অষ্টম শ্রেণি ভূগোল মেঘ-বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

মেঘ-বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণি ভূগোল | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf | class 8 Geography 5 chapter question answer pdf

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির মেঘ-বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ভূগোল ও পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর মেঘ-বৃষ্টি।অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ মেঘ-বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর। class viii geography chapter 5 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় মেঘ-বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 Geography 5 chapter question answer in bengali pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।

তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশে ৩ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর| অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ৩ প্রশ্ন উত্তর , গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায় pdf download, Class 8 Geography fifth chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।

ভূগোল ও পরিবেশ

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE 


      আরও পোস্ট দেখো     B  

A

B

C.

class 8 Geography 5th chapter question answer,অষ্টম শ্রেণীর পঞ্চম অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | 

ANS:- Click here


অষ্টম শ্রেণি ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download,অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ২ প্রশ্ন উত্তর pdf,class 8 Bhugola 5th chapter question answer pdf 


প্রশ্ন ১.১ বাষ্পীভবন কাকে বলে ?

প্রচণ্ড উয়তায় জল থেকে জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাষ্পীভবন বলে। বায়ুতে উপস্থিত হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় জল (H2 + O2 = H2O) সৃষ্টি হয়। জলীয় বাষ্প তরল জলেরই বাষ্পীয় রূপ। জলের তরল অবস্থা বাষ্পে পরিণত হবার পদ্ধতিই বাষ্পীভবন। আবার কঠিন তরল থেকে সরাসরি বাষ্পীভবন হলে তাকে বলে উর্ধ্বপাতন দ্বারা বাষ্পীভবন।

প্রশ্ন ১.২ সম্পৃক্ত বায়ু কাকে বলে?

উত্তর কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু যতটা জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে তত পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকলে ওই বায়ুকে সম্পৃক্ত বায়ু বলে। কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্তই জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে; নির্দিষ্ট পরিমাণ অতিক্রম করলে আর জলীয় বাষ্প গ্রহণ করতে পারে না।

প্রশ্ন ১.৩ ঘনীভবন কাকে বলে?

উত্তর জলীয় বাষ্প থেকে জলকণায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ঘনীভবন। ঘনীভবনের পরিমাণ নির্ভর করে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ও শীতলীকরণের পরিমাণের ওপরে।

প্রশ্ন ১.৪) আপেক্ষিক আর্দ্রতা কাকে বলে? 

উত্তর কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে এবং একই উন্নতায় একই পরিমাণ বায়ুতে সর্বাধিক যতটা জলীয় বাষ্প থাকতে পারে তাদের অনুপাতকে বলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা।

প্রশ্ন ১.৫ সম্পৃক্ত বায়ু কাকে বলে?

উত্তর কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু যতটা জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে যদি ততটা জলীয় বাষ্প ওই বায়ুতে থাকে তবে তাকে সম্পৃক্ত বায়ু বলে।

প্রশ্ন ১.৬) প্রতিবাত ঢাল কাকে বলে?

পর্বত বা মালভূমির যে ঢালে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়, সেই ঢালকে বলে প্রতিবাত ঢাল। ফরাসি ভাষায় সূর্যালোকিত পর্বতগাত্রকে adret (Sunny Side) বলে।

প্রশ্ন ১.৭ অনুবাত ঢাল কাকে বলে?

উত্তর প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর স্বল্প জলীয় বাষ্প বহনকারী * প্রতিবাত ঢালের বিপরীত ঢাল বরাবর নীচের দিকে নেমে যায়। ফলে ওই ঢালে বৃষ্টি হয় না বা সামান্য বৃষ্টি হয়। এই ঢালের নাম অনুবাত ঢাল। ফরাসি ভাষায় রোদহীন পর্বতগাত্রকে ubac (Shaded Side) বলে।

প্রশ্ন *১.৮ কেন অনুবাত ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল তৈরি  হয়?

