অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস আঞ্চলিক শক্তির উত্থান প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf
আঞ্চলিক শক্তির উত্থান অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf | class 8 history 2 chapter question answer in bengali pdf
আসসালামু আলাইকুম, তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download
1.ঔরঙ্গজেব কত খ্রিস্টাব্দে মারা যান?
উত্তরঃ- ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে।
2. সুবাহ্ বাংলার রাজস্ব আদায় করার জন্য সম্রাট ঔরঙ্গজেব কাকে বাংলার দেওয়ান হিসেবে পাঠিয়েছিলেন?
উত্তরঃ- মুরশিদকুলি খানকে।
3. পলাশির যুদ্ধ কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে।
4. পলাশির যুদ্ধ কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তরঃ- বাংলার নবাব সিরাজ-উদদৌলা ও ইংরেজদের মধ্যে।
5.কত খ্রিস্টাব্দে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৬১ খ্রিস্টাব্দে।
6. বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
উত্তরঃ- মুরশিদকুলি খান।
7. বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব কে ছিলেন?
উত্তরঃ- →মিরকাশিম।
8..‘সুবাহ্’ কী?
উত্তরঃ- মোগল আমলে এক-একটি প্রদেশকে বলা হত ‘সুবাহ্’ ।
9. কবে বাংলায় স্বাধীন নবাবি আমলের সূচনা হয়?
উত্তরঃ- ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে।
10. ★কবে মুরশিদকুলি খান মারা যান?
উত্তরঃ- ১৭২৭ খ্রিস্টাব্দে।
11. মুরশিদকুলি খান যখন বাংলার নবাব হন তখন দিল্লির মোগল বাদশাহ কে ছিলেন?
উত্তরঃ- → ফাররুখশিয়র।
12. মুরশিদকুলি খানের পর বাংলার নবাব কে হন?
উত্তরঃ- → সুজা-উদ্দিন খান।
13. ★‘বণিক রাজা’ কাদের বলা হয়?
উত্তরঃ- → অষ্টাদশ শতকে মুরশিদাবাদে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে প্রভাবশালী বণিকদের।
14. কোন্ যুদ্ধের ফলে মহীশূর রাজ্যের পতন ঘটে?
উত্তরঃ- চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে। আ
15. ★ফাররুখশিয়র কবে ফরমান বা আদেশ জারি করেন?
উত্তরঃ- ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে।
16. আলিবর্দি খান কবে মারা যান?
উত্তরঃ- ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে।
17. বেসিনের সন্ধি কবে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ- ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে।
18. দশসালা বন্দোবস্ত কবে, কোথায় চালু হয়?
উত্তরঃ- ১৭৮৯–৯০ খ্রিস্টাব্দে; বাংলা-বিহার-উড়িষ্যায়।
19.কী উদ্দেশ্যে মারাঠা খাল খনন করা হয়?
উত্তরঃ- → মারাঠা বর্গিদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
20. বর্গি কারা?
উত্তরঃ- ১৭৪২–১৭৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বাংলা ও উড়িষ্যার
বিভিন্ন অঞ্চলে লুঠতরাজ ও আক্রমণকারী মারাঠা দস্যুদের বলা হত বৰ্গি।
21. অযোধ্যা রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?
উত্তরঃ- সাদাৎ খান।
২৫ সাদাৎ খান মোগল দরবার থেকে কী উপাধি পান?
উত্তরঃ- বুরহান-উল-মূলক উপাধি।
২৬ কত খ্রিস্টাব্দে বক্সারের যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দে।
২৮ হায়দরাবাদের শাসকের উপাধি কী ছিল?
উত্তরঃ- নিজাম।
২৯ হায়দরাবাদের প্রথম নিজামের নাম কী ছিল?
উত্তরঃ- মির কামারউদ্দিন খান সিদ্দিকি।
৩০ হায়দরাবাদে নিজামত কায়েম হওয়ার সময় দিল্লির শাসক কে ছিলেন?
উত্তরঃ- মোহম্মদ শাহ।
৩১ কবে হায়দরাবাদ রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তরঃ- ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে।
৩৬ আলিবর্দি খানের পর বাংলার নবাব কে হন?
