অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস ভারতীয় সংবিধান প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস ভারতীয় সংবিধান গণতন্ত্রের কাঠামো ও জনগণের অধিকার প্রশ্ন উত্তর pdf | অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf | class 8 history chapter 9 question answer in bengali pdf

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস গণতন্ত্রের কাঠামো ও জনগণের অধিকার প্রশ্ন উত্তর pdf। অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর ভারতীয় সংবিধান।অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস ভারতীয় সংবিধান প্রশ্ন উত্তর। class viii history chapter 9 question answer | অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস নবম অধ্যায় ভারতীয় সংবিধান প্রশ্ন উত্তর pdf |class 8 history 9 chapter question answer pdf যা অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত অষ্টম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসে ৯ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর| অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৯ প্রশ্ন উত্তর , গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 8 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর নবম অধ্যায় pdf download, Class 8 history nine chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE 


      আরও পোস্ট দেখো     B  

A

B

C.

অষ্টম শ্রেণি ইতিহাস নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download,অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস অধ্যায় ৯ প্রশ্ন উত্তর , |অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস নবম অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | 


১. ভারতের প্রথম জাতীয়তাবাদী সংগঠন কোন্‌টি?

উত্তর : বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা।

২ ‘বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা' কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর : ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে।

৩ ভারতের প্রথম রাজনৈতিক সংগঠনের নাম কী?

উত্তর : জমিদার সভা।

4.উনিশ শতককে ‘সভাসমিতির যুগ’ কে বলেছেন?

উত্তর : কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক অনিল শীল।

5.‘হিন্দুমেলা’ (জাতীয় মেলা) কবে সূচিত হয়েছিল?

উত্তর : ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে।

6.'ইন্ডিয়ান লিগ’ কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর : ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে।

7. কত খ্রিস্টাব্দে ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর :  ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে।

8.-ইলবার্ট কে ছিলেন?

উত্তর : ভাইসরয় লর্ড রিপনের আইনসচিব।

9. ‘জাতীয় সম্মেলন’ প্রথম কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর : ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দে।

10.‘জাতীয় সম্মেলন’-এর প্রথম সভাপতি কে ছিলেন

উত্তর : রামতনু লাহিড়ি।

11. কাকে ‘জাতীয় কংগ্রেসের জনক' বলা হয়?

উত্তর : অ্যালান অক্টাভিয়ান হিউমকে।

12. হিউমের জীবনীকার কে?

উত্তর : ওয়েডারবার্ন।

13 জাতীয় কংগ্রেস কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

উত্তর : ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর।

14. ‘নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন’ কবে পাস হয়েছিল?

উত্তর : ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দে (লর্ড নর্থব্রুক-এর আমলে)।

15.কত খ্রিস্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণীত হয়?

উত্তর : ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে।

16. ‘নাট্যাভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন' কে চালু করেন?

উত্তর : লর্ড নর্থব্রুক।

17. কোন্ বিপ্লবী পরবর্তী জীবনে ধর্মীয় গুরু হয়েছিলেন?

উত্তর : ঋষি অরবিন্দ ঘোষ।

18. কংগ্রেসের সুরাট অধিবেশন কত খ্রিস্টাব্দে হয়?

উত্তর : ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে।

19. কংগ্রেসের নরমপন্থী কাদের বলা হয়?

উত্তর : যাঁরা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আবেদন-নিবেদন নীতি গ্রহণ করেন তাঁদের বলা হয় নরমপন্থী।

20. "জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সভাপতির নাম কী?

উত্তর : উমেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়।

21. একজন নরমপন্থী নেতার নাম লেখো।

উত্তর : সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

22. একজন চরমপন্থী কংগ্রেস নেতার নাম লেখো।

উত্তর : বালগঙ্গাধর তিলক।

23. সুরাট বিচ্ছেদ নিয়ে রবীন্দ্রনাথ কোন্ প্রবন্ধ রচনা করেছিলেন?

উত্তর : যজ্ঞভঙ্গ।

24. ★বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা কে করেছিলেন?

উত্তর : লর্ড কার্জন।

25. বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনা কবে বাস্তবায়িত হয়?

