অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf | class 8 history chapter 7 question answer pdf

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন।অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন প্রশ্ন উত্তর। class viii history chapter 7 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 history 7 chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসে ৭ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর| অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৭ প্রশ্ন উত্তর , গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর সপ্তম অধ্যায় pdf download, Class 8 history seven chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE 


      আরও পোস্ট দেখো     B  

A

B

C.


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর |অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download, অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৭ প্রশ্ন উত্তর ,

1.প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয় কবে?

উত্তর:  ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে।

২. গান্ধিজির রাজনৈতিক জীবনের সূচনা কোথায় ঘটে?

উত্তর:  দক্ষিণ আফ্রিকায়।

৩. অহিংস-সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রবর্তক কে ছিলেন?

উত্তর: মহাত্মা গান্ধি।

৪ .গান্ধিজি কবে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন?

উত্তর: ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে।

৫ভারতে হোমরুল আন্দোলনের সূচনা হয় কবে?

উত্তর:১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে।

৬হোমরুল আন্দোলনের ওপর কোন বিদেশি রাষ্ট্রের প্রভাব ছিল?

আয়ারল্যান্ডের।

৭। 'হিন্দ স্বরাজ’ গ্রন্থটি কার লেখা?

উত্তর:মহাত্মা গান্ধির।

৮লক্ষ্ণৌ চুক্তি কাদের মধ্যে এবং কত খ্রিস্টাব্দে স্বাক্ষরিত হয়?

উত্তর: ১১ রাওলাট আইন কবে প্রবর্তিত হয়।

৯১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে।

১০ জালিয়ানওয়ালাবাগ কোন্ শহরে অবস্থিত?

উত্তর: ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসর শহরে।

১১ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড কবে ঘটে?

উত্তর: ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল।

১২ .গান্ধিজি ভারতের কোন অঞ্চলে প্রথম 'সত্যাগ্রহ' আন্দোলন করেন?

উত্তর: বিহারের চম্পারণ-এ (১৯১৭ খ্রিস্টাব্দ)।

১৩. ব্রিটিশ সরকার গান্ধিজিকে কী উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন?

কাইজার-ই-হিন্দ।

১৪. অসহযোগ আন্দোলন কবে শুরু হয়?

উত্তর: ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে।

১৫. 'হোমরুল' কথার অর্থ কী?

উত্তর: স্বায়ত্তশাসন।

১৬. কবে সাইমন কমিশন নিযুক্ত হয়?

উত্তর: ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে।

১৭.সাইমন কমিশনের প্রতিবেদন কখন পেশ করা হয়?

উত্তর: ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে।

১৮. সাইমন কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে কোন্ আইন রচিত হয়?

উত্তর: ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইন।

১৯. ‘খুদা-ই-খিদমদগার' কথাটির অর্থ কী?

উত্তর: ঈশ্বরের সেবক।

২০. ‘অর্ধনগ্ন ফকির' কাকে বলা হত?

উত্তর: গান্ধিজিকে।

২১. গান্ধিজির কাছে চরকা কীসের প্রতীক ছিল?

উত্তর: গান্ধিজির কাছে আত্মনির্ভরশীলতার’ প্রতীক।

২১. স্বরাজ্য দলের প্রকৃত নাম কী?

উত্তর: কংগ্রেস-খিলাফৎ স্বরাজ্য দল।

২২. স্বরাজ্য দল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি।

২৩. চিত্তরঞ্জন দাশ কবে মারা যান?

উত্তর: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে।

২৪. সাইমন কমিশন কবে ভারতে আসে?

উত্তর: ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে।

২৫. নেহরু রিপোর্ট কবে প্রকাশিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে।

২৬.ডান্ডি অভিযানের সূচনা হয় কবে?

উত্তর: ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ১২ মার্চ।

২৭.‘সীমান্ত গান্ধি’ কাকে বলা হয়?

উত্তর: খান আবদুল গফফর খানকে।

২৮. গান্ধি-আরউইন চুক্তি কবে হয়েছিল?

