বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Class 10 Life Science third chapter 2 marks question answer

বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।


আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ । দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় ২ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ (তৃতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik Life Science chapter 2 number question answer, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।

madhyamik-life-science-third-chapter-2-marks-question-answer-pdf



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান ২ নম্বর অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর তৃতীয় অধ্যায় pdf download, class 10 Life Science third chapter 2 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE        


      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik Life Science Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X Life Science Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 2024



দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর


1. বংশগতি কাকে বলে?

উত্তর: যে পদ্ধতিতে জননের মাধ্যমে এক প্রজন্ম থেকে পরবর্তী প্রজন্মে জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্টের সঞ্চারণ হয়, তাকে বংশগতি বলে। যেমন—পুরুষ মানুষের কানের চুল বৈশিষ্ট্যটি পরবর্তী প্রজন্মে পুত্রদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়।



2.প্রকরণ কাকে বলে?

উত্তর: যৌন জনন ও পরিব্যক্তির কারণে একই প্রজাতিভুক্ত বিভিন্ন জীবে যে বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য

দেখা যায়, তাকে প্রকরণ বলে। যেমন—মানুষের যুক্ত ও মুক্ত কানের লতি বা জিহ্বা রোল করার ক্ষমতা ও অক্ষমতা।


পরিব্যক্তির দুটি কারণ লেখো।

উত্তর: পরিব্যক্তির দুটি কারণ হল—

[1] ক্রোমোজোমের সংখ্যার ও গঠনের পরিবর্তন,

[21 জিনের গঠন বা সজ্জার পরিবর্তন।



3. ইমাসকুলেশন কী? এর উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: ইমাসকুলেশন: উভলিঙ্গ ফুলের পুংকেশর পরিণত হওয়ার আগে অপসারণ করে দেওয়াকে ইমাসকুলেশন বলে।

উদ্দেশ্য; এর উদ্দেশ্য হল স্বপরাগযোগ হতে না দেওয়া।


***

4. অ্যালিল কাকে বলে ?

উত্তর: সমসংস্থ ক্রোমোজোমের নির্দিষ্ট লোকাসে অবস্থিত নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী একটি জিনের

বিভিন্ন রূপভেদকে অ্যালিল বা আলিলোম বলে। যেমন—লম্বা-বেঁটে, সাদা-কালো বৈশিষ্ট্য নির্ধারক

জিন জোড়ের একটি অপরটির অ্যালিল। সমধর্মী (হোমোজাইপাস) বিষমধর্মী (ডেটেরোজ

 অ্যালিन


5. সংকরায়ণ কাকে বলে?

উত্তর: কোনো চরিত্রের সাপেক্ষে বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত, একই প্রজাতিভুক্ত বিপরীত লিঙ্গের  দুটি জীবের মধ্যে যৌন জননকে সংকরায়ণ বলে।


6. প্রকট ও প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলতে কী বোঝ?

উত্তর: একটি চরিত্রের সাপেক্ষে দুটি বিশুদ্ধ বিপরীত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন, একই প্রজাতিভুক্ত দুটি বিপরীত

লিঙ্গের জীবের সংকরায়ণে F1 জনুর অপত্যে জনিতুর যে বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশ পায়, তাকে প্রকট বৈশিষ্ট্য ও যেটি সুপ্ত থাকে ও পরে F2 জনুতে পুনরায় প্রকাশিত হয়, সেটিকে প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য বলে। যেমন—বিশুদ্ধ লম্বা (TT) ও বিশুদ্ধ বেঁটে (tt) মটরগাছের মধ্যে সংকরায়ণ ঘটালে F1 জনুতে শুধুমাত্র লম্বা (T) বৈশিষ্ট্যটি প্রকাশিত হয়, বেঁটে (t) বৈশিষ্ট্যটি F, জনুতে পুনরায় প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ, মটরগাছের কাণ্ডের দৈর্ঘ্যের লম্বা (T) বৈশিষ্ট্যটি প্রকট ও বেঁটে (t) বৈশিষ্ট্যটি প্রচ্ছন্ন ৷



7. বিশুদ্ধ ও সংকর জীব কাকে বলে?