উত্তর : ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর।

26. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী একজন নেতার নাম লেখো।

উত্তর : সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।

26. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী একজন মুসলিম নেতৃত্বের নাম লেখো।

লিয়াকত হোসেন।

File Details:-

File Name:- Class 8 history 9 chapter short questions answers pdf 

File Format:- PDF

  Download  Click Here to Download 


ক্লাস 8 ইতিহাস নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download | ক্লাস 8 ইতিহাস ভারতীয় সংবিধান প্রশ্ন উত্তর pdf

1.স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় ভারতের সংবিধান রচনার তাগিদ দেখা দিয়েছিল কেন?

উত্তর : সংবিধান হল রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি। রাষ্ট্র পরিচালনার নীতি নির্দেশিকা। তাই ব্রিটিশ যুগেই ভারতীয়রা নিজেদের দাবি পূরণের জন্য ও রাষ্ট্রপরিচালনার জন্য সুস্পষ্ট নীতি নির্বাচনের উদ্দেশে ভারতীয়দের জন্য স্বতন্ত্র সংবিধান রচনার দাবি জানায়। আন্দোলনের চাপে ব্রিটিশ সরকার তার কিছু মানলেও ভারতীয়দের প্রত্যাশা তাতে পূরণ হয়নি। তাই স্বাধীনতা প্রাপ্তির পূর্ব থেকেই ভারতের জন্য পৃথক সংবিধান রচনার তাগিদ দেখা যায়। 


2. ভারতের সংবিধানে ‘গণতান্ত্রিক’ শব্দটির তাৎপর্য কী?

উত্তর : ভারতের সংবিধানে ‘গণতান্ত্রিক’ শব্দটির অর্থ হল জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার গঠন। ভারতে ১৮ বছর বয়স্ক যে-কোনো সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক সর্বজনীন ভোটদানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইনসভার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসনমূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নির্বাচন করে থাকেন।


3. ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলা হয়েছে কেন?

উত্তর : উত্তর ১৯৭৬-এর ৪২-তম সংবিধান সংশোধনের দ্বারা ভারতের সংবিধানে ভারতকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলে অভিহিত করা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝায় ভারত রাষ্ট্র কোনো ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। যে কোনো ভারতীয় নাগরিক অন্যের ধর্মাচার বা ধর্মবিশ্বাসকে আঘাত না করে নিজ নিজ ধর্ম পালন ও প্রচার করতে পারবে। এটি নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, যা সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে আবির্ভাবেরও বিরোধী ছিলেন।


4. ভারতের সংবিধানে নাগরিকদের কী কী মৌলিক অধিকারের কথা হয়েছে?

উত্তর : ভারতের সংবিধানের তৃতীয় অংশে ১২ থেকে ৩৫ নং ধারায় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মূল ভারতীয় সংবিধানে সাত রকমের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ থাকলেও ১৯৭৮ সালের সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে মৌলিক অধিকার৬টি, যথা—

১. সাম্যের অধিকার

২. স্বাধীনতার অধিকার

৩. শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার

৪. ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার

৫. সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার এবং

৬. সাংবিধানি প্রতিকারের অধিকার। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কোনো আইন ভারতের নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলি ক্ষুণ্ন করতে পারে না এই বৈশিষ্ট্য বিশ্বের খুব কম সংবিধানেই লক্ষ করা যায়।


প্রশ্ন ক| ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনাটি ব্যাখ্যা করো।

প্রস্তাবনায় বর্ণিত ‘সাধারণতন্ত্র’ শব্দটি কীভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে বলে তোমার মনে হয়?

উত্তর : ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনাটিতে সমগ্র ভারতবাসীর পক্ষ থেকে ভারতকে সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, প্রজাতন্ত্র বা সাধারণতন্ত্র রাষ্ট্র হিসাবে গঠন করা এবং সকল ভারতবাসীর প্রতি ন্যায়, স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্বের আদর্শ স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে।


প্রস্তাবনায় অঙ্গীকার করা হয়েছে—

সার্বভৌম : রাষ্ট্র হিসাবে ভারত অভ্যন্তরীণ ও বহির্দেশীয় সমস্ত ক্ষেত্রে চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী।

সমাজতান্ত্রিক : ভারতকে জনপ্রজাকল্যাণকর রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক কথাটি ব্যবহৃত হয়েছে।

