মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর pdf | Madhyamik history fourth chapter 8 marks question answer | Class 10 history fourth chapter 8 marks question answer


আসসালামু আলাইকুম ,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। মাধ্যমিক ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন ও উত্তর সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা । দশম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় ৮ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর । সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা (চতুর্থ অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর / মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর। Madhyamik history chapter 8 number question answer, মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ৮ নম্বর অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর,  গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর চতুর্থ অধ্যায় pdf download, class 10 history fourth chapter 8 number questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।


YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE    

যযhttps://youtube.com/@Ouronlineschool887

      : আরও পোস্ট দেখো :    B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।

Madhyamik History Suggestion 1088 | West Bengal WBBSE Class Ten X history Question and Answer Suggestion 1088, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 1088


দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা বড় প্রশ্ন ও উত্তর pdf | মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় বড় প্রশ্ন ও উত্তর

1. ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি নিরুপণ করো |

উত্তর : ভূমিকা: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রকৃতি নির্ণয় ভারতের ইতিহাসের ক্ষেত্রে এক অত্যন্তবিতর্কিত বিষয়। এই বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিক মহলে নানা মত প্রচলিত রয়েছে। কেউ কেউ এই বিদ্রোহকে বলেছেন নিছক সিপাহি বিদ্রোহ | কেউ আবার বলেছেন জাতীয় অভ্যুত্থান, কেউ এটিকে স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ এমনকি কেউ কেউ একে সাদা- কালোর লড়াই-ও বলেছেন | কিছু ইতিহাসবিদের মতে এটি ছিল সামন্ততন্ত্রের মৃত্যুকালীন আর্তনাদ।


[i] সিপাহি বিদ্রোহ কি না: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে ইংরেজ ও ইংরেজ অনুগত লেখকরা সিপাহি বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। তৎকালীন ভারত-সচিব আর্ল স্ট্যানলি সর্বপ্রথম ↑ সিপাহি বিদ্রোহ কথাটি ব্যবহার করেন। তাঁর মতে, সিপাহিদের দ্বারা সংঘটিত এই বিদ্রোহ কোনো রাজনৈতিক সংগঠন, শিক্ষিত সম্প্রদায় বা দেশের সাধারণ মানুষ মেনে নেয়নি | শিখ, গোরখা, রাজপুতসহ বিভিন্ন জাতির মানুষ এই বিদ্রোহের বিরোধিতা করেছিল। এ ছাড়াও এই বিদ্রোহে ভারতের সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেনি। তাই এটি মূলত সিপাহিদের দ্বারা সংগঠিত একটি আন্দোলন বলা চলে।


[ii] জাতীয় বিদ্রোহ কি না: প্রখ্যাত ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ বেঞ্জামিন ডিজরেলি ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলে অভিহিত করেছেন। এই মতের সমর্থনে বলা হয়েছে, ১৮৫৭-এর বিদ্রোহ কেবল সিপাহিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। প্রাথমিক পর্যায়ে সেনা শিবিরগুলিতে এই আন্দোলন শুরু হলেও পরে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় জনসাধারণ -স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিদ্রোহে যোগদান করেছিল । সম্রাট  দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে বিদ্রোহীরা ভারত সম্রাট বলে ঘোষণা করেছিল। সর্বোপরি বিদ্রোহীরা ব্রিটিশ শাসনের অবসানকে তাদের লক্ষ্য হিসেবে তুলে ধরেছিল। এই বিদ্রোহ মূলত উত্তর ভারতে সীমাবদ্ধ থাকায় এটিকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা যুক্তিসম্মত নয়।


[iii] প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ কি না ? : প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী বিনায়ক দামোদর সাভারকর ১৮৫৭-এর বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, এই বিদ্রোহের মাধ্যমেই ভারতবাসী জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। যদিও ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র দত্ত বলেছেন— “ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম স্বাধীনতার যুদ্ধ না ছিল জাতীয়, না ছিল স্বাধীনতার যুদ্ধ।”


উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ নিয়ে নানা মতবিরোধ থাকলেও এই বিদ্রোহের গণচরিত্রকে কখনোই অস্বীকার করা যায় না


দশম শ্রেণির ইতিহাসের চতুর্থ অধ্যায়ের বড় কোশ্চেন|মাধ্যমিক ইতিহাস ধারণা 8 নং প্রশ্ন উত্তর


2. হিন্দুমেলা’ সম্পর্কে কী জান?

