অষ্টম শ্রেণি ভূগোল জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf
জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর অষ্টম শ্রেণি ভূগোল| অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf
আসসালামু আলাইকুম,
তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ভূগোল ও পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর জলবায়ু অঞ্চল।অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর। class viii geography chapter 6 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ অধ্যায় জলবায়ু অঞ্চল প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 Geography 6 chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে ।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশে ৩ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর| অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় 6 প্রশ্ন উত্তর , গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ অধ্যায় pdf download, Class 8 Geography six chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।
YouTube Link - . OUR ONLINE SCHOOL SUBSCRIBE
যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool247
আরও পোস্ট দেখো B
A.
B.
C.
অষ্টম শ্রেণীর ষষ্ঠ অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | ক্লাস 8 ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর
ANS:- CLICK HERE
অষ্টম শ্রেণি ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download,অষ্টম শ্রেণির ভূগোল অধ্যায় ৬ প্রশ্ন উত্তর | Class 8 ভূগোল ও পরিবেশ জলবায়ু অঞ্চল
প্রশ্ন ১.১ জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলো যেমন— বায়ুর উয়তা, বায়ুর আর্দ্রতা, বায়ুচাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত প্রভৃতির সাদৃশ্য বা সমধর্মিতার ভিত্তিতে চিহ্নিত কাল্পনিক সীমারেখাযুক্ত অঞ্চলগুলোকে জলবায়ু অঞ্চল বলে।
প্রশ্ন ১.২ নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্য অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলকে নিরক্ষীয় বৃষ্টি অরণ্য অঞ্চল বলে। কারণ এই অঞ্চলে সারাবছর অত্যধিক উন্নতা এবং প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে গভীর অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন ১.৩ মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর আরবি শব্দ ‘মৌসিম’ কথার অর্থ ‘ঋতু’। অর্থাৎ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে যে অঞ্চলের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয় সেই অঞ্চলকে মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল বলে।
প্রশ্ন ১.৪ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর উম্ন নাতিশীতোয় মণ্ডলের ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোতে যে প্রকৃতির জলবায়ু দেখা যায় তাকে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বলে। ভূমধ্যসাগরের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহ এবং পৃথিবীর অন্যান্য যে সমস্ত অঞ্চলে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু দেখা যায় সেই অঞ্চলকে ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চল বলে।
প্রশ্ন ১.৫ তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চল কাকে বলে?
উত্তর সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে বরফ গলে গেলে কিছু শৈবাল জন্মায়, স্থানীয় ভাষায় তাকে তুন্দ্রা বলে। এই নাম থেকে সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলের জলবায়ুকে তুন্দ্রা জলবায়ু বলে আর ওই জলবায়ু অঞ্চলকে তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চল বলে।
প্রশ্ন ১.৬ মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে?
উত্তর মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি | বায়ু বঙ্গোপসাগর ও আরবসাগরের ওপর দিয়ে ভারতীয় | উপমহাদেশে প্রবেশ করে আকস্মিকভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত | ঘটায়। এই ঘটনাকে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলে।
প্রশ্ন ১.৭ সুমেরুপ্রভা ও কুমেরুপ্রভা কাকে বলে?
উত্তর শীতকালে সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলে যখন ৬ মাস একটানা রাত্রি বিরাজ করে তখন মাঝেমধ্যে আকাশে মেরুজ্যোতি ২-৩ ঘণ্টার জন্যে রামধনুর মতো আবছা আলোর ছটা বা আভা দেখা যায়, এই আলো বরফে প্রতিফলিত হয়ে মৃদু আলোর সৃষ্টি করে। একে মেরুজ্যোতি বলা হয়। সুমেরু অঞ্চলে এই ঘটনাকে বলে সুমেরুপ্রভা এবং কুমেরু অঞ্চলে একে বলে কুমেরুপ্রভা।
প্রশ্ন ১.৮ ইগলু কাকে বলে?
