অষ্টম শ্রেণি ভূগোল অস্থিত পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

অস্থিত পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণি ভূগোল| অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 Geography 2 chapter question answer pdf

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির অস্থিত পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ভূগোল ও পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর অস্থিত পৃথিবী।অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ অস্থিত পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর। class viii geography chapter 2 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় অস্থিত পৃথিবী প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 Geography 2 chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।

তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশে ১ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর , অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ২ প্রশ্ন উত্তর | গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় pdf download, Class 8 Geography second chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool247

      আরও পোস্ট দেখো    B  

A.

B.

C.

অষ্টম শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | class 8 Bhugola 2n chapter question answer pdf 

ANS:- 


অষ্টম শ্রেণি ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download,অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ২ প্রশ্ন উত্তর,class 8 Geography 2nd chapter question answer,

প্রশ্ন ১.১ পাত (Plate) কী ?

উত্তর পৃথিবীর বাইরের আবরণটা (লিথোস্ফিয়ার) কতকগুলো শক্ত (Rigid) ও কঠিন (Solid) খণ্ডে বিভক্ত। অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান এই খণ্ডগুলিকে বলে পাত (Plate)। পাতগুলোর আয়তন অনেক বেশি কিন্তু বেধ কম। মহাদেশ, মহাসাগর অথবা মহাদেশ ও মহাসাগর দুরকম অংশ নিয়ে পাত গঠিত হতে পারে। মহাসাগরীয় পাতের চেয়ে মহাদেশীয় পাত বেশি পুরু।


প্রশ্ন ১.২ ভূপৃষ্ঠের ৬টি বড়ো পাতের নাম করো।

৬টি বড়ো পাত হল – (১) প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত, ইউরেশীয় পাত, (৩) আমেরিকান পাত, ৪ আফ্রিকান পাত, ৫ ভারত-অস্ট্রেলীয় পাত এবং ৬ আন্টার্কটিক পাত। 


প্রশ্ন ১.৩ ভূপৃষ্ঠের মাঝারি পাতগুলির নাম লেখো। 

ভূপৃষ্ঠের মাঝারি পাতগুলি হল - ২ ফিলিপাইন, ৩ আরবীয়, 8 ইরান, ৫ নাজকা, উত্তর ভূপৃষ্ঠের চিন, ৬ কোকোস, ও ক্যারিবিয়ান, (৮) স্কোশিয়া।

প্রশ্ন ১.৪ ভূবিদ্যা (Geology) কাকে বলে?

উত্তর পৃথিবীর উৎপত্তির ইতিহাস, উপাদান, গঠন পদ্ধতি ইত্যাদি সংক্রান্ত বিজ্ঞানকে বলা হয় ভূবিদ্যা (Geology)।\

প্রশ্ন ১.৫) অপসারী পাত সীমানা কাকে বলে?

উত্তর যে সীমারেখা বরাবর পাতগুলো পরস্পর থেকে ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে তাকে অপসারী পাত সীমানা বলে। এই সীমানায় পলি সঞ্চয় ঘটে এবং ভূমিরূপ গঠন হয় বলে একে গঠনকারী পাত সীমানাও বলে।


প্রশ্ন ১.৬) অভিসারী পাত সীমানা কাকে বলে?

যে সীমারেখা বরাবর পাতগুলো পরস্পরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, তাকে অভিসারী পাত সীমানা বলে। এই সীমানায় ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত প্রভৃতি ঘটে বলে একে বিনাশকারী সীমানাও বলে।


প্রশ্ন ১.৭ ট্রান্সফর্ম পাত সীমানা কাকে বলে?

যে সীমানা বরাবর পাতগুলো পরস্পরের সমান্তরালে, পাশাপাশি সঞ্চারিত হয় তাকে ট্রান্সফর্ম পাত সীমানা বলে। এই সীমানায় গঠন বা বিনাশ ঘটে না বলে একে নিরপেক্ষ সীমানাও বলে।

চ্যুতি ভূমিকম্প প্রবণ স্থান মহাদেশীয় পাতের আপেক্ষিক চলন বিপরীত পাশে প্রকৃত চলন একই দিকে অথচ ভিন্ন গতিতে প্রকৃত চলন উত্তর আমেরিকার সান অ্যান্ড্রিয়াস চ্যুতি নিরপেক্ষ পাত

সীমান্তে অবস্থিত। এখানে বিপরীত দিকে চলমান পাতদুটির প্রায় ১০০০ কিমি সরণ ঘটেছে। সান অ্যান্ড্রিয়াস চ্যুতি বরাবর প্রশান্ত মহাসাগরীয় পাত উত্তরে ও উত্তর আমেরিকা পাত দক্ষিণে সরে যাচ্ছে।


প্রশ্ন ১.৮) হিমালয় পর্বতমালা ও আল্পস পর্বতমালা কোন্ কোন্ পাতের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়েছে?