উত্তরঃ- সিরাজ-উদদৌলা।
৩৭ সিরাজ ঘনিষ্ঠ বিদেশি বণিকের নাম কী?
উত্তরঃ- আর্মেনীয় বণিক খোজা ওয়াজিদ।
৩৮ সিরাজ কবে কলকাতা আক্রমণ করেন?
উত্তরঃ- ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন।
৪১ অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ডের কথা কে রটিয়ে ছিলেন?
উত্তরঃ- ইংরেজ কোম্পানির অন্যতম কর্তা হলওয়েল।
৪২ ‘অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড’ রটনার মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ- সিরাজের চরিত্র হনন করা।
৪৩ ★আলিনগরের সন্ধি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়?
উত্তরঃ- ইংরেজ কোম্পানি ও সিরাজের মধ্যে, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ৯ ফেব্রুয়ারী
৪৪ পলাশির যুদ্ধ কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৩ জুন।
৪৫ রবার্ট ক্লাইভ কবে ইংল্যান্ডে ফিরে যান?
উত্তরঃ- ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে।
৪৬ ‘প্রাসাদ বিপ্লব' কবে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে।
৪৭ বন্দিবাসের যুদ্ধ কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে।
৪৮ মিরজাফরের পর বাংলার নবাব কে হন?
উত্তরঃ- মিরকাশিম।
৪৯ মিরজাফরের মৃত্যুর পর বাংলার নবাব কে হয়েছিলেন?
উত্তরঃ- মিরজাফর পুত্র নজম উদদৌলা।
৫০ মিরকাশিমের পর বাংলার নবাব কে হয়েছিলেন?
উত্তরঃ- মিরজাফর (দ্বিতীয় বারের জন্য)।
৫১ ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে উত্তর ভারতের ত্রিশক্তি জোট কাদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল?
উত্তরঃ- মিরকাশিম, অযোধ্যার নবাব সুজা-উদদৌলা ও দিল্লির বাদশাহ দ্বিতীয় শাহ আলম।
৫২ কোন্ সন্ধির ফলে ব্রিটিশ কোম্পানি বাণিজ্যিক অধিকারগুলি ফিরে পায়?
উত্তরঃ- আলিনগরের সন্ধি, ১৭৫৭।
৫৩ কবে ইংরেজ কোম্পানি দেওয়ানি লাভ করেছিল?
উত্তরঃ- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে।
৫৪ কবে এলাহাবাদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে।
৫৫ মোগল বাদশাহ ১৭৬৫-এর দেওয়ানি প্রদানের বিনিময়ে কী লাভ করেন?
উত্তরঃ- দিল্লির অধিকার এবং বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা।
৫৬ বাংলায় কে দ্বৈতশাসন প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- রবার্ট ক্লাইভ।
৫৭ ক্লাইভ কত খ্রিস্টাব্দে দ্বিতীয়বার বাংলার গভর্নর হন?
উত্তরঃ- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে।
৫৮ ‘দ্বৈত শাসনব্যবস্থা’ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- একই সময়ে কোনো অঞ্চলে দুজন শাসকের উপস্থিতি ও ক্ষমতায়নকে দ্বৈত শাসনব্যবস্থা বলে।
৫৯ কত খ্রিস্টাব্দে দ্বৈত শাসনব্যবস্থার অবসান ঘটে?
উত্তরঃ- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে।
৬০ ‘বণিকের মানদণ্ড রাজদণ্ডে পরিণত হয়’—এই কথা কে বলেছেন?
উত্তরঃ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
৬১ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে বা ১১৭৬ বঙ্গাব্দে।
৬১ ছিয়াত্তরের মন্বন্তর কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে বা ১১৭৬ বঙ্গাব্দে।
৬২ ‘অধীনতামূলক মিত্ৰতা নীতি’ কে প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- লর্ড ওয়েলেসলি (১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দ)।
৬৩ প্রথম কোন্ দেশীয় রাজা এই নীতি গ্রহণ করেছিল?
উত্তরঃ- হায়দরাবাদের নিজাম।
৬৫ কোন্ যুদ্ধে টিপু সুলতানের মৃত্যু ঘটে?
