অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশভাগ প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশভাগ অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf | class 8 history chapter 8 question answer in bengali pdf

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশভাগ প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশভাগ।অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশভাগ প্রশ্ন উত্তর। class viii history chapter 8 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশভাগ প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 history 8 chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসে ৮ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর| অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৮ প্রশ্ন উত্তর , গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর অষ্টম অধ্যায় pdf download, Class 8 history eight chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE 


      আরও পোস্ট দেখো     B  

A

B

C.

অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download,অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৮ প্রশ্ন উত্তর ,অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | 

১ .মহাবিদ্রোহ কবে হয়?

উত্তর : ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে।

2. আদমশুমারি কী?

উত্তর : যে পদ্ধতিতে কোনো দেশের মোট জনসংখ্যা গণনা করা হয়, তাকে আদমশুমারি বলে।

3.ভারতে প্রথম আদমশুমারি করে হয়?

উত্তর : ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে।

4. ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দে আদমশুমারির মূল গুরুত্ব কী?

উত্তর : ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের আদমশুমারিতে ভারতে জনসংখ্যার সম্প্রদায়গত অনুপাত জানা সম্ভব হয়।

5. স্যার সৈয়দ আহমদ খান পরিচালিত আন্দোলন কী নামে পরিচিত ছিল?

উত্তর : আলিগড় আন্দোলন (১৮৭৫ খ্রি.)।

6.জাতীয় কংগ্রেসে যোগদানকারী একজন মুসলিম ব্যক্তিত্বের নাম লেখো।

উত্তর : বদরুদ্দিন তৈয়াবজি।

7. কবে সৈয়দ আহমদের মৃত্যু হয়?

উত্তর : ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে।

8. ‘দ্বি-জাতি তত্ত্বের জনক কে?

উত্তর : স্যার সৈয়দ আহমদ খান।

9. বঙ্গভঙ্গ কবে অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তর : ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে।

10. মুসলিম লিগ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর : ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে।

11. মুসলিম লিগ কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর : ঢাকায়। (১৯০৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ ডিসেম্বর)।

12. মুসলিম লিগ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর : লর্ড কার্জনের সহায়তায় ঢাকার নবাব সালিম উল্লাহ।

13. ঢাকার কোথায় লিগের প্রথম অধিবেশন বসেছিল?

উত্তর : মহামেডান এডুকেশন কনফারেন্স-এ।

14. মুসলমানদের মধ্যে কে প্রথম হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছিলেন?

উত্তর : সৈয়দ মাহমুদ।

15.ভারতের মুসলমান সমাজে নবজাগরণের প্রবক্তা কে?

উত্তর : স্যার সৈয়দ আহমদ খান।

16. একজন ভারতীয় খিলাফৎ নেতার নাম লেখো।

উত্তর : শওকত আলি।

17.কবে তুরস্কের খলিফা পদের অবসান ঘটে?

উত্তর : ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে।

18. তুরস্কের খলিফা পদের অবসান কে করেন?

উত্তর : কামাল পাশা বা কামাল আতাতুর্ক।

19.৩৩ ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা, হিন্দুস্তাঁ হমারা' কার লেখা?

উত্তর : কবি মহম্মদ ইকবালের।

20.সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা কে ঘোষণা করেন?

উত্তর : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড।

21.সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা কবে ঘোষিত হয়?

উত্তর : ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে।

23.সাইমন কমিশনের সুপারিশের আইনি রূপ কী?

উত্তর : ১৯৩৫-এর ভারত শাসন আইন।

24. পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের কথা প্রথম কে বলেন?

অথবা, পাকিস্তান প্রস্তাব কে প্রথম দেন?

উত্তর : চৌধুরি রহমৎ আলি।

25. ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনের সময় ভাইসরয় কে ছিলেন?

উত্তর : লর্ড লিনলিথগো।

26. 'সি. আর. পরিকল্পনা' কে রচনা করেন?

উত্তর : চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী।

27. ‘সি. আর. পরিকল্পনা' কবে রচিত হয়?

উত্তর : ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে।

28. জিন্নাহ্ করে কংগ্রেস ত্যাগ করেন?

উত্তর : ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে। আমেদাবাদে কংগ্রেসের ৩৬ তম বার্ষিক অধিবেশনে।

29. কৃষক প্রজা পার্টির একজন নেতার নাম লেখো।

উত্তর : এ. কে. ফজলুল হক।

30.ইউনিয়নিস্ট পার্টির একজন নেতার নাম লেখো।

উত্তর : স্যার সিকন্দার হায়াৎ খান।

31. প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক কে দেন?

