জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf| Class 10 Life Science first chapter 2 marks question answer


দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf| Class 10 Life Science first chapter 2 marks question answer

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় । দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Life Science chapter 1 2 number question answer, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।




তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান ২ নম্বর অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর প্রথম অধ্যায় pdf download, class 10 Life Science first chapter 2 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      


      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik Life Science Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X Life Science Question and Answer Suggestion 2022, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 2024



দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় ছোটো প্রশ্ন ও উত্তর



1. উদ্দীপক কাকে বলে?

উত্তর: পরিবেশের যে সকল পরিবর্তন জীবের দ্বারা শনাক্ত হয় ও যাদের উপস্থিতিতে জীব সাড়াপ্রদান করে, তাকে উদ্দীপক বলে।


2. সংবেদনশীলতা বলতে কী বোঝ ?

উত্তর: পরিবেশের পরিবর্ত জীবদেহের সাড়াপ্রদানের ক্ষমতাকে সংবেদনশীলতা বলে। যেমন—আলোক উদ্দীপকের দিকে উদ্ভিদের কাণ্ড বা শাখার চলন।


3. চলন কাকে বলে?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় জীব এক স্থানে আবদ্ধ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ

সঞ্চালনের মাধ্যমে সাড়াপ্রদান করে তাকে চলন বলে।


4. গমন কাকে বলে?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালনের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলে ।


5. উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন কাকে বলে?

উত্তর: স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উদ্দীপকের প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদ বা উদ্ভিদের কোনো অংশের স্থান পরিবর্তন করাকে উদ্ভিদের সামগ্রিক চলন বলে। যেমন— ক্ল্যামাইডোমোনাস -এর কম আলোর দিকে গমন বা ফোটোট্যাকটিক চলন।


6. ফোটোন্যাস্টিক চলন কাকে বলে?

উত্তর: যে আবিষ্ট বক্রচলন আলোক উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে তাকে ফোটোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন—পদ্ম ও সূর্যমুখী ফুল দিনের বেলা তীব্র আলোয় ফোটে আবার জুঁই ফুল কম আলোয় ফোটে।



7. ফোটোট্যাকটিক চলন বা ফোটোট্যাক্সিস কাকে বলে?

উত্তর: আলোক উদ্দীপকের প্রভাবে সমগ্র উদ্ভিদের স্থানান্তরিত হওয়াকে ফোটোট্যাকটিক চলন বলে। যেমন—ক্ল্যামাইডোমোনাস নামক শৈবালের গমন, যা আলোর তীব্রতা দ্বারা প্রভাবিত হয়।


৪. থার্মোন্যাস্টিক চলন কী?

উত্তর: যে আবিষ্ট বক্রচলন উন্নতার তীব্রতার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে থার্মোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন—টিউলিপ ফুল বেশি উন্নতায় ফোটে এবং সিম পাতা অধিক উন্নতায় বন্ধ হয়ে যায়।


9. সিসমোন্যাস্টিক চলন কী?

উত্তর: যে আবিষ্ট বক্রচলন, ঘর্ষণ, আঘাত বা স্পর্শের তীব্রতা অনুযায়ী হয়, তাকে সিসমোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন—স্পর্শের ফলে লজ্জাবতীর পত্রক বন্ধ হয়ে যায়।


10. কেমোন্যাস্টিক বা রসায়নব্যাপ্তি চলন কাকে বলে?

উত্তর: যে আবিষ্ট বক্রচলন রাসায়নিক পদার্থের (ক্লোরোফর্ম, ইথার, প্রোটিন ইত্যাদি) তীব্রতা বা ঘনত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে কেমোন্যাস্টিক চলন বলে। যেমন—পতঙ্গের প্রোটিনের সংস্পর্শে এলে ভেনাস ফ্লাইট্র্যাপ নামক পতঙ্গভুক উদ্ভিদের পাতায় কেমোন্যাস্টিক চলন দেখা যায়। এর ফলে পাতা দুটি বন্ধ হয়ে পতঙ্গটি পাতার ভিতরে আটকে যায়।


13. কচুরিপানার নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়াকে চলন বা গমন বলা যায় কী?

উত্তর: কচুরিপানার নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়াকে চলন বা গমন বলা যায় না কারণ এটি জৈবিক কারণে হয় না, যান্ত্রিক কারণে হয়।


14. অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলে কেন?

