মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history second chapter 8 marks question answer | Class 10 history second chapter 8 marks question answer

 

আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা । দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik history chapter 8 number question answer যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ৮ নম্বর অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় pdf download, class 10 history second chapter 8 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE      


      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 2024 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024


দশম শ্রেণির ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর




1. স্বামী বিবেকানন্দ সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ কীভাবে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন?

ভূমিকা: উনিশ শতকে আবির্ভূত ধর্ম সমাজসংস্কারকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ | শ্রীরামকৃষ্ণের অতি প্রিয় এই শিষ্যেরমাধ্যমেই তাঁর বাণী সারা বিশ্বে প্রচারিত হয়েছে।


[i] বিবেকানন্দের ধর্মচিন্তার ওপর প্রভাব : নরেন্দ্রনাথ দত্ত বা বিবেকানন্দের ব্যক্তিগত জীবনে দারিদ্র্য ও দুঃখদুর্দশা, শ্রীরামকৃঘ্নের উপদেশ, পদব্রজে ভারত পরিক্রমা ও স্বচক্ষে ভারতমাতার করুণ চিত্র দর্শন প্রভৃতি বিষয়গুলি তাঁর ধর্মচিন্তায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল।


[ii] বিবেকানন্দের লক্ষ্য: ধর্মে  অন্তর্নিহিত ত মানবিকতা এবং সেবার আদর্শকে সামনে রেখে মানুষকে প্রথাগত ধর্মীয় বন্ধনের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করাই ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য।


[iii] আশ্রম স্থাপন : শ্রীরামকৃম্নের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ, গুরুর দেহাবসানের পর তাঁর বাণী ও আদর্শ প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মিশন। জীবসেবা ও ধর্মসমন্বয়ের প্রতীক হিসেবে শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবধারা ও বিবেকানন্দের আদর্শের অনুসারী রামকৃষ্ণ মিশন ক্রমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে।


[iv] সমন্বয়ী ভাবনা : বিবেকানন্দ ধর্মচিন্তাকে নিছক ঈশ্বর উপাসনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি | রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি তাঁর কাছে একাকার হয়ে গেছিল। ভারতের পরাধীনতা, সাধারণ ভারতবাসীর অশিক্ষা ও দারিদ্র্য তাঁকে ব্যথিত করে তুলেছিল। সন্ন্যাসীর বেশে সারা ভারত ভ্রমণকারী বিবেকানন্দ বুঝতে পারেন যে, বিচ্ছিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে এই জাতীয় সমাধান সম্ভব নয়। তিনি বেদান্তের নতুন ব্যাখ্যা দেন এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের সাহায্যে ভারতবাসীকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন। আত্মবিশ্বাসকে তিনি মুক্তির প্রথম ও প্রধান সোপান হিসেবে বর্ণনা করেন।


[v] শিকাগো ধর্মসম্মেলন: বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগো শহরে আহূত বিশ্বধর্ম সম্মেলনে (১১-২৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৩ খ্রি.) বেদান্তের মহিমা ও বিশ্বজনীনতার আদর্শ প্রচার করে ভারতের সনাতন হিন্দুধর্মকে জগৎসভায় পরিচিত করান। হিন্দুধর্মের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সেবার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বহু বিদেশি তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।


[vi] সমাজবাদ: বিবেকানন্দ ইউরোপ থেকে ফিরে তৎকালীন সমাজে প্রচলিত নানান বিভেদমূলক কার্যাবলি ও কুপ্রথা প্রভৃতিই যে ছিল ভারতবাসীর পরাধীনতার মূল কারণ, তাও তিনি দেশবাসীকে বোঝান । মানবজীবনের প্রতিটি দিক সম্পর্কেই তিনি দেশবাসীকে সচেতন করে তুলতে উদ্যত হন। ব্রাহ্মণ শ্রেণির ধর্মীয় একাধিপত্য, অস্পৃশ্যতা প্রভৃতি সামাজিক অভ্যাসের প্রতিবন্ধকতামূলক রূপের সমালোচনা করে করে বিবেকানন্দ, ভারতবাসীকে আত্মবলে বলিয়ান হতে উদ্বুদ্ধ করেন।


