অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf
ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf | class 8 history 4 chapter question answer pdf download
আসসালামু আলাইকুম,
তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।
আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র।অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র প্রশ্ন উত্তর। class viii history chapter 4 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ঔপনিবেশিক অর্থনীতির চরিত্র প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 history 4 chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে ।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসে ৪ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর| অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৪ প্রশ্ন উত্তর , গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় pdf download, Class 8 history fourth chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর মাধ্যমে ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।
অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download,অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৪ প্রশ্ন উত্তর ,অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর |
1. চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কে, কোন্ বছর প্রবর্তন করেন?
অথবা, বাংলায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কবে প্রবর্তিত হয়?
উত্তরঃ- ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
২ পাঁচসালা বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ওয়ারেন হেস্টিংস।
৩ দশসালা বন্দোবস্ত কে প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- ১৭৮৯ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কর্নওয়ালিস।
৪ কত বছর অন্তর সনদ নবীকরণ করা হত।
উত্তরঃ-২০ বছর।
৫ কার শাসনকালে রাজস্ব বোর্ড স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ-ওয়ারেন হেস্টিংসের শাসনকালে।
৭. কোন্ সনদ আইন অনুযায়ী ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের অধিকার লুপ্ত হয়?
উত্তরঃ-১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইন অনুযায়ী।
৮ কোন কমিশনের সুপারিশে ওয়ারেন হেস্টিংস ‘একসালা বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- আমিনি কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী।
৯ রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের প্রবর্তক কে ছিলেন?
উত্তরঃ- লর্ড কর্নওয়ালিস কর্তৃক নিযুক্ত ক্যাপ্টেন আলেকজান্ডার রিড নামে একজন সুদক্ষ অফিসার(১৮২০ খ্রি.)।
১০ ★কে মহলওয়ারি বন্দোবস্ত প্রচলন করেন?
উত্তরঃ- গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের আমলে নিযুক্ত হোল্ট ম্যাকেঞ্জি নামে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জনৈক পর্যবেক্ষক (১৮৩৩ খ্রি.)।
১২ ব্রিটিশ সাম্রাজের মধ্যে সবচেয়ে দামি রত্ন ছিল কোন দেশ?
উত্তরঃ- ভারতবর্ষ।
১৩ কবে ভারতে আমিনি কমিশন গঠন করা হয়?
উত্তরঃ- ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে।
১৪ ইংরেজি কোন্ বছরে বাংলায় “ছিয়াত্তরের মন্বন্তর” দেখা
দেয়?
উত্তরঃ- ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে।
১৫ ★ইজারাদারি ব্যবস্থা কবে চালু হয়?
উত্তরঃ- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে।
১৬ ইজারাদারি ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- ওয়ারেন হেস্টিংস।
১৭ ★আবওয়াব কী?
উত্তরঃ- অতিরিক্ত কর।
১৮ ‘সূর্যাস্ত আইন’ করে চালু হয়?
উত্তরঃ- ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে।
১৯ ‘সূর্যাস্ত আইন’ কার আমলে প্রচলিত ছিল?
উত্তরঃ- লর্ড কর্নওয়ালিস।
২০ চিহ্নস্থায়ী বন্দোবস্তের চিত্র কোন্ বাংলা সাহিত্যে পাওয়া যায়?
উত্তরঃ- বঙ্কিমচন্দ্রের ‘বঙ্গদেশের কৃষক’ ও শরৎচন্দ্রের 'মহেশ' গল্পে।
২১ রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত কবে চালু হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে।
২২ ★‘রাওতওয়ারি বন্দোবস্ত’ ভারতবর্ষের কোন অঞ্চলে চালু
উত্তরঃ- মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ের কিছু অংশে।
২৩ ★মহলওয়ারি ব্যবস্থা কবে চালু হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে।
২৪ অযোধ্যায় প্রবর্তিত ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা কী নামে পরিচিত ছিল?
উত্তরঃ- তালুকদারি ব্যবস্থা।
২৫ মহাজনি কারবার বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- সুদের বা তেজারতি কারবারকে।
২৬ কোম্পানি আমলের কয়েকটি বাণিজ্যিক ফসলের নাম বলো। অথবা, দুটি বাণিজ্যিক ফসলের নাম লেখো।
উত্তরঃ- চা, নীল, তুলা, পাট প্রভৃতি।
২৮ নীল বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে।
৩২ 'Bengal Tenancy Act (বাংলা প্রজাস্বত্ব আইন) কবে প্রথম চালু হয়?
উত্তরঃ- ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে।
৩৩ ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের টেন্যান্সি অ্যাক্টের মাধ্যমে ভারতের কোন্ অঞ্চলের কৃষকদের রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল ব্রিটিশ সরকার?
উত্তরঃ- বাংলা।
৩৪ কবে ব্রিটেনে আইন করে সুতির কাপড়ের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়? [বাখরাবাদ ভারতী বিদ্যাপীঠ]
উত্তরঃ- ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে।
৩৫ ★‘দাদন’ কথার অর্থ কী?
উত্তরঃ- অগ্রিম অর্থ প্রদান।
৩৬ ভারতে রেলপথ প্রথম কবে চালু হয়?
উত্তরঃ-১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ১৬ এপ্রিল।
৩৭ ভারতে প্রথম কবে সুতিবস্ত্র কল স্থাপিত হয়েছিল?
উত্তরঃ-১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে (বোম্বেতে)।
৩৮ ভারতে রেল প্রকল্পের সূচনা কবে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে।
৩৯ রেলপথের জনক কাকে বলা হয়?
উত্তরঃ- লর্ড ডালহৌসিকে।
৪০ ভারতের ডাক-তার বিভাগের জনক কে?
উত্তরঃ- লর্ড ডালহৌসি।
৪০ ভারতের ডাক-তার বিভাগের জনক কে?
