অষ্টম শ্রেণি ভূগোল চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf
চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণি ভূগোল | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf |
আসসালামু আলাইকুম,
তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ভূগোল ও পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ। অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ প্রশ্ন উত্তর। class viii geography chapter 4 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ প্রশ্ন উত্তর pdf | class 8 Geography 4 chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশে ৪ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর |অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ৪ প্রশ্ন উত্তর , গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় pdf download, Class 8 Geography fourth chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।
ক্লাস 8 ভূগোল চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | অষ্টম শ্রেণীর চতুর্থ অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর |
ANS:- Click Here
অষ্টম শ্রেণি ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ৪ প্রশ্ন উত্তর | class 8 Geography chapter 4 question answer pdf
প্রশ্ন ১.১ বায়ুচাপ কাকে বলে?
উত্তর) পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে সকল বস্তুকে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। বায়ু একটি মিশ্র পদার্থ, এর ওজন আছে। এই ওজন হেতু যে চাপ প্রয়োগ করে তাকে বায়ুচাপ বলে। প্রতি বর্গ পরিমাণ স্থানে বায়ুস্তর যে চাপ বা ওজন দেয় তাকে বায়ুর চাপ বলে। গ্যাসীয় উপাদানের অণুগুলির নিজেদের মধ্যে ঘর্ষণের মাধ্যমে এই বল বা চাপ উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন ১.২ বায়ুচাপ বলয় কাকে বলে?
উত্তর ত্ভূপৃষ্ঠের ওপর নির্দিষ্ট দূরত্বে সমধর্মী বায়ুস্তর প্রায় হাজার কিমি ব্যাপী পুরো পৃথিবীতে বলয়ের মতো বেষ্টন করে আছে। একে বায়ুচাপ বলয় বলে।
প্রশ্ন *১.৩ দুটো দেশ ও দুটো মহাসাগরের নাম করো যার ওপর দিয়ে নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তর: নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের দুটো দেশ হল মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং দুটো মহাসাগর হল ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগর।
প্রশ্ন ১.৪ ভূপৃষ্ঠের ওপরের বায়ুচাপ বলয়গুলির নাম করো।
উত্তর ভূপৃষ্ঠের ওপরের বায়ুচাপ বলয়গুলি হল—
১ নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়, ২ ও ৩ কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় ৪ ও ৫) সুমেরুবৃত্তীয় ও কুমেরুবৃত্তীয় নিম্নচাপ বলয় এবং ৬ ও ৭ সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলের উচ্চচাপ বলয়।
প্রশ্ন ১.৫ নিরক্ষীয় শান্তবলয় কাকে বলে?
উত্তর) নিরক্ষীয় অঞ্চলে উয় ও হালকা বায়ু সর্বদা ওপরে উঠে যায়। এই অঞ্চলে বায়ুর কোনো অনুভূমিক প্রবাহ থাকে না, তাই এই অঞ্চলকে শান্তবলয় বলে। নিরক্ষরেখা থেকে ৫°-১০° অক্ষরেখার মধ্যের অঞ্চলকে বলে শান্তমণ্ডল। এই শান্তবলয় নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করে এবং বছরের বিভিন্ন সময় এর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে।
প্রশ্ন ১.৬) বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে? বায়ুস্রোত কী?
