অষ্টম শ্রেণি ভূগোল পৃথিবীর অন্দরমহল প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf
পৃথিবীর অন্দরমহল প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণি | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf
আসসালামু আলাইকুম, তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির পৃথিবীর অন্দরমহল প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ভূগোল ও পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর পৃথিবীর অন্দরমহল। অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ পৃথিবীর অন্দরমহল প্রশ্ন উত্তর। class viii geography chapter 1 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায় পৃথিবীর অন্দরমহল প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 Geography 1st chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে ।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশে ১ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ১ প্রশ্ন উত্তর ,গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর প্রথম অধ্যায় pdf download, Class 8 Geography first chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।
YouTube Link - . OUR ONLINE SCHOOL SUBSCRIBE
যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool247
আরও পোস্ট দেখো B
A.
B.
C.
অষ্টম শ্রেণীর প্রথম অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ক্লাস 8 ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
ANS:-
অষ্টম শ্রেণি ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download,অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ১ প্রশ্ন উত্তর , pdf,class 8 Geography 1st chapter question answer,
প্রশ্ন ১.১ ম্যাগমা কাকে বলে?উত্তর ভূগর্ভের পদার্থসমূহ যথা কঠিন শিলা, গ্যাস, বাষ্প প্রভৃতি প্রচণ্ড চাপ ও তাপের প্রভাবে গলিত ও মিশ্রিত অবস্থায় থাকে। এই উত্তপ্ত গলিত পদার্থের মিশ্রণকে ম্যাগমা বলে।
প্রশ্ন ১.২ লাভা কাকে বলে?
উত্তর ভূগর্ভের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ বা ম্যাগমা যখন ভূপৃষ্ঠের ফাটল পথে বেরিয়ে আসে, তখন তাকে লাভা বলে। ব্যাসল্ট একটি লাভা শিলা।
প্রশ্ন ১.৩ পদার্থের ঘনত্ব বলতে কী বোঝ?
একক আয়তনের ভরকে ঘনত্ব বলে। অর্থাৎ প্রতি ঘনসেমি জায়গায় পদার্থের ভর কতটা সেটাই হল পদার্থের ঘনত্ব|
প্রশ্ন ১.৪ সিয়াল কাকে বলে?
মহাদেশের নীচে প্রায় ৬০ কিমি গভীরতা পর্যন্ত শিলাস্তর প্রধানত সিলিকন (Si) এবং অ্যালুমিনিয়াম (Al) দিয়ে গঠিত। হালকা উপাদানে গঠিত এই অংশ মহাদেশীয় ভূত্বক বা সিয়াল (SIAL) নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ১.৫ সিমা কাকে বলে?
ভিজ্ঞ মহাসাগরের নীচে প্রায় ৫ কিমি গভীরতা পর্যন্ত ভূত্বক প্রধানত সিলিকন এবং ম্যাগনেসিয়াম দিয়ে তৈরি। ভারী উপাদানে গঠিত এই মহাসাগরীয় ভূত্বক সিমা (SIMA) নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ১.৬ বিযুক্তিরেখা কাকে বলে?
উত্তর পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত যেখানে যেখানে ভূমিকম্পের গতিবেগের পরিবর্তন ঘটে ভূতত্ত্ববিদরা সেই কল্পিত রেখাকে বিযুক্তিরেখা (Discontinuty) বলে।
প্রশ্ন ১.৭ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার কাকে বলে?
