অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf | Class 8 history 7 chapter questions answers pdf

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ।অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ প্রশ্ন উত্তর। class viii history chapter 6 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 history 6 chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।

তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসে ৬ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর| অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৬ প্রশ্ন উত্তর , গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর ষষ্ঠ অধ্যায় pdf download, Class 8 history six chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE 


      আরও পোস্ট দেখো     B  

A.

B.

C.

অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস ষষ্ঠঅধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download,অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৬ প্রশ্ন উত্তর ,

১. ভারতের প্রথম জাতীয়তাবাদী সংগঠন কোন্‌টি?

উত্তর: বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা।

২ ‘বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা' কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে।

৩ ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠনের নাম কী?

উত্তর: জমিদার সভা।

8 রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ‘জমিদার সভা’ কত খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে।

৮ কত খ্রিস্টাব্দে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে।

৯-ইলবার্ট কে ছিলেন?

উত্তর: ভাইসরয় লর্ড রিপনের আইনসচিব।

১০ ‘জাতীয় সম্মেলন’ প্রথম কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে।

11.‘জাতীয় সম্মেলন’-এর প্রথম সভাপতি কে ছিলেন?

উত্তর: রামতনু লাহিড়ি।

১২ কাকে ‘জাতীয় কংগ্রেসের জনক' বলা হয়?

উত্তর: অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউমকে।

১৩ হিউমের জীবনীকার কে?

উত্তর: ওয়েডারবার্ন।

১৪ জাতীয় কংগ্রেস কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

উত্তর: ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর।

১৫ ‘নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন’ কবে পাস হয়েছিল?

উত্তর: ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে (লর্ড নর্থব্রুক-এর আমলে)।

১৮ ‘নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন' কে চালু করেন?

উত্তর: লর্ড নর্থব্রুক।

১৯ কোন্ বিপ্লবী পরবর্তী জীবনে ধর্মীয় গুরু হয়েছিলেন?

উত্তর: ঋষি অরবিন্দ ঘোষ।

২০ কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশন কত খ্রিস্টাব্দে হয়?

উত্তর: ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে।

২১ কংগ্রেসের নরমপন্থী কাদের বলা হয়?

উত্তর: যাঁরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আবেদন-নিবেদন নীতি গ্রহণ করেন তাঁদের বলা হয় নরমপন্থী।

২২ "জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতির নাম কী?

উত্তর: উমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়।

২৩ ‘রাজনৈতিক ভিক্ষাবৃত্তি' বলে কাদের ব্যঙ্গ করা হত?

উত্তর: নরমপন্থীদের আবেদন-নিবেদন পদ্ধতিকে।

২৪ একজন নরমপন্থী নেতার নাম লেখো।

উত্তর: সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

২৫ একজন চরমপন্থী কংগ্রেস নেতার নাম লেখো।

উত্তর: বালগঙ্গাধর তিলক।

২৭ ★বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা কে করেছিলেন?

উত্তর: লর্ড কার্জন।

২৮ বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা কবে বাস্তবায়িত হয়?

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর।

২৯ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী একজন নেতার নাম লেখো।

উত্তর: সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

৩০ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী একজন মুসলিম নেতৃত্বের নাম লেখো।

উত্তর: লিয়াকত হোসেন।

৩২ আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের নাম কী?

উত্তর: বেঙ্গল কেমিক্যাল অ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল।

৩৩ বঙ্গলক্ষ্মী কটন মিল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে।

৩৪ বয়কটের ডাক কে দেন?

উত্তর: কৃয়কুমার মিত্র।

৩৫ বয়কট আন্দোলনের ডাক কোন্ পত্রিকায় প্রথম দেওয়া হয়?

উত্তর: সঞ্জীবনী পত্রিকায়।

৩৬ জাতীয় শিক্ষা পরিষদ কবে গঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে।

৩৭ ‘ভারতের বিপ্লববাদের জনক' কাকে বলা হয়?

উত্তর: মহারাষ্ট্রের বাসুদেও বলবন্ত ফাদকে-কে।

৩৮ ‘অনুশীলন সমিতি' প্রতিষ্ঠা কে করেছিলেন?

উত্তর: সতীশচন্দ্র বসু।

৩৯ ‘অনুশীলন সমিতি' কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে।

৪০ ★কার নেতৃত্বে ঢাকা অনুশীলন সমিতি স্থাপিত হয়?

উত্তর: পুলিনবিহারী দাস।

৪১ ★ 'মর্লে মিন্টো সংস্কার আইন' কবে পাস হয়?