উত্তর: ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ।

২৯. মাস্টারদা কে ছিলেন?

উত্তর: বিপ্লবী সূর্য সেনকে বলা হত মাস্টারদা।

৩০.গান্ধিজি কোন্ গোলটেবিল বৈঠকে যোগদান করেছিলেন?

উত্তর:  দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে।

৩১. দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকের দুইজন সদস্যের নাম লেখো।

উত্তর: সরোজিনী নাইডু ও মহাত্মা গান্ধি।

৩২. আইন অমান্য আন্দোলন যখন শুরু হয় তখন ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?

উত্তর: • লর্ড আরউইন।

৩৩. আইন-অমান্য আন্দোলনের একজন নেত্রীর নাম লেখো।

উত্তর: আইন-অমান্য আন্দোলনের একজন নেত্রীর নাম হল সরোজিনী নাইডু।

৩৪.সর্বভারতীয় কৃষকসভার একজন নেতার নাম লেখো।

উত্তর: স্বামী সহজানন্দ সরস্বতী।

৩৫. ফরওয়ার্ড ব্লক কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রতিষ্ঠা করেন।

৩৬.ফরওয়ার্ড ব্লক কেন গঠিত হয়?

উত্তর: সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে গান্ধিজির মতবিরোধ দেখা দিলে সুভাষচন্দ্রের নেতৃত্বে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠিত হয়।

৩৭. ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি' বিপ্লবী দল কার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে।

৩৮.চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের নায়ক কে ছিলেন?

উত্তর: মাস্টারদা সূর্য সেন।

৩৯. ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মূল স্লোগান কী ছিল?

উত্তর: করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে।

৪০. তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

উত্তর: সতীশচন্দ্ৰ সামন্ত।

৪১. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কবে শুরু হয়েছিল।

উত্তর: ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দে।

২৪২ INA-র স্লোগান কী ছিল?

উত্তর: দিল্লি চলো।

৪৩..INA কবে ভারতের মাটিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে?

উত্তর: ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মার্চ (কোহিমায়)।

৪৪.নৌ-বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?

উত্তর: ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি হয় 

৪৫. নৌ-বিদ্রোহ প্রথম কোথায় হয়েছিল?

উত্তর: বোম্বের এস. ভি. তলোয়ার নামক জাহাজে।

৪৬. রশিদ আলি কে ছিলেন?

উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজের একজন কর্নেল। 

আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রকাশ্য বিচার কোথায় হয়েছিল?

উত্তর: দিল্লির লালকেল্লায়।

৪৭. সুভাষচন্দ্র কোন্ স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন?

উত্তর: গোমো স্টেশন থেকে।

৪৮. 'সীমান্ত গান্ধি'র অনুচরদের কী বলা হত?

উত্তর: ‘খুদা-ই-খিদমদগার'। এঁরা ‘লালকুর্তা' নামেও পরিচিত ছিলেন।

৪৯. কোথায় 'ভারত ছাড়ো' প্রস্তাব গৃহীত হয়?

উত্তর: বোম্বাই-এ নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটিতে ভারত ছাড় প্রস্তাব গৃহীত হয়।

৫০. ‘আজাদ হিন্দ ফৌজ' প্রথম কোথায় গঠিত হয়?

উত্তর: ১৯৪২-এর ১ সেপ্টেম্বর রাসবিহারী বসু সিঙ্গাপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন।

৫১. ‘নেতাজি’ নামে কে পরিচিত ছিলেন?

উত্তর: সুভাষচন্দ্র বসু।

৫২. কে ডাক দিয়েছিলেন 'দিল্লি চলো'?

উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

৫৩. আজাদ হিন্দ বাহিনীর রণধ্বনি কী ছিল?