উত্তর ইউরেশীয় ও ভারতীয়—এই দুই মহাদেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়েছে হিমালয় পর্বতমালা। আফ্রিকা ও ইউরেশীয় এই দুই মহাসাগরীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে সৃষ্টি হয়েছে আল্পস পর্বতমালা।


প্রশ্ন ১.৯ পাত সঞরণের ফলে প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের আয়তনগত কী পরিবর্তন ঘটছে? 

পাত সঞরণের ফলে প্রশান্ত মহাসাগর ক্রমশ ছোটো হচ্ছে। পাত সঞরণের ফলে আটলান্টিক মহাসাগর প্রসারিত হচ্ছে।


প্রশ্ন ১.১০ কোন্ কোন্ ভঙ্গিল পর্বতকে ‘নবীন’ পর্বত বলা হয় এবং কেন?

উত্তর প্রায় ৪০ লক্ষ কোটি বছর আগে পৃথিবীর কয়েকটি অংশে পর্বত গঠনের কাজ শুরু হয় এবং সেখানে পর্বত গঠনের কাজ তখনও চলছে। এগুলি হল নবীন ভঙ্গিল পর্বত। পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত সর্বশেষ গঠিত পর্বত হল নবীন ভঙ্গিল পর্বতগুলি (যেমন : হিমালয়, আল্পস, রকি, আন্দিজ ইত্যাদি) এবং এরপর আর কোনো পর্বত গঠনের কাজ শুরু হয়নি।


প্রশ্ন ১.১১ প্যানজিয়া কী?

উত্তর আজ থেকে প্রায় ৫০ কোটি বছর পূর্বে পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ একত্রে একটি বৃহদাকার মহাদেশ বা ভূখণ্ডরূপে অবস্থান করত। একে বলা হয় প্যানজিয়া।

Pan = All, সমস্ত Gia = স্থলভাগ অর্থাৎ Pangia = সব মহাদেশ।


প্রশ্ন ১.১২ প্যানথালাসা কী?

উত্তর প্যানজিয়াকে কেন্দ্র করে একসময় পৃথিবীর সমস্ত মহাসাগর একত্রে একটি বৃহদাকার জলাশয় বা মহাসাগর রূপে অবস্থান করত। একে বলা হয় প্যানথালাসা। Pan = সমস্ত, Thalasa = sea.


প্রশ্ন ১.১৩) পরিচলন স্রোত কী?

উত্তর ভূ-অভ্যন্তরে তাপের তীব্র অসমতার কারণে গুরুমণ্ডলের ঊর্ধ্ব অংশ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে যে তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হয়, তাকে পরিচলন স্রোত বলে। এই স্রোতের ফলে ভূপৃষ্ঠের পাতগুলি পরস্পরের দিকে, বিপরীতে পাশাপাশি চলমান হয়।


প্রশ্ন ১.১৪) পরিচলন কক্ষ কী?

উত্তর পরিচলন স্রোতের প্রভাবে ভূ-অভ্যন্তরের ম্যাগমা গতিশীলতা লাভ করে ওপরে উঠে এসে শীতল ও কঠিন হয়ে ভূত্বকের নিকটে দু-দিকে সরে যায়। এরপর ওই স্রোত কিছুটা নিম্ন দিকে প্রবাহিত হয়ে যে কক্ষের সৃষ্টি করে, তাকে পরিচলন কক্ষ বলে।


প্রশ্ন ১.১৭ অপসারী পাতকে গঠনকারী পাত সীমানা বলা হয় কেন?

উত্তর যে পাতগুলো পরস্পর থেকে দূরে সরে যায় তাকে অপসারী পাত সীমানা (Divergent plate margin) বলে।

মহাসাগরীয় দুটো পাত পরস্পর থেকে দূরে সরে গেলে মাঝের ফাটল বরাবর ভূগর্ভের গলিত পদার্থ (ম্যাগমা) বেরিয়ে আসে এবং শীতল ও কঠিন হয়ে মহাসাগরীয় নতু ত্বক ও মধ্য-সামুদ্রিক শৈলশিরা (Mid-oceanic ridge) গঠিত হয়। এই কারণেই অপসারী পাত সীমানাকে বলা হয় গঠনকারী পাত সীমানা (Constructive plate margin) |


প্রশ্ন ১.১৮ নিমজ্জিত পাত সীমানায় একাধিক আগ্নেয়গিরি এবং আগ্নেয় দ্বীপ সৃষ্টি হয় কেন?

