জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Class 10 Life Science first chapter 5 marks question answer


দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf  | Class 10 Life Science first chapter 5 marks question answer

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান 5 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় । দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় (প্রথম অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Life Science chapter 5 number question answer, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।

Madhyamik-life-science-first-chapter-5-marks-question-answer-pdf


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান ৫ নম্বর অধ্যায় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর প্রথম অধ্যায় pdf download, class 10 Life Science first chapter 5 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE         

      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik Life Science Suggestion 5055 | West Bengal WBBSE Class Ten X Life Science Question and Answer Suggestion 5055, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 5055



দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় বড় প্রশ্ন ও উত্তর


1.বিভিন্ন প্রকার ট্রপিক চলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তর: বিভিন্ন প্রকার ট্রপিক চলন


উদ্দীপকের প্রকারভেদে ট্রপিক চলন বিভিন্ন ধরনের হয়। বিভিন্ন প্রকারভেদগুলি নীচে আলোচনা করা হল। 


[1] ফোটোট্রপিক বা আলোকবৃত্তীয় চলন: এই ধরনের চলনের উদ্দীপক হল আলোক। উদ্ভিদের কাণ্ড ও শাখা আলোর দিকে বৃদ্ধি পায় তাই একে আলোক-অনুকূলবর্তী চলন বলে। পাতা আলোক রশ্মির সাথে লম্বভাবে বা তির্যকভাবে বৃদ্ধি পায়, তাই একে আলোক তির্যকবর্তী চলন বলে। মূল আলোকের বিপরীতে বৃদ্ধি পায়, তাই একে আলোক-প্রতিকূলবর্তী চলন বলে (ব্যতিক্রম—সুন্দরীর শ্বাসমূল)।


[2] জিওট্রপিক বা অভিকর্ষবৃত্তীয় চলন: এই ধরনের চলনের উদ্দীপক হল অভিকর্ষজ বল। উদ্ভিদের মূল অভিকর্ষের দিকে বৃদ্ধি পায়, তাই একে অভিকর্ষ অনুকূলবর্তী চলন বলে, (ব্যতিক্রম—সুন্দরীর শ্বাসমূল)। কাণ্ড ও শাখা অভিকর্ষের বিপরীতে বৃদ্ধি পায়, তাই একে অভিকর্ষ প্রতিকূলবর্তী চলন বলে। শাখা ও প্রশাখামূলের বৃদ্ধি অভিকর্ষের তির্যকভাবে হয়, তাই একে তির্যক অভিকর্ষবর্তী চলন বলে।


[3] হাইড্রোট্রপিক বা জলবৃত্তীয় চলন: এই ধরনের চলনের উদ্দীপক হল জল বা আর্দ্রতা। উদ্ভিদের মূল জলের উৎসের দিকে বৃদ্ধি পায়, তাই একে জল-অনুকূলবর্তী চলন বলে। কাণ্ড জলের উৎসের বিপরীতে বৃদ্ধি পায়, তাই একে জল-প্রতিকূলবর্তী চলন বলে ।




2. বিভিন্ন প্রকার ন্যাস্টিক চলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।

উত্তর : বিভিন্ন প্রকার ন্যাস্টিক চলন উদ্দীপকের প্রকারভেদে ন্যাস্টিক চলন বিভিন্ন ধরনের হয়। যথা—


[1] ফোটোন্যাস্টিক চলন বা আলোকব্যাপ্তি চলন: এই ধরনের চলনের উদ্দীপক হল আলোক তীব্রতা।

উদাহরণ—আলোকের তীব্রতায় রসস্ফীতিজনিত কারণে পদ্ম, সূর্যমুখী ফুল ফোটে।


[2] থার্মোন্যাস্টিক চলন বা তাপব্যাপ্তি চলন: এই ধরনের চলনের উদ্দীপক হল উয়তার তীব্রতা।

উদাহরণ—টিউলিপ ফুল দিনের বেলা উয়তার প্রভাবে ফোটে।


[3] সিসমোন্যাস্টিক বা স্পর্শব্যাপ্তি চলন: এই ধরনের চলনের উদ্দীপক হল স্পর্শ, ঘর্ষণ বা আঘাত

(যান্ত্রিক)। উদাহরণ—লজ্জাবতীর পত্রক স্পর্শ করা মাত্র পত্রমূলের রসস্ফীতির হ্রাসজনিত শিথিলতায় পত্রকগুলি মুদে যায়।


[4] কেমোন্যাস্টিক বা রসায়নব্যাপ্তি চলন: এই ধরনের চলনের উদ্দীপক হল রাসায়নিক পদার্থের তীব্রতা।