পৃথিবী আবর্তনরত, তাই বায়ু স্থির থাকে না। সর্বদা চলাচল করে। বায়ু উচ্চচাপযুক্ত অঞ্চল থেকে নিম্নচাপযুক্ত অঞ্চলের দিকে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে চলাচল করে। সমান্তরাল ও অনুভূমিকভাবে বায়ুর চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে।
বায়ুস্রোত : বায়ু কখনো-কখনো উল্লম্বভাবেও প্রবাহিত হয়। বায়ুর উল্লম্বগতিকে বলে বায়ুস্রোত।
প্রশ্ন ১.৭ ফেরেলের সূত্রটি লেখো।
উত্তর গোলার্ধ পরিবর্তনে নিয়ত বায়ুর গতিবিক্ষেপের সূত্রটি হল ফেরেল সূত্র। পৃথিবীর আবর্তনের জন্যে সৃষ্ট কোরিওলিস বলের প্রভাবে বায়ুপ্রবাহ ও সমুদ্রস্রোত উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে যায়। এই নিয়মটি হল ফেরেলের সূত্র। ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ডব্লু জি ফেরেল এই সূত্রটি আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন ১.৮ বাইস ব্যালট-এর সূত্র লেখো।
উত্তর উত্তর গোলার্ধে বায়ুপ্রবাহের দিকে (যে দিক থেকে প্রবাহিত হয়) পিছন ফিরে দাঁড়ালে বাম বাহু অপেক্ষা ডানবাহুতে বেশি চাপ অনুভূত হয়। ডাচ আবহবিদ বাইস ব্যালট প্রথমে এই নিয়ম আবিষ্কার করেন বলে একে বাই ব্যালটের সূত্র বলে। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে এই সূত্র আবিষ্কৃত হয়।
প্রশ্ন ১.৯ কোরিওলিস বল কাকে বলে?
উত্তর পৃথিবীর আবর্তন গতির প্রভাবে পৃথিবীর ওপরের যে-কোনো স্বচ্ছন্দ, গতিশীল বস্তুর ওপর এক ধরনের বল কাজ করে যা বস্তুগুলোর দিকবিক্ষেপ ঘটায়। এই দিকবিক্ষেপকারী (Deflecture force) বলকে বলা হয় কোরিওলিস বল। ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে এই সূত্রটি ফরাসি পদার্থ বিজ্ঞানী গ্যাসনার ডি কোরিওলিস আবিষ্কার করেন।
প্রশ্ন ১.১০) নিয়ত বায়ুপ্রবাহ কাকে বলে?
উত্তর) ভূপৃষ্ঠের ওপর সুনির্দিষ্ট সাতটি বায়ুচাপ বলয় আছে। এর উচ্চচাপ বলয়গুলি থেকে নিম্নচাপ বলয়গুলির দিকে সারাবছর ধরে যে বায়ুপ্রবাহ নির্দিষ্ট দিকে নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়, তাকে নিয়ত বায়ুপ্রবাহ বলে।
প্রশ্ন ১.১১ আয়ন বায়ু কাকে বলে?
কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় (২৫°-৩৫° উত্তর ও দক্ষিণ) থেকে যে বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয়ের (৫°-১০০ অক্ষাংশের মধ্যবর্তী) দিকে সারাবছর নিয়মিতভাবে প্রবাহিত তাকে আয়ন বায়ু বলে।
প্রশ্ন ১.১২ পশ্চিমা বায়ু কাকে বলে?
কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় (২৫°-৩৫° উত্তর ও দক্ষিণ) থেকে যে বায়ু যথাক্রমে সুমেরুবৃত্তীয় ও কুমেরুবৃত্তীয নিম্নচাপ বলয়ের (৬০০-৭০° উত্তর ও দক্ষিণ) দিকে সারাবছর নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয় তাকে পশ্চিমা বায়ু বলে।
প্রশ্ন ১.১৩ মেরু বায়ু কাকে বলে?
দুই মেরুদেশীয় উচ্চচাপ বলয় (৮০০-৯০° উত্তর ও দৈক্ষিণ) থেকে যে বায়ু যথাক্রমে সুমেরুবৃত্তীয় ও কুমেরুবৃত্তীয় নিম্নচাপ বলয়ের (৬০°-৭০° উত্তর ও দক্ষিণ) দিকে সারাবছর নিয়মিতভাবে প্রবাহিত হয়, তাকে মেরুবায়ু বলে।
প্রশ্ন ১.১৪ কীভাবে বায়ুপ্রবাহের নামকরণ করা হয়?