উত্তর মহাসাগরীয় ও মহাদেশীয় পাত পরস্পরের দিকে চলনের ফলে, ভারী মহাসাগরীয় পাত হালকা মহাদেশীয় পাতের নীচে নিমজ্জিত হয়। ফলে সৃষ্টি হয় গভীর সমুদ্রখাত। 

যেমন—প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত। নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশ প্রবেশ করে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে এবং গলতে শুরু করে। দুটো পাত বরাবর এই গলিত পদার্থ ভূত্বকের বাইরে চলে আসে। এই কারণে নিমজ্জিত পাত সীমানায় (Subduction plate margin) একাধিক আগ্নেয়গিরি এবং আগ্নেয় দ্বীপ সৃষ্টি হয়। যেমন—ভারতের ব্যারেন দ্বীপ।


প্রশ্ন ১.১৯ অভিসারী পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাতসীমানা বলা হয় কেন?

উত্তর যেখানে পাতগুলো পরস্পরের দিকে অগ্রসর হয় তাকে অভিসারী পাতসীমানা বলে। মহাদেশীয় ও মহাসাগরীয় পাত পরস্পরের দিকে চললে ভারী মহাসাগরীয় পাত হালকা মহাদেশীয় পাতের নীচে নিমজ্জিত হয়। ফলে তৈরি হয় গভীর সামুদ্রিক খাত। যেমন—প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা খাত। নিমজ্জিত পাতের কিছু অংশ অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে প্রবেশ করে গলতে থাকে। এই গলিত পদার্থ দুটি পাতের সীমানা বরাবর ভূত্বকের বাইরে চলে আসে। ফলে নিমজ্জিত পাত সীমানায় একাধিক আগ্নেয়গিরি ও আগ্নেয় দ্বীপ সৃষ্টি হয়। ভূ-ত্বকের এই অংশ অস্থিত থাকায় প্রায়ই ভূ-আলোড়ন ও ভূমিকম্প হয়। তাই এই ধরনের পাত সীমানাকে বিনাশকারী পাত সীমানা (Destructive Plate margin) বলে।


প্রশ্ন ২.১ ‘ট্রান্সফর্ম পাত সীমানাকে নিরপেক্ষ বা সংরক্ষণশীল পাত সীমানা বলে।' —কেন ব্যাখ্যা করো।

উত্তর ট্রান্সফর্ম পাত সীমানায় পাতগুলো পরস্পরের সমান্তরালে পাশাপাশি সঞ্চারিত হওয়ায়, এই ধরনের পাত সীমানায় কোনো নতুন ভূত্বক সৃষ্টি হয় না, আবার পুরোনো ভূত্বক ধ্বংসও হয় না। সেই কারণে ট্রান্সফর্ম পাত সীমানাকে নিরপেক্ষ বা সংরক্ষণশীল পাত সীমানা বলা হয়। উদাহরণ – ক্যালিফোর্নিয়ার সান আন্দ্ৰিজ চ্যুতি।


class 8 Geography chapter 2 question answer pdf | অষ্টম শ্রেণীর দ্বিতীয় অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর।

অগ্ন্যুদ্গমের সংজ্ঞা : ভূ-অভ্যন্তরের গলিত, সান্দ্র ম্যাগমা, উত্তপ্ত বায়ু, গ্যাস, জলীয় বাষ্প, ছাই, প্রস্তরখণ্ড এবং লাভা প্রভৃতি কোনো ফাটল বা ছিদ্রপথে বিস্ফোরণসহ প্রচণ্ড জোরে অথবা ধীর শান্তভাবে ভূপৃষ্ঠে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে বলে অগ্ন্যুগম (Volcanism)। অগ্ন্যুদ্গমের উৎস হল আগ্নেয়গিরি। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয় পদার্থ সঞ্জিত হয়ে আগ্নেয় পর্বত সৃষ্টি হয়। জাপানের ফুজিয়ামা, ইতালির ভিসুভিয়াস এই জাতীয় পর্বত। ভূপৃষ্ঠের ফাটল বা বিদার বরাবর বিস্ফোরণ ছাড়া শান্তভাবে লাভা নির্গত হয়ে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত হয়ে সৃষ্টি হয় লাভা মালভূমি। উদাহরণ : ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি। বারবার অগ্ন্যুৎপাতের সময় ফাটলের চারদিকে আগ্নেয় পদার্থ জমা হয়ে শঙ্কু আকৃতির সঞ্চয়জাত পর্বত বা আগ্নেয় পর্বতের সৃষ্টি হয়। যেমন—জাপানের ফুজিয়ামা ও ভারতের ব্যারেন। যদি বিস্ফোরণ ছাড়া শান্তভাবে লাভা ভূপৃষ্ঠের দীর্ঘ ফাটল বরাবর বেরিয়ে এসে ভূপৃষ্ঠে সঞ্চিত