অথবা, হিন্দুমেলা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

• উত্তর :

ভূমিকা: উনিশ শতকে বাংলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গড়ে ওঠে। এগুলির মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল ‘হিন্দুমেলা’।


[1] প্রতিষ্ঠা: পণ্ডিত রাজনারায়ণ বসুর ভাবধারায় অনুপ্রাণিত

হয়ে এবং তাঁর সহযোগিতায় নবগোপাল মিত্র (১৮৪০-৯৪ খ্রি.) ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে চৈত্র সংক্রান্তির দিন কলকাতায় হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠা করেন। এজন্য সংগঠনটি ‘চৈত্রমেলা নামেও পরিচিত ছিল। হিন্দুমেলার প্রথম সম্পাদক হন জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং সহ সম্পাদক হন নবগোপাল মিত্র।


[2] উদ্দেশ্য: ‘হিন্দুমেলা’ প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্যগুলি ছিল—

i. সাধারণ মানুষের মধ্যে হিন্দুধর্মের অতীত গৌরবগাঁথা ছড়িয়ে দেওয়া, 

ii. দেশীয় ভাষা চর্চা করা, 

iii. জাতীয় প্রতীকগুলিকে মর্যাদা দেওয়া, 

iv. এদেশে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রসার প্রতিরোধের চেষ্টা করা,

v. দেশবাসীর মধ্যে দেশাত্মবোধের চেতনা জাগিয়ে তোলা প্রভৃতি।


[3] বার্ষিক সম্মেলন : হিন্দুমেলার প্রথম বার্ষিক সভায় দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'মলিন মুখচন্দ্র মা ভারত তোমারি' গানটি গাওয়া হয়। পরবর্তী বার্ষিক সভাগুলিতে   জ্ঞানেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা 'গাও ভারতের জয়' গানটি পাওয়া হত। এই গানটি দেশপ্রেমিকদের জাতীয় সংগীত হয়ে ওঠে।


[4] রাজনারায়ণ বসুর সভাপতিত্ব; সেই সময়ের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব রাজনারায়ণ বসু ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দের বার্ষিক সভায় সভাপতিত্ব করেন। এই সভায় ১৪ বছর বয়স্ক রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা 'হিন্দুমেলার উপহার' কবিতাটি 


[5] বিশিষ্ট সদস্য: 'হিন্দুমেলা’-র সদস্যদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিলেন রাজা কমলকৃয় বাহাদুর, গিরিশচন্দ্র ঘোষ, রমানাথ ঠাকুর, পিয়ারী চরণ সরকার, রাজনারায়ণ

বসু, দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, কৃষ্টদাস পাল প্রমুখ।



'হিন্দুমেলা'-র প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যগুলি কী ছিল?

হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য

পণ্ডিত রাজনারায়ণ বসুর অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় নবগোপাল

মিত্র ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে ‘হিন্দুমেলা’র প্রতিষ্ঠা করেন। এই সংগঠন প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন উদ্দেশ্য ছিল। যেমন—

[1] হিন্দুধর্মের ঐতিহ্য: ‘হিন্দুমেলা' প্রতিষ্ঠার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুধর্মের অতীত ঐতিহ্য ও গৌরবগাঁথা সাধারণ মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে শিক্ষিত যুবকদের মধ্যে প্রচার করা।


[2] পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অগ্রগতি রোধ: উনিশ শতকে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতি দ্রুতগতিতে প্রসারিত হতে থাকে। হিন্দুমেলা ভারতে পাশ্চাত্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রসার প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নেন।

[3] দেশাত্মবোধের প্রসার: ভারতবাসীর মধ্যে দেশাত্মবোধের চেতনা জাগিয়ে তোলা হিন্দুমেলার গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল। এই উদ্দেশ্যে তারা দেশীয় ভাষা চর্চা করা, জাতীয় প্রতীকগুলিকে মর্যাদা দান, দেশের জয়গান, দেশাত্মবোধক কবিতা, দেশীয় শিল্প, দেশীয় শরীরচর্চা প্রভৃতি উদ্যোগ নেয়।


‘হিন্দুমেলা’-র সীমাবদ্ধতাগুলি কী ছিল?

অথবা, 'হিন্দুমেলা' কেন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেনি?

উত্তর : 

হিন্দুমেলার সীমাবদ্ধতা জনপ্রিয় না হওয়ার কারণ---

উনিশ শতকে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সংগঠনগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল নবগোপল মিত্র কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘হিন্দুমেলা’ (১৮৬৭ খ্রি.)। তবে হিন্দুমেলার বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্য এটি সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি।


[1] হিন্দুধর্মের প্রাধান্য: ‘হিন্দুমেলা’-য় হিন্দুধর্মকে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে নবগোপাল মিত্র হিন্দু ভারতের পুনর্জাগরণের স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু নতুন প্রজন্মের বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণি হিন্দুমেলার এই ভাবধারাকে সমর্থন করেনি।

[2] রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভাব: হিন্দুমেলা রাজনৈতিক   কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে শুধু দেশাত্মবোধের প্রচারের উদ্যোগ নেয়। ফলে তা ফলপ্রসূ হয়নি।


[3] ভারতসভার জনপ্রিয়তা: হিন্দুমেলার কিছুকাল পর ‘ভারতসভা’-র প্রতিষ্ঠার পর এই সভা সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ভারতসভার সামনে হিন্দুমেলা ক্রমে গুরুত্বহীন হয়ে পড়তে থাকে।


[4] সক্রিয়তার অভাব: ১৮৮০ ও ১৮৯০-এর দশকের   রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ-বিরোধী যে সক্রিয়তার প্রয়োজন ছিল হিন্দুমেলা সেই সক্রিয়তা দেখাতে পারেনি। ফলে অধিকাংশ সাধারণ মানুষ হিন্দুমেলা থেকে দূরে সরে যায়।