উদাহরণ—সূর্যশিশিরের পত্রাকর্ষ পতঙ্গের প্রোটিনের সংস্পর্শে বন্ধ হয়ে যায়।



3. অক্সিন হরমোনের দুটি বৈশিষ্ট্য ও তিনটি কাজ উল্লেখ করো।

উত্তর : অক্সিন হরমোনের বৈশিষ্ট্য

অক্সিন হরমোনের বৈশিষ্ট্যগুলি হল—

[1] অক্সিন জলে দ্রাব্য নাইট্রোজেন-ঘটিত জৈব অম্ল।

[2] অক্সিনে ক্রিয়া অন্ধকারে ভালো হয়। কারণ অক্সিন আলোকে জারিত হয়ে যায়।

[3] উদ্ভিদদেহে অক্সিনের প্রবাহ সব সময় মেরুবর্তী। অক্সিন কাণ্ডের অগ্রস্থ ভাজক কলা থেকে উৎপন্ন হয়ে ফ্লোয়েম কলার মাধ্যমে নীচের দিকে পরিবাহিত হয়।


NOTE, যে-কোনো দুটি বৈশিষ্ট্য লিখতে হবে। অক্সিনের তিনটি কাজ অক্সিনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল—

[1] বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ: অক্সিন অগ্র মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায় এবং পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করে, একে অগ্রস্থ প্রকটতা বলে। তাই অগ্রমুকুল কেটে দিলে গাছের পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটে। এ ছাড়াও, অক্সিন ক্যামবিয়ামের সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে এবং অঙ্গ-বিভেদ নিয়ন্ত্রণ করে।


[2] কোশ বিভাজন ও কোশের বৃদ্ধি: অক্সিন DNA সংশ্লেষ বৃদ্ধি করে, নিউক্লিয়াসের বিভাজনে সাহায্য করে ও সাইটোকাইনিনের সহায়তায় সাইটোপ্লাজমের বিভাজনে সাহায্য করে। কোশপ্রাচীরের নমনীয়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং গহ্বর সৃষ্টি করে কোশের আয়তন বৃদ্ধি করে।


[3] ফল গঠন: পরাগযোগের পর ডিম্বাশয়ে অক্সিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ও ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। তাই নিষেক ছাড়াই অক্সিনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে বীজহীন ফল (parthenocarpic fruit) উৎপাদন করা হয়।



3. ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিনের ভূমিকা লেখো।

ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে অক্সিনের ভূমিকা

উদ্ভিদের ফোটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন অক্সিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। নীচে এই সম্বন্ধে আলোচনা করা হল।


[1] ফোটোট্রপিক চলনে ভূমিকা: অক্সিন আলোক স্পর্শকাতর, তাই অন্ধকারে বেশি ও আলোকিত দিকে কম সঞ্চিত হয়। আবার কাণ্ডের কোশ অক্সিনের বেশি ঘনত্বে ও মূলের কোশ অক্সিনের কম ঘনত্বে দ্রুত বিভাজিত হয়। তাই আলোকিত দিকে কাণ্ডের কোশ দ্রুত বিভাজিত হওয়ায় কাণ্ড আলোকের দিকে বেঁকে যায়। আবার, মূলের ক্ষেত্রে আলোর দিকের কোশগুলিতে অক্সিনের উপস্থিতি কম হওয়ায় ওই স্থানের কোশ দ্রুত বিভাজিত হয়। ফলে মূল আলোর বিপরীতে বেঁকে যায়। এইভাবেই অক্সিন দ্বারা ফেটোট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রিত হয়।


[2] জিওট্রপিক চলনে ভূমিকা: একটি উদ্ভিদকে অনুভূমিকভাবে রাখলে অভিকর্ষের টানে কাণ্ড ও মূলের অগ্রভাগে নীচের দিকে অক্সিন সঞ্চিত হয়। ফলে অক্সিনের বেশি ঘনত্বে কাণ্ড অভিকর্ষের বিপরীতে ও মূল অক্সিনের কম ঘনত্বে অভিকর্ষের দিকে বৃদ্ধি পায়। ফলে মূল আলোর বিপরীত দিকে বেঁকে যায়। এইভাবে অক্সিন দ্বারা জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রিত হয়।



4. জিব্বেরেলিন হরমোনের প্রধান কাজগুলি কী কী? সাইটোকাইনিনের উল্লেখযোগ্য কাজগুলি লেখো।

উত্তর : জিবেরেলিনের কাজ

উদ্ভিদদেহে জিব্বেরেলিনের সক্রিয় প্রকারটি হল GA3, যা অঙ্কুরিত চারাগাছ, বীজ ও বীজপত্রে সংশ্লেষিত হয়।


[1] বীজের সুপ্তদশা ভঙ্গ: বীজের সুপ্তদশার শেষে জিব্বেরেলিন ভ্রুণ থেকে ক্ষরিত হয়ে বীজের অ্যালিউরোন স্তরের কোশ থেকে অ্যামাইলেজ নামক শর্করাভঙ্গক উৎসেচক সংশ্লেষ উদ্দীপিত করে। এই উৎসেচক বীজ মধ্যস্থ সস্যে বা বীজপত্রের জটিল শর্করাকে সরল ও দ্রবীভূত শর্করাতে পরিণত করে ভ্রূণের শ্বসনহার বৃদ্ধি করে যা বীজের সুপ্তদশা দূর করে অঙ্কুরোদ্গমের সূচনা করে।


[2] পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি:জিব্বেরেলিন উদ্ভিদের বংশগত খর্বতা দূর করে। জিব্বেরেলিন জিনের সক্রিয়তা