[vii] জাতীয়তাবাদ: ভারতীয় জাতীয়তাবাদ লালিত হয়েছে বিবেকানন্দের আদর্শে। বর্তমান ভারত গ্রন্থে তিনি বলেন, “হে ভারত—ভুলিও না তুমি জন্ম হইতেই মায়ের জন্য বলিপ্রদত্ত।” তাঁর তেজোদীপ্ত বাণী ভারতীয় বিপ্লবীদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে।


[viii] জীবসেবা: বাস্তববাদী বিবেকানন্দ মোক্ষলাভের জন্য কখনও সংসার ত্যাগ করার কথা বলেননি। ঈশ্বরকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন দীন-দুঃখী মানুষের মধ্যে। গুরুর শিক্ষানুযায়ী জীবসেবাকেই তিনি ঈশ্বরসেবার প্রথম ও প্রধান সোপান বলে গ্রহণ করেছেন। “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”—এই আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মিশন (১৮৯৭ খ্রি.)।

উপসংহার: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, পরিব্রাজক প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে জানা যায় বিবেকানন্দ দেশ ও জাতির কল্যাণে ধর্মের ইতিবাচক দিকটিকে দরিদ্র নারায়ণের সেবার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। স্বামীজি ছিলেন প্রকৃত অর্থে যুগনায়ক। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের ভাষায়, “বিবেকানন্দ আমাদের যন্ত্রণার মধ্যে আশ্রয় দিয়েছেন, দুঃখের মধ্যে দিয়েছেন আশা, হতাশার মধ্যে সাহস।"



দশম শ্রেণির ইতিহাস pdf

2. বাংলার তথাকথিত নবজাগরণের চরিত্রগুলি সম্পর্কে লেখো।

অথবা, বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি আলোচনা করো।


ভূমিকা: রেনেসাঁস একটি ফরাসি শব্দ, যার অর্থ হল নবজাগরণ। ইউরোপের ইতিহাসে পনেরো ও ষোলো শতককে নবজাগরণের যুগ বললেও বাংলায় উনিশ শতককে নবজাগরণের যুগ বলা হয়।

[i] বাংলার নবজাগরণের সংজ্ঞা : এই দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ফলে উনিশ শতকের বাংলার ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতি প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়। এর ফলে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারতীয় সমাজে যুক্তিবাদ ও মানবতাবাদের আদর্শ প্রসারিত হয়, যা ভারতকে আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতার পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করেছিল। এককথায় এই সামাজিক পরিবর্তনকেই নবজাগরণ বলে অভিহিত করা হয়েছে, কিন্তু ইউরোপের নবজাগরণের নিরিখে এর চারিত্রিক স্বতন্ত্রতা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, যথা—


[ii] নবজাগরণ নয়: বাংলার নবজাগরণ ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক এবং শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ বাদে শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষ ছিল এর আওতার বাইরে। 


[iii] ব্রিটিশ-নির্ভর: ব্রিটিশ শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আস্থাজ্ঞাপনকারী নবজাগরণের নেতৃবৃন্দ মনে করতেন যে, ব্রিটিশ শাসনের দ্বারাই ভারতীয় সমাজের মঙ্গলসাধন সম্ভব। এই বক্তব্য আরও দৃঢ়তা পায় ঐতিহাসিক যদুনাথসরকারের মন্তব্যে, যিনি লিখেছেন“ইংরেজদের দেওয়া সবচেয়ে বড়ো উপহার হল আমাদের উনিশ শতকের নবজাগরণ।”


[iv]হিন্দু জাগরণবাদ: বাংলার নবজাগরণের অগ্রণী নেতৃবৃন্দ যথা—রাধাকান্ত দেব, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার প্রমুখের কার্যাবলিতে হিন্দু জাগরণবাদের ছায়া পাওয়া যায় এবং তাই ঐতিহাসিকদের একাংশ মনে করেন বাংলার নবজাগরণ প্রকৃতপক্ষে হিন্দু জাগরণবাদে পর্যবসিত হয়।