উত্তর বায়ু যেদিক থেকে প্রবাহিত হয় সেই দিকের নাম অনুসারে বায়ুপ্রবাহের নামকরণ করা হয়। যেমন : শীতকালে ভারতে মৌসুমি বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়। তাই এর নাম হয়েছে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু। আবার গ্রীষ্মকালে এই বায়ু দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে প্রবাহিত হয়, ফলে এর নাম হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু।
Class 8 ভূগোল ও পরিবেশ চাপবলয় ও বায়ুপ্রবাহ|অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর।
প্রশ্ন ১.১৫) সাময়িক বায়ু কাকে বলে?
দিনের ভিন্ন ভিন্ন সময় অথবা বছরের ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে যে বায়ু সাময়িকভাবে প্রবাহিত হয়, সেই বায়ুকে সাময়িক বায়ু বলে। সাময়িক বায়ু তিন প্রকার—স্থলবায়ু, সমুদ্রবায়ু, মৌসুমি বায়ু।
প্রশ্ন ১.১৬ সমুদ্রবায়ু কাকে বলে?
সমুদ্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলে দিনেরবেলায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, তাকে সমুদ্র বায়ু বলে। সমুদ্রবায়ুর গতি বিকেলবেলায় সর্বাধিক হয়।
প্রশ্ন ১.১৭ স্থলবায়ু কাকে বলে?
উত্তর সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে রাত্রিবেলায় স্থলভাগ থেকে সমুদ্রের দিকে যে বায়ু প্রবাহিত হয় তাকে স্থলবায়ু বলে। স্থলবায়ুর গতি ভোররাত্রে সর্বাধিক হয়।
প্রশ্ন ১.১৮) আকস্মিক বায়ু কাকে বলে?
ভূপৃষ্ঠের ওপর কোথাও হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য খুব জোরে বায়ু প্রবাহিত হলে তাকে আকস্মিক বায়ু বলে। ঘূর্ণবাত ও প্রতীপ ঘূর্ণবাত আকস্মিক বায়ুর উদাহরণ।
প্রশ্ন ১.১৯ ঘূর্ণবাত কাকে বলে?
কোনো স্বল্প পরিসর স্থানে হঠাৎ স্থানে হঠাৎ অর্থাৎ আকস্মিকভাবে উন্নতা বৃদ্ধি পেলে নিম্নচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। তখন আশেপাশের উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে বায়ু নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ঘূর্ণির আকারে প্রবল বেগে ছুটে আসে এবং আবার উয় হয়ে ওপরে উঠে যায়।
প্রশ্ন ১.২০ প্রতীপ ঘূর্ণবাত কাকে বলে?
নাতিশীতোয় বা হিমমণ্ডলের কোনো কোনো স্থানে প্রবল ঠান্ডার জন্যে গভীর উচ্চচাপ কেন্দ্রের সৃষ্টি হয়। এই উচ্চচাপ কেন্দ্রের ঠান্ডা ও ভারী বায়ু বাইরের দিকের নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবল বেগে কুণ্ডলী আকারে প্রবাহিত হয়। একে বলে প্রতীপ ঘূর্ণবাত।
উত্তর গোলার্ধের সাধারণ বায়ুপ্রবাহ ডানদিকে বেঁকে যায়
দক্ষিণ গোলার্ধের সাধারণ বায়ুপ্রবাহ বামদিকে বেঁকে যায়
প্রশ্ন ১.২১ স্থানীয় বায়ু কাকে বলে?
ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন স্থানের ভূ-প্রাকৃতিক পার্থক্যের জন্যে বায়ুর উন্নতা ও চাপের পার্থক্য সৃষ্টি হয়। ফলে সেই সকল স্থানে ভিন্ন রকম বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি হয়। এই বায়ুকে স্থানীয় বায়ু বলে। স্থানীয় বায়ু দু’প্রকার—উয় স্থানীয় বায়ু, শীতল স্থানীয় বায়ু।
প্রশ্ন ১.২২) কয়েকটি স্থানীয় বায়ুর নাম করো।
কয়েকটি স্থানীয় বায়ু হল— চিনুক, ফন, হারমাট্রান, বোরা, পম্পেরো, সিরোক্কো।
প্রশ্ন ১.২৩ শুষ্ক ও উয় চিনুক কোন্ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়?
