৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে খাবার পৌঁছে দিলেন Food Delivery Boy। তার পরই বদলে গেল তাঁর জীবন । জানুন সেদিন ঠিক কি ঘটেছিল
৩ কিলোমিটার হেঁটে খাবার পৌঁছে দিলেন Food Delivery Boy, তার পরই তাঁর জীবন বদলে গেলো। কিন্তু কিভাবে???
হেঁটে খাবার পৌঁছে দেওয়ার পর বদলে গেলো বেশি ভারী বয়ের জীবন। জানুন বিস্তারিত তথ্য |
পকেটে নয়া পয়সাও নেই। যে গাড়িতে চড়ে ঘুরে ঘুরে খাবার সরবরাহের কাজ করেন তিনি, সেই গাড়িতে নেই জ্বালানি। তাই ওই Food Delivery Boy তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে এসেছিলেন গ্রাহককে খাবার পৌঁছে দিতে। তার পরেই মোড় ঘুরে গেল তাঁর জীবনের।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেদিন কি ঘটেছিল?
জম্মু শহর থেকে একটা কাজের সন্ধানে ভারতের এসেছিলেন সাহিল সিংহ নামে ওই যুবক। শিক্ষিত এবং স্নাতক ৩০ বছরের সাহিল Buyjus এর মতো সংস্থাতেও কাজ করেছেন। কিন্তু Lockdown এর জন্য সে কাজ হাড়িয়ে ফেলেছে। সাহিল এর পর অন্য শহরে এসে কম বেতনের ফুড ডেলিভারী বয় হিসেবে কাজ শুরু করে।
ওই মহিলা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগে অনলাইনে খাবার সরবরাহ অ্যাপে খাবার অর্ডার করেছিলাম। তবে খাবার পৌঁছয় কিছুটা দেরিতে। তিনি সে কথা সরবরাহকারী অ্যাপের প্রতিনিধি জানাবেন বলে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, তাঁর বাড়ির চৌকাঠে কিছুটা বিধ্বস্ত অবস্থায় বসে পড়েছেন Food Delivery Boy। তখন তিনি তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করেন। কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না জানতে চান। তার জবাবেই ওই Food Delivery Boy তাঁকে জানান, তিনি ৩ কিলোমিটার পথ হেঁটে খাবার সরবরাহ করতে এসেছেন, তাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।
তখন ওই মহিলা ওই যুবককে জল খেতে দেন। কেন হেঁটে আসতে হয়েছে তা জানতেও চান। তার পরেই সাহিল নিজের সমস্যার কথা জানান তাঁকে। সাহিল বলেন, গত কিছু দিন ধরে শুধু জল খেয়েই পেট ভরাচ্ছেন তিনি। খাবার পিঠে বয়ে নিয়ে গেলেও নিজের খাবার কেনার পয়সা নেই তাঁর। এ পর্যন্ত বাইকে জ্বালানি ছিল। কিন্তু এখন তা-ও শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে জ্বালানি ভরার অর্থও তাঁর কাছে নেই। তিনি এখানে একটু জিরিয়ে নিচ্ছিলেন, কারণ তাকে দ্রুত আরও একটি খাবার সরবরাহ করতে যেতে হবে। ১২টার মধ্যে সেই কাজ শেষ করতে না পারলে তাঁকে অনেক দূরে অর্ডার পৌঁছতে দেওয়া হবে। আর যে হেতু তাঁর বাইক নেই, তাই তিনি সেই কাজ করতে পারবেন না।
সাহিল তাঁকে এর পর জানান, তিনি স্নাতক পাশ করেছেন, এমনকি বিভিন্ন ছোটো বড়ো সংস্থায় কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে । তাঁর সন্ধানে কি কোনও ভাল চাকরি রয়েছে? সাহিল বলেন, অন্য একটি ভাল কাজ পেলে তাঁর জীবনযাপন কিছুটা সহজ হতে পারে। এর পরেই সাহিলের কথা ওই মহিলা সোস্যাল মিডিয়া তে পোস্ট করেন। তাঁর স্কুল-কলেজের রেজাল্ট এবং চাকরির অভিজ্ঞতার প্রমাণপত্র পোস্ট করেন
আমাদের WhatsApp Group এ যুক্ত হতে - Join Now এ ক্লিক করুন।
সে দিন ওই মহিলা সাহিলকে খাবার জন্য ৫০০ টাকা দিয়েছিলেন। পরে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকরীরা অনেকেই সাহিলের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠান। এমনকি, তার কিছু দিন পরে সাহিল একটি অফিসে কাজও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সাহিলের এই ঘটনাটিতে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রিয়দর্শিনীকে।
আমাদের তরফ থেকেও ওই মহিলাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ❤️।
আপনিও ওই মহিলা কে কমেন্ট করে ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।