উত্তর: আজাদ হিন্দ বাহিনীর রণধ্বনি ছিল ‘দিল্লি চলো'।

৫৪. আজাদ হিন্দ ফৌজ কর্তৃক অধিকৃত ব্রিটিশ ভারতের দুইটি উত্তর:  স্থানের নাম লেখো। ডিমাপুর ও কোহিমা।

৫৫. জওহরলাল নেহরু রচিত একটি গ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর: ডিসকভারি অফ ইন্ডিয়া।

৫৬৩. সুভাষচন্দ্র বসু রচিত একটি গ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর: দি ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল ।

৫৭. চরকা কী? চরকা কীসের প্রতীক ছিল?

উত্তর: চরকা হল তুলো থেকে সুতো তৈরি করার এক দেশজ যন্ত্রবিশেষ।এই সময় চরকা ছিল আর্থিক স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রতীক।

৫৮. চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানে অংশগ্রহণকারী দু'জন

উত্তর: মহিলা বিপ্লবীর নাম লেখো।

৫৯. চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানে অংশগ্রহণকারী দুজন মহিলা

উত্তর: বিপ্লবী ছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ও কল্পনা দত্ত।

File Details:-

File Name:- Class 8 history 7 no chapter short questions answers pdf 

File Format:- PDF

  Download  Click Here to Download 

class 8 history chapter 7 question answer pdf |ক্লাস 8 ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | class 8 history 7th chapter question answer,


প্রশ্ন ১| ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের গুরুত্ব আলোচনা করো।

উত্তর: বিশ্ব তথা ভারতের ইতিহাসে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে গুরুত্ব খুবই তাৎপর্য। বিশ্ব-ইতিহাসে ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে একদিকে যেমন প্যারিস শান্তি সম্মেলন ও ‘লিগ অফ নেশন্‌স' গঠিত হয়, অন্যদিকে ভারতে মন্টেগু-চেমসফোর্ড সংস্কার, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাগুলি সংঘটিত হয়।


প্রশ্ন ২| ‘গান্ধিযুগ’ কাকে বলে?

উত্তর: ১৯১৯-২০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের রাজনীতিতে গান্ধিজি ছিলেন এক ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এই সময় রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ এবং জাতীয় আন্দোলন গান্ধিজির দ্বারাই পরিচালিত হয়েছিল। তাই এই সময়কালকে গান্ধিযুগ বলা হয়।


প্রশ্ন ৩ | গান্ধিজির দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বরাজ কী?

উত্তর: গান্ধিজির মতে সর্বপ্রকার পশ্চিমি আদর্শ থেকে প্রভাবমুক্ত সমাজব্যবস্থাই হল ‘স্বরাজ’। তাঁর মতে ঔপনিবেশিক আদর্শের প্রভাবমুক্ত কৃষকের সরল জীবনযাপন হল স্বরাজ অর্জন। তবে ঐতিহাসিক ডেভিড হার্ডিম্যান মনে করেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার যে ভোগবাদের সৃষ্টি করেছিল গান্ধিজি তার বিরোধী ছিলেন।

প্রশ্ন ৪ চরকা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের মতামত কী ছিল?

উত্তর: চরকাকে রবীন্দ্রনাথ গান্ধিজির মতো স্বয়ম্ভরতার প্রতীকরূপে দেখেননি। রবীন্দ্রনাথ গান্ধিজি প্রদর্শিত স্বরাজের চেতনার বিরোধিতা করে বলেছেন চরকা চালিয়ে কোনোভাবেই স্বরাজ অর্জন করা যাবে না। তাই চরকাকে তিনি ব্যক্তিগত আনুগত্যের প্রতীকরূপে বর্ণনা করেছেন।


প্রশ্ন ৬ ‘রাওলাট আইন কবে পাস হয়? এতে কী বলা হয়েছিল?

উত্তর: ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দে ‘রাওলাট আইন' পাস হয়।

রাওলাট আইনের বক্তব্য : ১ রাওলাট আইনে সরকার বিরোধী যে কোনো প্রকার কাজকে দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বিবেচনা করার কথা বলা হয়। এ ছাড়া ও এই আইনে কোনোরকম সাক্ষ্য প্রমাণ ছাড়াই যে-কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বিনা পরোয়ানায় ও বিনা বিচারে গ্রেপ্তার, আটক, ঘরবাড়ি তল্লাশির অধিকার সরকারকে দেওয়া হয় গান্ধিজি হান্টার কমিশনের জালিয়ান- ওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেছিলেন— ‘পাতার পর পাতা অদক্ষভাবে চাপা দেওয়া সরকারি সাফাই।'


প্রশ্ন ৭ | ‘রাওলাট আইন' কার নাম অনুসারে এবং কেন প্রবর্তিত হয়? এই আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল কেন?