উত্তরঃ- ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত চতুর্থ ইঙ্গ-মহীশূর যুদ্ধে বা শ্রীরঙ্গপত্তনমের যুদ্ধে।
৬৬ ‘কৰ্ণাটক যুদ্ধ’ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তরঃ- ইংরেজ ও ফরাসিদের মধ্যে (১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে—- ১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দে)।
৬৭ ক-টি কর্ণাটক যুদ্ধ হয়েছিল?
উত্তরঃ- তিনটি (১৭৪৪ খ্রিস্টাব্দে–১৭৬৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে)।
৬৮ ভারতে ফরাসিদের বিভিন্ন ঘাঁটিগুলির নাম লেখো।
উত্তরঃ- → মাহে, পণ্ডিচেরি (পুদুচেরি), চন্দননগর।
৬৯ ‘সলবাইয়ের সন্ধি' কবে হয়?
উত্তরঃ- ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে।
৭০ ‘পেশোয়া’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তরঃ- → মারাঠি ভাষায় ‘পেশোয়া’ শব্দের অর্থ হল প্রধানমন্ত্রী।
৭২ শেষ পেশোয়া কে?
উত্তরঃ- দ্বিতীয় বাজিরাও।
৭৬ অযোধ্যা কবে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি গ্রহণ করে?
উত্তরঃ- ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে।
৭৭ অধীনতামূলক মিত্রতা নীতিকে কে প্রথম স্বাক্ষর করেন?
উত্তরঃ- হায়দরাবাদের নিজাম।
৭৮ অমৃতসরের চুক্তি কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে।
৭৯ পাঞ্জাব কবে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দে।
৮০ স্বত্ববিলোপ নীতি কে প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- লর্ড ডালহৌসি।
৮১ স্বত্ববিলোপ নীতি দ্বারা প্রথম কোন্ রাজ্য অধিগৃহীত হয়েছিল?
উত্তরঃ- সাতারা (১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে)।
৮২ অযোধ্যা কী কারণে কোম্পানির দ্বারা অধিগৃহীত হয়েছিল?
উত্তরঃ- কুশাসনের বা অপশাসনের অভিযোগে।
৮৩ মহাবিদ্রোহ কবে সংঘটিত হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে।
৮৪ ঔরঙ্গজেব কাকে ‘চিন কুলিচ খান' উপাধি প্রদান করেন?
উত্তরঃ- মির কামার উদ্-দিন খান সিদ্দিকি।
৮৫ স্বাধীন অযোধ্যা রাজ্য কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ- ১৭২২ খ্রিস্টাব্দ সাদাৎ খান।
৮৬ বাংলায় বর্গি আক্রমণ কালে বাংলার নবাব কে ছিলেন?
উত্তরঃ- আলিবর্দি খান।
৮৭ আলিনগর নামটি কার দেওয়া?
উত্তরঃ- সিরাজ-উদ্দৌলা।
৮৮ মোগল প্রশাসক সাদাৎ খান কত খ্রিস্টাব্দে মারা যান?
উত্তরঃ- ১৭২৪ খ্রিস্টাব্দে।
৮৯ ★স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করেন কে?
উত্তরঃ- লর্ড ডালহৌসি।
৯১ বর্গি আক্রমণ কাকে বলে?
উত্তরঃ- ২০ বছর (১৭৪৪–১৭৬৩) আলিবর্দির আমলে একদল মারাঠা অশ্বারোহী সৈন্য বাংলাতে এসে যে উপদ্রব শুরু করে, তাকে বর্গী আক্রমণ বলে।
৯৩ কে প্রথম জগৎ শেঠ উপাধিটি গ্রহণ করেন?
উত্তরঃ- ব্যবসায়ী ফতেহ চাঁদ
৯৬ কার নেতৃত্বে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে বাংলার উত্থান ঘটে?
উত্তরঃ- মুরশিদকুলি খান।
৯৭ মুরশিদকুলি খানের আমলে একজন প্রভাবশালী হিন্দু ব্যবসায়ীর নাম লেখো।
উত্তরঃ- জগৎ শেঠ।
৯৮ ‘জগৎ শেঠ' উপাধি কে, কাকে দিয়েছিলেন?