উত্তর: কোনো জীব যদি বংশানুক্রমে একই বৈশিষ্ট্যের জীব উৎপন্ন করে, তবে তাকে বিশুদ্ধ জীব বলে। এরা সমসংকর হয়ে থাকে। যেমন- বিশুদ্ধ লম্বা (TT) বা বিশুদ্ধ বেঁটে (tt) মটরগাছ। একই প্রজাতিভুক্ত বিপরীত বৈশিষ্ট্যের বিশুদ্ধ জীবের সংকরায়ণে F, জনুতে যে জীব সৃষ্টি হয়, ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপের পার্থক্য লেখো।



8. পৃথকীভবনের সূত্রটি লেখো।

উত্তর: কোনো জীবের একটি চরিত্রের একজোড়া বৈশিষ্ট্যের উপাদান (ফ্যাক্টর) দুটি প্রথম অপত্য জনুতে একত্রিত হলেও দুটি বৈশিষ্ট্য মিলে যায় না এবং গ্যামেট গঠনের সময় সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যায়।



9. স্বাধীন বিন্যাসের সূত্রটি লেখো।

উত্তর: দুই বা ততোধিক বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্য জনিতৃ জনু থেকে অপত্য জনুতে সঞ্চারিত হওয়ার

সময় পরস্পর মিশ্রিত হয় না এবং অপত্যের জননকোশ সৃষ্টির সময় না শুধু পৃথক হয় বরং সম্ভাব্য

সকল প্রকার সমন্বয়ে স্বাধীনভাবে জননকোশে সঞ্চারিতও হয়।



10. থ্যালাসেমিয়া কী? এটি কয় প্রকার ও কী কী?

উত্তর: থ্যালাসেমিয়া: অটোজোম বাহিত যে প্রচ্ছন্ন বংশগত রোগে হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন-পেপটাইড

(a এবং B শৃঙ্খল)- এর গঠনগত ত্রুটি দেখা যায়, তাকে থ্যালাসেমিয়া বলে।


থ্যালাসেমিয়ার প্রকারভেদ: থ্যালাসেমিয়া মূলত দুই প্রকার, যথা—[1] আলফা (a) থ্যালাসেমিয়া

[2] বিটা (B) থ্যালাসেমিয়া। এই দুই প্রকার থ্যালাসেমিয়া প্রত্যেকে আবার মেজর ও মাইনর— দুইভাগে বিভক্ত।



11. থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণগুলি কী কী?

উত্তর: থ্যালাসেমিয়া রোগের লক্ষণগুলি হল—

[1] হিমোগ্লোবিন উৎপাদন কম হওয়ায় কলাকোশে

02-এর ঘাটতি দেখা দেয়। [2] RBC ছোটো হয় ও অপরিণত অবস্থায় নষ্ট হয়ে যায়, ফলে হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া দেখা দেয়। [3] বারবার রক্ত সঞ্চারণের জন্য যকৃৎ, হৃৎপিণ্ড ও প্লিহাতে

লোহা সঞ্চিত হয়ে হেপাটোমেগালি, স্পিনোমেগালি হয়। [4] জন্ডিস, ক্লান্তি, হাড়ের গঠনের বিকৃতি প্রভৃতি দেখা যায় ৷ 



12.মহিলাদের থেকে পুরুষরা কেন বেশি বর্ণান্ধ বা হিমোফিলিক হয়? অথবা, পুরুষদের থেকে মহিলাদের হিমোফিলিয়া বা বর্ণান্ধতা কম হয় কেন?

উত্তর: X ক্রোমোজোমের প্রচ্ছন্ন জিনের জন্য  বর্ণান্ধতা বা হিমোফিলিয়া রোগগুলি হয়। পুরুষদের একটি X ক্রোমোজোম থাকায় প্রচ্ছন্ন হলেও একটি জিনের প্রভাবে রোগগুলি হয়। অপর দিকে মহিলাদের দুটি X ক্রোমোজোম থাকায়, রোগগুলি প্রকাশিত হওয়ার জন্যে দুটি X ক্রোমোজোমেই প্রচ্ছন্ন জিনটি থাকতে হবে। এই কারণে মহিলাদের থেকে পুরুষরা বেশি বর্ণান্ধ বা হিমোফিলিক হয়।



25. ক্রিস-ব্রুস বংশগতি কাকে বলে?

উত্তর: পিতা (P জনু)-র X ক্রোমোজোম কন্যা (F1 জনু)-র মাধ্যমে নাতি (F2 জনু)-তে এবং মাতা (P

জনু)-র X ক্রোমোজোম পুত্র (F1 জনু)-এর মাধ্যমে নাতনি (F, জনু)-তে সঞ্চারিত হওয়াকে ক্রিস-ক্রস উত্তরাধিকার বলে।



জিনগত পরামর্শ বা জেনেটিক কাউন্সেলিং কাকে বলে?