উত্তর প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টিপাত ঘটানোর পরে স্বল্প পরিমাণ জলীয় বাষ্প বহনকারী বায়ু অনুবাত ঢাল বেয়ে নামার সময় বৃষ্টিপাত ঘটায় না বা অতি সামান্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত ঘটায় বলে অনুবাত ঢালকে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল বলে।

প্রশ্ন ১.৯ শিশিরাঙ্ক কাকে বলে?

উত্তর শিশিরাঙ্ক : যে উন্নতায় কোনো বায়ু সম্পৃক্ত হয় সেই উন্নতাকে ওই বায়ুর শিশিরাঙ্ক বলে। জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু শিশিরাঙ্কে পৌঁছালে শিশিরকণা সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন ১.১০) শিশির কাকে বলে?

ত্তর শীতকালে রাতের বেলায় ভূপৃষ্ঠ তাড়াতাড়ি তাপ বিকিরণ করে এবং ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তর শীতল হয়। ফলে ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্প শীতল ও ঘনীভূত হয়ে ছোটো ছোটো জলবিন্দু তৈরি করে যা ঘাসের ওপর, গাছের পাতার ওপর জমা হয়। একে শিশির বলে।

প্রশ্ন ১.১১ কুয়াশা কাকে বলে?

উত্তর ভূপৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুস্তরে অবস্থিত জলীয় বাষ্প ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হলে ছোটো ছোটো

জলকণায় পরিণত হয়। এই জলকণা ভূপৃষ্ঠের কিছুটা ওপরের বায়ুস্তরে ধোঁয়ার মতো ভেসে বেড়ায়। একে কুয়াশা বলে।

প্রশ্ন ১.১২ ঘূর্ণবাতের চক্ষু কাকে বলে?

উত্তর ক্রান্তীয় অঞ্চলে সৃষ্ট ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে বায়ুচাপ সবচেয়ে কম থাকে। এই কেন্দ্রকে ঘূর্ণবাতের চক্ষু বলা হয়।

প্রশ্ন ১.১৩) সমবর্ষণরেখা কাকে বলে?

উত্তর) পৃথিবীর যে সমস্ত জায়গায় বৃষ্টিপাতের গড় পরিমাণ এক এবং সেই সকল স্থানকে একটি কাল্পনিক রেখা দ্বারা যুক্ত করলে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে বলা হয় সমবর্ষণরেখা।


ক্লাস 8 ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf |Class 8 ভূগোল ও পরিবেশ মেঘ-বৃষ্টি প্রশ্ন উত্তর

প্রশ্ন ১.১৪ অধঃক্ষেপণ কাকে বলে?

উত্তর পৃথিবীর অভিকর্ষের টানে বায়ুমণ্ডল থেকে জলকণা তরল বা কঠিন অবস্থায় ভূপৃষ্ঠে নেমে এলে তাকে অধঃক্ষেপণ বলে।


প্রশ্ন) ২১ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি কাকে বলে?

উত্তর খুব ছোটো ছোটো জলকণা (০.৫ মিমি এর কম ব্যাসযুক্ত) ভূপৃষ্ঠে ঝরে পড়লে তাকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি (Dribble) বলে।


প্রশ্ন)*১.১৬ আপেক্ষিক আর্দ্রতার সাথে উয়তার সম্পর্ক কী রকম?

উত্তর আপেক্ষিক আর্দ্রতার সাথে উয়তার সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক। অর্থাৎ উয়তার পরিমাণ বাড়লে, আপেক্ষিক আর্দ্রতা কমে এবং উয়তা কমলে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ে। আপেক্ষিক আর্দ্রতা শতকরা হিসেবে প্রকাশ করা হয়।


প্রশ্ন*১.১৭ কোনো স্থানের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭০ শতাংশ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর কোনো স্থানের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৭০ শতাংশ বলতে বোঝায় যে, ওই স্থানের বায়ুতে জলীয় বাষ্পের শতকরা পরিমাণ ৭০। আরও ৩০ শতাংশ জলীয় বাষ্প হলে ওই স্থানের বায়ু সম্পৃক্ত হবে, কারণ সম্পৃক্ত বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ।


প্রশ্ন ১.১৮ তুষারপাত কাকে বলে?