উত্তরঃ- দিল্লির বাদশাহ দিয়েছিলেন ফতেহ চাঁদকে।
৯৯ কার আমলে বাংলা থেকে দিল্লিতে রাজস্ব পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়?
উত্তরঃ- আলিবর্দি খান।
১০২ হায়দরাবাদ রাজ্য কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তরঃ- মির কামারউদ্দিন চিন কুলিচ খাঁ।
১০৩ মুরশিদকুলি খান বাংলার নাজিম পদ লাভ করেন কত খ্রিস্টাব্দে?
উত্তরঃ- ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে।
১০৫ সুজা-উদ্দৌলা কে ছিলেন?
উত্তরঃ- অযোধ্যার নবাব।
১০৭ কত পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ফাররুখশিয়রের কাছ থেকে ফরমান লাভ করেছিল?
উত্তরঃ- মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে।
১০৮ ফাররুখশিয়রের ফরমানের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ- ইংরেজ বাণিজ্যের প্রসার।
১১৪ ‘অন্ধকূপ হত্যা’ কী?
উত্তরঃ- → একটি ক্ষুদ্র কক্ষে কতিপয় ইংরেজ বন্দীকে আটকে রেখে হত্যা করার যে ঘটনা সিরাজ-উদদৌলার বিরুদ্ধে রটনা করা হয়েছিল, তাকে ‘অন্ধকূপ হত্যা বলে।
১১৫ ব্রিটিশ বাহিনী কবে আবার কলকাতা দখল করে?
উত্তরঃ- ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে।
১১৬ পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার নবাব কে হয়েছিলেন?
উত্তরঃ- মিরজাফর।
১১৯ মিরকাশিম কে?
উত্তরঃ- মিরজাফরের জামাতা ও পরে বাংলার নবাব।
১২৩ বক্সারের যুদ্ধ কবে হয়?
উত্তরঃ- ১৭৬৪ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর।
১২৪ বক্সারের যুদ্ধে মিরকাশিমের পক্ষে কারা ছিলেন?
উত্তরঃ- মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এবং অযোধ্যার নবাব সুজা-উদ্দৌলা।
১২৫ দেওয়ানি লাভের পর কোম্পানি বাংলায় যে নতুন শাসনব্যবস্থা চালু করে তার নাম কী?
উত্তরঃ- দ্বৈতশাসন।
১২৮ মহীশূরের কোন্ অধিপতি ইংরেজদের বিরুদ্ধে শেষ যুদ্ধটি করেন?
উত্তরঃ- টিপু সুলতান।
১২৯ কোম্পানির সঙ্গে মহীশূরের ক-টি যুদ্ধ হয়?
উত্তরঃ- চারটি যুদ্ধ।
File Name:- Class 8 history 2 no chapter questions answers pdf
File Format:- PDF
File Location:- Google Drive
Download: Click Here to Download
আরও পোস্ট দেখো B
A.
B.
C.
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ২ প্রশ্ন উত্তর , class 8 history chapter 2 question answer pdf| Class 8 ইতিহাস আঞ্চলিক শক্তির উত্থান | ক্লাস 8 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download
প্রশ্ন 1.। মোগল সাম্রাজ্যের পতনের কারণগুলি খুব সংক্ষেপে উল্লেখ করো।
উত্তরঃ- মোগল সাম্রাজ্যের পতনের একাধিক কারণ লক্ষ করা যায়।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- ১) সামরিক শক্তির ওপর গুরুত্ব স্থাপন; ২ স্বৈরতন্ত্রের ত্রুটি; (৩) সুনির্দিষ্ট উত্তরাধিকার আইনের অভাব; (৪) অভিজাত শ্রেণির নৈতিক অবনতি ও পারস্পরিক স্বার্থ সংঘাত; (৫) কৃষক অসন্তোষ; (৬) অর্থনৈতিক বিপর্যয়; (৭) সামরিক ত্রুটি; ৮ বৈদেশিক আক্রমণ; ৯ নৌ- শক্তির অভাব; (১০) সাম্রাজ্যের বিশালতা; (১১) ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা প্রভৃতি।
প্রশ্ন 2. ‘বর্গি’ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- ১৭৪২ থেকে ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বাংলা-উড়িষ্যায় মারাঠা সেনাদের লুঠতরাজের ঘটনা বর্গি আক্রমণ নামে পরিচিত। এইসময় ভাস্কর পণ্ডিতের নেতৃত্বে মারাঠা সেনারা অর্থের লোভে ও রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে লুঠতরাজে শামিল হয়। এদের আক্রমণ ও লুঠতরাজ কেমন ভয়ংকর পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তা উঠে আসে— “ছেলে ঘুমোল পাড়া জুড়োল, বর্গি এল দেশে”— এই অতি পরিচিত ছড়াটিতে। বর্গিরা মূলত শিবাজির সৈন্যবাহিনীর অংশ ছিল।
প্রশ্ন 3. দস্তক কাকে বলে?