হয় তবে লাভা মালভূমি বা লাভা সমভূমি গঠিত হয়।

যেমন—ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি। এই মালভূমির মাঝে মাঝে লাভা সমভূমি আছে। গুরুমণ্ডলের উন্নতা প্রায় ২০০০° সে.। এই উন্নতায় বহিঃগুরুমণ্ডলের কোনো কোনো স্থানের শিলা সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ওপরের স্তরের প্রবল চাপের জন্যে অন্তঃগুরুমণ্ডলের শিলা অর্ধগলিত হয়ে প্লাস্টিকের মতো (plastic flow) প্রবাহিত হয়। অর্ধগলিত শিলার চেয়ে গলিত শিলা (ম্যাগমা) হালকা বলে তা ওপরে উঠে যায় এবং তার জলীয় অংশ গ্যাস ও জলীয় বাষ্পে পরিণত হয় এবং ভূপৃষ্ঠের কোনো দুর্বল ফাটল দিয়ে নির্গত হয়। একে আগ্নেয়গিরি বলে।

বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়গিরি : আগ্নেয়গিরি তিন প্রকার যথা-

সক্রিয় আগ্নেয়গিরি,সুপ্ত আগ্নেয়গিরি এবং মৃত আগ্নেয়গিরি।

সক্রিয় আগ্নেয়গিরি (Active Volcano) : যে আগ্নেয়গিরি থেকে এখনও অগ্ন্যুৎপাত হয় তাকে সক্রিয় বা জীবন্ত আগ্নেয়গিরি বলে। সক্রিয় আগ্নেয়গিরি দুই প্রকার যথা—  

(ক) অবিরাম আগ্নেয়গিরি (Incessant Volcano) : যে আগ্নেয়গিরি থেকে অবিরাম অগ্ন্যুৎপাত ঘটে তাকে বলে

অবিরাম আগ্নেয়গিরি। যেমন——ইতালির ভিসুভিয়াস।

(খ) সবিরাম আগ্নেয়গিরি (Intermittent Volcano) : যে আগ্নেয়গিরি থেকে কিছুদিন অন্তর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে তাকে বলে সবিরাম আগ্নেয়গিরি। যেমন—ইতালির সিসিলি দ্বীপের স্ট্রম্বলি। সক্রিয় আগ্নেয়গিরি

সুপ্ত আগ্নেয়গিরি (Dormant Volcano) : বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাত না হলেও ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে এমন আগ্নেয়গিরিকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন—জাপানের ফুজিয়ামা।

মৃত আগ্নেয়গিরি (Dead or Extinct Volcano) : যে

আগ্নেয়গিরি থেকে ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই তাকে বলে মৃত আগ্নেয়গিরি। যেমন—-মায়ানমারের পোপো এবং হাওয়াই দ্বীপের মৌনাকিয়া। ক্রেটার (ক্যালডেরা)

হ্রদ মৃত আগ্নেয়গিরি

লাভা দুই প্রকার—(১) আম্লিক লাভা : যে লাভায় সিলিকার পরিমাণ বেশি তাকে বলে আম্লিক লাভা।

২ ক্ষারকীয় লাভা : যে লাভায় সিলিকনের পরিমাণ কম তাকে বলা হয় ক্ষারকীয় লাভা।

পাত সীমানায় অগ্ন্যুগম : প্রশান্ত মহাসাগরের উভয় উপকূলে অভিসারী পাত সীমানা বরাবর পৃথিবীর প্রায় ৮০% আগ্নেয়গিরি আছে। স্থলভাগের অপসারী পাত সীমানায় (আইসল্যান্ড, পূর্ব আফ্রিকায়) পৃথিবীর প্রায় ১৫% জীবন্ত আগ্নেয়গিরি আছে। পাতের মধ্যস্থলে উত্তাপকেন্দ্র বা Hot S spot-এর ওপর পৃথিবীর প্রায় ৫% আগ্নেয়গিরি (হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া, কিলাউয়া) অবস্থিত। মৌনাকিয়া আগ্নেয়গিরিটি প্রায় ১০,২০৩ মিটার উঁচু, এটি একটি hot spot-এর ওপর অবস্থিত। প্রকৃতি ও তীব্রতা অনুসারে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত দুই প্রকার যথা— কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাত ও ও ফিসার অগ্ন্যুৎপাত।