উত্তর : মহম্মদ আলি জিন্নাহ্।

32.প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক কবে দেওয়া হয়?

উত্তর : ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ আগস্ট।

33. ভারতীয় গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন কবে বসে?

উত্তর : ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে।

34. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার রচয়িতা কে?

উত্তর : ভি. পি. মেনন।

35. র‍্যাডক্লিফ কমিশন কবে গঠিত হয়?

উত্তর : ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জুন।

36. ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে কে মুসলিম লিগের সভাপতি নির্বাচিত

উত্তর : মহম্মদ আলি জিন্নাহ্।

37. মহম্মদ ইকবাল কে ছিলেন?

উত্তর : প্রখ্যাত উর্দু কবি ও ভারতীয় মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের প্রবক্তা।

38. Now or Never কার লেখা?

উত্তর : কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চৌধুরি রহমৎ আলির।

39. কায়দ-ই-আজম কে?

উত্তর : মহম্মদ আলি জিন্নাহ্।

40. র‍্যাডক্লিফ লাইন কী?

উত্তর : ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখা।

41. 'কায়দ-ই-আজম' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর : মহান নেতা (Great Leader) |

42. ‘পাকিস্তান রাষ্ট্রের' জনক কাকে বলা হয়?

উত্তর : মহম্মদ আলি জিন্নাহ্-কে।

43. স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?

উত্তর : মহম্মদ আলি জিন্নাহ্।

44. স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর : লিয়াকত আলি খান।

File Details:-

File Name:- Class 8 history 8 chapter short questions answers pdf 

File Format:- PDF

  Download  Click Here to Download 

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর। ক্লাস 8 ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Class 8 ইতিহাস সাম্প্রদায়িকতা থেকে দেশভাগ

প্রশ্ন ১| সাম্প্রদায়িকতা বলতে কী বোঝ?

উত্তর : কোনো ভূ-খণ্ডে বসবাসকারী দুই বা ততোধিক জনগোষ্ঠীর ধর্ম, ভাষা বা জাতিগত কারণে পরস্পরের প্রতি যে বিদ্বেষপূর্ণ মানসিকতা কাজ করে—তাকে সাম্প্রদায়িকতা বলে।


প্রশ্ন ২ | দুই জন উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতার নাম লেখো।

উত্তর> মদনমোহন মালব্য এবং কে. বি. হেদগেওয়ার।


প্রশ্ন ৩ দুই জন গোঁড়া মুসলিম নেতার নাম লেখো।

উত্তর> মহম্মদ ইকবাল ও আগা খান।


প্রশ্ন ৪ | আদমশুমারি বলতে কী বোঝ? ভারতে কত বছর অন্তর আদমশুমারি হয়?

উত্তর > আদমশুমারি বলতে জনগণনাকে বোঝায়। যার ভিত্তিতে সমাজে ধর্ম-ভাষা-লিঙ্গ-জনগোষ্ঠী প্রভৃতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা করা যায় এবং উন্নয়নের রূপরেখা নির্মিত হয়। ভারতে প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনা বা আদমশুমারি হয়।


প্রশ্ন ৬ আলিগড় মহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ কবে স্থাপিত হয়? এটি কবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হয়?

উত্তর) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে আলিগড় মহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ স্থাপিত হয়। এই কলেজ ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ হয়।


প্রশ্ন ৭ | ‘আলি ভ্রাতৃদ্বয়’ বলতে কাদের বোঝানো হয়?

উত্তর > ‘আলি ভ্রাতৃদ্বয়’ বলতে সৌকত আলি ও মহম্মদ আলিকে বোঝানো হয়। এঁরা খিলাফৎ আন্দোলনের অন্যতম দুইজন নেতা ছিলেন।

প্রশ্ন ৮। গান্ধিজি খিলাফৎ আন্দোলনকে অসহযোগ আন্দোলনের সাথে জুড়ে দিয়েছিলেন কেন?

উত্তর > গান্ধিজির উদ্দেশ্য ছিল ভারতে হিন্দু-মুসলমানদের নিয়ে ব্রিটিশ বিরোধী একটি শক্তিশালী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা।  তিনি বলেছিলেন, আগামী ১০০ বছরে এইরূপ ঐক্যবদ্ধ হবার সুযোগ আর আসবে না। তাই তিনি খিলাফৎ আন্দোলনকে অসহযোগ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন।


প্রশ্ন ৯ | মুসলিম লিগ কবে, কোথায়, কার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল?