[v] নবজাগরণ: যদুনাথ সরকারের মতে উনিশ শতকের নবজারণ ছিল একটি যথার্থনবজাগরণ। কারণ ইটালিতে নগরগুলিকে কেন্দ্র করে নবজাগরণের চেতনা ছড়িয়ে পড়ে, অনুরূপভাবে বাংলায়ও

নবজাগরণ কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। অন্যদিকে অমলেশ ত্রিপাঠী বাংলার নবজাগরণকে ইটালির নবজাগরণের থেকে আলাদা বলে গণ্য করেছেন, কারণ ইটালিতে স্বাধীন পরিবেশে বুর্জোয়া শ্রেণির নেতৃত্বে নবজাগরণের চেতনা ছড়িয়ে পড়েছিলকিন্তু বাংলায় নবজাগরণের ক্ষেত্রে স্বাধীন পরিবেশ ও বুর্জোয়া শ্রেণি এই দুটিরই অভাব ছিল


[vi] স্রষ্টা কে বা কারা: ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে, উইলিয়াম জোনস, জেমস প্রিন্সেপ প্রমুখ ব্রিটিশ প্রাচ্যবাদীদের চেষ্টার ফলে ভারতীয়রা তাদের অতীত ঐতিহ্য নিয়ে সচেতন হয়, যা নবজাগরণের পথকে প্রশস্ত করে। কিন্তু আর- এক ঐতিহাসিক গোষ্ঠীর মতে বাংলার নবজাগরণ ঘটে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের নানা আদর্শের সমন্বয়ের ফলে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী আধুনিকীকরণের এই মিশ্রপ্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয় রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের কর্মকাণ্ডে।


[vii] তথাকথিত নবজাগরণ : অশোক মিত্র বাংলার নবজাগরণকে তথাকথিত নবজাগরণ বলে অভিহিত করেছেন। কারণ তাঁর মতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সম্পদ সংগ্রহকারী জমিদারগোষ্ঠীই মূলত

তৎকালীন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অর্থ ব্যয় করত ঐতিহাসিক বিনয় ঘোষ এই প্রসঙ্গের রেশ টেনে বলেছেন, বাংলায় নবজাগরণ হয়নি, বরং ‘অতিকথা’ মাত্র।



দশম শ্রেণির ইতিহাসের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 8 নং প্রশ্ন উত্তর



3. সমাজসংস্কারক হিসেবে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো।

অথবা, সতীদাহ প্রথার বিলোপে রামমোহনের ভূমিকা আলোচনা করো।

রামমোহনের অন্যান্য সংস্কারমূলক কাজের বিবরণ দাও।

ভূমিকা: উনিশ শতকে বাঙালির জীবনে ধর্ম, সমাজ, সাহিত্য, রাজনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে সমুদয় গুরুতর পরিবর্তন ঘটে, তাদের সবার মূলে না থাকলেও প্রায় সবগুলির সঙ্গেই রাজা রামমোহন রায়ের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।


[i] সতীদাহপ্রথা বিলোপ : সমগ্র ভারতে তো বটেই, বাংলাতেও সতীদাহপ্রথা ছিল এক সামাজিক অভিশাপ | সতীদাহপ্রথা বলতে বোঝায় স্বামীর মৃত্যুর পর তার চিতায় জীবিত স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা। কিন্তু হিন্দুধর্মে আঘাত লাগতে পারে ভেবে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তবে রামমোহন রায় এই প্রথার বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম শুরু করেন। এই ব্যাপারে

তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক এবং প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরও তাঁকে প্রবলভাবে সমর্থন জানান।