উত্তর) শিলামণ্ডলের নীচে এবং গুরুমণ্ডলের ওপরের অংশে গলিত ও নমনীয় স্তর দেখা যায়। মূলত সান্দ্র অবস্থায় থাকা শিলায় গঠিত এই স্তরকে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার বলে।
প্রশ্ন ১.৮ উয়প্রস্রবণ কী উদাহরণ দাও।
ভৌমজল (ভূগর্ভস্থ জল) উত্তপ্ত হয়। এই উত্তপ্ত জল ভূপৃষ্ঠের ফাটল বরাবর নির্দিষ্ট বেগে ফোয়ারার আকারে বা শান্তভাবে ভূপৃষ্ঠের ওপরে উৎক্ষিপ্ত হলে তাকে ‘উয়ুপ্রস্রবণ’ (গিজার/গাইজার) বলে। বীরভূমের বক্রেশ্বরে উষ্ণপ্রস্রবণ দেখা যায়।
প্রশ্ন ১.৯) আগ্নেয়গিরি কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
আগ্নেয় অর্থাৎ আগুন থেকে সৃষ্ট, ‘গিরি’ শব্দের অর্থ পর্বত। ভূগর্ভের আগ্নেয় পদার্থ ভূপৃষ্ঠের ফাটলপথে বেরিয়ে এসে যে শঙ্কু আকৃতির পর্বত গঠন করে তাকে বলে আগ্নেয়গিরি। উদাহরণ-জাপানের ফুজিয়ামা বা মাউন্ট ফুজি।
প্রশ্ন ১.১০ ভূ-তাপ শক্তি কাকে বলে?
উত্তর ত্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূকেন্দ্রের দিকে প্রতি ৩৩ কিমিতে ১০ সেন্টিগ্রেড হারে তাপ বাড়ে; তাই ভূকেন্দ্র উয়; বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হলে তাকে বলে ভূতাপ শক্তি। আইসল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডে ভূ-তাপ শক্তির ব্যবহার বেশি প্রচলিত।
প্রশ্ন ১.১১ পাত কী? পাতগুলি কোথায় ভেসে আছে?
উত্তর পৃথিবীর ভূত্বক আসলে কতকগুলি খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত, সেগুলিকেই ‘পাত’ বা Plate বলে। এই পাতগুলি থকথকে জেলির মতো সান্দ্র পদার্থ বা অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের ওপর ভেসে আছে।
প্রশ্ন ১.১২ ভূ-কম্পীয় তরঙ্গ বলতে কী বোঝ?
উত্তর ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে কম্পন যখন তরঙ্গ আকারে ভূপৃষ্ঠের দিকে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তাকে বলা হয় ভূ-কম্পীয় তরঙ্গ। এই তরঙ্গের মাত্রা বেশি হলেই ভূমিকম্প ঘটে।
প্রশ্ন ১.১৩ ভূ-কম্পীয় তরঙ্গ ক-প্রকার ও কী কী?
উত্তর ভূকম্পীয় তরঙ্গ তিন প্রকার। যথা—
P-তরঙ্গ বা প্রাথমিক তরঙ্গ (Primary Waves)
S-তরঙ্গ বা গৌণ তরঙ্গ (Secondary Waves)
L-তরঙ্গ বা পৃষ্ঠ তরঙ্গ (Long Waves)।
প্রশ্ন ১.১৪ বিযুক্তিরেখা কাকে বলে?
উত্তর ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর কেন্দ্রীয় অঞ্চল পর্যন্ত যেসব স্থানে ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবেগের পরিবর্তন হয়, সেইসব স্থানকে বলা হয় বিযুক্তিরেখা। অন্যভাবে বলা যায়, ভূ-অভ্যন্তরের একটি স্তরের শেষ এবং অপর স্তরের শুরু যে রেখায় তাকে বিযুক্তিরেখা বলে।
প্রশ্ন ১.১৫ বিযুক্তিরেখা ক-প্রকার ও কী কী?
উত্তর বিযুক্তিরেখা পাঁচ প্রকার। যথা—
● কনরাড বিযুক্তিরেখা,
●মোহোরোভিসিক 369+বিযুক্তিরেখা,
●গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা,
●রেপিত্তি বিযুক্তিরেখা,
● লেম্যান বিযুক্তিরেখা।
প্রশ্ন: ১.১৬ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার বলতে কী বোঝ?