© কেন্দ্রীয় অগ্ন্যুৎপাত আবার নানা প্রকার যথা—

(ক) হাওয়াই ধরনের,

(খ) স্ট্রম্বোলীয় ধরনের,

(গ) ভলকানো ধরনের,

(ঘ) ভিসুভিয়াস ধরনের,

(ঙ) পিলি ধরনের,

(চ) প্লিনি ধরনের।

পৃথিবীর অভ্যন্তরের তাপশক্তি (ভূ-তাপশক্তি) অনেক সময় গুরুমণ্ডলের গলিত ম্যাগমার সংস্পর্শে আসলে ভূ-অভ্যন্তরের জল উত্তপ্ত হয়ে, উয়প্রস্রবণ রূপে ভূপৃষ্ঠে উঠে আসে। আইসল্যান্ডে ভূ-তাপ শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পোৎপাদন ও দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো হয়।

File Details:-

File Name:- Class viii geography chapter 2 questions answers pdf 

File Format:- PDF

  Download  Click Here to Download 


প্রশ্ন ১.১ অগ্ন্যুগম কাকে বলে?

উত্তর ভূ-অভ্যন্তরের গলিত সান্দ্র ম্যাগমা, বিভিন্ন প্রকার গ্যাস, জলীয় বাষ্প কোনো ফাটল বা গহ্বরের মধ্য দিয়ে শান্তভাবে বা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বেরিয়ে আসার পদ্ধতিকে অগ্ন্যুগম বলে।


প্রশ্ন ১.২ আগ্নেয় পর্বত কাকে বলে?

উত্তর অগ্ন্যুৎপাতের সময় উৎক্ষিপ্ত পদার্থ ফাটল বা গহ্বরের চারদিকে সঞ্চিত হয়। বার বার অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আগ্নেয় পদার্থ সঞ্জিত হতে হতে শঙ্কু (cone) আকৃতির যে পর্বত গঠন করে তাকে আগ্নেয় পর্বত (Volcanic Mountain) বলে। যেমন—ভারতের ব্যারেন।


প্রশ্ন ১.৩ লাভা মালভূমি কাকে বলে?

উত্তর ভূপৃষ্ঠের দীর্ঘ ফাটল বা বিদার (Fissure) বরাবর যদি বিস্ফোরণ ব্যতীত শান্তভাবে লাভা নির্গত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সঞ্চিত হয়ে যে মালভূমি গঠন করে, তাকে লাভা মালভূমি বলে। যেমন— ভারতের দাক্ষিণাত্য মালভূমি।


প্রশ্ন ১.৪ গুরুমণ্ডলের শিলা কেন প্লাস্টিকের মতো প্রবাহিত হয় কেন?

উত্তর পৃথিবীর অভ্যন্তরে উয় অবস্থায় আছে। গুরুমণ্ডলের ২০০০° সে. উয়তায় সেখানকার শিলা গলে যাওয়ার কথা কিন্তু ওপরের স্তরের প্রবল চাপে শিলার গলনাঙ্ক বেড়ে যায়। এই কারণে গুরুমণ্ডলের শিলা আংশিকভাবে গলে গিয়ে পিচ্ছিল হয় এবং প্লাস্টিকের মতো (plastic flow) প্রবাহিত হয়।


১.৬ অগ্ন্যুদ্গমকে ভূ-গাঠনিক প্রক্রিয়া বলা হয় কেন?

উত্তর অগ্ন্যুদ্গমের ফলে ভূপৃষ্ঠের দীর্ঘ ফাটল বরাবর লাভা নিঃসৃত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সঞ্জিত হয়ে লাভা মালভূমি বা লাভা সমভূমি গঠন করে। তাই অগ্ন্যুগমকে ভূগাঠনিক প্রক্রিয়া বলা হয়।


প্রশ্ন ১.৭ উদাহরণসহ সক্রিয় আগ্নেয়গিরির সংজ্ঞা দাও।

উত্তর সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে আজও অবিরামভাবে যেসব আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়ে চলেছে, তাদের বলা হয় শ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। উদাহরণ : ভারতের ব্যারেন, স্ট্রম্বোলি, সিসিলির স্ট্রম্বেলী প্রভৃতি।


প্রশ্ন ১.৮ উদাহরণসহ সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সংজ্ঞা দাও।