উত্তর শীতল তুন্দ্রা অঞ্চলে শীতল আবহাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যে এস্কিমোরা বরফ দিয়ে তৈরি গোলাকার ঘরে বসবাস করে। এই ঘরকে ‘ইগলু’ বলে। এই ঘরের মধ্যে যাতে ইগলু শীতল বাতাস প্রবেশ করতে না পারে তার জন্যে ওই বরফের ঘর ‘ইগলুতে’ কোনো জানালা রাখা হয় না। এর নীচের দিকে থাকে ছোটো একটা দরজা, যার মধ্য দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকতে হয় এবং বেরোতে হয়। ইগলুর’ ভিতর গরম রাখার জন্যে প্রদীপ জ্বালানো হয়।
প্রশ্ন ১.৯ হ্যামারফেস্ট শহর এবং আশেপাশের অঞ্চলকে ‘নিশীথ সূর্যের দেশ’ বলে কেন?
তুন্দ্রা অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে একটানা ২২-২৩ ঘণ্টা সূর্যালোক থাকে। নরওয়ের উত্তরে হ্যামারফেস্ট বন্দর (৭০°-৯০° উত্তর অক্ষাংশ) এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে গভীর রাত্রিতেও সূর্য দেখা যায়। তাই এই অঞ্চলকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে। পূর্ব ভারতে প্রবেশ করে। ফলে ওই অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত ঘটে। একে বলে ‘পশ্চিমি ঝঞ্ঝা।
প্রশ্ন ১.১০ ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ কাকে বলে?
উত্তর মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলের উপকূলবর্তী অঞ্চলের নোনা মাটিতে এক ধরনের চিরহরিৎ উদ্ভিদ জন্মায়। যাদের ঠেসমূল ও শ্বাসমূল থাকে এবং যে উদ্ভিদের বীজ গাছে থাকতেই অঙ্কুরিত হয় অথবা ভূমিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অঙ্কুরিত হয় সেই সকল উদ্ভিদকে ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ বলে।
উদাহরণ—গরান, গেওয়া, কেওড়া, হেন্তাল, সুন্দরী, গোলপাতা প্রভৃতি।
File Details:-
File Name:- Class viii geography chapter 6 questions answers pdf
File Format:- PDF
File Size:- Mb
Download: Click Here to Download
অষ্টম শ্রেণীর ষষ্ঠ অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর। class 8 Bhugola 6th chapter question answer pdf
প্রশ্ন ২.২ 'সেলভা' অরণ্য।
সংজ্ঞা : নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলের অন্তর্গত ব্রাজিলের আমাজন অববাহিকা অঞ্চলে সারাবছর ধরে (২৫০-৩০০ দিন) প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় ওই অঞ্চলে এক বিশাল চিরহরিৎ অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই অরণ্য ‘সেলভা' অরণ্য নামে পরিচিত।
অরণ্যের সৃষ্টি : ব্রাজিলের আমাজন অববাহিকা নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এই অলে বায়ুর উয়তা বেশি এবং এই অঞ্চলে জলভাগের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। এই সেলভা অরণ্য উয় ও আর্দ্র বায়ু ওপরে উঠে শীতল ও ঘনীভূত হয়ে প্রায় প্রতিদিন (বছরে অন্তত ২৫০-৩০০দিন) বিকেল বেলায় (৩-৪ টের দিকে) বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়। ফলে সারাবছর ধরে জলের অভাব না হওয়ায় আমাজন অববাহিকায় চিরসবুজ উদ্ভিদের অরণ্যের সৃষ্টি হয়েছে। যার নাম‘সেলভা’।
অরণ্যের বৈশিষ্ট্য :
সেলভা অরণ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পাশাপাশি জন্মায়। এই অরণ্যে ২ বর্গ-কিমিতে প্রায় ৩০০ প্রজাতির গাছ দেখা যায়।
২) গাছের কাঠ শক্ত ও ভারি এবং গুঁড়িগুলো লম্বা হয়।
(৩) গাছের পাতা চওড়া হয় এবং গাছে সারাবছর পাতা থাকে।
৪ অরণ্যের গাছগুলো ঠাসাঠাসি করে থাকে তাই উপরে পাতাগুলো পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হয়ে চাঁদোয়ার (Canopy) মতো ঢেকে রাখে।
৫) অরণ্যের তলদেশ স্যাঁতসেঁতে, অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং তলদেশে লতা, গুল্ম, পরগাছা জন্মানোয় অরণ্যের মধ্যে চলাচল কঠিন।
উদ্ভিদ : আমাজন অববাহিকার ‘সেলভা’ অরণ্যে রবার,, আয়রন উড, ব্রাজিল নাট ও বাঁশ গাছ দেখা যায়।
বন্যপ্রাণী : এই অরণ্যে বেশি দেখা যায় গাছে চড়তে পারা পশুপাখি ও জীবজন্তু। যেমন—বাঁদর, গরিলা, শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং, বিভিন্ন প্রকার সাপ, পাখি ও বিষাক্ত কীটপতঙ্গ।অরণ্যের তলদেশে হরিণ, গন্ডার, হাতি, জেব্রা এবং নদী ও জলাশয়ে রয়েছে কুমির ও জলহস্তী।
প্রশ্ন ৩.১ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুকে পৃথিবীর ফলের, ঝুড়ি বলে। —কেন?