উত্তরঃ- ‘দস্তক’ কথাটির আক্ষরিক অর্থ হল বিনাশুল্কে বাণিজ্যের অনুমতি বা ছাড়পত্র। ঔরঙ্গজেবের রাজত্বের শেষদিকে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বার্ষিক তিন হাজার টাকার বাণিজ্য শুল্কের বিনিময়ে ইংরেজ কোম্পানিকে সুবে বাংলায় বিনাশুল্কে বাণিজ্যের অধিকারের দস্তক দেওয়া হয়, কিন্তু ইংরেজ কোম্পানির কর্মচারীরা তাদের ব্যক্তিগত বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দস্তকের অপব্যবহার করে বাংলার নবাবের রাজস্ব ফাঁকি দিত। এর প্রতিবাদে ১৭১৩ খ্রিস্টাব্দে নবাব মুরশিদকুলি খান দস্তক প্রথা বাতিল করে দেন। অবশেষে ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে মোগল সম্রাট ফাররুখশিয়ার দস্তক প্রথা অক্ষুন্ন রেখে ইংরেজ কোম্পানির পক্ষে ফরমান জারি করেন, যা ফাররুখশিয়ারের ফরমান নামে পরিচিত।
প্রশ্ন 4. কারা, কবে, কার কাছ থেকে ‘দস্তক' ব্যবহারের সুবিধা লাভ করে?
উত্তরঃ- ইংরেজরা অর্থাৎ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭১৭ খ্রিস্টাব্দে ‘দস্তক’ ব্যবহারের অধিকার লাভ করে। সম্রাট ফাররুখশিয়রের কাছ থেকে কোম্পানি এই ‘দস্তক' লাভ করেছিল।
প্রশ্ন 5. ‘অনন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড’ বলতে কী বোঝ?
টীকা লেখো : অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড
উত্তরঃ- ইংরেজদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলার নবাব সিরাজ উদদৌলা ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন কলকাতা আক্রমণ করেন এবং ১৪৬ জন ইংরেজকে বন্দি করে আলোবাতাসহীন একটি ছোট্ট ঘরে রাখেন। এর ফলে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ১২৩ জন ইংরেজ মারা যায়। হলওয়েল বর্ণিত এই ঘটনা 'অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড' নামে পরিচিত। এই ঘটনার সত্যতা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
প্রশ্ন 6. ‘পলাশি লুণ্ঠন’ কাকে বলে?
উত্তরঃ- পলাশির যুদ্ধে জয়লাভের পর বাংলার অফুরন্ত ধনসম্পদ ইংরেজদের হাতের মুঠোয় চলে আসে। এক নবাবকে সরিয়ে আর এক নবাবকে বাংলার সিংহাসনে বসানো এক লাভজনক ব্যাবসায় পরিণত হয়। বাংলায় ইংরেজরা বিনাশুল্কে বাণিজ্য করতে থাকে এবং বাংলার ব্যাবসাবাণিজ্যের নিজেদের একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। মসনদে বসানোর প্রতিদান হিসেবে বাংলার নবাব মিরজাফরকে প্রচুর অর্থ ও উপঢৌকন দিতে বাধ্য করে। ৩) এছাড়া কোম্পারি কর্মচারীরা যে-কোনো ছলছুতোয় বাংলার nনবাব, জমিদার এবং অবস্থাপন্ন লোকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে থাকে, শোষণ করতে থাকে। →পলাশির যুদ্ধের পরবর্তীকালে বাংলা থেকে এই লজ্জাকর ও ঘৃণ্য শোষণ ও লুণ্ঠনের ঘটনাই পলাশির লুণ্ঠন (palassey plunder) নামে পরিচিত।
প্রশ্ন 7. পেশোয়া তন্ত্র’ কাকে বলে?