[ii] রামমোহনের তীব্র প্রতিবাদ: ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকেই রামমোহন রায় সতীদাহপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এবং জনমত গঠন করতে ব্রতী হন এই উদ্দেশ্যে তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিভিন্নপুস্তিকা এবং সম্বাদ কৌমুদী পত্রিকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। হিন্দুশাস্ত্র ও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে তিনি প্রমাণ করেন যে, সতীদাহ ধর্মবিরোধী ও অশাস্ত্রীয়। এই কুপ্রথা নিবারণের অনুরোধ জানিয়েতিনি বাংলার ৩০০ জন বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষরিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে জমা দেন। রামমোহনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহপ্রথার বিরুদ্ধে ১৭নং রেগুলেশন আইন জারি করে এই প্রথা রদ করেন।


[iii] বাংলার রক্ষণশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া : বাংলার রক্ষণশীল হিন্দুসমাজ রাধাকান্ত দেবের নেতৃত্বে এই আইনের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে একটি স্মারকলিপি পাঠায়। এর প্রত্যুত্তরে রামমোহন প্রিভি কাউন্সিলের কাছে এই স্মারকলিপির অযৌক্তিকতা প্রমাণ করেন, যার ফলে সতীদাহ নিবারণ আইন বলবৎ থাকেরামমোহন রায়ের জীবিতকালে সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মসমাজের প্রথম সার্থক ও যুগান্তকারী আন্দোলন ছিল সতীদাহপ্রথা নিবারণ আন্দোলন।


[iv] অন্যান্য সংস্কার : [i] রামমোহনের সংস্কারমুক্ত যুক্তিবাদী মন হিন্দুসমাজে প্রচলিত বাল্যবিবাহ বহুবিবাহ, কন্যাপণ, কুলীন, জাতিভেদ, অস্পৃশ্যত গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি বহু সামাজিককুপ্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এগুলি নিবারণের জন্য সংবাদপত্রের মাধ্যমে তিনি প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। [ii] শুধু নারীর জীবনরক্ষাই নয়, মর্যাদা সহকারে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাও তিনি করেন। তিনি নারী-পুরুষ সমানাধিকার, বিধবার পুনর্বিবাহ, স্ত্রীশিক্ষার বিস্তার, পিতা বা স্বামীর সম্পত্তির ওপর নারীর অধিকার স্থাপন প্রভৃতি ব্যাপারেও উদ্যোগী হন।




প্রশ্ন : উনিশ শতকে ‘বাংলার নবজাগরণ' বলতে কী বোঝ? এই নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি সম্পর্কে আলোচনা করো।

● উত্তর               উনিশ শতকে ‘বাংলার নবজাগরণ'                          
ভূমিকা: ঊনবিংশ শতকের প্রথমদিকে বাংলাদেশে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটলে বাংলা সমাজ, সংস্কৃতি, ধর্ম প্রভৃতি
সর্বক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ে। এর প্রভাবে বাঙালির ভাবজগতে এক বৌদ্ধিক আন্দোলন শুরু হয়।

[i] পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার: উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য
শিক্ষার প্রসার ঘটে। কলকাতার মধ্যবিত্ত শ্রেণি, ধনী `ব্যবসায়ী, নব্য জমিদারশ্রেণি প্রমুখ পাশ্চাত্য শিক্ষা ও  সংস্কৃতির সংস্পর্শে এলে তারা পাশ্চাত্যের আধুনিক সাহিত্য, দর্শন, যুক্তিবাদ, মানবতাবাদ, উদারবাদ প্রভৃতির দ্বারা বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন।

[ii] নবজাগরণ: উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণির উদ্যোগে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, ধর্মীয় উদারতা, সমাজসংস্কার, আধুনিক সাহিত্যের বিকাশ প্রভৃতি শুরু হয়। ফলে ঊনবিংশ শতকে বাংলার সমাজ-সংস্কৃতিতেও ব্যাপক অগ্রগতি ঘটে। এই অগ্রগতিকে কেউ কেউ উনিশ শতকে বাংলার ‘নবজাগরণ’ বলে অভিহিত করেছেন।