সংজ্ঞা : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে বিভিন্ন প্রকার ফল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়। তাই একে ‘ফলের ঝুড়ি’ বলে।
*ফল উৎপাদনের পরিবেশ : ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের জলবায়ু নাতিশীতোয় প্রকৃতির এবং সেখানে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় অঞ্চলটি কৃষিকাজে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। এই অঞ্চলের রোদ ঝলমলে মনোরম আবহাওয়ার জন্যে অন্যান্য কৃষিপণ্যের তুলনায় এখানে ফলের উৎপাদন ভালো হয়।
উৎপাদিত ফল : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে প্রচুর মূল্যবান ফল, যেমন—আঙুর, জলপাই, আপেল, নাসপাতি, কমলালেবু, পিচ, খুবানি, আখরোট, বাদাম, কুল, ডুমুর ও নানাপ্রকার লেবু প্রভৃতি উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন ৩.২ ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পে উন্নত কেন?
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ‘হলিউড’ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর অন্তর্গত। ফলে এখানকার আকাশ প্রায় সারাবছর মেঘমুক্ত ঝলমলে রোদ থাকে। এ ছাড়াসমুদ্রের
সান্নিধ্য এবং মনোরম হলিউডের প্রাকৃতিক দৃশ্য প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্যে ‘হলিউডে’ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র গড়ে উঠেছে।
প্রশ্ন ৩.৯ ‘নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে।'-কেন?
৭০১/২° উত্তর অক্ষাংশের অন্তর্গত নরওয়ের হ্যামারফেস্ট বন্দরে গভীর রাতেও সূর্যের আভা দেখা যায়।পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে যে সময় টানা ৬ মাস মাত্র চলে অর্থাৎ ২২শে ডিসেম্বর থেকে ২১শে মার্চ তখন দক্ষিণ গোলার্ধে ৬ মাস দিন চলে। এইসময় আয়নোস্ফিয়ারে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের তড়িদাহত চৌম্বক বিক্ষেপের ফলে মেরু অঞ্চলে মেরুজ্যোতি সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ সূর্যের রামধনুর মতো আলোকছটাদেখা যায়। এ জন্য নরওয়েকে নিশীথ সূর্যের দেশ বলে। চাচ নয়, ফলে বৃষ্টির খামখেয়ালি চরিত্রে আঞ্চলিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও অনিয়মিত হয়, বৃষ্টি দেরিতে এলে অঞ্চল রুক্ষ শুষ্ক
হয় ও খরার প্রাদুর্ভাব ঘটে। অন্যদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে বহু এলাকায় জলপ্লাবিত হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
প্রশ্ন ৩.১৩ ‘স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর বৃহৎ সংস্করণ হল মৌসুমি বায়ু’।—ব্যাখ্যা করো।
উত্তর) স্থলবায়ু অর্থাৎ স্থলভাগ থেকে আবহমান বায়ু; এই শুষ্ক বায়ু সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। সমুদ্রবায়ু সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে প্রবাহিত হয় জলীয় বাষ্পপূর্ণ। মৌসুমি জলবায়ু দুটি বিপরীত বায়ুপ্রবাহের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গ্রীষ্মকালে জলভাগের থেকে স্থলভাগের দিকে এবং শীতকালে স্থলভাগ থেকে জলভাগের দিকে বায়ু প্রবাহিত হয়। ঋতু অনুযায়ী গ্রীষ্মকালে সমুদ্রবায়ু হিসেবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে। শীতকালে স্থলবায়ু হিসেবে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর আগমন ঘটে। এটি স্থলভাগ থেকে প্রবহমান হওয়ায় শুষ্কতার প্রভাব সৃষ্টি করে। গ্রীষ্মে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু নিম্নচাপ কেন্দ্রের দিকে ছুটে এসে প্রচুর ঝড়-বৃষ্টি সৃষ্টি করে। এই কারণে মৌসুমি বায়ুকে স্থলবায়ু ও সমুদ্রবায়ুর বৃহৎ সংস্করণ বলে।
প্রশ্ন ৩.১৪) 'নিরক্ষীয় অঞ্চলের রাত্রিকালকে শীতকাল বলা হয়।’ বা Night is the winter of the Tropics কেন?