উত্তরঃ- মারাঠা শাসনকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘পেশোয়া’ বলা হত। এই ‘পেশোয়া' পদ শিবাজির বংশধর শাহুর রাজত্বকাল থেকে বংশানুক্রমিক বলে স্বীকৃত হয়। শাহুর রাজত্বকালে পেশোয়া বালাজি বিশ্বনাথই ছিলেন রাজ্যের প্রকৃত সর্বেসর্বা। পেশোয়াদের এই সর্বময় কর্তৃত্ব সেই সময় থেকে ‘পেশোয়াতন্ত্র’ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন 8. ১৭০৭ ও ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ- ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর ফলে মোগল সাম্রাজ্যের পতন ত্বরান্বিত হয়।
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিরাজ-উদদৌলার পরাজয়ের ফলে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের পট পরিবর্তন ঘটে।
প্রশ্ন 9. ১৭০৭ ও ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ- ১৭০৭ খ্রিস্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর ফলে মোগল সাম্রাজ্যের পতন ত্বরান্বিত হয়।
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে সিরাজ-উদদৌলার পরাজয়ের ফলে বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসের পট পরিবর্তন ঘটে।
প্রশ্ন 10.। সলবাইয়ের সন্ধি কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও মারাঠা শক্তির মধ্যে সলবাইয়ের সন্ধি হয়েছিল।
প্রশ্ন 11. আলিনগরের সন্ধির ফলে কী হয়েছিল?
উত্তরঃ- আলিনগরের সন্ধির ফলে, সিরাজ ইংরেজ পক্ষকে তাদের পূর্ব বাণিজ্যিক অধিকার ফিরিয়ে দেন। যুদ্ধজনিত ক্ষয়ক্ষতির দরুণ তিনি আর্থিক ক্ষতিপূরণের অনুমতি দেন এবং কোম্পানির নিজস্ব টাঁকসালে মুদ্রা নির্মাণের অধিকার অনুমোদিত হয়। এর ফলে ইংরেজরা আগে যে জায়গায় ছিল, সেই জায়গাতেই আবার ফিরে আসে।
প্রশ্ন 13. মিরকাশিমের সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরোধের কারণ কী?
উত্তরঃ- বাণিজ্য সংক্রান্ত ব্যাপারে মিরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধ বাধে। মিরকাশিম গভর্নর ভ্যান্সিটার্টের সঙ্গে দস্তক সংক্রান্ত সমস্যার মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও ইংরেজরা তা মেনে নেয়নি। এই অবস্থায় মিরকাশিম দেশীয় বণিকদের ওপর থেকে শুষ্ক তুলে নিলে এতদিন পর্যন্ত ইংরেজ বণিকরা বিনা শুল্কে বাণিজ্য করে দেশীয় বণিকদের তুলনায় যে বিশেষ সুযোগসুবিধা ভোগ করত তা বন্ধ হয়। এটিই ছিল মিরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজদের বিরোধের প্রধান কারণ।
প্রশ্ন 14. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভ বলতে কী
উত্তরঃ- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে মীরজাফরের মৃত্যু হলে তাঁর নাবালক পুত্র নজম উদ্দৌলা এক চুক্তি অনুযায়ী বাংলার সিংহাসনে বসেন। এই বছরেই ক্লাইভ দ্বিতীয়বার বাংলার গভর্নর নিযুক্ত হয়ে এদেশে
এলে কোম্পানি মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেক বাংলা-বিহার-ওড়িষ্যার দেওয়ানি বা রাজস্ব আদায়ের অধিকার লাভ করেন (১৭৬৫)। এলাহাবাদের প্রথম ও দ্বিতীয় সন্ধি দ্বারা আযোধ্যার নবাব ও মোগল সম্রাট আশ্রিত ও বৃত্তিভোগীতে পরিণত হন। বাংলার নবাব ক্রমশ কোম্পানির ‘হাতের পুতুল' হয়ে ওঠেন ও এদেশে কোম্পানির সাম্রাজ্য বৈধতা পায়।
প্রশ্ন 15. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পটভূমি কী?