ধর্মনিরপেক্ষ : ভারত রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো ধর্মমত বা বিশেষ কোনো ধর্মের প্রতি পৃষ্ঠপোষকতা নেই। সকল ভারতীয়, নাগরিক অন্যের ধর্মাচারে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করে নিজ নিজ ধর্মমত পালন ও প্রচার করতে পারবে।

গণতন্ত্র : ভারতীয় নাগরিকগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনে অংশগ্রহণ করেন।

প্রজাতন্ত্র/সাধারণতন্ত্র : ভারতে কোনো রাষ্ট্রীয় পদ বংশগত নয়, জনগণের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভোটের দ্বারা এখানে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন।


→ ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত সাধারণতন্ত্র শব্দটি সর্বতোভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ভারতীয় সংবিধান মূলত ইংল্যান্ডের অনুকরণে গড়ে উঠলেও ভারত রাষ্ট্রের সমস্ত সাংবিধানিক পদই জনগণের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভোটের দ্বারা নির্বাচিত এবং কোনো পদই বংশগত নয়। ইংল্যান্ডের রাজতন্ত্র ভারতে নেই। তাই সাধারণতন্ত্র শব্দটি ভারতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।


2. সংবিধানের প্রস্তাবনায় ভারতকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলা হয়েছে কেন?

উত্তর : ভারতকে ‘সমাজতান্ত্রিক’ বলার অর্থ হল ভারতে মিশ্র অর্থনীতি অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিমালিকানানির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

বি. আর. আম্বেদকর ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ অর্থে এদেশের নির্দিষ্ট কোনো ধর্ম নেই, ভারতের নাগরিকরা তাদের নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী ধর্ম পালন বা ধর্ম গ্রহণ করতে পারে। রাষ্ট্র কোনো ধর্মের পৃষ্ঠপোষক নয়।


3. সংবিধানে ভারতকে ‘গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র' বলা হয়েছে কেন?

উত্তর : ভারতকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলার কারণ হল :

ভারতের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গরাজ্যগুলির আইনসভার সদস্যরা প্রাপ্তবয়স্ক ভারতীয়দের দ্বারা নির্বাচিত হন। ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা গঠিত ভারতীয় পার্লামেন্ট সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগ করে।


ভারতকে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র বলার কারণ :

ভারতের শাসন ব্যবস্থায় বংশানুক্রমিক কোনো পদের স্থান নেই।রাষ্ট্রপ্রধান এখানে একনায়ক নন। তিনি (রাষ্ট্রপতি) ভারতের জনগণের দ্বারা পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন। ভারতের প্রজারাই (জনগণই) ভারতের রাষ্ট্র ব্যবস্থার আধার—তাই ভারতকে একটি প্রজাতন্ত্র বলা হয়।


4. ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : সংবিধানে ভারতকে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসাবে অভিহিত করার কারণ হল, কোনও বিশেষ ধর্মকে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে স্বীকার করা হয়নি। ভারতের সংবিধানে জাতি ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের ধর্মের ক্ষেত্রে সমান অধিকার স্বীকার করা হয়েছে। ভারতে ধর্মের ভিত্তিতে কোনও নাগরিকের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হয় না।


5. ভারতের সংবিধানের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।

উত্তর ভারতের সংবিধানের দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল :

ভারতের সংবিধানে যুক্তরাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক শাসনব্যবস্থার মিশ্রণ ঘটেছে। ও ভারতের সংবিধানে নাগরিকদের কতগুলি মৌলিক অধিকার স্বীকার করা হয়েছে। এই অধিকারগুলি হল—সাম্যের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে অধিকার এবং শাসনতান্ত্রিক প্রতিবিধানের অধিকার।


6. ‘গণতন্ত্র’ কী? অথবা, ‘গণতন্ত্র’ কাকে বলে?

উত্তর : ‘গণতন্ত্র’ অর্থে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারকে বোঝায়। যে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে দেশের শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করে, তাকেই গণতন্ত্র বলে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনের ভাষায়—গণতন্ত্র হল জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য ও জনগণের শাসন।


7. ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতি বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : দেশের জনগণকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে ভারতীয় রাষ্ট্রকে এক প্রকৃত জনকল্যাণকর রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশে ভারতীয় সংবিধানে যে নীতিগুলি সংযোজিত করা হয়েছে তাকে নির্দেশমূলক নীতি বলা হয়।