উত্তরঃ-লর্ড ডালহৌসি।
৪১ ভারতে টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা কবে চালু হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে।
৪২ ★সম্পদের নির্গমন' বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- যখন বিনিময়হীনভাবে এক অঞ্চলের সম্পদ অন্য অঞ্চলে
স্থানান্তরিত হয়, তখন তাকে সম্পদের নির্গমন বলে।
৪৩ ‘সম্পদের বহির্গমন’ তত্ত্বটি কে প্রথম ভারতে প্রচার করেন?
উত্তরঃ- দাদাভাই নওরোজি।
৪৪ পূর্ব ভারতে রেলপথ কবে চালু হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ১৫ আগস্ট হাওড়া থেকে পান্ডুয়া পর্যন্ত রেলপথ চালু হয়।
৪৫ ভারতে প্রথম কোন্ কোম্পানি রেলপথ স্থাপন করে?
উত্তরঃ- গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলার রেলওয়ে কোম্পানি।
৪৬ ‘ওয়েলথ অফ নেশনস্' গ্রন্থটি কার লেখা?
উত্তরঃ- অ্যাডাম স্মিথের।
৪৭ কোন্ আইন দ্বারা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত চালু হয়েছিল?
অথবা, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের আইনি ভিত্তি কোন্ আইনকে
উত্তরঃ- ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দের পিটের ভারত শাসন আইন ধরা হয়?
৪৮ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সমর্থনকারী কয়েকজন ব্রিটিশ আধিকারিকের নাম বলো।
উত্তরঃ-→ আলেকজান্ডার ডাফ, হেনরি পাটুলো, ফিলিপ ফ্রান্সিস,জন শোর প্রমুখ।
৪৯ ★কোন্ বড়োলাটের শাসনকালে ভারতে প্রথম রেলপথ স্থাপিত হয়?
উত্তরঃ-লর্ড ডালহৌসির আমলে।
50. * অবশিল্পায়ন কাকে বলে? (কৃয়নগর কলেজিয়েট স্কুল)
উত্তরঃ-ভারতীয় শিল্পের অবলুপ্তির প্রক্রিয়াকে।
51.‘মহল' কথার অর্থ কী?
উত্তরঃ-→ কয়েকটি গ্রামের সমষ্টি।
52.দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা' বলতে কী বোঝায়?
উত্তরঃ-১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দাক্ষিণাত্যে ঘটে চলা তুলো চাষিদের বিদ্রোহকে বলা হয় দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা।
53. বাংলার কোন সাহিত্যিক চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সমালোচনা করেছিলেন?
উত্তরঃ- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
54. বাগিচা শিল্প কোথায় গড়ে উঠেছিল?
উত্তরঃ-অসম, বাংলা, দক্ষিণ ভারত ও হিমাচল প্রদেশ।
55. ভারতে কোথায় প্রথম সুতির কাপড় তৈরির কারখানা চালু হয়?
উত্তরঃ- বোম্বাইতে।
56. ‘বঙ্গদেশের কৃষক’ প্রবন্ধটি কে লিখেছিলেন?
উত্তরঃ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
57.মহলওয়ারি বন্দোবস্ত কোথায় চালু হয়?
উত্তরঃ-→ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে।
58. সূর্যাস্ত আইন কোন্ ভূমি ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত?
উত্তরঃ- চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত।
59.রায়তওয়ারি ও মহলওয়ারি বন্দোবস্তের মধ্যে একটি পার্থক্য লেখো।
উত্তরঃ- রায়তওয়ারি বন্দোবস্তে সরাসরি কৃষকের সঙ্গে চুক্তি ছিল কোম্পানির, কিন্তু মহলওয়ারি বন্দোবস্তে জমিদারের সঙ্গেসরকারের চুক্তি হয়েছিল।
60.ভারতে কোথায় প্রথম পাটকল গড়ে ওঠে?
উত্তরঃ- পশ্চিমবঙ্গের হুগলির রিষড়ায় (১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে)।
61.দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা কত সালে হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে।
File Details:-
File Name:- Class 8 history chapter 4 short questions answers pdf
File Format:- PDF
File Location:- Google Drive
Download: Click Here to Download
class 8 history chapter 4 question answer pdf | ক্লাস 8 ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর |ক্লাস 8 ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | class 8 history 4th chapter question answer,
প্রশ্ন 1. 'সূর্যাস্ত আইন’ কাকে বলে?
উত্তরঃ- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের শর্তানুসারে, বাংলা বছরের শেষ দিনে (চৈত্রসংক্রান্তি) সূর্যাস্তের আগে কোনো জমিদার সরকারের প্রাপ্য রাজস্ব দিতে না পারলে সরকার ওই জমি বাজেয়াপ্ত করে পুনরায় নিলামে তুলত। এই প্রথা সূর্যাস্ত আইন নামে পরিচিত ছিল। এই আইনের দ্বারা অনেক পুরোনো জমিদারবংশ জমিচ্যুত হয়েছিল।
প্রশ্ন 2| কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ বলতে বোঝায়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত কৃষিকাজকে। মূলত ঔপনিবেশিক ঘট ব্যবস্থায় ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের স্বার্থে ভারতে খাদ্যফসলের চাষ কমিয়ে, তুলো, নীল, আখ, পাট প্রভৃতি কৃষিজ পণ্যের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ভারতকে ইংল্যান্ডের কৃষিজ বা উপনিবেশে পরিণত করাই ছিল এর প্রধান লক্ষ্য।
প্রশ্ন 3 | ‘দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা’ কেন হয়েছিল?