উত্তরঃ- ক্লাইভ দ্বিতীয়বার ভারতে গভর্নর হয়ে এলে ভারতে সাম্রাজ্য স্থাপনের আশা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। কিন্তু সরাসরি শাসনভার গ্রহণ করা যে তখনই সম্ভব নয়, সে-কথা ক্লাইভ বুঝতে পেরেছিলেন। কারণ কোম্পানি এদেশের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলেন। উপরন্তু এদেশের শাসনভার সরাসরি গ্রহণ করলে, ভারতের অন্যান্য ইউরোপীয় শক্তির মনে ঈর্ষা জাগ্রত হতে পারত। সর্বোপরি, ইংরেজ কোম্পানি যেহেতু ছিল একটি বাণিজ্যিক সংস্থা, সেহেতু এই সংস্থাটিকে একটি আইনি বৈধতা `দেওয়ার দরকার ছিল। এই কারণে ক্লাইভ দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে দেওয়ানি লাভ করে তাঁর সাম্রাজ্যকে বৈধতা দেন।
প্রশ্ন 16. রেসিডেন্ট ব্যবস্থা কী?
উত্তরঃ- ভারতীয় উপমহাদেশের যেসব অঞ্চলে কোম্পানির পরোক্ষ শাসন ছিল সেখানে কোম্পানি রাজ দরবারগুলিতে একজন করে প্রতিনিধি বা রেসিডেন্ট নিয়োগ করত। উদ্দেশ্য, কোম্পানির ব্যাবসায়িক স্বার্থ বজায় রাখা। তা ছাড়া, আঞ্চলিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক নজর রাখাও তাদের কাজ ছিল। এর দ্বারা কোম্পানি দেশীয় প্রশাসনের ওপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করে।
প্রশ্ন 17. বন্দিবাসের যুদ্ধ কবে, কাদের মধ্যে হয়েছিল? এই যুদ্ধের তাৎপর্য কী?
উত্তরঃ- বন্দিবাসের যুদ্ধ (তৃতীয় কর্ণাট যুদ্ধের চূড়ান্ত রূপ) ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে ইঙ্গ-ফরাসি যৌথশক্তির মধ্যে সংঘটিত হয়েছিল
তাৎপর্য : বন্দিবাসের যুদ্ধের তাৎপর্য ছিল সুদূরপ্রসারী।
(১) এই যুদ্ধে ফরাসি-শক্তি ইংরেজ-শক্তির কাছে পরাস্ত হয়।
(২) এর ফলে ভারতে ফরাসিদের রাজনৈতিক ক্ষমতা ধ্বংস হয় এবং তারা কেবলমাত্র বাণিজ্যিক শক্তিরূপে ভারতে অবস্থান করে।
(৩) পরাস্ত ফরাসি-শক্তি ইন্দোচিনে নিজেদের উপনিবেশ গড়ে তোলে।
৪) ভারতে ইংরেজ কোম্পানির প্রভাব দ্রুত বিস্তার লাভ
প্রশ্ন 18.আলিনগরের সন্ধির শর্তগুলি কী ছিল?