বৃদ্ধি করে পর্বমধ্যের কোশ বিভাজনে উদ্দীপনা জোগায় ফলে উদ্ভিদের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটে।


[3] ফলের বৃদ্ধি: জিব্বেরেলিন ফল গঠন ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যা বিজ্ঞানী ডেনিসের পরীক্ষায় প্রমাণিত।

এই হরমোন বীজহীন বা পার্থেনোকার্পিক ফল (আপেল, আঙুর, কলা) গঠনে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, গাছের পাতা ও ফুলের আয়তন বৃদ্ধিতে জিব্বেরেলিন সাহায্য করে।



সাইটোকাইনিনের কাজ উদ্ভিদদেহে সাইটোকাইনিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি হল—

[1] কোশ বিভাজন: সাইটোকাইনিন কোশচক্রের ইনটারফেজের ‘S’ দশায় নিষ্ক্রিয় কাইনেজকে সক্রিয় করে DNA- সংশ্লেষ ও সাইটোপ্লাজমের বিভাজন বা সাইটোকাইনেসিসে সাহায্য করে।


[2] জরা বিলম্বিতকরণ: সাইটোকাইনিন কোশের ক্লোরোফিল, প্রোটিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিডের বিনাশ বিলম্বিত করে জরা রোধ করে।


[3] পত্রমোচন বিলম্বিতকরণ: পাতার পত্রমূলের গোড়ার কোশগুলির কোশপ্রাচীরের ক্ষয়ের কারণে

পত্রমোচন হয়। সাইটোকাইনিন এই কোশগুলির কোশপ্রাচীরকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে। ফলে পত্রমোচন বিলম্বিত হয়।



5.থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমোনের নাম ? থাইরক্সিন হরমোনের কাজ?


উত্তর: থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হরমোনের নাম “

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে ট্রাই-আয়োডোথাইরোনিন (T3) এবং টেট্রা-আয়োডোথাইরোনিন (T4) বা থাইরক্সিন ক্ষরিত হয়। 


থাইরক্সিন হরমোনের কাজ :

থাইরক্সিন হরমোন মানবদেহে বিভিন্ন গঠনমূলক কাজে সাহায্য করে। যেমন- 

[1] BMR বা বেসাল মেটাবলিক রেট বৃদ্ধি করে। 

[2] কলাকোশে গ্লুকোজের জারণ ঘটিয়ে শক্তির মুক্তি ঘটায়, তাই একে তাপ

উৎপাদক বা ক্যালোরিজেনিক হরমোন বলে। 

[3] দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ও পূর্ণতা প্রাপ্তিতে সাহায্য করে। 

[4Pইৎস্পন্দনের হার বৃদ্ধি করতে ও লোহিত রক্তকণিকার ক্রমপরিণতিতে সাহায্য করে। 

[5] প্রোটিন, ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট বিপাকে সাহায্য করে, অস্থি থেকে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাসকে মুক্ত করে।



6. হাইপোথ্যালামাসকে প্রভুগ্রন্থির প্রভু (supreme commander) বলে কেন? ফিডব্যাক (feed back) নিয়ন্ত্রণ বলতে কী বোঝ?

উত্তর : হাইপোথ্যালামাসকে ‘প্রভুগ্রন্থির প্রভু’ বলার কারণ হাইপোথ্যালামাস নিঃসৃত রিলিজিং এবং ইনহিবিটিং ফ্যাক্টর বা নিউরোহরমোনগুলি অগ্র পিটুইটারি নিঃসৃত হরমোনগুলির ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। উল্লেখ্য যে, পিটুইটারি গ্রন্থিকে প্রভুগ্রন্থি বলা হয়। প্রভুগ্রন্থির ওপরে‌ হাইপোথ্যালামাস ক্রিয়াশীল হয় বলে, একে প্রভুগ্রন্থির প্রভু বলে।


যেমন—হাইপোথ্যালামাস নিঃসৃত কর্টিকোট্রপিন রিলিজিং হরমোন (CRH) ও গ্রোথ হরমোন রিলিজিং হরমোন (GHRH) পিটুইটারির নির্দিষ্ট কোশ থেকে ACTH ও গ্রোথ হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। 


ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ :

যখন কোনো হরমোনের ক্ষরণ অন্য গ্রন্থির ক্ষরণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন সেই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ বলে ৷ এক্ষেত্রে, নিঃসৃত হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধি বা হ্রাসে নিয়ন্ত্রক হরমোনের মাত্রার বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটে। যেমন-—থাইরক্সিনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ। হাইপোথ্যালামাসের নিয়ন্ত্রণে TRH-এর ক্ষরণ হয়। এর ফলে অগ্র পিটুইটারি থেকে TSH থাইরয়েড গ্রন্থিতে রক্তের মাধ্যমে পৌঁছোয় ও থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে T4 ও T3-এর ক্ষরণ ঘটায়। আবার, রক্তে T4, T3-এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে TRH ও TSH-এর ক্ষরণ হ্রাস পায়, ফলে Tar T3-এর ক্ষরণ নিয়ন্ত্রিত হয়। একে ঋণাত্মক ফিডব্যাক পদ্ধতি বলে। একইভাবে T4, T3-এর মাত্রা কমে গেলে আবার TRH ও TSH-এর ক্ষরণ বৃদ্ধির দ্বারা T4, T3-এর ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। একে ধনাত্মক ফিডব্যাক পদ্ধতি বলে।