উত্তর: ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে।

৪২ ★কত খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়?

উত্তর: ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।

৪৩ উত্তর ভারতে কোন্ বিপ্লবীদল প্রভাব বিস্তার করে?

উত্তর: গদর পার্টি।

৪৪ গদর পার্টি কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: লালা হরদয়াল।

৪৫ ‘রাখিবন্ধন’ উৎসব কবে পালিত হয় এবং কার উদ্যোগে?

উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর।

৪৮ কলকাতা থেকে কবে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।

৪৮ কলকাতা থেকে কবে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে।

৪৯ ★হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

উত্তর: নবগোপাল মিত্র।

৫০ ★শিবাজি উৎসব কে চালু করেন?

উত্তর: বালগঙ্গাধর তিলক।

৫১ ‘ভারতসভা’র প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর: ভারতসভা’ প্রতিষ্ঠা করেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আনন্দমোহন বসু।

৮৭ ‘গদর’ শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ‘গদর’ শব্দের অর্থ হল বিপ্লব।

File Details:-

File Name:- Class 8 history 6 no chapter short questions answers pdf 

File Format:- PDF

  Download  Click Here to Download 

Class 8 ইতিহাস জাতীয়তাবাদের প্রাথমিক বিকাশ |ক্লাস 8 ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | Class 8 history 6th chapter question answer pdf 

1. বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার নাম ‘বঙ্গভাষা প্রকাশিকা' হল কেন?

উত্তর: উনিশ শতকের শুরু থেকেই হিন্দু কলেজও আরও অন্যান্যইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ছাত্রদের মধ্যে বিতর্কসভা স্থাপনের প্রবণতা দেখা যায়। এইসব বিতর্ক আলোচনার মাধ্যম ছিল ইংরেজি ভাষা। কিন্তু ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ জনমত তৈরি হয় যে, এবার থেকে ভারতীয় বিষয়ের আলোচনা বাংলা ভাষাতেই করতে হবে। এর ফলে নিজেদের দাবিগুলি পেশ করার পাশাপাশি বাংলা ভাষারও প্রসার ঘটানো যাবে। এই জন্যই বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার অনুরূপ নামকরণ করা হয়।


2. সভাসমিতির যুগ কাকে বলে? 


প্রশ্ন ৩ ‘জমিদার সভা’ কে, কবে প্রতিষ্ঠা করেন? এদের মূল দাবি কী ছিল?

উত্তর) ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বারকানাথ ঠাকুর, রাধাকান্ত দেব ও অন্যদের উদ্যোগে জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। এদের মূল দাবি ছিল জমিদার শ্রেণির স্বার্থরক্ষা করা, নিষ্কর জমির ওপর করভার প্রত্যাহার করা প্রভৃতি।


3. ভারতসভার প্রতিষ্ঠা ও উদ্দেশ্য লেখো।

উত্তর: ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে আনন্দমোহন বসু ও সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতসভা প্রতিষ্ঠা করেন। এই সভা গঠনের উদ্দেশ্য ছিল : দেশে শক্তিশালী জনমত তৈরি করা; বিভিন্ন ভাষাভাষী ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ করা; রাজনৈতিক আন্দোলনে নিম্নবর্গীয় মানুষদের যোগদানে উদ্বুদ্ধ করা এবং হিন্দু-মুসলিম ঐক্য স্থাপন করা।


4. ‘জাতীয় শিক্ষা পরিষদ’ কবে গঠিত হয়েছিল? এই  সময় প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরনাম লেখো।

উত্তর: জাতীয় শিক্ষা পরিষদ ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

→ এই সময় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি হল—বেঙ্গল ন্যাশনাল কলেজ, বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউশন ও ঢাকার সোনারং জাতীয় বিদ্যালয়।


5. হিউম-ডাফরিন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব কী?