উত্তর আকাশের অনেক উঁচুতে যেস্থানে বায়ুমণ্ডলের

উয়তা প্রায় হিমাঙ্কের নীচে (০°) থাকে সেখানে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে তুষারকণায় পরিণত হয়। তুষারকণা পরস্পর জমাট বেঁধে বড়ো ও ভারী হলে তা নীচের পৃথিবীতে নেমে আসে, একে বলে তুষারপাত। উঁচু পর্বতে ও শীতপ্রধান অঞ্চলে তুষারপাত হয়


প্রশ্ন ১.১৯) লীনতাপ কী?

উত্তর যে তাপে উয়তার পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধুমাত্র পদার্থের অবস্থার পরিবর্তন ঘটে তাকে বলে লীনতাপ। জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঘনীভূত হবার সময় লীনতাপ ত্যাগ করে।


প্রশ্ন ১.২০) বিশেষ আর্দ্রতা কাকে বলে?

উত্তর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুর মোট ওজন ও সেই বায়ুতে উপস্থিত মোট জলীয় বাষ্পের ওজন—এই দুইয়ের অনুপাতকে বলে বিশেষ আর্দ্রতা।

প্রশ্ন ১.২১ চরম আর্দ্রতা কাকে বলে?

উত্তর কোনো নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট আয়তন বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের প্রকৃত পরিমাণকে বলে চরম বা পরম আর্দ্রতা।


প্রশ্ন ১.২৩ শিলাবৃষ্টি কী?

উত্তর জলীয় বাষ্পযুক্ত বাতাস হালকা বলে খুব দ্রুত ঊর্ধ্ব আকাশে উঠে যায়। প্রচণ্ড ঠান্ডায় ঘনীভূত হয়ে এর বেশ কিছু অংশ শিলার মতো শক্ত বরফে পরিণত হয়। বরফ খণ্ডগুলি আয়তনে বড়ো হলে বা ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর গতিবেগ কমলে ওই বরফখণ্ড নীচে নামে। ঊর্ধ্বমুখী জলীয় বাষ্পের আঘাতে তা আবার ওপরে উঠে যায়। পুনরায় ঠান্ডায় জমে আয়তনে বাড়ে ও বৃষ্টির সাথে নীচে ঝরে পড়ে, একে শিলাবৃষ্টি বলে।


প্রশ্ন ১.২৪ তুহিন কী?

উত্তর শীতপ্রধান অঞ্চলে বা উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে বায়ু- মণ্ডলের উন্নতা কম থাকায় সেখানে শিশিরবিন্দু জমাট বেঁধে কঠিন হয় একে বলে তুহিন।

প্রশ্ন ১.২৫ অসম্পৃক্ত বা অপরিপৃক্ত বায়ু কাকে বলে?

উত্তর কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ু নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ জলীয় বাষ্প গ্রহণ করতে পারে। তার চেয়ে কম পরিমাণে জলীয় বাষ্প ওই নির্দিষ্ট উন্নতায় নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুতে উপস্থিত থাকলে তাকে অসম্পৃক্ত বা অপরিপৃক্ত বায়ু বলে।


প্রশ্ন ১.২৭ আর্দ্রতার গুণাঙ্ক কাকে বলে?

একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বায়ুর মোট ওজন ও সেই বায়ুতে উপস্থিত জলীয় বাষ্পের ওজন-এই দুইয়ের অনুপাতকে বলে আর্দ্রতার গুণাঙ্ক।

File Details:-

File Name:- Class viii geography chapter 5 questions answers pdf 

File Format:- PDF

  Download  Click Here to Download 


অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর। ক্লাস 8 ভূগোল ও পরিবেশ পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর


প্রশ্ন ২.১ পরিচলন বৃষ্টিপাত।

উত্তর সংজ্ঞা : জলীয় বাষ্পপূর্ণ হালকা বায়ু ওপরে উঠে প্রসারিত হয় এবং শীতল ও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এই বৃষ্টিকে পরিচলন (Convectional Rainfall) বৃষ্টিপাত বলে।


প্রক্রিয়া : যে সমস্ত অঞ্চলে সূর্যরশ্মি সারা বছর প্রায় লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং যেখানে জলভাগের পরিমাণ বেশি সেখানকার বায়ুতে অধিক পরিমাণে জলীয় বাষ্প মিশে যায়। এই জলীয় বাষ্পপূর্ণ হালকা বায়ু ওপরে উঠে যায় এবং প্রসারিত হয়ে শীতল হয়ে যায়। এই উয়তায় এই বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ একই থাকে। এই উয়তায় বায়ুর আপেক্ষিক আম্মু দ্রর্তা (Relative Humidity) বেড়ে যায়। এই বায়ু ক্রমশ আরও শীতল হয় এবং জলীয় বাষ্প ধূলিকণাকে আশ্রয় করে ঘনীভূত হয়ে ছোটো ছোটো জলকণায় পরিণত হয়। আকাশে বহুসংখ্যক জলকণা পাশাপাশি থেকে বাতাসে মেঘ আকারে ভেসে বেড়ায়। এই মেঘ আরও ঘনীভূত হলে জলকণাগুলো পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে জলবিন্দুতে পরিণত হয় এবং বৃষ্টিরূপে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয়।

বৈশিষ্ট্য :

(১) এই বৃষ্টি দুপুরের পরে বা বিকেলবেলায় সংঘটিত হয়।

(২) এই বৃষ্টিপাত বজ্রবিদ্যুৎসহ সংঘটিত হয়।

(৩) পরিচলন বৃষ্টিপাত অল্প জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে।

উদাহরণ : নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়।


প্রশ্ন ২.২ শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত।

উত্তর

সংজ্ঞা : জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুপ্রবাহের পথে আড়াআড়িভাবে পাহাড়, পর্বত বা উচ্চভূমি অবস্থান করলে ওই পর্বত বা উচ্চভূমিতে ওই জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু ওপরে উঠে প্রসারিত ও শীতল হয়। আরও ওপরে উঠলে সম্পৃক্ত ও ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। এই বৃষ্টিপাতকে বলে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত (Orgraphic Rainfall)।


প্রক্রিয়া : সমুদ্র থেকে বয়ে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ুপ্রবাহ কোনো পাহাড়, পর্বত বা উচ্চভূমিতে বাধা পেলে, ওই বায়ু ওপরে উঠে যায়। ওপরে উঠলে ওই জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রসারিত হয়। বায়ু প্রসারিত হলে তা শীতল হয়ে যায়। সুতরাং জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয় এবং বৃষ্টিপাত ঘটায়। পর্বতের যে ঢালে এই বৃষ্টিপাত ঘটে সেই ঢালকে বলে প্রতিবাত ঢাল (Windword Slope)। আর যে ঢাল বেয়ে বায়ু নীচের দিকে নামে সেই ঢালকে বলা হয় অনুবাত ঢাল (Leeward Slope) |প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টি হওয়ার পর বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়। ওই বায়ু প্রতিবাত ঢাল বেয়ে নীচে নেমে সংকুচিত ও উম্ন হয় বলে তার জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে অনুবাত ঢালে বৃষ্টিপাত খুবই কম হয়।  তাই একে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল (Rain Shadow) বলা হয়।


উদাহরণ : পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত হয়। পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢালে খুব কম বৃষ্টিপাত অব্দ হয়, অর্থাৎ পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্ব ঢাল হল বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল।