8. ইমপিচমেন্ট’ বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : ভারতের সংবিধানকে লঙ্ঘন করার অপরাধে কোনো রাষ্ট্রপতিকে তাঁর মেয়াদকাল (৫ বছর) শেষ হওয়ার আগে অপসারণ করা যায়। রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করার জটিল প্রক্রিয়াকে ইমপিচমেন্ট বলা হয়। কোনও রাষ্ট্রপতিকে ইমপিচ করতে হলে সংসদের উভয় কক্ষের মোট সদস্য সংখ্যার অন্তত পক্ষে দুই-তৃতীয়াংশের লিখিত সম্মতি ও অনুমোদন থাকা প্রয়োজন।


ক্লাস 8 ইতিহাস নবম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর |

9. প্রধানমন্ত্রী পদের গুরুত্ব কী?

উত্তর :

১. ভারতীয় সংসদীয় ব্যবস্থার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষমতাবিশিষ্ট পদ হল প্রধানমন্ত্রী।

২. তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধান। রাষ্ট্রপতি দেশের সাংবিধানিক প্রধান হলেও প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্রের প্রকৃত পরিচালক।

৩. তিনি জাতীয় ক্ষমতার অধিকারী।

8. প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশে রাষ্ট্রপতি অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের নিয়োগ করেন।

৫. প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম।

10. রাজ্যপাল পদের গুরুত্ব কী?

উত্তর :

১. ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সংযোগকারী পদের নাম হল রাজ্যপাল।

২. রাজ্যপাল নিয়মতান্ত্রিক প্রধানরূপে রাজ্যশাসন ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পদে অবস্থান করেন।

৩. কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরূপে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সাধারণত পাঁচ বছরের জন্য তিনি নিযুক্ত হন। রাজ্যস্তর রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির মতো ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন।

৪. তাঁর সম্মতি ছাড়া রাজ্য বিধানসভার কোনো প্রস্তাব আইনের রূপ ধারণ করতে পারে না।

৫. তিনি রাজ্যের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রীমণ্ডলী, হাইকোর্টের বিচারপতি সহ রাজ্যস্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারিদের নিয়োগ করে থাকেন।

৬. রাজ্যপালের রিপোর্টের ভিত্তিতে কোনো রাজ্যে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থাও চালু করতে পারেন।


11.। মুখ্যমন্ত্রী পদের গুরুত্ব কী?

উত্তর : সংবিধান অনুযায়ী ভারতের প্রতিটি রাজ্যে মুখ্য প্রশাসকরূপে একজন করে মুখ্যমন্ত্রী থাকেন। তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটের দ্বারা নির্বাচিত হন। বিধানসভার বিজয়ী দলেরনেতা বা নেত্রীকে রাজ্যপাল সাধারণত পাঁচবছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। পরে মুখ্যমন্ত্রীর সুপারিশেঅন্যান্য মন্ত্রীদের নিযুক্ত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্যস্তরের প্রকৃত শাসনতান্ত্রিক ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ন্যূনতম যোগ্যতা হল—ভারতীয় নাগরিকত্ব, রাজ্য বিধানসভার সদস্য ও ন্যূনতম ২৫ বছর বয়স। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র পেশ করেন।


12. ভারতকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র’ বলা হয় কেন?

উত্তর : ১৯৭৬-এর ৪২-তম সংবিধান সংশোধনের দ্বারা ভারতের সংবিধানে ভারতকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বলে অভিহিত করা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে বোঝায় ভারত রাষ্ট্র কোনো ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করবে না। যে- কোনো ভারতীয় নাগরিক অন্যের ধর্মাচার বা ধর্মবিশ্বাসকে আঘাত না করে নিজ নিজ ধর্ম পালন ও প্রচার করতে পারবে। এটি নাগরিকদের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, যা সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক অধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।


13. ভারতীয় সংবিধানের সঙ্গে ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দটি যুক্ত হয়েছে কেন উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

উত্তর : ‘সমাজতন্ত্র’ বলতে বোঝায় সাধারণত, উৎপাদনের উপকরণের ওপর রাষ্ট্র বা সমাজের মালিকানা স্থাপন এবং উৎপন্ন সম্পদ সকলের মধ্যে সমানভাবে বন্টন। কিন্তু ভারতের একাধারে সমাজতন্ত্র ও ব্যক্তিমালিকানা নির্ভর অর্থনীতি চালু রয়েছে, যাকে বলা হয় ‘মিশ্র অর্থনীতি’। এই মিশ্র অর্থনীতিকে ভিত্তি করেই ভারতে ‘সমাজতান্ত্রিক ধাঁচের সমাজ গড়ে উঠেছে। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় ভারতীয় সমাজের কল্যাণের জন্যই ব্যাঙ্ক ও বীমা সংস্থাগুলির রাষ্ট্রায়ত্তকরণ করা হয়েছে এবং জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে। 


14.। ভারতীয় সংবিধানের নির্দেশমূলক নীতি বলতে কি বোঝ?