উত্তর > ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কার্জনের অনুগ্রহে ঢাকায় মুসলিম লিগ গড়ে ওঠে এবং নেতৃত্ব দেন ঢাকার নবাব সালিম উল্লাহ।


প্রশ্ন ১০ মুসলিম লিগের পুরো নাম কী? কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর > মুসলিম লিগের পুরো নাম হল—অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগ । এটি ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রশ্ন ১১ হিন্দু-পুনরুজ্জীবনবাদ কী?

উত্তর > হিন্দু-পুনরুজ্জীবনবাদ বলতে বোঝায়, প্রাচীন বা বেদ ভিত্তিক হিন্দুধর্মকে ফিরিয়ে এনে শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার বাঁধনে


প্রশ্ন 12. কেন মুসলিম লিগ ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রামের’ ডাক দিয়েছিল?

উত্তর> নির্বাচনে জয়ী কংগ্রেস তথা জওহরলাল নেহরু প্রথমে লর্ড ওয়াভেলের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আহ্বানে সম্মত হননি। এই অবস্থায় অন্যদিকে জিন্নাহ্-র দাবি মতো কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে ওয়াভেল রাজি না হলে এবং পরবর্তী পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের যোগদানে অন্তর্বর্তী সরকারে লিগের চেয়ে কংগ্রেসের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হলে নিজেদের রাজনৈতিক অধিকার হারাবার আশঙ্কায় জিন্নাহ্ ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রামের’ ডাক দেন।


প্রশ্ন 13. ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর> সাংবিধানিক বিধি অনুসারে লর্ড ওয়াভেল ১৯৪৬  খ্রিস্টাব্দে ১২ আগস্ট কংগ্রেসকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে আহ্বান জানান। সংবিধান সভার নির্বাচনে কংগ্রেসের চমকপ্রদ

সাফল্য ও লিগের ভরাডুবিতে হতাশাগ্রস্ত জিন্নাহ্ তাঁর রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাকে বজায় রাখতে ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম' বা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আহ্বান জানান। ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ১৬ আগস্ট দিনটিকে তিনি ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস' বা Direct Action Day হিসেবে ঘোষণা করেন। ফলে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সৃষ্টি হয়, যা জিন্নাহ-র রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করেছিল। আর স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর জেনারেল বা কায়েদ-ই-আজম হন মহম্মদ আলি জিন্নাহ্।


প্রশ্ন 14. র‍্যাডক্লিফ কমিশন কী? এই কমিশন কবে দায়িত্ব গ্রহণ করে?

উত্তর : বিচারপতি স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফের নেতৃত্বে যে চার সদস্যের কমিশন ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত নির্ধারণের জন্য নিযুক্ত হয়েছিল, তা র‍্যাডক্লিফ কমিশন নামে পরিচিত। র‍্যাডক্লিফ কমিশন ১৯৪৭-এর ১২ জুলাই কার্যভার বা দায়িত্বগ্রহণ করে। (১৭ আগস্ট তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে।)


প্রশ্ন 15.| ‘পাকিস্তান’ শব্দের উদ্ভাবক কে? কীভাবে তা সৃষ্টি হয়?

উত্তর : পাকিস্তান শব্দের উদ্ভাবক উদ্ভাবক হলেন কেমব্রিজ

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চৌধুরি রহমৎ আলি। তিনি তাঁর ‘Now or Never' পুস্তিকায় দেখান যে, পাঞ্জাব, আফগান প্রদেশ, কাশ্মীর, সিন্ধু প্রদেশের প্রথম অক্ষরগুলি বা আদ্যক্ষর ও বালুচিস্তান প্রদেশের শেষ চারটি অক্ষর নিয়ে পাকিস্তান


প্রশ্ন 16.|সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা (১৯৩২ খ্রি.) কী?

অথবা, ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ কী?

উত্তর > ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড আইনসভার নির্বাচনে ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচন-কেন্দ্রের অধিকারের নীতি ঘোষণা করেন, যা সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা (১৯৩২ খ্রি.) নীতি নামে পরিচিত। ব্রিটিশ সরকারের এই নীতির ফলে ভারতীয়মুসলিম, ভারতীয় খ্রিস্টান, শিখ, ইউরোপীয় প্রভৃতি সম্প্রদায়কে পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়। ব্রিটিশ সরকারের ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ নীতির ফলশ্রুতিতে তৎকালীন ভারতে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ বৃদ্ধি পেয়েছিল।


17. ‘দ্বি-জাতি তত্ত্ব’ কী?