প্রশ্ন ২.২ ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত

উক্ত সংজ্ঞা : ঘূর্ণবাতে কেন্দ্রাভিমুখী ঊর্ধ্বগামী বায়ু শীতল ও ঘনীভূত হয়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত ঘটায়। ঘূর্ণবাত থেকে সৃষ্ট এই বৃষ্টিপাতকে বলে ঘূর্ণবাত বৃষ্টিপাত (Cyclonic Rainfall)।


প্রশ্ন ৩.৮ নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারা বছর পরিচলন ক্রিয়ায় বৃষ্টিপাত হয় কেন ব্যাখ্যা করো। কারণ—

উত্তর নিরক্ষীয় অঞ্চল বলতে বোঝায় নিরক্ষরেখা ০° থেকে উভয় গোলার্ধে ৫°-১০° অক্ষাংশ পর্যন্ত প্রসারিত অঞ্চল। এই অঞ্চলে সারাবছর পরিচলন ক্রিয়ায় বৃষ্টি হয়। এই অঞ্চলে সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত হয় ফলে বাতাসে উয়তার পরিমাণ বেশি হয়। ও পৃথিবীর এই অংশে জলভাগের পরিমাণ সর্বাধিক প্রচণ্ড গরমে প্রচুর জলীয় বাষ্প উৎপন্ন হয়। (৩) জলীয় বাষ্প পূর্ণ বায়ু শুষ্ক বায়ুর চেয়ে হালকা তাই সহজেই জলীয় বাষ্প পূর্ণ উষ্ণ বায়ু উপরে উঠে যায় শীতলতার সংস্পর্শে ঘনীভূত হয় ও পরিচলন প্রক্রিয়ায় উয় ও শীতল বায়ুর স্থান পরিবর্তনে প্রথমে ঘনীভবন দ্রুত ঘটে পরে অধঃক্ষেপণ  রূপে বৃষ্টিপাত ঘটে।


প্রশ্ন ৩.৯ ‘পর্বতের প্রতিবাত ঢালের চেয়ে অনুবাত ঢালে কম বৃষ্টি হয়’—কেন ব্যাখ্যা করো।

উত্তর পর্বতের প্রতিবাত ঢালের বিপরীত দিকে ঢালকে বলে অনুবাত ঢাল। অনুবাত ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চস্ন সৃষ্টি হয়েছে। কারণ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতের প্রতিবাত ঢাল বেয়ে ঊর্ধ্ব আকাশে উঠে ঘনীভূত হয়ে ঢালে পৌঁছায় তখন বৃষ্টি হয় না কারণ— বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে আসে। বাতাস পাহাড়ের ওপর থেকে নীচে আসার সময় উন্নতার কারণে জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়ে। ৩ ওই জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হবার জন্য যে লীনতাপের প্রয়োজন ভূপৃষ্ঠের নিকটবর্তী স্থানে তা থাকে না তাই জলীয় বাষ্প ঘনীভবনের অভাবে বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে না। তাই মেঘালয় মালভূমির দক্ষিণ ঢালে বা অনুবাত ঢালের শিলং বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল।


প্রশ্ন ৩.১১ ‘মেঘাচ্ছন্ন রাত্রির চেয়ে মেঘমুক্ত রাত্রি শীতল হয়।'