উত্তরঃ- আলিনগর সন্ধির শর্তাবলি ছিল এইরকম: নবাব ইংরেজদের বাণিজ্যের সুযোগসুবিধা প্রদান
করবেন। নবাব যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে স্বীকৃত হবেন। কোম্পানিকে কলকাতায় দুর্গ নির্মাণ করার অনুমতি দেওয়া হবে। কোম্পানিকে নিজেদের মুদ্রা চালু করার অনুমতি প্রদান করা হবে। এই সন্ধি নবাবের পক্ষে অত্যন্ত অপমানজনক ছিল। কারণ সিরাজ এতদিন ধরে ইংরেজদের যেসকল অন্যায় দাবীগুলির প্রতিবাদ করেছিলেন, আলিনগরের সন্ধি তাঁকে সেই দাবীগুলিই পূরণ করতে বাধ্য করে।
প্রশ্ন 19. | টীকা লেখো : অধীনতামূলক মিত্রতা
উত্তরঃ- দেশীয় রাজ্যগুলিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীনে রাখার উদ্দেশ্যে লর্ড ওয়েলসলি প্রবর্তিত যে নীতি অনুসারে কোনো দেশীয় রাজ্যের নিজের খরচে তাদের রাজ্যে একজন ইংরেজ প্রতিনিধি ও একদল ইংরেজ সৈন্য রাখার অঙ্গীকারের বিনিময়ে কোম্পানি সংশ্লিষ্ট রাজ্যটির নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেয়, সেই নীতি ‘অধীনতামূলক মিত্ৰতা নীতি’ নামে পরিচিত।
→ ওয়েলেসলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি সর্বপ্রথম গ্রহণ করেন হায়দরাবাদের নিজাম। এরপর অযোধ্যা, তাঞ্জোর, সুরাট, পুণা প্রভৃতি রাজ্যগুলি এই নীতিতে আবদ্ধ হয়ে ইংরেজদের আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়।
প্রশ্ন 20. বক্সারের যুদ্ধের গুরুত্ব কী?
উত্তরঃ- বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের জয়লাভের ফলে মিরকাশিম- সুজা-উদ্দৌলা-শাহ আলম জোট ভেঙে যায়। সুজা-উদ্দৌলা রোহিলখণ্ডে পলাতক হন এবং ইংরেজ বাহিনী অযোধ্যা বিধ্বস্ত করে। দ্বিতীয় শাহ আলমও ইংরেজদের বশবর্তী হয়ে পড়েন। মিরকাশিমও দীর্ঘ পলাতক জীবনের পর ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। বক্সারের যুদ্ধ পলাশির চাইতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এই যুদ্ধে মোগল সম্রাট, অযোধ্যার সম্রাট ও বাংলার নবাব একত্রে পরাজিত হন। ফলে ইংরেজদের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে কোম্পানির দেওয়ানি লাভ-এর পর ইংরেজদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব হয়।
প্রশ্ন 21. ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দেওয়ানি লাভের গুরুত্ব আলোচনা করো।
উত্তরঃ- ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১২ আগস্ট মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বার্ষিক ২৬ লক্ষ টাকা করের বিনিময়ে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও ওড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করে।দেওয়ানি লাভের ঐতিহাসিক গুরুত্ব ছিল অপরিসীম, কারণ :
১) দেওয়ানি লাভের মধ্যে দিয়েই ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রকৃত অর্থে একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয় এবং বাংলা-বিহার-ওড়িষ্যায় কোম্পানির ক্ষমতা আইনগত ও বৈধ মর্যাদা লাভ করে। দেওয়ানি লাভের ফলে নবাবের পদ বাহ্যিকভাবে রাখা হলেও কোম্পানিই বাংলার প্রকৃত শাসকে পরিণত হয়।
৩) রাজনৈতিক গুরুত্ব ছাড়াও অর্থনৈতিক দিক থেকেও কোম্পানির কাছে দেওয়ানি লাভ ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ এতদিন পর্যন্ত বাংলায় চলছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও তার কর্মচারীদের বিনাশুল্কে অবাধ বাণিজ্য। কোম্পানির দেওয়ানি লাভের পর থেকে বাংলায় শুরু হয় ইংরেজদের ইচ্ছেমতো রাজস্ব আদায় ও অবাধ শোষণ।
প্রকৃতপক্ষে : (ক) কোম্পানি একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়,
(খ) কোম্পানির সার্বভৌমত্বের ভিত্তি সুদৃঢ় হয় এবং
(গ) পরবর্তীকালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্বভারতীয় শক্তিতে পরিণত হয়।
অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর। ক্লাস 8 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
File Details:-
File Name:- Class 8 history 2 no chapter questions answers pdf
File Format:- PDF
File Size:- Mb
File Location:- Google Drive
Download: Click Here to Download
আরও পোস্ট দেখো B
A.
B.
C.
THANK YOU & WELCOME