যেসব আগ্নেয়গিরিতে বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাত হয় না, কিন্তু ভবিষ্যতে হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাদের বলা হয় সুপ্ত আগ্নেয়গিরি। উদাহরণ : ভারতের নারকোনডাম, জাপানের ফুজিয়ামা প্রভৃতি।


প্রশ্ন ১.৯ উদাহরণসহ মৃত আগ্নেয়গিরির সংজ্ঞা দাও।

যেসব আগ্নেয়গিরিতে এক সময় অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছে এবং বর্তমানে নিষ্ক্রিয়, আর ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তাদের বলা হয় মৃত আগ্নেয়গিরি। উদাহরণ : মায়ানমারের পোপো, মেক্সিকোর  পারকুটিন প্রভৃতি।


প্রশ্ন ১.১০) আম্লিক লাভা বলতে কী বোঝ?

যে লাভায় সিলিকার পরিমাণ বেশি, সান্দ্র এবং নির্গমনের পর বহুদূর পর্যন্ত প্রবাহিত হতে পারে, তাকে আম্লিক লাভা বলে। আম্লিক লাভা শঙ্কু আকৃতির আগ্নেয়গিরির সৃষ্টি করে।


প্রশ্ন ১.১১ ক্ষারকীয় লাভা বলতে কী বোঝ?

উত্তর যে লাভায় সিলিকার পরিমাণ কম, কম সান্দ্র এবং নির্গমনের পর ধীরে ধীরে জমাট বেঁধে, তাকে ক্ষারকীয় লাভা বলে। এই লাভা সঞ্চিত হয় শিল্ড আগ্নেয়গিরি তৈরি করে।


প্রশ্ন ১.১২) প্লিউম কী?

উত্তর ‘Hot Spot'-এর ওপর অবস্থিত আগ্নেয়গিরির ম্যাগমার ঊর্ধ্বমুখী প্রবাহকে বলা হয় প্লিউম। প্লিউম পথেই  ফোয়ারার মতো অগ্ন্যুগম ঘটে।


প্রশ্ন ১.১৩ বিদার অগ্ন্যুদগম কাকে বলে?

উত্তর ভূপৃষ্ঠের দীর্ঘ ফাটল বরাবর বিস্ফোরণ ছাড়া শান্তভাবে লাভা নিঃসৃত হয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঢেকে যায়।

একে বিদার অগ্ন্যুদগম বলে।


প্রশ্ন ১.১৪ ‘পা হো হো’ ‘Pa hoe hoe' কাকে বলে?

হাওয়াই দ্বীপের আগ্নেয়গিরিগুলো থেকে অত্যন্ত পাতলা লাভা বেরিয়ে বহুদূর প্রবাহিত হয়, হাওয়াই দ্বীপের ভাষায় এর নাম ‘পা হো হো' অথবা 'Pa hoe hoe |

প্রশ্ন ৩.১ ‘পাত সীমানায় অগ্ন্যুগম হয়’ কেন?

আমরা জানি, পাত সঞরণের ফলেই অগ্ন্যুগম হয়ে থাকে তিন ধরনের পাত সীমানাতেই। যেমন—

অভিসারী পাত সীমানা : এই পাত সীমানায় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি সৃষ্টি হয়েছে।


অপসারী পাত সীমানা : এক্ষেত্রে দুটি পাত অতি ধীর গতিতে পরস্পরের থেকে দূরে সরে যায় এবং মধ্যবর্তী ফাটল দিয়ে উত্তপ্ত ম্যাগমা বেরিয়ে এসে অগ্ন্যুগম সৃষ্টি করে।


নিরপেক্ষ পাত সীমানা : এক্ষেত্রে দুটি পাতের পাশাপাশি চলন হয় এবং তার ফলে যে ফাটল বা চ্যুতির সৃষ্টি হয়, তার মধ্য দিয়ে ম্যাগমা বেরিয়ে এসে অগ্ন্যুগম ঘটায়। সুতরাং বলা যায় যে, অগ্ন্যুদ্গমের সঙ্গে পাত সীমানার গভীর সম্পর্ক বর্তমান।


প্রশ্ন ২.৩ Hot spot বা তপ্তবিন্দু

সংজ্ঞা : ঊর্ধ্বগুরুমণ্ডল ও অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারের সীমানায় তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতির কারণে তাপমাত্রা খুব বেশি থাকে। একে বলে তপ্তবিন্দু বা Hot spot। এই তপ্তবিন্দু অঞ্চলে ম্যাগমা ফোয়ারার মতো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ভূত্বকে উঠে আসে ও অগ্ন্যুগম ঘটায়। সাধারণত পাত সীমান্ত অঞ্চলের আশেপাশে ভূপৃষ্ঠে এরূপ তপ্তবিন্দু দেখা যায়।


