডের
গন্ধ পচা ডিমের মতো, অ্যামোনিয়ার গন্ধ ঝাঁজালো এবং ফসফিনের গন্ধ পচা মাছের মতো।
(iv) তুঁতে, গন্ধক, খড়ি ও ভুসোকালি : এরা প্রত্যেকেই গন্ধহীন কঠিন পদার্থ। তুঁতের বর্ণ নীল, গন্ধকের বর্ণ হলুদ, খড়ির বর্ণ সাদা এবং ভুসোকালির বর্ণ কালো। তাই এগুলিকে বর্ণের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। (v) ব্রোমিন, পারদ ও জল ঃ এরা প্রত্যেকেই গন্ধহীন তরল পদার্থ। এদেরকে বর্ণের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। ব্রোমিনের বর্ণ লাল, পারদের বর্ণ চকচকে রুপোলি এবং জল বর্ণহীন।
(vi) গ্লিসারিন ও জল ঃ গ্লিসারিন ও জল উভয়েই গন্ধহীন তরল পদার্থ। গ্লিসারিন চটচটে গাঢ় তরল পদার্থ, কিন্তু জল তা নয়।
(vii) ক্লোরিন, আয়োডিন বাষ্প, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড ও কার্বন ডাইঅক্সাইড : এরা প্রত্যেকেই গ্যাসীয় পদার্থ। এদেরকে বর্ণের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। ক্লোরিনের বর্ণ সবুজাভ হলুদ, আয়োডিন বাষ্পের বর্ণ বেগুনি, ছা নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডের বর্ণ বাদামি এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড বর্ণহীন।
(viii) লোহার গুঁড়ো ও অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো : এরা উভয়েই কঠিন পদার্থ। লোহার গুঁড়ো চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় কিন্তু অ্যালুমিনিয়াম গুঁড়ো চুম্বক দ্বারা আকৃষ্ট হয় না।
(ix) চক পাউডার ও গ্রাফাইট পাউডার : চক পাউডার ও গ্রাফাইট পাউডারকে বর্ণের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। চক পাউডারের বর্ণ সাদা কিন্তু গ্রাফাইট পাউডারের বর্ণ ধূসর কালো।
(x) তুঁতে ও চকের গুঁড়ো ঃ এরা প্রত্যেকেই কঠিন পদার্থ। এদেরকে বর্ণের সাহায্যে শনাক্ত করা যায়। তুঁতের বর্ণ নীল কিন্তু চকের গুঁড়োর বর্ণ সাদা।
14, লবণ এবং নিশাদলকে একটিমাত্র রাসায়নিক ধর্মের সাহায্যে কীভাবে শনাক্ত করবে?
উত্তর : লবণ এবং নিশাদলকে খাবার সোডার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে শনাক্ত করা যায়। লবণের সঙ্গে খাবার সোডা মিশিয়ে ভালোভাবে ঘষে গন্ধ নিলে বিশেষ ধরনের কোনো গন্ধ পাওয়া যাবে না। নিশাদলের সঙ্গে খাবার সোডা মিশিয়ে ভালোভাবে ঘষে গন্ধ নিলে একটি ঝাঁজালো গন্ধ পাওয়া যাবে।
15. মৌলের শ্রেণিবিভাগগুলি লেখো।
উত্তর : মৌলের শ্রেণিবিভাগ : ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মের ওপর ভিত্তি করে মৌলগুলিকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা—(i) ধাতু, (ii) অধাতু এবং (iii) ধাতুকল্প।
16. ধাতু কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : ধাতু : যে মৌল সাধারণ অবস্থায় কঠিন, উজ্জ্বল ও চকচকে, তাপ ও বিদ্যুতের সুপরিবাহী এবং যে মৌল তড়িৎ ধনাত্মক, তাকে ধাতু বলে। যেমন—সোনা, রুপো।
17. অধাতু কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : অধাতু : যে মৌল সাধারণ অবস্থায় কঠিন, তরল বা গ্যাসীয়, অনুজ্জ্বল, বিদ্যুৎ ও তাপের কুপরিবাহী এবং যেসব মৌল তড়িৎ ঋণাত্মক তাকে অধাতু বলে। যেমন—গন্ধক, কার্বন।
18. ধাতুকল্প কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : ধাতুকল্প : যে মৌলের মধ্যে ধাতু এবং অধাতু উভয়ের ধর্মই বর্তমান থাকে তাকে ধাতুকল্প বলে। যেমন—আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি।
20.দুটি মৌলের নাম করো যাদের মধ্যে ধাতব ও অধাতব উভয় প্রকার ধর্মই পরিলক্ষিত হয়। এ ধরনের মৌলকে কী বলে?