উত্তর পৃথিবীর শিলামণ্ডলের নীচে ও গুরুমণ্ডলের ওপরের অংশে যে উত্তপ্ত, গলিত ও নমনীয় স্তর রয়েছে, তাকে বলা হয় অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার। অ্যাস্থেনোস্ফিয়ার দুর্বল স্তর, তাই একে দুর্বল স্তরও বলা হয়।
প্রশ্ন: ১.১৭ জ্বালামুখ কী?
আগ্নেয় পর্বতের শীর্ষদেশে যে গর্ত দিয়ে ফুটন্ত লাভা, ছাই, সিন্ডার ইত্যাদি বেরিয়ে আসে সেই কানেলাকৃতি গর্তকে বলে জ্বালামুখ ।
File Details:-
File Name:- Class 8 geography chapter 1 questions answers in bengali pdf
File Format:- PDF
Download: Click Here to Download
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর।class 8 Geography chapter 1 question answer pdf | Class 8 ভূগোল ও পরিবেশ পৃথিবীর অন্দরমহল
1. পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগকে কয়টি স্তরে ভাগ করা হয় ও কী কী? ভূত্বক বা শিলামণ্ডলের বিবরণ দাও।
উত্তর : পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগকে তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়। যথা- ভূত্বক (Crust) বা শিলামণ্ডল, গুরুমণ্ডল (Mantle) এবং কেন্দ্রমণ্ডল (Core)।
ভূত্বক (Crust) বা শিলামণ্ডল :
সংজ্ঞা (Definition) : আমাদের পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ যে তিনটি স্তরে বিভক্ত তার মধ্যে সবচেয়ে ওপরের যে স্তরটি অপেক্ষাকৃত হালকা উপাদানে গঠিত এবং অন্য দুটি স্তরকে ঘিরে রেখেছে তাকে ভূত্বক (Crust) বা শিলামণ্ডল বলে।
প্রধান উপাদান : ভূত্বকের প্রধান উপাদান হল সিলিকন (Si) এবং ম্যাগনেসিয়াম (Mg), অ্যালুমিনিয়াম (AI) ও অক্সিজেন (O2)।
উপস্তর : ভূত্বকের দুটি স্তর। যথা : (ক) সিয়াল (Sial) : সিলিকন (Si) এবং অ্যালুমিনিয়াম গঠিত। এই শিলায় আছে বিভিন্ন প্রকার খনিজ। একেবারে ওপরে আছে মাটি।
বিযুক্তিরেখা : সিয়াল ও সিমার মাঝে আছে কনরাড বিযুক্তিরেখা এবং ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মাঝে আছে মোহোরোভিসিক বিযুক্তিরেখা।
2. গুরুমণ্ডল কাকে বলে? গুরুমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
উত্তর: গুরুমণ্ডল (Mantle) :
সংজ্ঞা : ভূত্বকের নীচে প্রায় ২৯০০ কিমি পর্যন্ত স্তরটিকে বলা হয় গুরুমণ্ডল বা ম্যান্টল।
● গুরুমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য :
প্রধান উপাদান : গুরুমণ্ডলের প্রধান উপাদান হল – লোহা (Fe), নিকেল (Ni), ক্রোমিয়াম (Cr), সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেসিয়াম (Mg)।
উপস্তর : দুটি যথা- গুরুমণ্ডলের দুটি স্তর।
(ক) বহিঃগুরুমণ্ডল : গুরুমণ্ডলের ৩০-৭০০ কিমি পর্যন্ত বহিঃগুরুমণ্ডল বিস্তৃত। এই অংশে ক্রোমিয়াম (Cr), লোহা(Fe), সিলিকন (Si) এবং ম্যাগনেসিয়াম (Mg)-এর প্রাধান্য দেখা যায়, তাই এই স্তরের নাম ক্রোফেসিমা (Crofesima)।
(খ) অন্তঃগুরুমণ্ডল : গুরুমণ্ডলের ৭০০-২৯০০ কিমি পর্যন্ত অংশকে অন্তঃগুরুমণ্ডল বলে। এই অংশে