উত্তর: অগ্ন্যাশয়ে বহিঃক্ষরা (অ্যাসিনাস) ও অন্তঃক্ষরা (ল্যাঙ্গারহ্যান্সের দ্বীপপুঞ্জ) উভয় প্রকারকোশসমষ্টি বর্তমান। বহিঃক্ষরা অংশ থেকে উৎসেচক (ট্রিপসিন, অ্যামাইলেজ) এবং অন্তঃক্ষরা অংশ থেকে হরমোন (a কোশ থেকে গ্লুকাগন, B কোশ থেকে ইনসুলিন, কোশ থেকে সোমাটোস্ট্যাটিন) ক্ষরিত হয়। তাই অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলে।


15/ নিউরোগ্লিয়া কী?

উত্তর: নিউরোগ্লিয়া হল পরিবর্তিত যোগকলা এবং বহু প্রবর্ধকযুক্ত কোশ যা উদ্দীপনা গ্রহণ ও প্রেরণে

অক্ষম। নিউরোগ্লিয়ার সংখ্যা স্নায়ুতন্ত্রের কোশ সমষ্টির প্রায় 90% এবং এরা নিউরোনকে বেষ্টন

করে থাকে। আকৃতি অনুসারে নিউরোগ্লিয়া বিভিন্ন প্রকারের যেমন—মাইক্রোগ্লিয়া, অলিগোডেনড্রোগ্লিয়া, অ্যাস্ট্রোসাইট।

হয়,


16. প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি গুরুত্ব লেখো।

উত্তর: প্রাত্যহিক জীবনে এইরকম বহু ঘটনা থাকে সেক্ষেত্রে দ্রুত প্রতিক্রিয়ার প্রয়োজন, সেইসব ক্ষেত্রে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার1গুরুত্ব অপরিসীম। যেমন—

[1] চোখে ধুলোবালি পড়ার আগে দ্রুত চোখ বন্ধ হয়ে যায় যাতে ধুলোবালি না ঢোকে।

[2] শ্বাসনালীতে কোনো অবাঞ্ছিত পদার্থ যেমন— খাদ্যকণা প্রবেশ করলে প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় কাশি হয় ও তা বাইরে বের হয়ে যায়।


17. থ্যালামাসের কাজ উল্লেখ করো

উত্তর: থ্যালামাসের কাজগুলি হল – [1] সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনা গুরুমস্তিষ্কে প্রেরণ করা। তাই থ্যালামাসকে রিলে কেন্দ্র (relay station) বলা হয়। [2] নিদ্রা ও জাগরণ নিয়ন্ত্রণ করা।


18. হাইপোথ্যালামাসের কাজ উল্লেখ করো।

উত্তর: হাইপোথ্যালামাসের কাজগুলি হল- [1] দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। [2] ক্ষুধা, তৃস্না, হাসি, কান্না, অনুরাগ ও যৌন আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা।


19. পনস্-এর কাজ লেখো।

উত্তর: পনস্-এর কাজগুলি হল – [1] শ্বাসক্রিয়া, লা রণ, মূত্রত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করা। [2] লঘুমস্তিষ্ক ও সুযুম্নাশীর্ষকের মধ্যে সেতু রচনা করা।


20. সুষুম্নাশীর্ষকের কাজ লেখো।

উত্তর: সুষুম্নাশীর্ষকের কাজগুলি হল— [1] শ্বাস- ক্রিয়া, হৃৎস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করা। [2] ঘাম নিঃসরণ,

বমি, হাঁচি, কাশি ইত্যাদি আন্তরযন্ত্রীয় প্রতিবর্ত ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা।


21. রোটেশন কাকে বলে ?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ায় কোনো দেহ অঙ্গ বা অস্থি দেহ অক্ষের চারপাশে ঘুরতে পারে তাকে রোটেশন

বা ঘূর্ণন বলে। যেমন—পায়ের পিরিফরমিস পেশি দ্বারা পায়ের রোটেশন বা ঘূর্ণন।


22. অ্যামিবার গমন পদ্ধতি সংক্ষেপে লেখো।

উত্তর: অ্যামিবার গমনাঙ্গ হল অস্থায়ী ক্ষণপদ বা সিউডোপোডিয়া, যা একপ্রকারের সাইটোপ্লাজমীয় প্রবর্ধক। এই ক্ষণপদ গমন অভিমুখে গঠিত হয়।


23. হরমোন কাকে বলে?
১) যে জৈবরাসায়নিক পদার্থ কোনো বিশেষ কোশসমষ্টি বা অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়ে বিশেষ উপায়ে পরিবাহিত হয়ে জীবের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয়সাধন করে এবং ক্রিয়ার শেষে বিনষ্ট হয়ে যায়, তাকে হরমোন বলে । যেমন—অক্সিন নামক উদ্ভিদ হরমোন।