6. মানুষের দেহে কবজা এবং বল ও সকেট অস্থিসন্ধির অবস্থান ও গমনে ভূমিকা লেখো।


কবজা বা কপাট অস্থিসন্ধি:

কবজা বা কপাট অস্থিসন্ধির অবস্থান ও গমনে ভূমিকা নীচে আলোচনা করা হল।

অবস্থান: এই ধরনের অস্থিসন্ধি কনুইতে ও হাঁটুতে দেখা যায়। কনুইতে হিউমেরাস ও রেডিয়াস-আলনা

অস্থির মধ্যবর্তী অংশে এবং হাঁটুতে ফিমার ও টিবিয়া-ফিবিউলার মধ্যবর্তী অংশে এই অস্থিসন্থি দেখা যায়।


ভূমিকা: কবজা সন্ধিতে অস্থি দুটির প্রান্ত দরজার কবজার মতো সংলগ্ন থাকে। এক্ষেত্রে একটি অস্থির গোলপ্রান্ত অপর অস্থির অবতল অংশে যুক্ত থাকে। অস্থি দুটির একটি অক্ষেই 180°-তে বিচলন ঘটে। ফলে ফ্লেক্সন ও এক্সটেনশন সম্ভব হয় যা মানুষের দ্বিপদ গমনে সহায়তা করে। 


বল ও সকেট অস্থিসন্ধি

বল ও সকেট অস্থিসন্ধির স্থান ও গমনে ভূমিকা আলোচনা করা হল।

অবস্থান: এই জাতীয় সন্ধি মানুষের কাঁধে ও কোমরে দেখা যায়। কাঁধে হিউমেরাসে ও স্ক্যাপুলার মধ্যবর্তী অংশে এবং কোমরে বা নিতম্বে ফিমার ও শ্রোণিচক্রের মধ্যবর্তী অংশে এই জাতীয় অস্থিসন্ধি উপস্থিত।


ভূমিকা: এই অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির গোলাকার মস্তক অপর অস্থির কাপের মতো সকেট বা কোটরে প্রবিষ্ট থেকে পরস্পর সংলগ্ন হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দিকে অস্থিসন্ধির সঞ্চালন ঘটে। ফলে ফ্লেক্সন, এক্সটেনশন, রোটেশন, অ্যাবডাকশন প্রভৃতি দেখা যায় যা মানুষের গমনের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের সঞ্চালনে সাহায্য করে।



দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের প্রথম অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ধারণা 5 নং প্রশ্ন উত্তর




7. উদ্ভিদদেহে হরমোনের সাধারণ কাজগুলি সম্পর্কে লেখো।
উদ্ভিদদেহে হরমোনের কাজ :
হরমোন উদ্ভিদদেহে শারীরবৃত্তীয় কার্য নিয়ন্ত্রকরূপে বিশেষত বৃদ্ধি
সহায়করূপে যেসব ভূমিকা পালন করে তা নীচে আলোচিত হল |

© অগ্র ও পার্শ্বীয় বৃদ্ধি: উদ্ভিদের প্রাথমিক বৃদ্ধি বলতে প্রধানত কাল্ড ও মূলের অগ্রভাগের বৃদ্ধিকেই বোঝানো হয় | অগ্রস্থ ভাজক কলার কোশের বিভাজনের দ্বারাই এই বৃদ্ধি ঘটে থাকে। একে অগ্রস্থ বৃদ্ধিও বলা হয়। এ ছাড়া, পার্শ্বীয় ভাজক কলার বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদ প্রস্থে বৃদ্ধি পায়, যা পার্শ্বীয় বৃদ্ধি নামে পরিচিত। এইভাবে ভাজক কলার বিভাজনের মাধ্যমে উদ্ভিদের বৃদ্ধি হরমোনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেমন—অক্সিনের প্রভাবে উদ্ভিদের অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি ঘটে।

® ফুলের প্রস্ফুটন: উদ্ভিদের জননাঙ্গ হল ফুল | পুষ্পমুকুলের পরিস্ফুটনের মাধ্যমে ফুল ফোটে। উদ্ভিদদেহে পুষ্পমুকুলের সৃষ্টি ও তার থেকে ফুল ফোটার ক্ষেত্রে উদ্ভিদ হরমোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন— জিব্বেরেলিন হরমোনটি ক্যামেলিয়া, জেরানিয়াম প্রভৃতি ফুল ফুটতে সাহায্য করে। চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া প্রভৃতি ফুল ফুটতে অ্যাবসিসিক অ্যাসিড সাহায্য করে।