নিকেল (Ni), লোহা (Fe), সিলিকন (Si) ও ম্যাগনেসিয়ামের প্রাধান্য থাকায় এই স্তরের নাম হয়েছে নিফেসিমা (Nifesima)।
উয়তা বা তাপমাত্রা : গুরুমণ্ডলের উয়তা ২,০০০°- ৩,০০০° সে.।
ঘনত্ব : গুরুমণ্ডলের পদার্থের ঘনত্ব ৩.৪-৫.৬গ্রাম/ঘনসেমি।
বিযুক্তিরেখা : গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে আছে গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা।
3.কেন্দ্রমণ্ডল কাকে বলে? কেন্দ্রমণ্ডলের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখো।
সংজ্ঞা : কেন্দ্রকে বেষ্টনকারী শেষ স্তরটি হল কেন্দ্রমণ্ডল।
● কেন্দ্রমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য :
প্রধান উপাদান : এই স্তরের প্রধান উপাদান হল নিকেল (Ni) এবং লোহা (Fe)। তাই এই স্তরের নাম হয়েছে নিফে (Nife)।
উপস্তর : কেন্দ্রমণ্ডল দুটি স্তরে বিভক্ত। যথা—(ক) বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল : এই স্তরটি গুরুমণ্ডলের নীচে ২৯০০-৫১০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই স্তরটি অর্ধকঠিন অবস্থায় পৃথিবীর অক্ষের চারদিকে আবর্তন করছে।
(খ) অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডল : পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রের কাছে অবস্থিত এই স্তরটি ৫১০০-৬৩৭০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানকার পদার্থগুলো কঠিন অবস্থায় আছে।
উন্নতা বা তাপমাত্রা : কেন্দ্রমণ্ডলের গড় তাপমাত্রা ৫০০০° সে.।
ঘনত্ব : এই স্তরের ঘনত্ব ৯.১-১৩.১ গ্রাম/ঘনসেমি।ভূ-অভ্যন্তরের সর্বাধিক ঘনত্ববিশিষ্ট স্তরটি হল কেন্দ্রমণ্ডল।
বিযুক্তিরেখা : গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে আছে গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা। বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল ও অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে আছে লেম্যান বিযুক্তিরেখা।
গভীরতা : বহিঃকেন্দ্রমণ্ডলের গভীরতা প্রায় ২২০০ কিমি এবং অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের গভীরতা প্রায় ১২৭০ কিমি। অর্থাৎ কেন্দ্রমণ্ডল প্রায় (২২০০ + ১২৭০) কিমি = ৩৪৭০ কিমি পুরু।
ক্লাস 8 ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | অষ্টম শ্রেণীর প্রথম অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | class 8 Bhugola 1st chapter question answer pdf
প্রশ্ন: টীকা লেখো : ভূমিকম্প তরঙ্গ।
]সংজ্ঞা : জলে ঢিল পড়লে যেমন চারদিকে তরঙ্গ বিস্তার লাভ করে তেমনিভাবে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের চারদিকে তরঙ্গের আকারে প্রবাহিত তরঙ্গকে ভূমিকম্পের তরঙ্গ বলে।
শ্রেণিবিভাগ : ভূমিকম্পের তরঙ্গ তিন প্রকার যথা :
প্রাথমিক তরঙ্গ বা প্রাইমারি ওয়েভ (P–তরঙ্গ), গৌণ তরঙ্গ বা সেকেন্ডারি ওয়েভ (S-তরঙ্গ) এবং পার্শ্ব বা পৃষ্ঠ তরঙ্গ বা সারফেস ওয়েভ (L-তরঙ্গ)।