উত্তর: কংগ্রেস গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে হিউমের যুক্তি ছিল এই যে ভারতের সচিব থাকাকালীন তিনি পুলিশের সাতখণ্ড গোপান দলিল থেকে জানতে পারেন যে, ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতে একটি ব্যাপক বিদ্রোহের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং শিক্ষিত, মধ্যবিত্ত ভারতীয়রা যাতে এই বিদ্রোহে অংশ না নেয় তার জন্যই তিনি কংগ্রেসের মতো একটি সংগঠনের কথা ভাবেন। হিউম ও ডাফরিন দুজনেই এ ব্যাপারে সহমত ছিলেন। তাঁরা সিমলার এক বৈঠকে দীর্ঘ আলাপ আলোচনারই পর কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। মার্কসবাদী গবেষক রজনীপাম দত্ত হিউম-ডাফরিনের এই বৈঠককেই ষড়যন্ত্র বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর মতে, সমকালীন ভারতের আসন্ন এক বিদ্রোহকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করার জন্য হিউম ও ডাফরিনের মধ্যে যে গভীর ষড়যন্ত্র হয়, তারই ফলশ্রুতি হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের জন্ম হয়।


6. জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার দুটি উদ্দেশ্য লেখো।

উত্তর: জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার দুটি উদ্দেশ্য হল— জাতিধর্মনির্বিশেষে সমস্ত ভারতবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করা। এবং ও ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে দেশাত্মবোধের সঞ্চার করা।


7.দুজন নরমপন্থী ও দুজন চরমপন্থী নেতার নাম লেখো।

উত্তর> দুজন নরমপন্থী নেতা হলেন উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজন চরমপন্থী নেতা হলেন বালগঙ্গাধর তিলক এবং বিপিনচন্দ্র পাল।


8.১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর দিনটি ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কেন?

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর দিনটি ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ কারণ : এই দিনে বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করা হয়। আবার এই দিনই রবীন্দ্রনাথের উদ্যোগে ‘রাখিবন্ধন’ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।


5. ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশনের গুরুত্ব কী?

অথবা, জাতীয় কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশনের (১৯০৭ খ্রি.) তাৎপর্য কী ছিল?

উত্তর: ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দের জাতীয় কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশনের অসাধারণ তাৎপর্য ছিল। কারণ : এই অধিবেশনে জাতীয় কংগ্রেস চরমপন্থী ও নরমপন্থী—এই দুটি গোষ্ঠীতে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যার ফলশ্রুতিতে  ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে ভাঙন দেখা দেয়, ২ জাতীয় কংগ্রেসের ভাবমূর্তি মলিন হয়, © ভারতীয় জাতীয়কংগ্রেস সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ৪ এই দলের ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন ব্যাহত হয়। সুরাট বিচ্ছেদের ফলশ্রুতিতে ভারতীয় রাজনীতিতে চরমপন্থী মতাদর্শের আত্মপ্রকাশ ঘটে।


6. স্বদেশি’ ও ‘বয়কট’ কথা দুটির অর্থ কী? অথবা, ‘স্বদেশি’ ও ‘বয়কট’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর: ‘স্বদেশি’ ও ‘বয়কট’ ছিল বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের প্রধান অস্ত্র। প্রকৃত অর্থে এ দুটি ছিল একই মুদ্রার উভয় দিক বা একে অপরের পরিপূরক। বিংশ শতকের গোড়ার দিকে ‘বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী’ আন্দোলনের যুগে ‘স্বদেশি’ কথার অর্থ ছিল ‘বিলিতি’ জিনিসপত্র ও চিন্তাধারার পরিবর্তে দেশীয় জিনিসপত্র ও চিন্তাধারাকে গ্রহণ করার নীতি বা আদর্শ। অন্যদিকে, ‘বয়কট' কথার অর্থ হল বর্জন। স্বদেশি আন্দোলনের যুগে ‘বয়কট’ কথাটির অর্থ ছিল, শুধুমাত্র বিলিতি বজ্র বা বিলিতি জিনিসপত্রই নয়—বিলিতি চিন্তাধারা, আদবকায়দা, শিক্ষাব্যবস্থা, আইন-ব্যবস্থা, পৌরসভা, আইনসভা প্রভৃতিকে বর্জন করার নীতি বা আদর্শ।


7.মলে-মিন্টো সংস্কার আইন কী?

উত্তর: ভারতীয়দের প্রতিনিধিমূলক স্বায়ত্তশাসনের দাবি, বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা এবং চরমপন্থীদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন হয়ে ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে ভারতের তদানীন্তন বড়োলাট লর্ড মিন্টো এবং ভারত সচিব জন মর্লে ভারতীয়দের প্রতি উদার মনোভাব দেখিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অ্যাক্ট নামে এক আইন চালু করেন। এই আইনে একদিকে যেমন চরমপন্থীদের বিপরীতে নরমপন্থীদের কাছে টেনে নিয়ে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, অন্যদিকে তেমনই মুসলমানদের পৃথকভাবে সদস্য নির্বাচনের অধিকার দিয়ে সাম্প্রদায়িক সমস্যাকে ইন্ধন জোগানো হয়। ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দের এই আইন ভারতের ইতিহাসে ‘মর্লে-মিন্টো সংস্কার আইন' নামে পরিচিত।


8. ‘রাখিবন্ধন’ উৎসব ও ‘অরন্ধন’ কবে পালিত হয়? ‘রাখিবন্ধন’ ও ‘অরন্ধন’ উৎসবের প্রধান উদ্যোক্তা কে ছিলেন?