কোনো ব্যক্তির পরিবারের জিনগত রোগের ইতিহাস বিশ্লেষণ করে এবং জেনেটিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার

দ্বারা ভবিষ্যতের শিশুর জিনগত রোগের সম্ভাবনা নির্ধারণ করে, রোগবিহীন সুস্থ সন্তান লাভে সাহায্য করার পদ্ধতিকে জেনেটিক কাউন্সেলিং বলে।



মিউল্যাটো (Mulatto) কী?

বিশুদ্ধ শ্বেতকায় এবং বিশুদ্ধ অশ্বেতকায় স্ত্রী ও পুরুষের মধ্যে যৌন জননের ফলে সৃষ্ট সাদা ও কালোর মাঝামাঝি বর্ণের সন্তানদের বলে মিউল্যাটো।



দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের তৃতীয় অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান ধারণা 2 নং প্রশ্ন উত্তর



মনোহাইব্রিড ক্রস বা একসংকর জনন কাকে বলে?
কোনো প্রজাতির একটি চরিত্রের অন্তর্গত একজোড়া বিপরীতধর্মী
বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে জনন সম্পাদিত হলে, তাকে মনোহাইব্রিড ক্রস বা একসংকর জনন বলে। যেমন—মটর গাছের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ লম্বা ও বিশুদ্ধ বেঁটে এই দুই বিপরীতধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে যে সংকরায়ণ হয়, তা হল একটি মনোহাইব্রিড ক্রস বা একসংকর জনন।


ডাইহাইব্রিড ক্রস বা দ্বিসংকর জনন কাকে বলে?
কোনো প্রজাতির দুই জোড়া বিপরীতধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি জীবের মধ্যে জনন সম্পাদিত হলে, তাকে ডাইহাইব্রিড ক্রস বা দ্বিসংকর জনন বলে । যেমন—হলদে বীজপত্র এবং গোলাকার বীজসম্পন্ন মটর গাছের সঙ্গে সবুজ বীজপত্র এবং কুঞ্চিত বীজসম্পন্ন মটর গাছের সংকরায়ণ হল ডাইহাইব্রিড ক্রস বা দ্বিসংকর জননের উদাহরণ।



3. হোমোজাইগাস জীব কাকে বলে?
» কোনো জীবের দুটি সমসংস্থ ক্রোমোজোমে একটি নির্দিষ্ট চরিত্রের জন্য দায়ী অ্যালিল দুটি একইরকম হলে, ওই নির্দিষ্ট চরিত্রের সাপেক্ষে সেই জীবকে হোমোজাইগাস জীব বা সমসংকর জীব বলে। যেমন—বিশুদ্ধ লম্বা (TT) বা বিশুদ্ধ বেঁটে (tt) বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী অ্যালিল দুটি একই প্রকৃতির। তাই বিশুদ্ধ লম্বা বা বিশুদ্ধ বেঁটে বৈশিষ্ট্যযুক্ত জীব হল হোমোজাইগাস |


14. হেটেরোজাইগাস জীব কাকে বলে?
» কোনো জীবের দুটি সমসংস্থ ক্রোমোজোমে অবস্থিত একটি নির্দিষ্ট চরিত্রের অ্যালিল দুটি ভিন্ন প্রকৃতির হলে, ওই নির্দিষ্ট চরিত্রের সাপেক্ষে সেই জীবকে হেটেরোজাইগাস জীব বা বিষমসংকর জীব বলে। যেমন—সংকর লম্বা (Tt) মটর উদ্ভিদ হেটেরোজাইগাস প্রকৃতির। কারণ, এক্ষেত্রে একই লোকাসে দুটি ভিন্ন অ্যালিল থাকে।

15. সংকরায়ণ কাকে বলে?
» কোনো চরিত্রের সাপেক্ষে বিপরীত বৈশিষ্ট্যযুক্ত একই প্রজাতির দুটি জীবের মধ্যে যৌন জননকে সংকরায়ণ বলে। যেমন—বিশুদ্ধ লম্বা ও বিশুদ্ধ বেঁটে মটর গাছের মিলন ঘটিয়ে সংকর লম্বা মটর গাছ সৃষ্টি করার পদ্ধতি।