চিনুক প্রবাহিত হয় উত্তর আমেরিকার রকি পর্বতের
প্রশ্ন ১.২৬ অ্যানাবেটিক বায়ু কাকে বলে?
দিনেরবেলায় পার্বত্য উপত্যকার ঢালের বায়ুর উয়তা বেশি থাকে ফলে চাপ কম থাকে, কিন্তু উপত্যকার নীচের বায়ুর উন্নতা কম থাকে ফলে চাপ বেশি থাকে। তাই দিনেরবেলায় উপত্যকার নীচের বায়ু পর্বতের ঢাল বেয়ে ওপরে উঠতে থাকে। এই বায়ুকে বলে অ্যানাবেটিক বায়ু (Anabatic wind)। উপত্যকা থেকে পার্বত্য অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ অ্যানাবেটিক বায়ু
প্রশ্ন ১.২৭) ক্যাটাবেটিক বায়ু কাকে বলে?
উত্তর রাত্রিবেলায় তাড়াতাড়ি তাপ বিকিরণ করে উপত্যকার ঢালের উপস্থিত বায়ু ঠান্ডা হয়ে যায় এবং উচ্চচাপের সৃষ্টি করে। তখন উপত্যকার নীচের বায়ু উম্ন ও নিম্নচাপযুক্ত থাকে। ফলে ওপরের ঠান্ডা ও ভারী বায়ু পর্বতের ঢাল বেয়ে নীচে নামে। এই বায়ুকে বলে ক্যাটাবেটিক বায়ু (Katabatic wind)।
প্রশ্ন ১.৩৩ 'চিনুক’-এর অর্থ তুষার ভক্ষক। এমন নাম হওয়ার কারণ কী?
উত্তর এই বায়ুর প্রভাবে পর্বতের পাদদেশ থেকে প্রায় ১০০ কিমি পর্যন্ত অঞ্চল জুড়ে বরফ গলে যায়। তাই রেড ইন্ডিয়ানরা এই বায়ুর নাম দিয়েছেন ‘চিনুক' অর্থাৎ তুষার ভক্ষক। উষু বায়ুর স্পর্শে বরফ গলে যায় বলে একে বলে তুষার ভক্ষক। এই বায়ুপ্রবাহের ফলে প্রেইরি অঞ্চলে প্রাণীপালন সম্ভব হয়েছে।
প্রশ্ন ১.৩৪) ফন কাকে বলে?
উত্তর আল্পস পর্বতের উত্তর ঢাল বেয়ে যে শুষ্ক ও উষ বায়ু নীচে নেমে এসে মধ্য ইউরোপে প্রবাহিত হয় তাকে ‘ফন’ বলে।
প্রশ্ন ১.৩৬ 'হারমাট্রান' কাকে বলে?
উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার পূর্বদিক থেকে যে শুষ্ক ও শীতল বায়ু গিনি উপকূলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে হারমাট্রান' বলে।
প্রশ্ন ১.৩৭ 'হারমাট্রান’-কে “The Doctor' বলা হয় কেন?
উত্তর ‘হারমাট্রান’ ক্রান্তীয় অঞ্চলের গরম ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়াকে কিছুটা আরামদায়ক করে তোলে। তাই স্থানীয় মানুষের কাছে এই বায়ু “The Doctor' নামে পরিচিত।
প্রশ্ন ১.৩৮ বোরা’ কাকে বলে?
উত্তর আল্পস পর্বতের দক্ষিণ ঢাল বরাবর যে শুষ্ক ও শীতল বায়ু নীচের দিকে নেমে যায় এবং অ্যাড্রিয়াটিক উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রবাহিত হয় তাকে ‘বোরা' বলে।
প্রশ্ন ১.৩৯) ‘বোরার’ প্রভাব কী?