24. উদ্ভিদদেহে হরমোনের প্রয়োজনীয়তা কী?
>> বৃদ্ধির সাথে সাথে উদ্ভিদদেহে জটিলতা বৃদ্ধি পায় | এর ফলস্বরূপ দেহের বিভিন্ন কলাকোশের মধ্যে সমন্বয়সাধনের প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পায়। এই সমন্বয়সাধনের জন্যই উদ্ভিদদেহে হরমোনের প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াসমূহকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই হরমোন এই সমন্বয়সাধনের কাজ করে থাকে।

25. হরমোনকে ‘রাসায়নিক দূত’ বা রাসায়নিক বার্তাবাহক বলে কেন?
>> হরমোন একপ্রকার রাসায়নিক পদার্থ যা তার ক্ষরণস্থল থেকে দূরবর্তী কোশগুলির রাসায়নিক বিক্রিয়াগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে হরমোনকে রাসায়নিক দূত বলে। তবে কিছু হরমোন ক্ষরণকারী কোশের নিকটবর্তী স্থানেও কাজ থাকে।

26. হরমোনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
>» হরমোনের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল— উৎস: হরমোন নির্দিষ্ট
কলাকোশ থেকে উৎপন্ন হয়। কাজ: হরমোন দূরবর্তী স্থান বাহিত হয় ও কাজ করে থাকে। 3 মাত্রা: খুব স্বল্প মাত্রায় এগুলি কার্যকরী হয় ও ক্রিয়াশেষে তারা বিনষ্ট হয়।


27. হরমোনকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি-নিয়ন্ত্রক বলার কারণ কী?
>> হরমোন উদ্ভিদদেহের বিভিন্ন প্রকার বৃদ্ধি ও বৃদ্ধি-সম্পর্কিত চলনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন—অগ্র ও পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি, ফলের বৃদ্ধি, ট্রপিক চলন প্রভৃতি। এই কারণে হরমোনকে উদ্ভিদের বৃদ্ধি-নিয়ন্ত্রক বলা হয়।

28. উদ্ভিদের 3টি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোনের নাম লেখো।
>> উদ্ভিদের বৃদ্ধি যে সমস্ত বিশেষ জৈবরাসায়নিক পদার্থ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তাদের উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক পদার্থ বলে। উদ্ভিদের 3টি বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রক হরমোন হল— অক্সিন, জিব্বেরেলিন, 3 সাইটোকাইনিন।

29. অক্সিনের রাসায়নিক নাম এবং প্রকৃতি লেখো?
>> রাসায়নিক নাম: ইনডোল অ্যাসেটিক অ্যাসিড (IAA)।
>> রাসায়নিক প্রকৃতি: অক্সিন হল কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনযুক্ত জৈব অ্যাসিড।

30. অক্সিনের প্রধান দুটি কাজ লেখো।
» অক্সিনের প্রধান দুটি কাজ হল— এটি উদ্ভিদের বিভিন্ন ধরনের
ট্রপিক চলন বিশেষত ফোটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।
® এই হরমোনটির প্রভাবে উদ্ভিদে অগ্রস্থ প্রকটতা দেখা যায় অর্থাৎ অগ্রমকলের বৃদ্ধি ঘটে এবং পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।


31. উদ্ভিদের কাণ্ডের অগ্রভাগ কেটে দিলে প্রচুর শাখাপ্রশাখা বের হয় কেন?
উদ্ভিদের কাণ্ডের অগ্রভাগ কেটে দিলে সেইস্থানে অক্সিন হ্রাস পায় ও সাইটোকাইনিন মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই হরমোন পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও ঝোগ সৃষ্টি করে।

32. জিব্বেরেলিনের রাসায়নিক নাম এবং রাসায়নিক প্রকৃতি কী?
>রাসায়নিক নাম: জিব্বেরেলিনের রাসায়নিক নাম জিব্বেরেলিক
অ্যাসিড (GA)।

> রাসায়নিক প্রকৃতি: কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনযুক্ত
টারপিনয়েডজাতীয় জৈব অ্যাসিড।


33.. জিব্বেরেলিনের দুটি উৎস ও দুটি কাজ উল্লেখ করো।
» উৎস: জিব্বেরেলিনের দুটি উৎস হল— পরিণত বীজ ও
® বীজপত্র।
» কাজ: বীজ ও মুকুলের সুপ্তাবস্থাকে ভঙ্গ করা। ® কাণ্ডের পর্বমধ্যের বৃদ্ধিতে সাহায্য করা।