22, ফিনোটাইপ কী? উদাহরণ দাও।
ফিনোটাইপ: কোনো জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বাহ্যিক প্রকাশকে
ফিনোটাইপ বলে।
» উদাহরণ : মটর গাছের দৈর্ঘ্য চরিত্রটির বাহ্যিক প্রকাশ বা ফিনোটাইপ হল লম্বা ও বেঁটে।


23. জিনোটাইপ কী? উদাহরণ দাও।
>> জিনোটাইপ : কোনো জীবের একটি চরিত্রের জিনগত গঠনকে অ্যালিল সমন্বয় দ্বারা প্রকাশ করলে, তাকে জিনোটাইপ বলে|
» উদাহরণ : মটর গাছের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ লম্বা মটর গাছের জিনগত গঠন বা জিনোটাইপ হল TT এবং বিশুদ্ধ খর্ব মটর গাছের জিনোটাইপ হল tt |


24 ফিনোটাইপ ও জিনোটাইপের সম্বন্ধ কী?
» জীবের জিন নিয়ন্ত্রিত কোনো চরিত্রের বাহ্যিক প্রকাশিত বৈশিষ্ট্য হল ফিনোটাইপ | জিনের অ্যালিলের দ্বারা এই বাহ্যিক প্রকাশ নিয়ন্ত্রিত হয়। যে অ্যালিল সমন্বয় এই ফিনোটাইপ বা বাহ্যিক প্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে জিনোটাইপ বলে।


রেসিপ্রোকাল ক্রস কাকে বলে?
মেন্ডেল তাঁর পরীক্ষায় দুটি মটর গাছের ইতর পরাগযোগের সময় একটি মটর গাছের ফুলের (ধরা যাক, সাদা) পুংকেশর অপসারণ করে অন্য মটর গাছের ফুলের (বেগুনি) পুংকেশর তাতে স্থাপন করেন। একইভাবে দ্বিতীয় মটর গাছটির (বেগুনি ফুল) পুংকেশর অপসারণ করে প্রথম মটর গাছটির (সাদা ফুল) পুংকেশর তাতে স্থাপন করেন। এই পারস্পরিক ইতর  পরাগযোগকে রেসিপ্রোকাল ব্রুস বলে।


10. চেকার বোর্ড বলতে কী বোঝ ?
» যে-কোনো ধরনের ব্রুস লিখে প্রকাশ করার সবচেয়ে প্রচলিত,
সুবিধাজনক, বিজ্ঞানসম্মত ও নিয়মনিষ্ঠ পদ্ধতিকে চেকার বোর্ড বলা হয়। বিজ্ঞানী রেজিনাল্ড ক্রামডাল পানেট এই পদ্ধতিটি প্রবর্তন করেন বলে একে পানেট বর্গ-ও বলা হয়। এক্ষেত্রে, একটি বক্সের মাধ্যমে সমস্ত ধরনের গ্যামেটের সকল প্রকার সমন্বয় প্রকাশ করা যায়।


11.ব্যাক ক্রস (back cross) কী ?
প্রথম অপত্য জনুর (F, জনু) সংকর জীবের সঙ্গে যে-কোনো জনিতৃ জীবের (P জনু) সংকরায়ণ ঘটানোর পরীক্ষাকে ব্যাক ক্রস বলে। যেমন- সংকর লম্বা মটর উদ্ভিদের সঙ্গে বিশুদ্ধ লম্বা বা বিশুদ্ধ বেঁটে মটর উদ্ভিদের  সংকরায়ণ (Tt × TT বা Tt ×tt) |


12. টেস্ট ক্রস (test cross) কী?
» প্রথম অপত্য জনুর (F1 জনু) সংকর জীবের সঙ্গে বিশুদ্ধ প্রচ্ছন্ন জিনোটাইপযুক্ত জনিতৃ জীবের (P জনু) সংকরায়ণ ঘটানোর পরীক্ষাকে টেস্ট ক্রস বলে। কোনো বিশেষ অপত্য জীবের জিনোটাইপ নির্ণয় করার উদ্দেশ্যে এই টেস্ট ক্রস করা হয়ে থাকে। যেমন—মেন্ডেলের একসংকর জনন পরীক্ষায় F↑ –এ প্রাপ্ত সংকর লম্বা মটর উদ্ভিদের সঙ্গে বিশুদ্ধ বেঁটে মটর উদ্ভিদের সংকরায়ণ (Ttxtt) |