উত্তর: ব্রিটিশ বিচারপতি সিডনি রাওলাটের নাম অনুসারে ২৪ রাওলাট আইন প্রবর্তিত হয় (৩রা মার্চ, ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ)।

রাওলাট আইনের উদ্দেশ্য : রাওলাট আইন ছিল একটি দমনমূলক আইন। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল— ১) ভারতীয়দের ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব করা; ও রাজনৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণের অধিকার থেকে ভারতীয়দের বঞ্চিত করা এবং (৩) ভারতবর্ষে সমস্ত রকম ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয়তাবাদী কার্যকলাপ, বিপ্লবী কার্যকলাপ ও রাজনৈতিক আন্দোলন দমন করা।

রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে ভারতীয়রা প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিল,

কারণ : এই আইনের মাধ্যমে ভারতীয়দের ন্যায়বিচার লাভের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নেওয়া হয়।


প্রশ্ন ৮ | খিলাফৎ আন্দোলন কাকে বলে?

উত্তর: তুরস্কের প্রধান ছিলেন খলিফা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পক্ষ অবলম্বন করার অপরাধে ব্রিটেন খলিফাকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করে এবং তুরস্ক সাম্রাজ্যের ব্যবচ্ছেদ ঘটায়। এই ঘটনার বিরোধিতা করে ভারতীয় মুসলমানরা যে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করে তা খিলাফৎ আন্দোলন নাম পরিচিত।


প্রশ্ন ৯| গান্ধি-আরউইন চুক্তি কী?

উত্তর) আইন অমান্য আন্দোলন চলাকালীন কংগ্রেসের সঙ্গে আপস করার উদ্দেশে বড়োলাট আরউইন  ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ৫ মার্চ গান্ধিজির সঙ্গে যে চুক্তি করেন, তা গান্ধি-আরউইন চুক্তি নামে পরিচিত।

প্রশ্ন ১০| ‘সীমান্ত গান্ধি’ কাকে বলা হত এবং কেন?

উত্তর> গান্ধিজির মন্ত্রশিষ্য খান আবদুল গফফর খানকে ‘সীমান্ত গান্ধি’ বলা হত।


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf|Class 8 ইতিহাস ভারতের জাতীয় আন্দোলনের আদর্শ ও বিবর্তন | ক্লাস 8 ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর


1. জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড (১৯১৯ খ্রি.) কেন সংঘটিত হয় এবং এর ফল কী হয়েছিল?

উত্তর: ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে একটি রক্তাক্ত দিন হল ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল। সত্যাগ্রহ আন্দোলন, সেনাবাহিনী থেকে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই কর্মচ্যুতি, ড. সত্যপাল ও সৈফুদ্দিন এবং কিচলুর গ্রেপ্তারের ঘটনায় পাঞ্জাব পরিস্থিতি ছিল দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর। সরকার সামরিক আইন জারি করে পাঞ্জাব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট হয়। জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্বে পাঞ্জাবে যাবতীয় মিটিং-মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সরকার নিষেধাজ্ঞার কথা সেভাবে প্রচার না করায় পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে প্রচুর সংখ্যক নিরস্ত্র জনগণ সমবেত হয়। তা ছাড়া এই সময় চলছিল পাঞ্জাবের জাতীয় উৎসব ‘বৈশাখী’। ফলে সামরিক আইনভঙ্গ করছেন এই অজুহাতে অপরাহ্ণে কমান্ডার মাইকেল ও’ ডায়ারের নেতৃত্বে সমবেত নিরস্ত্র জনতার ওপর ব্রিটিশ সেনা-পুলিশ ১০ মিনিট ধরে ১৬০০ রাউন্ড গুলি চালায়। শুধু সরকারি সূত্র অনুসারে এই ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত ও ১২০০ লোক আহত হয়। যদিও প্রকৃত সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। দেশবাসী এই বর্বরতায় স্তম্ভিত ও হতবাক হয়ে যান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ঘটনার প্রতিবাদে ‘স্যার’ বা ‘নাইট’ উপাধি ত্যাগ করেন ও গান্ধিজির অসহযোগ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট রচিত হয়।


2. হোমরুল আন্দোলনের গুরুত্ব কী ছিল?