34.বীজের সুপ্তাবস্থা কী ? এই দশা ভাঙতে কোন্ হরমোন সাহায্য করে?
>> বীজের সুপ্তাবস্থা: উপযুক্ত পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও বীজের বিলম্বিত অঙ্কুরোদ্গম, অর্থাৎ বীজের বৃদ্ধি ও বিপাক না হয়ে অস্থায়ীভাবে বিশ্রাম দশায় থাকাকে বীজের সুপ্তাবস্থা বলে |

>> বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙনে সাহায্যকারী হরমোন: বীজের সুপ্তাবস্থা ভাঙনে সাহায্যকারী হরমোনটি হল জিব্বেরেলিন।


দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ধারণা 2 নং প্রশ্ন উত্তর



35. সাইটোকাইনিনের উৎস ও কাজ উল্লেখ করো।
» উৎস: সাইটোকাইনিনের দুটি উৎস হল —
 ডাবের জল ও ভুট্টার সস্য 

>> কাজ: কোশ বিভাজনে সহায়তা করা, ও উদ্ভিদের পত্রমোচন
বিলম্বিত করা।

36.. সাইটোকাইনিনের রাসায়নিক নাম ও রাসায়নিক প্রকৃতি উল্লেখ করো।
>> রাসায়নিক নাম: সাইটোকাইনিনের রাসায়নিক নাম হল 6-
ফুরফুরাইল অ্যামিনোপিউরিন |

>> রাসায়নিক প্রকৃতি: এটি কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও
নাইট্রোজেনযুক্ত ক্ষারীয় জৈব যৌগ।

37.রিচমন্ড-ল্যং প্রভাব কাকে বলে?
সাইটোকাইনিন হরমোনটি ক্লোরোফিল, প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিডের ধ্বংস প্রতিরোধ করে উদ্ভিদের পর্ণমোচন রোধ করে। এভাবে উদ্ভিদের অন্যান্য অঙ্গের জরাপ্রাপ্তিও বিলম্বিত হয়। একে রিচমন্ড-ল্যাং প্রভাব বলে।

38. তুমি যদি কোনো অনুশীলন-মাধ্যমে (culture medium) সাইটোকাইনিন প্রয়োগ করতে ভুলে যাও, তাহলে  কী ঘটবে?
>> সাইটোকাইনিন হরমোন কোশ বিভাজনে গুরুত্বপূর্ণভাবে সাহায্য করে। অনুশীলন-মাধ্যমে সাইটোকাইনিন প্রয়োগ করতে ভুল হলে, অনুশীলন-মাধ্যমে কোশ বিভাজন ঠিক মতো হবে না। ফলে বৃদ্ধি ব্যাহত হবে।

39. কৃত্রিম হরমোন কাকে বলে?
>> গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে সংশ্লেষিত, প্রাকৃতিক হরমোনের সমধর্মী রাসায়নিক পদার্থকে কৃত্রিম হরমোন বা সংশ্লেষিত হরমোন বলে। যেমন— কৃত্রিম অক্সিন, কৃত্রিম জিব্বেরেলিন।
 
40-এন্ডোক্রিনোলজি বলতে কী বোঝ ? এন্ডোক্রিন তন্ত্র বা অন্তঃক্ষরা তন্ত্র কাকে বলে?
>» এন্ডোক্রিনোলজি: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি, নিঃসৃত হরমোন এবং তাদেরকার্যপদ্ধতি জীববিদ্যার যে শাখায় আলোচিত হয় তাকে এন্ডোক্রিনোলজি বলে।

» এন্ডোক্রিন তন্ত্র বা অন্তঃক্ষরা তন্ত্র: অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি ও তা থেকে নিঃসৃত হরমোন নিয়ে গঠিত যে তন্ত্র জীবদেহের রাসায়নিক সমন্বয়সাধন করে, তাকে এন্ডোক্রিন তন্ত্র বা অন্তঃক্ষরা তন্ত্র বলে।

41. মানুষের শরীরে অবস্থিত অনাল গ্রন্থিগুলির নাম লেখো।
» মানুষের প্রধান অনাল গ্রন্থিগুলি হল— পিটুইটারি, ও পিনিয়াল
বডি, ও থাইরয়েড, 4 প্যারাথাইরয়েড, থাইমাস, © অগ্ন্যাশয়,
7 অ্যাড্রেনাল, ® শুক্রাশয় এবং © ডিম্বাশয়।

42. হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বায়ক বলে কেন?
» ↑ হরমোন রক্ত বা লসিকা দ্বারা উৎপত্তিস্থল থেকে কার্যস্থলে
পৌঁছোয় ও কাজ করে থাকে। অনেকসময় একই কাজের বিপরীত দিক দুটি হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে (যেমন—ইনসুলিন ও গ্লুকাগন যথাক্রমে রক্তে শর্করা হ্রাস করে ও বৃদ্ধি করে)। এইভাবে দেহের নানা কাজ করা ও তাদের সমন্বয় করার কারণে হরমোনকে সমন্বায়ক বলে। হরমোন মূলত প্রোটিন, স্টেরয়েড, গ্লাইকোপ্রোটিন, অর্থাৎ জৈব রাসায়নিক প্রকৃতির। এই কারণে সামগ্রিকভাবে হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বায়ক বা সমন্বয়সাধক বলা হয় |

43. প্রাণী হরমোনের চারটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য লেখো।
» প্রাণী হরমোনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল— এগুলি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি বা অন্তঃক্ষরা কোশসমষ্টি থেকে ক্ষরিত হয়। এগুলি সাধারণত প্রোটিন, পেপটাইড, গ্লাইকোপ্রোটিন বা স্টেরয়েডধর্মী। 3 এই হরমোন উৎপত্তিস্থল থেকে রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে পরিবাহিত হয় ও লক্ষ্য অঙ্গ বা কার্যকরী অঙ্গে পৌঁছোয় ৷ @ প্রাণীদেহে হরমোন উৎপত্তিস্থল থেকে রাসায়নিক বার্তা লক্ষ্য অঙ্গে নিয়ে যায়, তাই একে রাসায়নিক বার্তাবাহক বলে।

44. পিটুইটারিকে প্রভুগ্রন্থি বলা হয় কেন?
» পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন নিঃসৃত হয়।
এই হরমোনগুলি একদিকে যেমন দেহের সামগ্রিক বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে অন্যদিকে অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণ ও কার্যকারিতাকেও সমানভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণে পিটুইটারি গ্রন্থিকে প্রভুগ্রন্থি বা মাস্টার গ্ল্যান্ড বলে। পিটুইটারি নিঃসৃত ACTH, TSH, GTH যথাক্রমে অ্যাড্রেনাল, থাইরয়েড এবং গোনাডের (শুক্রাশয় ও ডিম্বাশয়) ক্ষরণ ও কার্যকারিতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

45. হাইপোথ্যালামাস গ্রন্থিকে ‘প্রভুগ্রন্থির প্রভু’ বলা হয় কেন?
>> হাইপোথ্যালামাসে উৎপন্ন নিউরোহরমোনগুলি অগ্র পিটুইটারিতে এসে তার অন্তঃক্ষরা কোশের ক্ষরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। উল্লেখ্য যে পিটুইটারি গ্রন্থিকে প্রভুগ্রন্থি বলা হয়। প্রভুগ্রন্থির ওপরে হাইপোথ্যালামাস ক্রিয়াশীল হয় বলে একে ‘প্রভুগ্রন্থির প্রভু’ বলা হয়ে থাকে।

46. পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রভাগ থেকে নিঃসৃত হরমোনগুলির নাম লেখো।
» পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রভাগ থেকে নিঃসৃত হরমোনগুলির নাম হল-
↑ অ্যাড্রেনোকটিকোট্রপিক হরমোন বা ACTH | © সোমাটোট্রপিক হরমোন বা STH| 3 থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন বা TSH৷


47. অগ্ন্যাশয়কে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয় কেন?
» অগ্ন্যাশয় অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা উভয় প্রকার কোশসমষ্টি নিয়ে গঠিত বলে একে মিশ্র গ্রন্থি বলে। অগ্ন্যাশয়ের অন্তঃক্ষরা অংশ থেকে বিভিন্ন হরমোন (যেমন—ইনসুলিন, গ্লুকাগন প্রভৃতি) এবং অগ্ন্যাশয়ের বহিঃক্ষরা অংশ থেকে বিভিন্ন উৎসেচক (যেমন ট্রিপসিন, অ্যামাইলেজ, মলটেজ, লাইপেজ ইত্যাদি) নিঃসৃত হয়।

48. নিউরোহরমোন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
নিউরোহরমোন: মানব মস্তিষ্কে অবস্থিত হাইপোথ্যালামাস অংশের
নিউরোসিক্রেটরি কোশ (নিউরোন) থেকে সংশ্লেষিত ও ক্ষরিত উপাদানকে নিউরোহরমোন বলে।