উত্তর নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চল পৃথিবীর ঠিক মাঝবরাবর ৫°-১০° অক্ষাংশের মধ্যে প্রসারিত এখানে সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয় বলে বায়ুর উষ্ণতা বেশি থাকে। সূর্যোদয়ের সময় ২০° সেন্টিগ্রেড, মধ্যাহ্নে ২২° সেন্টিগ্রেড, বিকেলের দিকে ৩০° সেন্টিগ্রেড। দীর্ঘসময় ধরে সূর্যতাপ থাকে। গড় উয়তা প্রায় ২৭° সেন্টিগ্রেড কিন্তু রাতে উন্নতা অস্বাভাবিক হারে নেমে যায়। শীতগ্রীষ্মে উন্নতার প্রসর ২°-৩°; কিন্তু দিনে রাতে উয়তার প্রসর ৫° সেন্টিগ্রেড। পৃথিবীর আর কোন স্থানে দিনে ৩°-৪° সেন্টিগ্রেড রাত্রে ২০°-২৪° সেন্টিগ্রেড উয়তাতেও নেমে যায়। তাই নিরক্ষীয় জলবায়ুর রাত্রিকালকে বলে Night is the winter of the Tropics |
প্রশ্ন ৩.১৫ 'নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৃষ্টিপাতকে বলে 4 o'clock rain' – কেন?
উত্তর নিরক্ষীয় জলবায়ু অঞ্চলে উত্তর গোলার্ধ থেকে উত্তর -পূর্ব আয়ন বায়ু ও দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু মিলিত হয় একে ইন্টার ট্রপিক্যাল কনভারজেন্স সৃষ্টি হয়। এই বায়ু উম্ন ভূপৃষ্ঠের সংস্পর্শে এসে প্রচুর জলীয় বাষ্প ধারণ করে উষু ও হালকা হয়ে ওঠে। দ্রুত শীতল ও ঘনীভূ ত হয়ে নিরক্ষীয় অঞ্চলে পরিচলন ক্রিয়ায় বৃষ্টি হয়। উন্ন জলীয় বাষ্পপূর্ণ আর্দ্রবায়ু ঊর্ধ্বগামী হয়ে কিউমুলোনিম্বাস মেঘের সৃষ্টি করে। দুপুরের পর থেকে এই অঞ্চলের আকাশে ঘন কালো কিউমুলোনিম্বাস মেঘের সঞ্চার হতে দেখা যায়। এই মেঘ প্রায়ই প্রতিদিনই বিকেলবেলায় বজ্রবিদ্যুৎসহ প্রবল বৃষ্টিপাত ঘটায়। প্রতিদিন বিকেল ২-৪-এর মধ্যে এরূপ বৃষ্টিপাত হয় বলে একে Four o' clock rainfall বলে।
প্রশ্ন ৩.১৬ মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল পৃথিবীর সর্বাধিক জনবহুল অঞ্চল। – কেন?
উত্তর) সংজ্ঞা : মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চল হল পৃথিবীর সর্বাধিক জনবহুল অঞ্চল।
জলবায়ুগত বিশেষত্ব : মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে বার্ষিক গড় উয়তা ২৫°-৩০° সেন্টিগ্রেড; বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০-৩০০ সেমি।
প্রশ্ন ৩.১৭ ‘ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলকে শীতকালীন বৃষ্টির দেশ বলে।'—কেন?