উত্তরঃ- ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ ভারতে সংঘটিত কৃষকবিদ্রোহ দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা' নামে পরিচিত। এই কৃষকবিদ্রোহ সংঘটিত হওয়ার নেপথ্যে কারণসমূহ :
(১) প্রচলিত রায়তওয়ারি ব্যবস্থায় উচ্চ ভূমিরাজস্ব হার।
(২) দাস ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে ঊনবিংশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে শুরু হওয়া আমেরিকার গৃহযুদ্ধ বন্ধ হলে ইংল্যান্ডে ভারতীয় তুলোর চাহিদা হ্রাস পায়। ফলে তুলোর দাম কমে যায় এবং কৃষকের দুর্দশা বৃদ্ধি পায়। (৩) তুলোর দাম কমলেও রাজস্ব হার কমানো হয়নি। ফলে রাজস্ব মেটাতে কৃষক মহাজনি শোষণের শিকার হয়। কৃষকদের এই দুর্দশা তাদের বিদ্রোহের পথকে বেছে নিতে বাধ্য করে।
প্রশ্ন 4। সম্পদের বহির্গমন কাকে বলে?
উত্তরঃ- যখন কোনো অঞ্চল থেকে অন্য কোনো অঞ্চলে
বিনিময়হীনভাবে সম্পদের স্থানান্তর ঘটে, তখন তাকে সম্পদের বহির্গমন বা সম্পদের নিঃসরণ বলে। ঔপনিবেশিক পরিকাঠামোয় শুল্ক বৈষম্যনীতি, উপঢৌকন, অবাধ বাণিজ্য প্রভৃতির মাধ্যমে ভারতীয় সম্পদ ইংল্যান্ডে স্থানান্তরিত হওয়ায় ভারত এক রিক্ত-দরিদ্র রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
প্রশ্ন 5. অবশিল্পায়ন বলতে কী বোঝ?
উত্তরঃ- আক্ষরিক অর্থে ‘অবশিল্পায়ন’ বলতে ‘শিল্পায়নের বিপরীত অবস্থা’ বা ‘শিল্পের ধ্বংসসাধনকে বোঝায়। পলাশির যুদ্ধের পরবর্তীকালে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির
(১) একচেটিয়া বাণিজ্য, ২ বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি ও শিল্পনীতি, ৩ দাদন প্রথা ও (৪) অসম প্রতিযোগিতার ফলে ভারতের ঐতিহ্যশালী শিল্প-ব্যবস্থার বিশেষত কুটিরশিল্পের যে ধ্বংসসাধন ঘটেছিল তা ‘অবশিল্পায়ন' নামে পরিচিত।
প্রশ্ন 6| বাংলার কৃষক সমাজের ওপর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রভাব কেমন ছিল বলে তোমার মনে হয়?
উত্তর: বাংলার কৃষক সমাজের ওপর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের
প্রভাব : ভারতের অর্থনৈতিক ইতিহাসে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রচলন এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়। ড. অ্যাডাম স্মিথ-এর মতে, ‘চিরস্থায়ী ব্যবস্থা প্রবর্তন করে লর্ড কর্নওয়ালিস এক বিপ্লব ঘটান।' অন্যদিকে ড. ব্যাডেন পাওয়েল-এর মতে কর্নওয়ালিস প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত অনেক প্রত্যাশাকে ধ্বংস করে এমন কিছু প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল যা ছিল অচিন্তনীয়। বাংলার কৃষক সম্প্রদায়ের ওপর চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রভাব ছিল অপরিসীম। যেমন-
(২) জমিতে কৃষকের মালিকানা ও দখলি-স্বত্ব লুপ্ত : চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের দ্বারা জমিতে জমিদারের মালিকানা স্বত্ব স্বীকার করা হয়, কিন্তু কৃষকের দখলি-স্বত্ব (Occupancy Right) স্বীকার করা হয়নি। এর ফলে রায়তশ্রেণি (কৃষকরা) জমিদারদের ভূমিদাসে পরিণত হয়। ২ কৃষকরা জমিদারের ইচ্ছাধীন ভাড়াটেতে রূপান্তরিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় লর্ড কর্নওয়ালিস আশা করেছিলেন যে, জমিদাররা জমির স্বত্বলাভ করে পাট্টার দ্বারা কৃষকদের জমির দখলি-স্বত্ব প্রদান করবেন। কিন্তু নানা কারণে পাট্টা প্রদানে জমিদারদের অসহযোগিতা এবং পাট্টা গ্রহণে কৃষকদের অনীহার ফলে পাট্টাপ্রথা কার্যকরী হয়নি, যার ফলশ্রুতিতে কৃষকরা জমিদারের ইচ্ছাধীন ভাড়াটে (Tenants at will) হিসেবে জীবন কাটাতে বাধ্য হয়। ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে ৭নং রেগুলেশন জারি করে রাজস্ব প্রদানে অক্ষম কৃষককে সহজেই জমিচ্যুত করা যেত।
(৩) নির্দিষ্ট রাজস্ব ছাড়াও নানান উপরি অর্থ আদায়ের জন্য অত্যাচার : চিরস্থায়ী ব্যবস্থায় জমিদাররের কর্মচারীরা নির্দিষ্ট রাজস্ব ছাড়াও নানান উপরি অর্থ আদায়ের জন্য কৃষকের ওপর অত্যাচার করতে থাকে এবং বহুগুণ বেশি রাজস্ব আদায় করতে থাকে। অন্যদিকে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জমির ক্রমবর্ধমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে কৃষককে জমি থেকে উচ্ছেদ করে জমিদাররা বাড়তি হারে অন্য লোককে জমি বন্দোবস্ত করে দেয়।
৪) পাটনি প্রথার কুপ্রভাব : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পাটনি ব্যবস্থায় জমির ছোটো মালিকরা অতিরিক্ত খাজনার জন্য প্রজাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার করতে থাকে।
(৫) মধ্যস্বত্বভোগী ও মহাজনদের কৃষক শোষণ : চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে কৃষকদের ওপর জমিদার ছাড়াও মহাজনশ্রেণির শোষণ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার চরমে ওঠে। মোটকথা
এই ব্যবস্থায় বাংলার কৃষকদের জীবন অতিষ্ঠ ও ভবিষ্যৎঅন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে ওঠে এবং বাংলার আর্থিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রশ্ন ১| পাঁচসালা বন্দোবস্ত কাকে বলে? কে এই বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন?