49. কোন্ হরমোনকে কী কারণে ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া হরমোন' বলা হয়?
গ্লুকাগন নামক একপ্রকার পলিপেপটাইড হরমোনকে হাইপার- গ্লাইসেমিয়া হরমোন বলা হয় । কারণ, এই হরমোনটি প্রধানত যকৃৎ কোপে সঞ্চিত গ্লাইকোজেনকে গ্লুকোজে ভেঙে দেয় তথা গ্লাইকোজেনোলাইসিস প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, তার ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

50. হাইপোগ্লাইসেমিয়া এবং হাইপারগ্লাইসেমিয়া কাকে বলে?
» হাইপোগ্লাইসেমিয়া: রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক (80-120mg শর্করা প্রতি 100ml রক্ত)-এর চেয়ে অনেক কমে গেলে সেই অবস্থাকে হাইপো- গ্লাইসেমিয়া বলে | এক্ষেত্রে 100ml রক্তে শর্করার মাত্রা 70mg-এর কম হয়।

» হাইপারগ্লাইসেমিয়া: স্বাভাবিক অবস্থায় প্রতি 100 ml রক্তে শর্করার পরিমাণ 80mg-120mg| কোনো কারণে রক্তে শর্করার পরিমাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে গেলে সেই অবস্থাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে | এক্ষেত্রে প্রতি 100 ml রক্তে শর্করার মাত্রা 200 mg-এর বেশি হলে তবে সেই অবস্থাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে।

51. ডায়াবেটিস মেলিটাস কী?
>> ইনসুলিন হরমোনের অধঃক্ষরণের ফলে কলাকোশে গ্লুকোজের শোষণ ও জারণ হ্রাস পায় | এর কারণে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেলে দেহে যে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তাকে ডায়াবেটিস মেলিটাস বলে।

52. গ্লাইকোসুরিয়া কী?
>> মানুষের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে বৃদ্ধি পেয়ে, প্রতি 100 ml রক্তে 180 mg-এর বেশি হলে মূত্রের মাধ্যমে অধিকমাত্রায় গ্লুকোজ দেহের বাইরে নির্গত হয়। একে গ্লাইকোসুরিয়া বলে।

53. অ্যাক্রোমেগ্যালি কী?
» পরিণত বয়সে পিটুইটারি থেকে STH-এর অধিক ক্ষরণের ফলে
মানুষের কপাল, নাক, চিবুক, নীচের চোয়াল, আঙুল ইত্যাদির অস্বাভাবিক বৃদ্ধির দরুন মানুষকে গোরিলার মতো দেখায়। এইসব লক্ষণযুক্ত রোগকে অ্যাক্রোমেগ্যালি বলে।


54. নিল দানা কী? এর গুরুত্ব লেখো।
>» নিল দানা: স্নায়ুকোশের কোশদেহের ও ডেনড্রনে সাইটোপ্লাজমে অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা নির্মিত যে বৃহৎ দানাগুলি ছড়িয়ে থাকে তাদের নিস্স দানা (Nissl granule ) বলে ।» গুরুত্ব : নিস্ল দানায় প্রোটিন সংশ্লেষ ঘটে থাকে।

55. নিউরোফাইব্রিল কী? এর গুরুত্ব লেখো।
» নিউরোফাইব্রিল: নিউরোনের কোশদেহ, ডেনড্রন ও অ্যাক্সনে যে সূক্ষ্ম সুতোর মতো গঠন বিন্যস্ত থাকে, তাদের নিউরোফিলামেন্ট বলে। এই নিউরোফিলামেন্ট গুচ্ছকে একত্রে নিউরোফাইব্রিল বলে ।
» গুরুত্ব : স্নায়ুকোশের এগুলি গঠন বজায় রাখে, অ্যাক্সনের ব্যাসও পরিবর্তন করে থাকে।

56. স্নায়ুকোশ কেন বিভাজিত হতে পারে না?
» কোশ বিভাজনের একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় অঙ্গাণু হল সেন্ট্রোজোম স্নায়ুকোশে সেন্ট্রোজোম থাকলেও তা নিষ্ক্রিয় হয়। এই কারণে স্নায়ুকোশ বা নিউরোন বিভাজিত হতে পারে না।