1. মানুষের সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত এবং অটোজোম বাহিত দুটি করে রোগের নাম লেখো।
মানুষের সেক্স ক্রোমোজোম বাহিত দুটি বংশগত রোগ হল-
↑ হিমোফিলিয়া এবং বর্ণান্ধতা।
º মানুষের অটোজোম বাহিত দুটি বংশগত রোগ হল – থ্যালাসেমিয়া এবং ® অ্যালবিনিজম |


থ্যালাসেমিয়া বলতে কী বোঝ?
থ্যালাসেমিয়া হল অটোজোম বাহিত. এক ধরনের বংশগত রোগ, যা হিমোগ্লোবিনের গ্লোবিন-পেপটাইড শৃঙ্খলের অস্বাভাবিক গঠনের ফলে সৃষ্টি হয়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হিমোগ্লোবিন গঠিত হয় না বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ হ্রাস পায়, লোহিত রক্তকণিকা ক্ষুদ্র হয় এবং এর আয়ু কম (RBC-র গড় আয়ু 120 দিন)—ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা দেয়।


থ্যালাসেমিয়া মেজর বলতে কী বোঝ?
» হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির কারণে হিমোগ্লোবিনের a. এবং B শৃঙ্খল দুটির প্রত্যেকটিই মিউটেশনের জন্য সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে থ্যালাসেমিয়া মেজর বলে |


4. থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলতে কী বোঝ?
» হিমোগ্লোবিনোপ্যাথির কারণে হিমোগ্লোবিনের a বা B শৃঙ্খল দুটির মধ্যে যে-কোনো একটি শৃঙ্খল মিউটেশনের জন্য সম্পূর্ণরূপে গঠিত না হলে যে রোগ সৃষ্টি হয়, তাকে থ্যালাসেমিয়া মাইনর বলে |


থ্যালাসেমিয়া রোগে মানবদেহে কোন্ তিনটি অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
থ্যালাসেমিয়া রোগে যকৃৎ, প্লিহা ও হৃৎপিণ্ড মূলত লোহার অতিরিক্ত সঞ্চয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


থ্যালাসেমিয়া রোগীকে বারবার রক্ত দিতে হয় কেন?
» নানা কারণে থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্ত দিতে হয়— হিমোগ্লোবিন কম থাকায় তাদের অ্যানিমিয়া ঘটে, রক্তদানের ফলে দেহে অক্সিজেন পরিবহণ সহজে সম্ভব হয়। দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য রক্ত জরুরি | রক্ত সঞ্চারণ সেই কাজে সাহায্য করতে থাকে।


7. থ্যালাসেমিয়া রোগে হেপাটোমেগালি ও স্প্লিনোমেগালি ঘটে কেন?
» বারবার রক্ত সঞ্চারনের ফলে থ্যালাসেমিয়া রোগে যকৃতে ও প্লিহাতে আয়রন অতিরিক্ত মাত্রায় সঞ্চিত হয় ও তাদের আকার বৃদ্ধি পায় ও যথাক্রমে হেপাটোমেগালি ও স্প্লিনোমেগালি অবস্থার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও রক্তসঞ্চারণের সময় হেপাটাইটিস সংক্রমণ এবং ওই অঙ্গ দুটিতে RBC উৎপাদনের কারণে তাদের আকারের বৃদ্ধি ঘটে থাকে। 


হিমোফিলিয়া রোগ বলতে কী বোঝ?
মানুষের X ক্রোমোজোম বাহিত প্রচ্ছন্ন জিন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত যে বংশগত রোগের ফলে ক্ষতস্থানে রক্ত তঞ্চিত হয় না, তাকে হিমোফিলিয়া বলা হয়।

সাধারণত রক্তে তঞ্চন ফ্যাক্টর VIII বা IX-এর অভাবে এই ধরনের রোগ সৃষ্টি হয়।



মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ২ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 2 marks pdf / ক্লাস 10 বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 জীবন বিজ্ঞান 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X Life Science 3rd chapter 2 marks question answer pdf / Class ten Life Science 3rd chapter 2 marks question answer / বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ থেকে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik Life Science Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য -  বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান এর  তৃতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science 2 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ তৃতীয় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ তৃতীয় অধ্যায় সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik Life Science short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik Life Science 3rd chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

Adddddd

  Download  Click Here to Download 

Adddddddd

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik Life Science Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান তৃতীয় অধ্যায় বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ 2 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik Life Science third chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url