প্রশ্ন ৩ আগ্নেয়গিরি কাকে বলে? আগ্নেয়গিরি কত প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকার আগ্নেয়গিরির বিবরণ দাও।

আগ্নেয়গিরির সংজ্ঞা : ভূপৃষ্ঠের কোনো ছিল বা ফাটল দিয়ে ভূ-অভ্যন্তরের গলিত পদার্থ বেরিয়ে এসে ভূপৃষ্ঠে লাভারূপে জমাট বাঁধলে তাকে আগ্নেয়গিরি বলে। আগ্নেয়গিরির প্রকারভেদ : আগ্নেয়গিরিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা: সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, সুপ্ত আগ্নেয়গিরি এবং (৩) মৃত আগ্নেয়গিরি।


সক্রিয় আগ্নেয়গিরি (Active Volcano) : যে আগ্নেয়গিরি

থেকে এখনও অগ্ন্যুৎপাত হয় তাকে সক্রিয় বা জীবন্ত আগ্নেয়গিরি বলে। সক্রিয় আগ্নেয়গিরি দুই প্রকার। যথা: অবিরাম আগ্নেয়গিরি (Incessant Volcano) : যে আগ্নেয়গিরি থেকে অবিরাম অগ্ন্যুৎপাত ঘটে তাকে বলে অবিরাম আগ্নেয়গিরি। যেমন— ইটালির ভিসুভিয়াস, হাওয়াই দ্বীপের মৌনালোয়া।

(খ) সবিরাম আগ্নেয়গিরি (Intermittent Volcano) :

যে আগ্নেয়গিরি থেকে কিছুদিন অন্তর অগ্ন্যুৎপাত ঘটে তাকে   বলে সবিরাম আগ্নেয়গিরি। যেমন—ইটালির সিসিলি দ্বীপের স্ট্রম্বোলি।

সুপ্ত আগ্নেয়গিরি (Dormant Volcano) : যে আগ্নেয়গিরি থেকে বর্তমানে অগ্ন্যুৎপাত না হলেও ভবিষ্যতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটতে পারে এমন সম্ভাবনা থাকলে সেই আগ্নেয়গিরিকে সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলে। যেমন—জাপানের ফুজিয়ামা, ইন্দোনেশিয়ার ক্রাকাতোয়া এবং ইটালির ভিসুভিয়াস।

মৃত আগ্নেয়গিরি (Extinct or Dead Volcano) :অতীতে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে কিন্তু ভবিষ্যতে আর অগ্ন্যুৎপাতেরmকোনো সম্ভাবনা নেই এমন আগ্নেয়গিরিকে মৃত আগ্নেয়গিরিmবলে। যেমন— মায়ানমারের পোপো এবং হাওয়াই দ্বীপের মৌনাকিয়া।


ক্লাস 8 ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর |ক্লাস 8 ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | Class 8 ভূগোল ও পরিবেশ অস্থিত পৃথিবী


প্রশ্ন ১.১ ভূমিকম্প কাকে বলে?

উত্তর কোনো প্রাকৃতিক বা অ-প্রাকৃতিক কারণে হঠাৎ করে যখন ভূপৃষ্ঠের কোনো অংশ কেঁপে ওঠে, তখন সেই কম্পনকে বলা হয় ভূমিকম্প।

প্রশ্ন ১.২ ভূমিকম্পের কেন্দ্র কাকে বলে?

উত্তর ভূপৃষ্ঠের নীচে ভূ-অভ্যন্তরের যে কেন্দ্র বা অঞ্চল থেকে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়, তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র বলে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিকম্পের কেন্দ্রের গভীরতা হয় সাধারণত ৫০-১০০ কিমি।


প্রশ্ন ১.৩ ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র কাকে বলে?

ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ঠিক সোজাসুজি ওপরে অবস্থিত স্থানটিকে ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র বলে। উপকেন্দ্র থেকে আশেপাশে কম্পন ছড়িয়ে পড়ে।


প্রশ্ন ১.৪) মধ্য মহাদেশীয় বলয় কাকে বলে?

উত্তর মেক্সিকো থেকে শুরু করে আটলান্টিক মহাসাগর, ভূমধ্যসাগর, আল্পস, ককেশাস, হিমালয় পর্যন্ত বিস্তৃত ভূমিকম্প বলয়কে মধ্য মহাদেশীয় বলয় বলে।


(প্রশ্ন ১.৫ সুনামি কী?