(উত্তর) ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর উৎপত্তির কারণ হল বায়ু চাপবলয়ের স্থান পরিবর্তন। সূর্যের উত্তরাভিমুখী গতির সময় চাপবলয়গুলি সর্বাধিক ৫° করে স্বস্থান থেকে উত্তরে সরে যায়; অনুরূপে দক্ষিণায়নের সময় নিজের প্রকৃত অবস্থান থেকে কিছুটা দক্ষিণে সরে যায়। এর প্রভাবেই পৃথিবীর ৩০°-৪৫° অক্ষাংশের মধ্যবর্তী স্থানে প্রবাহিত নিয়ত আয়ন বায়ু উত্তরায়ণের সময় কিছুটা দক্ষিণে সরে প্রবাহমান হয়। এই বায়ু পূর্বাংশে বৃষ্টি ঘটালেও পশ্চিমাংশে বৃষ্টি শুষ্কতার অবস্থা সৃষ্টি করে। আবার উপক্রান্তীয় উচ্চচাপের বাতাস ভারী বলে ৩০°-৪৫° অক্ষাংশের দিকে নিম্নগামী হয়, ফলে তার জলীয় বাষ্প ধারণ ক্ষমতা বাড়ে কিন্তু ঘনীভবনের উপযোগী পরিবেশ না থাকায় বৃষ্টি হয় না। শীতকালে উপক্রান্তীয় উচ্চচাপ বলয় ৫° দক্ষিণে সরে যায় তখন ২৫° অক্ষাংশ পর্যন্ত অঞ্চল পশ্চিমা বায়ুর স্পর্শে আসে। সমুদ্রের ওপর দিয়ে প্রবাহিত জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু মহাদেশে পশ্চিমভাগের দেশে বৃষ্টিপাত ঘটায়। কখনো-কখনো নাতিশীতোয় ঘূর্ণবাতেও অঞ্চলটি বৃষ্টিপাত ঘটে। তাই ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলকে শীতকালীন দেশ বলে।
class 8 Geography chapter 6 question answer pdf | ক্লাস 8 ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | ক্লাস 8 ভূগোল ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download
প্রশ্ন ২ নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো।
উত্তর
নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Equatorial Climate) : নিরক্ষীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলো হল—
বায়ুপ্রবাহ : এই অঞ্চলে বায়ুর কোনো অনুভূমিক প্রবাহ নেই। বায়ু সবসময় নীচ থেকে উপরে উঠে যায়।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য :
১ এই অঞ্চলের মধ্যাহ্ন সূর্যরশ্মি সারাবছর লম্বভাবে পড়ে এবং দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান।
(২) সূর্য প্রতিদিন একই সময় উদিত হয় এবং একই সময় অস্ত যায়। (৩) এই অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন হয় না, কেবলমাত্র একটি ঋতুই দেখা যায়। (ITC) জোন সৃষ্টি করে এবং ভূপৃষ্ঠের উয়-আর্দ্র বায়ু উপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে প্রায় প্রতিদিন অপরাহ্বে বৃষ্টিপাত ঘটায়।
উষ্ণতা : এই অঞ্চলের উয়তা ২২°—৩৪° সে.-এর মধ্যে থাকে। এখানকার গড় উয়তা ২৭° সে.। এই অঞ্চলের উষ্ণতার ৩টি বৈশিষ্ট্য হল – (১) সারাবছর সমানভাবে উন্নতা বেশি।
(২) সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন উষ্ণতার পার্থক্য কম এবং
৩) উন্নতার চরমভাবের অভাব।
বৃষ্টিপাত : (১) এই অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ গড়ে ১৫০-৩০০ সেমি. (২) প্রায় রোজই বৃষ্টি হয়, তাই কোনো শুষ্ক ঋতু নেই, (৩) প্রায় প্রতিদিন অপরাহ্ণে বজ্রসহ স্বল্পস্থায়ী বৃষ্টিপাত হয়, ফলে প্রত্যহ বৃষ্টির পর মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ দেখা যায়।
প্রশ্ন মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো।
মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Monsoon Climate) : মৌসুমি জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যসমূহ—
বায়ুপ্রবাহ : গ্রীষ্মকালে সমুদ্র থেকে উম্ন-আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এবং শীতকালে শীতল-শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হয়। ফলে গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি হয়, শীতকাল শুষ্ক থাকে। আরবি শব্দ ‘মৌসিম’ কথার অর্থ ঋতু। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলের বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তন হয়, তাই এই বায়ুপ্রবাহকে মৌসুমি বায়ু বলে।
উষ্ণতা : (1) মৌসুমি জলবায়ু অঞ্চলে বেশির ভাগ স্থানে মে-জুন মাসে (উঃ গোলার্ধে) উন্নতা সর্বাধিক হয়।
গ্রীষ্মকালীন গড় উয়তা ৩০°—৩২° সে.।
উয়তা সর্বনিম্ন। শীতকালীন গড় উয়তা ১৯°—২২° সে.।৩) বার্ষিক গড় উয়তা ২৫°—২৭° সে.।
বৃষ্টিপাত : (১) উত্তর গোলার্ধে ৭০% বৃষ্টি হয় জুন, জুলাই ও আগস্ট মাসে। শীতকাল বৃষ্টিহীন। সমুদ্রের কাছে এবং পর্বতের প্রতিবাত ঢালে বৃষ্টি বেশি হয়। সমুদ্র থেকে দূরে এবং পর্বতের অনুবাত ঢালে বৃষ্টি কম হয়। শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টি ছাড়া এই অঞ্চলে পরিচলন ও ঘূর্ণবাত বৃষ্টিও হয়। ৪ এই অঞ্চলে বার্ষিক গড় বৃষ্টির পরিমাণ ৭৫ থেকে ১০০ সেমি।
প্রশ্ন ৪ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য কী?