উত্তরঃ- ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে সর্বাধিক রাজস্ব আদায়ের উদ্দেশ্যে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি ভ্রাম্যমাণ কমিটি গঠন করে। এই কমিটি জমিদারদের সঙ্গে নিলামের ভিত্তিতে পাঁচ বছরের জন্য যে ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করে তা পাঁচসালা বন্দোবস্ত নামে পরিচিত।
ওয়ারেন হেস্টিংস এই বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
প্রশ্ন ২| আমিনি কমিশন কে, কবে, কী উদ্দেশ্যে গঠন করেন?
অথবা, আমিনি কমিশন কাকে বলে?
উত্তরঃ- বাংলার ভূমি বন্দোবস্ত ও ভূমিরাজস্ব সম্পর্কে বিস্তৃত
অনুসন্ধানের জন্য ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে ‘আমিনি কমিশন' গঠন করেন। কৃষিজমির উর্বরতা অনুসারে রাজস্ব নির্ধারণ ও তা আদায় করা এবং কৃষকদের উন্নতির জন্য নানারকম ব্যবস্থা নেওয়াই ছিল আমিনি কমিশনের কাজ।
প্রশ্ন ৩ ‘দশসালা বন্দোবস্ত' বলতে কী বোঝ? কে এই বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন?
উত্তর : রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা ও বিশৃঙ্খলা দূর করার জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দশ বছরের জন্য যে ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করে তা ‘দশসালা বন্দোবস্ত’ নামে পরিচিত। ১৭৯০ খ্রিস্টাব্দে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যায় এই বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হয়েছিল।
• লর্ড কর্নওয়ালিস এই বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন।
প্রশ্ন ৪ চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত কী?
উত্তরঃ- কোম্পানির ক্রমবর্ধমান অর্থসংকটের মোকাবিলা করার জন্যে সরকার ভূমিরাজস্বের পরিমাণ চিরস্থায়ী হারে ধার্য করার · কথা ভাবেন এবং ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দের ২২ মার্চ কর্নওয়ালিস বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা ও পরে বারাণসী অঞ্চলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করেন। এর ফলে জমিদাররা জমির মালিক এবং কৃষকরা জমিদারের ভাড়াটিয়া প্রজায় পরিণত হয়, যার ফলশ্রুতিতে- বাংলার কৃষকদের স্বার্থ চরম অবহেলিত হয়,
3. জমিদাররা কৃষকদের কাছ থেকে উচ্চহারে খাজনা আদায় করতে থাকেন, (৩) জমিদারের কর্মচারীরা খাজনা আদায়ের নামে কৃষকদের ওপর অত্যাচার ও অর্থ আদায় করতে থাকে এবং
৪ কৃষকদের ওপর মহাজনশ্রেণির শোষণ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার চরমে ওঠে।
প্রশ্ন ৫| চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তরঃ- চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তনের পিছনে কোম্পানির
উদ্দেশ্যগুলি ছিল—
(১) রাজস্বের পরিমাণ চিরস্থায়ী হারে ধার্য করা।
(২) নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট হারে রাজস্ব সংগ্রহ।
(৩) দেশের অভ্যন্তরে রাজকীয় অনুগ্রহপুষ্ট একটি নতুন অভিজাত সম্প্রদায় গড়ে তোলা যারা তাদের প্রধান সমর্থক হিসেবে কাজ করবে।
8 কৃষির উন্নতির জন্য জমিতে জমিদারদের বেশি বিনিয়োগ। যার ফলে দেশ সমৃদ্ধিশালী হয়ে উঠবে এবং কোম্পানি লাভবান হবে।
প্রশ্ন ৬| চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে বাংলার কৃষকদের কী হয়েছিল?
উত্তরঃ- চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে : ১ বাংলার কৃষকদের স্বার্থ চরমভাবে অবহেলিত হয়, ও জমিদাররা কৃষকদের কাছ থেকে উচ্চহারে খাজনা আদায় করেন, ৩ খাজনা আদায়ের নামে কৃষকদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার ও লাগামহীন অর্থ আদায় চলতে থাকে, ৪ কৃষকদের ওপর মহাজনশ্রেণির শোষণ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের অত্যাচার চরমে ওঠে এবং কৃষকরা জমিদারের ভাড়াটিয়া প্রজায় পরিণত হয়।
প্রশ্ন ৭ ★বাংলায় চিরস্থায়ী ব্যবস্থার একটি সুফল ও একটি কুফল উল্লেখ করো।
উত্তর) চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের একটি সুফল : ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে আয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হওয়ায় সরকারি বাজেট তৈরি করার সুবিধা হয়। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের একটি কুফল : জমিতে জমিদারের মালিকানা-স্বত্ব স্বীকার করে নেওয়া হলেও রায়ত বা কৃষকের দখলি-স্বত্ব স্বীকার করা হয় না। ফলে রায়ত বা কৃষকরা জমিদারের ভূমিদাস বা ইচ্ছাধীন প্রজায় পরিণত হয়।
প্রশ্ন ৮★ 'সূর্যাস্ত আইন' কী?
উত্তর:- কর্নওয়ালিসের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের অন্যতম শর্ত ছিল এই যে, নির্দিষ্ট তারিখে সূর্যাস্তের আগে সরকারি কোশাগারে রাজস্ব জমা দিতে হবে, নয়তো জমিদারি বাজেয়াপ্ত হবে। একেই বলে ‘সূর্যাস্ত আইন'।
প্রশ্ন ৯। রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত বলতে কী বোঝ?