উত্তর ভূমিকম্পের ফলে সমুদ্র তলদেশে প্রবল ঢেউয়ের উৎপত্তি ঘটে, যা উপকূল অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস রূপে আছড়ে পড়ে। জাপানি ভাষায় একে সুনামি বলে।


প্রশ্ন ২ ভূকম্পন কী কী কারণে সৃষ্টি হয় তা উল্লেখ করো।

উত্তর ভূ-অভ্যন্তরীণ বিশেষ পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর কার্বন ভূত্বক ক্ষণিকের জন্য আকস্মিকভাবে যখন কেঁপে ওঠে তাকে বলে ভূমিকম্প। ভূকম্পন সৃষ্টির কারণগুলি নিম্নরূপ :


ভূ-আলোড়ন : পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগে উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমার রাসায়নিক বিক্রিয়া ও আণবিক পরিবর্তনের জন্য আকস্মিকভাবে মহিভাবক ও গিরিজনি আলোড়নে মাঝে মাঝে প্রসারিত হয়। গুরুমণ্ডলে ম্যাগমার আয়তনও অবস্থাগত পরিবর্তনে ভূ-অভ্যন্তরীণ শক্তির প্রভাবে ভূত্বক মাঝে মাঝে কেঁপে ওঠে।

শিলাচ্যুতি : শিলাস্তরে অত্যধিক চাপের কারণে টান বা পীড়নের সৃষ্টি হয়। এর প্রভাবে চ্যুতিতল বরাবর শিলা ফেটে যায়; শিলাচ্যুতি ঘটে। চুতিতলের ঘর্ষণে এভাবে চাপের মুক্তি ঘটার কারণেও মাঝে মাঝে ভূকম্পণ ঘটে।

অগ্ন্যুৎপাত : ভূগর্ভে উত্তপ্ত গলিত ম্যাগমা মাঝে মাঝে প্রবল বিস্ফোরণসহ ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয়। কখনো কখনো ভূ-অভ্যন্তরীণ বাষ্পরাশির চাপে ম্যাগমা গহ্বরের ম্যাগমা ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করে। আবার ম্যাগমা চেম্বারে শূন্যস্থান সৃষ্টি হলেও ধস সৃষ্টি হয়। উপরোক্ত যে-কোনো কারণ বা অবস্থা সৃষ্টি হলেই ভূকম্পন অনুভূত হতে পারে।

পাতসঞ্চারণ : সমগ্র পৃথিবীই গরমে কতকগুলি পাতের সঞ্চরণ ভূগর্ভের উপাদানসমূহ প্রচণ্ড গরমে গলনাঙ্কের কাছাকাছি থাকে। কোনো কারণে উপাদানসমূহের প্রকৃতিগত পরিবর্তন ঘটলে বা উত্তাপের পরিবর্তন ঘটলে ম্যাগমার মধ্যে অন্তর্মুখী বা বহির্মুখী প্রবাহ সৃষ্টি হয়। একে বলে পরিচলন স্রোত। এর প্রভাবে অ্যাস্থেনোস্ফিয়ারে ভেসে থাকা পাতগুলি পারস্পরিকভাবে কখনও নিজেদের দিকে কখনোবা বিপরীত চলাচল শুরু করে। ফলে ভূপৃষ্ঠ কম্পন অনুভূত হয়।

নবীন ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলে : ভাঁজযুক্ত শিলায় গঠিত ভঙ্গিল পার্বত্য অঞ্চলসমূহ আজও সুস্থিত অবস্থায় নেই। তাই মাঝে মাঝেই পাললিক শিলাস্তরে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি হয় ও ভূকম্পন অনুভূত হয়।

অন্যান্য কারণ :

(ক) পাহাড়ি অঞ্চলে হিমানী সম্প্রপাত ঘটলে,

(খ) চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে গুহার ছাদ ধসে পড়লে,

(গ) বিশালাকার উল্কা ধূমকেতু মহাকাশ থেকে সজোরে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়লে,

(ঘ) সুনামি বা সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের আগে ও পরে,

(ঙ) জলপ্রপাত বিপুল জলরাশিসহ স্থান পরিবর্তন করলে,

(চ) মানব সৃষ্ট বাঁধ ও জলাধার নির্মাণের সময় শিলাচ্যুতি ঘটলে,

(ছ) ডিনামাইট চার্জ করে পাইপ লাইন নির্মাণ বা খনিজ উত্তোলনের সময়,

(জ) পারমাণবিক বোমা পরীক্ষার সময় ও ভূকম্পন সৃষ্টি হতে পারে।


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Class 8 geography chapter 2 questions answers pdf 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A

B

C



THANK YOU & WELCOME

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url