উত্তর ‘বোরার’ প্রভাবে ইউরোপের দক্ষিণাংশে আড্রিয়াটিক উপকূলবর্তী অঞ্চলে অতিরিক্ত ঠান্ডার জন্যে স্বাভাবিক জনজীবন বিঘ্নিত হয়।
প্রশ্ন ১.৪০ ‘পম্পেরো’ কাকে বলে?
উত্তর দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ থেকে উৎপন্ন হয়ে যে ভীষণ ঠান্ডা ও শুষ্ক বায়ু পম্পাস অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে ‘পম্পেরো’ বলে।
প্রশ্ন ১.৪১ ‘পম্পেরো’-এর প্রভাব কী?
উত্তর পম্পেরো-এর প্রভাবে পম্পাস অঞ্চলের গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায় এবং আবহাওয়া অনেকটা আরামদায়ক হয়।
প্রশ্ন ১.৪২ 'সিরোক্কো” কাকে বলে?
উত্তর আফ্রিকার লিবিয়া মরুভূমিতে সৃষ্ট হয়ে যে শুষ্ক, উম্ন ও ধূলিপূর্ণ বায়ু ভূমধ্যসাগর পার হয়ে ইউরোপের দক্ষিণাংশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে ‘সিরোক্কো’ বলে।
File Details:-
File Name:- Class viii geography chapter 4 questions answers pdf
File Format:- PDF
Download: Click Here to Download
ক্লাস 8 ভূগোল ও পরিবেশ চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | class 8 Geography 4th chapter question answer,অষ্টম শ্রেণীর চতুর্থ অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf
প্রশ্ন ২.১ নিরক্ষীয় শান্তবলয়।
উত্তর নিরক্ষীয় শান্ত বলয় :
সংজ্ঞা : নিরক্ষরেখার ০°-এর উভয় দিকে ৫° পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে কোনো অনুভূমিক বায়ুপ্রবাহ নেই। এই অঞ্চলকে নিরক্ষীয় শান্তবলয় বলা হয়।
সৃষ্টির কারণ : (ক) নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে ফলে বায়ু পরিচলন পদ্ধতিতে উত্তপ্ত হয়।
(খ) এই অঞ্চলে জলভাগ বেশি থাকায় বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি যুক্ত হয়ে হালকা হয়ে ওপরে উঠে যায়।
(গ) পৃথিবীর আবর্তন গতির জন্যে ঊর্ধ্বমুখী বায়ু নিরক্ষরেখার উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ছিটকে যায়। সুতরাং এই অঞ্চলে বায়ুর পরিমাণ কমে যায় এবং সারাক্ষণ এখানকার বায়ু ওপরের দিকে উঠে যায়। নিরক্ষীয় অঞ্চলে কখনোই বায়ু ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে প্রবাহিত হয় না। ফলে এই অঞ্চলে বায়ুর কোনো চলাচল বোঝা যায় না, অর্থাৎ বায়ুর শান্তভাব বিরাজ করে। তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলকে নিরক্ষীয় শান্তবলয় বলে। প্রাচীনকালে পালতোলা জাহাজ চলাচলের সময় নিরক্ষীয় অঞ্চলে পৌঁছোলে জাহাজগুলি থেমে যেতে নাবিকরা এই অঞ্চলের নামকরণ করেন ‘ডোলড্রামস’।
প্রশ্ন ২.২ অশ্ব অক্ষাংশ।
উত্তর) সংজ্ঞা : ২৫° থেকে ৩৫° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চল যথাক্রমে কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে বায়ুর কোনো অনুভূমিক প্রবাহ নেই। এই অঞ্চলকে যথাক্রমে কর্কটীয় ও মকরীয় শান্তবলয় বলা হয়।