57. মায়েলিন পর্দা কী? এর গুরুত্ব লেখো।
» মায়েলিন পদা: নিউরোন কোশের অ্যাক্সনের বাইরে সোয়ান কোশ অথবা অলিগোডেনড্রাইট কোশ নির্মিত ফ্যাট-জাতীয় পর্দাকে বলে মায়েলিন পর্দা বা মায়েলিন আবরণী।
>> গুরুত্ব : এটি অন্তরক আবরকরূপে কাজ করে এবং স্নায়ু উদ্দীপনার দ্রুত ও কার্যকরী পরিবহণে সাহায্য করে।

by র‍্যানভিয়ারের পর্ব কাকে বলে? এর গুরুত্ব লেখো।
» র‍্যানভিয়ারের পর্ব: অ্যাক্সনের বাইরে মায়েলিন আবরণহীন অংশে নিউরিলেমা ও অ্যাক্সোলেমা যুক্ত হয়ে যে খাঁজ সৃষ্টি করে, তাকে র‍্যানভিয়ারের পর্ব বলে। এই স্থানে প্রচুর আয়ন চ্যানেল থাকে।
» গুরুত্ব : মায়েলিনযুক্ত, নিউরোনে উদ্দীপনা পরিবহণ লম্ফন দ্বারা ঘটে। র‍্যানভিয়ারের পর্বগুলি দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে এই সলটেটরি পরিবহণ ঘটতে পারে। ফলে দ্রুত উদ্দীপনা পরিবহণ ঘটতে পারে।

58. সংজ্ঞাবহ বা অন্তর্বাহী নিউরোন কাকে বলে?
>> যে নিউরোন গ্রাহক থেকে উদ্দীপনা বা স্নায়ুস্পন্দন বহন করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে অর্থাৎ মস্তিষ্ক এবং সুষুম্নাকাণ্ডে প্রেরণ করে, তাকে সংজ্ঞাবহ বা অন্তর্বাহী নিউরোন বলে।

59. চেষ্টীয় নিউরোন বা বহির্বাহী নিউরোন কাকে বলে?
» যে নিউরোন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র, অর্থাৎ মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড থেকে স্নায়ু উদ্দীপনা বা স্নায়ুস্পন্দন পেশি ও গ্রন্থি, অর্থাৎ কারক অংশে প্রেরণ করে, তাকে চেষ্টীয় নিউরোন বা বহির্বাহী নিউরোন বলে।

60.নার্ভ গ্যাংলিয়ন বা স্নায়ুগ্রন্থি কাকে বলে?
» স্নায়ুকোশের কোশদেহগুলি মিলিত হয়ে যোগকলা পরিবৃত যে গ্রন্থির সৃষ্টি করে, তাকে স্নায়ুগ্রন্থি বা নার্ভ গ্যাংলিয়ন বলে অনেকগুলি কোশদেহ একত্রিত হওয়ায় এগুলি কিছুটা স্ফীত হয় ।

61.প্রান্তসন্নিকর্ষ বা সাইন্যাপস্ কী?
১৯ দুটি নিউরোনের মধ্যবর্তী ফাঁকযুক্ত যে সংযোগস্থলে একটি নিউরোন থেকে পরবর্তী নিউরোনে উদ্দীপনা বা স্নায়ুস্পন্দন প্রেরিত হয়, তাকে প্রান্তসন্নিকর্ষ বা সাইন্যাপস্ বা স্নায়ুসন্নিধি বলে। সাইন্যাপসের বার্তা প্রেরণকারী নিউরোনটিকে প্রিসাইন্যাপটিক নিউরোন ও বার্তা গ্রহণকারী নিউরোনটিকে পোস্টসাইন্যাপটিক নিউরোন বলে।

62.. করপাস ক্যালোসাম কী?
» সেরিব্রাম বা গুরুমস্তিষ্কের ডান এবং বাম গোলার্ধ দুটি একটি অনুপ্রস্থ স্নায়ুতন্তুগুচ্ছ দ্বারা পরস্পর যুক্ত থাকে, এই স্নায়ুতন্তুগুচ্ছকেই করপাস ক্যালোসাম বলে।

63. থ্যালামাস কী ?
মানবমস্তিষ্কের তৃতীয় ভেন্ট্রিলের দু-পাশে সেরিব্রাম (গুরুমস্তিষ্ক)-এর নীচে এবং মধ্যমস্তিষ্কের ওপরে যে দুটি ধূসর বর্ণের ডিম্বাকার অংশ লক্ষ করা যায়, তাদের থ্যালামাস বলে।