উত্তর > হিন্দু ও মুসলমান দুটি পৃথক ধর্মের নাম নয়, ভারতে বসবাসকারী হিন্দু ও মুসলমানরা হল দুটি পৃথক জাতি— এই ধরনের বক্তব্যই ‘দ্বি-জাতি তত্ত্ব’ নামে পরিচিত। স্যার সৈয়দ আহমদ খান দ্বি-জাতি তত্ত্বের বীজ বপন করলেও পরবর্তীকালে মহম্মদ আলি জিন্নাহ্ ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলিকে নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের জন্য পৃথক ও সার্বভৌম পাকিস্তান রাষ্ট্রের দাবিতে এই তত্ত্ব প্রচার করেন।


18.পাকিস্তান প্রস্তাব কী?

উত্তর > ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতের মুসলিম প্রধান অঞ্চলগুলিকে নিয়ে মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক সার্বভৌম মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানানো হয়— এটিই লাহোর প্রস্তাব নামে পরিচিত। তবে এই প্রস্তাবে ‘পাকিস্তান' কথাটির উল্লেখ না থাকলেও পরবর্তীকালে এটি ‘পাকিস্তান প্রস্তাব’ নামে পরিচিতি লাভ করে।


19. উদ্বাস্তু কাদের বলে? উদ্বাস্তু সমস্যা কী?

উত্তর> বিভিন্ন কারণে এক দেশ বা স্থান থেকে ও অন্য দেশে বা স্থানে জীবন-জীবিকার কারণে আগত শরণার্থীদের বলা হয় উদ্বাস্তু। দাঙ্গা বা অন্য কারণে একসঙ্গে অনেক লোকের জীবন- জীবিকার জন্য অন্যস্থানে স্থায়ী বা অস্থায়ী ভাবে থাকার ফলে আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংকট দেখা যায়। দেশ ভাগের সূত্রে পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু শরণার্থীদের আগমনের ফলে পশ্চিমবঙ্গের মতো ছোটো ও ঘনবসতি পূর্ণ রাজ্যেরআর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার উদ্ভব ঘটেছে।


20. ‘র‍্যাডক্লিফ লাইন’ বলতে কী বোঝ?

 উত্তর> ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা অনুসারে ভারত বিভাজনের কাজ সমাপ্ত করার উদ্দেশে বিভাজন কাউন্সিল (Partition Council) গঠিত হয়। মূলত বাংলা ও পাঞ্জাব অঞ্চলের সীমারেখা নির্ধারণের জন্য বিশিষ্ট ব্রিটিশ আইনজীবী স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফের নেতৃত্বে এই কমিশন গঠিত হয়। কমিশনে কংগ্রেস ও লিগের প্রতিনিধিরূপে যথাক্রমে এইচ. এম. প্যাটেল ও চৌধুরি মহম্মদ আলি-কে নিযুক্ত করা হয়। কমিশন ১২ জুলাই (১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দ) কার্যভার গ্রহণ করে এবং ১৭ আগস্ট (১৯৪৭) তার চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে। যার ভিত্তিতে বাংলাকে—পশ্চিমবঙ্গ


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | ক্লাস 8 ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | Class 8 history 8th chapter question answer pdf 

1. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার প্রধান শর্তগুলি কী ছিল? তোমার মতে এই পরিকল্পনার ত্রুটিগুলি কী ছিল?

উত্তর : ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলি ঘোষণা করেন যে, ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসের মধ্যে ইংরেজ ভারত ত্যাগ করবে এবং এই সময়ের মধ্যে ক্ষমতাহস্তান্তরের সমস্ত ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হবে। এই ঘোষণাকে রূপায়িত করতে লর্ড মাউন্টব্যাটেন কংগ্রেস ও মুসলিম লিগ নেতাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর ভারত বিভাগ সংক্রান্ত পরিকল্পনা উপস্থাপিত করেন। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন এই পরিকল্পনা ঘোষিত হয়।


মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার প্রধান শর্তসমূহ :

১ .ভারতবর্ষকে বিভক্ত করে ‘ভারত’ ও ‘পাকিস্তান’ নামে দুটি স্বতন্ত্র ডোমিনিয়ন গঠন করা হবে। ভারত ও পাকিস্তান ডোমিনিয়নে যতদিন সংবিধান রচনা না হয় ততদিন ওই দুটি ডোমিনিয়নের প্রতিটিতে   ব্রিটিশ সরকার নিযুক্ত একজন করে গভর্নর জেনারেল থাকবেন।

২. ধর্মের ভিত্তিতে পাঞ্জাব ও বাংলা প্রদেশ দুটিকে ভাগ করা  হবে। ৩. উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও বালুচিস্তানে গণভোট নিতে হবে। ৪. ডোমিনিয়ন দুটি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়সমূহ পরিচালনা করতে পারবে।