উত্তর কোনো স্থানের আকাশ কতটা মেঘে ঢেকে আছে তাকেই বলে মেঘাচ্ছন্নতা। মেঘাচ্ছন্নতা বাতাসের উন্নতাকে নিয়ন্ত্রণ করে। আকাশে মেঘ থাকলে দিনের বেলা সূর্য-কিরণ পৃথিবীপৃষ্ঠে এসে পৌঁছাতে পারে না, রাত্রে ভূপৃষ্ঠ থেকে তাপ বিকিরিত হতে পারে না। তাই দিনের বেলা মেঘাচ্ছন্নতা উয়তা কিছুটা হ্রাস করে কিন্তু রাত্রে মেঘাবৃত আকাশ উয়তা বৃদ্ধি করে। সূর্যের কার্যকরী বিকিরণের ৪৭ শতাংশ ভূপৃষ্ঠ ও ১৯ শতাংশ বায়ুমণ্ডল ও মেঘ শোষণ করে; বাকি উত্তাপ মহাশূন্যে ফিরে যায়। তাই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ভূপৃষ্ঠের তাপের ৪৭ শতাংশ উত্তাপ সঞ্চিত হতে থাকে; বিকিরিত হতে পারে না তাই উন্নতা বাড়িয়ে দেয়। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে তাপবিকিরণ সহজ হয় পরিবেশ ঠান্ডা হয়।


অষ্টম শ্রেণীর পঞ্চম অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf |


1. বিভিন্ন প্রকার মেঘের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও| বিভিন্ন প্রকার মেঘের বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর|


উঁচু আকাশের মেঘের বিবরণ 

উঁচুমেঘ [High Cloud] : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬,১৫০-১২,৩০০ মিটারের মধ্যবর্তী উচ্চতায় বায়ুমণ্ডলে যে মেঘ দেখা যায় তাকে উঁচু মেঘ বলে। বৈশিষ্ট্যানুসারে এই মেঘকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা


i.সিরাস (Cirru s) : ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র তুষারকণা দ্বারা গঠিত এই সাদা মেঘ দেখতে অনেকটা মাছের আঁশের মতো বা পেঁজা হালকা তুলার মতো। এই মেঘ সাধারণত পরিষ্কার আবহাওয়ার নির্দেশক।


ii.সিরো-কিউমুলাস (Cirro-Cumulus) : এই মেঘও ক্ষুদ্রক্ষুদ্র তুষারকণা দ্বারা গঠিত এবং সাদা রঙের। এদের দেখতে গোলাকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মেঘের সারির মতো অথবা ঢেউয়ের মতো।


iii. সিরো-স্ট্যাটাস (Cirro-stratus) : অতি উচ্চে অবস্থিত এই মেঘ দেখতে দুধের মতো সাদা। এই মেঘ অত্যন্ত স্বচ্ছ এবং সূর্যকে কখনও পুরোপুরি ঢেকে ফেলে না। এর মধ্য দিয়ে সূর্যকে যেন একটি মণ্ডলের (Hallo) মধ্য দিয়ে প্রতিভাত বলে মনে হয়। এই মেঘ আসন্ন ঝড়ের আভাস দেয়।


মাঝারি আকাশের মেঘের বিবরণ

মাঝারি মেঘ [Medium Cloud] : সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২,৪৬০ মিটার থেকে ৬,১৫০ মিটারের মধ্যবর্তী বায়ুমণ্ডলে যে মেঘ দেখা যায় তাকে মাঝারি মেঘ বলে। এই মেঘ সাধারণত দু'রকম হয় :


i. অল্টো-কিউমুলাস (Alto-Cumulus) : এই মেঘ গোলাকার পশমগুচ্ছের মতো ধূসর রঙের। আকাশে এরা সাধারণত বিচ্ছিন্ন ভাবে অবস্থান করে এবং এদের মধ্যে দিয়ে নীল আকাশ দৃষ্টিগোচর হয়। সাধারণত এই মেঘ পরিষ্কার আবহাওয়ার সূচনা করে।


ii.অল্টো-স্ট্র্যাটাস (Alto-stratus) বর্ণের এই মেঘ আকাশে ঘন চাদরের মতো অবস্থান করে।

এর মধ্য দিয়ে সূর্যকে ঘষা কাচের মধ্য দিয়ে তাকালে যেমন দেখায়, সেরকম অস্পষ্ট দেখায়। এই মেঘ প্রবল বৃষ্টির সূচনা করে এবং এই বৃষ্টি বহুক্ষণ ধরে চলে।