প্রশ্ন: ভূমিকম্প তরঙ্গ
প্রাথমিক তরঙ্গ (P-তরঙ্গ)
এই তরঙ্গ ভূস্তরের মধ্য দিয়ে ক্রম-সংকোচনের মাধ্যমে প্রবাহিত হয় বলে একে টানা তরঙ্গ বা ঠ্যালা তরঙ্গ বলে। এই তরঙ্গের গতিবেগ সর্বাধিক (প্রতি সেকেন্ডে ৫ থেকে ১৪ কিমি)। P–তরঙ্গের শক্তিও সবচেয়ে বেশি। এই তরঙ্গ কঠিন, তরল যে-কোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে এবং সর্বপ্রথম ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রে পৌঁছায়।
[গৌণ তরঙ্গ (S-তরঙ্গ) : এই তরঙ্গ S-তরঙ্গের পর ধাক্কার মাধ্যমে ভূস্তরের একপাশ থেকে অন্যপাশে প্রবাহিত হয়। একে তির্যক তরঙ্গ বা ঝাঁকুনি তরঙ্গ বলে। এই তরঙ্গের গতিবেগ সেকেন্ডে ৩.৫-৭.২ কিমি। এই তরঙ্গ শুধুমাত্র তরল বা অর্ধতরল মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয
পার্শ্ব তরঙ্গ (L-তরঙ্গ) : এই তরঙ্গ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র থেকে ভূপৃষ্ঠ বরাবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। L- তরঙ্গ প্রভাবে স্থলভাগে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়।
5. টীকা লেখো : বিযুক্তিরেখা।
উত্তর সংজ্ঞা : ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূকেন্দ্র পর্যন্ত যে যে স্থানে ভূমিকম্পের তরঙ্গের গতিবেগ পরিবর্তন হয়, সেইসব স্থানকে ভূতত্ত্ববিদরা বিযুক্তিরেখা বলে অভিহিত করেন।
বৈশিষ্ট্য : বিযুক্তিরেখা দ্বারা দুটি ভিন্ন উপাদান ও ঘনত্বের স্তরকে পৃথক করা যায়।
প্রকারভেদ : ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূকেন্দ্র পর্যন্ত কতকগুলো বিযুক্তিরেখা দেখা যায়। যেমন—
(১) কনরাড বিযুক্তিরেখা, (২) মোহোরোভিসিক বিযুক্তি বা মোহো বিযুক্তি, ৩ রেপিত্তি বিযুক্তিরেখা, ৪ গুটেনবার্গ বিযুক্তি এবং ৫ লেহম্যান বিযুক্তিরেখা।
- কনরাড বিযুক্তিরেখা : সিয়াল ও সিমা স্তরের মাঝে অবস্থিত বিযুক্তিরেখাকে বলে কনরাড বিযুক্তিরেখা।
- মোহোরোভিসিক বিযুক্তিরেখা বা মোহোবিযুক্তি : ভূত্বক ও গুরুমণ্ডলের মাঝে অবস্থিত বিযুক্তিরেখার নাম মোহোরোভিসিক বিযুক্তিরেখা বা মোহো বিযুক্তিরেখা।
- রেপিত্তি বিযুক্তিরেখা : ক্লোফেসিমা এবং নিফেসিমার মাঝে অবস্থিত বিযুক্তিরেখার নাম রেপিত্তি বিযুক্তিরেখা।
- গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা : গুরুমণ্ডল ও কেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে রয়েছে গুটেনবার্গ বিযুক্তিরেখা।
- লেহম্যান বিযুক্তিরেখা : বহিঃকেন্দ্রমণ্ডল এবং অন্তঃকেন্দ্রমণ্ডলের মাঝে আছে লেম্যান বিযুক্তিরেখা।
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
File Details:-
File Name:- Class 8 geography 1st chapter questions answers pdf
File Format:- PDF
File Size:- Mb
Download: Click Here to Download
আরও পোস্ট দেখো B
A
B
C
THANK YOU & WELCOME