অথবা, রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের জনক কাকে বলে? এই বন্দোবস্তের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর:- ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম ভারতে (প্রধানত মাদ্রাজ, বোম্বে প্রেসিডেন্সিতে যে ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার প্রবর্তন করে তা রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত (১৮২০ খ্রি.) নামে পরিচিত।
● রায়তওয়ারি ব্যবস্থায় সরকার ও রায়তের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক গড়ে ওঠার ফলে খাজনা আদায়ের জন্য
মধ্যস্বত্বভোগীদের অস্তিত্ব ছিল না, কৃষকরা সরাসরি সরকারকে রাজস্ব দিত; 3 কৃষকদের জমি ভোগ করার স্বত্ব থাকলেও জমির মালিকানা স্বত্ব তাদের ছোট্ট কথা ছিল না; ৩ সরকারের পক্ষ
থেকে প্রত্যেক কৃষকের সঙ্গে সাধারণত ২০ বা ৩০ বছরের মেয়াদে জমি ব্যবহারের বন্দোবস্ত করা হত। ক্যাপ্টেন আলেকজান্ডার বিং এবং টমাস মুনরো ছিলেন রায়তওয়ারি বন্দোবস্তের জনক।
প্রশ্ন ১০ মহলওয়ারি বন্দোবস্ত কাকে বলে? এই বন্দোবস্ত কোন্ কোন্ অঞ্চলে প্রথম প্রবর্তিত হয়?
উত্তর) গভর্নর জেনারেল লর্ড বেন্টিঙ্কের আমলে গাঙ্গেয় উপত্যকা অঞ্চলে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেক রায়তের (কৃষকের) সঙ্গে সরাসরি ভূমিরাজস্বের বন্দোবস্ত না-করে সমষ্টিগতভাবে এক-একটি গ্রাম বা মহলের সঙ্গে ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা হয়। এই ব্যবস্থা ‘মহলওয়ারি বন্দোবস্ত' নামে পরিচিত। এই ব্যবস্থায় গ্রাম বা মহলের লোকেরা যৌথভাবে সরকারি রাজস্ব প্রদানে বাধ্য থাকত।
● উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, পাঞ্জাব অঞ্চলে প্রথম মহলওয়ারি ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
প্রশ্ন ১১ ‘ভাইয়াচারি ব্যবস্থা’ বলতে কী বোঝ?
উত্তর) ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে এলফিনস্টোন ও ম্যাকেঞ্জি পাঞ্চাবের কয়েকটি অঞ্চলে ‘ভাইচারি ও গ্রামওয়ারি' ব্যবস্থা চালু করেন। এই ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধি ও কালেক্টরের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে রাজস্ব নির্দিষ্ট করা হত এবং কয়েক বছর অন্তর। ব্যবস্থায় রাজস্বের হার বৃদ্ধির সুযোগ রাখা হয়েছিল। প্রত্যেক
কৃষকের ওপর আলাদা কর ধার্য করা হত এবং রাজস্ব আদায় ও জমা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করত গ্রামের মোড়ল বা জনপ্রতিনিধি।
প্রশ্ন ১২/কৃষির বাণিজ্যিকরণ বলতে কী বোঝ?
(উত্তর) শুধুমাত্র দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত খাদ্যশস্য উৎপাদন করেি না-করে বাণিজ্যিক প্রয়োজনে বিভিন্ন কৃষিজ ফসল উৎপাদন করাকে কৃষির বাণিজ্যিকরণ বলা হয়। যেমন- চা, নীল, পাট, তুলো প্রভৃতি ফসল চাষের জন্য ঔপনিবেশিক সরকার কৃষকদের বাণি ওপর জোর দিয়েছিল।
প্রশ্ন ১৩ অবাধ বাণিজ্য বলতে কী বোঝ?
উত্তর) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যের ছিল অবসান ঘটায় এবং অন্য ইউরোপীয় পুঁজিপতিদেরও অবাধ রক্ষ বাণিজ্যের অধিকার স্বীকার করে নেওয়া হয়। নতুন এই আইনের ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছাড়াও অন্যান্য ব্রিটিশ ব্যবসায়ী বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ভারতে ব্যাবসা করার পথ প্রশস্ত হয়।
প্রশ্ন ১৪ আবওয়াব কী?
উত্তর» ‘আবওয়াব’ শব্দের অর্থ হল রাজস্বের ওপর চাপানো একপ্রকার বাড়তি কর যার কোনো আইনগত ভিত্তি ছিল না। ইংরেজি ভাষায় এর প্রতিশব্দ হল ‘Cess'।
প্রশ্ন ১৫| ‘দাদন কী’? অথবা, ‘দাদন প্রথা’ বলতে কী বোঝায়?
উত্তর) ‘দাদন’ মানে ‘অগ্রিম অর্থ প্রদান’। পলাশির যুদ্ধের পর থেকেই কর্মচারী, দেশীয় এজেন্ট বা গোমস্তাদের মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেশীয় তাঁতিদের দাদন বা অগ্রিম অর্থ দিত। কোম্পানির দাদন গ্রহণ করায় তাঁতিরা শুধুমাত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ছাড়া আর অন্য কোথাও উৎপন্ন দ্রব্য বিক্রি করতে পারত না এবং কম দামে লোকসান স্বীকার করেও তারা উৎপন্ন বস্ত্র কোম্পানিকে বিক্রি করতে বাধ্য থাকত।
প্রশ্ন ১৬/‘পাটনি প্রথা’ কী?
উত্তর) বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রচলিত হওয়ার পর প্রজাদের কাছ থেকে সরাসরিভাবে খাজনা আদায় করার ঝামেলা থেকে মুক্ত ছোট্ট কথা থাকার জন্য যানো কোনো বর্ধমানের জমিদার তেজচন্দ্ৰ প্ৰথম জমিদার তাঁর জমিদারির অংশ ছোটো ছোটো ভাগে বিভক্ত পত্তনি প্রথা চালু করেন।
করে নির্দিষ্ট খাজনা প্রদানের শর্তে অন্যদের কাছে বন্দোবস্ত দিতেন। একে ‘পাটনি প্রথা' বলা হত। যদিও জমির এই বহু বিভাজনের ফলে কৃষকের উপর শোষণ ও অত্যাচার বৃদ্ধি পায়।
প্রশ্ন ১৭ কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্য অধিকার বলতে কী বোঝায়?