৫. মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশ—সিন্ধু, ব্রিটিশ বালুচিস্তান,

উত্তর-পশ্চিম সীমান্তপ্রদেশ, পশ্চিম পাঞ্জাব, পূর্ব বাংলা নিয়ে ‘পাকিস্তান’ গঠিত হবে।

৬. পাঞ্জাব ও বাংলাকে কীভাবে বিভক্ত করে কোন্ অঞ্চলকে কোন ডোমিনিয়নের সঙ্গে যুক্ত করা হবে তা ব্রিটিশ সরকার নিযুক্ত একটি ‘সীমান্ত নির্ধারণ কমিশন’ ক্ষমতা হস্তান্তরের আগেই ঠিক করে দেবে।

৭. আসামের শ্রীহট্ট জেলা কোন্ ডোমিনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হবে তা গণভোটের মাধ্যমে স্থির করা হবে।

৮. প্রতিটি ডোমিনিয়নের নির্বাচিত গণপরিষদ নিজেদের অঞ্চলের জন্য স্বাধীনভাবে সংবিধান রচনা করতে পারবে।

৯ .ক্ষমতা হস্তান্তরের পর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কোনো আইন এই দুটি ডোমিনিয়নে বলবৎ করা যাবে না। প্রতিটি ডোমিনিয়নের নির্বাচিত আইনসভা তাদের নিজেদের দেশের জন্য আইন রচনা করবে।

১০. দেশীয় রাজ্যগুলি নিজেদের রাজ্যেসার্বভৌম ক্ষমতা লাভ করবে এবং ইচ্ছা অনুযায়ী ভারত বা পাকিস্তান ডোমিনিয়নে যোগ দিতে পারবে।*


মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার ত্রুটিসমূহ :

১.পরিকল্পনায় আবহমানকাল ধরে ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যবন্ধনে আবদ্ধ উপমহাদেশকে কৃত্রিম রাজনৈতিক সীমান্তরেখায় বাঁধা হয়।

২. এই পরিকল্পনায় ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগকে উৎসাহ দেওয়া হয়, যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীকালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্রের জন্ম হয়।

৩. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনায় সাম্প্রদায়িক সমস্যা অমীমাংসিত ছিল।

৪ .এই পরিকল্পনায় ক্ষমতা হস্তান্তরের পর জন-বিনিময় কর্মসূচি অনুল্লেখিত ছিল।

৫. মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনায় দেশবিভাগের পরে আসন্ন উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের কোনো দিশা রাখা হয়নি


2.| দ্বি-জাতি তত্ত্ব কী? এই তত্ত্বের জনক কাকে বলা হয়? ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ পর্যায়ে এই তত্ত্বের প্রভাব কী ছিল?

উত্তর : প্রথম অংশের জন্য ৫নং প্রশ্নের প্রথম অনুচ্ছেদ দ্যাখো। স্যার সৈয়দ আহমদ খানকে বলা হয় দ্বি-জাতি তত্ত্বের জনক।

* দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রভাব :

•১) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জিন্নাহ্-র নেতৃত্বে মুসলিম লিগ দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে উত্তর-পশ্চিম ও পূর্ব ভারতের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রদেশগুলোকে নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক সার্বভৌম মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানায়। ১৯৪০ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে জিন্নাহ্ পাকিস্তান দাবির প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।


২) মুসলিম লিগের 'লাহোর প্রস্তাব’ সাম্প্রদায়িকতায় ইন্ধন জোগায় এবং ব্রিটিশ সরকারের সাম্প্রদায়িক বিভেদ নীতি তীব্র হয়ে ওঠে। 


৩) লর্ড ওয়াভেল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি জওহরলাল নেহরুকে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানালে সেই ঘটনায় উত্তেজিত ও ক্রুদ্ধ মুসলিম লিগ ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম’ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ১৬ আগস্ট সমগ্র ভারতে ‘প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবস’ পালিত হয়। ওইদিন কলকাতায় ভয়াবহ দাঙ্গাহাঙ্গামা বাধে এবং এরপর থেকে ভারতের অন্যত্রও সাম্প্রদায়িক সংঘাতের আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

৪) আপাতদৃষ্টিতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান আন্দোলন জয়যুক্ত হলেও জিন্নাহ্ চেয়েছিলেন সমগ্র বাংলা ও পাঞ্জাব আত্মসাৎ করতে কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁকে বাংলা ও পাঞ্জাব বিভাগও মেনে নিতে হয়।


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Class 8 history 8 no chapter questions answers pdf 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

     : আরও পোস্ট দেখো :    B           

A.

B.

C.


THANK YOU & WELCOME



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url