উত্তর: বালগঙ্গাধর তিলক ও অ্যানি বেসান্ত-এর নেতৃত্বে ভারতবর্ষে হোমরুল আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। হোমরুল আন্দোলন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস তথা স্বাধীনতা আন্দোলনেরইতিহাসে এক নব অধ্যায়ের সূচনা করে।

এই আন্দোলনের গুরুত্ব :

1. সর্বভারতীয় জনমত গড়ে তোলার সহায়ক হয়।

২ নরমপন্থী রাজনীতির অসারতা প্রমাণিত হয়।

৩ জনমতের চাপে ভারত সচিব মন্টেগু ঘোষণা করেন—“ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত থেকে ভারতবাসী যাতে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার লাভ করতে পারে, সরকার সেই নীতিই গ্রহণ করবে।

৪) স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে গান্ধিযুগের পূর্বাভাষ রচিত হয়।


3. খিলাফৎ আন্দোলন কেন হয়েছিল?

উত্তর> প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক জার্মানির পক্ষ নিলে, জার্মানির সঙ্গে সঙ্গে তুরস্কেরও ভাগ্যবিপর্যয় ঘটে। ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে সেভরের চুক্তি অনুসারে ব্রিটেন তুরস্কের ব্যবচ্ছেদ ঘটায় ও তুরস্কের শাসক তথা ধর্মগুরু খলিফার পদচ্যুতি ঘটায়। এই অবস্থায় অটোমান সাম্রাজ্যের অখণ্ডতা ও খলিফার পদমর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে মুসলমান সমাজ আন্দোলনের সূচনা করে যা খিলাফৎ আন্দোলন নামে পরিচিত। ভারতে শওকত আলি ও মহম্মদ আলির (আলি ভ্রাতৃদ্বয়) নেতৃত্বে এই আন্দোলন মূলত পশ্চিম ভারতে গড়ে ওঠে।


4. খিলফৎ আন্দোলনের গুরুত্ব লেখো।

উত্তর) ভারতের ইতিহাসে খিলাফৎ আন্দোলনের গুরুত্বগুলি নিম্নরূপ-এই আন্দোলন গান্ধিজি তথা কংগ্রেসকে এক ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার সুযোগ এনে দেয়।

নগরের শিক্ষিত মুসলিম যুব সম্প্রদায়ের ওপর গভীর প্রভাব বিস্তার করে।

৩ কোনো কোনো ঐতিহাসিক এই আন্দোলনকে ধর্ম প্রভাবিত অন্য দেশের এক রাজনৈতিক আন্দোলন বলেছেন। এর ফলে পরবর্তীকালে সাম্প্রদায়িক মনোভাব আরও প্রবল হয়ে ওঠে।


5. চৌরিচৌরার ঘটনা বা অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহারের কারণ কী ছিল?

উত্তর: অসহযোগ আন্দোলন গান্ধিজির নেতৃত্বে শুরু হলেও তা সর্বত্র গান্ধিজির সুনিয়ন্ত্রণে ছিল না। ১৯২২-এর ৫ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ পুলিশের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলায় চৌরিচৌরায় পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। নিরস্ত্র-ক্ষিপ্ত জনতার তাড়ায় অত্যাচারী পুলিশ স্থানীয় থানায় আশ্রয় নিলে, ক্ষিপ্ত জনতা থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়। ফলে ২২ জন পুলিশ কর্মী জীবন্ত দগ্ধ অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় শোকার্ত গান্ধিজি ২২ ফেব্রুয়ারি অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তনেন। এই ঘটনাই চৌরিচৌরা ঘটনা নামে ইতিহাসে পরিচিত। তবে গান্ধিজির এই সিদ্ধান্ত দেশব্যাপী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। সুভাষচন্দ্র আন্দোলন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে হিমালয় প্রমাণ ভুল বলে অভিহিত করেন। দলের কর্মসচি আলোচনা করো।


6.‘নেহরু’ রিপোর্ট কী?