নীচু আকাশের মেঘের বিবরণ 

উত্তর নীচু মেঘ [Low Cloud] : ভূপৃষ্ঠ থেকে ২,৪৬০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত বায়ুমণ্ডলে যে মেঘ দেখতে পাওয়া যায় তাকে নীচু মেঘ বলে। নীচু মেঘ প্রধানত তিন রকম। যথা :

I. স্ট্র্যাটো-কিউমুলাস (Strato-Cumulus) : মধ্যম আকাশের অল্টো-কিউমুলাস মেঘ যখন গাঢ় কালো ও ভারী হয়ে নীচু আকাশে ভেসে আসে তাকে স্ট্র্যাটো-কিউমুলাস মেঘ বলে। এই মেঘ দেখতে গোলাকৃতি, যার একদিকটা উজ্জ্বল ও অপরদিক অন্ধকার। এই মেঘ নাতিশীতোয় অঞ্চলে শীতকালে সমগ্র আকাশ ঢেকে ফেলে প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়।


Ii. স্ট্যাটাস (Stratus) : ভূপৃষ্ঠের কয়েকশো মিটার উচ্চতায় ঘন কুয়াশার মতো ধূসর বর্ণের এই মেঘ সমগ্র আকাশকে চাদরের মতো ঢেকে রাখে। চলাচলের পথের উঁচু-নীচু ভূ-ভাগকে আবৃত রেখে অনেক সময় এই মেঘ পর্বতারোহী এবং ভ্রমণকারীদের বিপদে ফেলে।


Ii. | নিম্বো-স্ট্র্যাটাস (Nimbo Stratus) : স্ট্যাটাস মেঘ যখন খুব নীচুতে এসে বৃষ্টিপাত ঘটায় তখন তাকে নিম্বো-স্ট্র্যাটাস মেঘ বলে। এই মেঘ ঘন, আকারহীন, এবড়ো-খেবড়ো ও কালো রঙের। এই মেঘে সাধারণত বৃষ্টি হয়।


উল্লম্ব প্রসারিত মেঘের বিবরণ

উত্তর ওপর দিকে প্রসরণশীল মেঘ [Clouds With Vertical Development] : এই মেঘ চাদরের মতো বিস্তৃত না হয়ে গাছের মতো ঊর্ধ্বে প্রসারিত থাকে। এই মেঘ সাধারণত দু'রকমের হয়, যথা—

i. কিউমুলাস (Cumulus) : এই মেঘের আকৃতি অনেকটা গম্বুজের মতো। জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ওপরে উঠে ঘনীভূত হলে এই ধরনের মেঘের সৃষ্টি হয়। এই মেঘের তলদেশ নীচে থাকলেও এর শীর্ষদেশ অনেক উঁচু হয়। এই মেঘের আশপাশের সাদা গোলাকার বিচ্ছিন্ন অংশগুলি পরিষ্কার আবহাওয়ার নির্দেশক।


ii. কিউমুলো-নিম্বাস (Cumulo-Nimbus) : কিউমুলাস মেঘ যখন খুব বেশি উচ্চতায় উঠে গম্বুজাকৃতি হারিয়ে ফেলে তখন তাকে কিউমুলো-নিম্বাস মেঘ বলে। এই মেঘের পাদদেশ ১,৫০০ মিটার উচ্চতায় থাকলেও শীর্ষদেশ প্রায় ১০-১২ কিমি উচ্চতায় অবস্থান করে। এর শীর্ষদেশ বেশ ছড়ানো এবং দেখতে অনেকটা নেহাই-এর মতো। এই মেঘের রং কালো এবং এতে বজ্র-বিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি হয়। সময় সময় এই মেঘে শিলাবৃষ্টিও হয়।


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Class 8 geography chapter 5 questions answers pdf 

File Format:- PDF

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 


      আরও পোস্ট দেখো     B           

A

B

C



THANK YOU & WELCOME



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url