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত সরকারিভাবে কার্যকরী হলে বাঙালি জাতির অখণ্ডতার প্রতীক হিসেবে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে ‘রাখিবন্ধন’ উৎসব পালন করেন এবং বঙ্গভঙ্গজনিত শোকের প্রতীক হিসেবে বাংলার ঘরে ঘরে ‘অরন্ধন’ পালিত হয়।

→ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন ‘রাখিবন্ধন’ উৎসবের প্রধান উদ্যোক্তা। আর রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর উদ্যোগে ‘অরন্ধন’ পালিত হয়।


9. কার্লাইল সার্কুলার কী?

উত্তর: ছাত্রসমাজকে স্বদেশি আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রেখে আন্দোলনকে দুর্বল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলার তৎকালীন মুখ্য সচিব কার্লাইল ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর ‘কার্লাইল সার্কুলার নামে এক সার্কুলার জারি করেন। এই সার্কুলারে বলা হয় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যদি কোনো সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এবং ছাত্ররা যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে কোনরকম ইংরেজ বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেয়, তবে সরকারের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কোনোরকম সহায়তা প্রদান করা হবে না। ছাত্রনেতা শচীন্দ্রপ্রসাদ বসুর নেতৃত্বে এই সার্কুলারের বিরুদ্ধে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি গড়ে ওঠে; স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে বহিষ্কৃত ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্বদেশি আদর্শে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়।


10. ইলবার্ট বিল বিতর্ক কী?

উত্তর: লর্ড রিপনের আইনসভার সদস্য সি পি ইলবার্ট ভারতে বিচার বিভাগীয় ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্যে একটি বিল পেশ করেন, যেখানে ভারতীয় বিচারকদের ইউরোপীয়দের বিচার করার অধিকার প্রদানের কথা বলা হয়। ইউরেপীয়রা এই বিল প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলন শুরু করলে ভারতসভার উদ্যোগে ভারতীয়রা পালটা আন্দোলন শুরু করে। ইলবার্ট বিলকে কেন্দ্ৰ করে উভয়পক্ষের এই আন্দোলনই ইলবার্ট বিল বিতর্ক’ নামে পরিচিত।



অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর। অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | ক্লাস 8 ইতিহাস ষষ্ঠ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর

1. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের কারণ ও ফলাফল সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: কারণ : ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুলাই লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্ত সংবলিত একটি নির্দেশনামা জারি করেন। এই নির্দেশনামায় বলা হয় বাংলাকে দুটি প্রদেশে ভাগ করা হবে। একটি প্রদেশের নাম হবে পূর্ববঙ্গ ও আসাম, যার জনসংখ্যা ছিল ৩১ মিলিয়ন এবং বাদবাকি বাংলাকে নিয়ে একটি প্রদেশ গঠিত হবে যার জনসংখ্যা ছিল ৫৪ মিলিয়ন। এই ৫৪ মিলিয়নের মধ্যে ১৮ মিলিয়ন হল বাঙালি এবং ৩৫ মিলিয়ন হল বিহারি এবং ওড়িয়া। এর ফলে বাংলাদেশেই বাঙালিরা সংখ্যালঘু জাতিতে পরিণত হয়। বলা হল যে, বাংলাদেশের বর্তমান আয়তন এত বৃহৎ যে একটিমাত্র প্রাদেশিক সরকারের পক্ষে তা সুষ্ঠুভাবে শাসন করা সম্ভব নয়। আসলে বঙ্গভঙ্গের সঙ্গে যুক্ত আমলাদের অন্য উদ্দেশ্য ছিল। তাঁরা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশকে দুইভাগে ভাগ করে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। বাংলার জনগণ কার্জনের এই চালাকি সহজেই ধরে ফেলেন এবং বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে যোগ দেন।