উত্তর ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Mediteranean Type of Climate) : ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য হল—
বায়ুপ্রবাহ : এই অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে আয়নবায়ু প্রবাহিত হয়। শীতকালে এই অঞ্চলে পশ্চিমাবায়ু প্রবাহিত হয়।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য : ১ ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু অঞ্চলে শীতকালে বৃষ্টি হয়, গ্রীষ্মকাল শুষ্ক থাকে। (২) বৃষ্টিপাতের পরিমাণ মাঝারি। (৩) প্রায় সারাবছর রৌদ্রকরোজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করে।
উষ্ণতা ১ গ্রীষ্মকালের গড় উয়তা ২১°–২৭° সে.। দিনের উন্নতা কখনও ৩৭.৫° সে.-এর ওপরে উঠে যায়। শীতকালের গড় উয়তা ৫°—১০° সে.। রাত্রিতে মাঝে মাঝে তুহিন পড়ে। ৩ শীত ও গ্রীষ্মের উন্নতা পার্থক্য প্রায় ২৫° সে.। (৪) বার্ষিক গড় উয়তা ১৫°—২০° সে.।
বৃষ্টিপাত : ১ শীতকালে এই অঞ্চলে আর্দ্র পশ্চিমা বায়ু প্রবাহিত হয় তাই শীতকালে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির পরিমাণ অঞ্চল বিশেষে ২৫ সেমি থেকে ৭৫ সেমি। ও গ্রীষ্মকালে এই অঞ্চলে আয়নবায়ু প্রবাহিত হয়। তাই গ্রীষ্মকালে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ঘটে না।
প্রশ্ন 5 | তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলো লেখো।
তুন্দ্রা জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলো হল—
বিশেষ বৈশিষ্ট্য : তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলে শীতকাল দীর্ঘস্থায়ী ও হিমশীতল এবং গ্রীষ্মকাল শীতল তবে স্বল্পস্থায়ী।
উষ্ণতা : (১) দীর্ঘ ৮-৯ মাসব্যাপী শীতকালে তাপমাত্রা –২০° সে. থেকে –৪০° সে.-এ নেমে যায়। সাইবেরিয়ায় ভারখয়ানস্ক-এ জানুয়ারি মাসে উন্নতা থাকে –৫০°৬ সে. সমগ্র তুন্দ্রা অঞ্চলে এইসময় তুষারপাত হয়। সূর্য প্রায় দেখাই যায় না। ২-৩ ঘণ্টার জন্যে রামধনুর মতো মেরুজ্যোতি দেখা যায়। স্বল্পকালমাত্র (২-৩ মাস) স্থায়ী গ্রীষ্মকালের গড উন্নতা হয় ১০° সে., দিনের দৈর্ঘ্য ২২-২৩ ঘণ্টা।
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
File Details:-
File Name:- Class 8 geography 6 chapter questions answers pdf
File Format:- PDF
File Size:- Mb
Download: Click Here to Download
আরও পোস্ট দেখো B
A
B
C
THANK YOU & WELCOME