3 মুকুলোদ্গম: কিছু উদ্ভিদ হরমোনের প্রভাবে কাণ্ড ও পাতার শীর্ষে থাকা অগ্রমুকুলের বৃদ্ধি হয় ও গাছটি লম্বায় বাড়ে। যেমন—অক্সিন। আবার অগ্রমুকুলের অনুপস্থিতিতে উদ্ভিদ হরমোন পাতার কক্ষে উপস্থিত কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ঘটায় ও নতুন শাখাপ্রশাখা সৃষ্টি করে।

4 বীজের অঙ্কুরোদ্গম: বীজের সৃষ্টির পর কিছুদিন তা সুপ্ত অবস্থায় থাকে | উপযুক্ত বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ শর্তের উপস্থিতিতে এই সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ হয় | অর্থাৎ, অঙ্কুরোগম ঘটে। যেমন জিব্বেরেলিন।

← ট্রপিক চলন: উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রকার ট্রপিক চলন, প্রধানত
ফোটোট্রপিক ও জিওট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণে হরমোন প্রধান ভূমিকা পালন করে। যেমন—অক্সিন ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে।


7. জিব্বেরেলিনের কয়েকটি প্রকারভেদের নাম লেখো। উদ্ভিদদেহে জিব্বেরেলিনের ভূমিকা উল্লেখ করো।

জিব্বেরেলিনের প্রকারভেদ:
জিবেরেলিনের রাসায়নিক নাম জিবেরেলিক অ্যাসিড। বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ থেকে প্রায় 40 প্রকার জিবেবরেলিন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল GA3, GA7, GA1 |

>» জিব্বেরেলিনের ভূমিকা:
উদ্ভিদদেহে জিব্বেরেলিনের ভূমিকাগুলি নিম্নরূপ।

© মুকুল ও বীজের সুপ্তাবস্থা ভঙ্গ: প্রতিটি বীজের একটি নির্দিষ্ট
সময়কাল পর্যন্ত জীবনের লক্ষণ প্রকাশ পায় না। বীজের এই দশাকে সুপ্তাবস্থা বলে | জিবেবরেলিন মুকুলের এই সুপ্তাবস্থা দূর করে । বীজের সুপ্তাবস্থায় এর মধ্যে জিব্বেরেলিনের পরিমাণ কম থাকে। অঙ্কুরোদ্গমের আগে বীজে এই হরমোনের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এর ফলে বীজমধ্যস্থ উৎসেচকের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়, যা বীজের সুপ্তাবস্থা দূর করে এবং অঙ্কুরোদ্‌গম ঘটায়।

(2) পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি: জিবেরেলিন উদ্ভিদের কাণ্ডের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে সঠিকভাবে কাণ্ডের দৈর্ঘ্যের বৃদ্ধি ঘটায়। এই হরমোন উদ্ভিদের নিবেশিত ভাজক কলাকোশের বিভাজন ঘটায় | ফলে পর্বমধ্য অংশের বৃদ্ধি ঘটে ও উদ্ভিদের দৈর্ঘ্যের বৃদ্ধি ঘটে।

3 ফলের বৃদ্ধি: জিবেরেলিন অধিক সংখ্যক ফল উৎপাদনে এবং ফলের আকার বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করে। আপেল, নাসপাতি, আঙুর
প্রভৃতির ফুলের গর্ভাশয়ের কোশ বিভাজন ঘটিয়ে বীজবিহীন বা পার্থেনোকাৰ্পিক ফল তৈরিতেও জিবেবরেলিনের প্রয়োগ করা হয়।

4 পাতা ও ফুলের আয়তন বৃদ্ধি: গাছের পাতা ও ফুলের আয়তন
বৃদ্ধিতেও জিবেবরেলিন সাহায্য করে।


৪. সাইটোকাইনিনের সংজ্ঞা লেখো। এর বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।
>> সাইটোকাইনিন
উদ্ভিদের ফল ও সস্যে উৎপন্ন নাইট্রোজেনযুক্ত পিউরিন বর্গভুক্ত ক্ষারীয় যে জৈব যৌগ মূলত উদ্ভিদের কোশ বিভাজনকে উদ্দীপিত করে, তাকে সাইটোকাইনিন বলে।


9. সাইটোকাইনিনের উৎসগুলি লেখো। উদ্ভিদদেহে সাইটোকাইনিনের
ভূমিকা লেখো।
» সাইটোকাইনিনের উৎস :
সাইটোকাইনিনের উৎসগুলি হল প্রধানত উদ্ভিদের সস্য (যেমন—ডাবের জল) ও ফল। এ ছাড়া কিছু উদ্ভিদের ফল ও ফুলের নির্যাসেও সাইটোকাইনিন পাওয়া যায় (যেমন—টম্যাটো, পিচ)।

» সাইটোকাইনিনের ভূমিকা
কোশ বিভাজন ঘটানো: সাইটোকাইনিনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল উদ্ভিদকোশের সাইটোপ্লাজমের বিভাজনে বা সাইটোকাইনেসিসে সাহায্য করা। এই হরমোন অক্সিনের সহায়তায় কোশচক্রের ১ দশায় DNA সংশ্লেষের মাধ্যমে মাইটোসিস কোশ বিভাজনে সাহায্য করে।নবজাত কোশের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধিতেও এর বিশেষ ভূমিকা আছে। 

© পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধি ঘটানো: সাইটোকাইনিনের অপর একটি কাজ হল পার্শ্বীয় মুকুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করা। এই হরমোন পার্শ্বীয় মুকুল বা কাক্ষিক মুকুলের বৃদ্ধি ও পরিস্ফুরণে সাহায্য করে এবং অসংখ্য শাখাপ্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে উদ্ভিদটিকে ঝোপের মতো আকৃতি দান করে।

3 পত্রমোচন বিলম্বিত করা: পাতার পত্রমূলের গোড়ার কোশগুলির
কোশপ্রাচীরের ক্ষয়ের কারণে পত্রমোচন হয়। সাইটোকাইনিন এই
কোশগুলির কোশপ্রাচীরকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে, ফলে পত্রমোচন বিলম্বিত হয়।

4 জরা বিলম্বিতকরণ: সাইটোকাইনিন উদ্ভিদের বার্ধক্য বা জরা
বিলম্বিত করে। মূলত নিউক্লিক অ্যাসিড ও প্রোটিনের বিনাশ বিলম্বিত করে এবং নতুন প্রোটিন উৎপাদনের দ্বারা পরিপোষণে সহায়তার মাধ্যমে হরমোনটি এই কাজ করে থাকে। এই কারণে ফুলদানিতে রাখা


মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় LAQ প্রশ্ন ও উত্তর


10. সংশ্লেষিত হরমোনের ভূমিকাগুলি উল্লেখ করো।
» কৃত্রিম বা সংশ্লেষিত হরমোনের ভূমিকা
কৃত্রিম উদ্ভিদ হরমোনগুলি কৃষিবিদ্যা, উদ্যানপালনবিদ্যা, ফলচাষ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বর্তমানে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই হরমোনগুলির কয়েকটি ভূমিকা নীচে আলোচিত হল ।

@ শাখাকলম থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি: গোলাপ, জবা, বেল প্রভৃতি যেসব উদ্ভিদে বীজ তৈরি হয় না, তাদের ক্ষেত্রে শাখাকলম নামক অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে উদ্ভিদাংশ ব্যবহার করে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করা যায়। সংশ্লেষিত কৃত্রিম অক্সিন, যেমন—ইন্ডোল বিউটাইরিক অ্যাসিড (IBA) ও ন্যাপথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড (NAA) সহজেই মূল সৃষ্টি করতে সক্ষম হয় বলে সজীব উদ্ভিদের কাণ্ডের টুকরো কৃত্রিম অক্সিনে ডুবিয়ে রাখা হয়। পরে সেটিকে মাটিতে রোপণ করা হলে ওই কাটা অংশ থেকে অস্থানিক মূল সৃষ্টি হয় | এইভাবে IBA ও NAA প্রয়োগ করে নতুন অপত্য উদ্ভিদ সৃষ্টি করা হয়।

© অপরিণত ফলের মোচন রোধ: আম, কলা, আঙুর ইত্যাদি ফলচাষের একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হল ফলের ঝরে যাওয়া বা মোচন | ফলের বৃত্তের কলাকোশে মোচনস্তর সৃষ্টি হয় বলে প্রায় 50-70% ফল পাকবার আগে ঝরে যায়। কৃত্রিম অক্সিন যেমন – 2, 4-ডাইক্লোরোফেনক্সি অ্যাসিটিক অ্যাসিড বা 2, 4-D, কৃত্রিম জিবেরেলিন ও কৃত্রিম সাইটোকাইনিন হরমোনগুলি ফলের বৃন্তে স্প্রে করলে মোচন ব্যাহত হয়।

আগাছা বিনাশ: কৃষিজমিতে আগাছা সৃষ্টি হলে তা জমি থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করে জমির উর্বরতা হ্রাস করে। এ ছাড়া ফসলের বহু রোগ সংক্রমণের কারণ হল আগাছা | এই জন্য বর্তমানে কৃষিজমিতে কৃত্রিম অক্সিন 2, 4-D ব্যবহৃত হয়, যা ফসলকে সুরক্ষিত রেখে কেবলমাত্র আগাছাগুলিকেই বিনষ্ট করে। এই হরমোনকে উইডিসাইড হরমোন বলে।

4 বীজহীন ফল উৎপাদন : আপেল, আঙুর, টম্যাটো, পেঁপে ইত্যাদি উদ্ভিদে নিষেক না হয়ে ফল সৃষ্টি হলে তাতে বীজ তৈরি হয় না। এইরকম বীজবিহীন ফল উৎপাদনকে পার্থেনোকার্পি বলে। কৃত্রিম অক্সিন (যেমন—IBA), কৃত্রিম জিবেবরেলিন এবং কৃত্রিম সাইটোকাইনিন ব্যবহারে বীজবিহীন ফল সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে | তা ছাড়া এইসব কৃত্রিম হরমোন প্রয়োগে ফল বড়ো হয় এবং ফলের মিষ্টত্ব বৃদ্ধি পায়।