উত্তর : আয়ারল্যান্ডের সংবিধানের অনুকরণে ভারতে সংবিধানে কতকগুলি নির্দেশমূলক নীতি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এই নীতিগুলির কয়েকটি হল, কাজের অধিকার, অসুস্থ, অঙ্গহানি, বেকারত্ব, বৈধব্য ও বার্ধক্যাবস্থায় সরকারি সাহায্যা পাওয়ার অধিকার, মাদকদ্রব্য বর্জন করা, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রভৃতি। কিন্তু মৌলিক অধিকারের মতো এগুলির কোনো আইনি মর্যাদা নেই। এগুলির কোনোটি লঙ্ঘি হলে আদালতে এর বিরুদ্ধে বিচার চাওয়া যায় না। এগুলি রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কয়েকটি আদর্শমাত্র। মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হলে আদালতে তা বিচারযোগ্য।


অষ্টম শ্রেণীর ইতিহাস নবম অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | Class 8 ইতিহাস ভারতীয় সংবিধান


1. দলিত অধিকার বিষয়ে গান্ধি-আম্বেদকর বিতর্ক সম্বন্ধে কী জানো?

উত্তর : ড. বি. আর. আম্বেদকর নির্যাতিত ও নিপীড়ি জাতির রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা বিষয়ে সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন। এই নির্যাতিত নিপীড়িত জাতি হল দলিত। দলিত অধিকার নিয়ে গান্ধি ও আম্বেদকরের মধ্যে দীর্ঘ বিতর্ক চলে। দলিত অধিকার বিষয়ে আম্বেদকর বলেন যে, ভারতবাসীর রাজনৈতিক অধিকার দখল করতে হবে, না হলে সেই ক্ষমতার একটা অংশ নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের হাতে যেতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিপীড়ন থেকেই যাবে। গান্ধিজী বলেন, দলিতদের আলাদা করে বিচ্ছিন্ন করে বিশেষ অধিকার দিলে উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন রেখা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামজে ম্যাক ডোনাল্ড ইতিমধ্যে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ ঘোষণা করলে আম্বেদকরের উদ্দেশ্য আংশিক ভাবে সফল হয়। ফলে গান্ধিজির পক্ষে ড. রাজেন্দ্রপ্রধান ও আম্বেদকরের মধ্যে পুণা চুক্তি নামে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসনে দলিত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়।


2. গণপরিষদের জন্ম কিভাবে হয়?

উত্তর : ‘গণপরিষদ’ ছিল প্রকৃতপক্ষে একটি সংবিধান রচনাকারি সংস্থা। একে সংবিধান সভা বলেও অভিহিত করা হয়। মন্ত্রী মিশন (১৯৪৫) গণপরিষদ গঠনের সুপারিশ করলে ভারতীয়দের অনেক দিনের আশা পূর্ণ হয়। ১৯৪৫ সালের জুলাই মাসে গণপরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে কংগ্রেস বিপুল ভোটাধিক্যে জয়লাভ করে। সেই তুলনায় অন্যান্য দলগুলি বিশেষ সাফল্য দেখাতে পারেনি। কংগ্রেসের এই বিপুল সাফল্যে মুসলিম লিগ আতঙ্কিত হয় ও মন্ত্রী মিশনের পরিকল্পনার প্রতি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়। জিন্নাহ্ কংগ্রেসের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে ‘brute majority’ বলে আখ্যা দেন। জিন্নাহ্ ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অগাস্ট পাকিস্তানের দাবিতে প্রত্যক্ষ সংগ্রামের ডাক দিলে দেশের মুসলিম প্রধান জায়গাগুলিতে ও কলকাতা শহরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয়।



বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Class 8 history 9 no chapter questions answers pdf 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

     : আরও পোস্ট দেখো :    B           

A.

B.

C.


THANK YOU & WELCOME

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url