উত্তর) ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলার দেওয়ানি লাভের পর থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি অন্যান্য ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের সরিয়ে দিয়ে বাংলার ব্যাবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে একক আধিপত্য বিস্তার
■ করেছিল তাকেই কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্য অধিকার বলা হয়। বস্তুত ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে রানির সনদ অনুসারে ইংল্যান্ডের কোম্পানিগুলির মধ্যে প্রাচ্যে একমাত্র ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্য করার অধিকার লাভ করে।
প্রশ্ন ১৮ ভারতকে ‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন’ বলা হয় কেন?
উত্তর ইংরেজদের শ্রেষ্ঠ উপনিবেশগুলির মধ্যে ভারতবর্ষ ছিল অন্যতম। স্বাভাবিকভাবেই, ব্রিটিশদের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করাই ছিল ভারতীয় অর্থনীতির মূল উদ্দেশ্য। তা ছাড়া
(১) ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ইংরেজদের বাণিজ্যিক উৎপাদনের প্রয়োজনে ভারতীয় কাঁচামাল যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা হত।
(২) ভারত ছিল ব্রিটিশ পণ্যের খোলা বাজার। (৩) ইংল্যান্ডের সুতি শিল্পের কারখানায় উৎপন্ন পণ্যেরসিংহভাগই বিক্রি হত ভারতের বাজারে। (৪) ভারতে রেল যোগাযোগের প্রয়োজনে লোহা ও ইস্পাত বেশিটাই সরবরাহ করা হত ভারতীয় কারখানাগুলি থেকে। এইসব কারণে ভারতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দামি ‘রত্ন’ বা উপনিবেশ বলা হত।
প্রশ্ন ২১। শিল্পবিপ্লব বলতে কী বোঝ? কোথায় প্রথম শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়?
উত্তর> সপ্তদশ শতকের শেষভাগ এবং অষ্টাদশ শতকের প্রথম ভাগের মধ্যে শিল্পক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদনের পরিমাণ ও সময়ের দিক দিয়ে উৎপাদন ক্ষেত্রে যে আমুল পরিবর্তন ঘটে, তাকে শিল্প বিপ্লব বলা হয়। ঐতিহাসিক ফিশারের মতে, কায়িক শ্রমের পরিবর্তে যন্ত্রের দ্বারা দ্রব্যের উৎপাদন ও তা থেকে উৎপাদন বৃদ্ধিকে শিল্পবিপ্লব বলে। ইংল্যান্ডেই সর্বপ্রথম শিল্পবিপ্লবের সূচনা হয় এবং পরে তা ফ্রান্সসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রশ্ন ২২ ★কোম্পানির আমলে ভারতে বস্ত্রশিল্পের বিনাশের প্রধান কারণ কী? অথবা, ব্রিটেন কীভাবে ভারতীয় বস্ত্রশিল্পকে পঙ্গু করেছিল?
অথবা, ভারতে বস্ত্রশিল্প ধ্বংসের দুটি প্রধান কারণ উল্লেখ করো।
উত্তর: ভারতের সমৃদ্ধশালী বস্ত্রশিল্পের বিনাশের কারণগুলি হল :
১ পলাশি যুদ্ধের পরবর্তীকালে কাঁচা তুলোর ব্যাবসার ওপর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একচেটিয়া কর্তৃত্ব;
(২ ইংরেজ সরকারের বৈষম্যপূর্ণ বাণিজ্য ও শুল্কনীতি;
৩) শিল্পবিপ্লবের পরবর্তী অবাধ বাণিজ্যের যুগে দামে সস্তা কিন্তু মানে উন্নত বিলিতি বস্ত্রের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায় ভারতীয় বস্ত্রশিল্পের পরাজয়;
৪) দেশীয় রাজ্যগুলির পতনের সঙ্গে ভারতীয় মিহি বস্ত্রের চাহিদা হ্রাস;
৫ ভারতীয় বস্ত্রশিল্পের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রভৃতি।
সর্বোপরি, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতের বস্ত্রশিল্পকে রক্ষা করার অনিচ্ছাই বস্ত্রশিল্প ধ্বংসের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছিল।
প্রশ্ন ২৯ ভারতবর্ষে কবে, কোথায় প্রথম ট্রেন চলাচল চালু হয়?
উত্তর> ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১৬ এপ্রিল ভারতে প্রথম রেলপথ তৈরি হয়ে বোম্বে থেকে ২১ মাইল দূরবর্তী থানে পর্যন্ত।
প্রশ্ন ৩০ | ‘আর্থিক নিষ্ক্রমণ’ বা ‘সম্পদ নির্গমন' বলতে কী বোঝ?
অথবা,সম্পদের বহির্গমন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর) যখন একস্থান থেকে অন্যস্থানে বিনিময়হীনভাবে সম্পদের স্থানান্তরণ ঘটে তখন তাকে ‘সম্পদ নির্গমন’ বা ‘আর্থিক নিষ্ক্ৰমণ’ বলা হয়। ভারতে পলাশি উত্তরকালে এবং বিশেষ করে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হওয়ার পর ‘সম্পদ নির্গমন’ এক বাস্তব সত্যে পরিণত হয়। দাদাভাই নওরোজি তার Poverty and Un-British Rule in India গ্রন্থে এই বিষয়ে প্রথম আলোকপাত করেন।
প্রশ্ন ৩১/ বাগিচা চাষ কী? কোম্পানি আমলে বাংলার দুটি
বাগিচা ফসলের নাম লেখো।
অথবা, ‘বাগিচাশিল্প' বলতে কী বোঝ?