14. ইস্ট্রোজেন-এর উৎস ও কাজ উল্লেখ করো।

> ইস্ট্রোজেন-এর উৎস:
ডিম্বাশয়ের গ্রাফিয়ান ফলিকূল ইস্ট্রোজেন হরমোন সংশ্লেষ ও নিঃসরণ করে।

>> ইস্ট্রোজেন-এর কাজ
ফ্রীদেহে ইস্ট্রোজেন নিম্নলিখিত ভূমিকাগুলি পালন করে।
© ডিম্বাশয়ের গঠন ও ডিম্বাণু নিঃসরণ: ইস্ট্রোজেন ডিম্বাশয়ের গ্রাফিয়ান ফলিকূল-এর পরিণতিতে ও ডিম্বাণু নিঃসরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

® গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যের বিকাশ: এই হরমোন বিভিন্ন গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন—স্তন গঠন, বাহুমূল (axilla), শ্রোগিদেশ (pubis) প্রভৃতি স্থানে যৌন কেপোদ্‌গম ও যৌন কেশের স্ত্রী- সুলভ বিন্যাস নিয়ন্ত্রণ করে ইস্ট্রোজেন। এ ছাড়া, স্ত্রী-সুলভ সরু কন্ঠস্বর, মসৃণ ও স্বল্পলোমবিশিষ্ট ত্বক প্রভৃতি অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলিও ইস্ট্রোজেন নিয়ন্ত্রণ করে।

আনুষঙ্গিক যৌনাঙ্গের বৃদ্ধি ও পরিস্ফুরণ: নারীদেহে আনুষঙ্গিক যৌনাঙ্গ অর্থাৎ জরায়ু, ফ্যালোপিয়ান নালী, যোনি প্রভৃতির বৃদ্ধি ও পূর্ণতাপ্রাপ্তি নিয়ন্ত্রণ করে এবং প্রোণিচক্র প্রসারিত করে।

মাসিক রজঃচক্র নিয়ন্ত্রণ: এই হরমোন মাসিক রজঃচক্রের আবর্তন নিয়মিত করে।

অস্থি গঠন: ইস্ট্রোজেন মহিলাদের হাড় গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই রজঃনিবৃত্তির (menopause) পর ইস্ট্রোজেন নিঃসরণ কমে গেলে অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে ( osteoporosis) |

বিপাক ক্রিয়া: এই হরমোন নারীদেহে প্রোটিন ও চর্বি সংশ্লেষ বাড়ায় এবং কাঁধ, নিতম্ব, ঊরু ইত্যাদি অঙ্গে চর্বির স্ত্রী-সুলভ সঞ্চয় ঘটায় | ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বা লাবণ্য বৃদ্ধি পায়।


15. প্রোজেস্টেরন-এর উৎস ও কাজ উল্লেখ করো।
প্রোজেস্টেরনের উৎস : ডিম্বাশয়ের পীতগ্রন্থি বা করপাস লিউটিয়াম থেকে প্রোজেস্টেরন হরমোন সংশ্লেষ ও নিঃসরণ হয়।

>> প্রোজেস্টেরনের কাজ 
স্ত্রীদেহে প্রোজেস্টেরনের প্রধান কাজগুলি নীচে আলোচিত হল।
O জরায়ুর বৃদ্ধিতে: গর্ভাবস্থায় জরায়ুর বৃদ্ধিতে প্রোজেস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন যৌথভাবে সাহায্য করে।

© ডিম্বাণু রোপণ ও গর্ভসঞ্চার: নিষিক্ত ডিম্বাণুকে জরায়ুগাত্রে রোপণে ও গর্ভসঞ্চারে প্রোজেস্টেরনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
3 অমরা গঠন: জরায়ুগাত্রে ডিম্বাণুর রোপণের পর প্রোজেস্টেরনের
প্রভাবে অমরা গঠিত হয় ও তার বৃদ্ধি ঘটে।

4 গর্ভাবস্থায়: স্ত্রীদেহে গর্ভাবস্থা বজায় রাখতে, ভ্রূণের বৃদ্ধি ও পুষ্টিতে প্রোজেস্টেরন প্রধান ভূমিকা পালন করে।

© স্তনগ্রন্থির বৃদ্ধি: প্রোজেস্টেরন এবং ইস্ট্রোজেন মিলিতভাবে
গর্ভাবস্থায় স্তনগ্রন্থির বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে। প্রোজেস্টেরন
স্তনগ্রন্থিতে নালিকা সৃষ্টি ও বিকাশে সাহায্য করে । সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে দুগ্ধ নিঃসরণেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
© ডিম্বাশয়ের ওপর প্রভাব: এই হরমোন গর্ভাবস্থায় অমরা বা প্ল্যাসেন্টা থেকে বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়ে FSH বা LH নিঃসরণ কমায়, ফলে গর্ভাবস্থায় ডিম্বাণু উৎপাদন এবং রজঃচক্র বন্ধ থাকে।