সৃষ্টির কারণ :
(ক) নিরক্ষীয় অঞ্চলের উষ্ণ ও আর্দ্র হালকা বায়ু ওপরে উঠে শীতল ও ভারী হয়।
(খ) এই শীতল ও ভারী বায়ু কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে নেমে যায়। (গ) মেরু অঞ্চলের ঠান্ডা ও শুষ্ক ভারী বায়ু নীচের দিকে নেমে এসে দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থান করে।
(ঘ) দুটি বিপরীতধর্মী বাতাস দুই ক্রান্তীয় অঞ্চলে মিলিত হয় বলে বায়ুর পরিমাণ বাড়ে এবং ঘনত্ব বাড়ে।
সুতরাং এই দুটি অঞ্চলে ওপর থেকে শীতল ও শুষ্ক ভারী বায়ু সারাক্ষণ নীচে নেমে আসে। কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলে কখনও বায়ু ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে প্রবাহিত হয় না। ফলে এই অঞ্চলে বায়ু চলাচল বোঝা যায় না, অর্থাৎ বায়ুর শান্ত ভাব বিরাজ করে। তাই এই অঞ্চলকে ক্রান্তীয় শান্তবলয় বলে। প্রাচীনকালে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ থেকে ঘোড়া ভরতি বাণিজ্যিক পালতোলা জাহাজ আমেরিকায় যাওয়ার পথে এই শান্তবলয়ে পৌঁছোলে জাহাজগুলো থেমে যেত। জাহাজকে হালকা করার জন্যে কিছু ঘোড়াকে আটলান্টিক মহাসাগরে ফেলে দিতেন। তাই কর্কটীয় ও মকরীয় অঞ্চলকে অশ্ব অক্ষাংশ বলা হয়।
class 8 Bhugola 4th chapter question answer pdf
প্রশ্ন 1. নিরক্ষীয় শান্তবলয়কে ডোলড্রামস বলে কেন?
প্রাচীনকালে নিরক্ষীয় শান্তবলয়ের ওপর দিয়ে জাহাজ চালানোর সময় প্রায়ই জাহাজগুলো থেমে যেত। তাই নাবিকরা এই অঞ্চলের নাম দেন ডোলড্রামস। নিরক্ষীয় অঞ্চল থেকে বাতাস সব সময় ঊর্ধ্বগামী হয়। কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ থেকে আগত উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু নিরক্ষীয় অঞ্চলে এসে প্রচণ্ড গরমে ঊর্ধ্বাকাশে উঠে যায়, তাই বাতাসের কোনো পার্শ্বপ্রবাহ দেখা যায় না।
প্রশ্ন 2.অশ্ব অক্ষাংশ বরাবর পালতোলা জাহাজগুলো গতিহীন হয়ে পড়ত কেন?
উত্তর মূলত কর্কটীয় শান্তবলয় অর্থাৎ ২৫°-৩৫° উত্তর অক্ষাংশের মধ্যবর্তী অঞ্চলকে (মতান্তরে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ) অশ্ব অক্ষাংশ বলা হয়। পূর্বে উত্তর গোলার্ধের আটলান্টিক মহাসাগরের ওপর বিস্তৃত কর্কটীয় শান্তবলয়ে পালতোলা ঘোড়া বোঝাই জাহাজ যখন বাণিজ্য করতে ইউরোপ বা এশিয়া থেকে আমেরিকা বা পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে যেত তখন জাহাজের গতি থেমে যেত। নাবিকেরা অজ্ঞানতাবশত পানীয় ও খাদ্যসংকট কমাতে ঘোড়াগুলো জলে ফেলে দিত। আসলে এখানে বাতাসের কোনো পার্শ্বপ্রবাহ না থাকায় জাহাজ গতি হারিয়ে ফেলত।
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
File Details:-
File Name:- Class 8 geography chapter 4 questions answers pdf
File Format:- PDF
File Location:- Google Drive
Download: Click Here to Download
আরও পোস্ট দেখো B
A
B
C
THANK YOU & WELCOME