3. জমিদার সভা জমিদার সভা সম্পর্কে আলোচনা করো।

ভূমিকা: উনিশ শতকের মধ্যভাগে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠে। এজন্য ড. অনিল শীল এই যুগকে ‘রাজনৈতিক সভাসমিতির যুগ’ বলে অভিহিত করেছেন। এই সময় প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক সংগঠনগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল জমিদার সভা। এটি ছিল ভারতের প্রথম উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক সংগঠন।


[1] প্ৰতিষ্ঠা: ১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দে (১৯ মার্চ) দ্বারকানাথ ঠাকুরের উদ্যোগে এবং রাজা রাধাকান্ত দেবের সভাপতিত্বে কলকাতায় জমিদার সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। জমিদার সভা প্রতিষ্ঠার পর ‘ভূমিমালিক সমিতি’ নামে এটি অধিক পরিচিতি লাভ করে।


[2] সদস্য: জমিদার সভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বিভিন্ন জমিদার এবং ধনী ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন দ্বারকানাথ ঠাকুর, রাজা রাধকান্ত দেব, প্রসন্নকুমার ঠাকুর, রাজকমল সেন, ভবানীচরণ মিত্র প্রমুখ বড়ো বড়ো ভূস্বামী। বাংলার ব্যাবসাবাণিজ্যে নিযুক্ত বেসরকারি ব্রিটিশরাও জমিদার সভার সদস্য হতে পারত। তবে সাধারণ মানুষ জমিদার সভার সদস্য হওয়ার বিশেষ সুযোগ পেত না।


[3] লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: জমিদার সভার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল জমিদার শ্রেণির স্বার্থরক্ষা করা। এই উদ্দেশ্যে সভার সদস্যরা কলকাতার ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা চালায়। তারা লন্ডনের ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং সোসাইটির সভাপতি জর্জ থম্পসনকে লন্ডনে ভূমি মালিক সমিতির প্রতিনিধি নিয়োগ করে।


[4] কর্মসূচি: জমিদার সভা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে—

i. জমিদারদের স্বার্থরক্ষার জন্য তারা সরকারের কাছে দাবি জানায়। ii. তারা ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করে। iii. তারা ভারতের সর্বত্র চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রসার ঘটানোর দাবি জানায়।

iv. তারা নিষ্কর জমি ভোগদখলের অধিকার পুনঃপ্রবর্তন বন্ধ করার চেষ্টা চালায়। v. শাসনসংস্কারের জন্য তারা  সরকারের কাছে দাবি জানায়। vi. তারা সরকারের কাছে পুলিশবিভাগ, বিচারবিভাগ, রাজস্ববিভাগের সংস্কারের দাবি জানায়


[5] অবদান: জমিদার সভা ভারতে আধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি নতুন ধারার সূচনা করে। এই সভার আবেদনে সরকার ১০ বিঘা পর্যন্ত ব্রশ্নোত্তর জমিরখাজনা মকুব করে। ড. রাজেন্দ্রলাল মিত্র মনে করেন যে, জমিদার সভাই ছিল ভারতের স্বাধীনতার অগ্রদূত।


[6] বিলুপ্তি: বাংলার বাইরে জমিদার সভা তাদের প্রভাব বিস্তারে সফল হয়নি। তা ছাড়া ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ জমিদার সভা ক্রমে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। তবে ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এর অস্তিত্ব কোনোরকমে টিকে ছিল। পরবর্তীকালে এর স্থান দখল করে নেয় বেঙ্গল ব্রিটিশ ইন্ডিয়া সোসাইটি।


উপসংহার: জমিদার সভা ছিল একান্তভাবেই জমিদার ও বানিয়াদের একটি সংগঠন। এর সদস্যরা এর আভিজাত্য রক্ষায় সর্বদা যত্নবান থাকতেন। ব্রিটিশরাজের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনেও তারা সচেষ্ট থাকতেন। তবে এই সংগঠন ভারতে আধুনিক প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। এই সংগঠনের অনুকরণে পরবর্তীকালে ভারতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন গড়ে ওঠে। ফলে এদেশে ব্রিটিশ বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন শক্তিশালী হয়ে ওঠে।


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর :দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর ৮ নম্বর pdf download / দশম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 8 marks pdf / ক্লাস 10 সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 10 ইতিহাস 8 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর / Class X history 4th chapter 8 marks question answer pdf / Class ten history 4th chapter 8 marks question answer / সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা LAQ অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা থেকে অতিসংক্ষিপ্ত, অতিঅতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  চতুর্থ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 8 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


‘‘মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা চতুর্থ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা চতুর্থ অধ্যায় অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন:-

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 4th chapter short questions answers in bengali pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

  Download  Click Here to Download 

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B.  Madhyamik Suggestion / মাধ্যমিক সাজেশন

C. Madhyamik History Suggestion Click here

D. মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন PDF Download 


অসংখ্য ধন্যবাদ , তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা 8 প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History fourth chapter LAQ Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________❤️🤗 ধন্যবাদ ❤️🤗 ________















Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url