16. টেস্টোস্টেরন-এর উৎস এবং কাজ উল্লেখ করো।
টেস্টোস্টেরন-এর উৎস
টেস্টোস্টেরন প্রধানত পুরুষদেহে বয়ঃসন্ধিকাল ও পরবর্তী সময়ে শুক্রাশয়ে অবস্থিত লেডিগের আন্তরকোশ থেকে ক্ষরিত হয়। এ ছাড়া অ্যাড্রেনাল গ্রন্থির কর্টেক্স অঞ্চল থেকেও এই হরমোনটি নিঃসৃত হয়।
» টেস্টোস্টেরন-এর কাজ
পুরুষদেহে টেস্টোস্টেরনের কাজগুলি নিম্নরূপ।
↑ শুক্রাণু উৎপাদন: এটি বয়ঃসন্ধিকালে ও তার পরবর্তী সময়ে
শুক্রাশয়ের সেমিনিফেরাস নালিকাতে (শুক্রোৎপাদী নালিকা) শুক্রাণু উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে।

আনুষঙ্গিক যৌন গ্রন্থি ও অঙ্গের বিকাশ: এই হরমোন পুরুষদেহে
বিভিন্ন আনুষঙ্গিক যৌন গ্রন্থি ও অঙ্গের বৃদ্ধি ও বিকাশ নিয়ন্ত্রণ করে।
গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য: পুরুষদের বিভিন্ন গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য, যেমন—
গোঁফ-দাড়ি গজানো, বাহুমূল (axilla), শ্রোণি (pubis) প্রভৃতি অঞ্চলে কেশোগম এবং যৌন কেশের পুরুষ-সুলভ বিন্যাস নিয়ন্ত্রণ করে। ভারী পুরুষালি কন্ঠস্বর সৃষ্টিতেও এই হরমোনের ভূমিকা আছে।

পেশি ও অস্থির বৃদ্ধি: টেস্টোস্টেরন হরমোনের প্রভাবে বয়ঃসন্ধিকাল ও তার পরে পুরুষদেহে অস্থি, পেশি ও অন্যান্য কলাকোশে প্রোটিন সংশ্লেষ ত্বরান্বিত করে। এ ছাড়া এই হরমোনের প্রভাবে পুরুষদের দেহে অস্থি এবং অস্থিপেশি সুগঠিত হয়।

বিপাক ক্রিয়া: টেস্টোস্টেরন পুরুষদেহে মৌল বিপাক হার বাড়ায় |


17. ক্যাটার‍্যাক্ট কি ?
বয়সজনিত কারণে লেন্সের ওপর প্রোটিন জমা হয়ে দৃষ্টি ঘোলাটে হয়ে গেলে সেই অবস্থাকে ছানি বা ক্যাটারাক্ট বলা হয়। প্রধানত লেন্সের পুষ্টির অভাব হলে লেন্সের স্বচ্ছতা হ্রাস পায় ও লেন্স ঘোলাটে হয়ে যায়। শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে লেন্স প্রতিস্থাপন করলে সমস্যার সমাধান করা যায়।


4. মায়োপিয়া বা নিকটবদ্ধ দৃষ্টি সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখো।
প্রেসবায়োপিয়া সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা দাও।
 
: মায়োপিয়া বা নিকটবদ্ধ দৃষ্টি :
চোখের যে ত্রুটিতে কাছের দৃষ্টি ঠিক থাকে অথচ দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, তাকে মায়োপিয়া বলে |

বৈশিষ্ট্য: এক্ষেত্রে অক্ষিগোলকের আকৃতি স্বাভাবিকের তুলনায় বড়ো হওয়ায় বস্তু থেকে আগত আলোকরশ্মি রেটিনার সামনে প্রতিবিম্ব গঠন করে। ফলে কাছের বস্তু স্পষ্ট, কিন্তু দূরের বস্তু অস্পষ্ট হয়ে যায়।

প্রতিকার: অবতল লেন্সের মাইনাস (-) পাওয়ারযুক্ত চশমার ব্যবহার প্রতিবিম্বকে রেটিনায় সঠিকভাবে ফোকাস করে এবং এই ত্রুটি দূর করতে সাহায্য করে।


প্রেসবায়োপিয়া ঃ
40 বছরের কাছাকাছি বয়সে পৌঁছালে, বহু মানুষের চোখের লেন্সের সংকোচন-প্রসারণশীলতা কমে যায় এবং ফলস্বরূপ চোখের উপযোজন ক্ষমতা হ্রাস পায় | এই ত্রুটিকে প্রেসবায়োপিয়া বলে । 

বৈশিষ্ট্য: এইজাতীয় ত্রুটিতে কাছের বস্তুকে দেখতে বিশেষ করে বই পড়তে অসুবিধা হয় |

প্রতিকার: বাইফোকাল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহারের দ্বারা এই ত্রুটি দূর করা যায়।




মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর : দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৫ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 5 marks pdf / ক্লাস 10 জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান 5 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Life Science 1st chapter 5 marks question answer pdf / Class ten Life Science 1st chapter 5 marks question answer / জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় LAQ রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় থেকে রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Life Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য -  জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান এর  প্রথম অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science 5 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রথম অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রথম অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science short Question and Answer 

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik Life Science 1st chapter short questions answers pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

Adddddd

  Download  Click Here to Download 

Adddddddd

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik Life Science Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় 5 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Life Science first chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url