ফলাফল : ১ বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন শেষপর্যন্ত প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করে সন্দেহ নেই। কিন্তু চরমপন্থী নেতারা স্বদেশী আন্দোলনকে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেও সমাজের এক বিশাল অংশ আন্দোলনের বাইরে থাকে। উদাহরণস্বরূপ এই আন্দোলন বাংলার কৃষকদের স্পর্শই করেনি। এই আন্দোলন মোটামুটিভাবে শহরের আন্দোলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং সমাজের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যেই তা গড়ে উঠেছিল। ফলে কৃষকরা যেমন আন্দোলনে অংশগ্রহণের সুযোগটা পাননি, আবার তেমনি কোনো কৃষিভিত্তিক কর্মসূচিও তৈরি হয়নি। ইংরেজদের সমান্তরাল কোনো স্বদেশি শিল্পও গড়ে ওঠেনি। কারণ মূলধন, পরিকাঠামো, জনবল ইত্যাদির অভাব তবে স্বদেশি আন্দোলনের প্রভাবে চরমপন্থার উদ্ভব ও বিকাশ ঘটেছিল, এ কথা স্বীকার করতেই হবে।


2. আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার গুরুত্ব কী?

উত্তর: আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার গুরুত্ব : বাংলায় বিপ্লবী তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে ইংরেজ সরকার বিপ্লবীদের দমন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এই সময় বিহারের মজফ্ফরপুরে কিংসফোর্ডকে হত্যার চেষ্টা এবং বোমা বিস্ফোরণের সূত্র ধরে পুলিশ বিপ্লবীদের গুপ্ত ঘাঁটি মুরারিপুকুর বাগান বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি বোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পান। অরবিন্দ-বারীন্দ্রকুমার সহ মোট ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করে ‘আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আসামিপক্ষের হয়ে মামলা লড়েন সেকালের বিখ্যাত ব্যারিস্টার চিত্তরঞ্জন দাশ (পরবর্তীকালে দেশবন্ধু নামে পরিচিত)। আলিপুর ষড়যন্ত্র মামলার বিচার চলার সময়ে অভিযুক্ত সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও কানাইলাল দত্ত নামে দুই বিপ্লবী জেলের মধ্যেই রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাইকে হত্যা করেন।


3. | তুমি যদি কংগ্রেসের নেতা হতে, তাহলে কীভাবে কংগ্রেসের ঐক্য বজায় রাখতে, সে সম্পর্কে আলোচনা করো।

উত্তর: কংগ্রেস একটি রাজনৈতিক দল। সেখানে বহু লোকের আন্দোলনে জনগণের সমাবেশ ঘটারই সম্ভাবনা। প্রত্যেক ব্যক্তিরই একটি নিজস্ব মতামত থাকে। তাই সকলেই যে-কোনো বিশেষ ব্যাপারে সহমত হবেন, সে কথা আশা করা যায় না। তবে এই প্রবণতা গণতন্ত্রেরই লক্ষণ। যাই হোক নেতা হিসেবে আমাকে সকলের কাছে পৌঁছোতে হবে। তাদের সকলকে বোঝাতে হবে ধর্মনিরপেক্ষতা, একতা ও গণতন্ত্রের তাৎপর্য। সর্বোপরি তাদের মধ্যে দেশপ্রেমের বাণী সঞ্জীবিত করতে হবে। তাদেরকে বোঝাতে হবে অন্তর্দ্বন্দ্বই দলের একমাত্র ধর্ম হতে পারে না। আমাদের সামনে মূল লক্ষ্য দেশ থেকে ব্রিটিশ বিতাড়ন। অতএব সেই লক্ষ্যে আমাদের হাত মুষ্টিবদ্ধ করতে হবে, যাতে আমরা মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হই। ভারতবর্ষ এক বহুধর্ম ও ভাষাভাষীর দেশ। সেখানে যেন আমরা যথেষ্ট পরিমাণে সংবেদনশীলতা প্রদর্শন করি। সারাদেশে ছোটো ছোটো বৈঠক করে আমি এই বক্তব্যেই সকলকে অনুপ্রাণিত করব। আহ্বান করব যুব সম্প্রদায়কে, যাতে তাঁরা তাঁদের বয়সের তেজ ও শিক্ষিত চেতনা নিয়ে নেতৃত্বের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। ভিন্ন মত হলেও আমরা যেন নেতৃত্বের ওপর আস্থা রাখতে পারি। কখনও নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে শারীরিক বল প্রদর্শন না করি। শান্তি, সম্প্রীতি, অহিংসার আদর্শই হবে আমাদের একমাত্র আদর্শ। আশা করি, এইভাবেই দলকে ঐক্যবদ্ধ করা যাবে।


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Class 8 history 6 no chapter questions answers pdf 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A

B

C




THANK YOU & WELCOME


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url