উত্তর> বৃহৎ জমিতে একলক্ষ্যে যখন বাণিজ্যিকভাবে বা অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যসাধনে কোনো ফসল চাষ করা হয়, তখন তাকে বাগিচা চাষ বলে।
কোম্পানি আমলে বাংলার দুটি বাগিচা ফসল হল—নীল ও চা।
প্রশ্ন ৩৩ মসলিন কী? বাংলার মসলিন শিল্প ধ্বংসের দুটি কারণ লেখো।
উত্তর: মসলিন হল একপ্রকার সূক্ষ্ম সূতির কাপড়, যা প্রধানত বাংলার ঢাকা অঞ্চলের তাঁতিদের দ্বারা উৎপন্ন হত।
বাংলার মসলিনের ধ্বংসের দুটি কারণ :
দক্ষ মসলিন তাঁতির হাতের বুড়ো আঙুল কেটে নেওয়ায়
সমগ্র তন্তুবায় সমাজে নিরাপত্তাহীনতা ও ভীতির সঞ্চার।
ও দামি মসলিন কাপড়ের দেশীয় পৃষ্ঠপোষক পাওয়া মুশকিল ছিল।
প্রশ্ন ৩৫ দাক্ষিণাত্য হাঙ্গামা বলতে কী বোঝায়?
উত্তর) দাক্ষিণাত্যে উনিশ শতকের শেষদিকে এক উল্লেখযোগ্য কৃষক বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। মূলত মহারাষ্ট্রের পুণা ও আত্মদনগর জেলায় রায়তওয়ারি ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহ দেখা দেয় (১৮৭৫)। এই সঙ্গে যুক্ত হয় বহিরাগত ব্যবসায়ীদের উৎপীড়ন, ‘সাহকার’ বা মহাজনদের অত্যাচার ও উচ্চহারে সরকারি রাজস্ব। কিন্তু কৃষকদের দুরবস্থার দূরীকরণে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সরকার বিদ্রোহের কারণ অনুসন্ধানের জন্য ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে একটি তদন্ত কমিশন নিয়োগ করেন এবং তার তিনবছর বাদে দাক্ষিণাত্য কৃষি ত্রাণ আইন প্রণয়ন করেন।
প্রশ্ন ৮] প্রজাস্বত্ব আইন (Tenancy Act) বলতে কী বোঝ?
উক্ত জমিদারদের অমানবিক অত্যাচার থেকে কৃষকদের রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশ সরকার ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দে প্রজাস্বত্ব আইন প্রণয়ন করেন। এই আইনে-
● অস্থায়ী রায়ত বা কৃষকদের দখলি-স্বত্ব দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশ ছাড়া কৃষককে জমি থেকে উৎখাত করা যাবে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়।
৩) নির্দিষ্ট কারণ প্রদর্শন ছাড়া জমিদার রাজস্ব বৃদ্ধি করতে পারবে না বলে নিয়ম প্রবর্তিত হয়।
প্রশ্ন ১০ ভারতীয় অর্থনীতিতে চার্টার অ্যাক্টের গুরুত্ব কী?
উত্তর) ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের সনদ অনুসারে ব্রিটিশ সরকার ভারতে অবাধ বাণিজ্য নীতি গ্রহণ করে। এই নীতির গুরুত্ব হল : ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অধিকৃত অঞ্চলের ওপর ব্রিটিশ সরকারের সার্বভৌম অধিকার ঘোষিত হয়। ভারতবর্ষে একচেটিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাণিজ্যের অবসান ঘটে। ভারতের বাণিজ্য ইউরোপীয়দের জন্য উন্মুক্ত হয়।৪) ভারতে অবশিল্পায়ন এবং সম্পত্তি নির্গমনের সূচনা হয়।
অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর। Class 8 history 4th chapter question answer pdf | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf
প্রশ্ন 1.‘দেওয়ানি' কথার অর্থ কী? ইংরেজ ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি কবে দেওয়ানি লাভ করে? কোম্পানির শাসনকালে ভারতের কৃষি-অর্থনীতিতে ভাঙন দেখা যায় কেন?
উত্তর দেওয়ানি : ‘দেওয়ানি' কথার অর্থ হল রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত অধিকার।
● কোম্পানির দেওয়ানি লাভ : ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দেওয়ানি লাভ করে।
● কোম্পানির শাসনকালে ভারতের কৃষি-অর্থনীতিতে ভাঙনের কারণ : কোম্পানির আমলে পাঁচসালা বন্দোবস্ত, মহলওয়ারি বন্দোবত প্রভৃতি ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তন করা নতু একথালা দেবি, চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, রায়তওয়ারি বন্দোবস্ত, সত্ত্বেও ভারতের কৃষি অর্থনীতিতে ভাঙন দেখা দেয়। এই ভাঙনের মূল কারণগুলি হল-
শ্রেণির ক্ষমতা লোপ : নতুন ভূমিরাজস্ব কৃষ ব্যবস্থায় ভারতের পূর্বতন মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণির (যেমন: জমিদার, কৃষক ও পঞ্চায়েত) ক্ষমতা ও সুযোগসুবিধার বিনাশ ভূমি ঘটে, ফলে ভারতের প্রাচীন গ্রামীণ আর্থসামাজিক সংগঠন ভেঙে পড়ে।
২) কৃষকের পক্ষে অলাভজনক : নতুন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থায় জমি ক্রয়-বিক্রয় করার, বন্ধক দেওয়ার ও অন্যান্যভাবে হস্তান্তর করার ব্যবস্থা চালু হওয়ায় কৃষকদের অবস্থা সংকটময় হয়ে।