উত্তর : অ্যান্টিমনি ও আর্সেনিক মৌল দুটিতে ধাতব ও অধাতব উভয় ধর্মই বর্তমান। এ ধরনের মৌলকে ধাতুকল্প বলে।
21. গ্রাফাইট তাপ ও বিদ্যুতের পরিবাহী, তবুও এটি অধাতু—এই উক্তির সমর্থনে গ্রাফাইটের চারটি ধর্মের (দুটি ভৌত ধর্ম এবং দুটি রাসায়নিক ধর্ম) উল্লেখ করো।
উত্তর : তাপ ও বিদ্যুতের পরিবাহী হলেও গ্রাফাইট একটি অধাতু, কারণ— ভৌত ধর্ম ঃ (i) গ্রাফাইট কঠিন হওয়া সত্ত্বেও নমনীয় ও প্রসারণশীল নয়। (ii) ধাতুকে আঘাত করলে বিশেষ ধরনের শব্দ ও ধাতব শব্দ উৎপন্ন হয়, গ্রাফাইটকে আঘাত করলে ওই রকমের শব্দের সৃষ্টি হয় না। রাসায়নিক ধর্ম : (i) গ্রাফাইট অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় হাইড্রোজেনকে প্রতিস্থাপিত করতে পারে না। (ii) গ্রাফাইট অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়ায় আম্লিক অক্সাইড (CO2) গঠন করে, যেটি জলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্বনিক অ্যাসিড উৎপন্ন করে। যথা, C+O,→CO2; CO2 + H2O→ H2CO3
22. ব্যাখ্যা করো : পারদ তরল হলেও ধাতু।
উত্তর : তরল হলেও পারদ একটি ধাতু, কারণ—(i) পারদ তড়িৎধনাত্মক মৌল। এটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে ক্যাটায়ন উৎপন্ন করে। (ii) পারদ তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী। (iii) পারদ অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়ায় ক্ষারকীয় অক্সাইড উৎপন্ন করে।
23. হাইড্রোজেন তড়িৎধনাত্মক হলেও ধাতু নয় কেন?
»উত্তর : হাইড্রোজেন তড়িৎধনাত্মক হলেও ধাতু নয়, কারণ—(i) সাধারণ উন্নতায় হাইড্রোজেন গ্যাস। (ii) হাইড্রোজেন তাপ ও তড়িতের কুপরিবাহী।
(iii) হাইড্রোজেন অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্ষারীয় অক্সাইড উৎপন্ন না করে প্রশম অক্সাইড (H2O) উৎপন্ন করে। (iv) হাইড্রোজেন অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না।
24. ক্লোরিনকে অধাতু বলা হয় কেন?
ক্লোরিনকে অধাতু বলা হয়, কারণ—(i) ক্লোরিন একটি গ্যাসীয় মৌল।
(ii) ক্লোরিন তাপ ও তড়িতের কুপরিবাহী। (iii) ক্লোরিন ইলেকট্রন বর্জন করে অ্যানায়ন উৎপন্ন করে। (iv) ক্লোরিন অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আম্লিক অক্সাইড উৎপন্ন করে।
25. সোডিয়ামকে ধাতু বলা হয় কেন?
উত্তর : সোডিয়ামকে ধাতু বলা হয়, কারণ—(i) সোডিয়াম কঠিন। (ii) সোডিয়াম তাপ ও তড়িতের সুপরিবাহী। (iii) সোডিয়াম ইলেকট্রন বর্জন করে ক্যাটায়ন (Na+) উৎপন্ন করে। (iv) সোডিয়াম অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ক্ষারীয় অক্সাইড Na2O উৎপন্ন করে। (v) সোডিয়াম লঘু অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ ও H, উৎপন্ন করে।
26. হীরক চকচকে এবং কঠিন হলেও অধাতু কেন?
উত্তর : হীরক চকচকে এবং কঠিন হলেও অধাতু, কারণ—(i) হীরক তাপ ও তড়িতের কুপরিবাহী। (ii) হীরক অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে আম্লিক অক্সাইড CO, উৎপন্ন করে। (iii) হীরক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে H, উৎপন্ন করতে পারে না।
28. কাঁচা লবণ বেশি খাওয়া উচিত নয় কেন?