উত্তর: ভবিষ্যৎ ভারতের খসড়া সংবিধান রচনা করার উদ্দেশে পণ্ডিত মতিলাল নেহরুর সভাপতিত্বে গঠিত ৯ সদস্য-বিশিষ্ট কমিটি ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে লক্ষ্ণৌতে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সম্মেলনের পূর্ণ অধিবেশনে যে রিপোর্ট পেশ করে, তা নেহর রিপোর্ট নামে পরিচিত। যা ছিল ভারত সচিব বার্কেনহেডের মন্তব্যের ভারতীয় প্রত্যুত্তর। তবে সুভাষচন্দ্র, জহরলাল নেহরু, জিন্নাহ্ সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব এই রিপোর্ট মানতে অস্বীকৃত হয়।t


7. কবে গান্ধিজি আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেন? কোন্ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই আন্দোলন শুরু হয়? এই আন্দোলন কী শেষপর্যন্ত সফল হয়েছিল? আন্দোলনের গুরুত্ব কী ছিল?

উত্তর:১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল মহাত্মা গান্ধি আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করেন।

১৯৩০-এর ৬ এপ্রিল ডান্ডি অভিযান শেষে গুজরাটের ডান্ডি উপকূল অঞ্চলে ‘লবণ আইন ভঙ্গ করে’, আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হয়।

বহু প্রত্যাশা জাগিয়ে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা হলেও শেষ পর্যন্ত এই আন্দোলন ব্যর্থ হয়।

* আইন অমান্য আন্দোলনের গুরুত্ব : আপাতদৃষ্টিতে আইন-অমান্য আন্দোলন ব্যর্থ হলেও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই আন্দোলনের গুরুত্ব কম ছিল না, কারণ :


● সর্বভারতীয় গণআন্দোলন : গান্ধিজির নেতৃত্বে আইন অমান্য আন্দোলন ছিল এ যাবৎ কালের মধ্যে সর্ববৃহৎ গণ আন্দোলন যা দাবাগ্নির মতো সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। সমাজের সর্বশ্রেণির ও সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে যোগ দেয়।

২ বৃহত্তর বিপ্লবের পথে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন :আইন অমান্য আন্দোলন বৃহত্তর জাতীয় বিপ্লবের পথ প্রশস্ত করে এবং ভারতবাসীদের বিপ্লবী মনোভাব আরও দৃঢ় হয়। দেশীয় শিল্পের বিকাশ : আইন অমান্য আন্দোলনের সুযোগে ভারতীয় শিল্পপতিরা ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে নানান সুযোগসুবিধা আদায় করে নেন, ফলে দেশীয় শিল্পের যথেষ্ট অগ্রগতি ঘটে

৪) ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ব্রিটিশ সরকারের সম-মর্যাদা প্রাপ্তি : আইন অমান্য আন্দোলনের চাপেই ব্রিটিশ সরকার  গান্ধি-আরউইন চুক্তি মারফত কংগ্রেসকে ব্রিটিশ সরকারের সম-মর্যাদা দিতে বাধ্য হয়।

৫ সরকারের ওপর প্রভাব : আইন অমান্য আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে ‘খাজনা বন্ধ আন্দোলন’ শুরু হয় যার ফলশ্রুতিতে সরকারি রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দেখা যায়।

৬ ব্রিটিশ সরকারের বোধোদয়—নতুন সংবিধান প্রণয়ন : আইন অমান্য আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে, নিছক দমননীতির মাধ্যমে জাতীয় আন্দোলন প্রশমিত করা যাবে না। এই জন্যই ব্রিটিশ সরকার দ্রুতগতিতে ভারত শাসন আইন (১৯৩৫) পাস করে গণ আন্দোলনের সম্ভাবনাকে আপাতত ধামাচাপা দেওয়ার নীতি গ্রহণ করে।


7. নৌ-বিদ্রোহ কবে ও কী কারণে অনুষ্ঠিত হয়েছিল? এই বিদ্রোহের গুরুত্ব কী?