[iii]  নবজাগরণের প্রসার: উনিশ শতকে বাংলার বৌদ্ধিক অগ্রগতি বা নবজাগরণের প্রাণকেন্দ্র ছিল কলকাতা। কলকাতা থেকে এই অগ্রগতির ধারা পরবর্তীকালে বাংলা তথা ভারতের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। রাজা রামমোহন রায়ের সময়কে এই জাগরণের সূচনাকাল হিসেবে ধরা হয়। রামমোহন, বিদ্যাসাগর, কেশবচন্দ্র, দেবেন্দ্রনাথ প্রমুখ এই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।

বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি
ভূমিকা: পঞ্চদশ শতকে সংঘটিত ইউরোপের নবজাগরণের
ধ্রুর সঙ্গে অনেকে উনিশ শতকে সংঘটিত বাংলার নবজাগরণের
তুলনা করেছেন। এর ফলে বাংলার নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতিনিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে এই
নবজাগরণের চরিত্র বা প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা হয়। যেমন—

[i] সীমিত পরিসর: উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণের
ব্যাপ্তি বা পরিসর ছিল খুবই সীমিত। তা ছিল মূলত
শহরকেন্দ্রিক, বিশেষ করে কলকাতাকেন্দ্রিক। কলকাতার
বাইরে গ্রামবাংলায় এই নবজাগরণের প্রসার ঘটেনি এবং
গ্রামবাংলার বৃহত্তর জনগোষ্ঠী এই নবজাগরণের কোনো
সুফল পায়নি।

[ii] মধ্যবিত্ত সমাজে সীমাবদ্ধ: বাংলার জাগরণ শুধু পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত প্রগতিশীল সমাজে সীমাবদ্ধ ছিল। বিভিন্ন ঐতিহাসিক এই সমাজের লোকেদের ‘মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক' বলে অভিহিত করেছেন। এজন্য অধ্যাপক অনিল শীল এই জাগরণকে এলিটিস্ট আন্দোলন বলে অভিহিত করেছেন। বাংলার এই জাগরণের সঙ্গে গ্রামগঞ্জের হাজার হাজার দরিদ্র মেহনতি মানুষের কোনো প্রত্যক্ষ যোগ ছিল না। পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুও মনে করেন যে, ঔপনিবেশিক শাসনের জ্ঞানদীপ্তি শুধু উচ্চবর্গের হিন্দুদের ওপরই প্রতিফলিত হয়েছিল। সাধারণ জনগণের মধ্যে এর বিশেষ প্রভাব পড়েনি।

[iii] ব্রিটিশ নির্ভরতা: বাংলার এই জাগরণ অতিমাত্রায় ব্রিটিশ-
নির্ভর হয়ে পড়েছিল। ব্রিটিশ শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নবজাগরণের নেতৃবৃন্দ মনে করতেন যে, ব্রিটিশ শাসনের দ্বারাই ভারতীয় সমাজের মঙ্গল সাধিত হবে। ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকার লিখেছেন, ‘ইংরেজদের দেওয়া সবচেয়ে বড়ো উপহার হল আমাদের উনিশ শতকের নবজাগরণ। তিনি ভারতে ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠাকে এজন্য ‘গৌরবময় ভোর’ বলে অভিহিত করেছেন।

[iv]  হিন্দু জাগরণবাদ: বাংলার নবজাগরণ প্রকৃতপক্ষে ‘হিন্দু
জাগরণবাদে' পর্যবসিত হয়। রাধাকান্ত দেব, মৃত্যুঞ্জয়  বিদ্যালঙ্কার প্রমুখের কার্যকলাপে হিন্দু জাগরণবাদের ছায়া দেখতে পাওয়া যায়। রামমোহন ও বিদ্যাসাগর হিন্দুশাস্ত্রকে ভিত্তি করে সমাজ পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। তাই অনেকে মনে করেন যে, উনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণে ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদের ভূমিকা ছিল খুবই গৌণ।


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৮ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 8 marks pdf / ক্লাস 10 সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 2nd chapter 8 marks question answer pdf / Class ten history 2nd chapter 8 marks question answer / সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা LAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা থেকে সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 8 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় রচনাধর্মী প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 2nd chapter 8 number questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 8 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History second chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url