উত্তর : কাঁচা লবণ বেশি খেলে দেহতরলে Na+ আয়নের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন রক্ত কোশ মধ্যস্থ তরল থেকে জল শোষণ শুরু করে ও রক্তে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হৃৎপিণ্ড ও বৃক্কে নানা বিপত্তি ডেকে আনে।
29. হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতায় ধাতব আয়নের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর : হৃৎপেশির উত্তেজিতা ও ছন্দবদ্ধ সংকোচন-প্রসারণ Ca2+ ও K+ এর ঘনত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। K+-এর মাত্রা কমে গেলে হৃৎপিণ্ডের কাজ স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে। Ca2+ সংকোচনের মাত্রার বল বৃদ্ধি করে। Ca2+-এর মাত্রা কমে গেলে হৃৎপিণ্ডের সংকোচনের হার কমে যায়।
30. মানবদেহে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষায় K+ আয়নের ভূমিকা আলোচনা করো।
উত্তর : খাদ্যের মাধ্যমে K+ গ্রহণ কম হতে থাকলে কোশে অম্লত্ব বেড়ে যায় এবং কোশের বাইরের তরলে ক্ষারের পরিমাণ বেড়ে যায়। অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট হলে অস্থিসন্ধির ক্ষয় শুরু হয় ও হাড়ের ধাত্র কমতে শুরু করে।
পদার্থের প্রকৃতি প্রশ্ন উত্তর pdf download
1. কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : কঠিন পদার্থের বৈশিষ্ট্য : (i) নির্দিষ্ট চাপ ও তাপমাত্রায় কঠিন পদার্থের আকার ও আয়তন নির্দিষ্ট থাকে। (ii) বাহ্যিক বল প্রয়োগ করলেও কঠিন পদার্থের আকার বা আয়তনের বিশেষ পরিবর্তন হয় না। (iii) তাপ প্রয়োগে নির্দিষ্টউম্নতায় (গলনাঙ্ক) কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয়। ব্যতিক্রমঃ কর্পূর, ন্যাপথলিন, আয়োডিন প্রভৃতি কঠিন উদ্বায়ী পদার্থ। এগুলি ঊর্ধ্বপাতিত হয়।
(iv) প্রমাণ চাপে নিয়তাকার কঠিন পদার্থের নির্দিষ্ট গলনাঙ্ক থাকে।
(v) সাধারণ অবস্থায় কঠিন পদার্থ নিয়তাকার ও অনিয়তাকার হয়। যেমন—খাদ্যলবণ, চিনি, তুঁতে এগুলি নিয়তাকার পদার্থ। আবার কাচ, পিচ, চর্বি, মাখন এগুলি অনিয়তাকার পদার্থ।
2. তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : তরল পদার্থের বৈশিষ্ট্য : (i) নির্দিষ্ট চাপ এবং উষ্ণতায় তরল পদার্থের নির্দিষ্ট আয়তন থাকে কিন্তু আকার নির্দিষ্ট থাকে না। (ii) বিশুদ্ধ তরল পদার্থের নির্দিষ্ট স্ফুটনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক থাকে। (iii) ধাতব তরল ছাড়া অধিকাংশ তরলের ঘনত্ব 1 বা 1-এর চেয়ে কম। (iv) তরলের সমোচ্চশীলতা ধর্ম আছে। (v) উয়তার পরিবর্তনে আয়তন পরিবর্তিত হয়। (vi) সাধারণ উষ্ণতায় যে-কোনো তরলের উপরিতল থেকে তরলটির বাষ্পায়ন হয়। (vii) একাধিক সমধর্মী তরল পরস্পরের সঙ্গে মিশে যায়। যেমন—জল ও অ্যালকোহল। ব্যতিক্রম ঃ জল ও তেল।
3. গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর : গ্যাসীয় পদার্থের বৈশিষ্ট্য ঃ (i) গ্যাসীয় পদার্থের কোনো নির্দিষ্ট আকার বা আয়তন থাকে না। (ii) একই চাপ ও উন্নতায় সম আয়তন সব গ্যাসে সমান সংখ্যক অণু থাকে। (iii) আবদ্ধ পাত্রে না রাখলে গ্যাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। (iv) স্থির চাপে উয়তা বাড়ালে গ্যাসীয় পদার্থের আয়তন বাড়ে এবং উয়তা কমালে আয়তন কমে। (v) স্থির উয়তায় গ্যাসের চাপ বাড়ালে গ্যাসের আয়তন কমে এবং চাপ কমালে আয়তন বাড়ে।
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
File Details:-
File Name:- Class 8 Science nature of matter questions answers in bengali pdf
File Format:- PDF
File Location:- Google Drive
Download: Click Here to Download
আরও পোস্ট দেখো B
A
B
C
THANK YOU & WELCOME