উত্তর:নৌ-বিদ্রোহ ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে ১৮ ফেব্রুয়ারি বোম্বের এম. ভি. তলোয়ার নামক জাহাজে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

নৌ-বিদ্রোহের কারণসমূহ : নৌ-সেনাদের নিম্ন মানের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান, ও কর্তৃপক্ষের বর্ণবৈষম্য মূলক আচরণ, বেতন বৈষম্য, পদোন্নতির অভাব, (৪) অতিরিক্ত ভাতা ছাড়া দূরদেশে প্রেরণ, (৫) আজাদ হিন্দ ফৌজের বীরত্বের প্রভাব, (৬) বিভিন্ন রণাঙ্গন থেকে অর্জিত সামরিক অভিজ্ঞতা এবং ৭ এই সময়ে ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শ্রমিকদল ক্ষমতায় এলে তারা অবস্থার উন্নতির আশায় আশান্বিত হয়।

নৌ-বিদ্রোহের গুরুত্ব বা ফলাফল : জওহরলাল নেহরুর ভাষায়, “নৌবিদ্রোহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের অবতারণা করেছিল।” ব্রিটিশ সরকার স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে যে, ভারতের স্বাধীনতা আর কালের ব্যবধান মাত্র ৷

(২) বিদ্রোহের পরই ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা ভারতে মন্ত্রীমিশন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ৩ আধুনিক ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সেনা বিদ্রোহ ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করে। ৪ নৌ-বিদ্রোহ ভারতীয়দের মধ্যে স্বাধীনতা লাভের প্রত্যয়কে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে। ৫ নৌ-সেনাদের অনুপ্রেরণায় এই সময় স্থল ও বিমান বাহিনীতেও ধর্মঘট অনুষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট


8. নৌ-বিদ্রোহের গুরুত্ব আলোচনা করো।

উত্তর: স্বাধীনতা লাভের প্রাক্কালে ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি বোম্বের তলোয়ার নামক জাহাজে সংঘটিত নৌ-বিদ্রোহ ছিল জাতীয় স্বাধীনতার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

নৌ-বিদ্রোহের গুরুত্ব : (১) মহাবিদ্রোহের পর ব্রিটিশ বিরোধী এত বড়ো সেনা বিদ্রোহ আর সংঘটিত হয়নি।ও ভারতে ব্রিটিশ শাসনের মূল ভিত্তি ছিল সেনাশক্তি। সেই সেনাশক্তি তীব্রভাবে বিদ্রোহী হয়ে ওঠায় ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ছিল আর সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ঐতিহাসিক সুমিত সরকার নৌ-বিদ্রোহকে আজাদ হিন্দ ফৌজের মুক্তি যুদ্ধের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বীরত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। অপরদিকে ঐতিহাসিক গৌতম চট্টোপাধ্যায় নৌ-বিদ্রোহকে Almost Revolution বা প্রায় বিপ্লব বলে অভিহিত করেছেন। কারো কারো মতে নৌ-বিদ্রোহ ক্যাবিনেট মিশনের ভারত আগমনের পথকে প্রশস্ত করেছে। তবে ইতিহাসবিদ অমলেশ ত্রিপাঠী এই মতের বিরোধিতা করেছেন। ৫ এই প্রথম ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কোনো আন্দোলনকে কমিউনিস্টরা সমর্থন করেন। ৬ এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও, ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে এর অবদান ছিল অনস্বীকার্য।


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Class 8 history 7 no chapter questions answers pdf 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

     : আরও পোস্ট দেখো :    B           

A.

B.

C.


THANK YOU & WELCOME


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url