64.. থ্যালামাসের দুটি কাজ লেখো।
থ্যালামাস তাপ, চাপ, স্পর্শ, যন্ত্রণা, টান, ঠান্ডা-গরম এবং তীব্র বে প্রভৃতি অনুভূতির পুনঃসম্প্রচার স্থান বা রিলে কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।
® নিদ্রা ও জাগরণ নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে।

65. হাইপোথ্যালামাস কী ?
» মস্তিষ্কের তৃতীয় প্রকোষ্ঠ এবং থ্যালামাসের তলদেশে অবস্থিত
অগ্রমস্তিষ্কের যে অংশ ক্ষুধা, তৃম্না, আবেগ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে হাইপোথ্যালামাস বলে। এটি থ্যালামাসের নীচে অবস্থিত থাকায়, এই অংশটির এইরূপ নামকরণ হয়েছে। 

66.হাইপোথ্যালামাস-এর দুটি কাজ লেখো।
» 0 হাইপোথ্যালামাস খাদ্যগ্রহণ, খিদে, তৃম্না, নিদ্রা, মানসিক উত্তেজনা,সচেতনতা ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে। এটি স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রের উচ্চতম কেন্দ্ৰ রূপেও কাজ করে।

67. মেনিনজেস কী ?
» কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশ দুটি (মস্তিষ্ক ও সুষুম্নাকাণ্ড) যে তিনস্তর বিশিষ্ট তন্তুময় আবরক দ্বারা আবৃত থাকে, তাকে মেনিনজেস বলে।
মেনিনজেস-এর তিনটি স্তর হল—ডুরামেটার, অ্যারানয়েড মেটার এবং পিয়ামেটার।

68. প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?
কোনো বাহ্যিক বা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনার প্রভাবে প্রাণীদেহের
তাৎক্ষণিক, স্বতঃস্ফূর্ত ও অনৈচ্ছিক স্নায়বিক প্রতিক্রিয়াকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।

69. প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি উদাহরণ দাও।
>> প্রাত্যহিক জীবনে প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি উদাহরণ হল— দ্রুত চোখের পলক পড়া: তীব্র আলো বা ধূলো-বালি পরলে আমরা তৎক্ষণাৎ চোখ বুজে ফেলি ও চোখের প্রতিরক্ষা অজান্তেই করে থাকি। @ হাঁচি: বাইরের ধুলো-বালি, ধোঁয়া, গ্যাস প্রভৃতির সংস্পর্শে এলে আমরা হাঁচি ও দেহের প্রতিরক্ষা করি।

70. সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
>> সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া: যেসব প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত এবং কোনো শর্তাধীন নয়, তাদের সহজাত বা জন্মগত বা শর্তবিহীন প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে ।
» উদাহরণ: শিশুর জন্মের পর স্তন্যদুগ্ধ পান করা, সুস্বাদু খাদ্যের গন্ধে লালা নিঃসৃত হওয়া ইত্যাদি।

71. সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
>> সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি বৈশিষ্ট্য হল— এই প্রতিবর্ত ক্রিয়া শর্ত- নিরপেক্ষ এবং এর জন্য কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগতভাবে বংশপরম্পরায় উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ৷ 

72. অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
» অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া: যেসব প্রতিবর্ত ক্রিয়া জন্মগত নয়, কেবল বারবার অভ্যাসের ফলে বা অভিজ্ঞতার দ্বারা অর্জিত হয় এবং যা শর্তসাপেক্ষ, তাদের অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।
» উদাহরণ: সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো ইত্যাদি ।

73. অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
» অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার দুটি বৈশিষ্ট্য হল— এই জাতীয় প্রতিবর্ত ক্রিয়া অভ্যাস, প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়। চর্চার অভাবে এই প্রতিবর্ত ক্রিয়া পরিবর্তিত হয় বা লোপ পায় |
74. প্রতিবর্ত পথের অংশগুলি কী কী?
» প্রতিবর্ত পথের প্রধানত পাঁচটি অংশ। যথা—গ্রাহক, অন্তর্বাহী স্নায়ু, স্নায়ুকেন্দ্র, বহির্বাহী স্নায়ু এবং কারক অঙ্গ।




মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ২ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 2 marks pdf / ক্লাস 10 জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Life Science 1st chapter 2 marks question answer pdf / Class ten Life Science 1st chapter 2 marks question answer / জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় SAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Life Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য -  জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান এর  প্রথম অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science 2 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রথম অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রথম অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science short Question and Answer 



বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik Life Science 1st chapter 2 marks questions answers pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

Adddddd

  Download  Click Here to Download 

Adddddddd

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik Life Science Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 2 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Life Science first chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url