3) যৌথ পরিবার প্রথা ও পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার পরিপন্থী : নতুন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে এতকাল পর্যন্ত ভারতের গ্রামীণ জীবনে যে সামাজিক বন্ধন ছিল—তা বিপর্যস্ত হয়, যৌথ পরিবার প্রথা ও পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ওপর চরম আঘাত আসে। গ্রামীণ জীবনে সহযোগিতার পরিবর্তে আসে তীব্র প্রতিযোগিতা।
8 কৃষকদের পরিবর্তে মহাজন, বণিক ও সরকারি কর্মচারীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা : নতুন ভূমিরাজস্ব ব্যবস্থার ফলস্বরূপ গ্রামীণ জীবনে কৃষকদের পরিবর্তে মহাজন, বণিক ও সরকারি কর্মচারীদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় এবং গ্রামীণ জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে যায়। এইসব কারণে কোম্পানির শাসনকালে ভারতের কৃষি-অর্থনীতিতে ভাঙন দেখা দেয়।
৪ মহলওয়ারি ব্যবস্থা সম্পর্কে লেখো।
উত্তর> ● মহলওয়ার ব্যবস্থা • চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পরিমার্জিত রূপ হিসেবে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম সীমা হোন্ট ম্যাকেঞ্জি এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন। এই অঞ্চলে মহলওয়ারি বন্দোবস্ত গড়ে ওঠে। ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে ব্যবস্থার শর্তগুলি হল-
১ একটি গ্রাম বা মহলের মাধ্যমে ইংরেজ কোম্পানি। ভূমিরাজস্ব আদায় করবে;
(২) জমি জরিপ করে মহল বা গ্রামের রাজস্ব নির্ধারিত হবে;
(৩) গ্রামবাসীরা মিলিতভাবে গ্রামপ্রধানের মাধ্যমে সেই রাজস্ব জমা দেবে;
৪) এই ব্যবস্থার মেয়াদ হবে ২০-৩০ বছর পর্যন্ত,
জমির উৎপাদন শক্তি ও শস্যের ধরন বিচার করে রাজস্বের হার নির্ধারিত হবে;
(৬ আদায়িকৃত রাজস্বের ৬৬ শতাংশ সরকার গ্রহণ করবে।
(1) রাজস্বের উচ্চ হার এবং কোম্পানির কর্মচারীদের অত্যাচারে কৃষকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল; মধ্যস্বত্বভোগীর স্থানে গ্রামপ্রধানরা স্বজনপোষণ ও দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়ার ফলে কৃষকদের স্বার্থ কোনো অর্থেই সুরক্ষিত হয়নি; রাজস্ব সঠিক সময়ে জমা না-করলে জমি হারানোর ভয় ছিল।
বার্ডের মতে এই ব্যবস্থা ছিল 'ভীতপ্রদ পরীক্ষা'। পরে বার্ডের সুপারিশে এই ব্যবস্থায় ব্যাপক সমস্যার ভিত্তিতে জমির প্রকৃত আয়ের ২/৩ অংশ রাজস্ব রূপে গ্রহণের পাশাপাশি ৩০ বছর অন্তর তা সংশোধনের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রশ্ন ২০/* সম্পদের নিগর্মন বলতে কী বোঝ? কোন্ কোন্ ভারতীয়ের লেখায় তার উল্লেখ পাওয়া যায়? সম্পদ নির্গমনের চরিত্র কেমন ছিল?
অথবা, পলাশির যুদ্ধের পর কীভাবে সম্পদের নির্গমন ঘটেছিল?
উত্তর) সম্পদের নির্গমন : যখন কোনো একস্থান থেকে অন্য কোনো স্থানে বিনিময়হীনভাবে সম্পদের স্থানান্তর ঘটে, তখন তাকে সম্পদের নিগমন বা নিঃসরণ বলে। ভারতে অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ত্রিমুখী বাণিজ্য, উপঢৌকন বা অন্যান্য পথে ভারতীয় সম্পদ ইংল্যান্ডে গিয়ে সঞ্চিত হতে থাকে। মাদ্রাজের রাজস্ব বোর্ডের সভাপতি জন সুলিভ্যান বলেছিলেন—আমাদের শাসনব্যবস্থা ছিল স্পঞ্জের মতো। গঙ্গাতীরবর্তী দেশ থেকে যা কিছু সম্পদ শুষে নিয়ে টেমস নদীর তীরবর্তী দেশে তা নিঙড়ে দেওয়া। ফলে ভারত এক দরিদ্র, রিক্ত রাষ্ট্রে পরিণত হয় এবং ইংল্যান্ডের শিল্পপুঁজির বিকাশ ও ব্যাংকশিল্পের বিকাশ সহজ হয়ে ওঠে।
● ভারতীয় গ্রন্থে উল্লেখ : দাদাভাই নওরোজির Poverty and Un-British Rule in India 1871' (প্রভাটি অ্যান্ড আন-ব্রিটিশ রুল ইন ইন্ডিয়া) এবং রমেশচন্দ্র দত্তের 'Economic History of India' (ইকনমিক হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া) গ্রন্থে সম্পদ নিগর্মন বিষয়ে প্রথম আলোকপাত করা হয়।
সম্পদ নির্গমনের চরিত্র : কোম্পানি ও ব্রিটিশ রাজের আমলের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য ছিল ভারত থেকে সম্পদেরনির্গমন। অবশিল্পায়ন ত্রিমুখী বাণিজ্য (কলকাতা → ক্যান্টন→ লন্ডন), উপঢৌকন, বেতন-পেনশন প্রভৃতির মাধ্যমেভারতীয় সম্পদ বৈধ ও অবৈধ উপায়ে দেশ থেকে বেরিয়ে যেত। বস্তুত রেলপথ, টেলিগ্রাফ বিস্তারের মতো উন্নয়নের মোড়কে ভারতীয় সম্পদের নিঃসরণ ঘটত। ঊনবিংশ শতকেরদ্বিতীয়ার্ধে যার পরিমাণ ছিল ভারতীয়দের জাতীয় আয়ের ৬% বা সেই সময়ে ব্রিটেনের জাতীয় আয়ের ২%।
বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
File Details:-
File Name:- Class 8 history 4 no chapter questions answers pdf
File Format:- PDF
File Size:- Mb
File Location:- Google Drive
Download: Click Here to Download
আরও পোস্ট দেখো B
A
B
C
THANK YOU & WELCOME